মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক।।
জানুয়ারিতেই দেশে করোনার টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে অক্সফোর্ডের টিকা আসবে। মোট তিন কোটি টিকা আসবে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে ভ্যাকসিনসংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসবে দেশে। এর পর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ৬ মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে।

অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, অক্সফোর্ড ছাড়াও রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রেও ভ্যাকসিনের বিষয়ে যোগাযোগ হচ্ছে। অক্সফোর্ডের করোনা টিকা তিন কোটির বেশি দিতে না পারলে অন্য দেশ থেকেও ভ্যাকসিন আনা হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ভারতে উৎপাদন করবে সিরাম ইন্সটিটিউট। এ টিকা আনতে ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।

চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত টিকা সরবরাহ করবে সিরাম ইন্সটিটিউট।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

সংস্থাটির ২১০তম কার্যনির্বাহী বোর্ডের ভার্চ্যুয়াল সভায় এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোববার তার কার্যালয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে একটি সুখবর আছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত সম্বলিত নথিটি ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে।

গত ১১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন ২১০তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এই পুরস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই প্রথম জাতিসংঘের কোনো সংস্থা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল।

ইউনেস্কো শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রভৃতিসহ স্বীয় অধিক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করে।

ইউনেস্কো অধিক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান ব্যক্তি তথা প্রতিষ্ঠানের নামে ২৩টি ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তিত রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ‘ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু’ পুরস্কার হবে সংস্থা কর্তৃক প্রবর্তিত প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

বসবাসের জন্য পৃথিবী অমূল্য। তবে সেটা ভাবার্থে। বিশেষ করে এর বাইরে এখনো যখন বাসযোগ্য কোনো গ্রহের সন্ধান মেলেনি। তবে পৃথিবীর একটা অর্থমূল্য তো আছেই। প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে অর্থমূল্যে মাপা যেতে পারে। আবার পৃথিবী থেকে মানুষ যে যে সুবিধা পেয়ে আসছে, তারও আর্থিক একটা মূল্য ধরা যেতে পারে।

ভাবনা নেই, পৃথিবী ক্রয় বা বিক্রয়ের চিন্তা কেউ করছে না। তবে সামনে একটা সংখ্যা পেলে মূল্য বুঝতে সুবিধা হতে পারে। মেন্টালফ্লস ডটকমের নিবন্ধে এক জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীর পৃথিবীর অর্থমূল্য বের করার পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়।

সে নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক গ্রেগরি লাফলিন বলেছেন, পৃথিবীর মূল্য পাঁচ কোয়াড্রিলিয়ন বা ৫০ কোটি কোটি (৫,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০) ডলার। পৃথিবীর ভর, তাপ ও বয়সের সঙ্গে জীবন টিকিয়ে রাখার আরও অনেক বিষয় মিলিয়ে এই হিসাব কষেছেন তিনি।

পৃথিবীর মূল্য নির্ণয়ে জীবন টিকিয়ে রাখার ব্যাপারটিতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন লাফলিন। আর পৃথিবীর গুরুত্ব বোঝাতে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের সম্ভাব্য মূল্যও দেখানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। যেমন মঙ্গল গ্রহের মূল্য তাঁর কাছে পুরোনো কোনো গাড়ির মতোই— বড়জোর ১৬ হাজার ডলার। শুক্রের তুলনায় সেটি ঢের বেশি। কারণ শুক্র গ্রহের দাম লাফলিনের হিসাবে কেবল এক সেন্ট।

মানুষের বসবাসের একমাত্র গ্রহের গুরুত্ব বোঝাতে লাফলিন কেবল একটা তাত্ত্বিক ধারণা দিতে চেয়েছেন। আর প্রাকৃতিক সম্পদের অর্থমূল্যের হিসাব কষতে চাইলে কেবল ‘সিক্সটিন সাইকি’ গ্রহাণু গোটা পৃথিবীর অর্থনীতির চেয়েও দামি হবে বলে এর আগে আমরা দেখেছি।

সূত্র: মেন্টালফ্লস ডটকম
শিক্ষাবার্তা ডটকম / বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়খুল হাদীস নূর হোসাইন কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। রবিবার তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।

এর আগে শনিবার তার প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নূর হোসাইন কাসেমীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে অক্সিজেনের মাত্রা ও রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে প্রথমে হাইডিপেন্ডসি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার আরো অবনতি হলে রাত ৮টায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

মুনির আহমেদ জানান, হেফাজত মহাসচিবের ফুসফুসের ইনফেকশন ছিলো। সেই ইনফেকশন জটিল আকার ধারণ করে।

এর আগে ১ ডিসেম্বর অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টের কারণে কাসেমীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তার করোনা পরীক্ষা করালে নেগেটিভ আসে।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ

করোনা ভাইরাসের এই ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবন করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বৃটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। এর আগে গত ৫ই নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।

আজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অক্সফোর্ডের যে ভ্যাকসিন আমরা নিচ্ছি, ৩ কোটি ডোজের জন্য সেটার পারচেজ ডকুমেন্ট আমরা সই করেছি। এটা আমরা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে আমরা পাঠিয়ে দেবো।

তারা ১৫ তারিখের মধ্যে এটি পেয়ে যাবে।

কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে দেশে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি জানুয়ারি মাসের কোনো এক সময় আমরা এই ভ্যাকসিন পাবো। এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। আমাদের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের বিষয়ও আছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই এটি পাবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
সবুজ মাঠের একটি অংশে দাঁড়িয়ে আছে কামালপুর যুদ্ধের বীরদের স্মরণে নির্মিত—কামালপুর স্মৃতিসৌধ। পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে এই এলাকাটির অনেক স্থাপনা, স্থান। যেমন মাঠঘেঁষা ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়। প্রাচীরঘেরা এই স্কুলও তো ইতিহাসের এক অংশ। এই বিদ্যালয় থেকেই ৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে তাঁরা বীরের মতো লড়াই করেছেন। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন স্কুলের প্রাক্তন তিন ছাত্র বশির আহমেদ, নূর ইসলাম ও মতিউর রহমান। নূর ইসলাম আবার একই সঙ্গে বীর প্রতীক ও বীর বিক্রম।

কামালপুর জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার একটি স্থান। ভারতের সীমান্তবর্তী। কামালপুর থেকে মাইলখানেক দূরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মহেন্দ্রগঞ্জ। অনেকেরই হয়তো জানা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল মেঘালয় রাজ্যের এই মহেন্দ্রগঞ্জ। তাই কৌশলগত কারণে ১৯৭১ সালে কামালপুর হয়ে উঠেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ বলেই কামালপুর বিওপিতে (বর্ডার আউটপোস্ট বা সীমান্ত ফাঁড়ি) ঘাঁটি গেড়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। সেই ক্যাম্প দখলে নিতে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর রক্তক্ষয়ী অনেক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এমন এক যুদ্ধেই পা হারান কর্নেল আবু তাহের। শহীদ হন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজসহ শতাধিক বীরযোদ্ধা। একসময় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী। কামালপুরে এমন বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় বীর বিক্রম, বীর উত্তম ও বীর প্রতীক খেতাব পান মোট ২৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

স্বাধীনতার স্বপ্ন
১৯৭১ সালের সেই সময়টায় বিভিন্ন সেক্টর ও সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে পুরো দেশকে। মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন কোম্পানিতে মুক্তিযোদ্ধা নিয়োগ চলছে। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ধানুয়া কামালপুর কো–অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়েও হাওয়া লাগল মুক্তিযুদ্ধের। বিদ্যালয়টির নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্ররা একে একে নাম লেখাতে থাকলেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। ছুটে গেলেন প্রশিক্ষণ নিতে।

তাঁদেরই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মো. ইয়াকুব। মুঠোফোনে তিনি বললেন, ‘ধানুয়া কামালপুর কো–অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়ে আমি তখন দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। সে সময় দেশের পরিস্থিতি আমরা বুঝে গিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক আমাদের কাছেও পৌঁছে গেছে। গ্রামাঞ্চল হলেও নানা মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের খবর পাচ্ছিলাম। আর ওপাশেই ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ, সেখানে গিয়ে দেখতাম যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের বয়সী অনেকেই যুদ্ধে যাচ্ছে, নিজেকে ঘরে রাখা কঠিন হয়ে গেল।’ মুক্তিযুদ্ধে গেলেন খন্দকার মো. ইয়াকুব। শুধু তিনি নন, তাঁর মতো এই স্কুলের আরও অনেক শিক্ষার্থীই নাম লেখালেন।

একসময় খন্দকার মো. ইয়াকুব ধানুয়া কামালপুর কো–অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি স্কুল থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনিসহ স্কুলটির কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাক্তন ছাত্র উদ্যোগী হয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকাটি স্কুল থেকে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের। খন্দকার মো. ইয়াকুব বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানসহ কয়েকজন মিলে আমরা একটি তালিকা তৈরি করেছি। সে তালিকা অনুযায়ী, ধানুয়া কামালপুর কো–অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৯ জন ছাত্র তখন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।’

বিদ্যালয়টির সে সময়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা সম্পর্কেও তিনি ধারণা দিলেন। জানালেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী পড়ত ধানুয়া কামালপুর কো–অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়ে। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসংখ্যা ছিল ২০০-২৫০ জন। বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলছিলেন, ‘১৯৬৪ সালে এই স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় আশপাশের এলাকায় কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। সবাই কামালপুরেই পড়তে আসতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ এক রণাঙ্গন ছিল বলে স্কুলের এত ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।’

যুদ্ধের সময় মতিউর রহমান পড়তেন নবম শ্রেণিতে। বশির আহমেদ ও নূর ইসলাম ছিলেন দশম শ্রেণির ছাত্র। মতিউর রহমান কামালপুর ছাড়াও বাট্টাজোড়, বশিরউল্লা, মার্দা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আন্ডারচর, কাঠারবিল, জিগাবাড়ী এলাকায় সাহসিকতার সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর কামালপুর ঘাঁটি আক্রমণ করতে গিয়ে গুলিতে আহত হন মতিউর।

নূর ইসলামের বীরত্বও অবিস্মরণীয়। নূর ইসলাম ছিলেন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। তাঁর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধগুলোর একটি হয়েছিল তারই নিজ এলাকায়। তাই সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নূর ইসলামের দায়িত্ব ছিল গাইডের। রাস্তাঘাট চিনিয়ে দিতেন বলে বেশির ভাগ সময় সমানেই থাকতে হতো। ১৯৭১ সালের ১৭ অক্টোবর ধানুয়ায় এমন এক সম্মুখযুদ্ধে নূর ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। মতিউর রহমান ও নূর ইসলামের চিকিৎসা হয় ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে। এই দুই যোদ্ধার বীরত্বকে সম্মান জানিয়ে বীর প্রতীক খেতাব দেয় বাংলাদেশ সরকার।

বশির বললেন, ‘আমি যাব’
পাকিস্তানি ক্যাম্পে কে যাবে আত্মসমর্পণের চিঠি নিয়ে?

ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার হরদেব সিং ক্লের প্রশ্নটি করলেন। কামালপুর সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় গ্রাম ব্রাহ্মণপাড়ায় তখন যৌথ বাহিনীর হাজারো সদস্য উপস্থিত, যাঁরা মৃত্যুকে হাতে নিয়েই যুদ্ধের ময়দানে। কয়েক ঘণ্টা আগেও সম্মুখসমরে বীরত্ব দেখিয়েছেন তাঁরা। তবু এই প্রশ্নে তাঁদের মুখাবয়বে অনিশ্চয়তা।

ব্রিগেডিয়ার ক্লের যখন প্রশ্নটা দ্বিতীয়বার করলেন, ঠিক তখনই মুক্তিবাহিনীর এক কিশোর যোদ্ধা বলে উঠলেন, ‘আমি যাব।’ সেই কিশোর যোদ্ধা বশির আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধের সময় বশির আহমেদ ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

গেল ১০ ডিসেম্বর মুঠোফোনে বশির আহমেদ জানালেন, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বরের ঘটনা। হরদেব সিং ক্লেরের কাছ থেকে নেওয়া আত্মসমর্পণের চিঠিটি পকেটে নিয়ে কী অসীম সাহসের সঙ্গে তিনি পাকিস্তানি ক্যাম্পে গিয়েছিলেন।

বশির আহমেদ বলছিলেন, ‘আমাদের স্কুলের ১০০ গজ দূরেই ক্যাম্পটি। পাকিস্তানি ক্যাম্পের সামনের রাস্তায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আমার হাতে থাকা সাদা পতাকা নাড়ালাম। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া পেলাম না। ভয়াবহ অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলাম।’ কারণ, শত্রুপক্ষের ছোড়া একটি গুলিই কিশোর বশির আহমেদের জীবন কেড়ে নিতে পারত। তবে কোণঠাসা পাকিস্তানি বাহিনী একসময় ক্যাম্পের ভেতরে তাঁকে ডেকে নেয়। তিনি আত্মসমর্পণের চিঠি পৌঁছে দিলেন বিওপির কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান মালিকের হাতে।

চিঠির বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না পাকিস্তানি বাহিনী। অনেক সময় গড়াল। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর চারটি যুদ্ধবিমান হামলা শুরু করল। বশির আহমেদকে বাংকারে ঢোকানো হলো। কয়েকজন সৈনিক হতাহত হলো। পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল আরও ভেঙে গেল। এরই মধ্যে মুক্তিবাহিনীর আরও একজন এলেন আত্মসমর্পণের চিঠি হাতে। তিনি আনিসুর রহমান। এভাবেই একসময় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। শত্রুমুক্ত হয় কামালপুর রণাঙ্গন। আর কিশোর বশির আহমেদ এবং আনিসুর রহমান হয়ে যান কামালপুরে আত্মসমর্পণের নায়ক।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশে দ্রুত এবং সমতার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের টিকা বিতরণ করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুদিনের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রাপাল সিং এ কথা বলেন।

এদিকে শনিবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচিতে ৯শ কোটি ডলারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে- এশিয়া প্যাসিফিক ভ্যাক্সিনেশন অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। ভাইরাস সংক্রমণের চেইন ভেঙে দিতে, জীবন রক্ষা করতে এবং অর্থনীতিকে পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দ্রুতগতিতে এবং সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন দিচ্ছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই বৈঠক আহ্বান করা হয় টিকা তৈরি এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। দরিদ্র দেশগুলো টিকা পাওয়ার

ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে বলে আশঙ্কার কথা বলা হয় এতে। খেত্রাপাল বলেন, ডব্লিউএইচও টিকাদান পরিকল্পনা এবং জাতীয় পর্যায়ে এই টিকা বিতরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। এ ক্ষেত্রে তিনি অংশীদারদের মধ্যে সব পর্যায়ে কার্যকর সমন্বয়, সহযোগিতা এবং তথ্য বিনময়ের ওপর গুরুত্ব দেন। এখানে প্রস্তুতকৃত টিকা বিশ্বজুড়ে শত শত কোটি মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন খেত্রাপাল।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য ফি নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে অর্থ ব্যয়ের দিকনির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ফি কাঠামো এবং আয়-ব্যয়সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এটি প্রায় চূড়ান্ত। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগির তা জারি হবে।

আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, আশা করছি নতুন বছরে প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন করা যাবে।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায়ে অনেকটাই বেপরোয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, ওই ফি ব্যয়েও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পরিচালনা কমিটি স্বেচ্ছাচারী। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে অর্থ আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা নেই। এ নিয়ে দৈনিক গড়ে ১০-১২টি অভিযোগ জমা পড়ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দফতরে। সরকারের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) প্রতিটি প্রতিবেদনেই এমন তথ্য উঠে আসছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অভিযোগ জমা রেকর্ড আছে। এমনই এক অভিযোগের সূত্র ধরে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই মন্ত্রণালয় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২০’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন বছরে এটি বাস্তবায়ন হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়।

নীতিমালায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সরাসরি বা নগদে কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করতে পারবে না। নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সব ধরনের ফি আদায় করতে হবে। অর্থ ব্যয়ও করতে হবে ব্যাংক থেকে নিয়ে। সব ধরনের ব্যয় পরিচালিত হবে গঠিত কমিটির মাধ্যমে। আয়-ব্যয়ের অর্থ থাকবে একটি সাধারণ হিসাবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন, ফাউন্ডেশন এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে। পাশাপাশি ওইসব অর্থ ব্যয়ে নেই স্বচ্ছতা। সরকারের বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকার জন্য সাম্প্রতিককালে নতুন স্টাইল চালু হয়েছে। সেটি হচ্ছে, এমপিও সারেন্ডার (গ্রহণ বন্ধ) করা। এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোও ফি আদায়ে অনেকটাই কঠোর বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। প্রতিষ্ঠানগুলো ফি নির্ধারণে অযৌক্তিক হলেও সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অভিভাবকরা মুখবুঝে সব সহ্য করে থাকেন বলে জানা গেছে।

ফি নির্ধারণে সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি শুধু এমপিওভুক্ত নয়, সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্যই নীতিমালা তৈরির তাগিদ দিয়েছেন তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা প্রত্যাশা করি। ফি কাঠামো নির্দিষ্ট করে দেয়া বা কমিটির মাধ্যমে ব্যয় করা মন্দ কিছু নয়। কেননা, সাম্প্রতিককালে বেসরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে। তাই শৃঙ্খলা বা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার জন্য নীতিমালা হতে পারে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ বলা যাবে না। এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, শুধু এমপিওভুক্ত নয়, অনুমোদনপ্রাপ্ত ও দেশের ভূখণ্ডে পরিচালিত সব ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যই নীতিমালা তৈরি করা যেতে পারে। পাশাপাশি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য তদারকির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। আর কমিটির মাধ্যমে ব্যয় যেন দীর্ঘসূত্রতার কবলে না পড়ে সেই ব্যবস্থা নীতিমালা থাকতে হবে।’

বেতন, ভর্তি ও পরীক্ষার ফি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫ ভাগ করে ফি প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ঢাকা শহর, অন্য মেট্রোপলিটন, জেলা ও পৌর এলাকা, উপজেলা এবং সুবিধাবাঞ্চিত-দুর্গম অঞ্চল। এলাকা ভেদে টিউশন ফি প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে ১২ থেকে ২৫ টাকা নেয়া যাবে। এভাবে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫ থেকে ৪৫ টাকা। ভর্তির আবেদন ফি ৭৫ থেকে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ভর্তি বা পুনঃভর্তি ফি প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে থাকতে হবে। দুই পরীক্ষার ফিও (ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক) শ্রেণি এবং এলাকা ভেদে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। অনলাইন আবেদন, রেজিস্ট্রেশন ফি, উন্নয়ন ফি ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী হবে। তবে প্রতি বিষয়ে অভ্যন্তরীণ ফি ৫০ থেকে ৪০ টাকা।

নীতিমালায় আদায়যোগ্য ফির খাত প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ৫০ টাকা, ম্যাগাজিন ফি ১০০ টাকা, মুদ্রণ বাবদ ১৫০ টাকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক ও বিভিন্ন দিবস উদযাপনে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা, কম্পিউটার চার্জ ২৫ থেকে ৫০ টাকা, কৃষি ও বাগান ফি (যদি থাকে) ৩০ টাকা, কমন রুম ফি ২০ থেকে ৩৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি ৫ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা, রেডক্রিসেন্ট ফি ২০ টাকা, মসজিদ ও উপাসনালয়ের জন্য ২৫ থেকে ৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি ও পরীক্ষার সংক্রান্ত সব ফি শিক্ষা বোর্ড নির্ধারণ করে দেবে। আর স্কাটাউ, ক্রীড়া, কল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফিও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করে দেবে। উন্নয়ন ফি ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী আদায় করা যাবে।

কলেজে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। কল্যাণ ফি বাবদ ২০ টাকা, পরিচয়পত্র ফি ৩০ টাকা, লাইব্রেরি ফি ২৫ টাকা, ল্যাবরেটরি/বিজ্ঞানাগার ফি ১০০ টাকা, আইসিটি ফি ২০ টাকা, ম্যাগাজিন খাতে ৩০ টাকা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যয় ৩০ টাকা, সাংস্কৃতিক, বিতর্ক ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেয়া যাবে।

ব্যয়ে কমিটি ও মাধ্যম ব্যাংক :
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সব ফি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নিতে হবে। এমপিওভুক্ত স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি এবং কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির নেতৃত্বে তিনজন সিনিয়র শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি অর্থ কমিটি গঠন করতে হবে। কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষকের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট বেতন ও ফি আদায় কমিটি সব প্রকার ফি ও বেতন আদায় সম্পর্কিত মাসিক প্রতিবেদন কমিটি বরাবর দাখিল করবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান রিকুইজিশন দিয়ে প্রতি মাসে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যয় গ্রহণ করবেন। হিসাব দাখিল করে পরের মাসের অর্থ নেবেন। অর্থ কমিটি যাচাই-বাছাই করে সে অর্থ ছাড় করবে। এভাবে বিভিন্ন কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে। অডিট কমিটি পরের বছরের ৩১ জানুয়ারি মধ্যে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি এবং মাউশিতে জমা দেবে।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ
মানুষের অনেক রোগের কারণ দুশ্চিন্তা। বলা হয় যেকোনো রোগের সঙ্গেই দুশ্চিন্তা সর্ম্পকিত। বুকজ্বালার সঙ্গে এর সর্ম্পক আরও গভীর। চিকিৎসকদের মতে, এটি একটি দুষ্ট চক্রের মতো। কারণ, দুশ্চিন্তার কারণেও অনেক সময় অ্যাসিডিটি হয়।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার প্রিন্সিপাল ডায়েটিশিয়ান তামান্না চৌধুরীর সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু নাইম
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার প্রিন্সিপাল ডায়েটিশিয়ান তামান্না চৌধুরীর সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু নাইম
এ ধরনের রোগের উপসর্গ, কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আয়োজন করে এসকেএফ নিবেদিত স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ইজোরাল মাপস স্বাস্থ্য আলাপন’। অনুষ্ঠানটির এই পর্বে আলোচনা করা হয় দুশ্চিন্তা ও বুকজ্বালা নিয়ে। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার প্রিন্সিপাল ডায়েটিশিয়ান তামান্না চৌধুরীর সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু নাইম।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু নাইম বলেন, সাধারণত লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে পেপটিক আলসার। এ সমস্যা অনেকাংশে মানসিক। সাধারণভাবেই মানুষের পেট কিছু পরিমাণ গ্যাস নির্গমণ করে। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এ কারণেও কখনো কখনো বুকজ্বালা হতে পারে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ অনেকেই একটু–আধটু বুকজ্বালা বা গ্যাস নির্গমণ হলেই মনে করেন, তিনি পেপটিক আলসারে ভুগছেন।

এর সঙ্গে দুশ্চিন্তা যোগ হলে অ্যাসিডিটি আরও বেড়ে যায়। কারণ, দুশ্চিন্তা থেকে উদ্বেগ তৈরি হয়। এ জন্য প্রথমেই জানতে হবে এই রোগের লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে। যেমন পেটের ওপর ও মাঝামাঝি অংশে ব্যথা হবে। মনে হবে যেন পুড়ে যাচ্ছে। কেবলমাত্র অ্যান্টাসিড খেলেই এই ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে। খাওয়ার পর আলসারের ব্যথা নির্ভর করে ঠিক কোন স্থানে রোগ হয়েছে তার ওপর। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে খাওয়ার পরপরই পেটে ব্যথা বাড়তে পারে। আর ডিওডেনাল আলসার হলে পেটের ব্যথা বাড়ে খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর।

আর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটে ব্যথা শুরু হলে সেটা আলসারের লক্ষণ। ক্রমাগত ঢেকুর ওঠা ও বমি ভাব আসা। অবসাদ ভাব ঘিরে ধরে। সাধারণত বমির আগে দিয়ে এমনটা মনে হয়। এর থেকে মুক্তি চাইলে অহেতুক ওষুধ না খেয়ে, জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। খাওয়ার যে অনিয়ম, সেটিও পরিবর্তন করতে হবে। কোনো দিন দুপুরে খেলো, কোনো দিন খেলো না, কোনো দিন ৯টায় খেলো, কোনো দিন রাত ১২টায় খেলো, কোনো দিন না খেয়ে ঘুমিয়ে গেলো। এসব বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে। দ্বিতীয়ত যদি বদঅভ্যাস থাকে সিগারেট খাওয়ার, পান, গুল, পাতা এগুলো খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, এগুলোও ধীরে ধীরে বন্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু নাইম কথা বলেন মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন নিয়ে। কারণ, করোনার এই সময়ে ছোট থেকে বড় সবাই মুঠোফোন, ট্যাব, কম্পিউটার বা টিভির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছেন এবং কাজের জন্যেও তাঁদের গ্যাজেটের সামনে বসে থাকতে হচ্ছে। তাই নতুন করে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু নাইম বলেন, মাইগ্রেন কেন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি। এটি সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি হয়। মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় পুরো মাথায় ব্যথা করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম, অনিদ্রা, অনেকক্ষণ টিভি দেখা, দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে কাজ করা, মুঠোফোনে কথা বলা ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে।
একরুলিলা, পেকজেলসডটকম
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অতি উজ্জ্বল আলো এই রোগকে বাড়িয়ে দেয়।
মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তি বোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। শব্দ ও আলো ভালো লাগে না।

কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। মাইগ্রেন চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক ও প্রতিরোধক ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত। বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা। কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে। উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ।

জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আড়াইহাজার উপজেলা সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরাম এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার ভুমি মো: উজ্জল হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার ,আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী আনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী জিকুরুর রহমান, গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মনজুরুল মোর্শেদ, উপজেলা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো: শাহিন আলম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, সমবায় কর্মকর্তা নাহিদা নাসরিন, উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বুলবুল, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সরকার, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লোকমান হোসেন প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেন, জাতির পিতা সম্মান বজায় রাখায় জন্য সবধরণের কর্মসূচী নেওয়া হবে।

সভায় সহকারী কমিশনার ভুমি মো: উজ্জল হোসেন সকলকে এক হয়ে জাতির পিতার সম্মান বাজায় রাখার জন্য আহবান জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ মুজাম্মিল হক (৫৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এরশাদুল হক তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ মুজাম্মিল হক রংপুর জেলার মাহিগঞ্জ থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

তিনি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে যোগদান করেন। অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।
সহযোগী অধ্যাপক এরশাদুল হক জানান, অধ‌্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ মুজা‌ম্মিল হক ক‌রোনা প‌জি‌টিভ ছি‌লেন। তার ডায়াবেটিকসসহ হা‌র্টের সমস্যাও ছিল। তিনি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হ‌য়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

প‌রে গত ৯ নভেম্বর তা‌কে ঢাকায় এক‌টি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে হার্টের অবস্থার অবনতি হলে তা‌কে লাইফ সা‌পো‌র্টে নেওয়া হয়। তবে নভেম্বরের শেষের দি‌কে তার ক‌রোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় লাইফ সা‌পোর্ট খুলে চিকিৎসক তা‌কে মৃত ঘোষণা করেন।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

আইয়ুব আলী, হোমনা :

কুমিল্লার হোমনায় চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অধিদপ্তরেরর সহযোগিতায় শনিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘যদিও মানছি দূরত্ব,তবুও আছি সংযুক্ত’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেহানা বেগম , ভাইস চেয়ারম্যান মহাসিন সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া ভূইয়া, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন , ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম, হোমনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হক সরকার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন , প্রধান শিক্ষক এটিএম মফিজুল ইসলাম শরীফ ও মো. লুৎফুর রহমান, শিক্ষার্র্থী মানছুরা আক্তার জেসী প্রমুখ ।

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মানাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের অবমাননার প্রতিবাদে র‌্যালী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।

সহকারী শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এর শিক্ষক সহায়িকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ,মাদ্রাসা ও কলেজ পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় ।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram