মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
চিলমারী উপজেলার দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের নিমিত্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সদ্য যোগদানকারী মাহবুবুর রহমান এর সাথে উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম ফেরদৌস, জেলা পরিষদ সদস রেজাউল করিম লিচু, চিলমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু, প্রেসক্লাব চিলমারী সভাপতি গোলাম মাহবুব, সাংবাদিক নাজমুল হুদা পারভেজ, এসএম নুরুল আমিন প্রমূখ।
সভায় উপজেলার সার্বিক কল্যাণে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন ইউএনও।

ইবি প্রতিনিধি।।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভিসির বাসভবনের সমানে অবস্থান কর্মসূচিতে সমবেত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিন নইলে গলায় দড়ি দিন’, ‘দাবি মোদের একটাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই’, ‘মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’, সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গলায় দড়ি দিয়ে প্রতিকী ফাঁস নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান করছি। বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। এতদিনে অনেকের গ্রাজুয়েশন শেষ করে পরিবারের হাল ধরার কথা। অথচ আমরা পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে আমাদের গলায় দড়ি দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এসময় দাবি না মানলে রাস্তা অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আগামী শনিবার ভিসি বরাবর শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান করবে বলে জানা গেছে। এর আগে গত সোমবার একই দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। গতকাল বুধবার (২৬ মে) শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আগামী ১৩ জুন থেকে পর্যায়ক্রমে স্কুল-কলেজ খোলার ইঙ্গিত দেন। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের শতভাগ শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে এসব স্কুল-কলেজ খুলে দিতে নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) মাউশির ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশিত হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানতে পারে, এমন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল কলেজ) আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরিভিত্তিতে খুলে দিতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংগ্রহ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট জেলার সমন্বিত তালিকা মাউশির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় এই আঘাত পূর্ববর্তী ও আঘাত পরবর্তী সময়ে উপদ্রুত এলাকায় অবস্থিত মাউশির আওতাধীন সব পর্যায়ের দপ্তর ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, ও কর্মচারীরা স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সব দপ্তর/প্রতিষ্ঠান প্রধান/নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক ও পরিচালকরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন।

ইয়াসের বিষয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট যেকোনো তথ্যের জন্য মাউশির নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ছক আকারে তথ্য সংগ্রহ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর তদন্তে নেমে এলএসডির সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি নামক (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদক জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ।

ডিবি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই মাদকের সন্ধান পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে মিন্টু রোডে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ফেসবুকে একটি গ্রুপ খোলা হয়। এই গ্রুপে প্রায় এক হাজার সদস্য রয়েছে। তারা সবাই ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি বেচাকেনা এবং সেবনের সঙ্গে জড়িত। এ অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মাদক এলএসডি

একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান হত্যার তদন্তে নেমে পুলিশ মাদকের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ করে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে বুধবার (২৬ মে) রাতে রাজধানী থেকে তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা দীর্ঘদিন ধরে সুইডেন থেকে আমদানি করে আনতো মাদক এলএসডি। টাকা অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন হয়। তাদের কাছ থেকে ২০০টি এলএসডি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

দেশে এলএসডি মাদক প্রথম জব্দ হয়েছে উল্লেখ করে ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় তার তিন বন্ধু এলএসডি সেবন করান। প্রতিক্রিয়া শুরু হলে একটি শর্ট পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান হাফিজুর। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) দ্রুত গেলে সেখান থেকে তিনি এক ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিজেই গলায় আঘাত করেন। এ কারণেই তিনি মারা যান বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

করোনার এই ক্রান্তিকালেও মহাকাশপ্রেমীদের জন্য গতকাল বুধবার ছিল একটি বিশেষ দিন। কারণ বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা ঘটে গেছে এদিন। হ্যাঁ, বিরলই বটে। গতকাল সন্ধ্যায় দেশের আকাশে দেখা গেছে সুপার ব্লাড মুন। রাজধানীবাসীও বিরল এ ঘটনার সাক্ষী হতে পারতেন, যদি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আকাশ মেঘলা না থাকত। এক্ষেত্রে পাবনাবাসী খুবই ভাগ্যবান। কারণ পাবনার রেলস্টেশন এলাকা থেকে ঠিকই ব্লাড মুন বা রক্তিম চাঁদের দেখা মিলেছে। এর আগে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণও হয়। কিন্তু আকাশে মেঘ থাকায় খালি চোখে তা দেখা যায়নি।

চন্দ্রগ্রহণের পর চাঁদ লালচে রঙ ধারণ করে, যা খুব অল্প সময়ের জন্য পাবনার আকাশে উঁকি দেয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকালের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে, শেষ হয় ৭টা ৫১ মিনিটে। এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এবং সুপার ব্লাড মুন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়া থেকে পরিষ্কার দেখা গেছে।

চন্দ্রগ্রহণটির গতিপথ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালফি দ্বীপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৯ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় আরও ৯ মিনিট পর। এর পর পূর্ণ গ্রহণ থেকে চাঁদ বেরিয়ে আসে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিটের দিকে। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যায়।

এ সময় পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসায় চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়েও বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, ২০২১ সালের অন্যান্য চন্দ্রগ্রহণের তুলনায় গতকালের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটিতে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসেছিল চাঁদ। এ সময় চাঁদের উজ্জ্বলতা ও আকার কেবল বাড়েই না, পাশাপাশি চাঁদের রঙ পরিবর্তন হয়ে লালচে দেখায়।

জানা গেছে, করোনার কারণে এবারের এ চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য কোনো শিবিরের আয়োজন করেনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করা একটি বড় অংশেরই মূল লক্ষ্য থাকে বিসিএস। কিন্তু করোনার কারণে আটকে আছে বিসিএস পরীক্ষা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে গত ৩১শে মার্চ পিএসসির অধীন সব পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ২৩শে মে থেকে ৪২তম (বিশেষ) বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাও স্থগিত করা হয়। ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার ফলাফলও আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। আটকে আছে সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষাগুলোও থেমে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় নিয়োগ বন্ধ রেখেছে বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় স্নাতক ডিগ্রিধারী লাখ লাখ শিক্ষিত যুবারা তাদের মূল লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়ছেন। চাকরির বাজার স্থবির থাকায় বেকার হয়ে বসে আছেন তারা। এমন প্রেক্ষাপটে পিএসসিসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বলে আসছে- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা ও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কবেই বা নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন লাখ লাখ চাকরি প্রার্থী।

করোনার কারণে গত ৩১শে মার্চ পিএসসির অধীন সকল পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে উদ্যোগ নেয়া সাড়ে ৪ হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়াও থেমে আছে। স্থগিত আছে ৪২তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষা। স্থগিত রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের লিখিত পরীক্ষা। আটকে আছে দশম গ্রেডের এ পদের লিখিত পরীক্ষাও। সম্প্রতি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেও করোনার কারণে স্থগিত করা হয় মৌখিক পরীক্ষা। ওদিকে ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার ফলাফলও আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। চাকরি প্রার্থীরা বলছেন, পরীক্ষা আটকে থাকলেও চাকরির বয়স ঠিকই তাদের কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। যদিও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে বয়সে ছাড় দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে সরকার

ওদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নিয়োগের দায়িত্বে থাকা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) সূত্রে জানা যায়, করোনা শুরুর পর থেকে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল। সংকট কাটাতে মাঝে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়। দুই একটি পরীক্ষা হলেও এখনো বেশিরভাগ পরীক্ষা স্থগিত আছে। জানা যায়, গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকের ১৮৮টি, রাষ্ট্রায়ত্ত ৭ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের ৭৭১টি, ৯ ব্যাংকের অফিসার জেনারেলের পদের দুই হাজার ৪৬টি এবং অফিসার ক্যাশের এক হাজার ৫১১টি পদে বিজ্ঞাপন দেয়া হলেও এখনো পরীক্ষার তারিখ দেয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর দেশের সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। করোনার কারণে গত বছর এ সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা লাখের ওপরে ছিল। এ ছাড়া করোনাকালে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। ফলে বেকারত্বের সংখ্যাও উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশে ২০১৫ সালে স্নাতক বেকারের হার ছিল ৩২ শতাংশ। ২০১৬ সালে এ হার বেড়ে ৩৯ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৪১ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ৪৩ শতাংশে পৌঁছে। ২০১৯ সালে এ হার বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ শতাংশে।

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব আরিফ হোসাইন খান বলেন, ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ডিপেন্ড করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। কারণ একবার সংক্রমণ বাড়ছে আবার কমছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা কবে হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সরকার থেকে যখন আমরা সবুজ সংকেত পাবো তখনই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে কিছুটা আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

তিনি বলেন, যেহেতু করোনা পরিস্থতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই সহসাই আমরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুরু করবো। এরমধ্যেও যেগুলো সম্ভব সেগুলোর কাজ করেছি। যেহেতু সংক্রমণ অনেকটা কমেছে। আমরা আশা করছি আরো কমবে। এরমধ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে পর্যায়ক্রমে সব স্থগিত পরীক্ষার তারিখ সহসাই জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থতিতে চাকরি প্রার্থীরা যেমনটা উদ্বিগ্ন, তেমনি আমাদের ওপরও চাপ আছে। বরং এই চাপটা আমরা তীব্রভাবে অনুভব করছি। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সব পরীক্ষা শুরু করার চেষ্টা করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রিট আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আটকে আছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের সাড়ে ৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া। সূত্রমতে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নিয়োগবিধিতে বলা আছে- উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের জন্য আবেদনের যোগ্যতা পুরকৌশলে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণির ডিপ্লোমা। একই যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পদে লোকবল নিয়োগের জন্য।

সব মিলিয়ে ৬২৭টি পদের জন্য দুই বছর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালে কয়েকজন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। এর মধ্যে সবগুলো পদের লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এলজিইডি’র ২৬৩ পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাও নেয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ না পাওয়ায় এসব পদেও লোক নিয়োগ দিতে পারছে না।

এতে ছয় হাজার ৬১৩ জন চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে গত ১৪ই জানুয়ারি পিএসসি এলজিইডিকে চিঠি দিয়ে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে রিট পিটিশনের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির অনুরোধ করেছে। সূত্র জানায়, এলজিইডি’র লিখিত পরীক্ষার পর পিএসসি প্রার্থীদের সব কাগজপত্র দেখে বিভিন্ন কারণে ১৬১ জনকে অযোগ্য ঘোষণা করে। এর মধ্যে ১১০ জনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় পুরকৌশলে ডিপ্লোমা না থাকার কথা বলে। তাদের মধ্যে ৮৬ জন গত বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। তারা দাবি করেন- তাদের ডিপ্লোমা পুরকৌশলের সমমানের। উচ্চ আদালত গত ২৮শে ডিসেম্বর আবেদনকারীদের কেন মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

রুলে সাত বিবাদীকে চলতি বছরের ২১শে জানুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার আগেই গত ১৫ই ডিসেম্বর থেকে পিএসসি এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। গত ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন দুই হাজার ২০৯ জন। এ বিষয়ে এলজিইডি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (এডমিন) শরীফ উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, এলজিইডি’র জন্য আমরা ২৬৩ জনের একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম।

সেখানে আমাদের নিয়োগ যোগ্যতা ছিল বিএসসি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এবং আমাদের নিয়োগ বিধিতে যেটা আছে সেটা হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন সিভিল। অর্থাৎ পুরকৌশলে অন্যূন ডিপ্লোমাধারীরাই এখানে আবেদন করতে পারবেন। যথারীতি আবেদন এবং লিখিত পরীক্ষা হয়। পরবর্তীতে ফলাফল বের হলে চূড়ান্তভাবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য যখন ডাকে তখন পিএসসি’র নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেয়।

যেখানে ১১০ জন প্রার্থীর নাম সিভিল ডিপ্লোমায় নেই। ফলে তাদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে পিএসসি। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে তারা একটি রিট পিটিশন করেন।

তারা জানান, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়নি এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই সুতরাং তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হোক। এভাবে পিএসসি’র সাতজনকে তারা বিবাদী করে রিট পিটিশন করেন। পরে পিএসসি স্থানীর সরকার বিভাগের সচিবকে জানায়, মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই যেন বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।

খায়রুল আলম বাঁধন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার প্রার্থীর ফলাফল আটকে রয়েছে। ফলে আমাদের পরিবারগুলো দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা দ্রুত এটার সমাধান চাচ্ছি এবং ফলাফল আশা করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরার সাত উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ওইসব গ্রাম।

এসব গ্রামের বিপুলসংখ্যক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ছয়টি উপজেলার কয়েকশত চিংড়ি ঘের ও ফসলী ক্ষেত। নষ্ট হয়েছে সুপেয় পানির পুকুরগুলো। পানির তোড়ে সাতক্ষীরার সঙ্গে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে না উঠলেও গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি নিয়ে বহু মানুষ বাড়ির নিকটবর্তী উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

বুধবার (২৬ মে) সকালে জোয়ারের চাপে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঝাপা গ্রামে বেড়িবাঁধের চারটি পয়েন্ট, পাতাখালির দুটি পয়েন্ট, রমজান নগরের দুটি পয়েন্ট, গাবুরার তিনটি পয়েন্ট, কৈখালির দুটি পয়েন্ট, ভেটখালি জামে মসজিদের সামনে একটি পয়েন্ট, বুড়িগোয়ালিনীর তিনটি পয়েন্ট ও নূরনগর ইউনিয়নের একটি পয়েন্ট সহ অন্তত ১৭টি স্থানে পানি বেড়িবাঁধ উপচে গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায় সয়লাব হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।

এদিকে কালিগঞ্জের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের জব্বারের মাছের ঘের সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলা হাসপাতাল, আব্দুস সামাদ স্মৃৃতি মাঠ, বাস টার্মিনাল সহ বেশ কয়েকটি গ্রামকাঁকশিয়ালী নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া কালীগঞ্জ সোহরাওয়ার্দী পার্কের পাশে কাঁকশিয়ালী নদীর পানি উপচে উপজেলা সদরের বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে।

উপজেলা পরিষদের কাছে যমুনা নদীর উপর নির্মিত স্লুইস গেটের পাটাতন বন্ধ থাকায় সেখান থেকে পানি উপচে নাজিমগঞ্জ বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। উপজেলার ঘোজাডাঙা এলাকায় কাঁকশিয়ালী নদীর বাঁধ উপচে উত্তর শ্রীপুর ও দক্ষিণ শ্রীপুরসহ তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ভাঙনের ফলে কপোতাক্ষের পানিতে আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চঘাট, হরিশখালি, চাকলা, রুইয়ার বিল, সুভদ্রকাটি, দিঘলারআইটসহ কয়েক পয়েন্টের বেড়িবাঁধ উপচে ও ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

এছাড়াও আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট ও বলাবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুরের রাজবংশীপাড়ায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধ উপচে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আশাশুনির দয়ারঘাট ও বলাবাড়িয়ায় খোলপেটুয়ানদীর বাঁধ উপচে পানি এলাকায় ঢুকে কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকছে।

এদিকে শ্যামনগরের গাবুরার জেলেখালি, নেবুবুনিয়া, চাঁদনীমুখা, গাগড়ামারি, পদ্মপুকুরের উত্তর ও দক্ষিণ পাতাখালি, কামালকাটি, ঝাঁপা ও সোনাখালিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম উপচে পড়া নদীর জোয়ারের পানিতে ভাসছে। গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা বালির বস্তা এবং মাটি ফেলে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে দেবহাটা উপজেলার ইছামতী নদীর কোমরপুর নামকস্থানে বেড়িবাঁধ উপচে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দহ মসজিদের পাশে ও তালা উপজেলার পাখিমারা বিলেটি আর এম এর বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্নস্থানে কালভার্ট ধ্বসে নদীর পানি ছড়িয়ে পড়েছে। শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেতু উপচে চুনা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকা। এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে গ্রামবাসী গবাদিপশু ও তাদের সহায়-সম্পদ নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছেন। সাতক্ষীরায় দিনভর বৃষ্টি হয়েছে সেইসাথে ঝড়ো হাওয়া ছিল প্রবল।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার নদীগুলোতে পানি বেড়েগাবুরা, বুড়িগোয়ালিনি, কৈখালী, পদ্মপুকুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বেড়িবাধ ভেঙে প্লাবিতহয়েছে। এছাড়া নদীর পানি বেড়ে বেড়ি ছাপিয়েও পানি প্রবেশ করেছে। কিছু মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। এছাড়া রাতে আবারো জোয়ারে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। সেকারণে পানিবন্দি মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চেয়ারম্যানগণ সক্রিয় রয়েছেন ভাটা নেমেযাওয়ার সাথে সাথে পানি বের করতে কাজ করবেন।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম মাছুদুল আলম,পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এড. আতাউর রহমান, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নপরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ মন্ডল, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কামেশ মোড়ল, কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখআঃ রহিমসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. ন. ম. আবুজরগিফারী বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে সরকারী সাহায্য হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়নে নগত ২৫ হাজার টাকাও ২ মে. টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা-৪ শ্যামনগরও কালীগঞ্জ (আংশিক) এর সাংসদ জিএম জগলুল হায়দার বলেন, এক বছর আগে আঘাত হানা আম্পানের ক্ষত শুকানোর আগেই আবারও ইয়াসের ছোবল মানুষকে নতুন করে বিপদে ফেলেছে। সকলে মিলে একসাথে কাজ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমে বলেছেন, তার কাছে শ্যামনগরের ১২টিপয়েন্টে ভাঙন ও বাঁধ উপচে এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর রয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ পানি নেমে যাওয়ার পরে নিরূপন করা সম্ভব হবে এবং ক্ষত দৃশ্যমান হবে বলে জানান তিনি। আপতত জেলার ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

নিউজ ডেস্ক।।

জনবল কাঠামো ২০২১ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের স্কেলভিত্তিক শতভাগ ঈদ বোনাস দেয়া ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে আগামী বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি।

বুধবার এসব দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আইএলও এবং ইউনেস্কোর পরামর্শ হলো, বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রাখা এবং বাজেটের মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা। কিন্তু এ পর্যন্ত সরকার শিক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ এবং মোট ব্যয়ের ১১.৬৯ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করেনি। সরকার যদি জিডিপির ৪ শতাংশ এবং মোট ব্যয়ের ১৫ শতাংশ টাকা আগামী তিনটি বাজেটে শিক্ষা খাতে খরচ করে, তাহলে অনায়াসেই এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে পারে।’

তিনি সরকারের প্রতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করে ঈদুল আজহার আগে শতভাগ বোনাস দেয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষার ৯৭ শতাংশ দায়িত্ব পালন করলেও তারা বাড়ি ভাড়া পাচ্ছে ১ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা পাচ্ছে ৫০০ টাকা। শিক্ষকরা ঈদ বোনাস পাচ্ছে ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ। তাদের বদলি, শিক্ষা কল্যাণ ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা এবং অবসর-কল্যাণ ভাতার ব্যবস্থাও নেই।

এছাড়া করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।

শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ড. মো. ইদ্রিস আলী, শেখ মো. জসিম উদ্দিন, আবু রায়হান, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান, ইউসুফ আলী মিয়া শামীম, আবুল বাশার, মোহাম্মদ মোস্তফা ভূঁইয়া, আফজালুর রশিদ, আবুল বাশার নাদিম, রাকিবুল হাসান রাসেল, মো. সাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মতিউর রহমান দুলাল, মো. মামুনুর রশিদ, ড. এইচ এম রবিউল ইসলাম, হারুন-রশিদ হাওলাদার, মো. আতিকুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান, ফজলুল হক ফকির, কামরুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন সরকার, আবুল হোসেন মিলন প্রশি, মঞ্জুরুল ইসলাম প্রশি, আব্দুল লতিফ হাওলাদার প্রশি, আব্দুল জব্বার, অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন, আবু-বকর সিদ্দিক, রতন কুমার দেবনাথ, মো. জাফর উল্লাহ, মো. ইসমাইল হোসেন, ফরিদ আহম্মেদ, মোস্তফা কামাল, নাজমুল হাসান, রুহুল আমিন সরকার, এস এম মহিব উল্লাহ মুজাহিদ, সামছুল আরেফিন, আতিকুর রহমান, ড. এ কে এম আমিনুল হক, তোফায়েল সরকার, মোখলেছুর রহমান লিটন, মনিরুল ইসলাম, মাহফুজুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, মাওলানা আহাদুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১০টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে ‘শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করে গত ঈদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে।

নিউজ ডেস্ক।।

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর অপরিসীম শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে বেগবান করেছে তা জাতিসঙ্ঘে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ।

জাতিসঙ্ঘ সদরদপ্তরে চলমান পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভার দ্বিতীয় দিনে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন এবং বহুমাত্রিক বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানো’ শীর্ষক এক থিমেটিক আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে প্রদত্ত বক্তব্যে এসকল কথা তুলে ধরেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত দূরদর্শী পদক্ষেপ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’- এর সাফল্য তুলে ধরে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ বলেন, ‘উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ বা রোল মডেল।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের জিডিপি শুধু ভারত বা পাকিস্তানকেই নয়, চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে কোভিড-১৯ মহামারির লকডাউনকালীন বাংলাদেশ দ্রুতই অনলাইন সরকার ব্যবস্থাপনা, অনলাইন শিক্ষা ও অনলাইন কর্মপরিবেশে নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পেরেছে।

একযুগ পূর্বের উদাহরণ টেনে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘সেসময় বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ০.৩ ভাগ। আজ ১২ বছর পরে দেশের ১১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ সুলভ ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে যা দেশের জনসংখ্যার ৭০ভাগ।

এই খাতে সাফল্যের পিছনে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ব্যাপক বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ কাজ করেছে মর্মে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকার তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণে বিগত কয়েক বছরে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব-ভিত্তিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক ক্যাবল সারাদেশে স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ৯০ভাগ এলাকা ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে; আমরা ফাইভ-জি চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি”। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ স্থাপন করেছে মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরফলে দেশের দূর্গম এলাকাসমূহ ও দীপাঞ্চল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

তিনি দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনায় নারী সহ ব্যাপক উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্রে প্রণয়নের মাধ্যমে ব্যাপক তথ্য-ব্যাংক সৃষ্টি, মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাতা পরিশোধ, ই-সরকার, ই-নথি, ই-জুডিশিয়ারি, টেলি ও অনলাইন স্বাস্থ্য সেবা, সরকারি দপ্তরসমূহের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা, জাতীয় হটলাইন স্থাপনসহ বাংলাদেশে নাগরিক জীবনধারার প্রতিটি স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের জনগণের সহজলভ্য প্রবেশাধিকারসহ এখাতে দেশের সামগ্রিক অর্জন ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য আইসিটি উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। সমৃদ্ধ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও দেশের অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে ইন্টারনেট সংযোগ, ই-গভর্ণনেন্স, ই-বিজিনেজ এর ব্যাপক প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন।

জাতিসঙ্ঘ পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভা গত ২৪ মে শুরু হয়েছে যা আগামী ২৮ মে শেষ হবে।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজ ডেস্ক।।

আগামী ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের এসসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২১ সালে এসএসএসি পরীক্ষার্থীরা ৬০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ৮৪ দিন ক্লাসের পর পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীরা যথাক্রমে ১৫০ দিন ও ১৮০ দিন ক্লাস করবে। তারপর পরীক্ষায় অংশ নেবে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পরিস্থিতি আছে মহামারির, তার সাথে সম্প্রতি ঈদযাত্রার কারণে কিছুটা সংক্রমণের হার বেড়েছে। কোনো কোনো জেলায় সংক্রমণের হার বেশ বেড়েছে। সে কারণে সবগুলো বিষয় বিবেচনা করেই ১২ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আশা করি অবস্থার উন্নতি হলে, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সব স্কুল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যেন প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারি, সে নির্দেশনা দেয়া আছে।’

নিউজ ডেস্ক।।

করোনা মহামারীর কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামি ১৩ জুন থেকে খুলে দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এর আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২৯ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১৩ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে গৃহিত হয়েছ। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না।

কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসজনিত বন্ধে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার বা শিক্ষণঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।

জানা গেছে, এর আগে সরকার করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং ভারতীয় ধরন নিয়ে উদ্বেগ থাকায় চলমান বিধিনিষেধ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খোলা পিছিয়ে ২৯ মে করা হয়েছিল।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram