সোমবার, ২০শে মে ২০২৪

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এটা টিকিয়ে রাখা এই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে টেলিভিশন ও অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। কিন্তু মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেক বর্তমানে টেলিভিশনে আর ১৭ শতাংশ অনলাইন মাধ্যমে লেখাপড়ায় যুক্ত হচ্ছে। দারিদ্র্য, ইন্টারনেটের গতিশীলতা এবং বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ব্যবস্থার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়পক্ষকে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে হোমওয়ার্ক দিয়ে পরে তা ফের গ্রহণ করতে পারেন।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক। উদ্বোধন করেন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক, অধ্যাপক আবদুস সালাম, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক কেএম এনামুল হক এবং এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসেসিয়েশনের (ইরাব) সভাপতি মুসতাক আহমদ।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মহসীন হাওলাদার রেজার সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে ‘করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া; শিক্ষকদের করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের শাখা প্রধান মো. মোহসিন তালুকদার।

মাউশি মহাপরিচালক তার বক্তৃতায় বলেন, অনেকে মনে করেন যে, অনলাইন ও দূরশিক্ষণে লেখাপড়া পরিচালনার এই ব্যাপারটি সাময়িক। করোনা চলে গেলে আগের অবস্থায় ফিরে যাবেন তারা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে বলেছে যে, দু’বছরও এই পরিস্থিতি থাকতে পারে। তাই শিক্ষকদের দূরশিক্ষণ আর অনলাইনে অভ্যস্থ হতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আরও কীভাবে সেবা দেয়া যায় সেটি উদ্ভাবন করতে হবে।

অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক বলেন, করোনাকালে শিক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য অনলাইন ও টেলিভিশন মাধ্যমের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এতে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে তা চিহ্নিত করে নিরসনের পদক্ষেপ নিতে হবে।

অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক করা জরুরি। এজন্য তাদের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

ক্ষমতাসীন সময়ের রাজনীতিতে যে যতো বড় ভণ্ড, সে ততো বেশি ক্ষমতাশালী, যে যতো বড় বাটপার সে ততো বড় সাকসেসফুল, যে যতো বড় অভিনেতা সে ততো বড় সাধু রুপধারী, যে যতো বড় চোর সে ততোই বেশী সৎ জীবন ভাবধারী, যে যতো বেশী লুচ্চা সে ততো বড় চরিত্রবান সেজে বসে থাকে, যে যতো বড় মিথ্যুক সে ততো বেশী সত্যের বুলি ফোটাতে থাকে নাকে মুখ, যে যতো বড় ঠকবাজ সে ততো বড় আমানতদার সেজে বসে থাকে, যে অশিক্ষিত বর্বর সে ততো বেশী শিক্ষিতের ভাবধারী, যে যতো বড় চামচা সে ততোই কাছের লোক, যে যতো বড় মাদকসেবী সে ততো বেশী মাদক বিরোধী ভাব ধরে, যে যতো বড় ভিতু সে ততো বড়ই সাহসী সেজে থাকে, যে যতো বড় প্রতারক সে ততো বড় হাতেমতাই রুপধারী, যে যতো বড় ছলনাময়ী সে ততো বড় মেধাবী রুপধারী, আর যে যতো বেশী কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সে ততো বড় কর্মীবান্ধব সেজে বসে থাকে।

সবশেষে দু:সময়ে যারা ছিলো না রাজপথে অথবা ফাঁকিবাজ অথবা সুযোগসন্ধানী তাদেরকেই বলা হয় ক্রিয়েটিভ এবং ক্লিন ইমেজধারী। স্বৈরাচার এরশাদের সময় ছাত্ররাজনীতি থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়া, বিরোধী দলের সময় উচ্চ শিক্ষার নামে দেশ বিদেশে সাপের গর্তে লুকিয়ে থাকা চূড়ান্তভাবে ১/১১ তে নেত্রীর পাশে থাকতে না চাওয়া কিংবা নিজেকে নিরাপদ রাখা প্রত্যেকটি অমানুষের চরিত্র এক এবং অভিন্ন। এরাই বর্তমানে ক্লিন ইমেজধারী এবং মেধাবী সেজে বসে আছে এবং বিপথে পরিচালনার চেষ্টা করছে।

ওহে অমানুষের দল মধু খেয়ে চলে যাবি কিন্তু চাকটা ভাঙিস না, তাইলে যারা মধু সংগ্রহ করে তারা আশ্রয়টুকুও হারাবে।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেনিন জাফর, মাগুরা প্রতিনিধি।
মাগুরা শালিখা উপজেলার সদর আড়পাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠত হয়েছে। আজ ১৪সেপ্টেম্বর(সোমবার) সকাল ১১ ঘটিকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার।

এক কোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলাবিশিষ্ঠ ভবনটির নির্মান কাজ গত বছর শুরু হয়। শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার গোলাম মোঃ বাতেন, নির্বাচন অফিসার মোঃ মতিয়ার রহমান, শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তরীকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড.শ্যামল কুমার দে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আরজ আলী বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ধনেশ্বরগাতী ইউপি চেয়ারম্যান বিমলেন্দু শিকদার, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আবু হানিফ।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ তফসির মোল্লা, আড়পাড়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক দেবব্রত দে, উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম , বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম সাদিক।।
'শিক্ষাই আলো' 'সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড' সুশিক্ষিত জাতি আগামীর ভবিষ্যৎ। মানব সভ্যতার বয়স যতদিন, শিক্ষার বয়সও ততদিন। কারণ মানুষকে সৃষ্টিকর্তা একজন জ্ঞানী ও খলীফা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। উম্মতে মুহাম্মদীর শিক্ষা ব্যবস্থা সূচনা হয় সৃষ্টিকর্তার বাণী- পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন (সূরা: আলাক্ব, আয়াত-১)। মসজিদে নববীতে অবস্থিত ‘সুফফা’ হলো ইসলামের প্রথম শিক্ষা কেন্দ্র বা বিশ্ববিদ্যালয়।

রাসুল সা. ছিলেন প্রথম শিক্ষক এবং সাহাবীগণ প্রথম ছাত্র। এখান থেকে শিক্ষার ইতিহাস শুরু হয়। খোলাফায়ে রাশেদীন, উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফাদের যুগে ইসলামি শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি ঘটে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা একটি পরিপূর্ণতা লাভ করে। মুসলিম শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসকগণ শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক অবদান রাখেন। তারা ইসলামি শিক্ষার বুনিয়াদি কাঠামো দাঁড় করিয়ে ছিলেন। শুধু রাজধানী দিল্লিতেই ১০০০ মাদরাসা ছিল।

প্রফেসর ম্যাক্স মুলারের মতে ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে শুধু বাংলাতেই ৮০ হাজার মাদরাসা ছিল। ক্যাপ্টেন হেমিলটনের মতে, সিন্ধুর প্রসিদ্ধ ঠাট্টানগরীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং শিল্পকলার চারশত প্রতিষ্ঠান ছিল। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে পরাজয়ের পর উপমহাদেশের মুসলিম শাসনের ইতি ঘটে। সূচনা হয় ইংরেজ শাসন। ইংরেজগণ তাদের শাসন ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ঠিকিয়ে রাখার জন্য নীতি প্রয়োগ করে। মূল লক্ষ্য ছিল দ্বিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে মুসলমানদের মাঝে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করা। ১৮৩৫ সালে লর্ড মেকেলের সুপারিশকৃত শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে দুই বিপরীতমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের উদ্দেশ্য সুষ্পষ্টভাবে লক্ষণীয়। তাদের এ নীতি সফলতার সাথে বাস্তবায়ন হয়েছে।

বৃটিশ আমাদের এ দেশ থেকে চলে গেছে সেই ১৯৪৭ সালে ঠিকই কিন্তু তাদের সৃষ্ঠ শিক্ষাব্যবস্থা আজো অক্ষুন্ন আছে। এ দীর্ঘ সময়ে পাঠ্যসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আসলেও শিক্ষানীতির মূল কাঠামো আজও অপরিবর্তিত।
আল্লামা ইকবাল বলেন- খুদি বা রুহের উন্নয়ন ঘটানোর প্রক্রিয়ার নামই শিক্ষা। শিক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শে কাজ হলো পরিপূর্ণ মানবসত্তার লালন করে এমনভাবে গড়ে তোলা।

যার এমন একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি যে, মানুষ তার দেহ, বুদ্ধিবৃত্তি এবং আত্মা তার বস্তুগত ও আত্মিক জীবন এবং পার্থিব জীবনের প্রতিটি কার্যকলাপের কোনটিই পরিত্যাগ করে না। আর কোন একটির প্রতি অবহেলা বা মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকেও পড়ে না। মিল্টনের মতে- শিক্ষা হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে বিকশিত মুক্ত সচেতন মানবসত্তাকে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে উন্নত যোগসূত্র রচনা করার একটি চিরন্তন প্রক্রিয়া যেমনটি প্রকাশিত হয়েছে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক, আবেগগত এবং ইচ্ছাশক্তি সম্বন্ধীয় পরিবেশে। শিক্ষার উদ্দেশ্যই নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরি করা।

সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে মানবজাতিকে সঠিক জীবন যাপনের জন্য যেসব নবী-রাসূলগণকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল তাদের কাজ সম্পর্কে সৃষ্টিকর্তা বলেন- তারা আল্লাহর আয়াত বা নিদর্শন বা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য সম্পর্কে মানুষকে পড়ে শুনান। আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেন আর শিক্ষা দেন জীবন যাপনের কৌশল। অথচ এর পূর্বে তারা ছিল সুষ্পষ্ট গুমরাহীতে নিমজ্জিত (সূরা: জুমআ, আয়াত- ২)।

ইসলামি যুগের শুরুতে, মধ্যযুগে এবং অতি সাম্প্রতিক কালেও ঔপনিবেশিক যুগের আগ পর্যন্ত মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ছিল কুরআন, হাদিস, সিরাত ও ফিকাহর ওপর। এর সাথে সাথে সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, যাবতীয় সাইন্স এসবের গুরুত্ব ছিল।

ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা পৃথিবীর কোন ধর্মগ্রন্থে বা মনীষীর বাণীতে পাওয়া যাবে না। কুরআনের প্রথম শব্দই শিক্ষা সংক্রান্ত। সৃষ্টিকর্তা বলেন- পড়ুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্ত থেকে। পড়ুন আর আপনার রব মহামহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না (সূরা: আলাক, আয়াত- ১-৫)।

রাসুল সা. হেরা গুহায় অহি প্রাপ্ত হয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ফিরে এসে তাঁর সহধর্মিনী খাদিজা রা.-এর নিকট সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। রাসুল সা. আল্লাহর পক্ষ থেকে শিক্ষা লাভ করে ঘোষণা করেন- আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি (ইবনে মাজাহ)। অনত্রে- জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরজ (ইবনে মাজাহ )। নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে রাসুল সা. ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে যুদ্ধ বন্দি ৭০ জনের মুক্তিপণ হিসেবে ঘোষণা করেন, যারা লেখাপড়া জানেন তারা ১০ জন নিরক্ষর ব্যক্তিকে অক্ষর জ্ঞান দান করে মুক্তি পাবেন। ইসলামের ইতিহাসে প্রথম আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি সেটা হলো 'দারুল আরকাম'। বিশিষ্ট সাহাবী আরকাম রা. ছিলেন এই ঘরের মালিক। মুসলমান হওয়ার পর তিনি ইসলামের জন্য এই ঘরটি ওয়াক্ফ করে দেন।

মদীনার মুসলমানদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাসুল সা. মুস‘আব ইবনে উমায়ের রা.- কে শিক্ষক হিসেবে মদীনায় প্রেরণ করেন। তিনি আবু উসামা ইবেন যুরারার বাড়িতে অবস্থান করে কুরআন শিক্ষা দিতেন। সেটিই মদীনার প্রথম শিক্ষালয় হিসেবে পরিগণিত হয়। হিজরতের সময় রাসুল সা.-এর বাহন উটনী আবু আইয়ুব আনসারী রা. বাড়িতে গিয়ে থেমে যায়। রাসুল সা. সেই বাড়িতে অবস্থান করে প্রায় ৮ মাস শিক্ষাক্রম চালিয়ে যান।

মসজিদে নববীর উত্তর পার্শ্বে খেজুর পাতায় ছাউনি দিয়ে একটি আবাসস্থল প্রণয়ন করা হয়। ইসলামের ইতিহাসে 'সুফফাহ' নামে পরিচিত। রাসুল সা.-এর শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল একীভূত শিক্ষাব্যবস্থা। সেখানে কোনো ভেদাভেদ ছিলনা। সকলেই জ্ঞান লাভের সমান সুযোগ পেত। রাসুল সা. কন্যা সন্তানদের শিক্ষা দানের ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহ প্রদান করেছেন। রাসুল সা. ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি তিনটি কন্যাসন্তানকে লালন-পালন করবে, তাদেরকে শিষ্টাচার শিক্ষা দিবে তাদের বিয়ে দিবে এবং তাদের সাথে ভালো আচরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (আবু দাউদ)। রাসুল সা. এর সহধর্মিনী আয়শা রা. শিক্ষা-দীক্ষায় বিরাট অবদান রাখেন। তিনি হাদীস, ফিকাহ শাস্ত্রসহ সকল বিষয়ে বুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর থেকে ২২১০টি হাদীস বর্ণিত হয়।

ঈমানের পরে ইলমই হলো আল্লাহর নিকট মর্যাদা বৃদ্ধির প্রথম উপায়। সৃষ্টিকর্তা বলেন- তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে ইলম বা জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে তাদের মর্যাদা আল্লাহ বাড়িয়ে দিবেন (সূরা: মুজাদালা, আয়াত- ১১)। ইলম শিক্ষা করার জন্য পথ চলা, হাঁটা, কষ্ট করা ইত্যাদিও ইবাদাত। এগুলির মর্যাদা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত বেশি। (বুখারি, মুসলিম)। শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে ক্বারীর মর্যাদা সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত- রাসুল সা. ইরশাদ করেন- কুরআনের ক্বারীকে বলা হবে পড়ুন এবং সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকুন এবং সুমধুর কণ্ঠে পড়তে থাকুন যেভাবে তারতীলের সাথে দুনিয়াতে পড়েছেন।

নিশ্চয় আপনার গন্তব্য হবে সেখানে, যেখানে পড়া শেষ হবে (তিরমিযি, আবু দাউদ )। আলী ইবনে আবু তালিব রা. হতে বর্ণিত- রাসুল সা. ইরশাদ করেন- অর্থাৎ যে কুরআন পড়ল অত:পর মুখস্ত করল এবং হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম মেনে চলল। আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করবেন এবং তাকে ঐ সমস্ত দশ জনকে সুপারিশ করার সুযোগ দিবেন যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছে (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ও বায়হাকী)। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত- রাসুল সা. ইরশাদ করেন- আলিম ও আবেদের পুনরুত্থান হবে। অত:পর আবেদকে বলা হবে তুমি জান্নাতে যাও। আর আলেমকে বলা হবে তুমি দাঁড়াও, যাতে তুমি যে শিক্ষা দিয়েছ সে কারণে সুপারিশ করতে পার (বায়হাকী)।

মাদরাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় অবদান হলো সৎ ও আদর্শ ব্যক্তি গঠন। পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর ইসলাম ও মুসলমানদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে উত্তরণের নিমিত্তে ১৮৬৬ সালের ৩০ মে মাওলান ক্বাসেম নানুতবী রহ. প্রতিষ্ঠা করেন ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ মাদরাসা। স্যার সৈয়দ আমহদ খান স্থাপন করেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭৮১ সালে মুসলমানদের চাপের মুখে আরবি শিক্ষার ব্যবস্থা স্বরূপ কলকাতায় (পশ্চিমবঙ্গে) বর্তমান ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত লোকেরা তাহযীব-তমদ্দুন, কৃষ্টি-সভ্যতা, দীন-ঈমান, ইজ্জত-আবরু ইত্যাদি সংরক্ষণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন।

মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের অনৈতিক কাজ যেমন- চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ব্যভিচার, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদক ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ করার মত নজির পাওয়া যায় না। মাদরাসায় শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারী বিভিন্ন চাকুরী করার পাশাপাশি মসজিদে জুমার খুতবা, ওয়াজ মাহফিল, সভা-সেমিনার ও ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সৎভাবে জীবনযাপন করার উপদেশ দেন। তাঁদের উপদেশ শুনে সাধারণ মানুষ সৎভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মাদরাসাগুলো অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও অসহায় এতিম শিশুদের বিত্তবানদের সহযোগিতায় নিরক্ষরতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। সৎ ও আদর্শ জাতি গঠনে মাদরাসা শিক্ষার ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

রাসুল সা. শিক্ষার আলো দিয়ে একটি বর্বর ও অশিক্ষিত জাতিকে সুশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খলিত ও সর্বোত্তম জাতিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হন। আমাদেরও উচিত মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন ঘটিয়ে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে আসা যাতে আমাদের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তেমন কোন পার্থক্য না থাকে। আবার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে আসা যাতে মাদরাসা শিক্ষার ইসলামী ধ্যান-ধারণা ও পরিবেশের সাথে তেমন কোন পার্থক্য না থাকে। নৈতিক, আদর্শিক ও চারিত্রিক দৃঢ়তাসম্পন্ন জনশক্তি উৎপাদনের জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চার কোন বিকল্প নেই। এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থায় অগ্রধিকার পাওয়া উচিত।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। তাই সন্তানকে পরিপূর্ণ ইসলামি শিক্ষাদানের যথাযথ ব্যবস্থা করা নৈতিক দায়িত্ব। এটা নবুয়তি কাজের অন্তর্ভূক্ত। পিতা-মাতা সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে পরকালে তাদের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সৃষ্টিকর্তা বলেন- হে আমাদের পালনকর্তা! যেসব জিন ও মানুষ আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে দেখিয়ে দাও, আমরা তাদেরকে পদদলিত করব, যাতে তারা যথেষ্ট অপমানিত হয় (সূরা: হা-মীম-সিজদা, আয়াত-২৯)। আদর্শ জাতি গঠনে ইসলামি শিক্ষা এক অপরিহার্য মাধ্যম।

লেখক: প্রাবন্ধিক।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আপনি যদি হতাশাগ্রস্ত হন, তবে একটা কাজ করে দেখতে পারেন। এটা খুবই সহজ কাজ। এতে অন্তত হারানোর কিছু নেই। এ জন্য আপনাকে নিজের মতো করে একটা ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটা হলো—
আমি হতাশ, কারণ: …. .
যদি এমন হতো, তা হলে খুবই ভালো হতো: …….
আমি এতে বাস্তবে যা করতে পারি: …. .
চলুন দেখা যাক, এই ফরমটা কীভাবে একজন মানুষকে ৩ মাসে হতাশা থেকে বাঁচায়।

আমি হতাশ, কারণ:
১. চার মাস থেকে চাকরির খোঁজে, ইন্টারভিউ দিয়েও কোনো চাকরি পাচ্ছি না
২. আমার হাতে কোনো টাকা নেই
৩. আমার বন্ধু অদিত আমাকে তাঁর বাসায় থাকতে ও খেতে দিয়েছিল, সেই শেষ সম্বলও শেষ হয়ে যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে।

যদি এমন হতো, তা হলে খুবই ভালো হতো:
১. এক সপ্তাহের মধ্যেই যদি চাকরি পেতাম
২. হাতে যদি কিছু টাকা থাকতো

আমি এতে বাস্তবে যা করতে পারি:
১. যে ইন্টারভিউগুলো দিয়েছিলাম, সেগুলোর খবর নিতে পারি
২. কারও কাছে কিছু টাকা ধার চাইতে পারি
৩. আরও বেশি চাকরির আবেদন করতে পারি
আমি এই তালিকা অনুযায়ী কাজ করি। আমার বন্ধু মিজানের কাছে টাকা চাই, আরও বেশি চাকরির আবেদন করি। আগের ইন্টারভিউ দেওয়া চাকরিগুলোর খবর নিই। পাঁচ দিনের মধ্যেই শিকাগোতে আগের ইন্টারভিউ দেওয়া চাকরির অফার লেটার পাই। এতে হতাশার মধ্যে আশার আলো দেখি।

হতাশাগ্রস্তদের জন্য
১. চিন্তা করবেন আপনি কী করতে পারছেন, কখনো চিন্তা করবেন না কী হারিয়েছেন
২. মনে রাখবেন, আপনার হতাশার জন্য অন্যরা দোষী হলেও তাদের দোষারোপ করে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না
৩. হতাশা আপনাকে চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে পারবে না; আপনার চেষ্টার একটা না একটা পথ খোলা আছেই
৪. নিজের ওপর বিশ্বাস রাখবেন
৫. ব্যস্ত থাকলে হতাশা আপনার মনে স্থান পাবে না
৬. হতাশাগ্রস্ত হয়ে ওপরে বর্ণিত উপায়ে চেষ্টা করেও যদি আপনি জয়ী হতে না পারেন, অন্তত বলতে পারবেন যে এই পদ্ধতি কাজ করে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ২৩১ রানে আটকে দিয়েছে সফরকারীরা। সহজ এই লক্ষ্য ছুঁতে পারলেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করবে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

ম্যানচেস্টারে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। শুরুর দিকে একাই রান করছিলেন ওপেনার জেসন রয়। সঙ্গী জনি বেয়ারস্টো পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে মিচেল স্টার্কের গতির কাছে পরাস্ত হন। সাতটি বল মোকাবেলা করলেও কোনো রান না করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বেয়ারস্টো। এর এক ওভার পরেই ফিরে যান সঙ্গীহীন জেসন রয়। ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গেলে মার্কাস স্টয়নিসের সরাসরি থ্রো-তে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের। রান আউট হয়ে ফিরতে হয় ২২ বলে ২১ রান করা রয়কে। যাতে ২৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা।

এ দুজনের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের রানের চাকা স্বাভাবিকভাবেই মন্থর হয়ে যায়। জো রুটকে নিয়ে উইকেট আগলে রেখে ইনিংস গড়ার দিকে মনোযোগ দেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তবে জাম্পা-কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রুট-মরগানের জুটি বড় কোনো প্রভাবক হতে পারেনি। ৯৩ বলে গড়া তাদের ৬১ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাই। ৭৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন জো রুট।

নতুন ব্যাটসম্যান জস বাটলার মাত্র ৩ রান করে প্যাট কামিন্সের শিকার হলে ১০৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এর কিছুক্ষণ পরই মরগানকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন জাম্পা। ৫২ বলে ৪২ রান করে এলবিডব্লিউ হন মরগান। ফলে ২ উইকেটে ৯০ রান থেকে ১১৭ রানে পৌঁছাতে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।

আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো স্যাম বিলিংস ২৮ বলে ৮ রান করে বোল্ড হন সেই জাম্পার লেগ ব্রেকেই। পরের ওভারেই বিদায় নেন স্যাম কারানও। স্টার্কের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। আর ক্রিজে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ক্রিস ওকস। ৩৯ বলে ২৬ রান করে জশ হ্যাজলউডের বলে আউট হন তিনি।

১৪৯ রানে অষ্টম উইকেটের পতন ঘটলে ইংল্যান্ডের ২০০ রান অতিক্রম করা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নবম উইকেটে দলের হাল ধরেন আদিল রশিদ আর টম কারান। দুজন মিলে দলের রানের গতিও বাড়ান। শেষ ওভারে ৩৯ বলে ৩৭ রান করে টম কারান বোল্ড হলে ভাঙে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৬ রানের জুটিটিও। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা জোফরা আর্চার ২ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর ৩ চার আর ১ ছক্কা হাঁকানো আদিল রশিদ অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৩৫ রান করে। আদিল আর টমের মহামূল্যবান ওই ইনিংস দুটিতে ভর করে ২৩১ রানে থামে স্বাগতিকরা। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন অ্যাডাম জাম্পা আর স্টার্ক নেন দুটি উইকেট।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিলুপ্ত করে পানিসম্পদ অধিদফতর নামে একটি অধিদফতর গঠন করতে যাচ্ছে সরকার।

একইসঙ্গে ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০০০’ও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

এখন থেকে ভিন্ন আইনে পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পানিসম্পদ অধিদফতর। এজন্য প্রণয়ন করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ পানিসম্পদ অধিদফতর আইন-২০২০’ নামে নতুন আইন।

আইনটি বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম শেষে জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০০০ বিলুপ্ত হবে। একই সঙ্গে বিলুপ্ত হবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। গঠিত হবে বাংলাদেশ পানিসম্পদ অধিদফতর।

নতুন আইনের চার ধারায় বলা আছে, বাংলাদেশ পানিসম্পদ অধিদফতরের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তার পদবি হবে মহাপরিচালক বা ডিরেক্টর জেনারেল। এর সদর দফতর রাজধানী ঢাকায় হবে বলে খসড়া আইনের ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। আরো কিছু কাজ বাকি আছে। আমরা সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে কাজ করছি। এর কাজ শেষ হলেই তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে জাতীয় সংসদে পাসের জন্য পাঠানো হবে আইনটি। জাতীয় সংসদে আইনটি পাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বিলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশ পানিসম্পদ অধিদফতরে রূপান্তরিত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সদ্য অব্যাহতি পাওয়া রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের বিদায়ে খুশি ক্যাম্পাসের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে ট্রাস্টি বোর্ডের জরুরী সভায় তাকে অব্যাহতি দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মোস্তাক আহমেদ পারভেজ লিখেন, 'গণ বিশ্ববিদ্যালয় আজ কলঙ্কমুক্ত হলো।' এর আগে তিনি লিখেন, 'বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব প্রাণ'।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন কবিতা লিখেছেন, 'স্বর্গীয় সুখ চাওয়া রেজিস্ট্রারের বিদায়ে আমরা স্বর্গীয় সুখ অনুভব করছি।' সার্বিক বিষয়ে দু:খ প্রকাশ করে ডিবেটিং সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন জানান, 'ক্যাম্পাসে যাদের হাতে নৈতিকতা শিক্ষার দায়িত্ব ন্যস্ত, তাদেরকেই আজ পদে পদে নৈতিক শিক্ষা দিতে হচ্ছে।'

রেজিস্ট্রারের বিদায়ে আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মুন্নি আক্তার লিখেন, 'একক আধিপত্য মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গবিকে অ্যাখায়িত করাই যায়।' সাধারণ ছাত্র পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জান্নাতুল ফেরদৌস জিবু অভিমত প্রকাশ করে বলেন, 'অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। হোক সে ছাত্র, শিক্ষক, রেজিস্ট্রার কিংবা নেতা। অন্যায় করে কেউ পালাতে পারবেনা।'

রেজিস্ট্রারকে বিদায়কে ঐতিহাসিক অ্যাখায়িত করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, 'উনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সুদীর্ঘ দিনের। আজ তা পূর্ণতা পেয়েছে। গবিয়ানরা দেখিয়ে দিয়েছে অন্যায় করলে গবিতে কেউ পার পাবে না। এখনই সময় পরিবর্তনের।
চলুন পাল্টে যাই, পাল্টে দেই। গড়ি তুলি স্বপ্নের ক্যাম্পাস।'

এমন সিদ্ধান্তে ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. জুয়েল রানা বলেন, 'গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডকে ধন্যবাদ। আশা করছি আরো কিছু সমস্যা রয়েছে তা চলমান সংকট সমাধানের মতই সমাধান করবেন আর আমাদের পাশে থাকবেন।'

এমনই অনেক শিক্ষার্থীর লেখাতে রেজিস্ট্রারের বিদায়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিবাচক বলে ধরা হচ্ছে। তাদের ধারণা, দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে এবার নতুন গতিতে এগিয়ে যাবে ক্যাম্পাস।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রারের সাথে এক ছাত্রীর ২৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হয়। এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়। অবস্থার প্রেক্ষিতে জরুরী সভা আহ্বান করে গতকাল তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বর্তমানে দেশের ৫৪ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা নেই বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এসব গ্রামীণ পরিবারগুলোর ৫৯ শতাংশের স্মার্টফোন নেই এবং ৪৯ শতাংশের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ নেই।

রোববার প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় এসব তথ্য জানা গেছে।

লাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে ডিজিটাল সাক্ষরতার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে ও ডিজিটাল লিটারেসি ইনডেক্স (ডিএলআই) তৈরির জন্য সারা দেশে ৬ হাজার ৫০০ গ্রামীণ পরিবারের উপর এ সমীক্ষাটি করেছে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)।

এ সমীক্ষার ফলাফল ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল লিটারেসি’ শীর্ষক একটি অনলাইন সেমিনারে তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের পরিবারগুলোর মধ্যে বিরাজমান ‘ডিজিটাল বিভাজন’ অব্যাহত থাকার কারণে দেশের ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের গ্রামীণ পরিবারগুলোতে ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের তুলনায় ডিজিটাল সুবিধা, ডিজিটাল দক্ষতা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা পরিমাণ বেশি রয়েছে।

সমীক্ষায় আরও বলা হয়, জরিপ করা ৬,৫০০ পরিবারের মধ্যে এক শতাংশেরও কম পরিবার অনলাইনে কোনো ধরণের আয়-উপার্জন করে করে না। কোনো পরিবারের আয় সে পরিবারের ডিজিটাল সুবিধা, দক্ষতা এবং সাক্ষরতার উপর বলিষ্ঠ ও উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে।

ডিজিটাল প্রবেশাধিকারের মতো, তাদের ডিজিটাল দক্ষতার উপর ভিত্তি করে চার শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গ্রামীণ পরিবারের দুই-তৃতীয়াংশের মধ্যে ‘কম দক্ষতা’ রয়েছে, ১৬ শতাংশ পরিবারের মধ্যে ‘কোনো দক্ষতা নেই’, ১৫ শতাংশের মধ্যে ‘মৌলিক দক্ষতা’ এবং ৮ শতাংশ পরিবারের মধ্যে মৌলিকের চেয়ে বেশি’ দক্ষতা রয়েছে।

সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, পরিবার প্রধানের লিঙ্গগত পার্থক্য ডিজিটাল প্রবেশাধিকার ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও নারী-পরিচালিত পরিবারগুলোতে আরও ভাল ডিজিটাল সাক্ষরতার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. ওয়াসেল বিন শাদাত সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপনের সময় বলেন, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জরুরি ভিত্তিতে একটি বিশদ ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল কম্পিটেন্সি ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করতে হবে যাতে বাংলাদেশে বিদ্যমান ‘ডিজিটাল বিভাজন’ কাটিয়ে উঠতে পারে।

‘কন্সালটিব গ্রুপ টু অ্যাসিস্ট দ্য পুর’ প্রধান গ্রেগরি চেন বলেন, ‘ডিজিটাল সাক্ষরতা হলো একে অপরকে প্রভাবিত করে এমন অসংখ্য নির্ধারকের ফল। এর সবগুলো নির্ধারক শনাক্ত ও সম্বোধন করা হলে তখনই কেবল ডিজিটাল সাক্ষরতার স্তর উন্নত হবে।’

বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, এ সমীক্ষাটি ডিজিটাল সোস্যাল সায়েন্স ডোমেনের একটি অংশ এবং এ বিষয়ে শিগগিরই আরও আলোচনার আয়োজন করবে বিআইজিডি।সুত্র বাংলাদেশের খবর

নিরাপত্তা চেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নয়জন শিক্ষক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। রোববার দুপুরে রাজশাহী নগরের মতিহার থানায় তাঁরা জিডি করেন। তাঁরা শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের জিডি করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান।

অভিযোগকারী ওই ৯ শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা, সংগীত বিভাগের অসিত রায়, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মজিবুল হক আজাদ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম, রসায়ন বিভাগের তারিকুল হাসান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের মো. মিজানুর রহমান, নাট্যকলা বিভাগের এস এম ফারুক হোসাইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ।

ওই নয়জন শিক্ষক গত ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের শুনানি ১৭ ও ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কয়েকজন শিক্ষক স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে সৌজন্য আলোচনা করছিলেন। এ অবস্থায় তাঁরা খবর পান, মামুন নামের এক বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে রাখা গাড়ি ও এগুলোর নম্বরপ্লেট গোপনে মোবাইলে ছবি তুলছে ও ভিডিও ধারণ করছে।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষকেরা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। এ অবস্থায় ছবি ও ভিডিও ধারণের কারণ জানতে চাইলে বহিরাগতরা সেখান থেকে চলে যান। তবে চলে যাওয়ার সময় তাঁরা তাঁদের (শিক্ষক) দিকে আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি করে এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ ঘটনায় তাঁরা শঙ্কিত এবং আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে তাঁদের নেতৃত্বে তাঁদের (শিক্ষক) ওপর ব্যক্তিগত হামলা হতে পারে এবং রাস্তাঘাটে তাঁদের গাড়িগুলোর ক্ষতি করা হতে পারে।

জিডিতে আরও বলা হয়েছে, ইতিপূর্বে এই মামুন নানাজনের প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে কীভাবে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে, তা তাঁদের কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে। এ অবস্থায় তাঁরা ঘটনা তদন্ত করে প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার দাবি জানান।

সামনে ইউজিসিতে বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে শুনানি রয়েছে। তাঁদের ধারণা, এটাকে (শুনানি) ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এটা হতে পারে। এ ছাড়া যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ভয় দেখানোর একটা অপচেষ্টা হতে পারে।
এস এম এক্রাম উল্যাহ, অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ বলেন, সামনে ইউজিসিতে বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে শুনানি রয়েছে। তাঁদের ধারণা, এটাকে (শুনানি) ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এটা হতে পারে। এ ছাড়া যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ভয় দেখানোর একটা অপচেষ্টা হতে পারে। কিংবা তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যই হয়তো ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করলেই বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাধারণ ডায়েরি পেয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্তকাজ চলছে।

কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন কার্যক্রমের কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি)।

একই সঙ্গে অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে দু’টি আদেশ জারি করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ নির্ধারণের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত ২০২০)’ অনুযায়ী কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তথ্য অধিদফতরকে ক্ষমতা দেওয়া হলো।

নিবন্ধনের জন্য অনুমোদিত নিবন্ধন ফরম তথ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যাদিসহ মাসিক প্রতিবেদন প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে নিয়মিত পাঠানোরও অনুরোধ জানানো হয়েছে তথ্য অধিদফতরকে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন, স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ফি নির্ধারণের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিবন্ধন ফি হবে ১০ হাজার টাকা। নিবন্ধন নবায়ন ফি প্রতি বছর পাঁচ হাজার টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ের পর এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন নবায়ন ফি জমা দিলে দুই হাজার টাকা সারচার্জ দিতে হবে। এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে সারচার্জ দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা।

নিবন্ধন ফি নির্ধারণে গত ২৫ আগস্ট অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

গত ৩০ জুলাই ৩৪টি নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচিত করে তথ্য মন্ত্রণালয়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর ও বিভাগীয় শহরের ৯২টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।

তবে নিবন্ধন ফি জমা নেওয়ার কোড নম্বর এখনও জানায়নি তথ্য মন্ত্রণালয়।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য অধিদফতরকে কোড নম্বর জানিয়ে দেওয়ার পরে নির্বাচিত পোর্টালগুলোর নিবন্ধনের জন্য ফরম পূরণ করে কোড নম্বরে চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয়ভাবে নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো নেবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিতে মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে নয়, স্ব স্ব মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রাতষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে পাঠদান চলছে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram