সোমবার, ২০শে মে ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

গ্রেফতারের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নুরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে’।

এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ঢাবি ছাত্রীর করা ধর্ষণের মামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানেই পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।

এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তারা যে সমাবেশ করছিল সে সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। সে হামলার ঘটনায় একটা মামলা করা হবে। সে মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ডিবি কার্যালয়ে। এরপর তাকে আদালতে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এর আগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক।।
এদিকে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদী শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন।

নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশের শীর্ষ কওমি আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর নতুন নেতা নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন কওমি মতাদর্শীরা। হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে ফের দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের ফাটল স্পষ্ট হলেও আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন কওমি মতাদর্শীরা। অনেকের ধারণা, আল্লামা শফীর মৃত্যু পরবর্তী নেতা নির্বাচন নিয়ে কওমিদের কোন্দল আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কওমি নেতা বলেন, ‘এতদিন কওমি সমাজে আল্লামা আহমদ শফী ও তাঁর অনুসারীদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য থাকলেও তাঁর মৃত্যুর পরপরই পাল্টে যাচ্ছে সেই চিত্র। আল্লামা শফীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালনায় কিছু পরিবর্তন এনেছেন শূরা সদস্যরা। এতে কর্তৃত্ব বেড়েছে জুনায়েদ বাবুনগরী ও তাঁর অনুসারীদের। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীরা চাইবেন দ্রুততার সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম, বেফাকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিতে। তবে আল্লামা শফীর দীর্ঘদিনের বলয়ে ফাটল ধরাতে কষ্টকর হবে বাবুনগরী ও তাঁর অনুসারীদের। কওমি সমাজে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কওমিদের কোন্দল মারাত্মক আকার ধারণ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’ জানা যায়, দেশের শীর্ষ কওমি আলেম আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর কওমি সমাজে নেতৃত্ব সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

আল্লামা শফী শুধু হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক নন, সর্বোচ্চ কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল অ্যারাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক), দাওরায়ে হাদিসের সরকারি স্বীকৃতি নেওয়ার জন্য গঠিত শিক্ষা বোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমিরসহ আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। আল্লামা শফী পরবর্তী এসব পদে আসতে এরই মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে কওমি শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। আল্লামা শফীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাটহাজারী মাদ্রাসার শূরা সদস্যরা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে পাঁচজন শূরা সদস্যকে নতুন করে নিয়োগ দান ছাড়াও মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে। এতে করে মাদ্রাসায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। আল্লামা আহমদ শফী পরবর্তী আমির নির্বাচনেও দ্রুত বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

বর্তমান হেফাজতে ইসলামের কমিটিতে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বলে আভাস মিলছে। এ ছাড়া বেফাক, হাইয়াতুল উলইয়াসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এরই মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন কওমি শীর্ষ নেতারা। একাধিক কওমি নেতা বলেন, এতদিন একক হাতে হেফাজতে ইসলাম, বেফাক ও হাইয়াতুল উলইয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন আল্লামা শফী। তাই সব কমিটিতে তাঁর অনুসারীদের শক্তশালী বলয় রয়েছে। আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর অন্যরা চাইবে সেসব সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নিতে। যদিও এটা তাদের জন্য সহজ কাজ হবে না।

বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতির (বাপাজস) কার্যনির্বাহী পরিষদের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. আবুল কাসেম শিখদারকে সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাপাজস-এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী ২ বছর মেয়াদি গঠিত এ কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি মাহমুদ আলম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও আহমেদ সুমন (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুল আলম (শিবলী) (মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), কোষাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর কবীর (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বশিরুল ইসলাম (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), দপ্তর সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন (বাবু) (পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), সেমিনার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক খলিলুর রহমান (চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়), প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আল-আমিন খান (বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার হোসাইন (রাজু) (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এহতেরামুল হক (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়), ক্রীড়া সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম (চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (শিমুল) (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়), কার্যকরী সদস্য মো. আনিসুর রহমান (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. ফয়জুল করিম (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), মো. আতাউল হক (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়), দিবাকর বড়ুয়া (চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), মো. গোলাম মুরতুজা (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), মাহবুব আলম (বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ও মো. তরিকুল ইসলাম রুবেল (পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পেশাগত সংগঠন হচ্ছে ‘বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতি (বাপাজস)’।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সমিতির নির্বাচনী সাধারণ সভা অনলাইন মাধ্যম জুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সমিতির নব গঠিত ২১ সদস্যবিশিষ্ট অবকাঠামো অনুমোদনসহ সর্বসম্মতিক্রমে ২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

নিউজ ডেস্ক।।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের শপথ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে।

সোমবার পিএসসির একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইনকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পিএসসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় সরকার।
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। মোহাম্মদ সাদিকের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সোহরাব হোসাইন।

সোহরাব হোসাইনের নিয়োগের আদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোহরাব হোসাইনকে তার অভোগকৃত অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে জনস্বার্থে পিএসসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদে বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া- এর মধ্যে যা আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে দায়িত্বে থাকাবস্থায় ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অবসরোত্তর ছুটিতে যান।

২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর সোহরাব হোসাইনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেয় সরকার। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সৃজন করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পান সোহরাব হোসাইন। শিক্ষা সচিব হিসেবে যোগদানের আগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সোহরাব।

১৯৮৪ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সোহরাব হোসাইন এর আগে জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিববের দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র সোহরাব হোসাইন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম দফার আমলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের একান্ত সচিবের (পিএস) দায়িত্বে ছিলেন।

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক দল ও নাট্যচক্রের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।

সোহরাব হোসাইন ১৯৬১ সালে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম ওরফে আব্দুলের বয়স ১৯ বছর দেখিয়ে মহিষ চোরাচালান মামলার আসামি করায় হাইকোর্ট বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় মামলার বাদী সিলেটের জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৭ অক্টোবর তাঁকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শিশুসহ মামলার ১০ আসামিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ওই দিন ওই শিশুকেও আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রবিবার এ আদেশ দেন। আদালতে আব্দুলসহ জামিন প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আবিদুল ইসলাম ওরফে আব্দুল জানায়, সে ব্র্যাক পরিচালিত ‘শিখন স্কুল’ এর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা, ভাই-বোন, ভাবিসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর জানান, জৈন্তাপুরের খিলাতৈল এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল বেপারী বৈধভাবেই ২০টি মহিষ কিনে বাড়ি আনেন। কিন্তু বিজিবি সদস্যরা গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই মহিষগুলো আটক করে নিয়ে যান।

নিউজ ডেস্ক।।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব মো. ইলিয়াস ভূইয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ইলিয়াস ভূইয়া বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের নবম ব্যাচের কর্মকর্তা।পিআইবির সহযোগী সম্পাদক (প্রকাশনা ও ফিচার) ফায়জুল হক বলেন, আমরা যতটা জেনেছি তিনি মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিলেন। তিনি পেছনে বসা ছিলেন। ফেরার পথে শনির আখড়া ব্রিজের ঢালে ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পুলিশ তার লাশ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।

সোমবার দুপুর নাগাদ ইলিয়াস হোসেনের লাশ পিআইবিতে আনা হবে। এরপর আল-মারকাজুল ইসলামে গোসল থেকে তার লাশ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদ নগরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান ফায়জুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে প্রায় আট মাস আগে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হন সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষক। যদিও তাদের দাবি ছিল ১১তম গ্রেড। ১৩তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা হলেও শিক্ষকরা এখনও সেই আগের বেতনই পাচ্ছেন। কারণ, তাদের বেতনভাতা এখনও ১৩তম গ্রেডে ফিক্সেশন (নির্ধারণ) হয়নি। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সফটওয়্যার 'আইবাস'-এ কারিগরি জটিলতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা যায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন সমকালকে বলেন, সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। সহকারী শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশন যাতে দ্রুত হয়, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ১৩তম গ্রেডের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ করলে আইবাস সফটওয়্যার তার সিস্টেমে ইনপুট নেয়। কিন্তু ১৩তম গ্রেডের উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণ করলে আইবাসের সিস্টেম কোনো ইনপুট নিচ্ছে না। অথচ নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন কমে যাচ্ছে। এ কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চ ধাপেই এই শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে এর আগে জানিয়ে দিয়েছে।

বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক কর্মরত। তাদের ৬০ শতাংশই নারী। জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৩তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে এই গ্রেডের সুবিধাপ্রাপ্তি নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। কারণ, চিরায়ত নিয়মে বেতন নিম্ন ধাপে নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন বর্তমানের চেয়ে কমে যাচ্ছিল।

সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবের হস্তক্ষেপে ১৩তম গ্রেডের উচ্চ ধাপে বেতন ফিক্সেশন করায় সে জটিলতার সমাধান হলেও এবার নতুন করে সংকট তৈরি করেছে আইবাস সফটওয়্যার।

জানা যায়, সারাদেশের মাঠ পর্যায়ে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডের উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণের জন্য উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করেন। হিসাবরক্ষণ অফিস আইবাসে বেতন নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে। সিস্টেম থেকে বারবার নোটিফিকেশন আসছে- 'উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণ এই পদের জন্য প্রযোজ্য নয়।' মাঠ পর্যায়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা বলেন, এ বিষয়ে তাদের করণীয় কিছু নেই, যতক্ষণ না আইবাসে উচ্চ ধাপের বেতন নির্ধারণের সিস্টেম এন্ট্রি না করা হয়। কয়েকজন শিক্ষক সমকালকে বলেন, তারা দীর্ঘ আন্দোলন করে ১৩তম গ্রেড অর্জন করেছেন, কিন্তু তা বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা হওয়ায় শিক্ষকদের মনোবল ভেঙে পড়ছে। তারা এখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে চেয়ে আছেন, কবে আইবাসের সিস্টেম ঠিক করা হয়।

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান সমকালকে বলেন, ১৩তম গ্রেডে উচ্চ ধাপে ফিক্সেশনের জন্য উপজেলার কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়েছিলাম। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জানালেন, আইবাস সফটওয়্যারে সহকারী শিক্ষকদের উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বেতন ফিক্সেশন সম্ভব নয়।

নোয়াখালী জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর নেসার আহমেদ জানান, ১৩তম গ্রেডে ফিক্সেশনের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য জেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা তাদের অফিসে গিয়েছিলেন। তিনি আইবাসের সফটওয়্যার চেক করে দেখেছেন। সফটওয়্যারে পিপি ছাড়া উচ্চ ধাপে ফিক্সেশনের কোনো সিস্টেম নেই। 'নিম্নধাপ + পিপি' আসে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সফটওয়্যারে এই এন্ট্রি পদ্ধতি পরিবর্তন করা ছাড়া তাদের পক্ষে শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশন শুরু করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ফিক্সেশনের কাজ শুরু হলেও অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ, প্রতিটি উপজেলায় হাজারের ওপর শিক্ষক রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের ফিক্সেশনের কাজ একজন একজন করে হিসাবরক্ষণ অফিসকেই করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সমকালকে বলেন, ১৩তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে প্রায় আট মাস আগে। নানা জটিলতার কারণে আজ পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশন করা সম্ভব হয়নি। আমরা চাই, দ্রুত এই সফটওয়্যারের সিস্টেম আপডেট করে শিক্ষকদের হয়রানি থেকে মুক্ত করা হোক। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এই শিক্ষক নেতা বলেন, বেতনভাতা দ্রুত ফিক্সেশন করতে ২০১৫ সালের মতো শিক্ষকদের নিজে নিজে আইবাসে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। হিসাবরক্ষণ অফিস শুধু ভেরিফাই করে দেবে। তাহলে অল্প সময়ে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকেরই বেতন ফিক্সেশন করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, আগে শিক্ষকদের বেতন উন্নীত স্কেলের নিম্ন ধাপে ফিক্সেশন হতো। এতে বেশির ভাগ শিক্ষকের মূল বেতন কমে যেত। এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষক সংগঠনগুলোর দাবির মুখে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উচ্চ ধাপে ফিক্সেশনের নির্দেশনা আসে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার করা আইবাস সফটওয়্যারে উচ্চ ধাপে ফিক্সেশনের সিস্টেম সংযুক্ত না করায় বেতন ফিক্সেশন আটকে গেছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (সদ্য অবসরে যাওয়া) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ কয়েক দিন আগে সমকালকে বলেন, আইবাসের ইনপুট সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মহাপরিচালক আরও বলেন, সিস্টেম পরিবর্তন করতে কিছু প্রক্রিয়াগত বিষয় রয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজটি করা সম্ভব হবে।সুত্র সমকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সর্বশেষ লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। দলটাও বেশ গোছানো। বার্সার মতো 'ছন্নছাড়া' নয়। 'নতুন' শুরু নয়। ক্লাবেও নেই কোন 'অস্বস্তি'। নতুন মৌসুমে পরিষ্কার ফেবারিটের তকমা নিয়ে তাই শুরু করেছে রিয়াল। কিন্তু ফল প্রত্যাশার সঙ্গে মেলাতে পারেনি তারা।

মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পয়েন্ট হারিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে গোল শূন্য সমতায় মাঠ ছেড়েছেন করিম বেনজেমারা। পাঁচ বছর পরে জিনেদিন জিদানের দল লিগ মৌসুমের শুরুর ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে শুরু করেছে।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল করার দারুণ কটা সুযোগ পায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমে সের্গিও রামোসের দারুণ শট আটকে যায় সোসিয়েদাদ ফুটবলারের শরীরে। হ্যান্ড বল তথা পেনাল্টির আবেদন করলেও অনিচ্ছাকৃত হওয়ায় তা নাকচ করে দেন রেফারি। এরপর প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির আগে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা হারান করিম বেনজেমা।

দ্বিতীয়ার্ধেও রিয়াল সুযোগ পায়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। সুযোগ নিতে পারেনি রিয়াল সোসিয়েদাদও। দারুণ তিনটি সুযোগ পেয়েছে তারা। গোল দিয়ে এগিয়ে যেতেই পারতো। দুটি লস ব্লাঙ্কোস গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ফিরিয়েছেন। একটি তারা গোল পোস্টের বাইরে মেরেছেন।

রিয়াল মাদ্রিদ মৌসুম শুরুর ম্যাচে নিয়েছে বড় এক সিদ্ধান্ত। কাসেমিরোকে বেঞ্চে রেখে মার্টিন ওডেগার্ডকে দিয়ে প্রথম একাদশ সাজান তিনি। গত মৌসুমে কাসেমিরো ছিলেন না এমন তিন ম্যাচের মাত্র একটিতে জিততে পেরেছিল রিয়াল। এ ম্যাচটাও শেষ হলো সমতায়। এছাড়া প্রথম ম্যাচেই রিয়ালের রাইট উইঙ্গের বড় ফাঁকা চোখে পড়ার মতো। বেল-রদ্রিগেজ দু'জনই দল ছেড়েছেন। কিন্তু রদ্রিগো গোয়েস এখনও প্রস্তুন নন ওই প্রান্তের জন্য।

মোয়াজ্জেম হোসেন,পটুয়াখালী থেকে।।

গুগোল ফর্মস ও গুগোল ক্লাসরুম বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সর্বশেষ এবং তৃতীয় ব্যাচ সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম অনলাইন স্কুল এবং এটুআই-এর আয়োজনে ১৯ এবং ২০ সেপ্টেম্বর বিকাল তিনটা থেকে শুরু করে রাত ৮ টা পর্যন্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ফারুক আহমেদ পিডিপি-৪ এর পরামর্শক। এতে সভাপতি হিসেবে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন নয়টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পিডি রায়হানা তসলিম। রবিবার রাতে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষনার্থীদের সামনে বক্তব্য প্রদান করেন ডঃ মোহাম্মদ দিদারুল আলম, প্রকল্প পরিচালক ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজেবিলিটি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কালাম ফেরদৌসী শান্তা, সহকারী শিক্ষক চরদ্বীপ সিকদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এর সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন এ,জে,এম শরীফ হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) চট্টগ্রাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন মোঃ রফিকুল ইসলাম সুজন, এডুকেশন টেকনোলজি এক্সপার্ট (এটুআই),মোঃ কবির হোসাইন সহযোগী অধ্যাপক ও সংযুক্ত কর্মকর্তা (এটুআই), মোঃ সফিউদ্দিন (এপিএস) সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ইকবাল সহকারি অধ্যাপক হিসাববিজ্ঞান বিভাগ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ চট্টগ্রাম।

দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোঃ আকতার হোসাইন কুতুবি, সহযোগী অধ্যাপক(গণিত) সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম। এছাড়াও প্রশিক্ষক হিসেবে সহযোগিতা করেন তানজিলুল হোসাইন রাব্বি, অভিজিৎ সাহা, মো.ইকবাল লুৎফুন্নেসা খানম এবং রাসেল উদ্দিন।
উল্লেখ্য সর্বশেষ এবং তৃতীয় ব্যাচে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন স্তরের ১৬৪১ জন শিক্ষক আবেদন করেন এবং ২৮০ জন শিক্ষক এতে অংশ নেন। যার মধ্যে পটুয়াখালী জেলাধীন কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান প্রশিক্ষক আক্তার হোসেন কুতুবী বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি গুগোল ফর্মস এবং গুগল ক্লাসরুমে আপনারা যাতে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করতে পারেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষার্থীদের ই-মেইল দেওয়ার ব্যাপারে জানান তিনি। উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেয়ার ঘোষণার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য এমন ঘোষণা এলো।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রাণঘাতী করোনার ছোবলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেকটাই ওলটপালট। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা কার্যক্রম। তবে করোনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামী মাস থেকেই বিশেষ প্রকল্প ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ এর কাজ শুরু করতে চায় সরকার। ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার এ প্রকল্পের আওতায় অন্তত ২০ হাজার স্কুলে নেয়া হবে করোনার ফলে সৃষ্ট ক্ষতি সামাল দেয়ার উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়া থেকে শুরু করে উপজেলা থেকে বাছাই করা শিক্ষকদের দেয়া হবে প্রশিক্ষণ। শিক্ষা গ্রহনে তৈরি করা হবে নতুন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন শনিবার জনকণ্ঠকে বলেছেন, করোনার কারণে শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে বিশেষ এ প্রকল্পে। আগামী মাস থেকেই আমরা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চাই। সে লক্ষ্যেই আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা কমিশনে আমাদের প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটা একনেকেও পাসের প্রয়োজন পড়বে না। আশাকরি দ্রুতই আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মসূচী শুরু করতে পারব। এই প্রকল্পে ১৫ মিলিয়ন বা ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)।

জানা গেছে, করোনায় দেশের অন্তত চার কোটি শিক্ষার্থীর ক্ষতি পোষাতেই ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামের বিশেষ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের প্রায় পুরো টাকাই দিচ্ছে গ্লোবল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)। বাংলাদেশের পক্ষে সংস্থাটির কাছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন ২০ মিলিয়ন অর্থ চেয়ে আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর বিপরীতে ১৫ মিলিয়ন টাকা দিতে সম্মত হয় সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ছাড় করা হবে।

২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দুই বছর চলবে এই প্রকল্প। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্প অনুযায়ী নতুন শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ে ভর্তি, শিক্ষার্থী মূল্যায়নে (পরীক্ষা) ও লেখাপড়ার ক্ষতি পূরণে সহায়তা, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেবা দেয়া, বর্তমান ও ভবিষ্যত সঙ্কট মোকাবিলার জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, দূরশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং বিদ্যালয়ের সঙ্গে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম একীভূত করা হবে।

দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধের পরিস্থিতিতে কৌশল ও মানসম্মত কার্যপ্রণালি প্রণয়নে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা সেবা নিশ্চিত করা হবে প্রকল্পের মাধ্যমে। ২০ হাজার বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হবে প্রকল্পের মাধ্যমে। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিশেষ স্কিম।

প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কমকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবেলা এবং উত্তরণের জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ সঙ্কট মোকাবেলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে একীভূত দূরশিক্ষণ (টিভি, রেডিও ও অনলাইন) সহায়তা দেয়া।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য পূরণে ৩২ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সরকারী বিদ্যালয়ে পুনঃভর্তি (যারা চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল) নিশ্চিত করা হবে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৯০ হাজার ছাত্র ও ১৬ লাখ ৫০ হাজার ছাত্রী রয়েছে।

বিদ্যালয় ব্যবস্থার সঙ্গে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পুরোপুরি কার্যকর ও একীভূত করা হবে প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর পুরো শিক্ষাবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ ডিজিটাল কনটেন্টসমৃদ্ধ ৩৫টি বিষয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। দুর্গম এলাকার এক লাখ ৫০ হাজার শিশুকে শিক্ষা উপকরণ দেয়া হবে। স্কুল বন্ধ থাকায় ১৫ লাখ শিশু-শিক্ষার্থীকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে উত্তরণ ঘটাতে প্রচার চালানো হবে।

শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি, বিদ্যালয় বন্ধের কারণে শিক্ষার ক্ষতি পরিমাপ করতে তিন লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতি উপজেলা থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষককে বাছাই করে দেয়া হবে প্রশিক্ষণ।

করোনার সঙ্কটে যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তাদের আবার স্কুলে ভর্তিতে সহায়তা করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে (পরীক্ষা) ও লেখাপড়ার ক্ষতি পূরণে সহায়তা করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সেবা দেয়া হবে নতুন এ প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্প থেকেই সব কার্যক্রমের কারিগরি সহায়তা সেবা নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যালয় ব্যবস্থার জন্য মানসম্মত জরুরী পরিচালনা কার্যপ্রণালি তৈরি করা এবং শিখন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সরাসরি ইন্টারভেশন থেকে ৩ কোটি ৫৯ লাখ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। অসম পঠন-পাঠন সমস্যার সমাধান করাও হবে এই প্রকল্পের একটি কাজ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলছিলেন, স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যেসব নির্দেশনা তৈরি হয়েছে তা বাস্তবায়নে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। এতে সরকারের কোন অর্থ ব্যয় হবে না।

তিনি আরও জানান, প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর পুরো শিক্ষাবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ ডিজিটাল কনটেন্ট সমৃদ্ধ ৩৫টি বিষয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। শিশু-শিক্ষার্থীকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে উত্তরণ ঘটাতে প্রচার চালানো হবে। ২০ হাজার বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হবে প্রকল্পের মাধ্যমে। নতুন এ প্রকল্পটি দেশের জন্য খুবই জরুরী। আশাকরি দ্রুতই শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে আমরা কাজ শুরু করতে পারব।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ১ হাজার ৮০০ মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের আহমদিয়া করিমিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি মুহাম্মদ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থগিত থাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বক্তব্য দেন ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ও চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরী, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram