শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪

ইবি প্রতিনিধি-
শতাব্দীর ভয়াবহ আতঙ্ক নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে হাজির হয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। দিনদিন করোনায় লাশের মিছিল বেড়েই চলেছে। অধিকাংশ দেশেই লকডাউন। তবুও এর লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গুলাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেছে ইউজিসি এবং শিক্ষামন্ত্রনালয়। যার ফলে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে ক্লাস সহ পরিক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা বিমুখী হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

এসব সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য "ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ডিভাইস" প্রকল্প চালু করেছে। বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তাক আলীর নেতৃত্বে এ যাত্রার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার ওয়াল্টন শোরুম থেকে এ ডিভাইস ক্রয় করা হয়। ডিভাইস দুটির মধ্যে রয়েছে স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ। এ ডিভাইস ক্রয়ের জন্য ১০% নগদ অর্থ প্রধান করে একবছর/দুই বছর মেয়াদে সহজ কিস্তিতে ডিভাইস প্রাদানের সহযোগিতা করছেন সর্বাধিক জনপ্রিয় ওয়াল্টন কোম্পানি।

ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির আওতায় ৩৩ জন শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছে। তন্মধ্যে ওয়ালিউল্লাহ, ইয়াসির আরাফাত, নিশী, সানজিদা আহমেদ সহ ১৩ জন শিক্ষার্থী ডিভাইস ক্রয় করেছেন।

এবিষয়ে অনুভূতি ব্যাক্ত করে শিক্ষার্থী শাহিন পাশা বলেন, প্রথমে অভিনন্দন জানাই ডিপার্টমেন্টে মাননীয় চেয়ারম্যান স্যার ডিপার্টমেন্টের নতুন রুপকার এবং একাডেমি কমিটি সকল স্যারদেরকে এমন একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বৃহৎ উদ্যেগ নেওয়ার জন্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু অনলাইন ক্লাসেই সীমাবদ্ধ থাকবে না একজন দক্ষ আইটি ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখবে। আমরা মনে করি আগামী পৃথিবী নেতৃত্বা দিবে আইটি সেক্টর তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা তাদের সাথে কাজ করতে পারব। আমরা হতে পারব লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন আত্মনির্ভরশীল ফ্রিলাংসার। যার ফলে ডিপার্টমেন্টের প্রতিটা শিক্ষার্থী নিজেকে যোগ্য এবং দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে এ প্রত্যাশা কামনা করি।

বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তাক আলী বলেন, বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থীর ডিভাইস না থাকার কারনে অন লাইনের ক্লাস গুলাতে যুক্ত হতে পারছে না। যাতে শতভাগ শিক্ষার্থী অন লাইনের ক্লাসে যুক্ত হতে পারে এজন্য আমরা ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ডিভাইস প্রকল্পটি চালু করেছি। এছাড়াও পড়ালেখার পাশাপাশি যাতে শিক্ষার্থীরা আইটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং জব সেক্টর গুলাতে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে পারে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ শিক্ষার্থীদের পাশে সর্বদা অটুট থাকবে।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শর্ত সাপেক্ষে আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মহানগর গোধূলী/ প্রভাতী, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, তুর্ণা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস (খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ), লোকাল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর), মহানন্দা এক্সপ্রেস (রহনপুর-খুলনা), পদ্মরাগ কমিউটার, নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, সাগরিকা কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার ও বেতনা এক্সপ্রেস চালু করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, যাত্রার ১০ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। আন্তঃনগর ট্রেনের সকল (ধারণ ক্ষমতার শতকরা ৫০শতাংশ) টিকিট একইসঙ্গে অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বিক্রিত টিকিট ক্যানসেল করে টাকা রিফান্ড করা যাবে না। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাত্রীকালীন উচ্চশ্রেণির যাত্রীদের চাদর, কম্বল ও বালিশ সরবরাহ করা হবে। এজন্য টিকিটের মূল্যের সঙ্গে বেডিং চার্জ যোগ করা হবে। এছাড়া, চা, কফি, বোতলজাত পানি সরবরাহ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়েই ট্রেন চলবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু করা হবে না। যাত্রার ৩৬ ঘণ্টা আগে দুই শতাংশ টিকিট রেল কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদী স্টেশনে সব আন্তঃনগর, কমিউটার, মেইল ট্রেন এবং ভৈরব বাজার স্টেশনে শুধু কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হবে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সভাপতির অনুপস্থিতিতে কমিটির সদস্য জনাব মো. আব্দুল কুদ্দুস সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. এ কে এম শাহাজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আবদুস সোবহান মিয়া এবং এম এ মতিন বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০২০; হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০২০ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০২০ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বিলগুলো আরো পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন সাপেক্ষে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের নিহত সদস্য এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং করোনা ভাইরাসে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনাকালে সরকারি ও বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফি ৫০ শতাংশ মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।মানববন্ধনে সাবেক ছাত্র নেতা আবুল হোসাইন বলেন, ছাত্র সমাজ জাতির সংকটে নানা সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের নেতৃত্বের ফসল ৫২’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সফলতা। আজ করোনাভাইরাসের কারণে অর্থ কষ্টে আছে অভিভাবক সমাজ, তাদের আয় কমেছে। নিজ সন্তানের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত তারা। এ অবস্থায় বর্তমানে সরকার একাদশ শ্রেণিতে যে ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে তা অনেক অভিভাবক দিতে পারবেন না। আমাদের দাবি ভর্তি ফি অর্ধেক করা হোক।

সাবেক ছাত্র নেতা সাদাকাত হোসেন খান বাবুল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতির সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে মানুষের আয় কমেছে, নগরের ১৬ ভাগ মানুষ গ্রামে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এর মাঝেও চুরি, দুর্নীতি ও লুটপাট থেমে নেই। পাচার হয়েছে লক্ষ কোটি টাকা। পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনুন, শিক্ষায় ভর্তুকি দিন, ভর্তি ফি কমান। ভর্তি ফি কমানো না হলে রাজপথে আন্দোলন করে ছাত্র সমাজের এই যৌক্তিক দাবি আদায় কর হবে।

ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেবের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে আইনটিকে যুগোপযোগী করতে একটি কমিটি করেছে সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একজন সদস্যকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করে সোমবার (২৪ আগস্ট) আদেশ জারি করেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আদেশে কমিটির কার্য পরিধিতে বলা হয়েছে, মানসম্মত শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ যুগোপযোগীকরণের লক্ষ্যে সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন বা পরিমার্জন করে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।

কমিটিতে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের একজন সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ এর উপসচিবকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইউজিসি এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের কোনো কোনো সদস্য কমিটিতে থাকবেন তা সংস্থা দু’টির প্রধানদের ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে। এ কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটিতে এখনও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি।

দশ বছর আগে প্রণীত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন। দশ বছর আগের এ আইনের আলোকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। সংশোধন বা পরিমার্জন করে আগের আইনে যেসব বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে সেগুলো স্পষ্ট করা হবে।

নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ না কমায় এখনো বন্ধ আছে সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সম্প্রতি বাড়িয়েছে সরকার। তবে ছয়টিশর্তে কওমি মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

গতকাল ২৪ আগস্ট, সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ‘কওমি মাদ্রাসাগুলোর কিতাব বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি প্রদান করা হলো। তবে ৬টি শর্ত পালন করতে হবে মাদ্রাসাগুলোকে।’

শর্তগুলো হলো:

১. প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, মাথায় নিরাপত্তা টুপি পরা আবশ্যক।

২. মাদ্রাসায় প্রবেশের পূর্বে গেটে স্যানিটাইজিং করতে হবে।

৩. শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করবে, বিক্ষিপ্তভাবে চলাফেরা করবে না।

৪. একজন শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থী থেকে কমপক্ষে ৩ ফিট দূরত্বে অবস্থান করবে।

৫. করোনার কারণে কোলাকুলি ও হাত মেলানো যাবে না।

৬. শিক্ষক ও কর্মচারীরাও একইভাবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ক্লাস করাবেন।

এর আগে করোনায় বন্ধ থাকা দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেছিলেন, ‘অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করে তার মতামতের ভিত্তিতে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ খেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট অ্যাঙ্গিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটিতে বলা হয়ল, করোনা আক্রান্ত যে সব রোগী উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ খেতেন, তাঁদের ৩৩ শতাংশের প্রাণ বেঁচেছে এই ওষুধের কারণে। শুধু তাই নয়, আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার হাত থেকেও বেঁচেছেন তারা।
গবেষণাটি হাসপাতালে ভর্তি ২৮,৮৭২ জন রোগীর ওপর চালানো হয়েছে। এই রোগীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ রোগীই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ও অ্যাজিওটেনসিন রিসিপটার ব্লকারস ওষুধ খান। চিকিৎসকরা বলছেন যারা এই ওষুধ খাচ্ছেন, তারা দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন বা তাদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার বেশি।

গবেষকরা বলছেন এই রোগীদের ভেন্টিলেটর বা আইসিইউ-র সাহায্য নিতে হয়নি। সাধারণ ওষুধেই করোনা থেকে সুস্থ হচ্ছেন তারা। অ্যাজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ও অ্যাজিওটেনসিন রিসিপটার ব্লকারস এই ওষুধ দুটি একদিকে যেমন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, তেমনই অ্যাজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ২-এর পরিমাণ বাড়ায়। এছাড়াও এই ওষুধ ডায়াবেটিস ও কিডনির নান রোগও প্রতিহত করে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

এতদিন বলা হয়েছিল যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়াও বলা হয়েছিল করোনা আক্রান্ত অবস্থায় রক্তচাপের ওষুধ খেলে শারীরিক জটিলতা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু এই গবেষণা সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করল। গবেষকরা বলছেন উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেয়ে কোনও করোনা আক্রান্তে রোগীর মধ্যে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়নি। বরং তা কমেছে।

রাজধানীর নটরডেম কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ডেমু পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার নটরডেম ইউনিভার্সিটি শাখার তথ্য অফিসার জুই মারিয়া  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভ্যন্তরীণ কারণেই এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে ডেমু পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এতে সকল বিভাগের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু সকালে পরীক্ষা শুরুর প্রায় একঘণ্টা আগে কলেজের নির্দিষ্ট নম্বর থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ডেমু পরীক্ষা স্থগিতের মেসেজ পাঠানো হয়।

অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে পাঠানো মেসেজে বলা হয়, 'অনিবার্য কারণবশত আজ নটরডেম কলেজের ভর্তির ডেমু পরীক্ষা স্থগিত। পরবর্তী নির্দেশনা কলেজ ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। অধ্যক্ষ।'

২৩ আগস্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ডেমু পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা জারি করে। সেখানে বলা হয়- একজন পরীক্ষার্থী শুধু একবারই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। যেহেতু দ্বিতীয়বার লগইন করার সুযোগ নেই সেহেতু নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট (পর্যাপ্ত ডাটাসহ) ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে পরীক্ষায় আর অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিতের সুনির্দিষ্ট কারণ জানায়নি নটরডেম কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের ওয়েবসাইটেও কোন বিজ্ঞপ্তি আপডেট করা হয়নি। আজকে ডেমু পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি ওয়েবসাইটের উপরের বারে স্ক্রল করছে।

নিউজ ডেস্ক।।

কওমি মাদ্রাসাগুলো করোনা মহামারির কারণে আটকে থাকা ডিগ্রি ও মাস্টার্স পর্যায়ের পরীক্ষাগুলো নিতে পারবে কওমি। মাদরাসাগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এইচএসসি এবং অন্যান্য পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয় জোরালো চিন্তা-ভাবনা করলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো সময় আসেনি।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা জানান।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি রোধ ও ভুল চাহিদাপত্র দেওয়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করলো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। যদি অসৎ উদ্দেশ্যে ভুল চাহিদাপত্র দেওয়া হয় বা কৌশল করে পদ শূন্য রাখার জন্য চাহিদাপত্রে ভুল করা হয় তাহলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে এনটিআরসিএ। আর এ কারণে আগে থেকেই চাহিদাপত্র সংশোধনের শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ভুল করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন এনটিআরসিএ।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পদ না থাকলেও শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ-এর কাছে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠায়। ফলে শত শত শিক্ষক নিয়োগের পর এমপিও বঞ্চিত হন। এছাড়া ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা না মেনে আগের নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা দেয়। ওই চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পর এমপিও বঞ্চিত হন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা। এছাড়া এনটিআরসিএ–এর সুপারিশের পরও অনেক প্রার্থী নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন।
এ কারণে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শেষ সময় দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) ড. কাজী আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া চাহিদা সংশোধন, পরিশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে।
এতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সংশোধন করা না হলে পরে এ সংক্রান্ত কোনও আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর শিক্ষকের চাহিদাপত্রে অনিয়ম ও অবহেলা পাওয়া গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে চাহিদাপত্র যাচাই বাছাই করে প্রয়োজন অনুসারে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা সংশোধন, পরিশোধন ও পরিমার্জন করে প্রয়োজন অত্যাবশ্যক বিবেচিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিয়ে চাহিদাপত্র সংশোধন করিয়ে নেবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে আদেশে বলা হয়, সময়সীমার পর চাহিদাপত্র সংশোধন, পরিশোধন ও পরিমার্জনের আর কোনও আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে চাহিদাপত্র পাঠালে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হবে।

 পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।

অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সৈকতের অন্তত ৩০ ফুট প্রস্থ বেলাভূমি গিলে খেয়েছে বিক্ষুব্ধ সাগর। ভেসে গেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের দোকানসহ মালামাল। ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে বালুর নিচের সাবমেরিন ক্যাবলের অপটিক্যাল লাইন বের হয়ে গেছে। উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে গেছে সৈকতের লাগোয়া একটি আবাসিক হোটেলের একাংশ। হুমকির মুখে রয়েছে পাবলিক টয়লেট। উপড়ে পড়েছে অশংখ্য গাছ পালা। সর্বত্র এখন যেন ধ্বংসের ছাপ পড়ে আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু সৈকত নয়। ঢেউয়ের ঝাপটায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। একই সাথে ধ্বংসে পরিণত হয়েছে বনবিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট ও কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ইকোপার্ক। কুয়াকাটার সৈকত লাগোয়া সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে খ্যাত মসজিদ ও মন্দিরটি রয়েছে ঝুঁকিতে। অস্বাভাবিক জোয়ারের এমন তান্ডব তারা আগে কখনও দেখেননি। গত বছরে ঢেউয়ের ঝাপটা ঠেকাতে দেয়া জিও টিউবসহ ব্যাগ ছিড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আগের চেনা সৈকত এখন যেন অচেনা হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের কারনে এখন জোয়ারে থাকছে না ওয়াকিং জোন। এ সৈকতের বেলাভূমে শত শত পর্যটক গোসলে মত্ত রয়েছে। এদিকে কুয়াকাটার মানুষের জীবন ও সম্পদ জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটা থেকে রক্ষায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও চরম ঝুঁকিতে পড়েছে।
সৈকত পাড়ের ঝিনুকের দোকানি মো.রাসেল খলিফা বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। সকালে এসে দেখি মালামালসহ দোকানের একাংশ সাগরে ভাসছে। শুধু তার দোকান নয়, সৈকতের প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র দোকানিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রায় এক যুগের সাগরপাড়ের ব্যবসা। সব ভেসে গেছে বলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাসেল জানান।
আগত পর্যটক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, সাগরের অব্যাহত ভাঙ্গনে কুয়াকাটার চিত্র বদলে যাচ্ছে। সৈকত রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অন্যথায় সূর্যোদয় সূর্যাস্তের এই বিরল সৌন্দর্য মন্ডিত কুয়াকাটা হারিয়ে যাবে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ:বারেক মোল্লা জানান, সমুদ্র সৈকত রক্ষা করা কুয়াকাটা পৌর সভার একার পক্ষে সম্ভব নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করা হলেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেনা। তার পরও পাবলিক ওয়াস রুম ও জিরো পয়েন্ট রাস্তা রক্ষার্থে পাচঁ শতাধিক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হয়েছে। সৈকতের ভাঙন রোধে তিনি দ্রুত প্রধান মন্ত্রির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী(কলাপাড়া সার্কেল)খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান জানান, ভাঙ্গনরোধের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০১৭ সনের ডিগ্রি (পাস) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স ১ম পর্ব ( ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) এবং অনার্স ২০১৮ সনের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স শেষ পর্ব ( ২০১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কলেজ খোলার পর নেয়া হবে।
সোমবার  এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাত কলেজের সমন্বয়ক ( ফোকাল পয়েন্ট) ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম অনুযায়ী, ফলাফল প্রকাশ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ভর্তি হওয়ার নিয়ম থাকলেও করোনার এই সময়ে নিয়ম শিথিল হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে টেনশন না করার জন্যও জানিয়েছেন তারা।

এসব প্রসঙ্গে প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার এবং প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। গত সেশনে শর্ত সাপেক্ষে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্যদের সুযোগ দেয়া হলেও এবার আর মাস্টার্সে শর্ত সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ থাকছে না।

তারা আরো বলেন, যারা অকৃতকার্য হবে তাদের পরবর্তী সেশনের সঙ্গে মাস্টার্সে ভর্তি হতে হবে। আর সাত কলেজের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা যেহেতু কলেজ পরিবর্তন করতে চাচ্ছে আমরা এ বিষয়টা বিবেচনা করে দেখব।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram