রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কোনো পোস্ট নীতিমালা ভেঙেছে প্রমাণিত হলে তা সাধারণত সরিয়ে ফেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পেয়ে আসছিলেন রাজনীতিবিদরা। ওই নিয়মটি কেবল সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্যই ছিল। তবে এখন থেকে রাজনীতিবিদরাও এর আওতায় আসছেন। প্রযুক্তিভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শুক্রবার ফেসবুকের নতুন নীতিমালার ঘোষণার কথা রয়েছে। রাজনীতিবিদদের মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সাংবাদিক, নীতিনির্ধারক এবং নিজস্ব কর্মীদের কাছ থেকে বরাবরই সমালোচিত হয়েছে ফেসবুক। সেসব সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে এই পরিবর্তন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় উগ্রপন্থীরা। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্ররোচনায় মার্কিন নির্বাচনের ফল পরিবর্তন করতে তারা হামলা চালান। এরপর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে তাকে ‘অনির্দিষ্টকালের’জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ঘটনার গুরুত্ব বিচারে স্বাধীন পর্যালোচনার জন্য ওভারসাইট বোর্ডের কাছে আবেদন করে ফেসবুক। পুনঃপর্যালোচনা শেষে ফেসবুকের আগের সিদ্ধান্তের পক্ষেই রায় দেয় সেই কমিটি। সঙ্গে নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে ওভারসাইট বোর্ড।

বোর্ড বলেছে, সব ব্যবহারকারীর জন্য একই নিয়ম থাকা উচিত। সেই সঙ্গে ফেসবুকের বিদ্যমান নীতিমালা, যেমন নিয়ম ভাঙলেও কখন পোস্ট সরানো হবে না, তা ব্যবহারকারীদের কাছে পরিষ্কার করতে হবে।

ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় শুরু থেকেই রাজনীতিবিদদের পোস্ট সেন্সর না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ভুয়া তথ্যের প্রসার রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাজনীতিবিদদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে এসেছে ফেসবুক। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গও বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদদের বক্তব্য মানুষের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেওয়া উচিত নয়।’

গত এপ্রিলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী রাজনীতিবিদেরা ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন, এমন প্রমাণ দিলেও বারবার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক।

রাজনীতিবিদদের পোস্টের সংবাদমূল্য বিবেচনায় তা মুছে না ফেলার যে নিয়ম আছে ফেসবুকে, তার সুযোগ নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যা তথ্য ছড়াতে দেখা গেছে তাদের। তবে ট্রাম্পের বেলায় সে নিয়ম মানা হয়নি বলে জানিয়েছে ফেসবুক। ওভারসাইট বোর্ডের সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, ক্ষতি কমানোর জন্য যখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তখন সংবাদমূল্য বিবেচনার নিয়মকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন-উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের গর্জনা গ্রামের সোহরাব আলী আকন্দ (৮৫) ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৭৫)।

তাদের ছেলে ঘাটাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, গত ২৮ মে তার মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

নমুনা পরীক্ষায় তাদের দুজনেরই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে মারা যান তার মা। এরপর রাত ১০টার দিকে তার বাবারও মৃত্যু হয়।আজ শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে গ্রামের সামাজিক গোরস্তানে তাদের দাফন করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘গভর্নমেন্ট কলেজ অব এ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স, আজিমপুর, ঢাকা’ রাখা হয়েছে।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি পেশাভিত্তিক মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহামা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহায়তায় ঢাকায় স্থাপিত হয়। বর্তমানে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধীভুক্ত একটি কলেজ। এই কলেজের কোর্সগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু নাছের বেগ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, আজিমপুর, ঢাকা-এর নাম পরিবর্তন করে ‘গভর্নমেন্ট কলেজ অব এ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স, আজিমপুর, ঢাকা’ নামে নামকরণে নির্দেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ছিনতাই হওয়া পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের ফোনের হদিস মিলছে না। কাফরুল ও তেজগাঁও থানার পুলিশেরা গত কয়েকদিন হন্যে হয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পুলিশের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা  জানান, বিষয়টা তাদের জন্য বিব্রতকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদরদপ্তর থেকে ফোন উদ্ধার হয়েছে কি না প্রতিদিন নিয়মিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

ওদিকে মন্ত্রী এমএ মান্নানের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রীর সার্বক্ষণিক সঙ্গী এমন ব্যক্তি জানান, স্যার এ নিয়ে হতাশ। ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা রকম বার্তা রয়েছে। প্রকাশ্যে এভাবে ফোন ছিনতাই হওয়ার পরেও কেন উদ্ধার হচ্ছে না তা নিয়ে মূলত স্যারের হতাশা। এদিকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের ফোন ছিনতাই করার ৫ মিনিটের মধ্যে সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়। যে আইফোনটি ছিনতাই হয়েছে সেটার লক বাংলাদেশে খোলা সম্ভব নয়। ওই ফোনের লক খুলতে হলে প্রতিবেশী ভারতে পাঠাতে হবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফোন ছিনতাইকারীদের শক্তিশালী একটি চক্র রয়েছে রাজধানীজুড়ে।

তারা একেক ব্র্যান্ডের ফোন ছিনতাই করে একেক সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে। স্যামস্যাং, সিম্ফনি, শাওমি, ভিভোসহ বেশকিছু ব্র্যান্ডের ফোন কেনার জন্য একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট আবার এলাকাভিত্তিক কাজ করে। অন্যদিকে আইফোন নেয়ার জন্য আলাদা সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা একটু উঁচু মানের সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত। ছিনতাইকারীরা এ ধরনের ফোনের বিনিময়ে তুলনামূলক বেশি অংকের টাকা পায়। আইফোন পাওয়ার পর ওই সিন্ডিকেট ভারতে পাচার করে দেয়।

সেখানে কান্ট্রি লক খোলার পর ব্যবহার করতে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা গত কয়েক দিন টানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফোনের হদিস করতে পারেনি। ফোনটি যদি এরইমধ্যে ভারতে চলে যায় তাহলে তা উদ্ধার করা সম্ভব নয়। কারণ কান্ট্রি লক খোলার পর সেখানে ভারতীয় মোবাইল কোম্পানির সিম ব্যবহার করা হবে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে সেহেতু ফোনটি এখনও দেশে রয়েছে বলে তাদের বিশ্বাস।

ফোনটি বন্ধ থাকায় ট্র্যাক করারও কোনো ধরনের সুযোগ নেই। তাই ছিনতাইকারি ও চোর চক্রকে ধরে তাদের কাছ থেকে ফোনের তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর বিজয় সরণি, তেজগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, কাফরুল এলাকার প্রায় ডজনখানেক চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে ধরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। স্থানীয় ছিনতাইকারী ও ছিঁচকে চোরের কেউ বলতে পারছে না মোবাইলের বিষয়টি। তাদের দাবি, তাদের কেউ ছিনতাই করেননি ফোনটি। তাদের নেটওয়ার্কেও পরিকল্পনামন্ত্রীর ফোন ছিনতাইয়ের তথ্য নেই।

সবমিলিয়ে ফোনটি উদ্ধারে ঘাম ঝরাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। আশপাশের এলাকার ক্যামেরাগুলো থেকে ছিনতাইয়ের সময়ের ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক কিছুই পায়নি পুলিশ। কাফরুল থানা পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যে চন্দ্রিমা উদ্যানের ভেতরের টোকাই, শেরেবাংলা মাঠ সংলগ্ন এলাকার টোকাই, আগারগাঁওসহ আশপাশের এলাকার স্থানীয় এবং সন্দেহভাজনদের থানায় আনা হয়েছিল।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মোবাইলের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিএম ফরিদুল আলম। গত রোববার (৩০শে মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে বিজয় সরণির সিগন্যালে জ্যামে আটকা পড়ে পরিকল্পনামন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ি। তখন গাড়ির গ্লাস খুলে মোবাইলে কথা বলছিলেন মন্ত্রী। এ সময় হঠাৎ এক ছিনতাইকারী ছোঁ মেরে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের ব্যক্তিগত সহকারী কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১লা জুন) একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী তার মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাটি বর্ণনা করেন। একজন সাংবাদিক একাধিকবার ফোন করলেও ফোন না ধরার কারণ জানাতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে মন্ত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাই হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। সাংবাদিকদের সঙ্গে গল্প করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় সরণিতে ছোঁ মেরে মোবাইল ফোনটা নিয়ে গেছে।

ছেলেটা (মন্ত্রীর ছেলে) আমেরিকা থেকে এক হাজার ডলার দিয়ে কিনে পাঠিয়েছে। এ সময় মন্ত্রীর গাড়ির গ্লাস খোলা ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোবাইলের আইএমই নম্বর দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের স্নাতক ও ডিগ্রির স্থগিত পরীক্ষা চলতি জুন মাস থেকেই শুরুর চেষ্টা চলছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অধিভুক্ত সাত কলেজে সমন্বয়কারী ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

আই কে সেলিম উল্লাহ জানান, চলমান লকডাউন শেষ হলে ১০ থেকে ১৫ দিনের নোটিশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অসমাপ্ত বিভিন্ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের ২য় বর্ষ অনার্স অনিয়মিত, মানোন্নয়ন ও বিশেষ (অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) ও ২০১৮ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ৩য় বর্ষ (নতুন সিলেবাস) অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এসব পরীক্ষা জুনেই শুরু হতে পারে।

এ ছাড়া মাস্টার্স ফাইনাল, প্রিলি, অনার্স ৩য়/১ম ও ২য় বর্ষের সব পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আই কে সেলিম

উল্লাহ খোন্দকার। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সাত কলেজের অধ্যক্ষরা শিগগিরই বৈঠকে বসবেন। এসব জন্য যারা এখনো ফরম ফিলাপ করতে পারেনি, তাদের আগামী ১০ জুন পর্যন্ত নতুন সময় দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী শেখ।।

বাংলা সাহিত্যের একজন নীতিবান লেখক ডাক্তার লুৎফর রহমান তার 'যুবক জীবন' গ্রন্থে লিখেছেন -"যুবক বয়সে কাজ নাই কর্ম নাই দিনরাত শুয়ে বসে থাকিলে মাথায় তরল চিন্তা ঢুকে। মাথায় তরল চিন্তা ঢুকেছে তো আর রক্ষা নাই।"
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের শিক্ষার্থীদের অবস্থা অনেকটা তাই। অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে আমরা এক ভয়ঙ্কর তথ্য পেয়েছি। গত একবছরে বিভিন্ন ভার্সিটি এবংমেডিকেলের ৪০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে। মাদকাসক্ত ও প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে নিজেদেরকে তিলে তিলে শেষ করেছে কতজন তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। এভাবে দিন যত গড়াবে ভয়াবহ অবস্থা তত বৃদ্ধি পাবে। তাই এদেরকে দ্রুত প্রতিষ্ঠান ফিরে আনতে হবে ও পড়ালেখাও পরীক্ষায় ব্যস্ত রাখতে হবে। দিন যাচ্ছে সেশন জট বাড়ছে চাকরি বয়স পার হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের পক্ষ থেকেও কিছু একটা করার চাপ বাড়ছে। ফলে হতাশা বাড়ছে, বাড়ছে অস্থিরতা চিন্তা, ঝুঁকছে নানা রকমের আসক্তিতে।
ক্ষতির বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-
১. যাদের শিক্ষার ক্ষতি হলেও সময়ের ক্ষতি হয়নি ।যেমন প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী বৃন্দ।
২. পড়ালেখার ক্ষতির পাশাপাশি সময়ের ও অর্থের ক্ষতি হয়েছে। যেমন দশম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীবৃন্দ। এদের কেউ কেউ টিউশনি করে জীবন-জীবিকা পরিচালনা করত।টিউশনি বন্ধ হয়ে গেছে।
হতাশা ও অস্থিরতার কারণে তারা নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের এই মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরছি-
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে হবে, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যস্ত রাখতে হবে তবে চাপে রাখা যাবে না।
২. সেশন জট দূর করার জন্য 5 বছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে, এজন্য নয় মাসে শিক্ষাবর্ষ নির্ধারণ করতে হবে।
৩. স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সকল শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি প্রদান করতে হবে যাতে তাদের আর্থিক চাপ না থাকে।
৪. স্নাতকোত্তর সকল শিক্ষার্থীকে পাশ করার পর এক বছর বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে।
৫. সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে হবে।
৬. মনোবিজ্ঞানীদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের কে কাউন্সেলিং করতে হবে।
৭. সংক্ষিপ্তভাবে দ্রুত পরীক্ষা নিতে হবে এবং দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দিতে হবে এবং স্বাভাবিক চলাফেরা সুযোগ করে দিতে হবে।
৯. সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
শিক্ষাকে যদি জাতির মেরুদন্ড ধরা হয় শিক্ষার্থীদের কে ধরতে হবে জাতির হৃদপিণ্ড।
মেরুদন্ড ছাড়াও কোন কোন প্রাণী বাঁচতে পারে কিন্তু হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে গেলে কোন প্রাণীই বাঁচতে পারে না। তাই আমাদের উচিত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া।

জেলা প্রতিবেদক, পাবনা।।

পাবনায় ফ্রি ফায়ার-পাবজি গেম খেলার জন্য মোবাইল ফোন না পেয়ে এক স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। সাঁথিয়া উপজেলার খান মাহমুদপুর গ্রামের সেলন ফকিরের ছেলে আসিফ (১৮) নামের এক যুবক ফ্রি ফায়ার, পাবজি গেম খেলার জন্য বাবার কাছে স্মার্টফোন চায়। বাবা ছেলেকে স্মার্টফোন কিনে দিতে অস্বীকার করায় সে ৩১ মে বিকেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসিফ তার পাশের গ্রামের বাসিন্দা। স¤প্রতি ওই যুবক ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম খেলার জন্য তার বাবাকে স্মার্টফোন কিনে দিতে বলেন। কিন্তু বাবা অর্থাভাবে কিনে দিতে পারেননি। এজন্য অভিমান করে সোমবার বিকেলে সে তার নিজ কক্ষের ডাবের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। স্বজনরা টের পেয়ে আসিফকে দ্রæত আড়া থেকে নামিয়ে সাঁথিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

নিউজ ডেস্ক।।

সরকারি বিধিনিষেধ শেষে ও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের স্থগিত হওয়া মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।

শুক্রবার (৪ জুন) সকালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনামুল কাদের খান বলেন, করোনা পরিস্থিতি যখন ঊর্ধ্বগামী ছিলো তখন প্রার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিলো। সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। তবে চলমান লকডাউন শেষ হওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বাংলাদেশ জার্নালকে তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এনামুল কাদের খান বলেন, ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তির উপর আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলো সেটি তুলে নেয়া হয়েছে। তবে আদালত যে রায় দিয়েছে সেটির কপি আমরা এখনো পাইনি। রায়ের কপি পাওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তির ফলের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর আগে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে যারা গত ৩১ মে রিট করেছেন তাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। এর ফলে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা কেটে যায়। ওইদিন হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে এনটিআরসিএর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন- অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।

নিউজ ডেস্ক।।

আসছে নতুন অর্থবছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ ব্যানারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। তাদের দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে কর আরোপের মাধ্যমে শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে।

তারা বলেন, ‘আমরা সরকারকে শিক্ষার উপর প্রস্তাবিত ভ্যাট প্রত্যাহার করতে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা। দাবিগুলো হলো:

১. প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫% কর বাতিল করতে হবে।

২. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসাব ইউজিসিকে খতিয়ে দেখতে হবে।

৩. দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন টিউশন ফি নীতিমালা প্রণয়ণ করতে হবে।

৪. সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৫. গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

৬. করোনাকালীন সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিতে প্রণোদনা প্রদান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সংগঠক মুক্ত রেজওয়ান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১০ এবং ২০১৫ সালে দেখেছেন, বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে সরকারের যে অযৌক্তিক ভ্যাট চাপানোর চেষ্টা তার বিরুদ্ধে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ সরব ছিলো। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পণ্যে রূপান্তর করার যে অপচেষ্টা, তা রুখে দিয়ে ২০১৫ সালে সরকারকে ভ্যাট প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলাম। এবারো পূর্বের মতোই আমরা বলতে চাই, শুধু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, যেখানেই শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার নূন্যতম চেষ্টা চলবে সেখানেই ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

তিনি আরো বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে। যদি তাই হয় তবে কিভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মালিকপক্ষ মুনাফা অর্জন করে ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী বলা চলে- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মালিকপক্ষ যে মুনাফা অর্জন করছে, তা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ।

তিনি বলেন, গতকালের (বৃহস্পতিবার) প্রস্তাবিত ১৫% করের মাধ্যমে সরকার ওই অবৈধ মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং অবৈধ মুনাফাকে বৈধ করার চেষ্টা করছে। কর আরোপের প্রস্তাবণা শিক্ষার্থীদের উপর বর্তালে কোনভাবেই ছাত্রসমাজ মেনে না।

‘এছাড়াও আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষাখাতে প্রস্তাবিত বাজেট বিগত বাজেটের মোট জিডিপির তুলনায় ০.০৩৬% কমেছে। এই বাজেট কোনভাবেই শিক্ষাবান্ধব বাজেট হতে পারে না। আমরা শিক্ষাখাতে মোট জিডিপির ৮ ভাগ দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী শাওন বিশ্বাস, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অপূর্ব, সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাজাহান শান্ত, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান শুভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী প্রিতম ফকির।

নিউজ ডেস্ক।।

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বন্ধের শঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে মালিকদের সংগঠন ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি’। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ আয়কর আরোপ করায় অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক এবং ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়কর আরোপ করা আইনসিদ্ধ হয়নি বলে মনে করছে সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, করোনা দুর্যোগে অর্থ সংকটে পতিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ক্যাম্পাস ভাড়া পরিশোধ করা অনেক ক্ষেত্রেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একমাত্র অর্থপ্রাপ্তির উৎস শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না।

এইচএসসি পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় কারণে শিক্ষার্থী সংকটও দেখা দিয়েছে। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও টিউশন ফির ওপর ছাড় দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এমন সংকটকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ করা হলে অনুমোদিত নতুনসহ অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এসব কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে প্রার্থিত প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে সরকার সহায়তার হাত প্রসারিত করবে বলে আশা করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

মালিকদের সমিতি বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা প্রসারের অন্যতম অংশীদার ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়’ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহল এবং শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত। ট্রাস্ট আইন ১৮৮২ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান করযোগ্য নয়।

কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে ট্রাস্ট আইনে অলাভজনক হিসেবে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একই আওতায় সমভাবে আয়কর আরোপের প্রস্তাবনা আইনের পরিপন্থী এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার শিক্ষাখাতে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার সব স্তরে বিপুল অংকের ভর্তুকি ও অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জাতীয় বাজেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র খরচে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সুযোগ পায়।

অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কোনো প্রকার সরকারি বরাদ্দ বা অনুদান না পাওয়ায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভর করতে হয়। একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সরকার যেখানে মেধা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষার সর্বস্তরে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিয়ে থাকে, সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওপর করারোপ করা হলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে তা ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

সরকারের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার ব্যাপক প্রসার তথা শিক্ষিত জাতি গঠনের লক্ষ্যে দেশের শিক্ষানুরাগী- উদ্যোক্তারা ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থলগ্নির মাধ্যমে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

বর্তমানে দেশে ১০৭টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী একসঙ্গে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমার পাশাপাশি মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও মেধা পাচার রোধ করা সম্ভব হয়েছে। অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য বাংলাদেশে আসছে।

দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী তৈরিসহ বিশাল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ট্রাস্টের অধীন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ট্যাক্স-ভ্যাট প্রযোজ্য নয় বিধায় ইতোপূর্বে ২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হলে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তা রহিত করা হয়।

২০১০ সালে এসআরওর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর ধার্য করা হলে হাইকোর্ট কর্তৃক ট্রাস্ট আইনে পরিচালিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওপর কর আরোপের বিষয়টি স্থগিত করা হয়।

পৃথিবীর বহু দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ লাভজনক এবং অলাভজনক উভয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সেক্ষেত্রে লাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার যেমন রাজস্ব আদায় করে তেমনি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীন পরিচালিত অলাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আরোপ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক সঙ্কটে পড়বে, সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় বাড়ার কারণে উচ্চশিক্ষা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে এবং শিক্ষিত জাতি গঠনের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্য ব্যাহত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আগামী দিনের মানবসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদান তথা বিপুল সংখ্যক কর্মচারী-কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অস্তিত্ব রক্ষার বিবেচনায় বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কোনো প্রকার কর আরোপ না করার সুপারিশ করছি এবং করোনা দুর্যোগে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারিভাবে অনুদান-প্রণোদনা দেওয়ার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক।।

করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৮৭ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪৫৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৫১টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬০ লাখ ২১ হাজার ১৪৫টি। পরীক্ষার তুলনায় মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭৫৮ জনের।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৮ জন। নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৪ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯, চট্টগ্রামে ৬, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ৫, বরিশালে ১, সিলেটে ৩ এবং রংপুরে ৫ জন মারা গেছেন।

এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ৭৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ২০১ জন এবং নারী ৩ হাজার ৫৫৭ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৯ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৬, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ এবং ১০ বছরের কম বয়সী ১ জন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়

নিউজ ডেস্ক।।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগ বিনা টিকিটে ভ্রমণ করায় ৫০০ যাত্রীকে জরিমানা করে নামিয়ে দিলেন অভিযানকারী টিম। পাকশী বিভাগের রেলওয়ে সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) সাজেদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ওই ট্রেনে বিভিন্ন স্টেশন থেকে উঠা ৫৩ যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়াসহ জরিমানাও করা হয় এবং যারা স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেছেন তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের এসিও সাজেদুল ইসলাম বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালানো হয়।

এসিও সাজেদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু, মার্টিন জয় মণ্ডল, মোস্তাফিজ রানাসহ রেলওয়ে কর্মচারী-রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসিও সাজেদুল ইসলাম বাবু জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত ১৩টি স্টেশনে টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি।

এ সময় বিনাটিকেটে ট্রেনে চড়ার দায়ে ৫৩ যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়াবাবদ ২৩ হাজার জরিমানাবাবদ ১৫ হাজার সর্বমোট ৩৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়। তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে যাত্রীদের ট্রেন ভ্রমণ নিশ্চিতকল্পে অভিযান চলমান থাকবে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram