শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :

সারাদেশের বেশ কিছু জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। যা আরও কয়েকদিন চলবে। এর ফলে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।

শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া ও বরিশালে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দুয়েকদিন এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়ত আর নামবে না। দুয়েকদিন পর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।’

নিউজ ডেস্ক ঃ
ঘন কুয়াশা। মৃদু বাতাশ। কনকনে ঠান্ডা। কাঁপছে মানুষ, পশু-পাখি। বিপাকে ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেবর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

ডিসেম্বর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়েই চলছে শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাঁদর মুড়ি দিয়ে নাগেশ্বরীতে সকাল আসে অনেক দেরীতে। গাছের পাতা বেয়ে বৃষ্টির মত টুপ টুপ ঝরে পরে শিশির। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে দেখা মেলে সুর্যের। সন্ধ্যা আসে অনেক আগে। দেখে মনে হয় যেন কমে গেছে দিনের দৈর্ঘ্য।

সারাদিন বহে হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া হিমেল হাওয়া। যা বাড়িয়েছে ঠান্ডা। আর এ ঠান্ডা মানুষের শরীরে বিধঁছে সুইয়ের মত। টনটন করে হাত-পা।

ঠান্ডায় দ্রুত ঘরে ফেরে মানুষ। ফাঁকা হয়ে যায় জনপদ। বাকী সময় নির্জনতায় ডুবে থাকে সারা রাত। তারপর প্রকৃতির নিয়মে রাত্রি শেষে কুয়াশা ঘেরা সকালের দেখা মেলে। কুয়াশার ঘনত্বকে ভেদ করে সকালের সুর্য কিছুটা দেরীতে পৃথিবীতে মিষ্টি আলোয় ছড়ায়। সে আলো ঘাসের ডগায় সৈন্দর্য্য ছড়ায় কিন্তু মানুষ তখন কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ায় তা উপভোগ করা হয়ে ওঠে না।

অতিরিক্ত এ ঠান্ডায় আরো করুণ অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধের। শরীরে কাপড় জড়িয়েও ঠান্ডা যাচ্ছে না। খরকুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে তাদের। তারপরেও থামছে না কাপুনি। বামনডাঙ্গা সেনপাড়া গ্রামের শতবর্ষী পাইনানী বালা, ঠান্ডা বাতাসে হাত, পাও গড গড করি কাপে। বুড়া হাড্ডিত জ্বার খুবই নাগবার নাগছে। পাতলা কাপড়োত ঠান্ডায় যাবার নাগছে না। কেমন করি বাইচমো কনতো। কাইয়ো একখান কম্বল দিলেন হয় বাহে।'

বয়স্করা খরকুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিলেও শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মায়েরা। ঠান্ডা জনিত জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান কুড়িগ্রামে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘন্টা তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে

করোনা ভাইরাসের নতুন এক ধরণের সন্ধান পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর এটি দেশটিতে করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়াচ্ছে। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়েছে।

একটি টুইট বার্তায় দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাভেলি এমকিজে বলেন, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য এটি প্রমাণ করে যে দ্বিতীয় ওয়েভের সংক্রমণ নতুন ধরণের করোনা ভাইরাসের কারণে হচ্ছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়েছে যে, তারা করোনার নতুন ধরণের করোনা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

এর কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্যেও করোনা ভাইরাসের নতুন এক ধরণের সন্ধান পাওয়া যায়। যেটি ইংল্যান্ডের কিছু অংশে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে বলে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

প্রিয়জিৎ দেবশংকরঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। তিনি বাঙালির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়েছিল বিশ্বাসের ভিত্তিতে। শেখ মুজিবুর রহমান সম্ভবত সেই মুষ্টিমেয় কয়েকজনের একজন ছিলেন। তিনি মৌলিক ত্রুটিযুক্ত ভিত্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন, হাজার হাজার বছর ধরে বিদ্যমান সংস্কৃতিগত সুস্পষ্ট সহাবস্থানের পরিবর্তে সমাজের মেরুকরণকে নিন্দা করেছিলেন। দুটি ভিন্ন জাতির একত্র হওয়ার পথে তিনিই বাধা হয়ে দাঁড়ান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভের মাধ্যমে সেই দুঃস্বপ্ন বঙ্গোপসাগরে চিরতরে সমাহিত হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কীর্তি সম্ভবত সবচেয়ে ভালোভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন কিংবদন্তি বাঙালি কবি ও প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায়। তিনি লিখেছেন—
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান...’

১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ পূর্ব বাংলার ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ সাবডিভিশনের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এক বিস্ময়কর তরুণ ও প্রগতিশীল উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান খুব দ্রুততার সঙ্গে প্রতিটি পদে উন্নতি করেন। হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী এবং মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করলে শেখ মুজিব মুসলিম লীগ ছেড়ে দিয়ে এই নতুন দলে যোগ দেন। তাকে দলের পূর্ব পাকিস্তান অংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন (১৯৫৩-৬৬)। অতঃপর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত।

তিনি ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান নাম মওলানা আজাদ কলেজ) থেকে আই.এ ও ১৯৪৭ সালে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

২.

রাওয়ালপিন্ডি থেকে সামরিক জান্তার অধীনে গণতন্ত্র এবং সংস্কারপন্থীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অব্যাহত থাকায় পূর্বাংশের জনগণ স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের আমোদ-প্রমোদের জোগানস্বরূপ সীমার অধিক পীড়িত ও নিষ্পেষিত হচ্ছিল। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী প্রধান ফসলগুলোর একটি ছিল পাট, যার উৎস পূর্বদেশে এবং সেই বৈদেশিক মুদ্রার রাজস্ব তথাকথিত উন্নয়নের দশকে মূলত পাঞ্জাব আর করাচির উন্নয়নের জন্য বণ্টনহীনভাবে পাচার হয়েছিল। সেই ভয়াবহ সময়ে এই খণ্ডিত রাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফার প্রস্তাব করেছিলেন। এটি ছিল বেঁচে থাকার সনদ এবং অত্যাচারীর লৌহমুষ্টির প্রতিস্থাপনের জন্য পূর্ব অংশের স্বায়ত্তশাসন ছিল এর লক্ষ্য। পশ্চিম পাকিস্তানের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক, কৃষির মূল ভিতকে এটি কাঁপিয়ে দিয়েছিল এবং এর প্রতিশোধস্বরূপ একাধিক রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা সাজানো হয়েছিল, যা মূলত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। কিন্তু জনগণের অভূতপূর্ব চাপ, যা বিদ্রোহের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায় এবং রাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত মামলাটি বাতিল করতে বাধ্য হয়। শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বৈরাচারীর শিকল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তখন তিনি হলেন ১৯৭০ সালের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জার। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে নির্বাচনের আগমুহূর্তে বঙ্গীয় বদ্বীপে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, যা পরবর্তী সময়ে জোটের ভাগ্য নির্ধারণে রাজনৈতিক অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। অনুমান করা হয় যে এতে প্রায় অর্ধমিলিয়ন প্রাণের বিনাশ ঘটে এবং সে দুর্দশার আরও অবনতি ঘটে, যখন স্বৈরাচারী শাসকেরা কোনো ত্রাণ বা উদ্ধারকাজের ব্যবস্থা করেনি, এমনকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকেও সাহায্যের অনুমিত দেয়নি। পরে যখন পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের জন্য নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং বিটলসের গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন কনসার্ট পরিবেশন করেছিলেন, তখন পশ্চিমা বিশ্ব এই বিপর্যয়ের মাত্রা সম্পর্কে জানতে পারে। এখন পর্যন্ত মানবজীবনকে আঘাত করা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ছিল এটি।

পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান
পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান

১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা পাকিস্তানের সামরিক শাসনের ইতিহাসে একটি বিরল ও ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত ছিল এবং ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জনগণের অখণ্ডনীয় আদেশপত্রে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ১৬২টি আসন লাভের মাধ্যমে জয় নিশ্চিত করে। কিন্তু পরাজিত পশ্চিম পাকিস্তান গণতন্ত্রের পথে একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে স্বৈরাচার থেকে স্বায়ত্তশাসনের রূপান্তরকে বাধা দেয়। পশ্চিমারা তাদের উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি বর্বর নৃশংস গণহত্যার অভিযান চালায়, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের গুম করা হয়। শিগগিরই শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গে বন্দী অবস্থায় নির্বাসনে পাঠানো হয়। মিলিটারিদের কঠোর উচ্ছেদের কারণে লাখো মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রিফিউজি হয়ে আশ্রয় নেয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ

৩.

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর, রোববার সন্ধ্যায়, স্থানীয় সময় ৫টা ৪০ মিনিটে পশ্চিম পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) কার্যকরভাবে যুদ্ধ শুরু করার জন্য উত্তর-পশ্চিম ভারতের ১১টি বিমানবন্দরে হামলা চালায়। পূর্ব ফ্রন্টে ভারতীয় সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনীর (বাঙালি প্রতিরোধ) সঙ্গে যোগদানপূর্বক সম্মিলিতভাবে মিত্রবাহিনী গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তান কৌশলগত উপায়ে রাজধানী ঢাকায় সংযুক্ত যান্ত্রিক সাঁজোয়া ইউনিট এবং বিমানবাহিনীর সহায়তায় পদাতিক সৈন্যদের নয়টি বিভাগে একটি দ্রুত ও ত্রিপক্ষীয় আক্রমণ চালায়। দুর্গম ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এক পাক্ষিকেরও কম সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করে। পশ্চিম পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের চুক্তিটি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন ঢাকার রমনা রেসকোর্সে বেলা ৪টা ৩১ মিনিট নাগাদ জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পূর্ব পাকিস্তানে উপস্থিত পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজির উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ছিলেন ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ। এক ভয়াবহ ও রক্তাক্ত ৯ মাসের লড়াইয়ের পর একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। দেশটি দখলদার পশ্চিম পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে মুক্ত ছিল। শেখ মুজিবুর রহমান পরবর্তীকালে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ : আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেন পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। পাশে বসা মিত্রবাহিনীর লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ : আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেন পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। পাশে বসা মিত্রবাহিনীর লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা

ভুটান হলো প্রথম দেশ, যেখানে স্বতন্ত্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল, তারপর দিয়েছিল ভারত। বিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবং দেশটি সিক্ত হয়েছিল লাখো নিষ্পাপ মানুষের রক্তে, যাঁরা তাঁদের মাতৃভূমির জন্য ত্যাগের সর্বোচ্চটুকু দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে নিরীহ পূর্ব পাকিস্তানিদের রক্ত পশ্চিম পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী, রাজনীতিবিদ, আমলা এবং সেবায় সহযোগীদের সবচেয়ে অন্ধকার যুগের সাক্ষ্য দেয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি সপরিবার সেনাবাহিনীর কিছু অসন্তুষ্ট সদস্যের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি সপরিবার সেনাবাহিনীর কিছু অসন্তুষ্ট সদস্যের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন

৪.

শেখ মুজিবের আপসহীন এবং ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের সাহসী নেতৃত্ব জনগণের হৃদয়ে অমর স্থান করে নেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি সপরিবার সেনাবাহিনীর কিছু অসন্তুষ্ট সদস্যের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পরও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রে বাস্তবায়িত হচ্ছে। গণতন্ত্র ও সহিষ্ণুতার প্রতি মুজিবের অবিচ্ছিন্ন প্রতিশ্রুতির উত্তরাধিকার বজায় রাখার অব্যাহত চিরস্থায়ী তাৎপর্য কেবল সহকারী দেশগুলোর সঙ্গেই অংশীদারত্বের মাধ্যমে আরও পরিমার্জন করা যেতে পারে; বিশেষত, বৃহত্তর ভারতের অংশীদারত্বের মাধ্যমে।

লেখক: প্রিয়াজিৎ দেবশঙ্কর, ভারতীয় উপমহাদেশের ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশেষজ্ঞ, লন্ডন, যুক্তরাজ্য। ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ: বিচিত্র বিশ্বাস, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, শিবপুর, ভারত।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২০ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১ জানুয়ারি (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে এবং বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত কর্মকর্তা ক্যাটাগরির পদগুলোর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বুয়েট ক্যাম্পাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
যেসব প্রার্থী ম্যানুয়ালি আবেদন করেছেন, তাঁদের ডাকযোগে পাঠানো প্রবেশপত্র নিয়ে এবং টেলিটকের মধ্যেমে আবেদন করা প্রার্থীদের http://bteb.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দিতে আসতে হবে।

একই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। ১ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে উচ্চমান সহকারী, ক্যাটালগার বা রেকর্ডকিপার, ভান্ডার রক্ষক, উচ্চমান সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোলার অপারেটর, অফসেট প্রেস মেকার, রিসিপশনিস্ট, গাড়িচালক, অফিস অ্যাটেনডেন্ট, ইলেকট্রিশিয়ান, কম্পিউটার ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট ও এমএলএসএস পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

একই দিন বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক (প্রকাশনা), সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সহকারী বিশেষজ্ঞ, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অফিসার, সেকশন অফিসার ও প্রুফ রিডার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
এক জোড়া জুতার দাম কোটি টাকার বেশি। দাম শুনলেই চোখ ছানাবড়া!

এক জোড়া বর্ণিল অ্যাডিডাস স্নিকার্স বিক্রি হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা)৷

নিউইয়র্কের বিখ্যাত সোথেবিস হাউজ জুতাজোড়ার এই নিলাম করছে। বিক্রেতা নাম নাম পরিচয় গোপন করে এই অর্থ দান করবেন নিউইয়র্কের ব্রুকলিন যাদুঘরে।

অ্যাডিডাস স্নিকার্সের বিশ্ব রেকর্ড মূল্যের চামড়ার তৈরি এই জুতা জোড়ার উপর মাইসেন চীনামাটি দিয়ে হাতে আঁকা সুন্দর ডিজাইন করা৷ এই ডিজাইন এতটাই নিখুঁত যে, প্রতিবছর মাত্র দুটোর বেশি জুতা তৈরি করা সম্ভব নয়।

বিশ্বখ্যাত নিলাম হাউজ সোথেবির মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েনে দেজিসি জানান, এই জুতা জোড়া তৈরি করতে কারখানার কর্মীদের এক বছরেরও বেশি সময় লাগে৷ জুতার ওপরের ডিজাইনে হাতের কাজ করতে মাইসেন পোর্সেলেন কোম্পানির শিল্পীদের সময় লাগে আরও ছয় মাস৷

অ্যাড্রিয়েনে দেজিসি আরও জানান, জুতা জোড়ার জন্য অনলাইনে ৭২ টি অফার আসে, শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ডলারে। তবে বিক্রেতা অজ্ঞাত পরিচয়ে নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ নিউইয়র্কের ব্রুকলিন যাদুঘরে দান করবেন৷

নিলামে জুতা বিক্রির ঘটনা নতুন নয়৷ বিশেষ ধরনের জুতা নিলামে নিয়মিত উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়৷ প্রায় ৫০ বছর আগে স্পোর্টস সংস্থা নাইকোর সহ-প্রতিষ্ঠানের হাতে তৈরি এক জোড়া জুতা নিলামে এক লাখ ৬২ হাজার পাঁচশো মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়৷ এই রেকর্ড ভেঙেছেন অ্যামেরিকান বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান৷

নিলাম হাউস ক্রিস্টির মতে, আগস্ট মাসে ‘এয়ার জর্ডান ওয়ান’ জুতা জোড়া বিক্রি হয় ৬ লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলারে৷

তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালির মারাত্মক এক রোগ। ম্যাসিভ স্ট্রোক মানেই মৃত্যুবরণ করা কিংবা আমৃত্যু পঙ্গুত্ববরণ করে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে বেঁচে থাকা।

মস্তিষ্কের রক্তনালি বাধাপ্রাপ্ত হলে কিংবা ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হলে স্নায়ুকোষে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এটিই স্ট্রোক বা ব্রেইন অ্যাটাক! স্ট্রোক হওয়ার আগে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে এই রোগ আসলে কেন হয়।

অনেক ছোটখাট উপসর্গও স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা, হাত পায়ের সাড়া কিছুক্ষণের জন্যে চলে যাওয়া, কথা আটকে যাওয়া কিংবা আচমকা পড়ে যাওয়ার মত অনেক ছোটখাট ঘটনাও ব্রেন স্ট্রোকের উপসর্গ হতে পারে।

স্ট্রোক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ১৭ টি ভাষায় একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে।

স্মার্ট ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিলে স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিয়ে প্রতিরোধ করা সহজ হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বের যেকোনো অঞ্চলের মানুষ স্মার্ট ফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপটি লোড করে নিলে জেনে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীর ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কতটা।

অ্যাপ ব্যবহারকারী আগামী ৫ বছরে ও ১০ বছরে নিজের বা বাড়ির অন্যদের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন।

শুধু স্ট্রোকই নয় এই অ্যাপের মাধ্যমে ডায়বেটিস, ডিমেনশিয়া ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সম্পর্কেও জানা যাবে।

স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারের উপর জোর দিতে অনুরোধ করছে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন এবং স্ট্রোকের চিকিৎসকরা।

১৭ টি ভাষায় বানানো এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মোবাইলে আপলোড করে নেয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের গবেষণাভিত্তিক মোট ২০ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের বা নিকটজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জানিয়ে দেবে এই অ্যাপ।

২০ বছর থেকে ৯০ বছর বয়সের যেকোনো মানুষই এই অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের ও নিকটজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিয়ে সতর্ক হতে পারবেন।

ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৬০ টি দেশের অজস্র মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করে অনেকাংশে স্ট্রোকের মারাত্মক দিক সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

অনলাইন ডেস্ক :

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য ফি নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে অর্থ ব্যয়ের দিকনির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ফি কাঠামো এবং আয়-ব্যয়সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এটি প্রায় চূড়ান্ত। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগির তা জারি হবে।

আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, আশা করছি নতুন বছরে প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন করা যাবে।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায়ে অনেকটাই বেপরোয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, ওই ফি ব্যয়েও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পরিচালনা কমিটি স্বেচ্ছাচারী। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে অর্থ আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা নেই। এ নিয়ে দৈনিক গড়ে ১০-১২টি অভিযোগ জমা পড়ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দফতরে। সরকারের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) প্রতিটি প্রতিবেদনেই এমন তথ্য উঠে আসছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অভিযোগ জমা রেকর্ড আছে। এমনই এক অভিযোগের সূত্র ধরে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই মন্ত্রণালয় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২০’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন বছরে এটি বাস্তবায়ন হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়।

নীতিমালায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সরাসরি বা নগদে কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করতে পারবে না। নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সব ধরনের ফি আদায় করতে হবে। অর্থ ব্যয়ও করতে হবে ব্যাংক থেকে নিয়ে। সব ধরনের ব্যয় পরিচালিত হবে গঠিত কমিটির মাধ্যমে। আয়-ব্যয়ের অর্থ থাকবে একটি সাধারণ হিসাবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন, ফাউন্ডেশন এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে। পাশাপাশি ওইসব অর্থ ব্যয়ে নেই স্বচ্ছতা। সরকারের বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকার জন্য সাম্প্রতিককালে নতুন স্টাইল চালু হয়েছে। সেটি হচ্ছে, এমপিও সারেন্ডার (গ্রহণ বন্ধ) করা। এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোও ফি আদায়ে অনেকটাই কঠোর বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। প্রতিষ্ঠানগুলো ফি নির্ধারণে অযৌক্তিক হলেও সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অভিভাবকরা মুখবুঝে সব সহ্য করে থাকেন বলে জানা গেছে।

ফি নির্ধারণে সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি শুধু এমপিওভুক্ত নয়, সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্যই নীতিমালা তৈরির তাগিদ দিয়েছেন তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা প্রত্যাশা করি। ফি কাঠামো নির্দিষ্ট করে দেয়া বা কমিটির মাধ্যমে ব্যয় করা মন্দ কিছু নয়। কেননা, সাম্প্রতিককালে বেসরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে। তাই শৃঙ্খলা বা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার জন্য নীতিমালা হতে পারে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ বলা যাবে না। এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, শুধু এমপিওভুক্ত নয়, অনুমোদনপ্রাপ্ত ও দেশের ভূখণ্ডে পরিচালিত সব ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যই নীতিমালা তৈরি করা যেতে পারে। পাশাপাশি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য তদারকির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। আর কমিটির মাধ্যমে ব্যয় যেন দীর্ঘসূত্রতার কবলে না পড়ে সেই ব্যবস্থা নীতিমালা থাকতে হবে।’

বেতন, ভর্তি ও পরীক্ষার ফি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫ ভাগ করে ফি প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ঢাকা শহর, অন্য মেট্রোপলিটন, জেলা ও পৌর এলাকা, উপজেলা এবং সুবিধাবাঞ্চিত-দুর্গম অঞ্চল। এলাকা ভেদে টিউশন ফি প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে ১২ থেকে ২৫ টাকা নেয়া যাবে। এভাবে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫ থেকে ৪৫ টাকা। ভর্তির আবেদন ফি ৭৫ থেকে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ভর্তি বা পুনঃভর্তি ফি প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে থাকতে হবে। দুই পরীক্ষার ফিও (ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক) শ্রেণি এবং এলাকা ভেদে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। অনলাইন আবেদন, রেজিস্ট্রেশন ফি, উন্নয়ন ফি ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী হবে। তবে প্রতি বিষয়ে অভ্যন্তরীণ ফি ৫০ থেকে ৪০ টাকা।

নীতিমালায় আদায়যোগ্য ফির খাত প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ৫০ টাকা, ম্যাগাজিন ফি ১০০ টাকা, মুদ্রণ বাবদ ১৫০ টাকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক ও বিভিন্ন দিবস উদযাপনে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা, কম্পিউটার চার্জ ২৫ থেকে ৫০ টাকা, কৃষি ও বাগান ফি (যদি থাকে) ৩০ টাকা, কমন রুম ফি ২০ থেকে ৩৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি ৫ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা, রেডক্রিসেন্ট ফি ২০ টাকা, মসজিদ ও উপাসনালয়ের জন্য ২৫ থেকে ৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি ও পরীক্ষার সংক্রান্ত সব ফি শিক্ষা বোর্ড নির্ধারণ করে দেবে। আর স্কাটাউ, ক্রীড়া, কল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফিও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করে দেবে। উন্নয়ন ফি ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী আদায় করা যাবে।

কলেজে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। কল্যাণ ফি বাবদ ২০ টাকা, পরিচয়পত্র ফি ৩০ টাকা, লাইব্রেরি ফি ২৫ টাকা, ল্যাবরেটরি/বিজ্ঞানাগার ফি ১০০ টাকা, আইসিটি ফি ২০ টাকা, ম্যাগাজিন খাতে ৩০ টাকা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যয় ৩০ টাকা, সাংস্কৃতিক, বিতর্ক ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেয়া যাবে।

ব্যয়ে কমিটি ও মাধ্যম ব্যাংক : শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সব ফি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নিতে হবে। এমপিওভুক্ত স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি এবং কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির নেতৃত্বে তিনজন সিনিয়র শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি অর্থ কমিটি গঠন করতে হবে। কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষকের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট বেতন ও ফি আদায় কমিটি সব প্রকার ফি ও বেতন আদায় সম্পর্কিত মাসিক প্রতিবেদন কমিটি বরাবর দাখিল করবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান রিকুইজিশন দিয়ে প্রতি মাসে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যয় গ্রহণ করবেন। হিসাব দাখিল করে পরের মাসের অর্থ নেবেন। অর্থ কমিটি যাচাই-বাছাই করে সে অর্থ ছাড় করবে। এভাবে বিভিন্ন কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে। অডিট কমিটি পরের বছরের ৩১ জানুয়ারি মধ্যে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি এবং মাউশিতে জমা দেবে।

অনলাইন ডেস্ক ঃ
কোভিড–১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বব্যাপী শিশুশিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষকদের স্কুলে যদি ফেরত আনা যায়, তাহলে সেই পরিস্থিতির (প্রভাব) উন্নতিতে হয়তো কিছু করা যাবে। তাই প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের (চিকিৎসা–সংশ্লিষ্ট সবাই) টিকা দেওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষকদের করোনা টিকা দেওয়া উচিত বলে মনে করছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। গত মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) নিউইয়র্ক সদর দপ্তর থেকে ইউনিসেফ এক বার্তায় এসব কথা বলে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের কারণে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। একবার যদি শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়ে যায়, তাহলে তাঁরা ক্লাসে পড়াতে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আর করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। নির্বিঘ্নে স্কুলে পাঠদান শুরু করা যাবে। শিক্ষকেরাও নির্ভয়ে নিয়মিত ক্লাস নিতে পারবেন।

২০২০ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে বিশ্বের স্কুলগুলো বন্ধ হওয়া শুরু হয়। ফলে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছিল। এরপর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তবে এটাও ঠিক যে শিশুদের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণ পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় কোনো দেশে স্কুল খোলা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রতি ৫ জনের মধ্য ১ জন স্কুলশিক্ষার্থীর স্কুল বন্ধ। আর স্কুলে যেতে না পারা শিশুর সংখ্যা ৩২০ মিলিয়ন।

ইউনিসেফের আশঙ্কা, শিশুরা স্কুলের থেকে যত বেশি সময় দূরে থাকবে, ততই ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আর সেই সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র উপায় স্কুলে ক্লাস শুরু করা। সেই পথে না হাঁটলে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মতপ্রকাশ করেছেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।

তিনি বলেছেন, ‘খুবই কঠিন এ সিদ্ধান্ত (স্কুল খোলা) নেওয়া, কিন্তু একটা কোনো উপায় বের করতেই হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আগামী দিনগুলো যাতে সুন্দর হয়, তার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই। আর পরবর্তী প্রজন্মকে যাঁরা (শিক্ষক) গড়ে তুলবেন, তাঁদের নিরাপত্তা দিয়েই কাজটা শুরু করতে হবে। সেই কারণেই আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’

হেনরিয়েটা ফোর বলেন, করোনা সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী শিশুশিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষকদের যদি স্কুলে ফেরত আনা যায়, তাহলে সেই পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে হয়তো কিছু করা যাবে।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
দেশের ১১টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জারি হওয়া ওই প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরগুনা, নড়াইল, বাগেরহাট, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বান্দরবান ও সুনামগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার জেলায় নিয়োগ পেয়েছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলায় নিয়োগ পেয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপ-সচিব) হাবিবুর রহমানকে বরগুনা জেলা প্রশাসক, জননিরাপত্তা বিভাগে সংযুক্ত থাকা উপ-সচিব মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে নড়াইল জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব এ এনএম ফয়জুল হককে বাগেরহাট জেলার প্রশাসক, অঞ্জনা খান মজলিসকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলা প্রশাসক হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) জসিম উদ্দিন হায়দার।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্স সচিব (উপ-সচিব) বেগম ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক হয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপ-সচিব শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত পাঁচ সাংবাদিককে তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইউএস প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকরা হলেন- সাপ্তাহিক পরিচয়ের সম্পাদক নাজমুল আহসান, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার আবাসিক সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী, সময় টিভি ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি এবং এনআরবি কানেক্টের এক্সিকিউটিভ এডিটর হাসানুজ্জামান সাকী, একাত্তর টিভি ও কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি শামীম আল আমিন এবং আওয়াজ বিডির সম্পাদক শাহ জে আহমেদ।

করোনা মহামারীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটা ছিল নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে ঘিরে চ্যালেঞ্জও ছিল বহুমুখী। বৈরি পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্ব দেখানোর জন্যে প্রবাসের খ্যাতিমান এই পাঁচ সাংবাদিককে পুরস্কার দিয়েছে নিউইয়র্কের জনপ্রিয় রেডিও চ্যানেল এফএম-৭৮৬।

করোনা মহামারীর কারণে আয়োজনটি করা হয় অনলাইনে। সরাসরি সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার এবং ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার ফরিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএম-৭৮৬’র সম্পাদক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

জাহান অরণ্যের সঞ্চালনায় একঘণ্টার আয়োজনটি শুরু হয় বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বে করোনা মহামারিতে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে, অনেকে সংক্রমিত হয়ে লড়ছেন। অনুষ্ঠানে সহমর্মিতা জানানো হয় তাদের প্রতিও।

সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার পুরস্কার পাওয়া পাঁচ সাংবাদিককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এটি অসাধারণ একটি উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে সাংবাদিকদেরকে তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রতি সবার দৃষ্টি থাকে। এছাড়া এবারের নির্বাচনটি ছিল ঘটনাবহুল।

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া বুঝে, সেটা সবার জন্য পরিবেশন সহজ কাজ নয়। এই কাজটি কৃতিত্বের সাথে করার জন্য তিনি পাঁচ সাংবাদিককে ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে ভবিষ্যতে পুরস্কারপ্রাপ্ত তালিকায় নারী সাংবাদিকদেরও দেখা যাবে, এমন প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেন রোকেয়া হায়দার।

সাংবাদিক ফরিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মহান বিজয়ের দিনে প্রবাসে সাংবাদিকদের কৃতিত্বের জন্য পুরস্কৃত করার উদ্যোগ ভিন্নমাত্রা যুক্ত করেছে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতা করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এতে করে পেশার মান ও উৎকর্ষ বাড়ছে। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার আহবান তিনি।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান রেডিও চ্যানেল এফএম-৭৮৬’র সম্পাদক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, খুব ইচ্ছা ছিল অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে কৃতি সাংবাদিকদেরকে সম্মানিত করার। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না করোনার কারণে। তবে পরিস্থিতি ভালো হলে নিউইয়র্কে একটি বড় অনুষ্ঠান করে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বিজয়ী পাঁচ সাংবাদিকদের জীবনকর্ম তুলে ধরা হয়। নিজেদের অনুভূতিও প্রকাশ করেন বিজয়ীরা।

নাজমুল আহসান বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমার কাজ হলো কমিউনিটিকে সচেতন করা। গত ৩০ বছর ধরে আমি সেটাই করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কতটুকু করতে পেরেছি সেই মূল্যায়নের ভার পাঠকদের হাতে। তবে আজকের এই স্বীকৃতির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

ইব্রাহীম চৌধুরী বলেন, আমি হয়তো এই প্রশংসার যোগ্য নই। কথাটা এই কারণে বললাম যে, আমার সঙ্গে অন্যান্য যারা কাজ করেন, তারা অনেক পরিশ্রম করেন। তাদের হয়ে শুধু সম্মানটা গ্রহণ করছি আমি। মূলত এটা তাদেরই প্রাপ্য। তাদের সবার পক্ষ থেকে এফএম-৭৮৬’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

হাসানুজ্জামান সাকী বলেন, ধন্যবাদ জানাই এফএম ৭৮৬-কে, এর পরিচারক ও সকল কলাকুশলীকে। আমার জন্য এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাভার করাটা ছিল অনেক বেশি ঘটনাবহুল। এমনকি এটা করতে গিয়ে আমি হামলারও শিকার হয়েছি। তারপরও চেষ্টা করেছি বস্তুনিষ্ঠ তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার।

শামীম আল আমিন বলেন, যখন আমরা কথা বলছি, তখন বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে মহান বিজয় দিবসের উদযাপন। এমন একটি দিনে এফএম-৭৮৬ যে সম্মান আজ আমাকে দিয়েছে, সেটা কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করলাম। এই স্বীকৃতি আমাকে ভবিষ্যতের পথ চলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

শাহ জে আহমেদ বলেন, যারা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন, আমি তাদের মধ্যে কনিষ্ঠতম। এখনো শিখছি। সত্যি কথা বলতে কী, আমি এই অ্যাওয়ার্ডের যোগ্য নই। আয়োজকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

শিক্ষাবার্তা/ বিআ

অনলাইন ডেস্ক ঃ
প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ সূত্র থেকে জানা গেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড -১৯ পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল এসেছে। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দপ্তর থেকে আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের করোনা ভাইরাসের প্রথম লক্ষণগুলো উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই তিনি একটি পরীক্ষা নিয়েছিলেন। তবে প্রথমে ম্যাক্রোঁ কী লক্ষণ অনুভব করেছেন তা জানা যায়নি। তিনি ৭ দিনের আইসোলেশনে চলে গেছেন। সেখান থেকে প্রেসিডেন্টের কাজ চালিয়ে যাবেন এবং দূরত্ব বজায় রেখে তার সকল কার্যক্রমের তদারকি করবেন।

ম্যাক্রোঁর কর্মীরা এই সপ্তাহের শুরুতে সংবাদপত্রে বলেছিলেন, মহামারী শুরুর পর থেকে তাকে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করা হয়েছিল, কিন্তু তখন করোনা পজিটিভ তথা ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায়নি। ফ্রান্সে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ইতিপূর্বে দেশজুড়ে দুইবার লকডাউন দিয়েছেন।
দেশটিতে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যুর হার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বর্তমানে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ হয়েছে। বড়দিনকে সামনে রেখে সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়ানোর ঝুঁকির মধ্যে আছে দেশটি।

কিছুদিন আগে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ভাইরাসটি এমন গতিতে ছড়াচ্ছে যা ভাবনার চেয়েও বেশি। করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণে সরকার বেশ বিস্মিতই হয়েছে। প্রতিদিন আনুমানিক ৫০ হাজার নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্যারিসে হাসপাতালের জরুরি আসনের ৭০% আসনে বর্তমানে কোভিড রোগীরা রয়েছেন।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram