রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

করোনার দ্বিতীয় ডোজের প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টিকার সংকট সহসাই কাটছে না বলে জানিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, টিকার ঘাটতি পূরণে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছে অনুরোধ করে চলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রের তরফেই টিকা পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার পায়নি ঢাকা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সংস্থান না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। গতকাল ঢাকার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সবাই বলছে- দিবে কিন্তু টিকা তো হাতে আসছে না।

মন্ত্রীর ভাষ্যটি এমন- বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড -অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন দেশকে অনেকদিন ধরে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। জবাবে সবাই বলছে টিকা দিবে কিন্তু কবে দিবে সেটা পরিষ্কার করে বলছে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের কাছে ?ঔষধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মন্ত্রী।

সেখানে তিনি বলেন, আমাদের হাতে যে টিকা রয়েছে তাতে প্রথম ডোজ গ্রহণকারী প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। সংকটটা এখানেই। ওই ১৫ লাখ মানুষকে আমরা দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছি না। এ কারণে আমরা জরুরি ভিত্তিতে ঘাটতি পূরণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অনেক টিকা আছে জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুরোধ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা কম বলে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখেনি। পরে অবশ্য তারা বলেছে, আমাদের কিছু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে। তাছাড়া কোভ্যাক্স থেকেও আমরা কিছু টিকা পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ বিভিন্ন ধরনের টিকা পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু কবে ওই টিকাগুলো হাতে পাবো সেটা তারা এখনো বলছে না। প্রসঙ্গত কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে টিকা দিচ্ছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।

শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের উপহারের ওই টিকা বাংলাদেশ পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু টিকা দেয় সেই অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যে এক হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হোয়াইট হাউসে পিটিশন করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমেরিকানরা জবাব দিয়েছে বাংলাদেশে নাকি করোনার প্রভাব কম, এজন্য তারা আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে পারছে না। করোনার টিকা সর্বজনীন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন টিকা একটি সর্বজনীন পণ্য এবং সব দেশের লোকের বৈষম্যহীনভাবে তা পাওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ আছে ধনী দেশগুলোর কাছে। মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ টিকা পেয়েছে গরিব দেশগুলো। এ কারণে অনেক রাষ্ট্র টিকার জন্য হাহাকার করছে। অস্ট্রেলিয়ার ২৫ মিলিয়ন লোকের জন্য ৯৩ মিলিয়নের বেশি টিকা মজুত থাকার রিপোর্ট পেয়েছেন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের কাছেও টিকা চেয়েছি। তারাও বলেছে দিবে। কিন্তু কবে দিবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

চীনা টিকার দামে ভিন্নতা, ‘ঝামেলা’ তৈরির অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসা, মন্ত্রীর দাবি সব ‘ঠিক’ আছে:
এদিকে চীনের কাছ থেকে টিকা পাওয়া নিয়ে এখন আর কোনো ধরনের ঝামেলা নেই বলে দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। বেসরকারি একটি টেলিভিশনের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, চীন একেক দেশে একেক দামে টিকা বিক্রি করছে। এ জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঝামেলা তৈরি হয়েছে। চীন এত বড় দেশ তাদের তো ওপেন মার্কেটে যাওয়া উচিত ছিল। চীন আমাদের সঙ্গে যেটা করেছে সেটাকে আপনি কীভাবে দেখেন, এটা কি তারা ঠিক করলো? জবাবে মন্ত্রী চীন থেকে টিকা সংগ্রহে কোনো ‘ঝামেলা’ নেই দাবি করে বলেন, তারা ঠিক করেছে কিনা- সেই প্রশ্নের জবাব তারাই ভালো দিতে পারবেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।

মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায় অনেক গোপনীয় বিষয় থাকে। তথ্য প্রকাশ করবো না- মর্মে আমরা একটি চুক্তিতে সই করেছি। একটি চাইনিজ কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেসব আইন-কানুন গ্রহণ করেছি, সেটি আমাদের মেনে চলা উচিত। দাম প্রকাশ করায় চীনে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সেই ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং আমরা বুঝিনি। এরপর তারা বুঝেছে এবং আমাদের গ্রহণ করেছে।

দ্বিতীয় ডোজের সংকট নিরসনে জাপানেরও সহায়তা চেয়েছে ঢাকা: ওদিকে একদিন আগেই পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন- দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের কাছে অতিরিক্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আছে। কিন্তু তাদের ঔষধ প্রশাসনের অনুমতির একটি বিষয় জড়িয়ে আছে।

ফলে তারা এ নিয়ে এখনো কিছু বলেনি। তবে বাংলাদেশ তাদের টিকা পাওয়ার বিষয়ে খুবই আশাবাদী। যত দিন যাচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের সংকট ততই প্রকট হচ্ছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, সরকার বসে নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জাপানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, জাপানের কাছে অতিরিক্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আছে। তারা তাইওয়ানকে কিছু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েছে। এটা রাজনৈতিক কারণে হয়তো দিয়েছে। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আমরাও তাদের কাছে এ বিষয়ে সহায়তা চেয়েছি।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি পূরণে সম্ভাব্য সব সোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ প্রসঙ্গে সেগুনবাগিচা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা উদ্বৃত্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা থেকে ২০ লাখ টিকা বাংলাদেশ চেয়েছে। টিকা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থোনিও ব্লিনকেনের সরাসরি সাক্ষাতের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের আয়োজনে পূর্ব নির্ধারিত দু’টি বহুপক্ষীয় সভায় অংশ নিয়ে তিনি ওয়াশিংটন যাবেন।

উৎপাদন শুরু হলে দেশে আর টিকার সংকট থাকবে না
ওদিকে করোনার টিকা উৎপাদন বিষয়ে চলমান আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, শিগগিরই দেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। তবে তিনি অবশ্য বলেছেন, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের জন্য স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারি কোম্পানি নির্বাচন করার বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দেখছেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মন্ত্রী বলেন, তারা আসবেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সক্ষমতা যাচাই করে উৎপাদন বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

মোমেন বলেন, একবার উৎপাদন শুরু হলে দেশে আর টিকার কোনো সংকট তৈরি হবে না। আশা করি আমরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে একদিন টিকা রপ্তানিকারক হতে পারবো। এক দিন আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের টিকা সংগ্রহ এবং যৌথভাবে টিকার উৎপাদনের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলামের প্রচার-প্রসারে যা যা করণীয় আমরা তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সারা দেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ইসলামের প্রচার-প্রসারে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। বলেন, আমরা চাই, আমাদের এই পবিত্র ধর্ম সম্পর্কে মানুষ যেন সচেতন হয়। একমাত্র ইসলাম ধর্মে নারীদের অধিকার দেয়া হয়েছে। নারীদের সমঅধিকার কিন্তু ইসলাম ধর্মই দিয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তিতে নারীদের যে অংশ, এমনকি স্বামীর সম্পত্তিতে নারীর যে অংশ, সেটা কিন্তু ইসলাম ধর্মই দিয়েছে। কোনো ধর্মেই কিন্তু এটা নেই।

ইসলাম ধর্মে সবদিক থেকেই নারীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গেছে। তিনি বলেন, মাদক আজ আমাদের সমাজকে একেবারে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এই মাদকের হাত থেকে যেন মানুষকে মুক্ত করতে পারি তার জন্য সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় সকল ধর্ম-বর্ণের সকলকে নিয়ে, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে কমিটি করে মাদকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন বা পাশবিকতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

এই মসজিদটা আমরা সেভাবেই তৈরি করতে চেষ্টা করেছি। যেখানে সব ধরনের শিক্ষা এবং প্রচার.. মানুষের মাঝে সচেতনতা, ধর্ম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যেন বৃদ্ধি পায় সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা এটা করেছি। তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হজ সম্পর্কে সকল তথ্য এবং সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা ইতিমধ্যে আমরা নিয়েছি। হজযাত্রীদের ভিসা-পাসপোর্ট, আবাসন, মেডিকেল সকল বিষয় সহজ করে দেয়া হয়েছে। আগে যখন হজযাত্রীরা যেতেন, তখন টার্মিনালের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তায় তাদের বসে থাকতে হতো। কখন যাবেন, কীভাবে যাবেন কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর জেদ্দার টার্মিনালে আমরা আলাদা জায়গা নিয়েছিলাম, নেয়া আছে।

আমাদের বাংলাদেশ থেকে যারা যাবে তারা সেখানে থাকবে এবং সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বাসে করে যাতে পবিত্র মক্কা শরীফে চলে যেতে পারেন সে ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে হজযাত্রীদের নানা সমস্যা একে একে দূর করেছে। এখানে আমাদের আশকোনা হজ ক্যাম্প রয়েছে। তাদের (হাজীদের) ইমিগ্রেশনের কাজটা... এয়ারপোর্টের ভেতরে যাওয়ার দরকার নেই। সেখানে বসেই যেন হতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থাটাও কিন্তু করে দিয়েছি। সৌদি সরকারের সঙ্গে আলাপ করে আমরা সেই অনুমোদনও নিয়েছি। এখানে বসে সবকিছু হয়ে যাবে। তারপর সহজভাবে বিমানে চলে যাবেন। সরকার প্রধান বলেন, এখন আর আমাদের বিমান ভাড়া করা লাগে না। নিজেদের বিমানে আমরা হাজীদের পাঠাতে পারি। ঢাকা বিমানবন্দরে যেমন ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। মক্কা-মদিনা শরীফ থেকে আসার সময় যেন সুবিধা হয়, মক্কা শরীফেও সে ব্যবস্থা করেছি। যাতে সব ধরনের সুবিধা-অসুবিধা জানার জন্য এই ব্যবস্থা থাকে। সেই দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি বলেন, জমজমের পানি আনতে গেলে অনেক সময় সমস্যা হতো।

ওজন নিয়ে সমস্যা হতো। আমাদের বিমান যখন হাজীদের নামিয়ে দিয়ে আসে তখন সেই খালি প্লেনে আগেই জমজমের পানি নিয়ে আসে। পরে যাদের পানি দরকার হয় নিতে পারেন। আশকোনা থেকে নিতে পারেন। সেই ব্যবস্থাটাও কিন্তু আমরা করে দিয়েছি। সব ধরনের ব্যবস্থা করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি, আমাদের অনেক পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ আছে, সেগুলো রক্ষা করার। সেগুলো দর্শনীয় হিসেবে আরও উন্নত করা। বায়তুল মোকাররমের মিনার নির্মাণ, এগুলো আমরা করেছি। মসজিদভিত্তিক শিক্ষা আমরা করে দিয়েছি।

সেখানে আমরা বিশেষ অনুদান দিচ্ছি। তিনি বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট আমি করে দিয়েছি। কারণ আমি জানি, একটা সময় অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের আর সাহায্য করার কিছু থাকে না। কাজ করতে চাইলেও কোনো কাজ তারা করতে পারে না। সেই জন্যই আমি এই ফান্ড গঠন করেছি। আমাদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা যেন বিশেষ সুবিধা পান। ঋণ নিতে পারেন, অনুদান নিতে পারেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি ছিল না, আমরা তার সনদের স্বীকৃতির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি।

ইসলাম প্রচার-প্রসারে যা যা করণীয় আমরা সে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এখানে তো আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফে আছে, সুরা কাফিরুনে স্পষ্ট বলা আছে লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়া দিন। ইসলাম ধর্ম সব থেকে বড় ধর্ম। যে ধর্ম মানুষের অধিকার, মানুষকে মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করবার শিক্ষা দেয়। সেই শিক্ষাটাই সবাই নেবে, এটাই আমরা চাই। আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেভাবে তৈরি হবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই মডেল মসজিদের মাধ্যমে ইসলামের বাণী প্রচার হবে।

ইসলামিক সংস্কৃতি প্রচার হবে। ইসলামের মর্মবাণী দেশ-বিদেশের সকল ধর্মের মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে, সেই দিকেই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

অনলাইনে তরুণীদের সঙ্গে আড্ডার লোভ দেখিয়ে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে নিধুরাম দাস (২৭) ও মো. ফরিদ উদ্দিন (৪০) দুইজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার তাদের আটক করে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান এ কথা জানান।

এসময় গ্রেফতারকৃত দের কাছ থেকে তাদের কাছে থেকে চেক বই ব্যাংকের ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। এছাড়া তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং মোবাইল ফোনও জব্দ করে সিআইডি।

সিআইডি জানায় অভিযুক্তরা মূলত টার্গেট করতো অল্পবয়সী যুবক এবং প্রবাসীদের। এসময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয় তরুণীদের সঙ্গে আড্ডায় ঢুকতে বিশেষ একটি অ্যাপ ব্যবহার করতো অভিযুক্তরা।

এসময় সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয় অনলাইনে এভাবে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এ চক্রটি গত এক বছরে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আড্ডা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অ্যাপে প্রবেশ করানো হতো ব্যবহারকারীদের জানিয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে আরো বলা হয় এ আড্ডায় যুক্ত হওয়ার জন্য বিনস নামের একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা কিনতে হতো অ্যাপসটি ব্যবহারকারীদের। ভার্চুয়াল এই মুদ্রাটি আবার উপহার হিসেবে দিয়ে আড্ডায় যুক্ত হতে হতো ব্যবহারকারীদের।

সিআইডির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে বিশেষ এই অ্যাপটির অনেক এজেন্ট বাংলাদেশ রয়েছে। তারাই ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনাবেচা করেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের রেশ কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারো লঘুচাপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আগামী তিন দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়ে সংস্থাটির পূর্বাভাস বলছে আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এসময় তিনি আরো বলেনবৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান তিনি।

গত ২৬ মে দুপরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে। ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের পাশাপাশি ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায় স্থানীয়দের।

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

করোনা সংক্রমণের কারণে পেছানো হবে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। করোনার এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৯ জুন থেকে দেশের তিনটি বিভাগে এ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না তবে মহামারি পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময় পেছানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।

করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জানিয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন এই অবস্থায় পরীক্ষা হলে করোনা সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

করোনার এই চলমান পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর উপায় নেই বলেও জানান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।

শুক্রবার (১১ জুন) সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। এসময় তিনি আরো বলেন প্রাথমিক আবেদন করতে ২৬ জুন পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। তারপর আবার চূড়ান্ত আবেদন।

এসব করতে সময় লাগবে জানিয়ে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন এ অবস্থায় পরীক্ষা শুরু করার তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না ।

নিউজ ডেস্ক।।

করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা যেন উত্তাল সাগরে মাঝি মাল্লা হীন ভাসমান তরীর যাত্রী । তারা লক্ষে পৌছতে পারছে না ।লক্ষ্যে পৌঁছার সম্ভাবনাও নেই। ইতিমধ্যে তরীতে মজুদ থাকা খাদ্য পানীয় শেষ হয়ে গেছে। কিছু দুর্বল যাত্রী মারা গেছে। অনেকে মুমূর্ষ অবস্থায় আছে। বাকি সব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। উদ্ধারের তৎপরতা নেই ।সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অবস্থা জানতে পেরে সাগর তীরে এসে অবস্থান নিয়েছে। তাদের চোখে-মুখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ।একজন জননেতা এসে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন আগামী আগস্ট মাসের শেষের দিকে আমরা তরীকে তটে ভিড়াব যদি তখন সাগর শান্ত থাকে। আপনারা কোন চিন্তা করবেন না।
সব অভিভাবকেরই তার সন্তান নিয়ে একটা ভাবনা থাকে। ভাবনা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে তোলার চেষ্টা করে। সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ করে ।তারপর সে মনে করে লেখাপড়ার খরচটা যদি সে নিজেই চালিয়ে নিতে পারত তাহলে ভাল হত। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে।
যখন সে তা পারে না তখন সন্তান নিজের কাছে বোঝা মনে হয়। এই মুহূর্তে অভিভাবক দের অবস্থা সাগরতীরে অবস্থানকারী অভিভাবকের মতো। কোন অভিভাবক ভাবছে স্নাতক ফাইনাল হয়ে গেলে ছেলেটাকে কিছু একটা করতে বলতাম ।কোন অভিভাবক হয়তো ভাবছে অনার্স ফাইনাল হয়ে গেলে মেয়েটাকে একটা যোগ্য পাত্রে পাত্রস্থ করতে পারতাম ।কেউ ভাবছে ছেলেটা ভালো একটা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে পারলে বলতাম আমি তোমাকে আর খরচ দিতে পারব না । প্রাইভেট পড়িয়ে
খরচ চালিয়ে যাও ।কেউ ভাবছে পরীক্ষাটা হয়ে গেলে তাকে ব্যবসার কাজে লাগিয়ে দিতাম কিংবা বিদেশে পাঠিয়ে দিতাম ।কেউ তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না । কবে পারবে তা অনিশ্চিত ‌‌।
কিছুদিন আগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানতে পারলাম ৯৭ ভাগ অভিভাবক তার সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন যদি প্রতিষ্ঠান খোল। জরিপে জনমতের যে প্রতিফলন ঘটেছে সে অনুযায়ী সরকার কোনো পদক্ষেপ কিংবা দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি। সরকারের উচিত ছিল কিছু একটা করা। যেমন ১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্তভাবে অন্তত পরীক্ষা গুলো চালিয়ে যাওয়া ।এতে সময়ের অপচয় হতো না। শিক্ষার্থীরা নতুন বই পড়তে পারতো। পরীক্ষার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন হয়না অর্জিত জ্ঞানের মূল্যায়ন করে স্তর পরিবর্তন করা হয়। প্রধান প্রধান সাবজেক্ট গুলো ঠিক রেখে বাকি সাবজেক্টগুলো স্কুল ভিত্তিক মূল্যায়ন করা যেতে পারত। এসএসসি এবং এইচএসসি তে শুধুমাত্র এমসিকিউ এর মাধ্যমেও মূল্যায়ন করা যেত। প্রয়োজনে বিভাগ অনুযায়ী আলাদা আলাদা সময়ে পরীক্ষা নেওয়া যেত।
২। শিফটিং করে ক্লাস চালিয়ে নেওয়া ।সপ্তাহে প্রত্যেক শ্রেণীর ছাত্ররা যদি দুই দিন ক্লাস করতে পারত তাহলে ও ভালো হতো।
৩। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্র বাড়িয়ে কিংবা একাধিক গ্রুপ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধাপে ধাপে পরীক্ষার আয়োজন করা যেত। দীর্ঘদিন পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে পরবর্তীতে লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হতে পারে। মরমী কবি লালন ফকির বলেছেন "সময় গেলে সাধন হবে না।"
শিক্ষানীতিতে সরকার ভুল পথে হাঁটছেন। সরকারের আমলা মন্ত্রী-সচিব সবাই যেন খয়ের খাঁ ।সবাই মুখে কুলুপ মেরেছেন ।আর বিরোধী দলগুলোর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে দেখেনি । দু-চারটি ছোটখাটো দল যারা মানববন্ধন করেছেন খুলে দেওয়ার দাবিতে তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আমার কৃষিবিদ এক বড় ভাই ( যার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ) কে জিজ্ঞাসা করি স্কুল কলেজের ব্যাপারে আপনার ভাবনা কি? উত্তরে বললেন" নামকাওয়াস্তে হলেও একটা পরীক্ষা নিয়ে পার করে দিলে বার্ডেন মনে হতো না।"
প্রতিবেশী আরেক ব্যবসায়ী বড় ভাই ( যার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ) কে জিজ্ঞাসা করি আপনি কি ভাবছেন ? তিনি বললেন "লেখাপড়ার জন্য শহরে এসেছি ব্যবসা ও শেষ ছেলেদুটো শেষ। "আর এক প্রতিবেশী ভাই( যার দুটো মেয়ে অনার্সে পড়ে) বললেন "মেয়েদের বয়স হয়ে যাচ্ছে, বিয়ের ব্যাপার আছে ,চাকরির ব্যাপার আছে ছেলে হলে চিন্তা করতাম না।" অন্য একজন অভিভাবক (যার ছেলে মেডিকেলে পড়ে) তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যা বললেন তা লেখার মত না। সারকথা বাড়ি পাগলা গারদে পরিণত হয়েছে ।কলেজ খুললে তিনি হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারতেন। অন্য একজন অভিভাবক( যিনি একটি বেসরকারি ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ) বললেন " সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে স্কুল-কলেজ কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে না? ছেলেটা রাতভর মোবাইল টিপে দিনভর ঘুমায়।"
তাই বলতে চাই সরকার যেমন জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করেছেন। তেমনি জীবিকা ও শিক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন। কারণ জীবনের জন্য যেমন জীবিকার প্রয়োজনে তেমনি জীবিকার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন । দ্বিতীয়তঃ শিক্ষা মানবাত্মার খোরাক। শিক্ষা না পেলে মানবাত্মা মারা যাবে। মানবতা মারা গেলে মানুষ পশুতে পরিণত হবে। অতএব স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক এবং অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা উদ্বেগ দূর করা হোক।
লেখক-
মোহাম্মদ আলী শেখ
সহকারী অধ্যাপক
কাদের ডিগ্রী কলেজ
বোয়ালমারী,ফরিদপুর।

রফিকুল আলম বকুল, মেহেরপুর।।

বেসরকারী ব্যাংক আইএফআইসি এর গাংনী উপশাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। মেহেরপুরের গাংনী শহরের কাথুলী মোড়ে এ উপশাখার উদ্বোধন করেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক।
আইএফআইসি ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার ম্যানেজার হাসানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গাংনী পৌরভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আলফাজ উদ্দীন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ।

গাংনী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আওয়ামীলীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাবলু, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হাজী এনামুল হক, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী শফি কামাল পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম, প্রেসক্লাবের যুগ্নসম্পাদক সাংবাদিক জুরাইস ইসলাম , সাংবাদিক ও শিক্ষক রফিকুল আলম বকুল সহ গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন আইএফআইস ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার ম্যানেজার হাসানুর রহমান বলেন, অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে এ ব্যাংক গ্রাহকদের অধিকতর সুবিধা প্রদান করবে। সকল ধরণের হিসাবের গ্রাহকগনের হিসাব খোলার ক্ষেত্রে কোন সার্ভিস চার্জ কর্তন করবে না। বরং প্রতিটি হিসাবের অনুকুলে রাখা টাকার লাভ্যংশ দেয়া হবে।

স্বল্প সুদে দেয়া হবে গৃহ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মানের ঋণ। তাছাড়াও অত্র এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য গতিশীল করার ক্ষেত্রে এ ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

তিনি গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষনীয় সুবিধার কথা উল্লেখ করেন ।

নিউজ ডেস্ক।।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার ৯৮৯ জনে পৌঁছেছে।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজার ৫৭৬ জনের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ জনে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নিউজ ডেস্ক।।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (আইবিএসসি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির আবেদন চলছে। এই কোর্সে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৩০ জুন। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।
জীববিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা ও বিজ্ঞান অনুষদের জীববিজ্ঞানের গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা প্রোগ্রাম দুটিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এমফিল প্রোগ্রামের মেয়াদ দুই বছর আর পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন বছর মেয়াদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ভর্তিপ্রাপ্ত গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক মাসে এমফিলের জন্য চার হাজার টাকা এবং পিএইচডির জন্য পাঁচ হাজার টাকা ফেলোশিপ পাবেন।

এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা
১. সনাতন পদ্ধতিতে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার যেকোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি এবং অন্যটিতে ন্যূনতম দ্বিতীয় অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ ন্যূনতম ৩.৭৫ থাকতে হবে।
২. বিজ্ঞান/জীববিজ্ঞান/কৃষি অনুষদভুক্ত বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের বিএসসি (অনার্স/বিএসসি-এজি (অনার্স)/সমমান এবং এমএসসি/সমমানে সনাতন পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪.০-এর স্কেলে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে।

পিএইচডি প্রোগামে ভর্তির যোগ্যতা
১. সনাতন পদ্ধতিতে এসএসসি/ সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার যেকোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি এবং অন্যটিতে ন্যূনতম দ্বিতীয় অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ ন্যূনতম ৩.৭৫ থাকতে হবে।
২. বিজ্ঞান/জীববিজ্ঞান/কৃষি অনুষদভুক্ত বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিএসসি (অনার্স/বিএসসি-এজি (অনার্স)/সমমান এবং এমএসসি/সমমানে সনাতন পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪.০-এর স্কেলে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই এমফিল/সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিধারীরা ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের www.ru.ac/bd/ibsc ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪৩ নম্বর অফিস রুম থেকেও সরাসরি আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

নিউজ ডেস্ক।।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন ছাত্রীর হাতে বাইসাইকেল তুলে দেন।

সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাসুদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম ও লতিফুনেছা লতা। বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন।

নিউজ ডেস্ক।।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মোক্তাদির হোসেন তরু ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন জিমি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

যেখানে প্রায় ৩০ রাখ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। করোনায় স্থবিরতার কারণে যেখানে শিক্ষার্থীরা লেখাপাড়া চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা অনৈতিক।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য রয়েছে বিপুল সংখ্যক বৃত্তির ব্যবস্থা পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জবরদখলকারী সরকার শিক্ষার ওপর ভ্যাট বসিয়ে দেশকে একটি মূর্খ জাতি হিসেবে পঙ্গু করে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
নেতারা বলেন, শিক্ষা খাতের ওপর আরোপিত ভ্যাট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট আইনের পরিপন্থী।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার যে কথা ছিল তা না করে শিক্ষাখাতকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রস্তাবিত ভ্যাট কোনো মতেই মেনে নেওয়া হবে না।
এমন অন্যায্য সিদ্ধান্ত অতীতেও ছাত্রসমাজ মেনে নেয়নি, এখনো মেনে নেবে না।

তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ভ্যাট প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে।

নিউজ ডেস্ক।।

নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করা কোনো ভদ্রলোকের কাজ নয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে তো ভদ্রলোক বলে জানতাম বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে অভিনয় ও মডেল শিল্পীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নাম বিকৃত করে ‘হাছা মাহমুদ’ বলেছেন।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। প্রথমত কারো নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করা কোনো ভদ্র লোকের কাজ নয়।

কোনো ভদ্রলোকের আর একজন মানুষের নাম বিকৃত করা অনুচিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে তো ভদ্রলোক বলে জানতাম।
তিনি কেন হঠাৎ করে এভাবে নাম বিকৃত করে বলা শুরু করলেন বুঝতে পারছি না। সম্ভবত তারা তো তাদের রাজনীতি নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ। সেই হতাশা থেকে কখন কী বলে বসছেন—খেই হারিয়ে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। ওনাকেও তো অনেকেই মিথ্যা ফখরুল বলেন। অনেকেই বলেন, তিনি প্রচণ্ড মিথ্যা কথা বলেন, অবলীলায় সুন্দরভাবে মিথ্যা কথা বলেন—এজন্য অনেকেই মিথ্যা ফখরুল বলেন। আমি এটা বলতে চাই না। কারণ, এটা বলা সমীচীন নয়। মানুষে বললেও আমি সেটা বলতে চাই না। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাত করা হবে—বিএনপির এমন হুমকি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন—গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাবেন। এরকম হুমকি তো আমরা গত ১২ বছর ধরে শুনে আসছি। হুমকি দিতে দিতে তারা ছোট হয়ে আসছেন। তাদের আঙিনাটা ক্রমাগত ছোট হয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের জন্য দুঃখজনক।

এ সময় অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুজ্জামান সেলিম, অভিনয় শিল্পী তারিন, সুইটি, অনিক এবং চলচ্চিত্র শিল্পী ফোরামের সভাপতি নিশা সওদাগর, সেক্রেটারি জায়েদ খান, নায়িকা সিমলা ও জান্নাত মিষ্টি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram