শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

‘পরীক্ষা না দিতে পারলে মরে যাব স্যার’, রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর গড়াগড়ি পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে না পেরে কেন্দ্রের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় শুয়ে পরীক্ষার্থীর আহাজারি
রাজশাহী: ‘স্যার এবারের জন্য হলেও আমাকে পরীক্ষা দিতে দিন, এটা আমার জীবনের শেষ পরীক্ষা। তা না হলে আমি মরে যাব স্যার! একটা সুযোগ দিন স্যার।

এমন আকুতির কথা বলতে বলতেই পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান ফটক টপকিয়ে হলে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ফাহাদ ফয়সাল। কিন্তু পুলিশ তাকে বাধা দিয়ে ফের ফটকের বাইরে বের দেন।

ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে পরে ফাহাদ রাস্তায় শুয়ে পড়েন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখনও তিনি বার বার বলছিলেন- ‘আমি মরে যাব, এই পরীক্ষা না দিতে পারলে আমি মরে যাব স্যার।

আমি আর বাঁচবো না। ’
তবে এত আহাজারির পরও ওই ফাহাদ পরীক্ষা দিতে পারেননি।

কাঁদতে কাঁদতে কেন্দ্র থেকে ফিরে যান ভাঙা মন নিয়েই।
এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের পেছনে থাকা মসজিদ মিশন একাডেমি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে।

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কথা ছিল ফাহাদ ফয়সালের। ফাহাদ ফয়সালের বাড়ি নওগাঁ জেলায়।

ফাহাদের বিসিএস পরীক্ষা দিতে না পারার কারণ হিসেবে জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল সকাল ১০টায়। নিয়ম ছিল তার আধাঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। ফাহাদ কেন্দ্রের সামনে এসেছিলেন ৯টা ৪০ মিনিটে। এরইমধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভেতরে ঢুকতে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন ফাহাদ। কিন্তু পুলিশ রাজি হয়নি। এতেই ফাহাদের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।

এই কষ্টে তিনি কেন্দ্রের সামনেই চিৎকার করে কেঁদেছেন। রাস্তায় মাথা ঠুকরে গড়াগড়ি খেয়েছেন আজ। আহাজারি করেন। তবুও মন গলেনি কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টদের।

এই ঘটনার সময় ওই রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকার পর ফাহাদ সেখান থেকে উঠে চলে যান। পরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক নূর আহমেদ মাছুম বলেন, কয়েকদিন আগে চেয়ারম্যান সব কেন্দ্রসচিবদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মিটিং করেন। তিনি নির্দেশ দেন, পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ না করলে তাকে যেন আর ঢুকতে দেওয়া না হয়। সেই নির্দেশনাই আজ পরীক্ষা গ্রহণকালে বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। ওই পরীক্ষার্থীরই সময়মতো আসা উচিত ছিল। এজন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীর ২৯টি কেন্দ্রে আজ বিভাগের আট জেলা থেকে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩১ হাজার ৯৪৭ জন। এরমধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ২৪ হাজার ১১৮ জন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা চলাকালে শাহ মখদুম কলেজ কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অন্য কেন্দ্রেগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক রেখে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
কমিটি অনুমোদন দিয়ে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফিকে।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসানকে (রাজিব)। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর রিয়াজ মাহমুদকে সভাপতি ও সাগর আহমেদ শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং রাজিবুল ইসলাম বাপ্পীকে সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থামছেই না বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের সমর্থনে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার আটলান্টার এমরি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষোভ দমনে রাসায়নকি গ্যাস প্রয়োগ করে পুলশি। এছাড়া বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে বিক্ষোভোর মুখে লস এঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব সাউর্দান ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।

এর আগে ম্যাসাচুসটেস অঙ্গরাজ্যে এমারসন কলেজ থেকে ১০৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলী হামলার শিকার ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু ইসরায়েলপন্থী সমর্থকসহ অন্যরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এতে এন্টি সেমেটিক নানা ঘটনা বেড়ে যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসগুলোতে ভীতিপ্রদর্শন ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে উৎসাহিত করছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

এ প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ক্যাম্পাসে বাক স্বাধীনতা, বিতর্ক ও বৈষম্যহীনতাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু যখন আমরা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের কথা বলি, যখন সহিংসতার কথা বলি তখন আমাদের এটাকে বন্ধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ২শ’রও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।

এ প্রেক্ষিতে বিশেষ করে তরুণ আমেরিকানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কলম্বিয়া, ইয়েল, টেক্সাসসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এবার পরীক্ষা দিলেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হয় বেলা ১২টায়।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সাতটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন জানান, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে পরীক্ষা। এখন থেকে প্রতিবছর একটি বিসিএস পরীক্ষার সব ধাপ শেষ করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

এর আগে পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে চলে আসেন। পরীক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবক ও স্বজনরাও আসেন। তারা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করেন।

পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করেন। এসময় কেন্দ্রের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করান। সকাল সাড়ে ৯টার পর পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়।

তবে সাড়ে ৯টার পরও যারা এসেছেন তাদের বিশেষ বিবেচনায় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সব প্রক্রিয়া শেষ করেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড পাচ্ছেন না ৫ লাখের মতো আবেদনকারী। ঢাকার এক সার্কেলেই আটকে আছে প্রায় দেড় লাখ আবেদন। কারণ কার্ড সরবরাহ করতে পারছে না সংস্থাটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট কার্ডের আশায় মাসের পর মাস বিআরটিএ’র জেলা ও সার্কেল অফিস থেকে প্রধান কার্যালয়ে ঘুরছেন লাইসেন্সপ্রত্যাশীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড না মেলায় চাকরি পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চালক পদে আবেদনকারী অনেকেই। জীবিকার তাগিদে অনেকের বিদেশযাত্রাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া লাইসেন্স নবায়ন করে স্মার্ট কার্ড না পাওয়ায় কাজ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেক পেশাদার চালক।

বিআরটিএ’র তথ্যমতে, কার্ডের সংকট থাকায় ৫ লাখের মতো আবেদন ঝুলে আছে। ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ (মিরপুর) এই এক সার্কেলেই আটকে আছে ১ লাখ ৪৮ হাজার আবেদন। ঢাকা জেলা সার্কেল ইকুরিয়াতে আছে ৪০ হাজার। তবে জরুরি প্রয়োজনে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে স্মার্ট কার্ড পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সংখ্যা খুবই কম। সম্প্রতি বিমানবন্দরে কার্ডের বড় একটি চালান এসেছে।

বিআরটিএকে লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেড। তারা বলছে, ডলার সংকটের জন্য তারা কার্ড আমদানি করতে পারছে না। যখন চুক্তি হয় তখন ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৫ টাকা; যা এখন ১০৯ টাকা।

মাদ্রাজ প্রিন্টার্সের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক আশরাফ বিন মুস্তফা বলেন, আমদানি জটিলতায় কার্ড আনতে কিছু সমস্যা আছে। সেই সঙ্গে ডলারের একটা ক্রাইসিস আছে। কার্ড যদি থাকে তাহলে ৩ মাসের মধ্যে ৫ লাখ কার্ড প্রস্তুত করার সক্ষমতা আমাদের আছে। তবে আশা করি সামনে এই কার্ড সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড নিয়ে ভোগান্তি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, একটি স্মার্ট কার্ডের জন্য মানুষ বছরের পর বছর বিআরটিএতে ঘুরেও কার্ড পাচ্ছে না। বিশেষ করে যারা বিদেশে যেতে চান ড্রাইভিং ভিসায় তারা এই কার্ডের জন্য যেতে পারছেন না। আর অনেক চালক আছেন নতুন করে লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে তাদের কার্ড এখনো পাননি। অনেক চালক ভালো কোম্পানিতে চাকরি পাচ্ছেন না এই কার্ডের জন্য। অনেকে বেকারও হয়ে গেছেন। তা ছাড়া সরকার এত টাকা বরাদ্দ দেয় বিআরটিএকে। একটি মেশিন কিনে বিআরটিএ তো চাইলে নিজেরাই কার্ড তৈরি করতে পারে। তাহলে এই কার্ডের জন্য মানুষকে আর ভোগান্তি পোহাতে হয় না।

স্মার্ট কার্ডের সংকটের বিষয় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বিআরটিএ এখন অনেক আধুনিক হয়ে গেছে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যায়। স্মার্ট কার্ডের কিছু সংকট আছে। তবে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য যাদের কার্ড প্রয়োজন তাদের আবেদনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তা ছাড়া বিমানবন্দরে তিন লাখের মতো কার্ড এসে গেছে। আশা করছি খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই। এ সময় দিনে গরম তো থাকছেই, রাতে যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তাও অব্যাহত থাকতে পারে। তবে মে মাসের শুরুতে তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ২ মে থেকে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী মাসের শুরুতে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তখন ঐ দুই বিভাগে গরমের কষ্ট কমে আসতে পারে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে অবশ্য রাজধানী ঢাকা এবং রাজশাহী ও খুলনার মতো এতটা উষ্ণতা নেই। তবে মে মাসের বাকি সময়জুড়ে উত্তরেও গরমের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের অন্তত ১৪টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। অর্ধেকের বেশি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।

আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ওঠে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম বলেন, এপ্রিল ও মে এমনিতেই সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এবার পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হয়ে লাওস পর্যন্ত আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর তা অন্তত ২০০ পরীক্ষার্থীর কাছে বিক্রির চুক্তি করেছিলেন অসীম গাইন নামে এক ব্যক্তি। তাদের থেকে ‘চাকরি নিশ্চিত’ করা পর্যন্ত ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকায় এ চুক্তি হয়। প্রথম দফায় ২-৫ লাখ টাকা করে নিলেও বাকি টাকার জন্য চেক নিয়েছিলেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

অসীম গাইনের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী আপন ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইন ও তার বন্ধুদের দিয়ে চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে বড় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তিনি।

গত ২৯ মার্চ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা হয়। এ পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) ২১ জেলার ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তবে পরীক্ষার দিনই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে গিয়ে মাদারীপুরের পাঁচটি কেন্দ্র থেকে সাতজন এবং রাজবাড়ীর একটি কেন্দ্র থেকে এক পরীক্ষার্থী গ্রেফতার হন। এরপরই বেরিয়ে আসে অসীম গাইনের নাম। ঘটনাটি ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে গত ২১ এপ্রিল রাতে ঐ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর। আর বৃহস্পতিবার ঐ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় ডিবি পুলিশ।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ঐ প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা পলাতক অসীম গাইন। তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। পাশাপাশি মানব পাচারেও জড়িত ঐ ব্যক্তি। অবৈধ টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো জানান, অসীম গাইন প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। এরপর সেটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তার ভাতিজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জ্যোতির্ময় গাইনের কাছে পাঠাতেন। জ্যোতির্ময় তার বন্ধুদের নিয়ে জগন্নাথ হলে বসে প্রশ্নের সমাধান করে তা অসীমের মোবাইল ফোনে পাঠাতেন। অসীম তা তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ জানান, মাদারীপুর জেলা পুলিশের তথ্যে তাদের সাইবার ইউনিট প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত শুরু করে। এরপর চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিস্তারিত জানিয়েছেন। জব্দ করা ডিভাইস ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পরীক্ষার আগেই অসীম গাইন প্রশ্ন পেতেন। এখন এ প্রশ্ন তিনি কোথা থেকে পেতেন, সেই তদন্ত চলছে। পুরো বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সূত্র জানায়, মাদারীপুর পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সমাধান সেলের হোতা ঢাবি ছাত্র জ্যোতির্ময় গাইন ও তার বন্ধু ঢাবি ছাত্র সুজন চন্দ্র রায়, মনীষ গাইন, পংকজ গাইন ও লাভলী মণ্ডলকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে পংকজ, লাভলী ও মনীষ গাইনের স্ত্রী ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। মনীষের স্ত্রীর তিন মাসের সন্তান থাকায় মানবিক কারণে এখনই আইনের আওতায় আনা হয়নি। ঐ ঘটনায় আরো অনেকেই পলাতক রয়েছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার জ্যোতির্ময় জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তার চাচা অসীম গাইন পরীক্ষার দিন সকালে (২৯ মার্চ) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশ্নপত্র পাঠান। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী তার নেতৃত্বে জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবনের ২২৪ নম্বর কক্ষে বসে তারা প্রশ্নপত্র সমাধান করে দ্রুত তা চাচার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দিতেন। পরে চাচা অসীম গাইন চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে সমাধান পাঠান। এজন্য চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীরা আগেই কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে অবস্থান করতেন।

জ্যোতির্ময় জানান, প্রশ্নপত্র সমাধানে তার সঙ্গে সুজন, বেনু ও রনি বিশ্বাস ছাড়াও বুয়েটের আরো ৪ ছাত্র ছিলেন। ওই ছাত্রদের তিনি নাম জানেন না। তার চাচা তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য ৪৬তম বিসিএস (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল গ্রেফতারদের। কিন্তু অপকর্ম করে তারা এখন গোয়েন্দা হেফাজতে। বুয়েটের যে ৪ ছাত্রের বিষয়টি এসেছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, পরীক্ষার দিনই জেলা ডিবি পুলিশ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ডিভাইসসহ সাত শিক্ষার্থীকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অসীম গাইনের নাম বেরিয়ে আসে। ওই ঘটনায় আটক সাত পরীক্ষার্থী, অসীম গাইনসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তবে গ্রেফতারের আগেই অসীম গাইন আগাম জামিন নেন। তিনি পালিয়ে বিদেশ চলে গেছেন বলে তথ্য রয়েছে। মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার পরীক্ষার্থীরাও জামিনে বেরিয়ে গেছেন।

অবশ্য মাদারীপুর জেলা পুলিশ ও ঢাকার গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সূত্র জানায়, গ্রেফতার জ্যোতির্ময় গাইনের আপন বড় ভাই ও পলাতক অসীম গাইনের ভাতিজা সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে ঢাকায় একটি লিগ্যাল অফিসে কর্মরত। মূলত তার প্রভাবেই আসামিদের জামিন হয়। এছাড়া অসীম গাইন আগাম জামিন নেয়ার দিন মাদারীপুরের একজন জনপ্রতিনিধির আপন ছোট ভাইয়ের গাড়িতে করে আদালতে হাজির হন। পুলিশের পক্ষ থেকে তার রিমান্ড আবেদন করা হলেও তা খারিজ হয়। এরপর ওই জনপ্রতিনিধির ভাইয়ের গাড়িতে করেই তিনি আদালত চত্বর ছাড়েন।

এদিকে গতকাল ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মনীষ গাইন, পংকজ গাইন ও লাভলী মণ্ডল। জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্র রায়ের প্রথম দফা রিমান্ড শেষে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে ফের দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজধানীর মুগদায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মাহিন আহমেদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মাহিন মতিঝিল আইডিয়ালের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।

মাহিন মুগদার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বন্ধুদের দেখা করতে বাসা থেকে বের হয় মাহিন। পরে মদিনাবাগ এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি ধাক্কা দেয় মাহিনকে। প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলেকে হারিয়ে বাবা মাসুম মিয়া স্তব্ধ। বাবা-মায়ের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে মুগদার বাতাস। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

মাহিনের মা জোছনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যায় বলল, সে চাচার বাসায় যাবে। আমি মানা করে বললাম, কাল সকালে যেও। মাহিন বলল, খেলাধুলা করে সন্ধ্যার চাচার বাসায় চলে যাবে। আর মাহিন ফিরল না।’

মাহিনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বড়ভাই মাহফুজও। স্বজনদের দাবি, ময়লার গাড়িটি খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন দুর্ঘটনায় মাহিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক শেষ করেছেন রাইসুল ইসলাম সাগর। উচ্চশিক্ষা নিতে যেতে চান অস্ট্রেলিয়া। শুরু করেছেন প্রক্রিয়াও। এখন প্রয়োজন তার মূল সনদ, যা সমাবর্তন ছাড়া কোনোভাবেই দিতে চাইছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেও লাভ হয়নি সাগরের। বাধ্য হয়ে সমাবর্তনের অপেক্ষায় তিনি।

সাগরের মতো হাসনাত আবদুল হাইও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করেছেন। একাধিক চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় মূল সনদ দেখাতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। হাসনাত আবদুল হাই বলেন, কবে সমাবর্তন হবে, সেটার জন্য তো চাকরির ইন্টারভিউয়ের তারিখ আটকে থাকে না। এ সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি।

শুধু সাগর ও হাসনাতই নন, দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই গ্র্যাজুয়েশন শেষে এমন বিড়ম্বনায় পড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সমাবর্তন ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সনদ দিতে আইনি কোনো বাধা নেই। সমাবর্তনের দোহাই দিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সনদ আটকে না রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা সনদ দিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। সুতরাং সমাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত সনদ আটকে না রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালিকানা দ্বন্দ্ব, নিয়মিত উপাচার্য না থাকা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি বিধান না মানাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তনের অনুমোদন দেয় না সরকার। এ অজুহাতে হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েটের সনদ আটকে রাখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

সমাবর্তন ছাড়া মূল সনদ দিতে না চাওয়ার অভিযোগ থাকা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে । তারা এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে রাজি হননি।

রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে  বলেন, ‘সমাবর্তন ছাড়া গ্র্যাজুয়েটদের মূল সনদ না দিতে কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় সমাবর্তনের তারিখ নিতেও সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি হয়। সেসময় এটিকে (শিক্ষার্থীদের সনদ আটকে আছে) কারণ দেখিয়ে সুবিধা (দ্রুত তারিখ পাওয়া) নেওয়া যায়।’

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

শেষ হেলো ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হয় বেলা ১২টায়। কিন্তু সময়ের মারপ্যাঁচে মাত্র এক মিনিটের জন্য দেশের সবচেয়ে মর্যাদাবান এ চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি অনেক শিক্ষার্থী।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অর্থাৎ, সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করার নির্দেশনা ছিল পিএসসির পক্ষ থেকে। নিয়ম মেনে অধিকাংশ পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারলেও ঢাকার তেজগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ২০ জনের মতো পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট দেরি হওয়ায় গেট আটকে দেয়া হয়।

ভুক্তোভুগী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, শেষ সময়ে কোনো রকম সতর্ক বার্তা না দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়ায় তারা পরীক্ষা দিতে পারেননি।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণ ছিলেন। কিন্তু কোন সতর্কবার্তা না দেয়ায় তারা সময় হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ফলে যখন গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তখন দ্রুত গিয়েও কোন লাভ হয়নি। অনেক আকুতি-মিনতি করলেও গেট খুলে দেয়া হয়নি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।

জানা গেছে, ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। তিনি পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান নূর নামের এক পরীক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা আমার শেষ বিসিএস। কক্সবাজারে চাকরি করায় সেখান থেকে এসেছিলাম পরীক্ষা দিতে। ঠিক ৯টা ৩১ মিনিটে আমি গেটের সামনে আসলেও তারা ঢুকতে দেয়নি। কোন প্রকার সতর্কতা না দেয়ায় এমন হয়েছে। অনেক মানুষ সেখানে অনুরোধ করেছে, কিন্তু কোন অনুরোধই শোনা হয়নি।

এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

পরে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশের নিয়ম ছিল। বলা হয়েছিল, কোনো শিক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসতে না পারলে সে পরীক্ষার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এখন একজন এক মিনিটের কথা বলবে, আরেকজন দুই মিনিট, পাঁচ মিনিটের কথা বলবে। এভাবে শুনতে থাকলে তো পরীক্ষা নেয়া যাবে না।

শিক্ষাবার্তা/জামান/২৬/০৪/২৪

রায়হান আহমেদ।।

তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস। সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। জলবায়ু, পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কেউ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন গাছ লাগাতে। কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন গাছ লাগানোর, কোনো সংগঠন আবার নিয়েছে উদ্যোগ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, গাছ লাগালেই কি গরম কমে যাবে? কে গাছ লাগাবে, কোথায় লাগাবে, কখন রোপণ করতে হবে- এসব নিয়েও রয়েছে বিস্তর মত। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসলে সমাধান কোন পথে?

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ফের আলোচনার কেন্দ্রে। তিনি বলছেন, ‘নগর বন’ গড়ে তোলার কথা। ঢাকার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘কুলিং স্পেস’ র ব্যবস্থা, আরও বেশি গাছ লাগানোয় গুরুত্বের কথা বলছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তাপপ্রবাহ দীর্ঘদিনের পরিবেশ দূষণের ফলাফল। মানুষের মাধ্যমে এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সবুজায়নের মাধ্যমে তাপপ্রবাহ কমানো সম্ভব।

চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশ্লেষক জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজধানীতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চেয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনে সবুজ কম। দক্ষিণে বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অনেক সবুজ জায়গা আছে। অথচ রাজধানীর উত্তর-পূর্ব পাশে তেমন সবুজায়ন নেই।’

গাছ লাগানোর জন্য সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন গাছ লাগালে যে পরিমাণ পানি দরকার সেই জোগান আমরা দিতে পারবো না। এজন্য যখন বৃষ্টি শুরু হয়, মাটিতে রস আসে তখন গাছ লাগাতে হয়।- পবা সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সুমন

‘বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প গড়ে উঠলেও জায়গাগুলোত সুবজায়ন নেই। সেখানে শুধু কংক্রিটের বিল্ডিং। এক্ষেত্রে উত্তর সিটিতে গাছ লাগানোর ওপর জোর দিতে হবে। পুরো শহরের অবস্থা চিন্তা করলেই দেখা যায় ঢাকা তো মরুভূমির শহর নয়, বাংলাদেশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশ।’

এই জলবায়ু বিশ্লেষক বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে গাছ লাগিয়ে কত ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রশমন করতে পারবো। গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ বেষ্টনী করে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমানো সম্ভব। আমাদের শহরের আয়তন ও জনসংখ্যা অনুযায়ী কমপক্ষে ২৫ শতাংশ গ্রিনারি দরকার। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সামনে আরও খারাপ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে গ্রিনারির চাহিদা আরও বাড়বে।’

সবুজায়ন বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার একটা মেগা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। বাড়িতে বাড়িতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছ লাগানোর একটা উৎসব তৈরি করতে হবে। প্রশাসন প্রাইভেট কম্পাউন্ডে গাছ লাগানোর বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে পারে। যেমন গাছ না লাগালে নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে হবে, আবার গাছ লাগালে ট্যাক্স কমাতে হবে। আমাদের পরিকল্পনাগুলো যথাযথ হচ্ছে না। এজন্য পাঁচ বছরের বেশি পরিকল্পনা টেকে না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদের ৩০ থেকে ৫০ বছরের পরিকল্পনা নিতে হবে। তাহলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।’

শহরে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হলেও রাজধানীর অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের ‘ঢাকা নগরীর সবুজ এলাকা এবং এর রাজনৈতিক অর্থনীতি’শীর্ষক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ঢাকা মহানগরে ২০ শতাংশ সবুজ এলাকা থাকা প্রয়োজন, সেখানে আছে সাড়ে ৮ শতাংশের কম। এছাড়া কোথায় কোন গাছ লাগাতে হবে, কোন স্থানে কোন গাছ প্রযোজ্য এবং সেটি দীর্ঘমেয়াদি হবে কি না- এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পরিকল্পনার অভাবকে দায়ী করছেন তারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান ও রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মোহাম্মদ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৃক্ষরোপণটা এক প্রকার বিজ্ঞানভিত্তিক। এখন সবাই হাইপ তুলছে গাছ লাগানোর। কিন্তু গাছ লাগানোর আদর্শ সময় বর্ষাকাল। আমাদের নগর কর্তৃপক্ষের মাথায় রাখতে হবে স্থান অনুযায়ী কোন কোন প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে রাস্তার পাশে, বাড়ির আঙিনা, পার্ক ও মাঠ, বাড়ির ছাদ একেক জায়গায় ক্যাটাগরি অনুযায়ী গাছ লাগাতে হবে। যেন সেটা দীর্ঘমেয়াদি হয়, কাটা না লাগে। কিন্তু এসব পরিকল্পনা করে শহরে সবুজায়ন হচ্ছে না।’

আমাদের শহরে রাস্তার পাশে কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী প্ল্যান্টেশন হচ্ছে না। প্রশাসনের বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে, কিন্তু প্রকল্পে ল্যান্ড আর্কিটেক্ট ও উদ্ভিদবিদ রাখা হয় না। এটা বড় সমস্যা।- বুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম

এই নগর পরিকল্পনাবিদ আরও বলেন, ‘আমাদের শহরে শুধু প্রকল্প অনুযায়ী গাছ লাগানো হয়। অথচ পুরো শহরটাকে কীভাবে সবুজায়ন করা যায় সে পরিকল্পনা নেওয়া হয় না। আমরা এখন গাছ লাগালে সেটার ফলাফল পাবো পাঁচ থেকে ১০ বছর পর। আর এখন যে গাছপালা আছে না কেটে যদি পরিচর্যা করা হয় আমরা এখনই সুফল পাবো। এখন কী পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে, কোন এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে লাগাতে হবে- এসব বিষয় পরিকল্পনায় থাকতে হবে। যথাযথ পরিকল্পনা না থাকার কারণে আমরা এ তাপমাত্রা ভোগ করছি।’

‘প্রশ্ন হলো গাছ লাগানোর পরিকল্পনাটা করবে কে? এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও বন বিভাগের সমন্বয় থাকতে হবে। বন বিভাগ তাদের পরামর্শ দেবে। আর উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও আর্কিটেক্টদের এই পরিকল্পনায় সংযুক্ত করতে হবে। আমাদের সিটি করপোরেশনের বাজেটগুলোতে পরিবেশ নিয়ে তেমন বাজেট হয় না।’ -যোগ করেন আদিল মোহাম্মদ খান।

সারাদেশে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার জন্য শহরের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বনাঞ্চল বাড়াতে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পনার ওপর জোর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আঞ্চলিকভাবে প্রশাসনকে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সুমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গাছ লাগানোর জন্য সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন গাছ লাগালে যে পরিমাণ পানি দরকার সেই জোগান আমরা দিতে পারবো না। এজন্য যখন বৃষ্টি শুরু হয়, মাটিতে রস আসে তখন গাছ লাগাতে হয়। উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হওয়ার পর এখন সবাই সমাধান খুঁজছে। সবাই এখন বুঝতে পারছে যে আসলে চারপাশে পর্যাপ্ত গাছপালা নেই। আমাদের গ্রাম পর্যায়েও এখন তাপমাত্রা বেশি অনূভূত হচ্ছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গায় এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেখানেও গাছপালা নিধন হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত স্থানীয় বন অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেখানেও বৃক্ষরোপণে জোর দেওয়া।

পরিবেশকর্মী মেজবাহ উদ্দিন সুমন বলেন, ‘আমি মনে করি গাছ লাগানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দরকার। সেটি আমাদের শহরে আছে কি না সেটা বিবেচনার বিষয়। বড় জায়গায় গাছ লাগাতে পরিকল্পনা ও সময় নিয়ে গাছ লাগাতে হয়, যেন সেটি দীর্ঘমেয়াদি হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হঠাৎ করেই চেঞ্জ হয় না। আমাদের চারপাশে যে জলাভূমি ছিল, যে সবুজ ছিল সেটি এখন আর নেই। শুধু গাছ নয়, জলাশয় আমাদের শহর ঠান্ডা রাখে। একইভাবে গ্রামেও ঢাকার আজকের অবস্থা একদিনে হয়নি। একটা সময় এই জলাশয় গ্রীষ্মকালেই টইটম্বুর করতো। আজ আমাদের মাইলের পর মাইল সেই জলাশয় নেই।’

বুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের শহরে রাস্তার পাশে কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী প্ল্যান্টেশন হচ্ছে না। প্রাশাসনের বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে, কিন্তু প্রকল্পে ল্যান্ড আর্কিটেক্ট ও উদ্ভিদবিদ রাখা হয় না। এটা বড় সমস্যা। ক্লাইমেট চেঞ্জের ফলে এমন পরিস্থিতি হবে সেটি কিন্তু আগে থেকেই আমরা অনুমান করেছি। সে অনুযায়ী আমাদের ঠিকঠাক নগরকে সাজাতে পারিনি।’

আমাদের শুধু গাছ লাগালে হবে না। গাছের পরিচর্যা করতে হবে। কেমন পরিবেশে কী ধরনের গাছ লাগবে, সেই গাছ বেড়ে উঠতে পারবে কি না সেই পরিকল্পনা আমাদের কর্তৃপক্ষ নিতে পারে না।- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান

‘গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমি মনে করি প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। বর্তমানে নতুন যে বাড়িগুলো হচ্ছে সেখানে তো রাজউকের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাউন্ড কাভারে ৪০ শতাংশ জায়গায় মাটি থাকার কথা। এই জায়গাগুলোতে গাছ রোপণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সবার বাসাবাড়ির ছাদ বা আঙিনায় গাছ লাগিয়ে সহায়তা করতে পারে।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন শাখার উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আসলে অ্যাডভোকেসি করি। গাছ লাগানো তো আমাদের দায়িত্ব নয়। এটা সিটি করপোরেশন, রাজউক ও স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব। আমরা শুধু পরামর্শ দেই। বর্তমান হিট আইল্যান্ড থেকে বাঁচতে কী ধরনের পদক্ষেপ দরকার সেটি নিয়ে আমাদের কাজ হচ্ছে।’

‘এরই মধ্যে একটা প্রজেক্ট চলছে সেখানে সিটি করপোরেশন, রাজউক, অন্য স্টেকহোল্ডারসহ সবাই মিলে পরামর্শ করছি কীভাবে আমরা এ সমস্যা থেকে বের হতে পারি। আমরা এখন ব্লু অ্যান্ড গ্রিন বুক এবং জলাধার- দুইটার জন্যই কাজ করছি। এই প্রজেক্ট শেষ হলেই রাজউক সিটি করপোরেশনকে পরামর্শ দেবো তারা সে অনুযায়ী কাজ করবে।’

জোর দিতে হবে পরিচর্যায়
এদিকে রাজধানীতে সবুজায়নের অভাব থাকলেও যেটুকু আছে সেটুকুর সুষ্ঠু পরিচর্যা হচ্ছে না। প্রায় সময় রাস্তার পাশে ও সড়কে বিভাজকের গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। পার্কের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। গত বছরও রাজধানীর সাতমসজিদ রোডের সড়ক বিভাজকের অসংখ্য গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনসহ নানা মহল আন্দোলন-সংগ্রামও করেছেন। সেজন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী গাছ লাগানো ও যেটুকু সবুজায়ন রয়েছে সেটুকু ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের শুধু গাছ লাগালে হবে না। গাছের পরিচর্যা করতে হবে। কেমন পরিবেশে কী ধরনের গাছ লাগবে, সেই গাছ বেড়ে উঠতে পারবে কি না সেই পরিকল্পনা আমাদের কর্তৃপক্ষ নিতে পারে না। আমরা প্রায়ই দেখি রাস্তার মানুষ ছায়া ঘেঁষে হাঁটে। সবাই একটু ছায়া খোঁজে, অথচ শহরে সবুজ নেই। রাস্তার পাশে এমন গাছ লাগানো উচিত যেন সে গাছ কয়েক বছর যেন কাটা না পড়ে। এক্ষেত্রে ওষুধি গাছ, ফুলের গাছসহ পাতা বেশি উৎপাদন হবে এমন গাছ লাগানো উচিত।’

‘আমাদের পার্কগুলোতে কংক্রিটের কারণে দিন দিন গাছগুলো মরে যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় কংক্রিট থাকার কারণে গাছটি মারা গেলে সেখানে অন্য গাছ রোপণ সম্ভব হয় না। এভাবে যে আমাদের সবুজ নিধন হচ্ছে। একটা পার্কে হাঁটাচলা বসার সব জায়গা হচ্ছে অথচ সেখানে একটা গাছ কীভাবে বেড়ে উঠবে সে ব্যবস্থা করা হয় না। গাছটি কীভাবে পুষ্টি পাবে, রস পাবে সে পরিকল্পনা নেওয়া হয় না। এজন্য গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছের পরিচর্যার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, তাহলে সুবজায়ন বাড়বে।

ঢাকা: ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ (শুক্রবার)। ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

বিভাগীয় শহর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে মোট তিন লাখ ৩৮ হাজার প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এ বিসিএসে তিন হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

এতে সহকারী সার্জন নেওয়া হবে এক হাজার ৬৮২ জন, আর সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে ১৬ জন।
শিক্ষা ক্যাডারে ৫২০, প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জন নেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোয় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ ও লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram