শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

পদ্মা সেতু দেখে বাড়ি ফেরার পথে নড়াইল-মাওয়া-ঢাকা সড়কের ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের সবার বাড়ি নড়াইল শহরে। তারা হলেন- নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার জিএম নজরুল জমাদ্দারের ছেলে তুর্য জমাদ্দার (২২), গাজী আমিনুর রহমানের ছেলে গাজী রাউফুর রহিম (২৩) ও আলাদপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহীনুর রহমান সান (২৩)। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যায়ন করতেন।

নিহত রাউফুর রহিমের চাচা গাজী মাহফুজুর রহমান জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ৮ বন্ধু মিলে পাঁচটি মোটরসাইকেলে সোমবার দুপুরের পর পদ্মা সেতু দেখতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নড়াইল-মাওয়া-ঢাকা সড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দার পুকুরিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তারা পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই রাউফু ও তূর্য মারা যান। স্থানীয়রা গুরুতর আহত সানকে উদ্ধার করে প্রথমে মোকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সানও মারা যান।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মো. ওমর ফারুক তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়রা কেউ বলছেন মাইক্রোবাস, আবার কেউ বলছেন অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে সেই যানবাহন ও তার চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি

নিউজ ডেস্ক।।

বেসরকারি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ আর থাকছে না। এর পরিবর্তে হবে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদ। বেসরকারি শিক্ষকদের বিএড-এমএড ডিগ্রি উচ্চতর স্কেল হিসেবে গণ্য হবে না। এমন বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত নীতিমালায়। নাম পরিবর্তন হলেও বেতন স্কেল ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা আগের মতোই থাকবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবে না। এসব প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ থাকবে। তবে এ নীতিমালা জারির আগে যারা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন, তাদের পদবি বহাল থাকবে এবং বেতন স্কেল ও সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে। নীতিমালা জারির পর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক পদ নামে কোনো পদ থাকবে না।

এ পদটি জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে পরিবর্তিত হবে। জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং সহকারী অধ্যাপকের বেতন স্কেল ও আর্থিক সুবিধা একই রকম হবে। জানা গেছে, সংশোধিত নীতিমালায় বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে সহকারী অধ্যাপক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে ৫০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান রাখা হয়েছে। এখন থেকে ডিগ্রি কলেজে আট বছর চাকরিপূর্তিতে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত বিভিন্ন সূচকে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।

মাউশির মহাপরিচালক জানান, ডিগ্রি কলেজের এমপিওভুক্ত প্রভাষক পদে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে আট বছর সন্তোষজনক চাকরিপূর্তিতে প্যাটার্নভুক্ত প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপকের মোট পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত বিভিন্ন সূচকে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ০.৫ বা তার বেশি হলে পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যা গণনা করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে। এতে মোট পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না। অন্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরিপূর্তিতে বেতন স্কেলের নবম থেকে অষ্টম গ্রেড প্রাপ্য হবেন এবং পরবর্তীতে ছয় বছরের মধ্যে অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর সন্তোষজনক চাকরিপূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন।

মহাপরিচালক আরও বলেন, পদোন্নতি ব্যতীত সমগ্র চাকরিজীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড/টাইম স্কেল পাবেন না। সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবে শুধু ডিগ্রি কলেজে। উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হলে জ্যেষ্ঠ প্রভাষকদের পদবি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরিবর্তিত হবে এবং বেতন স্কেল ও চলমান আর্থিক সুবিধাদি আগের মতোই থাকবে।

বেসরকারি শিক্ষকরা বিএড ও এমএড ডিগ্রি অর্জন করলে তা উচ্চতর স্কেল হিসেবে গণনা করা হবে না। এই ডিগ্রি থাকা শিক্ষকদের বেতন স্কেল হবে ১০ম গ্রেড। তবে এমপিওভুক্তির সময় এই ডিগ্রি না থাকলে এক ধাপ নিচে বেতন ধার্য হবে। আর পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণসংক্রান্ত এই ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।

বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের জনবল কাঠামোয় শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিএড/এমএড বা সমমান ডিগ্রির জন্য প্রাপ্য স্কেল উচ্চতর গ্রেড হিসেবে বিবেচনা করায় বঞ্চিত হতেন শিক্ষকরা। নির্ধারিত দুটি স্কেলের একটি কমে যাচ্ছিল শিক্ষা ডিগ্রি অর্জনকে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে গণনা করায়। সংশোধিত নতুন নীতিমালায় এ সমস্যা থাকছে না। সুত্র আমাদের সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে শাহবাগ থানা। এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

সোমবার রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সচিবালয় থেকে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সচিবালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। একজন উপসচিব এ মামলা দায়ের করবেন।

কি বিষয়ে মামলা হবে জানতে চাইলে ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, মামলা না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। মামলা হলে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে

তবে প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ বলেন, সম্প্রতি রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট করছিলেন। যার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির রিপোর্ট ছিল। আমরা মনে করছি, এতে তিনি মন্ত্রণালয়ের আক্রোশের শিকার হয়ে থাকতে পারেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) এক হাজার ৪১৭ জনকে নতুন করে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আর উচ্চতর গ্রেডের সুপারিশ পেয়েছেন ৯৫৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী। নতুন এমপিও, সংশোধন, এরিয়ার, বিএড স্কেল এবং বদলি এমপিও সুপারিশসহ মোট সুপারিশ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯২১ স্কুলের এবং কলেজের ১ হাজার ৫২ জন শিক্ষক-কর্মচারী।

সোমবার (১৭ মে) ভার্চুয়াল এমপিও সভায় এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

সভায় বিভিন্ন স্কুলের মোট ১ হাজার ৬২ জন এবং কলেজের ৩৫৫ জন শিক্ষককে নতুন করে এমপিওভুক্তির সুপারিশ করা হয়। মোট সুপারিশ পান ১ হাজার ৪১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী।

সংশোধন এমপিওভুক্তির সুপারিশ পান স্কুলের ৯৩৩ জন এবং কলেজের ১২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী। মোট সুপারিশ পান ১ হাজার ৬২ জন। এছাড়া বদলি এমপিওভুক্তি সুপারিশ পান স্কুলের ১০ জন এবং কলেজের ৩১২ জন। এরিয়ার এমপিওভুক্তির সুপারিশ পান স্কুলের ২৯৯ জন এবং কলেজের ৯৫ জন। মোট সুপারিশ পান ৩৯৪ জন।

উচ্চতর গ্রেডের সুপারিশ পেয়েছেন স্কুলের ৬৭১ জন এবং কলেজের ২৮৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী মোট সুপারিশ পান ৯৪৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী। এছাড়া বিএড স্কেল পান স্কুলের ২৪৬ জন শিক্ষক।

নতুন এমপিও, সংশোধন, এরিয়ার, বিএড স্কেল এবং বদলি এমপিও সুপারিশসহ মোট ৪ হাজার ৯৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী সুপারিশ পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ৩ হাজার ৯২১ স্কুল এবং ১ হাজার ৫২ জন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন স্কুল ও কলেজের ৯৫৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের মধ্যে স্কুলের ৬৭১ জন এবং কলেজের ২৮৩ জন।

সোমবার (১৫ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিও কমিটির ভার্চুয়াল সভায় তাদের উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।

সভা সূত্রে জনা যায়, স্কুলের ৬৭১ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৪০ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪২ জন, কুমিল্লার ২২ জন, ঢাকা অঞ্চলের ১৩৮ জন, খুলনা অঞ্চলের ৭৪ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬৫, রাজশাহীর ১০৭ জন, রংপুরের ১৩৭ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ৪৬ জন।

অপরদিকে, উচ্চতর গ্রেড পাওয়া কলেজের ২৮৩ শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৫২ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৬ জন, কুমিল্লার ৪৫ জন, ঢাকা অঞ্চলের ৪৪ জন, খুলনা অঞ্চলের ২৮ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৪৩ জন, রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জন, রংপুর অঞ্চলের ২৯ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ৮ জন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সরকারের নির্দেশনা মেনে ঢাকাসহ সারা দেশের সব বাণিজ্য বিতান, শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

সোমবার (১৭ মে) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ মে থেকে ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্য দফতরের নীতিমালা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশাবলি পালন করে নিজে এবং ক্রেতাকে ঝুঁকিমুক্ত রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে পারবেন। তবে কেউ যদি তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখার অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘মাস্ক নাই সেবা নাই’-সহ সরকারি সব নিষেধাজ্ঞা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরবর্তী সরকারের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা শহরসহ সারা দেশের সব বাণিজ্য বিতান, শপিংমল খোলা থাকবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন   বলেন, সরকার আমাদের সুযোগ দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। এজন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এদিকে রোববার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৭ থেকে ২৩ মে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিধিনিষেধ চলাকালে লঞ্চ, ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ভেতরে বাস চলবে। দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’ হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। সবশেষ তা ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সম্প্রতি অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।

তিনি ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ডিবি উত্তর বিভাগে তার দায়িত্বাধীন এলাকার মধ্যে রয়েছে ডিবি তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা বিভাগ এলাকা। একইসঙ্গে তিনি ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন।
গত ২ মে ঢাকা তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হিসেবে দায়িত্বরত মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

এর আগে নারায়ণগঞ্জের এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আলোচিত হারুন অর রশীদকে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) শাখায় বদলি করা হয়। ২০২০ সালে ১৪ মে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একমাস আগে নারায়নগঞ্জের তৎকালীন এসপি আনিসুর রহমানকে প্রত্যাহার করে নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জের এসপি হিসেবে যোগদান করেন এবং ১১ মাস দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে এসপি হারুনকে ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট গাজীপুর জেলার এসপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় দফায় গাজীপুর সদর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ায় ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই বছরের ২১ এপ্রিল এসপি হারুন অর রশীদকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রত্যাহারের আদেশ তুলে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ওই বছর ৩ মে গাজীপুরের পুলিশ সুপার পদে হিসেবে পুনর্বহাল করে।

২০১৮ সালের ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে গাজীপুর থেকে ডিএমপিতে বদলি করা হয়েছিল।

এছাড়া, হারুন গাজীপুরে দায়িত্ব পালনের আগেও ডিএমপিতে দায়িত্বরত ছিলেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধীদলের হরতাল চলাকালে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে মারধরের ঘটনায় ঘটনায় আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।

দায়িত্ব পালনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের ফলে একাধিকবার পুলিশের সর্বোচ্চ বিপিএম ও পিপিএম পদক অর্জন করা হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স, এমএসএস, এলএলবি (জাবি) সম্পন্ন করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশে চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের চেয়ে ১৬৩ ডলার বেড়েছে। এ বছর মাথাপিছু আয় হয়েছে ২ হাজার ২২৭ ডলার, যা গত অর্থবছর (২০১৯-২০) ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য তুলে ধরেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী একটা বিষয় জানিয়েছেন, সেটা আমাদের ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে জড়িত। আমাদের ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের যে পরিসংখ্যান ছিল সেখানে (মাথাপিছু আয়) ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।'

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, 'গত অর্থবছরে জিডিপি ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি, এবার এটা হয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যদিও স্ট্যাটিসটিকস এখনও ফাইনাল হয়নি। অর্থ বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে একটা হিসাব দেওয়া হয়েছে।'

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'জিডিপিও বেড়েছে, মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বেড়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে হয় এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা (প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ৮১ টাকা ধরে)। এটা আমাদের অর্জন।'

তিনি আরও বলেন, ' আজকে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ছিল। সেজন্য ক্যাবিনেট থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এরকম সুন্দর একটি দিনে মাথাপিছু আয় বাড়ার বিষয়টি চমৎকার একটি বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন সবাই।'

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

তাহলে কি ন্যু ক্যাম্পে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন লিওনেল মেসি? সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচের আগেও আলোচনা হয়েছে এটা। লা লিগায় সেল্টার কাছে ২-১ গোলে হারার পর সেটা আরও বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনার শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়ায় মেসির ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনটি আরও বেশি উঠেছে। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচটি ন্যু ক্যাম্পে মেসির শেষ ম্যাচ খেলেছেন- এমনটা মনে করছেন না বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যান। ২২ মে এইবারের মাঠেই হয়তো বার্সেলোনার জার্সিতে মেসির শেষ ম্যাচ।

৩০ জুন বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে কোনো কথা বলেননি মেসি। গত বছর ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও চুক্তির মারপ্যাঁচে আটকে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত থেকে যান বার্সেলোনাতেই। কিন্তু চলতি মৌসুমে কাতালানরা শুধু কোপা দেল রে জেতায় স্প্যানিশ এ ক্লাবটিতে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বার্সেলোনা ক্লাব কর্তারা খুব করে চাইলেও নতুন চুক্তি করা নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই আর্জেন্টাইন তারকার।

সোমবার সেল্টার বিপক্ষে গোলটি ছিল এই মৌসুমে লিগে তার ৩০তম গোল। সর্বশেষ ১২ আসরে এ নিয়ে এক মৌসুমে করেছেন ৩০ বা তার চেয়ে বেশি গোল। পিচিচি ট্রফি জয়ের আরও কাছে চলে গেছেন তিনি। সেল্টা ম্যাচ দিয়ে মেসি করেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। লা লিগায় তিনশ ভিন্ন ম্যাচে করলেন অন্তত এক গোল। মেসির এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরও ধুঁকছে বার্সেলোনা। মেসি থাকা অবস্থায় দলের এই অবস্থা।

না থাকলে কী হবে? সেটা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না কোম্যান। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মেসির বার্সা থাকা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরও দিতে হয়েছে তাকে, 'মেসির ক্যাম্প ন্যু শেষ ম্যাচ ছিল কিনা? আশা করি না। আজও (সোমবার) সেল্টার বিপক্ষে ম্যাচে সে তার কার্যকারিতা দেখিয়েছে এবং সে এখনও বিশ্বসেরা। তাকে ছাড়া খেলা অসম্ভব। লিও একাই খেলছে, ম্যাচ জেতাচ্ছে, পয়েন্ট এনে দিচ্ছে। আমাদের আরও কয়েকজন গোল করা খেলোয়াড়ের প্রয়োজন।

লিও ৩০ গোল করেছে এবং আমাদের অনেক পয়েন্ট এনে দিয়েছে। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নটা তাকেই করতে হবে। আমার ও ক্লাবের দিক থেকে আশা করি সে এখানেই থাকবে। কারণ যদি লিও না থাকে, আমাদের জানা নেই গোলগুলো কে করবে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভারতের একটি রিয়েলিটি মিউজিক শো থেকে উঠে আসা সঙ্গীত শিল্পী নোবেল একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এই শিল্পীকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা থামছেই না। সোমবার নতুন করে আরও এক বিতর্কের জন্ম দিলেন।

সময় টিভির বিনোদন প্রতিবেদক আল কাছিরকে অপহরণের হুমকি দিয়েছেন তিনি। ফলে বিতর্কিত গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সাংবাদিক। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়। জিডি নম্বর ৭০৩।

সাধারণ ওই ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, দেশের স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় নিজের ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়েছেন নোবেল। সম্প্রতি নগরবাউল জেমস, জনপ্রিয় সুরকার ইথুন বাবু এবং সঙ্গীতশিল্পী তাপসকে নিয়েও কূরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সবশেষ নোবেল তার ফেসুবকে নিজের মৃত্যু তারিখ ঘোষণা করে স্ট্যাটাস দেন। পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে সময় টিভির প্রতিবেদক আল কাছির বিষয়টি নিয়ে নোবেলের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন।

রোববার (১৬ মে) দিবাগত রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটে নোবেলের ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন করেন তিনি। পরিচয় পাওয়ার পর নোবেল অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ফোন কেটে দেন। তারপর ১২টা ৪৮ মিনিটে নোবেল নিজেই প্রতিবেদক কাছিরকে ফোন করে অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং তাকে জেলে নেয়ার হুমকি দেন।

এদিকে সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বাংলাদেশ পুলিশে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) পদে চার কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- ঢাকার অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. দিদার আহমেদ, ঢাকা নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের ডিআইজি মো. খুরশীদ হোসেন এবং বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বড় অংকের জরিমানা ও ফৌজদারি মামলার বিধান রেখে ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২১’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত ব্যাংক কোম্পানিসমূহের কার্যক্রম ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’-এর আওতায় পরিচালিত হয়। ব্যাংকসমূহের মোট সংখ্যা, মোট সম্পদ, আমানত, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওই আইন সবকিছু কাভার করছিল না।

‘সেজন্য ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা, তদারকি, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন এবং স্থিতিশীলতার জন্য এই আইনটি করা প্রয়োজন ছিল। সেজন্য এই সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই আলোকে বিভিন্ন দেশের ব্যাংক কোম্পানি আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আইনের সংশোধনী খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।’

খসড়া আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, যদি ব্যাংকের পরিচালকরা বা যেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাকে বড় জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি ক্রিমিনাল প্রসিডিংও (ফৌজদারি মামলা) তার বিরুদ্ধে চলছে। এটা আজকের মিটিংয়ে বিশেষভাবে ইন্ট্রুডিউজ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কারো এক কোটি টাকা জরিমানা হলে সে জরিমানা দিয়ে বেঁচে যেতে পারে, সে যদি ১০ বা ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে থাকে। সেজন্য প্যানাল কোডের আইনও তার জন্য প্রযোজ্য হবে। তার যে জরিমানা হলো, সেটা ক্রিমিনাল প্রসিডিংয়ের জন্য কোনো বাধা হবে না।

খসড়ায় বিষয়টি আগে ক্লিয়ার ছিল না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো জিনিস রয়েছে, তা হলো- ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংজ্ঞা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই জিনিসটি আগের আইনে অতটা ক্লিয়ার ছিল না। যেহেতু ১৯৯১ সালের কন্টেস্টে আইনটি করা হয়েছিল। নতুন আইনে সেটা পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram