শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত এক জরিপে এ বছরের বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. এ এ মামুন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্য থেকে শতকরা দুইজনকে নিয়ে প্রকাশিত এ তালিকায় স্থান পাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

অধ্যাপক ড. এ এ মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। একই সঙ্গে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য পর পর তিনবার বর্ষসেরা গবেষক হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তার। তার হাত ধরে বাংলাদেশের মাটিতে ডাস্টি ফিজিক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তিনি পদার্থের চতুর্থ অবস্থা প্লাজমা ফিজিক্স নিয়ে কাজ করছেন।

ড. মামুন প্লাজমা ফিজিক্সে অবদানের জন্য জার্মান চ্যান্সেলর পুরস্কার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে একাধিকবার ‘বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স’ গোল্ড মেডেলসহ দেশ-বিদেশে নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়া লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্স থেকে ডাস্টি প্লাজমা ফিজিক্সের ওপর যৌথভাবে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইনট্রোডাকশন টু ডাস্টি প্লাজমা’।

আন্তর্জাতিক এই খ্যাতনামা গবেষক জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে বিএসসি-এমএসসিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এমএসসিতে সব বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। তার এমএসসির থিসিসের বিষয় ছিল ‘প্লাজমা ফিজিক্স’।

১৯৯৩ সালে জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন তিনি। ওই বছর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ডুজ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে যান। ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারস, ফিজিক্যাল রিভিউ ই. ইউরোপিয়ান ফিজিকস লেটারের মতো নামকরা জার্নালে তার গবেষণা কর্ম প্রকাশিত হয় এবং এ গবেষণাকর্মের ভিত্তিতে প্লাজমা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন জার্নালে পাঁচ শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন।

এদিকে অধ্যাপক ড. এ এ মামুনের সাফল্যের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনলাইন ডেস্ক :

বরখাস্তকৃত এসআই আকবরকে ধরিয়ে দিতে যিনি সহায়তা করেছেন সেই সাহসী ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এক প্রবাসী।

সোমবার ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন কানাডা প্রবাসী মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি ওই ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা বলেন।

যাকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে তার নাম রহিম উদ্দিন।

ভারতে পালানোর সময় সোমবার সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার ডনা সীমান্তে খাসিয়াদের সহায়তায় স্থানীয়রা আকবর হোসেনকে আটক করে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার রাতে ভারতের মেঘালয় এলাকার শিলচরের দনা বস্তি এলাকায় আকবরকে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আটকের পর এসআই আকবরকে দনা ক্যাম্পে রাখা হয়। পরে খাসিয়ারা তাকে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় কয়েকজনের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় আকবরের অবস্থা ছিল বিপর্যস্ত।

আটকের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, খাসিয়াদের প্রশ্নের জবাবে তিনি তার নাম আকবর বলে জানান।

‘মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য তোমরা মানুষ খুন করো’-এই বলে খাসিয়ারা যখন তাকে তিরস্কার করছিলেন-তখন উত্তরে আকবর বলেন, ‘আমি মারি নাই’।

আকবর জানান, ভারতে পালিয়ে যেতে তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা।

কোন অপরাধে রায়হানকে মারা হলো জানতে চাইলে বরখাস্তকৃত এই এসআই বলেন, ‘আমি মারিনি ভাই, আমি ইচ্ছা করে একা মারিনি। তারে মেরেছে ৫-৬ জন। পাবলিক মেরেছে তাই সে মরে গেছে। আমি বরং তাকে হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু ওখানে সে মারা যায়। সে টাকা ছিনতাই করেছিলো।’

এসময় স্থানীয় অপর একজন বলেন, ‘আর তার জান তোমরা ছিনতাই করেছ?’

উত্তরে আকবর বলেন, ‘ভাই, আমরা জান নেইনি, বরং আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়েছি।’

১০ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হানকে। এরপর ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

 

শিক্ষাবার্তা /এ/আই

ডঃ নূর জাহান সরকারঃ

চলতি বছর বন্যার স্থায়িত্ব ও প্রভাব ১৯৮৮ কিংবা ১৯৯৮ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। প্রাকৃতিক নিয়মে বন্যা চলাকালে বন্যপ্রাণী তথা সাপ মানুষের কোনো ক্ষতি না করে বাড়ি কিংবা বাড়ির উঁচু জায়গাতে আশ্রয় নেয়।

এ সময় সাপে কামড়ানোর প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। বিবিসির খবরে জানা যায়, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ ৯৭টি সাপে কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে মারা গেছে ৩৬ জন। সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই আমরা সমস্যাটি মোকাবিলা করতে পারি- ১. মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। মশারির কারণে সাপের কবল থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ২. মাটিতে অর্থাৎ ফ্লোরে ঘুমানো ঠিক নয়; কেননা সাপ চলাচলের সময় ঘুমন্ত ব্যক্তির হাত-পা নড়াচড়ার কারণে ইঁদুর ভেবে কামড় দিতে পারে মশারির বাইরে থেকে। ৩. গোলাঘরের আশপাশে ঘুমানো ঠিক নয়। কেননা গোলাঘরে ইঁদুর আসে শস্য খাওয়ার জন্য, আর গোলাঘরে সাপ আসে ইঁদুর খেতে। ৪. লাকড়ির ঘর কিংবা রান্নাঘরে ঢুকতে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। এসব জায়গায় রাতে ইঁদুরের উপস্থিতি থাকে এবং সাপ আসে। ৫. সন্ধ্যার পরপরই ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক নয়; কেননা সন্ধ্যার সময় সাপ শিকারের খোঁজে বেরোয়। ৬. রাতের বেলায় ঘরের বাইরে বের না হওয়াই ভালো। যদি প্রয়োজনে বের হতে হয় তাহলে জুতা পরে টর্চ নিয়ে বেরোতে হবে।

ফসল রক্ষায় সাপের জুড়ি নেই। সাপ ইঁদুর খেয়ে কোটি কোটি টাকার ফসল রক্ষা করে। যেখানেই শস্য সেখানেই ইঁদুর, যেমন- শস্যক্ষেত, গোলাঘর প্রভৃতি। যেখানেই ইঁদুর সেখানেই সাপ, সুতরাং আমাদের বিষয়টি বুঝে চলতে হবে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ প্রজাতির সাপ আছে। এ সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে পরিবেশ ধ্বংস, সাপের আবাস ধ্বংস, সাপ মেরে ফেলা, ধরা, অপরিকল্পিতভাবে ইঁদুর মারার রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বেশিরভাগ মানুষই মনে করে সব সাপ অপকারী ও বিষধর, যে কারণে সাপ দেখার সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলার প্রবণতা বেশি। এসব ভুল ধারণা দূরীকরণ, প্রকৃতিতে সাপের উপকারিতা, বিশেষ করে বাস্তুসংস্থানে এদের ভূমিকা, অর্থনীতিতে সাপের গুরুত্ব প্রভৃতি বিষয়ে দেশের জনগণকে বাস্তব জ্ঞানদান প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই আমরা সাপের কামড় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছি। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এক বছরে সংঘটিত সাপের কামড়ের ঘটনা ৯৯৩টি; যার মধ্যে ২০১ জন মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ মৃত্যুহার ২০.২৪ শতাংশ। প্রতি লাখে সাপের কামড়ের ঘটনা চার থেকে পাঁচজন। তবে বরিশাল ও চট্টগ্রামের দুর্ঘটনা কিছুটা বেশি, যা প্রতি লাখে ছয় থেকে সাতজন। তবে সবচেয়ে কম ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যা প্রতি লাখে দু'জন। ৯৯৩ জন সাপে কামড়ানো রোগীর মধ্যে ৭৪৬ জনই ছিল পুরুষ এবং ২৪৭ জন নারী, যার অনুপাত দাঁড়ায় ৩ :১। সাপের কামড়ে যারা মারা যায়, তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। পেশার দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায়, এর মধ্যে কৃষক শ্রেণিই বেশি। বয়সের বিচারে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের রোগীই বেশি। তবে সাপের কামড়ে যারা মারা গেছেন, তাদের প্রায় ৫০ শতাংশই ৭০ বছর বয়সী। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের যদিও সর্প দংশনের ঘটনা সর্বোচ্চ, তবে তাদের মৃত্যুহার সর্বনিম্ন। রাতে সাপে কামড়ানোর ঘটনায় মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। যেসব জায়গা থেকে সাপে কামড়ায় তা হলো- ঘর, বাড়ির ঝোপঝাড়, বাগান, ক্ষেত ইত্যাদি। নদী ও কাদামাটি এলাকায় কম। সাপ পায়েই সবচেয়ে বেশি কামড় দেয়, যা প্রায় ৭৫ শতাংশ। তবে সাপ হাত-মুখ ও ঘাড়েও কামড় দেয়। ঘাড়ে কামড়ের মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ৭০ শতাংশ। জুন থেকে আগস্টের মধ্যে সর্প দংশন বেশি ঘটে এবং ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ঘটনা কম।

সাপের কামড়ের দাগ অন্য প্রাণীর কামড়ের মতো নয়। বিষধর সাপের বিষদাঁতের চিহ্ন সহজেই বোঝা যায়। বিষধর সাপে কামড়ালে একটু দূরত্বে দুটি বিষদাঁতের চিহ্ন দেখা যায়। নির্বিষ হলে ছোট ছোট পাশাপাশি কয়েকটি দাঁতের চিহ্ন দেখা যায়। আমাদের দেশে সাপের কামড়ের যত ঘটনা ঘটে, তার প্রায় ৫২ শতাংশই বিষধর। বাকি ৪৮ শতাংশ নির্বিষ। বাংলাদেশে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় ২০ থেকে ২২ শতাংশ। পুরুষ ও নারীর মৃত্যুহার যথাক্রমে ৭৫ ও ২৫ শতাংশ। কেননা বেশিরভাগ পুরুষই কৃষিক্ষেত ও বন-জঙ্গলে কাজ করেন। অন্যদিকে মেয়েরা বেশিরভাগই ঘরে কাজ করেন। ৫৪ শতাংশ সর্প দংশন ঘটে ক্ষেত-খামারে ও ৪৬ শতাংশ ঘটে বাড়িতে। গ্রামের মানুষ শস্য ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন, যা খেতে ইঁদুর আসে। আর ইঁদুর খেতে সাপ আসে। এ ছাড়া তারা রাতে মশারিও তেমন ব্যবহার করেন না।

গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সাপে কামড়ানোর ঘটনা বেশি। কেননা এ সময় বেশিরভাগ সাপের ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে সাপের আবাসস্থলও ডুবে যায়। ফলে এরা তুলনামূলকভাবে উঁচু জায়গা অর্থাৎ ঘরে চলে আসে। এ সময় সাপে কামড়ানোর ঘটনাও বেশি ঘটে। শীতকালে সাপ সাধারণত শীতনিদ্রায় থাকে। এ সময় সাপে কামড়ানোর ঘটনা নেই বললেই চলে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন থাকা বাঞ্ছনীয়। সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীর ক্ষতস্থানের একটু ওপরে কষে বাঁধতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যথাযথ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নিতে হবে। ডাক্তারের চিকিৎসা ছাড়া কোনো চিকিৎসাই যথাযোগ্য নয়। কোনো কোনো সময় ওঝা বা সাপুড়ের চিকিৎসায় রোগী ভালো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে সাপটি কামড় দেওয়ার সময় যথেষ্ট বিষ প্রয়োগের সুযোগ পায়নি। নির্বিষ সাপ কামড়ালে রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। জনগণ সচেতন হলেই সাপের কামড়ের সংখ্যা কমে আসবে।

পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্কঃ
আজ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বুকে-পিঠে 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক' লিখে প্রতিবাদে অংশ নেন নূর হোসেন।

সেদিন জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালানো হলে নূর হোসেন শহীদ হন ঢাকার রাজপথে। তাঁর সেই আত্মত্যাগের পথ ধরেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়, স্বৈরাচারের পতন হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২৩ বছরেও নূর হোসেনের পৈতৃক ভিটায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর স্মৃতি রক্ষার। তাই আজ দিবসটিতে এলাকাবাসীর দাবি, পৈতৃক ভিটায় নূর হোসেনের স্মৃতি রক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জীবন দেওয়া শহীদ নূর হোসেনের পৈতৃক ভিটা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নিভৃত পল্লী সাপলেজা ইউনিয়নের ঝাঁটিবুনীয়া গ্রামে। সেখানে জরাজীর্ণ বাড়িতে এখন বসবাস করছেন তাঁর বংশধররা।

এলাকাবাসীর আক্ষেপ, পৈতৃক ভিটায় তাঁর স্মৃতি সুরক্ষায় আজও গড়ে ওঠেনি কোনো স্মৃতিস্তম্ভ। মঠবাড়িয়া শহরে কোনো চত্বর কিংবা ম্যুরালও নির্মিত হয়নি। প্রতিবছর নূর হোসেনের গ্রামের বাড়িতে একটু মিলাদ, আলোচনাসভা ছাড়া আর কোনো কর্মসূচিও পালিত হয় না।

স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রামের স্থানীয় কিছু তরুণ মিলে শহীদ নূর হোসেন চত্বর নামে তরুণদের একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম, গ্রামে গড়ে ওঠা শহীদ নূর হোসেন স্মৃতি পরিষদ ও জাগো লক্ষ নূর হোসেন নামের একটি সংগঠন মিলে যৌথভাবে এবার দাবি তুলেছে- মঠবাড়িয়া পৌরশহরের থানাপাড়া তিন রাস্তার মোড়ে শহীদ নূর হোসেন চত্বর, নূর হোসেনের ম্যুরাল, তাঁর নামে ইবতেদায়ি মাদরাসাটির উন্নয়ন, গ্রামের বাজারটির নাম নূরের হাট আর তাঁর পৈতৃক ভিটার উন্নয়ন।

নূর হোসেনের পৈতৃক ভিটায় বর্তমানে বসবাস করছেন তাঁর চাচাতো ভাই রুহুল আমীন হাওলাদার। তিনি বলেন, 'আমার ভাই গণতন্ত্রের জন্যই জীবন দিছে। কিন্তু তাঁর পৈতৃক ভিটায় শহীদ ভাইয়ের স্মৃতি রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা আজও হইলো না।'

শহীদ নূর হোসেন স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূরুল আমীন রাসেল বলেন, 'আমরা গর্বিত যে শহীদ নূর হোসেন আমার আপন জনপদের কৃতীসন্তান। তারুণ্যের অহংকার। অধিকার আদায়ে যুগে যুগে এমন সাহসী তরুণরাই বুকের রক্ত দিয়েছে। শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতিবিজড়িত মঠবাড়িয়ার স্মৃতি রক্ষার দাবি সব স্তরের মানুষের।'

মঠবাড়িয়ার বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী চঞ্চল কর্মকার বলেন, 'শহীদ নূর হোসেন আমাদের গর্বের তারুণ্য। তাঁর পৈতৃক ভিটায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, একটি পাঠাগার নির্মাণ, মঠবাড়িয়া শহরে শহীদ নূর হোসেন চত্বর ও ম্যুরাল নির্মাণের দাবী।
এদিকে শহীদ নূর হোসেনের পৈতৃক নিবাস পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঝাঁটিবুনীয়া গ্রামে শহীদ নূর হোসেন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে নূর হোসেনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, নূর হোসেনের স্মৃতি রক্ষার দাবিতে শোকযাত্রা, তাঁর পৈতৃক ভিটায় ফুল ও ফলদ গাছের চারা রোপণ ও মিলাদ মাহফিল।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্কঃ
স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ (বিকসকপ)। একইসঙ্গে শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনের চেয়ারম্যান এম ইকবাল রাহার চৌধুরী আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব সাফাতে হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার রেখা, হাবিব উল্লাহ, এ বি সিদ্দিক, আনিসুর রহমান প্রমুখ।

ইকবাল রাহার চৌধুরী বলেন, গত ১৬ মার্চ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় আমরাও কোনো প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই সাথে সাথে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করি। যা অদ্যাবধি বন্ধ রয়েছে। আরো কত দিন বন্ধ থাকবে জানা নেই। এই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফিয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং ৯৯% ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত।

ইকবাল রাহার আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফিয়ের ৪০% বাড়ি ভাড়া, ৪০% শিক্ষক শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের বেতন, বাকি ২০% গ্যাস বিল, বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ ও পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ নির্বাহ না হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি দিতে হয়। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, তিনি যেন আমাদের দাবি দুইটি মেনে নেন।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্কঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত এক জরিপে ২০২০ সালের বিশ্বব্যাপী সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে থেকে সেরা বিজ্ঞানীদের (শতকরা দুই ভাগ) নিয়ে প্রকাশিত তালিকায় স্থান লাভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এ মামুন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক ড. এ এ মামুন কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জার্মানির হোমবোল্ট পোস্টডক ফেলো। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক জুনিয়র ও সিনিয়র গ্রুপে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি জার্মানি থেকে অতি সম্মানজনক 'ব্যাসেল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড' পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের খ্যাতনামা গবেষণা জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ৪১৭

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্কঃ
কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে একটু বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। টানা বেশিক্ষণ কাজ করা মোটেও উচিত নয়। আমাদের প্রতি মিনিটে চোখের পলক ফেলা উচিত ১৮–২০ বার। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করার সময় প্রতি মিনিটে চোখের পলক পড়ে গড়ে ৭ থেকে ৮ বার। এ কারণে চোখে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম (সিভিএস) অন্যতম। এতে চোখে শুষ্কতা ও ঝাপসা দেখার সমস্যা হয়।

টানা কাজ করায় পেশাগত জীবনে অনেক ব্যবহারকারীই সিভিএস রোগে আক্রান্ত হন। অথচ একটু সতর্ক হলে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে কম্পিউটারে কাজ করলে ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, এমনকি হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।
সিভিএস রোগের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, সবকিছু দুটো করে দেখা ও মাথাব্যথা। শীতকালে এসব বেড়ে যায়। এসব সমস্যা এড়াতে যা করতে হবে, তা হলো—

কম্পিউটারে কাজ করার সময় এক ঘণ্টা পরপর বিরতি দিতে হবে। কাজের ফাঁকে দৃষ্টি সরিয়ে সবুজ কিছুর দিকে তাকানো ভালো।

যে কম্পিউটারে প্রতিদিন কাজ করা হয়, সেটির স্ক্রিন পরিষ্কার রাখতে হবে।
নিয়মিত বিরতিতে চোখের পলক ফেলতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে সঠিক দূরত্বে অবস্থান করুন। নইলে চোখের সমস্যা বাড়তে পারে। পেশিজনিত রোগের ঝুঁকিও বাড়বে এতে।

সিভিএসের ফলে চোখের শুষ্কতা বেড়ে যায়। যদি কর্মস্থলে শীতাতপ–নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা থাকে, তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে। কাজেই চোখসহ শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বেশি করে পানি পান করতে হবে। কাজ করার সময় ঝলমলে আলোর দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকুন। কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর মাত্রাও কমিয়ে নিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চোখ নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইফতেখার মো. মুনির, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, বাংলাদেশ আই হসপিটাল, শান্তিনগর, ঢাকা
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্কঃ
করোনার সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০১৮ সালের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের (বিশেষ) মৌখিক পরীক্ষা জুম অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম বলেন, মৌখিক পরীক্ষা বিষয়ওয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের (জুম অ্যাপসে) মাধ্যমে ও ব্যবহারিক পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ নভেম্বর শুরু হবে। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ কলেজের মাধ্যমে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক :

আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ হতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নিয়মিত/ অনিয়মিত ব্যাচের প্রফেশনাল পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের  গাইড লাইন ও  স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়,  সেশন জট থেকে মুক্ত রাখতে পরীক্ষা নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা ভিন্নধর্মী হওয়ায় বিদ্যমান বিধিতে পরীক্ষা ব্যতিত অন্য কোনভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণও হওয়ার সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকলকে কোন প্রকারের আন্দোলনে অংশ না নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

 

শিক্ষাবার্তা/এ/আই  

অনলাইন ডেস্ক :

আজ ১০ই নভেম্বর, শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন-সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ একদিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী গণ-আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক,  স্বৈরাচার নিপাত যাক’- স্লোগান লিখে বিক্ষোভ করেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি।

নূর হোসেনের এ আত্মদান  স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। সেদিন নূর হোসেন ছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের খেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা শহীদ হন। ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

এরপর থেকে প্রতিবছর দিনটি শহীদ নূর হোসেন দিবস বা গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

দেহঘড়ী ডেস্ক :

মেক আপ ছাড়াই সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন যদি মেনে চলেন কিছু রুটিন। সুস্থ শরীর, সুঠাম ফিগার এবং সুস্থ ত্বক- এই তিনটি থাকলে ফাউন্ডেশন-কমপ্যাক্টের প্রয়োজনই হয় না। হালকা কাজল এবং মিউট লিপ গ্লসই যথেষ্ট। জেনে নিন কীভাবে মেক আপ ছাড়াই নিজেকে সুন্দর করে তুলবেন-

১) প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমান। শরীর ঠিকমতো বিশ্রাম পেলে তবেই হজম ভাল হবে, বাওয়েল পরিষ্কার থাকবে এবং ত্বক উজ্জ্বল লাগবে। ঘুম কম হলেই আই পকেট তৈরি হবে, মুখে নানা রকম র‌্যাশ বেরবে। তখন সেগুলি ঢাকতে মেকআপ করতে হবে।

২) শীতকালে দিনে একবার এবং গরমকালে দিনে দু’বার ভাল করে সাবান মেখে স্নান করা মাস্ট। সপ্তাহে একদিন মুখ ও সারা দেহে স্ক্রাবিং করলে তবেই পরিচ্ছন্ন থাকবে ত্বক।

৩) প্রতিদিন সকালে উঠে এক কাপ জলে একটি পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের টক্সিন দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।

৪) পুষ্টিকর সুসম ডায়েট সুন্দর ত্বকের চাবিকাঠি। ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত মশলা দিয়ে কষা রান্না ইত্যাদি থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল থাকবে ত্বক।

৫) কারণে-অকারণে মুখে হাত দেওয়ার বদ অভ্যাসটি ছাড়তে হবে। আমরা সারাদিনে কত বিভিন্ন জায়গায় হাত রাখি। তাই হাতের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে আর যতবার মুখে হাত দেওয়া হয় ততবারই সেগুলিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় মুখের ত্বকে।

৬) দু’মাসে একবার ডি-ট্যান পলিউশন ফেশিয়াল করতে হবে। এতে ত্বকের অনেক গভীরে বাসা করে থাকা ধূলিকণাগুলিও পরিষ্কার হয়ে যায় এবং ত্বক স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল লাগে।

৭) মুখ ধোওয়ার সময়ে সাবান বা বডিওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না। শুধুই ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। কোনও ওয়াইপ দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করবেন না। আর মুখ ধোওয়ার পরে তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিতে হবে।

৮) প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে ক্লিনজিং-টোনিং-ময়শ্চারাইজিং করা মাস্ট। রোজ এই তিনটি ধাপ মেনে চললে ত্বকে কোনও ময়লা জমতে পারবে না। তাছাড়া ঘুমোনোর আগে ভাল করে মেকআপ তুলে তবেই ঘুমোবেন।

৯) রাতে শোওয়ার আগে অবশ্যই নাইটক্রিম লাগাতে হবে। সারারাত ক্রিমটি মুখে মাখা অবস্থায় ঘুমোলে সকালে উঠে দেখবেন ত্বক আর্দ্র এবং নরম রয়েছে। এই নিয়মটি যারা মেনে চলেন তাদের মুখে বলিরেখা আসতে দেরি হয়।

১০) মাঝেমধ্যে হেয়ার মাসাজ করে স্পা করাতে হবে। মুখের ত্বকে অনেক সময় ছোট ছোট ব্রণর মতো র‌্যাশ দেখা যায় যা খুসকির জন্য হয়। চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকলে তা হবে না। তাছাড়া চুল ভাল থাকলে তবেই না সুন্দর মুখের সঙ্গে মানিয়ে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে। সূত্র: এবেলা

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক :

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আট মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর বছর শেষে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতিতে।

যাদের বাড়িতে স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত ছেলে-মেয়ে আছে, তারা এরই মধ্যে বেশ পরিচিত হয়ে গেছেন অ্যাসাইনমেন্ট শব্দটির সাথে।

গুগলেও বেশ সার্চ করা হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে, অর্থাৎ যাদের কাছে অ্যাসাইনমেন্টের নানা ইস্যু বা যে বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে তার বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই তারা গুগলের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

প্রায় ৮ মাস ধরে স্কুল ও ক্লাসরুম থেকে দুরে থাকা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক নতুন ও পরীক্ষামূলক পদ্ধতির সাথে পরিচিত হতে হয়েছে।

জুম, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ক্লাস, গোগল ক্লাসরুমে অ্যাসাইনমেন্ট, যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সামর্থ্য নেই তারা শিক্ষকদের সাথে ফোনকল করছেন। সর্বশেষ যে পদ্ধতির সাথে শিশুরা পরিচিত হলো সেটি হলো অ্যাসাইনমেন্ট।

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এই পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা তবে অনেক বেসরকারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণী থেকেই অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে।

অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি যেভাবে কাজ করছে
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে তিনটি করে ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দেবার কথা। যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রাবণী সূর জানিয়েছেন, সপ্তাহের শুরুতে একদিন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বা পরিবারের অন্য কোনো প্রতিনিধি স্কুলে গিয়ে সেই অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে আসবেন।

সেসময় অভিভাবকদের ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকরা কথা বলেন। একইভাবে সপ্তাহের শেষে স্কুলে গিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেন অভিভাবকেরা। বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের প্রত্যেককে আলাদা সময় দেয়ার কথা।

ঠিক কেমন অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয় তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলছেন, ‘যেমন ধরুন ক্লাস নাইনে কপোতাক্ষ নদ কবিতার মূল বক্তব্য কি, তাতে দেশপ্রেম বিষয়টি কিভাবে এসেছে এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকের দশটি গুণাবলি কি সেগুলো নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট করতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্ট  মূল্যায়নে শিক্ষক কোন নম্বর দেন না। বরং শিক্ষার্থীর কাজের মান সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়। যেমন অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও অগ্রগতি প্রয়োজন এই চার রকম মন্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীর কাজ মূল্যায়ন করেন শিক্ষক।

শ্রাবণী সূর বলছেন, সরকারি নির্দেশনার অনেক আগেই মে মাসে তারা নিজেরাই এই পদ্ধতি চালু করেছেন কেননা তার স্কুলে সব শিক্ষার্থীর জুমের মাধ্যমে ক্লাসে অংশগ্রহণ করার সামর্থ্য নেই।

শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ আরও কমে গেল?
ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি স্কুলে এক শিক্ষার্থীর মা বলছেন, আগে যেভাবে বাচ্চার পড়াশুনায় তাদের সাহায্য করতে হতো তার চেয়ে এখন অনেক বেশি সময় ও মনোযোগ দিতে হয়। তিনি বলছেন, মোট ছটি বিষয় পড়ানো হয় তার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া সন্তানের ক্লাসে। সবগুলো বিষয়ের উপর সপ্তাহে একটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে এই স্কুলে।

প্রতিটি বিষয়ের জন্য সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে।

তিনি বলছেন, ‘আগে জুমে ক্লাস হতো এখন শুধু হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে। শনিবার অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তা জমা দিতে হয়। আগে ভিডিও কলে সরাসরি কথা হতো। কারো প্রশ্ন থাকলে করতে পারতো। এমনিতেই বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর আমার মনে হয় বাচ্চাদের সাথে স্কুলের যোগাযোগ যেন আরও কমে গেছে।’

তিনি আরও বলছেন, ‘হার্ড কপি রেখে দিতে বলা হয়েছে। তবে অ্যাসাইনমেন্টের একটি পিডিএফ ফাইল তৈরি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠাতে হয়। আমার বাচ্চা মজা পাচ্ছে যে মোবাইলে জমা দিচ্ছে তবে বাবা মায়েদের এক অর্থে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।’

ঢাকার গ্রিন রোডে অবস্থিত একটি স্কুলের শিক্ষার্থী তার সর্বশেষ অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে কথা বলছিলেন।

কয়েকটি পুষ্টিকর খাদ্যের নাম, তাতে কি উপাদান রয়েছে এবং সেগুলো মানবদেহে কি কাজে লাগে তা নিয়ে লিখতে বলা হয়েছিল তাকে।

তার স্কুল অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া ও জমা নেয়ার জন্য গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করছে।

অ্যাসাইনমেন্টের বিষয় দেবার পর তা নিয়ে পড়াশুনা করে, কাগজে বিস্তারিত লিখে তারপর ছবি তুলে গুগল ক্লাসরুমে আপলোড করতে হচ্ছে।

এই শিক্ষার্থী বলছিলেন এত কিছু তার ভাল লাগে না। তার কাছে এসব জটিল লাগে।

কতটা কাজে আসছে এই পদ্ধতি?
অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি চালুর আগে সরকার যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে মার্চে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সংসদ টেলিভিশন, অনলাইন ক্লাস, মোবাইল ফোন ও কিশোর বাতায়নের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির ভাষায়, ‘হঠাৎ করে নতুন ধরনের শিখন-শেখানো কার্যক্রম চালু করাতে অনেক শিক্ষার্থী প্রয়োজনীয় শিখনফল অর্জন করতে পারেনি। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা যেন আরও কিছু শিখনফল অর্জন করে পরবর্তী শ্রেণীর জন্য প্রস্তুত হতে পারে সেই বিষয়টি বিবেচনায় এনে তাদের পাঠ্যসূচী পুনর্বিন্যাস এবং অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

এর আগেই সরকার ঘোষণা করেছে যে এবার প্রথাগত বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী পড়াশোনা অবস্থা মূল্যায়ন করা হবে।

যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রাবণী সূর বলছেন, ‘এটি একটি অস্থায়ী বিকল্প ব্যবস্থা। কারণ এছাড়া আর কোন উপায় নেই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা এগুচ্ছি, থেমে নেই। তবে ক্লাসরুমে পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের যে মিথস্ক্রিয়া সেটা খুব দরকার। কারণ এছাড়া মানবিক গুণাবলির বিকাশ হবে না।’

শিক্ষা গবেষক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, তিনি এই ব্যবস্থার সাথে একমত হতে পারছেন না।

তিনি বলছেন, ‘কারণ শিক্ষার্থীদের আমরা শেখাব। শেখার চাইতে মূল্যায়নের গুরুত্ব বেশি না। মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচী থেকে যে জ্ঞান অর্জন করতে পারার কথা তারা সেটা পারেনি। এটা নামকাওয়াস্তে একটা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে তাদের মূল্যায়ন হবে। এই অ্যাসাইনমেন্ট বাড়িতে সে নিজে করছে, নাকি তার অভিভাবক, প্রাইভেট টিচার বা বড় ভাই করে দিচ্ছে সেটা বোঝার কোন উপায় আছে?’

‘শেখাতে পারলাম না কিন্তু তাকে পরবর্তী ক্লাসে উঠিয়ে দিলাম এতে বিশাল লার্নিং গ্যাপ তৈরি হবে। এই শিখন শূন্যতা নিয়ে পরে ধাপের আরও উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে না। কারণ উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করতে হলে তাকে আগের বিষয়গুলো জানতে হবে। সেটা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে হবে না। এখানে সরকার সেশনটা কয়েক মাসের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারতো।’

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram