মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক ঃ
সারাদিন পরিশ্রম করার পর রাতে কয়েক ঘণ্টা প্রশান্তির ঘুম সবার প্রয়োজন। কারণ ঘুম ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চাঙ্গা রাখে ও পরের দিনে আপনাকে কাজের জন্য প্রস্তুত করে।

সঠিক ঘুম, সুষম খাবার, শরীরচর্চা স্বাস্থ্য ভালো রাখার চাবিকাঠি। ঘুম অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু ঘুম সঠিকভাবে হওয়াটা জরুরি।

আপনি কতটা ঘুমাচ্ছেন, কীভাবে ঘুমাচ্ছেন এবং কেমন বিছানায় ঘুমাচ্ছেন সেটি অবশ্যই স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।

অনেকভাবে আমরা ঘুমিয়ে থাকি। পাশ ফিরে ঘুমানো, উপুড় হয়ে ঘুমানো, একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো। চিৎ হয়ে ঘুমানো। তবে বেশিরভাগ মানুষই একদিকে পাশ ফিরে শুতে অভ্যস্ত। কেউ ডান দিকে কেউ আবার বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমান।

গবেষকরা বলেন, ডান দিকে ফিরে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।

আবার কোনো কোনো গবেষক বলেন, বাম দিকে ফিরে ঘুমালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটিই ঘুমানোর সঠিক পন্থা। বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমালে হজম ভালো হয়।

বামদিক বা ডানদিকে পাশ ফিরে ঘুমালে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পাশ ফিরে ঘুমালে নাক ডাকা, নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।

তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই

অনলাইন ডেস্ক ঃ
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হলেও টিকা গ্রহণে এখনও মানসিকভাবে প্রস্তুত নন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

টিকা নেয়ার ইচ্ছা থাকলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয় নিয়ে অনেকের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার থেকে মার্কিন জনগণ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিতে শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশি প্রবাসীরা বলেন, 'আগে দেখবো, টিকা পরে নেবো’।

ইতোমধ্যে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই প্রথম দফায় ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় বলে ড্রাই আইসে মুড়িয়ে ট্রাক ও বিমানে করে স্থানীয় সময় ১৩ ডিসেম্বর রোববার ভোর থেকে ১৪৫টি কেন্দ্রে করোনার এই টিকা পাঠানো হয়।

মঙ্গল ও বুধবার আরও ৪৯১টি কেন্দ্রে ফাইজারের এ করোনার টিকা পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিতরণ তদারকি কর্মকর্তা জেনারেল গুসটেভ পেরনা।

তিনি আরো জানান, প্রথম দফায় ৩০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ১০ কোটি মার্কিনিকে এ টিকার আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও তা নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শতাংশ মানুষ! পিআর ফার্ম বোসপারের জরিপ বলছে, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্ত বয়স্ক জানিয়েছেন, ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের প্রতি তাদের আস্থা নেই।

জরিপের পেছনে নিজেদের উদ্দেশের কথা জানাতে গিয়ে বোসপারের প্রধান কর্মকর্তা কার্টিস স্পারার গণপমাধ্যমকে বলেন, লকডাউনের বিরুদ্ধে দেখছি অনেকে আন্দোলন করছেন। মানুষ আসলে কী ভাবছে, সেটি জানতে আমরা এমন জরিপ চালাই। সামগ্রিক চিত্র নিয়ে আমি হতাশ। বাজি ধরে বলতে পারি আরও অনেক মানুষ ভ্যাকসিন নেবে না।

জরিপটি হয়েছে এপ্রিলের শেষ দিকে, ২৮ এবং ২৯ তারিখ। বাজার জরিপকারী সংস্থা প্রোপেলার বোসপারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। তারা ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

নিউজ ডেস্ক ঃ
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বরিশালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘চিরন্তন মুজিব’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার মহান বিজয় দিবসে সাড়ে ৯টায় বরিশাল সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘চিরন্তন মুজিব’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকার।

এ সময় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এবং বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভিত্তি উদ্বোধনকালে বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকার বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই জাতির জনকের ভাস্কর্য নির্মাণ বরিশালসহ সারা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। এর মধ্য দিয়ে জাতির পিতার চেতনা বাস্তবায়ন হবে এবং সুখী সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু। পরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এদিকে দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহেদুর রহমান হেলো সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহাগ হোসেন, ডা. সায়মা আফরোজ ইভা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সুন্দর আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ঝর্না রহমান, এসিল্যান্ড উজ্জল হোসেন, ওসি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

৪৯ তম মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মাজহারুল হক অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পরে সাংসদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য রেসপিরেটরি ইউনিট ও সবুজায়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আমিন, মেডিকেল অফিসার ডা. উত্তম কুমার দাসগুপ্ত, ডা, আরিফ ভূইয়া, ডা. গোলাম দস্তগীর প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন ডেস্ক ঃঃ
গ্রাহকের তথ্য ফাঁসের অভিযোগে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় গ্রামীণফোন ছাড়াও কাস্টমার কেয়ারের একজন প্রতিনিধিসহ দুজনকে আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার বিকালে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম আজম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। হাতিরঝিল থানার মামলা নম্বর ২৪। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণফোন লিমিটেড, রুবেল মাহমুদ অনীক ও পারভীন আক্তার।

ডিসি হারুন জানান, টেলিযোগাযোগ আইনে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ছয়জন গ্রাহক এরই মধ্যে তথ্যের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করেছে পুলিশের কাছে। এরই মধ্যে মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরা হলো গ্রামীণফোনের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার রুবেল মাহমুদ অনীক ও প্রতারক পারভীন আক্তার।’

এই প্রতারকচক্র বিভিন্ন ধনাঢ্য গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে সেগুলো ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতো। সামাজিক হয়রানি ও মর্যাদাহানির ভয়ে অনেকে তাদের অর্থ দিতে বাধ্য হয়।

গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি সাংবাদিকদের জানিয়েছে, গ্রামীণফোন কঠোর ডাটা প্রোটেকশন নীতিমালা ও ব্যবস্থা মেনে চলে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে তারা অবগত হয়েছে যে, একজন জিপি ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মী (জিপিসিএফ) কথিত জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ তদন্ত করছে। এই বিষয়ে গ্রামীণফোন সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সম্পর্ণরুপে সহযোগিতা করবে।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
টিন সার্টিফিকেট না থাকায় শিশুদের আমানতের সুদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করছে ব্যাংকগুলো। এ কারণে শিশুদের ব্যাংক হিসাবে টাকা রাখতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অভিভাবকরা। হিসাব থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাভাবিক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করে নিচ্ছেন তারা। সংশ্লিষ্টদের মতে, এর ফলে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে টাকা জমানোর অভ্যাস কমে আসতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং তাদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্যাংকগুলো। সে আলোকে ১৮ বছরের কম বয়সী একজন শিক্ষার্থী তার জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র বা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র এবং সর্বশেষ মাসের বেতন রশিদের সত্যায়িত অনুলিপির মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পক্ষে পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবকের মাধ্যমে হিসাবটি পরিচালনা করতে হয়। সাধারণত পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবক থেকে পাওয়া টাকা, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা এ ধরনের হিসাবে জমা হয় এবং হিসাবের মূল সুবিধাভোগীও হিসাবধারীর পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক বিধায় হিসাবধারীর কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র ও ১২ অংকের ই-টিআইএন থাকে না।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আয়কর অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪-এর সেকশন ৫৩ (এফ) অনুযায়ী ব্যাংকে রক্ষিত আমানতের সুদ বা মুনাফার ওপর ১৫% বা ১২ অঙ্কের ই-টিআইএন থাকা সাপেক্ষে ১০% হারে উৎসে আয়কর কর্তন করতে হয়। যেহেতু স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র ও ই-টিআইএন সার্টিফিকেট নেই, এ কারণে ওই বিধান অনুযায়ী তাদের হিসাব থেকে ১৫% হারে উৎসে আয়কর কর্তন করছে ব্যাংকগুলো। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সুদের ওপর আয়করের পরিবর্তন আনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হল।

তা না হলে স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে অর্থ জমা না করে নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা করতে উৎসাহিত হবেন। আর যদি তাই হয় তবে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব কার্যক্রমটি বাধাগ্রস্ত হবে এবং ছাত্র/ছাত্রীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ার উদ্দেশ্যও ব্যাহত হবে। এ বিষয়ে এনবিআরের মতামত প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে স্কুল ব্যাংকিং হিসেবে শিক্ষার্থীদের জমা টাকার পরিমাণ এক হাজার ৮২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শিক্ষার্থীদের মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৫৬৪টি। হিসাব অনুযায়ী, জুন প্রান্তিকের তুলনায় সেপ্টেম্বর শেষে অ্যাকাউন্টের পরিমাণ বেড়েছে মাত্র ০.৭৮% এবং আমানত বেড়েছে ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।

শিক্ষাবার্তা/ বিচ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটিতে নতুন করে ২ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ওই ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, একই সময় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরও ২ হাজার ৭০৬ জন কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে আশঙ্কাজনকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে থাকে।

দেশটিতে দৈনিক হিসাবে গত ১০ দিনেই নতুন করে ২ লাখ বা তার বেশি সংখ্যক লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখেরও বেশি। এ মুত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষের।

এদিকে সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দেয়া শুরু হয়েছে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক ব্যবহারের এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পদক্ষেপ অবশ্যই পালন করতে হবে, বিশেষ করে বছর শেষের ছুটি চলাকালে।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ

মহামারি করোনার আঘাতে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০২০ সালে হারিয়ে গেছে আট কোটি ১০ লাখ চাকরি, বেড়েছে দারিদ্র্য। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক : ন্যাভিগ্যাটিং দ্য ক্রাইসিস টুওয়ার্ডস অ্যা হিউম্যান-সেন্টার্ড ফিউচার অব ওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, প্রান্তিক অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে প্রায় সব দেশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে সুদূরপ্রসারী। নতুন কর্মসংস্থান অনেকটাই ভেঙে পড়ে। যাঁরা চাকরিতে ছিলেন এমন লাখ লাখ মানুষের কর্মঘণ্টা কমেছে, আবার অনেকে পুরোই কর্মহীন হয়ে পড়েন। হিসাবে দেখা যায়, এই অঞ্চলে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর্মঘণ্টা কমেছে ১৫.২ শতাংশ এবং তৃতীয় প্রান্তিকে কমেছে ১০.৭ শতাংশ। এই তুলনা করা হয়েছে সংকটপূর্ব সময়ের সঙ্গে।
বিভিন্ন দেশের প্রান্তিক ডাটা হিসাব করে আইএলওর প্রাথমিক এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে বেকারত্বের হার ২০১৯ সালের ৪.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০ সালে হবে ৫.২ শতাংশ থেকে ৫.৭ শতাংশের মধ্যে। আইএলওর সহকারী মহাপরিচালক এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক চিহকো আসাদা মিয়াকাওয়া বলেন, ‘এই অঞ্চলের শ্রমবাজারে ভয়াবহ আঘাত হেনেছে করোনা। কয়েকটি দেশের সরকার এটি ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারলেও অনেক দেশই সামাজিক নিরাপত্তা ঘাটতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে খুব একটা সহায়তা করতে পারেনি, ফলে শ্রমিকরাও কাজে ফিরতে পারেননি। পরিস্থিতি আরো জটিল করে দিয়েছে অনানুষ্ঠানিক খাতে থাকা বিপুলসংখ্যক শ্রমিক।’

তিনি বলেন, ‘সংকট পূর্ববর্তী দুর্বলতার কারণে কর্মঘণ্টা কমে বা চাকরি হারিয়ে লাখ লাখ মানুষ অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষের চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নারীরা। কারণ তাঁরাই বেশি চাকরি হারিয়েছেন। এ ছাড়া তরুণরা চাকরি হারিয়েছেন ৩ থেকে ১৮ গুণ পর্যন্ত। এসব কারণে সার্বিকভাবে শ্রমিকদের আয় কমেছে ১০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারি অব্যাহত থাকলে শ্রমজীবী দরিদ্রের সংখ্যা বাড়বে। আরো দুই কোটি ২০ লাখ থেকে আড়াই কোটি মানুষ শ্রমজীবী হয়েও দরিদ্রতায় পড়বে আয় কমার কারণে। আইএলওর মতে, ১.৯০ ডলারের নিচে দিনে আয় করে এমন মানুষের সংখ্যা এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে বেড়ে ৯ কোটি ৪০ লাখ থেকে ৯ কোটি ৮০ লাখ হবে এ বছর।
মন্তব্য

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ

বাংলাদেশ শিগগিরই কোনো একটি বিদেশি কম্পানির টিকা উৎপাদনে যুক্ত হতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি কম্পানিটির বা টিকার নাম প্রকাশ করেননি।

সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘অক্সফোর্ডের টিকা এখন কেবল অনুমোদনের অপেক্ষায়। এর পরই আমরা পেয়ে যাব। সে জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবে আমরা এখন দেশের ওষুধশিল্পকেও টিকা তৈরি সক্ষমতার জায়গা থেকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলতে চাই। এই সক্ষমতা আমাদের দেশে রয়েছে। কয়েকটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশেই রয়েছে। যদিও এখন যে টিকা উৎপাদনের কথা চলছে, সেটি আমাদের দেশের কোনো কম্পানির টিকা নয়। একটি বিদেশি কম্পানির টিকা আমাদের দেশে উৎপাদন হবে।’
এদিকে দেশে দেশে বাড়ছে টিকা প্রয়োগের পরিধি। ফাইজারের টিকা দেওয়া চলছে আপাতত। আগামীকাল আরেক আলোচিত মডার্নার টিকার অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অ্যাডভাইজারি বোর্ডের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিডিউল রয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে ফাইজারের পাশাপাশি মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বিভিন্ন দেশে। ২১ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার টিকার যাত্রা হওয়ার ব্যাপারে মডার্না তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে রেখেছে।

ভারতে যেকোনো সময়ে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক সূত্র। তাদের মতে, ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন মেলার পরই দু-চার দিনের ব্যবধানে তা ভারত ও বাংলাদেশে সরবরাহপ্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতে যেহেতু এই টিকা তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট, তাই টিকাটি অনুমোদনের পর ভারতে এক-দুদিনের মধ্যে দেওয়া শুরু হবে। তবে বাংলাদেশে তা এনে কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে প্রয়োগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে আরো কিছু সময় লাগবে।

অন্যদিকে তাপমাত্রা নিয়ে সংকটের বিষয়টি সবার জানা থাকলেও এখনো দেশে ফাইজার ও মডার্নার টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে সরকারের জায়গা থেকে আগ্রহ কম থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাধিক টিকা বিশেষজ্ঞ বলেন, শুধু অক্সফোর্ডে কিংবা কোভ্যাক্সে পড়ে থাকা ভুল হচ্ছে। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে হলেও মডার্না ও ফাইজারের টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নয়তো মানুষের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা থেকে যাবে। প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে হলেও মডার্না, ফাইজার বা এমন একাধিক টিকার আগাম জোগান নিশ্চিত করা উচিত ছিল।
একজন বিজ্ঞানী পরিষ্কারভাবেই বলেন, মডার্না বা ফাইজারের টিকা দেশে সব মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা কঠিন হলেও অল্প পরিমাণে বিত্তবান শ্রেণির মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা অসম্ভব নয়। এমনকি দেশে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি কিংবা আরো কয়েকটি বড় ওষুধ কম্পানি ও ল্যাবে ওই টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা এখনই রয়েছে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো যাবে। এতে অন্তত একটি জনগোষ্ঠীর চাপ কমবে এবং যার পরোক্ষ উপকার পাবে অন্যরা।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ॥
মহাশূন্য থেকে গত সপ্তাহে পৃথিবীতে ফিরে আসা একটি ক্যাপসুল খোলার পর তার ভেতরে একটি গ্রহাণুর কুচকুচে কালো পাথর ও মাটির টুকরো পেয়েছেন জাপানী বিজ্ঞানীরা।রাইয়ুগু নামে এই গ্রহাণুর টুকরো সংগ্রহ করে তা একটি ক্যাপসুলে ভরে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল জাপানের মহাকাশ সংস্থা আইএসএএস-র পাঠানো হায়াবুসা-টু মহাকাশযান। যেসব পদার্থ দিয়ে সৌরজগতের সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলোর যে ক'টি এখনো টিকে আছে তার একটি হচ্ছে এই রাইয়ুগু নামের গ্রহাণু।

শুধু তাই নয় - মহাশূন্যের গভীর থেকে (ডিপ স্পেস) এই প্রথম বড় পরিমাণে মাটি-পাথর পৃথিবীতে পাঠানো হলো।

হায়াবুসা-টু মহাকাশযানটি ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রথম রাইয়ুগুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। আর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়াবুসা-২ প্রথমবারের মত সেই এক কিলোমিটার চওড়া গ্রহাণুটির ওপর অবতরণ করে। তার পর ট্যান্টালাম নামে একটি ধাতুর তৈরি বুলেট দিয়ে গ্রহাণুটির ওপর "গুলি করা হয়।"

এতে যেসব টুকরো ছিটকে পড়ে সেগুলোকে সংগ্রহ করা হয় একটি নল দিয়ে।

বিশুদ্ধ পদার্থ:

গত ৫ই ডিসেম্বর শনিবার হায়াবুসা-টুর নমুনা বহনকারী ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসে । প্যারাসুটের সাহায্যে এটি অস্ট্রেলিয়ার উমেরা'র মরুভুমিতে নিরাপদে অবতরণ করে। জাপানী বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ক্যাপসুলটির তিনটি প্রকোষ্ঠের মধ্যে মাত্র একটি খুলেছেন। বাকি দুটি প্রকোষ্ঠের একটিতে রাইয়ুগুর মাটির নিচের পদার্থ সংগৃহীত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা এই রাইয়ুগু থেকে এমন বিশুদ্ধ পদার্থ সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন যা মহাশূন্যের বিকিরণ বা অন্যান্য কারণে শত কোটি বছরেও পরিবর্তিত হয়ে যায়নি। এ কারণে তাদেরকে বিস্ফোরক ব্যবহার করে তামার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মতো জিনিস নিক্ষেপ করে গ্রহাণুটির উপরিতলে আঘাত করতে হয়েছিল।

এর ফলে ২০ মিটার চওড়া একটি গর্ত সৃষ্টি হয় রাইয়ুগুর বুকে। এর পর হায়াবুসা-টু তাতে অবতরণ করে এবং ওই গর্ত থেকে সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ মহাজাগতিক পদার্থের কণা। বিজ্ঞানীরা ক্যাপসুলের এই প্রকোষ্ঠটি পরীক্ষা করে দেখবেন আরো পরে। জাপানের মহাকাশ সংস্থা আরো ঘোষণা করেছে, ক্যাপসুলের ভেতর থেকে যে গ্যাস সংগ্রহ করা হয়েছে - তাও ওই গ্রহাণু থেকে পাওয়া।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সম্ভবত সংগৃহীত মাটি-পাথরের ভেতরেই ওই গ্যাস আটকে ছিল এবং সেটাই নির্গত হয়েছে।তার মানে হচ্ছে, ডিপ স্পেস বা মহাশূন্যের গভীর থেকে সংগ্রহ করা এটাই প্রথম গ্যাসের নমুনা।

আমাদের সৌরজগত যা দিয়ে তৈরি হয়েছিল :

গ্রহাণুকে বলা যায় সৌরজগত সৃষ্টির ইঁট-পাথর। সৌরজগতে পৃথিবীর মত পাথুরে গ্রহগুলো যে ধরণের শিলা দিয়ে তৈরি - এই গ্রহাণুগুলোও তৈরি সেই একই শিলা দিয়ে।কিন্ত এগুলো কোন কারণে সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকা কোন গ্রহের সাথে জোড়া লেগে যায়নি, বরং আলাদা ভাবেই মহাশূন্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এগুলোর মধ্যে আবার রাইয়ুগু হচ্ছে একটি বিশেষ শ্রেণীর গ্রহাণু - যা সবচেয়ে প্রাচীন শ্রেণীর মহাজাগতিক পাথর। এগুলোকে বলে সি-টাইপ বা 'কার্বনেশিয়াস এ্যাস্টরয়েড'।

প্রাণ সৃষ্টির আদি মালমশলাও এই গ্রহাণুতেই?

ধারণা করা হয়, সৌরজগতের জন্মের প্রথম দিকে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির জন্য পানিসহ আরো যেসব উপাদান দরকার - তা হয়তো এইসব গ্রহাণু থেকেই এসেছিল। ২০১৮ সালে যখন জাপানি মহাকাশযান হায়াবুসা-টু রাইয়ুগুতে পৌঁছায়, তখন এর কুচকুচে কালো রঙ দেখে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।একারণে মহাকাশযানটি যখন গ্রহাণুটির উপরিতলের কাছাকাছি যায়, তখন নিয়ন্ত্রণকারীদের লেজার সেন্সরগুলোকে এমনকি নতুন করে উচ্চতা মেপে নিতেও হয়েছিল।

সূত্র : বিবিসি বাংলা
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক।।
চা শব্দটি শুনলেই মন কেমন আনচান করে ওঠে। এই শীত শীত দিনে গরম চায়ে এক চুমুক দিলেই শরীর তরতাজা হয়ে ওঠে। ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যায়। কিন্তু কেন হয় এমন? কারণ ভেষজ গুণে ভরপুর প্রকৃতির অনবদ্য এই উপহার।

হাজার পাঁচেক বছর আগের কথা। একদিন ঘটনাক্রমেই চীনের সম্রাট শেননংয়ের গরম পানির পাত্রে উড়ে এসে জুড়ে বসে রং ছড়ায় একটি পাতা। সেই পাতার নির্যাসযুক্ত গরম পানিটুকু খেয়ে যেন তুড়িতেই উড়ে যায় শেননংয়ের ঘুম আর ক্লান্তি ভাব। তিনি বুঝতে পারেন, যেনতেন নয়, জাদুকরী গুণ ছিল পাতাটির। খোঁজ পড়ে পাতার। মিলে যায় সন্ধানও।

গ্রিক দেবী থিয়ার নামে পাতার নাম রাখা হয় ‘টি’; যা চীনে ‘চি’ উচ্চারিত হতে হতে একসময় হয়ে যায় ‘চা’। বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে একটি এই ‘চা’। সকালের ভাঙা ঘুমের জড়তা কাটানো থেকে শুরু করে নাশতার টেবিল, দুপুরের মিটিং কিংবা বিকেলের আড্ডার ফাঁকে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ গরম চায়েই যেন খুঁজে পাওয়া যায় চনমনে চাঙা ভাবের আস্বাদন। সুগন্ধি ও স্বাদযুক্ত এ পানীয় শুধু তৃষ্ণাই মেটায় না, শরীরজুড়ে এনে দেয় স্নিগ্ধ ও শান্তিদায়ক অনুভূতি; যা বেশ উপভোগ্যই বটে। তবে রোজকার স্বাস্থ্যরক্ষায় এর ভেষজ গুণ প্রাকৃতিক দাওয়াইয়েরই শামিল।

আড়াই বছর আগে চীনা মনীষী লাৎসে চা–কে আখ্যায়িত করেছিলেন মহৌষধ বা পরশমণি হিসেবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় গবেষকেরাও একই মত দিয়েছেন। চায়ে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড নামের একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা দেহে প্রবেশ করামাত্রই বাড়ায় হৃদ্‌যন্ত্রের সক্রিয়তা। রক্তনালি সুস্থ রাখে। শরীরে দেয় তরতাজা ও উৎফুল্ল ভাব। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার শঙ্কাও কমে যায়।

ফলমূল বা শাকসবজিতে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, চায়ে তার চেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে। চা অভ্যর্থনার পানীয় হিসেবে জনপ্রিয় হলেও এর ঔষধি গুণটি সমান্তরালভাবে স্বীকৃত। হরেক রকম চায়ের রয়েছে হরেক রকম ভেষজ গুণ। ব্ল্যাক টি বা কালো চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা শরীরের অবসাদ দূর করে। ফিরিয়ে আনে স্বাভাবিক প্রফুল্লতা।

গ্রিন টিও এখন ভীষণ জনপ্রিয়। সতেজ সবুজ পাতা রোদে শুকিয়ে তাওয়ায় সেঁকে গ্রিন টি তৈরি করা হয়। এতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। গবেষকেরা বলেন, নিয়মিতই এই চা পান করলে মূত্রথলি, পাকস্থলীর ক্যানসারসহ সব ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল শরীরের অক্সিডেশন বাড়ায়; যা শরীরের বাড়তি ক্যালরি ক্ষয় করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। গ্রিন টিতে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে, যা মুখে ইনফেকশন সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে দাঁতের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে এবং মাড়ি মজবুত করে।

গ্রিন টি সামান্য ফার্মেন্ট করলে হয় উলং টি। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর উলং চায়ের লিকার খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া রক্তে লৌহ-কণিকার প্রাধান্য থাকলে প্রধান খাবারের পর পরই চা পান করা শ্রেয়; এতে লৌহ শোষণের মাত্রা কমে যায়। বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে।

এ ছাড়া শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে সেখানে গ্রিন টির লিকারে তুলা ভিজিয়ে লাগিয়ে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। পোকামাকড় কামড়ানোর পর যদি ক্রমাগত চুলকাতে থাকে বা ফুলে যায়, তাহলে সেখানে ভেজা সবুজ চা-পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়।

চায়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যাফেইন। শরীরে আলস্য কাটিয়ে একটা ফুর্তি ভাব আনতে পটাশিয়াম ও ক্যাফেইনের জুড়ি নেই। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও পটাশিয়াম উপকারী। চায়ে রয়েছে জিংক, যা শরীর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। চা শুধু উদ্দীপকই নয়, এটা রক্ত জমাট বাঁধাও দূর করে। চা-পাতার সেদ্ধ পানি চুল পড়া বন্ধ করে। ২০-২৫টি কাঁচা চা-পাতা ও তুলসীপাতা একত্রে সেদ্ধ করে মাথায় মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উকুন দূর হয়। তবে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন ও গর্ভবতীদের খুব বেশি চা খাওয়া উচিত নয়।

চায়ের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে আদা ও হলুদ মিশিয়ে তৈরি হয় হলুদ চা। ১৫-২০ মিনিট পানিতে ফোটানোর পর ছেঁকে নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে তৈরি করা এ চা শরীরের কাটাছেঁড়া বা পোড়া ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, যকৃৎকে বিষমুক্ত রাখে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়ায়। আদা চা বমি বমি ভাব দূর করে। সর্দি, কাশি কিংবা গলাব্যথায় এ চা অব্যর্থ। হজমের সমস্যা মেটাতে কিংবা অ্যাসিডিটির বিরুদ্ধে লড়তে আদা চা সেরা। পিপারমিন্ট, ক্যামোমাইল, জিনসেং বা রোজমেরির মতো ভেষজ চা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো শরীরে ডি-টক্সিফিকেশনের কাজ করে। ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ দূষিত পদার্থ দূর হয় সহজেই। নিমেষেই শরীর ফিরে পায় হারানো সজীবতা।

রূপচর্চায় ভেষজ উপাদান হিসেবে চায়ের ব্যবহার বহু পুরোনো। ক্লিনজার থেকে শুরু করে টোনার, স্ক্রাবার, ফেসপ্যাকসহ রূপচর্চার অনেক কিছুই তৈরি করা যায় চা দিয়ে। কারণ চায়ে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী নানা রকম উপাদান। যেমন ব্ল্যাক টিতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, ট্যানিন ও পলিফেনল। আবার গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, ট্যানিন ও ফ্লোরাইড। এই উপাদানগুলো ত্বকের পুনর্গঠনে দারুণ কাজ করে। ফলে বলিরেখা, বয়সের ছাপ ইত্যাদি সমস্যা থেকে দূরে থাকে ত্বক। চোখের ক্লান্তির ছাপ কাটাতে ভেজা টি-ব্যাগ চোখের ওপর রাখলে ভালো ফল হয়। ত্বকে আঁচিলের সমস্যা দেখা দিলে চা-গাছের তেল প্রতিদিন ফোঁটা ফোঁটা করে আঁচিলের ওপর লাগাতে হবে।

গ্রিন টিকে ক্লিনজার হিসেবে সহজেই ব্যবহার করা যায়। এক টেবিল চামচ সাধারণ ক্লিনজারের সঙ্গে এক টেবিল চামচ গ্রিন টি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে মাখিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। ত্বকে জমে থাকা ধুলো-ময়লা, ঘাম, তেল পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর্দ্রতার ভারসাম্যও বজায় থাকবে। স্ক্রাবার হিসেবেও চা ভীষণ উপযোগী। এক টেবিল চামচ চিনি, এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, এক টেবিল চামচ কাঠ বাদামের গুঁড়া, পরিমাণমতো গ্রিন টি ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। গ্রিন টি না থাকলে ব্ল্যাক টিও চলবে। মিশ্রণটি মুখে ও গলায় শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মাখিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে কালো দাগ ও ছোপ হালকা করে। ত্বককে করে কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল।সপ্তাহে নিয়ম করে তিন দিন এই স্ক্রাবার ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখাও আস্তে আস্তে দূর হতে শুরু করে।

ফেসপ্যাক তৈরিতেও ব্যবহার করতে পারেন চা। এক টেবিল চামচ বেসন, একটা ডিমের সাদা অংশ, এক চা–চামচ মধু, এক চা–চামচ কাঠবাদামের গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণমতো চায়ের লিকার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট মুখে ও গলায় মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে আলতো ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে আপনার ত্বককে দেবে প্রাকৃতিক দীপ্তি।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক :

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। নির্বিঘ্নে দিবসটি পালন করার জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক শ সামরিক ও বেসামরিক নিরাপত্তাকর্মী। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে সুইপিং করা হয়েছে।

আজ ১৬ই ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৯ বছর পেরিয়ে এবার ৫০তম বিজয় দিবস। করোনা মহামারির কারণে এবারের বিজয় দিবস এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে।

বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরব ও অহংকারের দিন। লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তস্রোত, স্বামী-সন্তানহারা নারীর অশ্রুধারা, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা আর বীরাঙ্গনাদের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয়েছিল মহান এই বিজয়। ৪৯ বছর আগে এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করছে দেশের বীর সন্তানদের।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram