রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক।।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, নিম্নচাপটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৭টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গ্রন্থগুলো হলো- শেখ হাসিনা সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর রচনাবলি, আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি, বাংলা একাডেমি পত্রিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী সংখ্যা, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী : পাঠ বিশ্লেষণ, কারাগারের রোজনামচার : পাঠ বিশ্লেষণ, আমার দেখা নয়াচীন : পাঠ বিশ্লেষণ।

বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমি আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে তিনি বাংলা একাডেমিতে উপস্থিত হন। তার সঙ্গে রয়েছেন জাতির পিতার আরেক কন্যা শেখ রেহানা।

বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রূপা চক্রবর্তী ও শাহাদাত হোসেন নিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও ভাষাপ্রেমী-বইপ্রেমীরা উপস্থিত রয়েছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে বিদ্যমান ইটভাটার ৬০ শতাংশই অবৈধ। এসব ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সারাদেশে (জুন ২০২২ পর্যন্ত) মোট ইটভাটার সংখ্যা সাত হাজার ৮৮১টি। এর মধ্যে তিন হাজার ২৪৮টি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাকি চার হাজার ৬৩৩টি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৭৭২টি অভিযান পরিচালনা করে তিন হাজার ৩৭টি ইটভাটার থেকে ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৯০৭টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৮০ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সরকারদলীর এমপি এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশেরর শহরগুলোতে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। আগামী ২০২৫ সালে দৈনিক বর্জ্য ৪৭ হাজারে উন্নীত হবে।

তিনি আরও জানান, কঠিন বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশ (বর্তমানে তিন হাজার টন) প্লাস্টিকজাত।

সরকারি দলের আরেক এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি নমুনা শুমারি (শস্য) ২০২০ অনুসারে, বর্তমানে দেশে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৭ হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪২ একর। দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ শূণ্য দশমিক শূণ্য দুই শতাংশ হারে কমছে বলে মন্ত্রী জানান।অবৈধ এসব ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সারাদেশে (জুন ২০২২ পর্যন্ত) মোট ইটভাটার সংখ্যা সাত হাজার ৮৮১টি। এর মধ্যে তিন হাজার ২৪৮টি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাকি চার হাজার ৬৩৩টি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।মন্ত্রী জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৭৭২টি অভিযান পরিচালনা করে তিন হাজার ৩৭টি ইটভাটার থেকে ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৯০৭টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৮০ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সরকারদলীর এমপি এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশেরর শহরগুলোতে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। আগামী ২০২৫ সালে দৈনিক বর্জ্য ৪৭ হাজারে উন্নীত হবে।

তিনি আরও জানান, কঠিন বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশ (বর্তমানে তিন হাজার টন) প্লাস্টিকজাত। সরকারি দলের আরেক এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি নমুনা শুমারি (শস্য) ২০২০ অনুসারে, বর্তমানে দেশে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৭ হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪২ একর। দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ শূণ্য দশমিক শূণ্য দুই শতাংশ হারে কমছে বলে মন্ত্রী জানান।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কতটুকু কষ্টে আছি বলার মতো নয়। প্রতি মাসে যে টাকা রোজগার হয়, এখন সেই টাকায় কোনোরকমে শুধু সমানে সমান করে পরিবার চালিয়ে নিচ্ছি। টাকা জমানো যাচ্ছে না।’ বিদ্যুৎ আর গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দামেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কার কথা তিনি জানান।

দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীত মৌসুমের কারণে এখন বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় প্রায় এক হাজার টাকা। গরমের সময় প্রতি মাসে এই ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড় হাজার টাকায়। নতুন করে মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই টাকায় আর হয়তো হবে না।

প্রতি মাসে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারে ১০০০ হাজার টাকা ভরেন। ৩০ দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার গ্যাস ব্যবহৃত হয়। আর প্রতি মাসে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পানির বিল দিতে হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের বাড়ানো এই নতুন দাম আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর। নতুন মূল্য অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর জন্য আগের চেয়ে ইউনিটপ্রতি ২০ পয়সা মূল্য বেড়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে এই দাম ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৪ পয়সা করা হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ১০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন পরিবার চালানোর খরচ বাড়লেও বিপরীতে রোজগার এক টাকাও বাড়েনি জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, ‘এত বেশি খরচ বেড়েছে যে আগের তুলনায় খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কিন্তু আয় আরও কমেছে। বিশেষ করে শিক্ষকতায়।’

এর ব্যাখ্যা দিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে হয়তো একজন শিক্ষার্থীকে দুই হাজার টাকায় টিউশনি পড়াতাম। অভিভাবকেরা টাকা দিতে না পারায় সেটা এখন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় নেমে এসেছে। অনেক অভিভাবক সারা বছর টিউশনি না পড়িয়ে শুধু পরীক্ষার আগে দুই-তিন মাস পড়াচ্ছেন।’

গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম এমন সময় বাড়ানো হচ্ছে, যখন নিত্যপণ্যের চড়া দামে সাধারণ মানুষ এমনিতেই সংকটে রয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এতে বাড়তি কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও গত মে মাস থেকে ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০৫ টাকায় ওঠায় সব আমদানি পণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছে, যা বাড়িয়ে দিয়েছে নিত্যপণ্যের দাম।

এর প্রভাব পড়েছে দেলোয়ার হোসেন জীবনেও। বাজার-সদায়ে অনেক কিছু বাদের তালিকায় রেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন গরুর মাংস খাওয়ার চেষ্টা করতাম। এখন কখনো এক মাসে, কখনো দুই মাসে একবার কিনি।’

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘আমি বাসায় কখনো সাদা মুরগি (ব্রয়লার) খেতাম না। দাম কিছুটা কম দেখে এখন সেটাই নিয়মিত খাই। মাছের মধ্যে বাজারে যেটা সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যায়, সেটাই কেনার চেষ্টা করি।’

ব্যক্তিগত ব্যয় একেবারে শূন্যে নামিয়ে এনেছেন জানিয়ে দেলোয়ার বলেন, ‘আগে বন্ধুদের সঙ্গে প্রচুর গল্প-আড্ডায় সময় দিতাম, এসবে খরচও হতো। খরচ কমাতে এক বছর ধরে সেটাও বাদ দিয়েছি। এমন করছি যাতে দুই ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে কোনোমতে সংসার চালিয়ে যেতে পারি।’

দিনে দিনে সবকিছুর দাম শুধু বাড়ছেই। সব মিলিয়ে সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর আগে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। গ্যাসের দাম গত জুনে গড়ে ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। ১৮ জানুয়ারি তা রেকর্ড ৮২ শতাংশ বাড়ানো হয়।

শুধু গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নয়, বেড়েছে সারের দামও। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ৫১টি সেবার মূল্য, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা পণ্যের দাম, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের দাম বেড়েছে। ঢাকা ওয়াসা গত ১৪ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক।।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদর-জমজকে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী শফিকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন জানান, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক,নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা, ২০২২ অনুসারে কোনও প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর বা জমজ ভাই/বোনকে যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সব সহোদর/জমজকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই বিধান মতে, ৪১ জন সহোদর/জমজ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র দেয়। যেখানে বলা হয়, শুধুমাত্র ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর/জমজ ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে। এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিটটি করা হয়। কারণ তারা যখন আবেদন করে তখন ৫ শতাংশের বিধান ছিল না। এ কারণে আদালত এই ৪১ জনের ক্ষেত্রে ওই বিধান স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি তাদের ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অনলাইন ডেস্কঃ

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক পদমর্যাদার চারজন কর্মকর্তার দায়িত্ব পুনর্বণ্টিত হয়েছে।অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সেব্রিনা ফ্লোরাকে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বদলির এই আদেশ দেয়।

আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হয়েছিলেন।

গত বছর গুরুতর অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে তিনি সম্প্রতি দেশে ফেরেন।সেব্রিনা ফ্লোরাকে বদলি করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনকারী অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) করা হয়েছে।

এদিকে নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) করে পাঠানো হয়েছে।

বইমেলা কেন্দ্র করে দুর্ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণ, শাহবাগ, পলাশীসহ আশপাশের এলাকা কড়া নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সমস্ত এলাকার পুরোটি নিয়ে আসা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। এসব এলাকায় সাইবার মনিটরিং করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ও ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা শাহবাগ থেকে পলাশী পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। কন্ট্রোল রুমে বসে পুরো বইমেলা ও আশপাশের এলাকা আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে পারব। আশা করছি, আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব।

দর্শনার্থী ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই যদি আমাদের সহযোগিতা করে এবং সুশৃঙ্খলভাবে মেলায় প্রবেশ করে- সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে।

লেখকদের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আসলে বুঝতে হবে কোনো লেখকের উপরে কোনো হুমকি নাই। তারপরেও কোনো লেখক-প্রকাশক যদি মনে করেন, তার ওপর কোনো হুমকি আছে- তার ওপর আমরা বিশেষ নজর রাখবো।

তাদের মধ্যে চার অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হলেন কিউবার আলেজান্দ্রো সিমানকাস মারিন, সার্বিয়ার সিনিসা প্যাভিক, মেক্সিকোর ফেদেরিকো সালাস লোটফি এবং বেলজিয়ামের দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট। আর অপর তিনজন অনাবাসিক হাইকমিশনার হলেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ড. রজার গোপাঊল, ঘানার কোয়াকু আসোমাহ-চেরেমেহ এবং কিংডম অব ইসওয়াাতিনির মেনজি সিফো ডালমিনি।

অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ঢাকার পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়।

বাংলাদেশ সবসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে ঢাকায় তাদের দায়িত্ব পালনকালে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বাংলাদেশ এবং সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে সব ধরনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান। 

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত ফেদেরিকো সালাম লোফটি এসময়ে বলেন, শিগগিরই ঢাকায় তাদের দূতাবাস চালু হবে।

 

পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বঙ্গভবনে তাদের আগমনের সময়, অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে রাষ্ট্রদূতরা সংস্কার করা বঙ্গভবনের তোষাখানা পরিদর্শন করেন।

শিগগিরই ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল শেরাটনে এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ একাউন্টিং এসোসিয়েশন (বিএএ) এবং ইন্ডিয়ান একাউন্টিং এসোসিয়েশন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইএএআরএফ) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

গভর্নর বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক খুব শিগগিরই ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা করছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং হবে স্মার্টফোন এবং ডিভাইসের মাধ্যমে। স্বশরীরে ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। 

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়তে চাই।

ইতিমধ্যেই আমরা রাজধানীর কিছু স্থানে নগদ টাকা ছাড়া লেনদেনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু উপজেলায়ও নগদ টাকা ছাড়া লেনদেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেমপিশ ইউভার্সিটির অধ্যাপক ড. জবিহুল্লাহ রাজি, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হামিদ উল্যাহ ভূঁইয়া, ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান খান।

সরকারের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ একাউন্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাইয়েদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ হায়দার আহমেদ খান এফসিএ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রমুখ।

অনলাইন ডেস্ক।।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের  ৬ দিনব্যাপী ইংরেজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি।

রবিবার(২৯ জানুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) ড. উত্তম কুমার দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অফিস আদেশ বলা হয়, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চের মধ্যে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে হবে। কোনো বিশেষ কারণে সময় পরিবর্তন করতে হলে প্রশিক্ষণ বিভাগকে অবহিত করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্রবার ও শনিবার) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের প্রতি ব্যাচে ৩০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। কোনো অবস্থায়ই একজন শিক্ষক একাধিকবার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। একটি বিদ্যালয় থেকে একই ব্যাচে একাধিক শিক্ষক মনোনয়ন দিতে পারবেন না।

অনলাইন ডেস্ক।।

মঙ্গলগ্রহে যাত্রার সময় সাত মাস থেকে মাত্র ৪৫ দিনে নেমে আসছে। এমনই এক পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট তৈরিতে

বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ‘বাইমোডাল নিউক্লিয়ার থার্মাল রকেট’ নামে পরিচিত নভোযানটি সৌরজগতে মানুষ ও পণ্য বহনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে, আন্তঃগ্রহ যাত্রায় দীর্ঘ সময় বিকিরণে উন্মুক্ত হয়ে থাকার ঝুঁকিও কমে আসবে। ধারণাটি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা’র অধ্যাপক রায়ান গসের কাছ থেকে।

তিনি দাবি করেন, এই ‘বাইমোডাল’ নকশা সুদূর মহাকাশ অভিযান খাতে ‘বিপ্লব ঘটাবে’। বিশাল ঝুঁকির পাশাপাশি বিশাল প্রাপ্তিযোগ আছে এমন বেশ কিছু প্রকল্পে বিনিয়োগে লক্ষ্যস্থির করেছে নাসা। আগামী কয়েক দশকে মহাকাশ অভিযানে নাটকীয় ফল দেওয়ার এমন অন্যতম সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসাবেই এতে অর্থায়ন করছে নাসা।

‘সরকার ও এই পুরো শিল্প একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে মহাকাশে পারমাণবিক যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’-বলেন, ‘স্পেস টেকনোলজি মিশন’ বিভাগে নাসার সহকারী প্রশাসক জিম রয়টার।

‘নকশাবিষয়ক এসব চুক্তি মহাকাশ অভিযানে ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক ইঞ্জিন তৈরির উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। একদিন এটি বিভিন্ন নতুন অভিযান ও চোখ ধাঁধানো আবিষ্কারের দিকেও হয়তো আমাদের নিয়ে যাবে

দেশের ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। তিনি বলেছেন, দুর্বল পরিচালন দক্ষতা ও অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চ খেলাপি ঋণ নিয়ে চলছে অনুন্নত একটি ব্যাংক খাত। তিনি আরও বলেন, বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের বিষয়টিও অনুপস্থিত। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্য আয়ের দেশ হতে আর্থিক খাত শক্তিশালী করা জরুরি। খেলাপি ঋণ কমানোর কৌশল থাকাসহ ব্যাংক খাতে ব্যাপক ও সামগ্রিক সংস্কার দরকার। ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন ও আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে তদারকির ওপরও জোর দেন তিনি।

আজ রোববার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) মধ্যাহ্নভোজ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি ও মূল বক্তা ছিলেন এডিমন গিন্টিং। অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সাবেক সভাপতি আফতাবুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সেলর স্কট ব্র্যান্ডন প্রমুখ।

এডিমন গিন্টিং বলেন, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বেসরকারি খাত। আগামীতে এ খাতের বিকাশের আরও সুযোগ রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা আরও বাড়ানোর দরকার।

তিনি বলেন বলেন, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তা গড়ে উঠছে। তাই সরকার সহায়ক নীতি নীতির মাধ্যমে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করলে বেসরকারি খাতের আরও বিকশিত হবে। বেসরকারি খাতও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে ডিজিটাল সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবন ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে চালকের আসনে বসতে পারে। অবকাঠামো খাত এবং জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রেও বেসরকারি খাত বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত দেন তিনি।

এডিমন গিন্টিং বলেন, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। ইতোমধ্যে যেসব দেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে তাদের তুলনায় বাংলাদেশ এ দুই ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো ও লজিস্টিকস খাতে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১১৪তম। এসব সেবার উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা দরকার। নানা পদক্ষেপের ফলে ২০২৪ সাল নাগাদ অর্থনীতিতে গতি আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। গিন্টিং বলেন, মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। বাজারই সিদ্ধান্ত নেবে দর কত হবে। বাজার উন্নয়নে সহযোগিতা চাইলে এডিবি তা দেবে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram