মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা অনলাইনে এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড) বিক্রি করতো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্তীর মৃত্যু হয় গত ১৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সে সময় তার পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এর সপ্তাহ খানেক পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ শনাক্ত করা হয়।

এরই মধ্যে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ওই শিক্ষার্থীর গলা দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। ভিডিওর শেষভাগে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি রিকশায় উঠতে দেখা যায় তাকে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, ওই শিক্ষার্থী বন্ধুদের সাথে মাদক এলএসডি সেবন করে একজন ডাব বিক্রেতার দা নিয়ে নিজেই নিজের গলায় আঘাত করেন।

পুলিশের সন্দেহ, এলএসডি’র প্রভাবেই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজেকে এভাবে আঘাত করেছিলেন।

এরকম ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, মানুষের জন্য এলএসডি কতটা ক্ষতিকর?

এলএসডি কী?

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনস্থ মাদক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ড্রাগ অ্যাবিউজের তথ্য অনুযায়ী, ডি-লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড বা এলএসডি রাসায়নিক সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি একটি পদার্থ যা রাই এবং বিভিন্ন ধরনের শস্যের গায়ে জন্মানো এক বিশেষ ধরনের ছত্রাকের শরীরের লাইসার্জিক অ্যাসিড থেকে তৈরি করা হয়।

এটি স্বচ্ছ, গন্ধহীন একটি পদার্থ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে এটি পাউডার, তরল, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের আকারে পাওয়া যায়।

এলএসডি-কে ‘সাইকাডেলিক’ মাদক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধরনের মাদকের প্রভাবে সাধারণত মানুষ নিজের আশেপাশের বাস্তবতাকে ভিন্নভাবে অনুভব করে এবং কখনো কখনো ‘হ্যালুসিনেট’ বা অলীক বস্তু প্রত্যক্ষও করে থাকে।

১৯৩৮ সালে প্রথমবার এলএসডি সংশ্লেষণ করা হয়। এরপর ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে নানা ধরনের মানসিক রোগের চিকিৎসায় এলএসডি ব্যবহারের জন্য প্রচারণা চালান গবেষকরা। সেসময় এই বিষয়ে বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হয়, আয়োজিত হয় একাধিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনও।

১৯৩৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এলএসডি-সহ সব ধরনের সাইকাডেলিক ড্রাগ নিষিদ্ধ করে। এরপর ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ চিকিৎসা কাজে এলএসডি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে এই বিষয়ে গবেষণায় ভাটা পড়ে।

তবে বিশ্বের নানা দেশে বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদের মত অসুস্থতার চিকিৎসায় এলএসডি’র কার্যকারিতা নিয়ে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোচিকিৎসক ও রসায়নবিদরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে ২০১৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে আসে যে, চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট মাত্রায় এলএসডি গ্রহণের ফলে অসুস্থতার কারণে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা রোগীদের দুশ্চিন্তা কমে।

লন্ডন, বাসেল এবং জুরিখ শহরের ৯৫ জন রোগীর ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেন সুইজারল্যান্ডের বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিসিন বিভাগের গবেষক মাথিয়াস লিখটি।

এলএসডি কেন ক্ষতির কারণ হতে পারে?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসার প্রয়োজনে বা গবেষণার কাজে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট মাত্রায় এলএসডি গ্রহণ করে থাকে মানুষ। তবে এটি মূলত ব্যবহার হয়ে থাকে মাদক হিসেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ভাষ্য অনুযায়ী এটি মানুষের মস্তিষ্কের সেরোটোনিন নামক রাসায়নিকের কার্যক্রম প্রভাবিত করে ব্যবহার, অনুভূতি এবং পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন করে।

এলএসডি নেওয়ার পর সাধারণত মানুষ ‘হ্যালুসিনেট’ করে বা এমন দৃশ্য দেখে যা বাস্তবে নেই। অনেক সময় অলীক দৃশ্য দেখার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে মানুষ।

এলএসডি গ্রহণ করে ভুল রাস্তা দেখে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া, বাড়ির জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়া বা অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার বেশ কিছু ঘটনা নথিবদ্ধ রয়েছে।

ইউরোপের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট রিসার্চগেইট-এ ২০১৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় মোট ৬৪ জনের মৃত্যু হয় এলএসডি গ্রহণের পরবর্তী জটিলতায়।

বিষণ্ণতা বা দুশ্চিন্তায় ভোগা ব্যক্তিরা এলএসডি গ্রহণের পর আরও বেশি বিষণ্ণতা বা দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হতে পারেন বলেও উঠে এসেছে অনেক গবেষণায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন বলছে, এলএসডি গ্রহণের পর অনেকে মনে করেন যে তিনি সবকিছু পরিষ্কার দেখছেন এবং তার শরীরে অতিমানবিক শক্তি এসেছে। এরকম বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার ফলেও অনেকে নানা ধরণের দুর্ঘটনা শিকার হতে পারেন।

অতিরিক্ত আতঙ্কের কারণে মানুষ অনেক সময় মনে করতে পারে যে সে শিগগিরই মারা যাবে বা মারা যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতেও মানুষ আতঙ্কের বশবর্তী হয়ে নানা ধরনের কাজ করে থাকে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আতঙ্কিত হওয়ার পাশাপাশি অতিদ্রুত অনুভূতির পরিবর্তন হওয়ার কারণেও মানুষ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করতে পারে বলে বলছে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন।

সংস্থাটি বলছে, এলএসডি গ্রহণের আগে এটা বোঝা সম্ভব নয় যে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন হতে যাচ্ছে।

এছাড়া এলএসডি মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকম প্রভাব ফেলে থাকে।

এলএসডি নেওয়ার ফলে মানুষের হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, অতিরিক্ত ঘামসহ নানা ধরনের মানসিক সমস্যাও তৈরি হয় বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন। সূত্র: বিবিসি

নিউজ ডেস্ক।।

এডিপিও হারুন-অর-রশিদ এর নেতৃত্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার,ম্যানেজিং কমিটি ও সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের আলাদা আলাদা তদন্ত ও সমন্বিত তদন্ত কমিটির সর্বসম্মতি সিদ্ধান্তক্রমে নারী প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতকারী দপ্তরী রাকিব খানের চাকুরী চুক্তিনামা বাতিল সহ ফাইনালি ডিসমিস করেছে (তদন্ত কমিটি) ।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলের দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শ্রেণিকক্ষ খুলে পরিষ্কার করতে বলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে পেটায়  ও পরিবারের লোকজন ডেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করেছেন। প্রকাশ্যে এমন মারধরের শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই নারী শিক্ষক।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় কক্ষগুলোতে ধুলার আস্তরণ পড়ে গেছে। ফলে প্রধান শিক্ষক নীলুফা খানম শ্রেণিকক্ষগুলো পরিষ্কার করতে দপ্তরি রাকিবকে ডাকেন।

দপ্তরি রাকিব সরাসরি ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে অপারগতা জানান। বন্ধের এই সময় কোনোরকম কাজ করতে পারবেন না বলে সাফ উত্তর দেন।

এ সময় এক কথা দু’ কথা হতে হতে স্কুলের মাঠেই প্রধান শিক্ষক নীলুফাকে মারধর করেন দপ্তরি। পরে রাকিবের ভাই এসেও গালমন্দ করেন শিক্ষিকাকে।

প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রধান শিক্ষক নিলুফা।

স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় অপমানে কেঁদে ফেলেন ওই নারী শিক্ষক। বলেন, 'সে আমাকে মারার জন্য খুন্তি নিয়ে আসে। অন্যরা বাধা দেয়ায় স্কুলের মাঠে আমার মাথায় সজোরে ঘুষি মারে। আমি হেড মিস্ট্রেস, আমাকে এভাবে মারতে পারে সে!'

রাকিবের বিরুদ্ধে মাদকসেবনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'সে নিয়মিত গাঁজা, ইয়াবা সেবন করে। কিছু করতে বললে ক্ষেপে উঠে।'

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন দপ্তরি রাকিবকে না আটকালে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ে যেতেন প্রধান শিক্ষিকা। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার শিক্ষিকা। পুলিশ বলছে, তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে।

গফরগাঁও পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার কথা জেনেছি। শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে থেকে অভিযোগ পেলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি চত্বরে আজ বাদ আছর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মরহুম জামিল হাসান খান খোকন এর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি এর সভাপতি হাজী রাশিদুল ইসলাম বিপ্লব, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মোঃ মিলন উল্লাহ, সাংবাদিক সংস্থা কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সচিব মোহাঃ শাহ আলম রেজা,  কুষ্টিয়া ইউনাইটেড অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সালমান শাহরিয়ার রাজু , কুষ্টিয়া ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ চাদ আলী, কুষ্টিয়া ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক এইচ এম বেলাল হোসেন, ফটো সাংবাদিক মোঃ খোকন, ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ বাদল, ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আব্দুল আলিম, আশরাফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ওলিউজ্জামান শুভ, ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের ভেড়ামারা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার সকল থানা ও উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দ। ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে পুর্ণ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি এৱ ধর্মীয় সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ। সাংবাদিক মরহুম জামিল হাসান খান খোকন এৱ আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয়।

।। শাহরিয়ার বাধন।।

যত সহজ ভাবে ব্যাপারটা নিতে চেষ্টা করছি, অনেকভাবে চেষ্টা করছি এইটা লেখবার সময় ও চেষ্টা করছি কিন্তু পারছিনা!

প্রথমতঃ আমরা সকলেই কিন্তু পরিবেশের থেকে অনেক কিছু শিখি, দেখে অনেক কিছু শিখি, শিখেও শেখাটার বেস্ট যেটা হয় সেটা ট্রাই করি।
এতোক্ষণ কি নিয়ে যে আসলে কথা বলছি বা কি ভেবেই আমি এসব বলছি আপনারা হয়ত অনেকেই বুঝেন নাই।
ব্যাপারটা আমি প্রথম বর্ষের ছাত্র সেই ২০১৮ সাল থেকে

এক্সপ্লেইন- ২০১৮ সালে কোথাও চান্স পাইনি সেকেন্ড টাইমার হিসেবে ২০১৯ সালের শেষে চান্স পেয়েছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রথম বর্ষের ফ্রেসার হিসেবে অনেক কিছুই শেখবার থাকে, বিশেষ করে আমার মতো যারা আছে যাদের নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগে, তারপরে একটা অবস্থানে গেলে সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাই।
সবকিছু ঠিকঠাক শুরু ও হলো এর মাঝে করোনার ভয়াল থাবা
৬ দিনের সুন্দর ক্যাম্পাস লাইফ আমার তারপরে এসে বসলাম বাসায় আজ প্রাই ১৫ মাস বাসাতেই যাইহোক অফ টপিকে ঢুকে যাচ্ছি।

টপিক১ঃ যেটা বলছিলাম আমার সময় লাগে কোন নতুন কিছু শিখতে, বুঝতে, পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে
প্রথমত প্রথম বছরে কিভাবে পরীক্ষা হয় কোন মোডিউলে হয় কিভাবে সিনিয়র রা দিয়েছে তাদের ভেতরে ভয় কাজ করেছে কিনা প্রথম বছরে সব কিছুই জেনে তারপর ব্যাপারটাতে নিজেকে ইজি করে নেবো এমনটাই ভেবে ছিলাম কিন্তু আমি সত্যি বলতে কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি কিছু মানে কিছুইনা! এমনটা হয়ত সবার ক্ষেত্রে না আমার সব কিছু বুঝে উঠতে একটু বেশি সময় লাগে এটা আমি নিজেও জানি। তাছাড়া এটাও জানি আমি যখন বুঝে যাই তখন সেটা সবাই থেকে ভালো ভাবেই বুঝি।

টপিক২ঃ আমি সেই হাইস্কুল লেভেলে বুদ্ধি হবার পর থেকে ভালো সার্কেল মাইন্টেন করতে পারি এটা যদিও আমার নিজের কথা না অনেক সিনিয়ররাই বলে, তাছাড়া আমার বন্ধু মহল সত্যিই অনেক বড় যেখানে যেই সুত্রেই থাকবার উদ্দেশ্যে গেছি বা আমার এইজ এর যাদের সাথে আজ অবধি পরিচয় হয়েছে কোননা কোনভাবে আমার বন্ধু বনে গেছে বা আমি তাদের ভালো বন্ধু হয়ে গেছি। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার আমার ক্যাম্পাসে সেরম সার্কেল গড়েই ওঠেনি এটা আমার কথা অনেকের অনেক বড় বন্ধুমহল গড়ে উঠেছে কেও তো গ্যাং দল বানায়ে ফেলেছে।
এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে আমি হয়ত ফ্রেন্ডলি না তাই সার্কেল হয়নি? আসলে ব্যাপার টা মোটেও এমন না ব্যাপারটা ৬ দিনের ক্যাম্পাস লাইফে কজনের সাথেই পরিচয় হওয়া সম্ভব আর আমি এই সোসাল মিডিয়াতে ভারচুয়াল ফ্রেন্ডশিপে বিশ্বাসী ছিলাম না একদমই ভেবেছিলাম এইতো ক্যাম্পাস খুলে দিবে সবার সাথে মিশবো বন্ধু হবে সকলে আমার সম্পর্কে জানবে আমি সকলের সম্পর্কে জানব তবেই না বন্ধুত্ব হবে। ব্যাপার টা একদিক থেকে সঠিক হলেও আসলে ব্যাপারটা ভুল কেননা দেড়টা বছর ক্যাম্পাসই খোলেনাই যারা ফ্রেন্ড বানানোর সবাই সোসাল মিডিয়াতেই বানায়ে ফেলেছে আর আমার যেইটুকু কজন ছিলো তাদের সাথেও যোগাযোগ না রেখে দুরত্ব তৈরী হয়েছে অনেকটা। এটা আসলে একটা চরম ব্যাড ইফেক্ট ফেলবে ক্যাম্পাস লাইফের সাপোর্ট পাবার ক্ষেত্রে।

টপিক ৩ঃ এখন আসা যাক আসল কথায় টপিক ১ তে যেমন বলেছি শিখে তারপর না সেটা করব
আমি জানিনা কেম্নে পরীক্ষা দেই ইউনিভার্সিটিতে আমি তো দেইনাই সেজন্য জানিনা, আমি জানিনা কিভাবে মোডিউল ওয়াইজ সবাই পড়া শেষ করে যদিও সিলেবাস আছে কিন্তু হাতে ধরে বোঝা আর নিয়ম পড়ে বোঝার ব্যাপারটা টোটালি আলাদা
যাইহোক আক্ষরিক অর্থে আমি এখনো ইউনিভার্সিটির ব্যাপারে ভারচুয়ালি ছাড়া কিছুই রিয়েলি শিখে উঠতে পারিনি
এর মধ্যে এতোদিন পর নোটিশ এসেছে পরীক্ষা হবে অনলাইনে এসাইনমেন্ট -১০
বই সহ পরীক্ষা-১০
ভাইভা-৩০ আর অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত থাকার হিসাব করে ক্লাস পরীক্ষার হিসাব করে ২০ নম্বর
বিঃ দ্রঃ পরীক্ষা দেবার জন্য প্রস্তুতি নিতে সময় মাত্র ২১ দিন

এখন আমার কথা আমি তো ক্যাম্পাসের ভেতরের ব্যাপার স্যাপারই এখনো বুঝলাম না ঠিক করে এই সময় হঠাত পরীক্ষা কিভাবে দিবো আর দিলেও পাস করে বেরাব কিভাবে? যারা সিনিয়র আছেন তারা ১ বছর হলেও ক্যাম্পাসে ছিলেন হলে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন সিস্টেম সব জানেন সব কিছু অনেক সহজ তিনাদের কাছে কিন্তু আমরা? আমরা কি আদোও কিছু জানি?
আমাদের কথা না বলি আমি সত্যি জানিনা।

এখন আপনারা বলতে পারেন আমি কিছু পড়িনাই তাই আমার সমস্যা। আচ্ছা আপনি আপনার বুকে হাত দিয়ে বলেনতো আপনি এই দেড় বছরে কতটা পড়েছেন একটা স্টুডেন্ট পড়াশোনার ভেতরে থাকলে যতটা পড়ে ততটাও কি পড়েছেন তাওতো ছিলো টোটাল ছুটি তো কতটা পড়েছেন? আচ্ছা মানলাম আপনি পড়েছেন এই পড়া কি কাজে আসবার মতো পড়া?
আমি আমার কথা বললে আমি পড়িনাই অহেতুক সময় নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন, বাসায় বসে থেকে নিজেকেই এখন অতেল, অকেজো মনে হওয়া শুরু হয়েছে আর এর মধ্যে যদি হঠাত পরীক্ষা দিতে বলা হয় তাহলে কি লিখব?
আজ দেড় বছর পরে খাতায় লেখলাম 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' লেখলাম এজন্য যে লেখা মনে আছে কিনা এইটা পরীক্ষা করবার জন্য।

টপিক ৪ঃ আমি হলোপ করে বলতে পারি আমার মতো অবস্থায় ৯০% পাবলিকের ছাত্র ছাত্রীদের অবস্থা আমাদের আগে স্ব-শরীরে নিয়ে জান ক্যাম্পাসে তারপর পরীক্ষা এইতা ওইতা যা ইচ্ছা কইরেন আর যদি অনলাইনেই পরীক্ষা নিতে চান তাহলে অন্তত পক্ষে ৩ মাস সয়ম দিন কেননা আর যাই হোক পরীক্ষার কথা আমাদের মাথায় ঢুকে গেলে পরীক্ষার ডেইট পড়ে গেলে আমরা সিরিয়াস হয়ে যাই, আমি সিরিয়াস হয়ে যাই তখন নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে পড়ি। যদি অনলাইনেই হয় তাহলে ৩ সপ্তাহ না ৩ মাস অন্তত সময় দিন কেননা ৩ সপ্তাহ এত্তো নগন্য সময় যে আমার উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সব কোর্সের রিডিং ও পড়ি তবু্ও শেষ হবেনা, আর আমার অবস্থা এমন যে আমি আমার সব কোর্সের নাম অবধি জানিনা তাই বলছি অনুগ্রহ করে সময় বাড়িয়ে দিন আমার না হোক সকলের অবস্থার কথা বিবেচনা করে। সময় অনেক নষ্ট হয়েছে জানি করোনার কারনে আর আমরা এম্নেই পিছায়ে গেছি তবে আর ৩ মাস লেট করলেও আমাদের সমস্যা হবেনা আশা করি কিছু না বুঝে না শিখে উপরের ধাপে যাবার থেকে বুঝে শুনে একটু দেরি করে যাওয়া অনেক ভালো।
আমরা আর বিভ্রান্তিতে পড়তে চাইনা
আমাদের অনুগ্রহ করুন।
আমাকে অনুগ্রহ করুন।

লেখক - উদ্ভিদ বিজ্ঞান ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আগামী বছরের (২০২২ সাল) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। এ সিলেবাস অনুসারে এসএসসি পরীক্ষা হবে ১৫০ দিন পাঠ শেষ এবং এসএসসি হবে ১৮০ দিন পাঠদান শেষে।

শুক্রবার (২৮ মে) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সিলেবাস প্রকাশ করা হয়।

এর আগে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর পরই সিলেবাস দুটি প্রকাশ করলো ঢাকা বোর্ড।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্যও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৫০ দিনে শেষ করার মত করে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৮০ দিনে শেষ করার মত করে এ সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষা সরাসরি (ইনপার্সন) বা সশরীরে ও অনলাইন পদ্ধতিতে নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশে বিরাজমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমােদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক ও স্নাতকোর পর্যায়ের পরীক্ষা সরাসরি (ইনপার্সন) ও অনলাইন পদ্ধতিতে নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে ৯টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স জানায়-

১. ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনার যে মোবাইল নম্বর বা ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করবেন সেগুলো সবসময় সচল রাখুন। কারণ হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বা ইমেইল পরিবর্তন করলে সাথে সাথেই ফেসবুক থেকে ইমেইল পাঠিয়ে আপনাকে (অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে) সতর্ক করে একটি Recovery লিংক পাঠিয়ে দেয়। তাতে ক্লিক করে সহজেই হ্যাক হওয়া আইডি রিকভার করা সম্ভব।

২. ফেসবুক অ্যাকাউন্টে Two Factor Authentication অপশনটি চালু রাখুন (ফেসবুকের সেটিংস থেকে Security and login use two-factor authentication এ গিয়ে মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেইল যুক্ত করুন)।

৩. সরল/দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্য (যেমন : জন্ম তারিখ, নিজের নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি) পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৪. Capital letter, small letter number & symbol মিলিয়ে কমপক্ষে ১২ ক্যারেক্টারের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

৫. ফেসবুকের ক্ষেত্রে Trusted Contact-এ ৩ থেকে ৫ জন ঘনিষ্ঠ ফেসবুক বন্ধুকে যুক্ত রাখুন। এর ফলে আইডি হ্যাক হয়ে গেলেও তা উদ্ধার করা সহজ হবে।

৬. ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাম ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করুন। এতে আপনার আইডি হ্যাক হলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।

৭. জন্ম তারিখ, ফোন নম্বরসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত রাখবেন না। এতে বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও প্রতারণা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সহজ হবে।

৮. ফেসবুকের ক্ষেত্রে Privacy Settings অপশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে প্রোফাইল লক করে রাখুন।

৯. স্ট্যাটাস, ছবি ইত্যাদি সতর্কতার সাথে এবং প্রাইভেসি নিশ্চিত করে শেয়ার করুন। ফেসবুকে নিজের জীবনাচরণকে যতবেশি উন্মুক্ত করবেন আপনি ততবেশি ঝুঁকিতে থাকবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ছাত্র ও শিক্ষকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনার টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে বললেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে আগামী প্রজন্ম হবে জ্ঞানহীন মূর্খ। এতে আমাদের সমাজের মৌলিক ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, মহামারি করোনার কারণে এক বছরের অধিককাল ধরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে। ইতোমধ্যে কয়েকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের। দেশের বৃহৎ স্বার্থে শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সবাইকে টিকা দেওয়ার পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। বর্তমানে টিকা সংগ্রহের অনিশ্চয়তার কারণে স্বাভাবিক ভাবে টিকা দান শেষ হতে হয়তো আরও কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে একটি প্রজন্মকে মূর্খ হতে দেওয়া যায় না। তাই অগ্রাধিকারের ভিক্তিতে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম চালুর স্বার্থে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেয়া যাবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। শুক্রবার ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, দেশের বিরাজমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা জরুরি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক ইতিপূর্বে প্রেরিত সরাসরি (ইনপারসন) ও অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইন পদ্ধতি গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
শ্রেণীকক্ষ খুলে পরিষ্কার করতে বলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষককে পেটানো দপ্তরি রাকিবকে আটক করা হয়েছে।শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুর আলম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মনসুর আলম বলেন, এ ঘটনা জানার পর অপরাধীকে দ্রুত আটকের নির্দেশ দেয়া হয়। রাতে সেই দপ্তরি কাম প্রহরীকে আটক করেছে পুলিশ। রাকিব অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করতো। তাকে কর্মস্থল থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি দিবালোকে ঘটানো হয়েছে, তাই এ বিষয়ে তদন্ত করার প্রয়োজন নেই। অপরাধী বর্তমানে পুলিশের কাছে বন্দি রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম স্কুলে ডাকেন দপ্তরি রাকিবকে। রাকিবকে ডেকে তিনি শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার করতে বলেন। কিন্তু রাকিব সরাসরি ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে অপারগতার কথা জানান। বন্ধে কোনোরকম কাজ করতে পারবে না বলে উত্তর দেন তিনি। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক নিলুফার মাথায় ঘুষি মেরে বসেন রাকিব। এসময় রাকিবের ভাই এসে প্রধান শিক্ষককে গালাগালি করেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতকারী দপ্তরী রাকিব খানকে রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।

তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলমকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫১১ জনে।

শুক্রবার (২৮ মে) কোভিড-১৯ রোগ নিয়ে হালনাগাদ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ১৩৫৮ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ জন।

গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১০৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ২২১ জন হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

মুহিবুল ইসলাম:

দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে, যদিও অর্থনৈতিক চাকা ধরে রাখতে অনান্য সকল কিছু চালু রয়েছে, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সরকারি আমলাগণ মনে করছেন এই তারাই দেশ পরিচালনা করবেন। ভবিষ্যতে কেউ তাদের স্থানে বসবে না। যেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের গবেষণা করার কথা থিসিস নিয়ে কাজ করার কথা, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগানের আম পাহারা দিচ্ছেন এবং ৩০ টাকা কেজিতে আম বিক্রি করছেন।

তাই সেই দায়িত্বরত কিছু শিক্ষক চাইবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে গ্রীষ্মকালীন আম খেতে। এই যদি শিক্ষকদের নৈতিক অবস্থার অবনতি হয় সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে কথা বলাটা একদম স্বাভাবিক। টানা ১৪ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ তাদের বেতন পাচ্ছেন, শিক্ষক তার নৈতিক অবস্থানে নেই বলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব এখন গলার মাঝে মাছের কাটা আটকানোর মত, না পারছে এই ছাত্রত্ব নামক বোঝা গিলতে না পারছে ফেলতে, যদিও চলছে ইউজিসি নামক সার্কাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন-লাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলছে, এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ছাত্রদের মতামত নিয়েছিলো, মতমত নেওয়ার আগে শিক্ষক অনলাইন পরীক্ষা অসুবিধা গুলো বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা হলে তোমার খাতা আন্তর্জাতিক মানে দেখা হবেনা,তোমাদের মূল্যায়ন হবে না,তোমরা প্রশ্ন ধারা বুঝবে না,ক্ষতি যখন হলো আরেকটু ধৈর্য্য ধরো সব খুললে সরাসরি পরীক্ষা হবে, তার এই সমস্যা গুলো শুনে অধিকাংশ শিক্ষার্থী না করে আর অল্প কিছু শিক্ষার্থীর যারা স্যারদের বলা একটু ক্ষতির মাত্রাটা বুঝতে পারে, তাদের চাওয়া পাওয়া একটাই যেভাবেই হোক তারা পরীক্ষা দিবে কিন্তু এই শিক্ষকরাই বছর শুরুতে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা ও উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করতে অবশ্যই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে তাই অনলাইন ক্লাস নামক খোঁড়া শিক্ষা দিয়েই আমরা সেশনজট মুক্ত করবো, আর এই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাবো এখন তারাই বলছে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে না, আসলে দীর্ঘ বন্ধের মাধ্যমে তারাও চায় এই বন্ধের মধ্যে কোনো পরিক্ষা নিয়ে কোনো ঝামেলা না নিতে, পরিবার নিয়ে গ্রীষ্মের বন্ধ ও ঘরে বসে আম উপভোগ করবে,আজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা পদের লোভে আসলেই নৈতিক অবস্থান থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে, শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে থাকতো তাহলে গলায় কাটা নামক সেশনজট থেকে মুক্তি পেতো শিক্ষার্থীরা।

লেখক-মুহিবুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram