শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বর্তমানে সচিব এবং চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল জলিয়াতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) মো. তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই আদেশ দেয়া হয়।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশান উইং) প্রফেসর মো. আমির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এইচআরএম) আশেকুল হক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল এর খন্দকার আজিজুর রহমান। তদন্তের বিষয়ে জানতে কথা হয় প্রফেসর মো. আমির হোসেনের সাথে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কমিটির চিঠি এখনো আমার হাতে পৌঁছায়নি। তবে এই কমিটি খুবই শক্তিশালী কমিটি। আগামী রবিবার চিঠি হাতে পেলে তদন্তের কাজ শুরু করবো।’

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্বে এবং বর্তমানে সচিব হিসেবে কর্মরত থাকায় তদন্তে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর মো. আমির হোসেন বলেন, ‘কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আমাদের নিয়মে কাজ করবো। অবশ্যই একটি সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।’

এর আগে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছিল। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এই তদন্ত কমিটি গঠিত হলো।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বর্তমানে সচিব এবং চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথ ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। শুধু বাংলা বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে সে জিপিএ-৫ পান। কিন্তু চতুর্থ বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ায় সামগ্রিক ফলাফল সে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। কিন্তু বাংলায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বোর্ডের নিয়মানুযায়ী পুন:নিরীক্ষণের আবেদন করতে গেলে দেখতে পান কে বা কারা আগে থেকে সব বিষয়ের জন্য আবেদন করে রেখেছেন। এতে নিজের সন্তানের জন্য শঙ্কিত হয়ে ছেলের পক্ষে তার মা বনশ্রী নাথ পাঁচলাইশ থানায় গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে জিডি করেন। সেই জিডিতেকে পুন:নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন তা বের করার আবেদন জানানো হয়। পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পায় পুন:নিরীক্ষণের আবেদনে রেফারেন্স মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আলীমের মোবাইল নম্বর। এঘটনায় প্রফেসর আবদুল আলীমকে পুলিশ ডেকেছিলও। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘কে বা কারা আমার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আবেদন করেছেন আমি জানি না।’ তিনি এ ঘটনায় প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথকে দায়ী করে পাল্টা আরেকটি জিডি করেছিলেন কোতোয়ালী থানায়। পরবতীর্তে পুলিশ জিডির রিপোর্ট সাবমিট করার পর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরিজম ইউনিটে মামলা দায়ের করে বনশ্রী নাথ। মামলায় প্রফেসর আবদুল আলিম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীকে আসামি করা হয়।

নিউজ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরি মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বুটেক্সে ৫টি ফ্যাকাল্টির অধীন মোট ১০টি বিভাগে ৬০০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন। এর মধ্যে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগে রয়েছে ৮০টি করে আসন। টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি করে আসন আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ মে মেধাক্রম ১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত মোট ৬০০ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০ জনকে ও উপজাতি কোটায় ১ জনকে ভর্তি করানো হবে। সকাল ৮টা থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এরপর অপেক্ষমাণ তালিকার মেধাক্রম ৬০১ থেকে ১৩৫০ পর্যন্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার ১০ আসনের মধ্যে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি করানো হবে। শিক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে তাঁদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এরপর অপেক্ষমাণ তালিকার মেধাক্রম ১৩৫১ থেকে ২০০০ পর্যন্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার ১০ আসনের মধ্যে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি করানো হবে। শিক্ষার্থীদের বেলা ২টার মধ্যে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং ২টা থেকে উপস্থিত মেধাক্রমানুসারে তাঁদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

এর আগে গত ৮ মার্চ বুটেক্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ১৪ মার্চ।

আতিকুল ইসলাম খান।।

নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা গোপন ও প্রকাশ্যের সব বিষয়ে অবগত। নিশ্চয়ই তিনি অহংকারীদের পছন্দ করেন না। সূরা আন নাহল (আয়াত ২৩)। আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম আবিষ্কার ‘টাইটানিক জাহাজ’। এই নামটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। টাইটানিক জাহাজকে ঘিরে রয়েছে এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডিক ঘটনা । তারা সীমা অতিক্রম করে অহংকার করত। অহমিকা দ্বারা আল্লাহর ক্রোধকে কতটা কঠোর করেছিল যে, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ তাদের পাকড়াও করে অহংকারের পতন ঘটিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের হাজার হাজার মিটার গভীরে তলিয়ে গিয়েছিল শতাব্দীর প্রথম দিকের অন্যতম গৌরব পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং বিলাসবহুল ‘টাইটানিক জাহাজ’। আল্লাহ তায়ালাকে অসন্তুষ্ট করে প্রযুক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার অহংকারে টাইটানিক নির্মাতারা জাহাজটি ডিজাইন করার পর এর বিশালতার শক্তি ও টেকনোলজির ওপর এত বেশি আস্থাবান ছিল যে, তারা ভেবেছিল ৮৮২ ফুট লম্বা ১৭৫ ফুট উচ্চ ৯২ ফুট চওড়া এই জাহাজ কখনো ডুববে না, কেউ ডোবাতে পারবে না। এমনকি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা চাইলেও একে কখনোই ডুবাতে পারবে না। আর সত্যি সত্যি আল্লাহ তায়ালা এদের এত বড় স্পর্ধা দেখে যারপরনাই নারাজ হয়েছিলেন। এতটাই নারাজ হয়েছিলেন যে, তিনি তাদের দম্ভ ও অহংকারকে মুহূর্তেই আটলান্টিক মহাসাগরের পানিতে নিমজ্জিত করে হাজার হাজার মিটার গভীরে তলিয়ে দিয়েছিলেন এবং বিশ্ববাসীকে অহংকারের চূড়ান্ত করুন পরিণতির শিক্ষা দিয়ে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনিই মহান শক্তিধর নভোমণ্ডল এবং ভূমণ্ডলের যা কিছু আছে সবকিছুই তার অধীনে, তারই হুকুমের ওপর সবকিছু নিয়ন্ত্রিত সুবহান আল্লাহ! টাইটান দেবতার নাম অনুসারে টাইটানিক জাহাজটি ভিআইপি প্যাসেঞ্জার নিয়ে মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই ডুবে গিয়েছিল। কোনো আলৌকিক শক্তি বা পেশি শক্তির বলে নয় বরং পানির মধ্যে পানির জমাট করা বরফখণ্ডের সঙ্গে নিজেদের অবচেতনায় ধাক্কা লেগে শক্তিশালী স্বপ্নের সেই জাহাজটি খণ্ড খণ্ড হয়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। মহান স্রষ্টার সঙ্গে বেয়াদবির পরিণাম কী হতে পারে তা আমরা এ ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিতে পারি। যুগে যুগে আমরা জেনে এসেছি, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইসলামের বিশাল ক্ষমতাসীন শত্রু নমরুদ, আব্রাহা, কারুন ও ফেরাউনদের চরম পরিণতি ঘটিয়েছেন সামান্য তুচ্ছ মশা, পাখি, মাটিতে দাবিয়ে এবং পানিতে ডুবিয়ে। সুবহান আল্লাহ! হজরত ইবনে আব্বাস (রহ.) বলেন, যে সরদার তার নেতৃত্ব, সংযম, বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার সমস্ত গুণাবলিতে সম্পূর্ণ পূর্ণতার অধিকারী তিনিই হলেন সামাদ। পবিত্র কোরআনে আরও এরশাদ হয়েছে, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী, যাকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছুই তার মালিকানাধীন। তার হুকুম ব্যতীত এমন কার সাধ্য আছে যে, তার নিকট সুপারিশ করতে পারবে? সৃষ্টির সামনে-পেছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি অবগত। তার জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারবে না- কেবল যতটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন। তার আরশ কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে, আর সেগুলোর তত্ত্বাবধায়ন তাকে মোটেও ক্লান্ত করে না, তিনি সর্বোচ্চ ও মহান। মহিমান্বিত তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যার নিয়ন্ত্রণাধীন এবং যিনি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান, যিনি জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন শুধু তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে, তোমাদের মধ্যে কে আমলে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী এবং অত্যন্ত ক্ষমাশীল ।

যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আকাশ। দয়াময়ের সৃষ্টিতে তুমি কি কোনো খুঁত দেখতে পাও ? তুমি আবার দেখ, অতঃপর তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে (সূরা মুলক ১-৪)। সুতরাং বান্দার জীবনের সার্থকতা হলো আল্লাহর পরিচয় জেনে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করবে, আল্লাহকে ভালোবেসে আল্লাহর হুকুম পালন করবে। অতঃপর পরকালে তাকে দেখে সীমাহীন তৃপ্তি লাভ করবে।

ইনশাআল্লাহ অহংকারবসে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। (সূরা লোকমান- ১৮)

অহংকার ও দম্ভ সব আত্মিক রোগের মূল। আরবিতে একে উম্মুল আমরাজ বলা হয়।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ অহংকারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা: নাহল, আয়াত: ২৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (মুসলিম শরিফ)।

অহংকার ও বিনয়, কোনটি ভালো? এ প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন অহংকারীদের নামের তালিকায় কে কে আছেন? আর বিনয়ীদের নামের তালিকায় কারা আছেন?

আমরা দেখতে পাই অহংকারীদের ভেতর শীর্ষে আছে ইবলিস। ইবলিস শয়তান বলেছিল, আমি আদমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ বললেন, অহংকার করা তোমার উচিত নয়, যাও লাঞ্ছিত হয়ে বের হয়ে যাও এখান থেকে। (সূরা আরাফ)মানুষের ভেতর অহংকারী ছিল নমরুদ, ফেরাউন, আবু জাহেল। অহংকারে ফেরাউন বলেছিল, আমি তোমাদের বড় রব। নমরুদ আবু জাহেল আবু লাহাব উতবা শায়বা আরও অসংখ্য লোক দম্ভ ভরে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল। এর বিপরীতে বিনয়ী ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সব মনীষীরা। হযরত আদম (আ.) থেকে নিয়ে আখেরি পয়গম্বর পর্যন্ত সব নবী রাসূল অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। সাহাবী তাবেয়ি ও আল্লাহর ওলিরা সবাই বিনয়ের চর্চা করতেন। অহংকার থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতেন।

দাম্ভিকদের শেষ পরিণতি মোটেও শুভ হয় না। বিনয়ী মানুষকে সবাই ভালোবাসে। মানুষের এবং আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হলে আমাদের অবশ্যই বিনয়ী হতে হবে।

বিনয়ী বিনয় প্রকাশ করার কারণে তার সম্মান কমে যায় না। যে আল্লাহর জন্য বিনয় অবলম্বন করে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। (তাবারানি)

আর যারা অহংকার করে কাল কেয়ামতে তাদেরকে বিন্দুর আকৃতি দেয়া হবে, সব মানুষ তাদেরকে পদদলিত করবে। আল্লাহর কাছে দাম্ভিক লোক এতটাই অপছন্দের।

অহংকার থেকেই হিংসা, ক্রোধ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার দোষ ঘর করে মনের ভেতর। আভ্যন্তরীণ এমন অসংখ্য রোগ অহংকারীর ভেতরটাকে শেষ করে দেয়। ভালো কোনো গুণই আর সে ধরে রাখতে পারে না।

কারো কাছ থেকে ভালো কোনো উপদেশ গ্রহণের মত তার অবস্থা থাকে না। সবাইকে সে নিজের চেয়ে ছোট মনে করতে থাকে। নিজেকে বড় মনে করার রোগ একবার গেড়ে বসলে ধীরে ধীরে এটা বাড়তে থাকে।একপর্যায়ে সে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সা.-এর নির্দেশনা মান্য করার গুণ থেকেও বঞ্চিত হয়।

অহংকার হৃদয়ের রোগ হলেও এর প্রকাশ বাহ্যিক আচরণের মাধ্যমেই হয়। অন্যদের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য প্রকাশের মাধ্যমে সে তার অহংকার প্রকাশ করতে থাকে। কপাল কুচকে থাকে সব সময়। চেহারায় অন্য রকম একটা ভাব নিয়ে আসে। অন্যদের প্রতি চরম এক ঘৃণা ফুটে ওঠে তার কথাবার্তা ও আচরণে।

হযরত ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, লোকে বলে আমি সম্ভ্রান্ত। অথচ সম্ভ্রান্ত হওয়া বা আভিজাত্য অর্জন করতে হয় তাকওয়ার মাধ্যমে।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট তোমাদের ভেতর সবচেয়ে সম্মানিত হচ্ছে তাকওয়ার অধিকারী। (হুজুরাত, আয়াত: ১৩)

কেউ তাকওয়ার গুণ অর্জন ছাড়া অভিজাত হতে পারে না। সম্পদ, সৌন্দর্য, জ্ঞান, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও অন্য কোনো গুণ নয়, একমাত্র তাকওয়া মানুষকে অভিজাত করে।

আর তাকওয়া যার অর্জিত হবে সে কখনও অন্যকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। নিজেকে সে কখনও অভিজাত বা সম্ভ্রান্ত দাবি করবে না। কারণ গর্ব করা ও দাম্ভিকতা প্রদর্শন আল্লাহর কাছে খুবই অপছন্দনীয়।

অবশ্য সুন্দর ভাবে চলা ও পরিপাটি হয়ে থাকার নাম অহংকার নয়। রাসূল (সা.) বলেন, আল্লাহ সুন্দর, তাই সৌন্দর্য পছন্দ করেন। সুন্দর পোষাক পরার নাম অহঙ্কার নয়, অহঙ্কার হচ্ছে, সত্য অস্বীকার করা আর মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা। (তিরমিযি)

রাসূল (সা.) খুব বিনয়ী ছিলেন। খুব সাধারণভাবে চলা ফেরা করতেন। খাবার খাওয়ার সময় গোলামের মত বসে খাবার খেতেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ নিজের জন্য পৃথক কোনো আসনও তিনি গ্রহণ করেননি। যার ফলে দূর থেকে কেউ এসে সাহাবিদের থেকে রাসূলকে (সা.) আলাদা করতে পারত না।

একটা বাদিও রাসূলকে (সা.) যদি মদীনার পথের মাঝে দাঁড় করিয়ে কথা বলত; রাসূল (সা.) তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন।

হযরত আনাস বর্ণনা করেন, একবার মদীনা মুনাওয়ারায় এক সাধারণ দাসী রাসূলের (সা.) হাত ধরে তার একটি কাজে নিয়ে গেল, রাসূল (সা.) তার কাজ করে দিলেন। অহঙ্কারে হাত ছুটিয়ে নেননি।

মুহাদ্দিস ইবন ওয়াহাব বলেন, একবার আমি আব্দুল আযীয ইবন আবি রাওয়াদের (রহ.) মজলিসে বসলাম। তার পায়ের সঙ্গে আমার পা লেগে গিয়েছিল, আমি পা সরিয়ে নিলে তিনি আমার কাপড় ধরে তার দিকে টান দিলেন। আর বললেন, তোমরা আমার সঙ্গে এমন আচরণ করো কেন? আমি কি অহঙ্কারী রাজা বাদশাহদের মত? খোদার কসম, আমার চোখে তোমাদের ভেতর আমার চেয়ে অধম আর কেউ নেই।

মুসলিম মনীষীদের বিনয়ের অসংখ্য গল্প আছে। আজকে আমরা ইসলামের এ শিক্ষা কতটুকু ধারণ করতে পারছি?

কতটুকু বিনয়ের চর্চা রয়েছে আমাদের ভেতর? জান্নাত পেতে চাইলে অহংকার ত্যাগ করে বিনয়ী হবার বিকল্প কিছু নেই। আমাদের অবশ্যই বিনয়ী হতে হবে।

কারণ আমরা মুসলিম। আর একজন মুসলিম সবসময় উচু পর্যায়ের বিনয়ী ও বিনম্র।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ অহংকারিদের পছন্দ করেন না। (সূরা: নাহল, আয়াত: ২৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (মুসলিম শরিফ)

আমরা আলোচনা করেছিলাম দাম্ভিক ও অভিশপ্ত নমরুদ এবং তার অকল্পনীয় পরিণতি সম্পর্কে।

ইনশাআল্লাহ এ অংশে আলোচনা করব দাম্ভিক ফেরাউন ও তার পরিণতি সম্পর্কে যথাসম্ভব সংশ্লিষ্ট আল্লাহর বাণী বা আয়াতগুলো উল্লেখ করে।

ফেরাউনের দম্ভ বা অহংকার অতুলনীয়, কারণ সে নিজেকে প্রভু বলে দাবি করেছে। তাছাড়া সে ছিল অত্যাচারী, অসংখ্য-অগণিত বনি ইসরাইলের পুত্রসন্তান হত্যাকারী। মূসা (আ.) ও দাম্ভিক ফেরাউন সম্বন্ধে পবিত্র কোরআনে ধারাবাহিকভাবে অনেক আয়াত উল্লেখ আছে, যা নিম্নে বর্ণিত হলো।

আল্লাহর নির্দেশে মূসা (আ.)-এর মাটিতে ফেলে দেওয়া লাঠি যখন সাপ হলো, ফেরাউন ও তার বাহিনী তাতে বিস্মিত হলো।

আবার আল্লাহর নির্দেশে মূসা (আ.) যখন সাপটিকে ধরলেন, তা পুনরায় লাঠি হয়ে গেল। এ দৃশ্য দেখে মূসা (আ)-কে ফেরাউন ও তার বাহিনী ‘জাদুকর’ আখ্যায়িত করল। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিম্নরূপ, যা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে- আল্লাহর বাণী- সূরা আল কাসাস : ৩-১১ (কীভাবে শিশু মূসা আ. ফেরাউনের গৃহে স্থান পেল)। ‘আমি মূসা ও ফেরাউনের কাহিনি থেকে কিছু তোমার কাছে (মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে) সত্যিকারভাবে বিবৃত করছি বিশ্ববাসী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে। বস্তুত ফেরাউন দেশে উদ্ধত হয়ে গিয়েছিল আর সেখানকার অধিবাসীদেরকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে তাদের একটি শ্রেণিকে দুর্বল করে রেখেছিল, তাদের পুত্রদেরকে সে হত্যা করত আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখত; সে ছিল ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী। দেশে যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল আমি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার ইচ্ছা করলাম, আর তাদেরকে নেতা ও উত্তরাধিকার করার (ইচ্ছা করলাম)। আর (ইচ্ছা করলাম) তাদেরকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে, আর ফেরাউন, হামান ও তাদের সৈন্য বাহিনীকে দেখিয়ে দিতে যা তারা তাদের (অর্থাৎ- মূসা আ.-এর সম্প্রদায়ের) থেকে আশঙ্কা করত। আমি মূসার মায়ের প্রতি ওহি করলাম যে, তাকে (মূসাকে) স্তন্য পান করাতে থাক। যখন তুমি তার সম্পর্কে আশঙ্কা করবে, তখন তুমি তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করবে, আর তুমি ভয় করবে না, দুঃখও করবে না, আমি তাকে অবশ্যই তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব আর তাকে রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত করব। অতঃপর ফেরাউনের লোকজন তাকে উঠিয়ে নিল যাতে সে তাদের জন্য শত্রু ও দুঃখের কারণ হতে পারে। ফেরাউন, হামান ও তাদের বাহিনীর লোকেরা তো ছিল অপরাধী। ফেরাউনের স্ত্রী বলল- এ শিশু (মূসা) আমার ও তোমার চক্ষু শীতলকারী, তাকে হত্যা করো না, সে আমাদের উপকারে লাগতে পারে অথবা তাকে আমরা পুত্র হিসেবেও গ্রহণ করতে পারি আর তারা (ফেরাউন ও তার সাথীরা) কিছুই বুঝতে পারল না (তাদের এ কাজের পরিণাম কী)।

মূসা আ.-এর মায়ের অন্তর বিচলিত হয়ে উঠল। সে তো তার পরিচয় প্রকাশ করেই ফেলত যদি না আমি তার চিত্তকে দৃঢ় করতাম, যাতে সে আস্থাশীল হয়। মূসা আ.-এর মা মূসা আ.-এর বোনকে বলল, ‘তার (মূসার) পেছনে পেছনে যাও।’ সে দূর থেকে তাকে দেখছিল কিন্তু তারা (ফেরাউনের লোকজন) টের পায়নি।’ আল্লাহর বাণী- ফেরাউন বলল- ‘হে পারিষদবর্গ! আমি ছাড়া তোমাদের অন্য উপাস্য আছে বলে আমি জানি না। হে হামান! তুমি আমার জন্য ইট পোড়াও এবং একটি সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরি করো; হয়তো আমি তাতে উঠে মূসার মাবুদকে দেখতে পাব। তবে আমি অবশ্য মনে করি যে, সে মিথ্যাবাদী’ (সূরা আল কাসাস-৩৮)।

আল্লাহর বাণী- ‘ফেরাউন ও তার বাহিনী অকারণে পৃথিবীতে অহঙ্কার করেছিল আর তারা ভেবেছিল যে, তাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না’ (সূরা আল কাসাস-৩৯)। এ আয়াতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত ফেরাউন অহংকারী বা দাম্ভিক ছিল।

আল্লাহর বাণী- ফেরাউন বলল, ‘হে মূসা তাহলে কে তোমার রব? মূসা আ. বললেন, ‘আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি সব (সৃষ্ট) বস্তুকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথনির্দেশ করেছেন।’ ফেরাউন বলল ‘তাহলে আগের যুগের লোকদের অবস্থা কী (সূরা ত্ব-হা : ৪৯-৫১)? অর্থাৎ প্রতিপালক বা আল্লাহ সম্পর্কে ফেরাউনের কোনো জ্ঞান ছিল না তাই সে আলোচ্য প্রশ্ন রেখেছিল।

আল্লাহর বাণী- সে (ফেরাউন) বলল ‘হে মূসা, তুমি কি আমাদের কাছে এ জন্য এসেছ যে, তোমার জাদুর দ্বারা আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেবে? তাহলে আমরাও অবশ্যই তোমার কাছে অনুরূপ জাদু হাজির করব, কাজেই একটি মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের ও তোমার মিলিত হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ কর, যার খেলাফ আমরাও করব না আর তুমিও করবে না’ (সূরা ত্ব-হা : ৫৭-৫৮)।

আল্লাহর বাণী- ফেরাউন বলল, ‘তোমরা প্রত্যেক বিজ্ঞ জাদুকরকে আমার কাছে নিয়ে এসো (মূসাকে পরাজিত করার জন্য)। জাদুকররা যখন এসে গেল, তখন মূসা আ. (সে নিজে তার লাঠি নিক্ষেপ না করে) তাদেরকে বলল, ‘নিক্ষেপ করো তোমরা যা নিক্ষেপ করবে’ (সূরা ইউনুস : ৭৯-৮০)।

আয় আল্লাহ! আমাদের কে অহংকারমুক্ত নেক হায়াত দান করুন । আমিন

লেখক: ইসলামী চিন্তাবিদ, সমাজসেবক

।। ড. কামরুল হাসান মামুন।।

সত্যিকারের আদর্শিক মানুষদের শূন্যতা এখন প্রবল। এখন যারা মডেল তারা কি আসলেই আদর্শিক মানুষ? নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন কাদের মডেল ভাবছে? এইভাবে প্রিয় দেশটা আজ দুঃসহ সময় পার করছে। এই পথকে আরও পিচ্ছিল করার জন্য সরকার নতুন একটা শিক্ষাক্রম তৈরি করেছে যার মাধ্যমে উদাহরণ হওয়ার মতো বড় মানুষ তৈরির পথ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ষাট বা আশির দশকেও অনেক বড় আলোকিত মানুষ ছিল। বড় কবি ছিলেন, বড় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, নাট্যকার, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক ছিলেন। যেমন ৬০ ও ৭০ দশকের বাংলাদেশের কবি লেখক কারা ছিলেন—শামসুর রাহমান, হুমায়ুন আজাদ, নির্মলেন্দু গুণ, সৈয়দ শামসুল হক, আসাদ চৌধুরী, শহীদ কাদরী, আবদুল মান্নান সৈয়দ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আহমদ শরীফ, আলাউদ্দিন আল আজাদ, হেলাল হাফিজ, জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, হাসান হাফিজুর রহমান, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, আহমদ ছফা, আলমগীর কবির, মুনীর চৌধুরী, জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান, ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, আলতাফ মাহমুদ, ফজলে লোহানী এইরকম আরও অনেক নাম নেওয়া যাবে।

সবার নাম এই মুহূর্তে মনেও আসছে না। ফজলে লোহানী, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, নিলুফার ইয়াসমিন, আজম খানের মতো গায়ক, জুয়েল আইচের মতো জাদুশিল্পী, আবু হেনা মোস্তফা কামালের মতো গীতিকার কি আমরা তৈরি করতে পারছি?

শুধু জাতীয় পর্যায় না। আমাদের গ্রাম পর্যায়েও উদাহরণ দেওয়ার মতো শিক্ষক ছিলেন, রাজনীতিবিদ ছিলেন, ব্যবসায়ী ছিলেন। এখন চোখ খুললেই স্মার্ট ধান্দাবাজ দেখি, স্মার্ট দুর্নীতিবাজ দেখি, স্মার্ট ঋণখেলাপি, স্মার্ট আমলা দেখি।

ভালো মানুষ কীভাবে তৈরি করতে পারবো? যারা কবি, সাহিত্যিক, লেখক, অভিনেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক হতে পারতো তাদের বিরাট অংশ পড়ে ইংরেজি মাধ্যমে। যারা বাংলাভাষা ঠিক মতো পড়েনি, বাংলা সাহিত্য পড়েনি, বাংলা গান শোনেনি তারা লেখক হবে কীভাবে?

এই যে এত শত শত ছেলেমেয়েরা বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছে তাদের সরকারি চাকরিতে কীভাবে নেওয়া যায় সেই চিন্তা কি কেউ করেছে?
আপন ভাষায় না পড়লে জানা, শেখা ও বোঝা হয় ভাসা ভাসা। এরা ভালো হতে পারতো ছেলেমেয়েদের নির্দিষ্ট অংশ বড় হয় বিদেশে চলে যাবে স্বপ্ন নিয়ে। তাদের স্বপ্নগুলো খুব ছোট। বিদেশে গিয়ে একটু পড়াশোনা করে একটা ছোটখাটো চাকরি পেলেই নিজে এবং তাদের বাবা-মায়েরা সফল মনে করে।

অথচ আমরা যদি বাংলা মাধ্যমকে উন্নত করতে পারতাম এবং ওরা যদি বাংলা মাধ্যমে পড়তো তাদের একটা বড় অংশই লেখক, শিক্ষক, গবেষক হতো। এই ইংরেজি মাধ্যম দিয়ে আমরা কী পাচ্ছি তার কি কোনো গবেষণা আছে? কেউ কি ভাবছে?

৪০ বছরের ইংরেজি মাধ্যম দিয়ে দেশ কী পেল আর কী হারালো? যারা গেল তারা ফিরে আসলেও তাদের কি যথোপযুক্ত চাকরির জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থা? এই যে এত শত শত ছেলেমেয়েরা বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছে তাদের সরকারি চাকরিতে কীভাবে নেওয়া যায় সেই চিন্তা কি কেউ করেছে?

বাংলা মাধ্যমের স্কুল ও কারিকুলামকে নষ্ট করে আমাদের নষ্ট হওয়ার পথ আরও পিচ্ছিল করে দ্রুত সেই পথে নামার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এখন আর কেউ বড় হয় না। যারা বিসিএস পরীক্ষায় বসে তাদের স্বপ্ন থাকে প্রশাসন, রাজস্ব, পররাষ্ট্র বা পুলিশ ক্যাডার হওয়ার। কিংবা শিক্ষা ক্যাডার ছাড়া অন্য যেকোনো ক্যাডার। কেউ শিক্ষা ক্যাডার পেলে তত খুশি হয় না। মন্দের ভালো ভেবে হয়। হলে তাদের কেউ অভিনন্দনের বন্যায় ভাসায় না।

এমনকি শিক্ষা ক্যাডার পাওয়া ব্যক্তিও পরের বছর আবার পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। আশায় থাকে অন্য কোনো ক্যাডারে যাওয়ার। এর কারণ হলো, অন্যান্য ক্যাডারে ক্ষমতা আছে। শিক্ষকের কোনো ক্ষমতা নেই। সরকার নিজের স্বার্থে শিক্ষকতা ও অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে সুযোগ-সুবিধা ও সামাজিক সম্মানের দিক থেকে অনেক বেশি বৈষম্য তৈরি করে রেখেছে।

ক্ষমতার প্রতি আকর্ষণ মানুষের থাকবেই। কিন্তু মানুষ এখন দায়িত্বকে ক্ষমতা হিসেবে ধরে নিয়েছে। কাউকে বঞ্চিত করে বা অত্যাচার করে তার ওপরে আধিপত্য প্রকাশ করাকে তারা ক্ষমতা মনে করে।
শিক্ষক জ্ঞানের ধারা সচল রেখে সমাজকে অজ্ঞানতার আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখে। মুখে সবাই বলে, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ দেখুন! পৃথিবীর যেসব দেশ শিক্ষায় সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর তলানিতে। যতটুকু দেয় তাতেও আছে ছলচাতুরী।

প্রযুক্তির বরাদ্দকেও শিক্ষার সাথে যুক্ত করে দেয়। শিক্ষায় এত কম বরাদ্দ দিলে সঙ্গত কারণেই শিক্ষকদের বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা কম দিতে হবে এবং করাও হয় তাই। তার উপর দেখা যায় একজন প্রশাসন ক্যাডার শিক্ষকের ওপর ছড়ি ঘোরায়। দুইদিন পরপর কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা নিয়ে প্রজ্ঞাপন পাঠায়।

শিক্ষকতা পেশা এমন হওয়া হওয়া উচিত যেখানে শিক্ষকরা মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারে। শিক্ষকদের মুক্ত স্বাধীন জীবন ও নিরাপত্তা না দিতে পারলে শিক্ষকরা সৃষ্টিশীল হবে কীভাবে? প্রশাসন ক্যাডারের প্রশাসকরা ঠিক করে দেয় শিক্ষকের কোথায় বদলি হবে, তার প্রোমোশন হবে কিনা। শিক্ষকরা তো সরকারের কাছে গাড়ি, বাড়ি চায় না। আমলাদের যেখানে গাড়ি উপহার দেওয়া হয়, শিক্ষকদের সেই জায়গায় ভালো বেতন দিতে শত কার্পণ্য।

ক্ষমতার প্রতি আকর্ষণ মানুষের থাকবেই। কিন্তু মানুষ এখন দায়িত্বকে ক্ষমতা হিসেবে ধরে নিয়েছে। কাউকে বঞ্চিত করে বা অত্যাচার করে তার ওপরে আধিপত্য প্রকাশ করাকে তারা ক্ষমতা মনে করে। আসল ক্ষমতা তো পদাধিকার বলে কোনো সেক্টর থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল বের করে আনার মধ্যে।

আমাদের দেশের মানুষের ক্ষমতার প্রতি লিপ্সা অনেক বেশি। এর একটা বড় কারণ হলো, একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের যে ক্ষমতা থাকার কথা, তা এখানে নেই। নেই কোনো নাগরিক অধিকার ও সুবিধা। প্রতিদিন এদেশের নাগরিকরা এত বেশি বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত হচ্ছে যে, যতটুকু ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে, তা-ই আঁকড়ে ধরতে চাচ্ছে। নাগরিক হিসেবে কোনো ক্ষমতা নেই বলেই, ক্ষমতার ক্ষুধা আমাদের এত বেশি।

ড. কামরুল হাসান মামুন ।। অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজ ডেস্ক।।

রাজধানীতে শপিং বা ঘোরাঘুরির জন্য বিভিন্ন মার্কেট আর বিনোদন কেন্দ্রই ভরসা। শুক্রবার প্রায় সবার ছুটি, এই দিনটিতে জরুরি কেনাকাটা সারতে চাইলে জেনে নিন, কোন মার্কেট বন্ধ রয়েছে।

সেগুলো বাদ দিয়ে অন্যগুলোতে যান এই শুক্রবারে।
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চক বাজার, বাবু বাজার, নয়া বাজার, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটরা, বড় কাঁটারা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।

সামরিক জাদুঘর এটি বিজয় সরণিতে অবস্থিত। প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ।

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, আগারগাঁও বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির জন্য বন্ধ থাকে।

শনি থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫টাকা। এছাড়াও শনি ও রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে টেলিস্কোপে আকাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়।

শিশু একাডেমি জাদুঘর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

নিউজ ডেস্ক।।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৩৮
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অধিদপ্তরে ১৩ ক্যাটাগরির পদে ১৬তম গ্রেডে ৬৩৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
• ১. পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ৫৪
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস।

স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ২. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৪৬১
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস।

কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ৩. পদের নাম: ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান (নিম্ন স্কেল)
পদসংখ্যা: ৩৯
যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস।

স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ৪. পদের নাম: স্টোরকিপার
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ৫. পদের নাম: সহকারী স্টোরকিপার/সহকারী গুদামরক্ষক
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ৬. পদের নাম: ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ৪৯
যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ৭. পদের নাম: ড্রাইভার ট্রাক্টর
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ৮. পদের নাম: মিল্ক ভ্যান ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ৯. পদের নাম: ট্রাক ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ৬
যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ১০. পদের নাম: ড্রাইভার (ট্রলি)
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ১১. পদের নাম: ড্রাইভার (লরি)
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ১২. পদের নাম: পিকআপ ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
• ১৩. পদের নাম: ড্রাইভার পাম্প/পাম্প চালক
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে অন্যূন এসএসসি (ভোকেশনাল) বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
বয়সসীমা
১৯ মে, ২০২৪ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীর ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩০ বছর।

আবেদন যেভাবে:
আগ্রহী প্রার্থীদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই লিংক বা এই লিংকে পাওয়া যাবে।
আবেদন ফি:
পরীক্ষার ফি বাবদ মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা বরাবর ২০০ টাকা (অফেরতযোগ্য) ট্রেজারি চালানের (কোড নম্বর ১-৪৪৪১-০০০০-২০৩১ অথবা ১৪৪০৪০১-১২৩৭৫৪-১৪২২৩২৬) মাধ্যমে জমা করতে হবে। অনলাইন আবেদনপত্রে ট্রেজারি চালান নম্বর, তারিখ এবং ব্যাংক ও শাখার নাম উল্লেখ করে আবেদনপত্রের সঙ্গে ট্রেজারি চালানের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৯ মে ২০২৪, রাত ১২টা পর্যন্ত।

বিনোদন ডেস্ক।।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচন আজ (১৯ এপ্রিল)। সকাল নয়টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে মধ্যাহ্নবিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, গণনা শেষে আজই ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে তারা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াই শ পুলিশ সদস্যসহ সাদাপোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি থাকবেন।

ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম বলেন, ভোটকে সুষ্ঠু করতে সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি, কোনো ঝামেলা ছাড়াই ভোট গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করতে পারব।

এদিকে, বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ৫৭১ জন।

ঢাকা: আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্য এবং নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজনে এ নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ইতোমধ্যে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-এমপিদের আওয়ামী লীগ প্রধানের এ নির্দেশনা জানানো শুরু করেছেন।

 এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, দলের মন্ত্রী, এমপি, সাবেক এমপি, বড় নেতাদের ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, ভাই-ভাতিজাসহ আত্মীয় স্বজনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য, যাতে কেউ নির্বাচকে প্রভাবিত করতে না পারে সে জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নাছিম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশের কথা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের জানিয়েছেন। তারা দলের পক্ষ থেকে সভাপতির এ নির্দেশ সব জেলা-উপজেলা নেতা-মন্ত্রী-এমপি যারা আছেন তাদেরকে অবহিত করছেন।

আমরা সবাই বিষয়টি সমন্বয় করছি, যাতে শেখ হাসিনার নির্দেশ কার্যকর হয়।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, এমপি-মন্ত্রীরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

দেশে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে। পরে মেয়াদ শেষ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে।

নিউজ ডেস্ক।।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ আইন জাতীয় সংসদে পাস করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত ১৭ এপ্রিল দুদিনের সফরে কুমিল্লা যান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে। জীবন চলে গেলে আর ফিরে আসে না। যার যায় সে জানে।

প্রান্তিক অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা প্রসঙ্গে সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা উন্নত হলে সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হলে শহরের ওপর চাপ কমবে। প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী চান্দিনায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেছেন। এছাড়া সেখানে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও কুমিল্লা সদর হাসপাতাল এবং ৩১ শয্যার বুড়িচং হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিটের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. টিটো মিঞা।

নিউজ ডেস্ক।।

স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন, কর্মসূচি ও কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণ করতে সব শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে জাতীয় স্কাউট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তন ও নানান ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে। সেগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এছাড়া সামনের দিকে এগিয়ে যেতে, নিজেদের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউটিংয়ের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা ফলাফল দিয়ে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের লেখাপড়া দিয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি করতে পারবো না। স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি করতে না পারলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে যে পরিবর্তনগুলো আসছে সেই পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের প্রজন্মের অনেক কষ্ট হবে।

তাই অভিভাবকদের নিজ নিজ সন্তানকে স্কাউটিংয়ে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকাঃ আগামী ২২শে এপ্রিল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে এখনও পর্যন্ত স্কুলের গরমের ছুটি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি শিক্ষা অধিদপ্তর।

স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি শুরু হয় ৬ই মে কিন্তু গত কয়েক দিনে ধরে রাজ্যের ১৪টি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। রোববার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তীব্র দহনে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যাওয়া আসা কষ্টকর হয়ে উঠেছে, সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরাও। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা দফতর এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশিকায় ছুটির কথা জানায়নি। তবে মঙ্গলবার (১৬ই এপ্রিল) নবান্নে মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকের নেতৃত্বে ডাকা বৈঠকে ২২শে এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি শুরু হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

ছুটির দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও স্কুল কবে খুলবে, তা বলা হয়নি। কবে স্কুল খুলবে, তা অবস্থা বুঝে জানাবে রাজ্য সরকার। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আগামী সপ্তাহে আগামী কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। এ আবহে তীব্র গরমের কারণে স্কুলে আসতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১২৫৭ ও ২০০১ পয়েন্টে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

বৃহস্পতিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ২০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টি কোম্পানির শেয়ার।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, গোল্ডেন সন, ফুওয়াং সিরামিক, লাভেলো আইসক্রিম, ফার্স্ট প্রাইম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বেস্ট হোল্ডিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, ফুওয়াং ফুড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

এর আগে এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৬ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে ২৫ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচকের গতি নিম্নমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ের মধ্যে ১১টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১৮/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram