শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক।।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটতে না কাটতেই এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের ফায়জাবাদ। স্থানীয় সময় সোমবার ৬ টা ৪৭ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়। তবে এতে হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

ভারতীয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের ফায়জাবাদের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩। এ সময় ফায়জাবাদ ছাড়াও দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়।

এনসিএস টুইট করে আরও জানায়, ৩৬ সেকেন্ড ধরে চলা এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ফায়জাবাদ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, মাটি থেকে ১৩৫ কিলোমিটার গভীরে।

এদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এই ভূমিকম্পে দুই দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পার হলেও শহীদ মিনার গড়ে ওঠেনি। এতে ভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছেন না কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।

এলাকাবাসী জানান, ১৯৯৭ সালে উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। এছাড়া ২০১৩-১৪ অর্থবছরে একটি চারতলা ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে এ কলেজে। কিন্তু ২৬ বছরেও শুধু নির্মিত হয়নি শহীদ মিনার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের কয়েকজন ছাত্রী জানান, শহীদ মিনার না থাকায় তারা ভাষা শহীদসহ অন্যদের শ্রদ্ধা জানাতে পারছেন না। এটা তাদের জন্য এক ধরনের লজ্জার বিষয়।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, আর্থিক সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এতদিন শহীদ মিনার নির্মাণ সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ প্রায় দেড়মাস আগে দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে বর্তমানে মাঠ ভরাটের কাজ চলছে। এরপর শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো জাকির হোসেন বলেন, বার বার কলেজের অধ্যক্ষকে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিন পর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে চেতনার ব্যাপার। মহিলা কলেজে আর্থিক সংকট নাকি চেতনার সংকট সেটিই দেখার ব্যাপার।

 

মাধ্যমিক স্তরে গণিত এবং ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করেন প্রায় ৮৩ (৮২ দশমিক ৫) শতাংশ অন্য বিষয়ের ডিগ্রিধারী শিক্ষক। এরমধ্যে গণিতে ৮১ ও ইংরেজিতে ৮৪ শতাংশ শিক্ষক রয়েছেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই। আর মালটিমিডিয়ার ব্যবস্থা নেই ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। সরকারি এবং বেসরকারি একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন চিত্র।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিক্ষক ঘাটতির কারণে ছাত্রছাত্রীরা উল্লিখিত তিন বিষয়ে প্রয়োজনীয়তা দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না। যারা দক্ষতা অর্জন করতে চায় তাদের প্রাইভেট-কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর যাদের কোচিংয়ের পেছনে অর্থ ব্যয়ের সামর্থ্য নেই তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সাধারণত গণিত এবং ইংরেজি কঠিন বিষয় হিসাবে চিহ্নিত। তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক থাকায় আইসিটি বিষয়টিও তুলনামূলক কঠিন। পাবলিক পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের বেশিরভাগ ইংরেজি ও গণিতের বাধা পার হতে পারছে না। আংশিক সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়ার পরও বিগত (২০২২ সাল) এসএসসি পরীক্ষায় গড়ে ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। আর ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে।

জানতে চাইলে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এভাবে অন্য বিষয়ের শিক্ষক দ্বারা ইংরেজির মতো ভাষা জ্ঞানের পাঠদান কিংবা গণিত ও আইসিটিতে দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে মূলত শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। জনশক্তিকে শুধু বিসিএস আর সরকারি কিছু চাকরির জন্য গড়ে তোলা কোনো লক্ষ্য হতে পারে না। বর্তমানে দেশের কর্মজগতেও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। নইলে বিভিন্ন জাতীয় বা বহুজাতিক কোম্পানির ‘সুপার ম্যানেজারিয়াল’ (উচ্চতর ব্যবস্থাপনার কাজ) পদে ভারত-শ্রীলংকাসহ অন্য দেশের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা লাগত না। দক্ষ জনবলের অভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা কর্মীদের প্রতিবছর ৬ বিলিয়ন ডলার বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে। বেতন-ভাতা ও সামাজিক মর্যাদা বাড়িয়ে সুপরিকল্পিতভাবে শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করার পরামর্শ দেন তিনি।

দেশের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবছর তথ্যগত পরিসংখ্যান ও সমীক্ষা প্রকাশ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রতিষ্ঠানটির ‘বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস’ শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১ সালে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন ৯৬ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ২৮২ জন শিক্ষক শুধু ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। এটা মোট শিক্ষকের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ। তাদের মধ্যে আবার ৬ হাজার ২৪১ জন শিক্ষকের ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেই। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হচ্ছে, এইচএসসি পাশ করা ৩ হাজার ৮৫৭ জন ক্লাসে ইংরেজি পড়ান। বাকিদের স্নাতক ডিগ্রি থাকলেও কেউ স্নাতক হওয়ার জন্য ১০০ বা ৩০০ নম্বরের ইংরেজি পড়ে এসেছেন। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের পড়ানো শিক্ষকদের ৮৪ শতাংশেরই এ বিষয়ে ডিগ্রি নেই।

ওই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক ৬৭ হাজার ৯৫৫ জন। এরমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আছেন ১৩ হাজার ১২৭ জন। তাদের মধ্যে গণিতে শুধু স্নাতক আছে কিন্তু স্নাতকোত্তর করেননি এমন আছেন ৫ হাজার ৮৪৩ জন। বাকি ৭ হাজার ২৮৫ শিক্ষক গণিতে স্নাতকোত্তর আছে কিন্তু স্নাতক করেছেন কিনা তা জানা যায়নি। এই হিসাবে গণিতে ডিগ্রিধারী আছেন শুধু ১৯ শতাংশ শিক্ষক। এ ক্ষেত্রে হতাশাজনক তথ্য হচ্ছে, এসএসসির পর কোনোদিন গণিত পড়েননি এমন শিক্ষক আছেন ৮২৫৮ জন যা মোট শিক্ষকের ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর অন্য বিষয়ে স্নাতক কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে গণিত পড়ে এসেছেন এমন আছেন ১৬২৫৬ জন, যা প্রায় ২৪ শতাংশ। সবমিলে গণিতে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি না থাকা শিক্ষকের হার ৮১ শতাংশ।

শুধু গণিত বা ইংরেজি নয়, আইসিটি বিষয়েও জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান চলছে। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মোট ২০ হাজার ২৯৪ সরকারি-বেসরকারি স্কুলের মধ্যে ১৬ হাজার ২৭৫টিতে আইসিটি শিক্ষক আছেন। এটা মোট সংখ্যার ৮০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ স্কুলে অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা পাঠদান করে থাকেন। সূত্র জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে-৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে আইসিটির শিক্ষক আছেন, তাদের মধ্যে বড় একটা সংখ্যা কম্পিউটারে নামেমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিংবা ডিপ্লোমাধারী। অনেকেই জাল সনদধারী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) যত জাল সনদ ধরেছে, তার অর্ধেকের মতোই এই বিষয়ের শিক্ষক। বাকিরা নিবন্ধন সনদ বা অন্য একাডেমিক জাল সনদধারী শিক্ষক। আইসিটি শিক্ষকদের মধ্যে স্নাতকধারী খুব কমই আছেন।

শিক্ষক নেতারা বলছেন, ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে ২০২১ সালের তথ্য আছে। গত এক বছরে বেশকিছু শিক্ষক অবসরে গেছেন। আবার অনেকে শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। তাই ইংরেজি, গণিত এবং আইসিটি বিষয়ে ডিগ্রি না থাকা শিক্ষকের হার আরও বেড়ে যেতে পারে।

ওই শিক্ষক আরও বলেন, শহরের ধনী স্কুলগুলোতে স্ববেতনে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ’র দিকে তাকিয়ে থাকে না। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের ঘাটতি না থাকলেও অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা গণিত-ইংরেজি পড়ান। এর কারণ হচ্ছে, কোচিং-প্রাইভেট ব্যবসা। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, পরিচালনা কমিটি কিংবা প্রভাবশালী শিক্ষকদের উৎকোচ দিয়ে অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা ইংরেজি-গণিতের ক্লাস নেন শুধু কোচিং বাণিজ্য করতে। সুতরাং, শহরের বড় বড় স্কুলেও অন্য বিষয়ের শিক্ষকদের গণিত-ইংরেজির পাঠদানের অভিযোগ আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ ড. এম তারিক আহসান বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে মাধ্যমিকে শিক্ষকদের বড় একটি অংশ অন্য কোনো চাকরি না পেয়ে এ পেশায় এসেছেন। তাই শুধু কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপে শিক্ষার্থীর মানের উন্নতি হবে না। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসাবে পাঠদানের মান উন্নয়নে জন্য প্রশিক্ষণ বা পেশাগত ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে তাদের মান উন্নত করতে হবে। মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ হিসাবে অবসরে যাওয়া শিক্ষকের জায়গায় দক্ষদের নিয়োগ করতে হবে। তাদের আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে। সেটা হতে পারে ফ্রি স্বাস্থ্য সেবার মতো সুবিধা। আর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসাবে নিয়োগের শর্ত পাকাপোক্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ করতে হবে। এজন্য শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো করতে হবে। উন্নত দেশে রূপান্তর আর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর বিকল্প নেই।

দক্ষতা অর্জনের ওপর প্রভাব : এদিকে গণিত-ইংরেজির শিক্ষক সংকটের প্রভাব শুধু পরীক্ষার ফল নয় দক্ষতা অর্জনের ওপরও পড়ছে। বাংলাদেশে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে বড় এনজিও মোর্চা ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’ সম্প্রতি ‘সেকেন্ডারি স্কুল টিচারস ইন বাংলাদেশ : ইন দ্য লাইট অব এসডিজি ফোর’ শীর্ষক সমীক্ষা চালায়। এর প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে পাঠদানে নিয়োজিত ৫৫ শতাংশ শিক্ষকেরই বিষয়ভিত্তিক কোনো প্রশিক্ষণ নেই। আর ব্যানবেইসের উল্লিখিত প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষকের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেই।

এ অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের শিখন ফলে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দেশব্যাপী এক সমীক্ষায় শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের অর্জিত দক্ষতার চিত্র প্রকাশ করা হয়। এতে ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চিত্র তুলে আনা হয়। পাঁচটি ব্যান্ডে তুলে ধরা ওই দক্ষতা মানগুলো হচ্ছে-খুব খারাপ, গড়পড়তা, মোটামুটি, ভালো এবং খুব ভালো (ব্যান্ড ২ থেকে ৬)।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাতৃভাষা বাংলায় মাত্র ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভালো বা খুব ভালো পর্যায়ের দক্ষতা অর্জন করেছে। বাকি ৩০ শতাংশের অবস্থা খুব খারাপ থেকে মধ্যম পর্যায়ের। এরমধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ষষ্ঠ শ্রেণির। অবস্থা বেশি হতাশাজনক ইংরেজির ক্ষেত্রে। ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর অবস্থা খারাপ। সাড়ে ২৩ শতাংশের মান মোটামুটি আর বাকিদের মান ভালো। গণিতে প্রায় সাড়ে ২৪ শতাংশের অবস্থা খুবই খারাপ। ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর মান ভালো। বাকি ৩২ শতাংশের মান মোটামুটি। এই স্তরেও ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী খুব খারাপ ও খারাপ মানের (ব্যান্ড ২ ও ৩)।

 

 অনলাইন ডেস্ক।।

 আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। মনোনয়নপত্র বৈধ হলে এবং তা প্রত্যাহার না করলে তিনিই হচ্ছে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আইনজীবী, জেলা ও দায়রা জজ, দুদক কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতির পর সর্বশেষ তিনি এখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

১৯৪৯ সালে পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

শিক্ষা জীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনৈতিক জীবনে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি দীর্ঘ তিন বছর কারাগারে বন্দী ছিলেন।
তিনি ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৩ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস বিচার বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশানের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত থেকে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংগঠিত হত্যা, লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড অনুসন্ধানে দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এবং ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জেএমসি বিল্ডার্স লিমিটেড-এর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশের বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা। তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ২৫ জানুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ ভবনে, দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তার পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কার্যভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী তার দায়িত্বের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল।

এদিকে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে পদটি শূন্য হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সংবিধানের এসব বিধানের আলোকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে ২৪ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।

রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থক হতে হয়। আর সংসদ সদস্যরাই এ নির্বাচনের ভোটার। বর্তমান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এজন্য এ দল থেকে যে প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে, তিনিই নির্বাচিত হচ্ছেন বলে ধরে নেওয়া যায়।

সাহাবুদ্দীন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রস্তাবক হয়েছেন ওবায়দুল কাদের আর সমর্থক হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আইনি বাধ্যবাধকতা অনুসারে একক প্রার্থী থাকলে এবং তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হবেন।‘প্রাক্তন’ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। সেই কারণে বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ৪৫০ দৈনিক পত্রিকা ছিল, সেখানে থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ২৬০টি দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা। অনলাইন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। টেলিভিশনের সংখ্যা ১০টি থেকে ৩৬টি এখন অন এয়ারে আছে। এফএম রেডিও লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পেয়েছে।

হাছান মাহমুদ জানান, এ রকম বিকাশ আশেপাশের দেশে হয়নি বা পাশ্চাত্যে এত বেশি সংবাদমাধ্যম হয়নি।

তিনি বলেন, এত বেশি পত্রিকা হওয়ার কারণে অনেক পত্রিকায় দেখা যায়, যিনি সম্পাদক উনিই প্রকাশক, উনি বিজ্ঞাপন কালেক্টর, উনিই হকার। এ রকমও আছে। আমরা সেসব পত্রিকা চিহ্নিত করার কাজ করছি। ইতোমধ্যে ১০০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। যেসব পত্রিকা বের হয় না, হঠাৎ কোনো একদিন বের হয়; যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন ছাপায়, অন্য দিন ছাপায় না। মন্ত্রী বলেন, এতে যারা নিয়মিত পত্রিকা বের করেন তারা বঞ্চিত হন। সার্বিকভাবে সংবাদপত্র শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। এ রকম আরও শতাধিক পত্রিকা আমরা চিহ্নিত করেছি, সেগুলোর ব্যাপারে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞাপন ধীরে ধীরে কমে আসছে। পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর ধাক্কা সব জায়গায় এসেছে। আমরা যেখানে আগে ৪০০ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতাম, এখন সেটা কমে ৫০-৬০টি পত্রিকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে চাইলেও আমরা বিজ্ঞাপন দিতে পারি না।

এর আগে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী মতবিনিময় করেন। এতে বিএসপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু ও সেক্রেটারি এম জি কিবরিয়া চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুুর রহিম ও সাইফুজ্জামান ফারুকের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ বিনষ্টকারী সকল অপরাধীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূূচি পালিত হয়েছে।

আজ বেলা ১২টার সময় সাতানী শহীদ স্মৃৃতি ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানবববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম,সহকারী অধ্যাপক অমিত চক্রবর্তী, আছিফ বায়েজিত সাগর, আমজাদ হোসেন, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীমা হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বক্তরা বলেন, দীর্ঘদিন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান স.ম গোলাম মোর্শেদের সাথে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় নিয়ে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করে আসছিল। এর ফলে বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে আসছিল মোরশেদ। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুুরে কলেজ

ক্যাম্পাস থেকে বাড়ী ফেরার পথে সহকারী অধ্যাপক আব্দুুর রহিম ও সাইফুজ্জামান ফারুকের উপর অর্তকিত সসস্ত্র হামলা চালায় গোলাম স.ম মোরশেদের ছেলে সাইফ, রাকিন ও তাদের সহযোগি জাকির হোসেন ও রকিবসহ ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে তাদের রক্তাক্ত জখম করে। এরপর থেকে এলাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শিক্ষকরা ভয়ে কলেজে যেতে পারছে না।

এঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে গড়িমশি করছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

দেশে মরণোত্তর দেহদানের অগ্রদূত সারাহ ইসলাম। তাঁর দেখানো পথে এবার সরকারিভাবে শুরু হতে যাচ্ছে এ প্রক্রিয়া। আগামীকাল সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারকারীদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। যাঁরা নিবন্ধন করবেন, তাঁদের দেওয়া হবে বিশেষ ডোনার কার্ড। এ লক্ষ্যে জাতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি সেল গঠন করা হয়েছে।

সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এই প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার দূর করা প্রয়োজন। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বাড়াতে হবে দেশে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) সুবিধা।

বিদ্যমান আইন ও ইসলাম ধর্মে মরণোত্তর অঙ্গদানে বাধা নেই। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সংস্থা ওআইসি এবং বিশিষ্ট ইসলামিক ওলামারাও মরণোত্তর কিডনিসহ অন্য অঙ্গদানকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, 'মৃত্যুঞ্জয়' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ২০১৪ সাল থেকে মরণোত্তর দেহদান নিয়ে কাজ শুরু করে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এক অনুষ্ঠানেই ২২ জন মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন। ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আবৃত্তিকার সাগর লোহানী বলেন, 'এ পর্যন্ত ১০০ জনের কাছ থেকে আমরা অঙ্গীকার পেয়েছি। আমাদের কাজ হলো তাঁদের এই অঙ্গীকার অনুযায়ী মৃত্যুর পর মরদেহ হাসপাতালে দানের ব্যবস্থা করা। আমরা এরই মধ্যে কয়েকটি মরদেহ হাসপাতালে দিয়েছি।' মরণোত্তর দেহ সবচেয়ে বেশি সংরক্ষিত আছে বিএসএমএমইউতে; এ সংখ্যা ২৫।

এদিকে ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগ নিজ উদ্যোগে অন্তত ১০০ জনের কাছ থেকে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেন। তবে এখন পর্যন্ত কারও মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি। তবে দেহ চার-পাঁচ বছরের বেশি সংরক্ষণ করা যায় না।

সারাহতে সাড়া: বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. মারুফউল হাসান মুন্না। তিনি মরণোত্তর চক্ষুদান করবেন বলে ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতিতে নিবন্ধন করেন। মনিরুজ্জামান বাবু, উম্মে জোহরা বুশরা, জিসান তাহবুরসহ দুই সপ্তাহে প্রায় ১০ জন মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেন। ২০২২ সালে পুরো বছরেও এমন সাড়া মেলেনি। অঙ্গীকার করা এমন একাধিক ব্যক্তির অভিমত, মৃত্যুর পর তাঁদের দেহ বা অঙ্গ কোনো কাজে আসবে না; বরং দান করে দিলে কারও না কারও উপকারে আসবে। কেউ চোখের আলো ফিরে পাবে, কেউ বা ডায়ালাইসিস থেকে আজীবন মুক্তি পাবে। মানবিক চিন্তা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ১৮ জানুয়ারি 'মস্তিস্ক মৃত' সারাহ ইসলামের দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া চারজনের শরীরে প্রতিস্থাপনের ঘটনা মানুষের মাঝে ভালো সাড়া ফেলেছে। মরণোত্তর দেহদানের ব্যাপারে এখন অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

বিএসএমএমইউ অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অধ্যাপক লায়লা আনজুমান বানু বলেন, ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬০ জন মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন। যাঁরা মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করছেন, তাঁরা বয়সে তরুণ। মরণোত্তর দেহদানে মানুষের আগে খুব একটা আগ্রহ ছিল না। তবে এখন সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। আজকাল তরুণরা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, আবৃত্তিকার হাসান আরিফ ও রাজশাহীর বাসিন্দা জামিলা বুপাশা মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করে গেছেন। এখন তাঁদের দেহ রয়েছে বিএসএমএমইউতে।

বেশি হচ্ছে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন: মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে কাজ করে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি। সংগঠনটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কার চিকিৎসক হার্টসন সিলভা প্রথম দেশে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেন। তিনি নিজ দেশ থেকে একটি কর্নিয়া এনে জাতীয় সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে টুনটুনি নামের এক শিশুর চোখে প্রথম প্রতিস্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠার পর সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে ৩৯ হাজার ৫৬৯টি কর্নিয়া দানে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮ হাজার কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন বলেন, সারাহ ইসলামের মরণোত্তর দেহদানের পর মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই মরণোত্তর দেহদানের জন্য অঙ্গীকার করছেন। আবার যাঁরা অঙ্গীকার করেন, তাঁদের মৃত্যুর পর সবার মরদেহ পাওয়া যায় না। কারণ, তাঁদের ছেলেমেয়েরা হয়তো চান না। আমাদের মৃত্যুর খবর না জানালে তো আমরা জানব না। আর আমরা মরদেহ সংগ্রহ করি না। আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়।

এ ব্যাপারে বিএসএমএমইউর চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের ডা. রাজশ্রী দাশ বলেন, দেশে সবচেয়ে বেশি কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। শুধু কর্নিয়া দেশের বাইরে থেকে নিয়ে এসে প্রতিস্থাপন সম্ভব। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন সময় ব্যক্তি উদ্যোগে কর্নিয়া আনা হয়। এ প্রক্রিয়া অনেক ব্যয়বহুল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কর্নিয়া আনলে যাতায়াতে খরচ হয় ৭০০ থেকে ৮০০ মার্কিন ডলার। নেপাল থেকে আনলে প্রয়োজন হয় ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার।

কাল সোমবার সকালে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ওই অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন, ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী অস্ত্রোপচার টিমের সব সদস্যের মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার করার কথা রয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক।।

আজ জানা যাবে কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হবে আজ বিকাল ৪টায়। ফলে আজ স্পষ্ট হয়ে যাবে কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত কেউ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।

তফসিল অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘নির্বাচনী কর্তা’র (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে; মনোনয়নপত্র পরীক্ষা হবে কাল ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত।আইন অনুয়ায়ী নির্বাচনী কর্মকর্তা কাল মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। প্রার্থী একজন হলে এবং পরীক্ষায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে কমিশন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে।

তবে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করবে ইসি। একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা ভোটের আয়োজন করবেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার সংসদ সদস্যরা। চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে।
ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত করবে, তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পর্কে বলা আছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিনে ও সময়ের মধ্যে কোনো সংসদ-সদস্য রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে ওই পদের জন্য মনোনীত করে নির্বাচনী কর্তার কাছে একটি মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন, যে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে তার স্বাক্ষর থাকবে এবং সমর্থক হিসেবে অন্য একজন সংসদ-সদস্যের স্বাক্ষর থাকবে; সেই সঙ্গে যিনি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হতে যাচ্ছেন, তারও ওই মনোনয়নে সম্মতিসূচক স্বাক্ষরিত বিবৃতি থাকবে। তবে প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসেবে কোনো সংসদ সদস্য একটির বেশি মনোনয়নপত্র সই করবেন না। এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। আওয়ামী লীগ কাকে এ পদে মনোনয়ন দিচ্ছে তা নিয়ে সবার আগ্রহ থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীনরা কারও নাম প্রকাশ করেনি।
গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় দলের বৈঠক করেছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনীত করার ক্ষমতা দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়।রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিয়ে আজ সকাল ৯টায় ইসিতে যাবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সভাপতিত্বে দিবসের কর্মসূচিবিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

কর্মসূচিতে রয়েছে— ২১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে, সঠিক রঙ এবং মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ভাষা শহিদদের স্মরণে দেশের সব শহিদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানসহ সবাই পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে যাতে শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন, সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্মসূচিকে সফল করতে বাংলাদেশ মিশনসমূহ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক আলোচনাসভা, পুস্তক ও চিত্রপ্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে; যেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও বাঙালি অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

এ ছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যেসব উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে তাদেরকেও একুশের অনুষ্ঠানমালায় সম্পৃক্ত করা হবে। রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কুরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষাশহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

অন্যদিকে সংস্কৃতি  মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করবে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সব প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থানসমূহে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সংবলিত ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হবে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষাশহিদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহিদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহিদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ইত্যাদি জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হবে। শহিদ মিনারসংলগ্ন এলাকার আশপাশে ধুলোবালি রোধকল্পে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।

এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শহিদ মিনার এলাকায় চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন ও পর্যাপ্তসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে প্রস্তুত রাখা হবে। শহিদ মিনার এলাকার আশপাশে ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করবে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অর্পিত পুষ্পস্তবক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় একুশে ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীতে ট্রাকের মাধ্যমে রাজপথে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান এবং নৌযানের সাহায্যে ঢাকা শহরসংলগ্ন নৌপথে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনসহ জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর তিন ধরনের পোস্টার ছাপাবে, যার মধ্যে প্রথমটি হবে সর্বজনীন, দ্বিতীয়টি স্কুল-কলেজের শিশু-কিশোরদের জন্য এবং তৃতীয়টি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ ও বাংলাদেশে অবস্থিত বৈদেশিক দূতাবাসসমূহে প্রচারের জন্য।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ এর ১১ পদের নির্বাচন শেষ হয়েছে। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক। তারা দু'জনেই হলুদ দলের একটি পক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। হলুদ দলের এ পক্ষ প্রশাসনের বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন। ১১ পদের সাতটি পদেই এই পক্ষের মনোনীতরা নির্বাচিত হয়েছেন।

চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের রাজনৈতিক সংগঠন ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের (হলুদ দল) দুইটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। উল্লেখ্য হলুদ দলের দ্বিতীয় পক্ষকে হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী’ ও ‘প্রশাসনপন্থী’ সম্বোধন করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে ১ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে হলুদ দলের দ্বিতীয় পক্ষ ‘বিদ্রোহী’ ও ‘প্রশাসনপন্থী’ না লিখতে অনুরোধ করেন।

বুধবার সকাল নয়টা থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে ভোট কার্যক্রম শুরু হয়। ভোট কার্যক্রম চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। মোট ৮৯৫ জন ভোটারের মধ্যে ৭৪৩ জন ভোট দিয়েছেন। বুধবার ৫৮৫ জন ভোট দিয়েছেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি অগ্রিম ভোটে ১৫৮ জন ভোট দেন। নির্বাচনে ১১ পদের জন্য মোট ২৩ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। ভোট গণনা শেষে বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সভাপতি পদে ৩৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। তার বিপরীতে সভাপতি পদে ২৯৪ ভোট পেয়েছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ড. মো. সহিদ উল্লাহ পেয়েছেন ৬৮ ভোট। সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন। তিনি ৩৬৪ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অধ্যাপক আবদুল হক। তার বিপরীতে একই পদে ড. মো. হেলাল উদ্দীন পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট। ৩৬৭ ভোট পেয়ে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জিন প্রকৌশল ও জীব বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান। ৩৮১ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে জয়ী হয়েছেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী।

ছয়টি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিবা নবী, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের ড. মো. দানেশ মিয়া, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এস এম সালমত উল্ল্যা ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম ও জিন প্রকৌশল ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক লায়লা খালেদা। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হয়। ২৫ জানুয়ারি দুপুর ১টায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়। ৩০ জানুয়ারি দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া হয়।

হলুদ দলের প্রথম পক্ষের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন সভাপতি পদে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি পদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক, কোষাধ্যক্ষ পদে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার, সদস্য পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এস এম সালমত উল্ল্যা ভূঁইয়া, ওশোনোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম, জিন প্রকৌশল ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক লায়লা খালেদা।

হলুদ দলের দ্বিতীয় পক্ষ বা ‘বিদ্রোহী’ পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন সভাপতি পদে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড আবদুল্লাহ মামুন, সহ-সভাপতি পদে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ড. মো. হেলাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মীর সাইফুদ্দীন খালেদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জিন প্রকৌশল ও জীব বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান। সদস্য পদে পালি বিভাগের ড. জ্ঞান রত্ন শ্রমণ, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুলন ধর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের ড. মো. দানেশ মিয়া, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিবা নবী ও মার্কেটিং বিভাগের ড. সজীব কুমার ঘোষ।এছাড়া হলুদ দল থেকে আরও মনোনয়ন নিয়ে সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ।

এ ছাড়া বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল ২০১২ সাল থেকে এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম গত বছর থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের পদ ১১টি। এগুলো হলো একজন সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম-সম্পাদক ও ছয়জন সদস্য। সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল গত বছর ১৭ জানুয়ারি। এক বছরের জন্য এতে সভাপতি পদে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক সজীব কুমার ঘোষ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভার্সিটি এক্সপ্রেস ও বাংলার মুখ গ্রুপের নেতাকর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার চারুকলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অযৌক্তিক। তাই তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।

আজ সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে ১০০তম দিনের আন্দোলন শুরু করেন চারুকলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভার্সিটি এক্সপ্রেস ও বাংলার মুখ গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের আন্দোলন বন্ধ করতে বলেন।

দীর্ঘ সময় বাকবিতণ্ডার পর তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে আন্দোলনকারীদের ধাক্কা দিয়ে শহীদ মিনার থেকে উঠিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজন উঠতে না চাইলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করেন। সাংবাদিকরা এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরও হুমকি দেন।

চারুকলার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী পায়েল দে বলেন, আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করছিলাম। হঠাৎ করে তারা আমাদের ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নেয়। মেয়েদেরও তারা ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দেয়।

আরেক শিক্ষার্থী সাফিয়া শরীফ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আমরা শিক্ষার্থীর অধিকারে আন্দোলন করতে এসেছি। ১০০তম দিনের আন্দোলনে তারা হঠাৎ হামলা করেছে। তাদের ধাক্কাধাক্কিতে একজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। চবি ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শৈবাল ইসলাম আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

ছাত্রলীগের অন্য সদস্যরা জানান, ক্যাম্পাসে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তবুও চারুকলার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করা ঠিক নয়। এজন্য ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের কাছে সংরক্ষিত ৪০ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি পাওয়া গেছে। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইভিএম নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে।

ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে। আর ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম ভোটের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে।পিডি বলেন, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে মজুত থাকা ৭০ হাজার এবং অন্যান্য গোডাউনে থাকা ৪০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম এখন ভোটের জন্য সচল রয়েছে। বিভিন্ন সময় ভোটের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করাসহ অযত্ন, অবহেলায় ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো অকেজো হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করেছিল নির্বাচন কমিশন। একাদশ সংসদের ৬টি আসনসহ গত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন এবং বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের আগে পরে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪০টিরও বেশি অস্থায়ী গুদামে ইভিএমগুলো সংরক্ষণ করা আছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক ইভিএমই এখন ত্রুটিপূর্ণ।

গত ৪ মাস ধরে টানা কিউসি করে ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram