বুধবার, ১লা মে ২০২৪

পড়ালেখা ডেস্ক :

ষষ্ঠ শ্রেণি । মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক প্রদত্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৩০ কর্মদিবসের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট লেখার আগে কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একই মাপের ভালো কাগজে লিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অ৪ সাইজের অফসেট পেপার হলে বেশি ভালো হয়। চারপাশে যথাযথ মার্জিন রেখে লেখা শুরু করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্দেশিত নিয়মে কাভার পৃষ্ঠা তৈরি করে বিষয়ের নাম, শিরোনাম, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর, বিষয় শিক্ষকের নাম, নিজ নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল ইত্যাদি স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রঙের কলম ব্যবহার করা যাবে। তবে লাল, গোলাপি, কমলা অর্থাৎ লালচে রং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিটি পৃষ্ঠার নিচে পৃষ্ঠা নম্বর লিখবে। অ্যাসাইনমেন্ট নিজ হাতে সুন্দর হস্তাক্ষরের মাধ্যমে উপস্থাপন করবে। অ্যাসাইনমেন্ট লেখার ক্ষেত্রে পাঠ্য বই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তোমাদের জন্য নমুনা অ্যাসাইনমেন্ট-১ তৈরি করেছেন ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক আফরোজা বেগম

বাংলাদেশের ইতিহাস

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আমাদের আজকের বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অংশ। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয় ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের মধ্য দিয়ে। পাকিস্তান আমলের পুরো সময়টিতে এ দেশের মানুষ নানাভাবে বঞ্চনা আর নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাই অনেক আন্দোলন ও সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। তারই ফসল আমাদের এই বাংলাদেশ। বহু মানুষের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। জাতি অর্জন করেছে বিজয়। ইতিহাসে আমরা পরিচিত হয়েছি বীর বাঙালি ও বিজয়ী জাতি হিসেবে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি। মার্চ থেকে ডিসেম্বর এই ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা এ দেশে লুটতরাজ, হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের কারণ

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি সাধারণ মানুষের ওপর শুরু করে বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনা। তারা প্রথমেই আক্রমণ করেছিল আমাদের মাতৃভাষার ওপর। এরপর একে একে বৈষম্য চালাতে শুরু করে আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও সামাজিক অধিকারের ওপর। ঠিক এই সময়ে আবির্ভাব ঘটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো এক সাহসী, ত্যাগী ও দূরদর্শী নেতার।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন সাহসী, দূরদর্শী নেতার আবির্ভাব। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। উজ্জীবিত জাতি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে বিজয়ী করে। পাকিস্তানি সামরিক সরকার এ পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ আপসহীন অবস্থান নিয়েছিল তখন।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালির ওপর গণহত্যা চালায়। ২৫শে মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে একটি বার্তা সারা দেশে পাঠিয়ে দেন। এর পরপরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। স্বাধীনতা ঘোষণার পরই সারা দেশে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের অন্য একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে মুজিবনগর সরকার গঠন। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এই সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই সরকারের রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। মুজিবনগর সরকার গঠনের ফলে মুক্তিযুদ্ধের গতি বৃদ্ধি পায়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় এবং বিশ্বব্যাপী জনসমর্থন আদায়ে এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের পেছনে আরেকটি কারণ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য ও সহযোগিতা। ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ সেই দুঃসময়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। আমাদের এক কোটিরও বেশি মানুষ ভিটামাটি ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ভারত আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।

সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক, শ্রমিক, রাজনীতিবিদ, ধনী, দরিদ্র, হিন্দু, মুসলিম সব পেশার, সব শ্রেণির বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করেছিল স্বাধীনতার জন্য। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিল অনেক ত্যাগ আর অনেক রক্তের বিনিময়ে।

বাংলাদেশের মানব বসতি ও রাজনৈতিক ইতিহাস

প্রাচীন কাল থেকে বাংলাদেশে মানব বসতি ছিল। বর্তমান কালের কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারে তা প্রমাণিত হয়েছে। সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলার কোন কোন অঞ্চল বাংলাদেশের প্রাচীনতম ভূমি। চট্টগ্রামের রাঙামাটি, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লার লালমাই, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বর প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাতিয়ার যেমন : পাথর ও কাঠের হাতকুঠার, বাটালি, তীরের ফলক প্রভৃতি আবিষ্কার হয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগকেই অনেকে প্রস্তর যুগ বলে। প্রস্তর যুগের পরে নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরে তাম্র প্রস্তর যুগের গর্ত বসতির চিহ্ন আবিষ্কার হয়েছে।

ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতা এবং রাজবংশের তালিকা

ভারত উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতা হচ্ছে সিন্ধু সভ্যতা। তরে এর কোনো চিহ্ন বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি। এই সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০ অব্দে ভারত উপমহাদেশের সিন্ধু, সরস্বতী, হাকরা ইত্যাদি নদ-নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠে। এ সভ্যতার বড় দুটি নগরের একটি হরপ্পা আর অন্যটি মহেঞ্জোদারো।

সিন্ধু সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত। এটি ভারত উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতা। উন্নত নগর পরিকল্পনা দেখা যায় এখানে। নগরের রাস্তা, রাস্তার পাশে ডাস্টবিন, সড়ক বাতি, পানি নেমে যাওয়ার জন্য ড্রেন সব কিছুই ছিল একেবারে সাজানো। শস্য জমা রাখার জন্য বিশাল শস্যাগারও পাওয়া গেছে এখানে।

মহেঞ্জোদারো নগরে আবিষ্কৃত হয়েছে এক বিশাল গোসলখানা। অনেকটা এখনকার সুইমিং পুলের মতো। বিস্তৃত এই সভ্যতায় অসংখ্য সিল পাওয়া গেছে। সিলের গায়ে লিপির মতো চিহ্নগুলোর পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সভ্যতার পাথরের বাটখারা ও পুঁতিগুলো খুবই আকর্ষণীয়। সিন্ধু সভ্যতায় ছিল আন্তর্বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্য ব্যবস্থা।

ভারত উপমহাদেশের দ্বিতীয় নগর সভ্যতার নিদর্শন বগুড়ার বরেন্দ্রভূমি মহাস্থানগড়ে এবং নরসিংদীর মধুপুর ভূমি উয়ারী-বটেশ্বরে আবিষ্কৃত হয়েছে। মহাস্থানগড়ে অবস্থিত প্রাচীন নগরটির নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পুণ্ড্রনগর গড়ে উঠেছিল। উয়ারী-বটেশ্বরে অবস্থিত আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরটির নাম এখনো জানা যায়নি।

ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন রাজবংশ

সমসাময়িক কালে ভারত উপমহাদেশের ১৬টি বিখ্যাত জনপদের নাম জানা যায়। এই জনপদগুলো ছিল এক একটি পৃথক রাষ্ট্র। ভারত উপমহাদেশের অন্য জনপদগুলোর মৌর্য যুগপূর্ব রাজনৈতিক ইতিহাস অল্পবিস্তর জানা যায়। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ অংশের ইতিহাস মৌর্য যুগের সম্রাট অশোকের সময় থেকে জানা যায়।

শুঙ্গ ও কুষাণ রাজবংশ

মৌর্য যুগের পর ভারত উপমহাদেশের অনেক অঞ্চলে শুঙ্গ ও কুষাণ রাজাদের শাসন ছিল। বাংলাদেশ অঞ্চলে শুঙ্গ ও কুষাণ যুগের কিছু পোড়ামাটির ফলক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু শাসন বিস্তারের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি।

গুপ্ত রাজবংশ

গুপ্তরা মূলত ভারত উপমহাদেশের উত্তর অঞ্চলের শাসক ছিলেন। বাংলাদেশের উত্তরাংশে পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তি নামে একটি প্রদেশ গুপ্তদের শাসনাভুক্ত ছিল।

 

শিক্ষাবার্তা/এ/আই

তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক :

ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সুবিধা এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন ট্রিক ব্যবহার করে চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ না খুলে জানা যাবে কে কে আছেন অনলাইনে। বিশেষত মেসেজ পাঠানোর আগে কোনো ব্যক্তি অনলাইনে আছেন কিনা তা যাচাই করা জরুরি।

হোয়াটসঅ্যাপের এই ট্রিকের বিশেষত্ব হলো- আপনি অনলাইন না গিয়েও জানতে পারবেন আপনার বন্ধুদের ও আত্মীয়দের স্ট্যাটাস।

চলুন জেনে নেই পদ্ধতিটি-

প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে GBWhatsApp সার্চ করতে হবে। অ্যাপটি খুঁজে পাওয়ার পর সেটিকে ডাউনলোড করে নিন। অ্যাপ ডাউনলোড করার পর এর সেটিংসে যান আর Main/Chat screen অপশনটিকে বেছে নিন। এবার আপনাকে Contact Online Toast অপশনটিকে সিলেক্ট করতে হবে।

এবার Show contact online toast-এ ক্লিক করুন। এরপর আপনি যে কন্টাক্টগুলোকে বেছে নিয়েছেন, সেই নম্বরগুলো যখনই অনলাইন আসবে, তখনই এই অ্যাপ আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে। এটি একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ। তাই এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

 

শিক্ষাবার্তা/এ/আই

অনলাইন ডেস্ক :

মৎস্য অধিদফতরের চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ফিশারিজ কোর্স সম্পন্নকারী ২৩৪ জনের বেতন গ্রেড উন্নীত করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

অধিদফতরের ক্ষেত্র সহকারী, হ্যাচারি টেকনিশয়ান, ল্যাব সহকারী, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান কাম পাম্প অপারেটর, হ্যাচারি সহকারী ও তথ্য সংগ্রহকারীর বেতন গ্রেড ১৪ ও ১৬তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ১১তম গ্রেডের বেতন স্কেল সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর ডিপ্লোমা সনদ প্রাপ্তির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

সোমবার (৯ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, মৎস্য অধিদফতরের উল্লিখিত পদে কর্মরত কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশনায় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গ্রেড উন্নীতকরণের এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার এ-সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এদিন সংশ্লিষ্ট গ্রেড উন্নীতকরণ এবং উন্নীত বেতন গ্রেডের পদগুলোতে মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের এ মঞ্জুরি আদেশের মাধ্যমে মৎস্য অধিদফতরের মাঠপর্যায়ে কর্মরত উল্লিখিত কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
>> ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় শিক্ষার সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জুমমিটিং করেছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ৯ নভেম্বর(সোমবার) অনুষ্ঠিত এ অনলাইন মিটিংয়ে ঝালকাঠির জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ছিদ্দিকুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কাঠালিয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় ৩৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩০ টি মাদরাসার প্রধান ও প্রতিনিধিদের নিয়ে জুম মিটিংয়ে আলোচনার বিষয় ছিল পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচী ও এসাইনমেন্ট,মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া সেশনফি ও অন্যন্য ফি না নেওয়া,সংসদ টিভির পাঠদান কার্যক্রম ও অনলাইন ক্লাস সঠিকভাবে সম্পন্নকরণ,নো মাস্ক,নো প্রবেশ,নো সেবা এসব বিষয়ে ব্যাণারে প্রতিষ্ঠানের গেটে লাগানো এবং বর্তমান মহামারি করোনায় করনীয় বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়।
শিক্ষাবার্তা/B.A

অনলাইন ডেস্ক :

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তানি হানাদারদের কবল থেকে আমরা যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, তাকে রক্ষা করতে হবে। স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে সোমবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা, অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। জনগণের ঐক্য, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ঐক্য। যে ঐক্য একাত্তরে আমাদের এক করেছিল, সেই ঐক্যই গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা, অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।’

রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে জানতে হলে, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। এ দুই সত্তাকে আলাদাভাবে দেখার চেষ্টা যারা করেছেন তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আজকের বাস্তবতা এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’

বাংলাদেশে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শুধু মানবিক বিবেচনায় প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে যাক।’ খবর: ইউএনবি

 

শিক্ষাবার্তা/এ/আই

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক :

রায়হান আহমদ হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ভারতে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক কর্মকর্তা।

সোমবার সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকার খাসিয়াদের কাছে আটকের পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা বলেন তিনি।

এসআই আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, আকবর হোসেনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এসময় আকবর বলছিলেন তিনি রায়হান হত্যার সঙ্গে একা জড়িত নন।

স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে আকবর বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করে একা মারিনি। তাকে মারছিলো ৫-৬ জন। এজন্য মরে গেছে ভাই।’

স্থানীয় একজনের জিজ্ঞাসাবাদে আকবর বলেন, ‘সে (রায়হান) ছিনতাই করেছিলো। টাকা ছিনতাই।’

এসময় স্থানীয় অপর একজন বলেন, ‘আর তার জান তোমরা ছিনতাই করেছ?’

উত্তরে আকবর বলেন, ‘ভাই, আমরা জান নেইনি, বরং আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়েছি। পাবলিক মারছিলো, আমারা হাসপাতালে নিয়েছি। ওইখানে সে মারা গিয়েছিলো।’

তাহলে কেন পালাচ্ছিলেন এর উত্তরে এসআই আকবর বলেন, ‘আমি ভাইগা আসছি এ জন্য যে, আমাকে বলছে যে, সাসপেন্ড করা হয়েছে। অ্যারেস্ট করা হতে পারে। দুই মাস পর ঠাণ্ডা হলে এইটা আবার হ্যান্ডেল করা যাবে। আমি অন্য কোনো কারণে ভাগি নাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে এক সিনিয়র অফিসার বলেছিলো, তুমি আপাতত চলে যাও, কয়দিন পরে আইসো। এটা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’

ভারতে কেন পালিয়ে যাচ্ছিলেন- এর উত্তরে আকবর বলেন, ‘ইন্ডিয়ার এক পরিবার আমাকে বলেছিলো যে তুমি মাঝেরগাও থাকো।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আকবরকে জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে। পালিয়ে থাকার ২৮ দিনের মাথায় গ্রেফতার হন। তাকে সিলেট পুলিশের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হানকে। এরপর ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়।

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক :

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোশ্চেন) পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সময় কমিয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে এ পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে বলে সোমবার (৯ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এসব প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে গত ২৭ অক্টোবর মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকের সভাপত্বিতে এক ভার্চুয়াল সভা করা হয়। সেখানে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা ভর্তি পরীক্ষাসহ বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তার ভিত্তিতে নতুন করে চারটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাউশি।

প্রস্তাবে দেখা গেছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষার আয়োজনে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে রাজধানীর সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি ক্লাস্টারে (ক, খ, গ) ভাগে বিভক্ত করে প্রতিটিতে ৩ দিন করে মোট ৯টি পরীক্ষা নেওয়ার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে সশরীরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে সময় কমিয়ে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া, সব শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা, প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেওয়ার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়াও সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরর আন্তঃজেলা/উপজেলা বদলির কারণে নতুন কর্মস্থলের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উপপরিচালক অথবা যে জেলায় উপপরিচালক নেই সেখানে শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যায়নক্রমে তাদের সন্তানের ভর্তির জন্য মোট আসনের ৫ শতাংশ অতিরিক্ত সংরক্ষিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে আগে আবেদন করলে আগে ভর্তির সুযোগ পাবে। এটি কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংশোধীত ২০২০ ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, ২য় থেকে ৩য় শ্রেণির ভর্তির পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিতে ২০ পূর্ণমান নম্বর নিধারণ করে ১ ঘণ্টা এবং ৪র্থ থেকে ৮ম পূর্ণমান-১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতে ৪০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে এ সময় কমিয়ে আনা হবে।

মাউশি থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১০ হাজারের বেশি শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়ে থাকে। এসব আসনে ভর্তির জন্য প্রায় এক লাখের মতো আবেদন জমা হয়। প্রতি আসনে ৫-৬ জন প্রার্থীকে প্রতিযোগিতা করতে হয়। এ কারণে ভর্তির সময় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বড় সমাগম হয়। এবার করোনা পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভর্তি নীতিমালা ২০২০ অনুযায়ী, এবারো আগের মতো রাজধানীর ৪১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি ক্লাস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে আগে প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি বিদ্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হলেও এবার প্রতিটিতে পাঁচটি করে মোট ১৫টি বিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, আগামী বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর বিষয়ে একটি পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতামত চাওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে আমরা একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত করা হলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মাউশির সহকারী পরিচালক (বিদ্যালয়-১) আমিনুল ইসলাম টুকু জানিয়েছেন, অক্টোবরে সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। প্রতিবছর রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ১০ হাজারের বেশি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এসব আসনে ভর্তির জন্য ১ লাখের মতো আবেদন জমা পড়ে। এ কারণে ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভিড় হয়। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অনলাইন ডেস্কঃ

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়ানো হবে কিনা তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাল-পরশুর মধ্য জানাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এরআগে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয় প্রান্ত থেকে অংশ নেন।

আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, এর পরে কী সিদ্ধান্ত হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে আপনাদের। কাল-পরশু জানাবে।

প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খুলনা ডিভিশন থেকে একটা স্ট্রং অ্যাকশন (মোবাইল কোর্ট পরিচালনা) নেওয়া হচ্ছে, আমরাও চারদিকে সবাইকে বলেছি। প্রধানমন্ত্রীও অ্যাগ্রি করছেন, গুড অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। কিছু স্ট্রিক্ট ভিউতে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা কমফরটেবল জোনের মধ্যে আছি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা একটু বেশি করে প্রচার করবেন যাতে সবাই গুরুত্ব দেয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা/ B.A

অনলাইন ডেস্কঃ

বাংলাদেশে যত করদাতা আছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ চাকরিজীবী। করযোগ্য আয় থাকুক আর না–ই থাকুক, নির্বাহী পর্যায়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের তাঁদের প্রতিবছরই বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে হয়। করের হিসাব-নিকাশ করা কিছুটা জটিল। কর ছাড়ের হিসাবও বিবেচনায় রাখতে হবে। কিন্তু একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবী কীভাবে কর ঠিক করবেন, তা এবার দেখা যাক।

একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে চাকরি করেন কামরুন নাহার। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে মূল বেতন ৫০ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ২ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া ভাতা ২০ হাজার টাকা, যাতায়াত সুবিধার ৫ হাজার টাকা এবং বছরে দুটি উৎসব বোনাস (দুটি মূল বেতন) ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। এই বাইরে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তিনি অফিস থেকে একটি গাড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন। এ ছাড়া বেতন-ভাতার বাইরে বছরজুড়েই অন্য খাতে বাড়তি কিছু আয়ও করেছেন তিনি। যেমন গৃহসম্পত্তি থেকে ৫০ হাজার টাকা, আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে লভ্যাংশ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক সুদ ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন। লভ্যাংশ ও ব্যাংক সুদ তোলার সময় ১০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কামরুন নাহার এক লাখ টাকার তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনেছেন।

তাহলে এবার দেখা যাক, কামরুন নাহারের কত করযোগ্য আয় হলো। মূল বেতন (১২ মাসের মূল বেতন) ৬ লাখ টাকা এবং উৎসব বোনাস এক লাখ টাকা পেয়েছেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে পাওয়া ২৪ হাজার টাকার পুরোটাই করমুক্ত। কারণ, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ পর্যন্ত বা বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে যেটি কম হবে, সেই টাকার ওপর কর ছাড় মেলে। ১২ মাসে বাড়িভাড়া হিসেবে পেয়েছেন মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চিকিৎসা ভাতার মতো বাড়িভাড়ায় কর ছাড় পাবেন কামরুন নাহার। বছরে ৩ লাখ টাকা বা মূল বেতনের ৫০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম। সেই হিসাবে বাড়িভাড়ার ওপরও কর বসবে না। এ ছাড়া যাতায়াত সুবিধা হিসেবে মাসে ৫ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা করযোগ্য আয়ে যোগ হবে।

সব মিলিয়ে কামরুন নাহারের বেতন খাতে আয় দাঁড়াবে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এরবাইরে গৃহসম্পত্তি থেকে ৫০ হাজার টাকা, কৃষি খাতের ১০ হাজার টাকা, ব্যাংক সুদ ১০ হাজার টাকাও যোগ হবে। পাশাপাশি আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া মাত্র ৫ হাজার টাকা যোগ করতে হবে।

কারণ, এই খাতে বিনিয়োগের জন্য বছরে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রেয়াত পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে করযোগ্য আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এই আয়ের প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকার ওপর কোনো কর বসবে না। পরবর্তী এক লাখ টাকার জন্য ৫ শতাংশ হারে কর বসবে। পরের তিন লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ এবং পরবর্তী ৮৫ হাজার টাকার ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর বসবে। সব মিলিয়ে কামরুন নাহারের করের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা।

কামরুন নাহার যেহেতু সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন, তাই বিনিয়োগ কর রেয়াত পাবেন। মোট আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত, অর্থাৎ ২ লাখ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা পর্যন্ত অনুমোদনযোগ্য বিনিয়োগ। কিন্তু কামরুন নাহারের বিনিয়োগ এই সীমা ছাড়ায়নি। তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ এক লাখ টাকা। তাই বিনিয়োগের ১৫ শতাংশ মানে, ১৫ হাজার টাকা কর রেয়াত পাবেন। এ ছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ও ব্যাংক সুদের হার তুলে নেওয়ার সময় সব মিলিয়ে ৪ হাজার টাকা কেটে রাখা হয়েছিল। তাই বার্ষিক রিটার্ন দিয়ে কর দেওয়ার সময় বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত ও উৎসে কর হিসেবে কেটে নেওয়া টাকা বাদ দিতে হবে। সেই হিসাবে বাদ যাবে ১৯ হাজার টাকা। বছর শেষে কামরুন নাহারকে ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা দিতে হবে।

অনলাইন ডেস্কঃ

চার বছর পর হোয়াইট হাউসে আবার ফিরছে কুকুর। তা–ও একটি নয়। দুই–দুইটি। কুকুরগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। দুটিই জার্মান শেফার্ড। এর একটির নাম চ্যাম্প। আরেকটির নাম মেজর।

হোয়াইট হাউসে যেতে প্রস্তুত চ্যাম্প ও মেজর। চ্যাম্পের বয়স ১২ বছর। এটি কিন্তু বেশ পরিচিত সবার কাছে। কারণ ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বাইডেনের সঙ্গী ছিল চ্যাম্প। আর মেজর বয়সে ছোট। ২০১৮ সালে বাইডেন এটিকে পুষতে নেন। প্রাণীদের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা কোনো কুকুর হিসেবে মেজরই প্রথম হোয়াইট হাউসে পা রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ প্রেসিডেন্ট সঙ্গে কুকুর রাখেন। এই প্রথা দেশটিতে বেশ পুরোনো। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সঙ্গে কোনো কুকুর রাখতেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল মেনে নেননি। হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। হোয়াইট হাউস থেকে বিজয়ীকে অভিনন্দন জানানোর প্রথা এবার আদৌ বজায় থাকবে কি না, নিশ্চিত করে সেটা কেউ বলতে পারছে না। কোনো প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে চলেছেন ট্রাম্প। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।

তবে বাইডেন তাঁর কাজ করে চলেছেন। এর মধ্যেই বাইডেনের দল কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে, তা জানিয়েছে। বাইডেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধকে। এ ছাড়া তিনি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, জাতিগত বৈষম্য ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়েও কাজ করবেন।

অনলাইন ডেস্কঃ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) নতুন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। এই সময়ে দেশে ১ হাজার ৬৮৩ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২১ হাজার ৯২১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৮ জন। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

গতকাল রোববারের তুলনায় আজ নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। গতকাল রোগী শনাক্ত হন ১ হাজার ৪৭৪ জন। মারা যান ১৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ। আর নারী ৮ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

দেশে করোনায় সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে চলতি বছরের ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় ১৮ মার্চ।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে সরকার আশঙ্কা করছে, শীতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা আসার আগপর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।

কিন্তু এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

শিক্ষাবার্তা/ B.A

অনলাইন ডেস্কঃ  

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরফলে এখন থেকে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রোধে অন্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইদানীং গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, সারা দেশে বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

এছাড়া মসজিদ ও মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কতগুলো নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে- মসজিদে সব মুসল্লির মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে প্রবেশের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদের মাইকে প্রচার চালানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন মসজিদ কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসনালয় কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘নো মাস্ক-নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পোস্টার বা ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মসজিদ ও অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইকের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে এসব ঘোষণা আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

শিক্ষাবার্তা / B.A

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram