সোমবার, ৬ই মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক।।
২৭ জুলাই মঙ্গলবার অনলাইনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের আয়োজনে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা, ইউজিসি সক্ষমতা আইন, শিক্ষা কমিশন নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। যাতে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন না থাকে। বর্তমানে শিক্ষার মূলনীতিগুলো হলো মূল্যবোধ, নৈতিকতা, দক্ষতা। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের আমরা এখন কাজ করছি। সেজন্যে বিনামূল্যে বই দেয়া, স্বাক্ষরতা হার বৃদ্ধি, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ, কারিগরি শিক্ষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেয়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

করোনার মধ্যে অনলাইনে পাঠদান পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও অনলাইন পাঠদান পদ্ধতি চালু হয়েছে। তাই অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হতেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য দলিল হিসেবে সংবিধান দিয়েছেন। সেখানে তার শিক্ষা দর্শন তুলে ধরা আছে। তিনি ড. কুদরত এ খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু মানবসম্পদ উন্নয়নে, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনকে যুগোপযোগী করে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, টিকা দিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরাতে আমরা চেষ্টা করছি। প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি স্কুল তৈরি হচ্ছে। এগুলো থেকে প্রদত্ত ডিগ্রির সার্টিফিকেটগুলো সমমানের প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগাতে পারে সে চেষ্টা চলছে।

আইসিটি দক্ষতা, ভাষার শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার নিয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিদেশি ভাষা (ইংরেজি) এখন টুল হয়ে গেছে। কমিউনিকেশন স্কিল, কোলাবোরেশান স্কিল, ক্রিটিকাল থিঙ্কিং স্কিলগুলো অর্জন করা প্রয়োজন। আমাদের শুধু শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞান অর্জন করার সহায়তা করলে হবে না। তাদেরকে চাকরির জন্যে উপযুক্ত করে তুলতে হবে। সেজন্য শিক্ষকদেরকে আরও মনোযোগী হতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমানে বেহাল দশা। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দুর্নীতি ও গবেষণা চুরি অহরহ। কিছু শিক্ষক আছেন তারা শুধু অধ্যাপক হওয়ার জন্য যে কয়টা গবেষণা দরকার শুধু সে কয়টা গবেষণা করেন। পরবর্তীতে আর একটি গবেষণাও করেন না। তাদের কাছে গবেষণা একটি বিলাসিতা। এমন শিক্ষকদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা কী শিখবেন?
ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ৭ মার্চে পর বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল বাংলাদেশের শাসন। বঙ্গবন্ধু তার দর্শন দিয়ে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে নতুন করে সাজিয়েছেন। শিক্ষা সংক্রান্ত, পরিবেশ, কৃষি, গবেষণা নিয়ে বঙ্গবন্ধু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি আমাদের জন্যে দলিল হিসেবে সংবিধান দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার এক্সিলেন্সের জন্য সহায়তা কামনা করেন তিনি।

আলোচক হিসেবে ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ট্রেজারার কামালউদ্দিন আহমেদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।
ওয়েবিনারে অধ্যাপক ড. সুব্রত চন্দ্র রায় ও অধ্যাপক ড. নাফিস আহমেদ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার, ওয়েবিনার কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলম প্রমুখ।

অনলাইন  ডেস্ক।।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যেও জরুরি নিয়োগ কার্যক্রম অক্ষুন্ন রাখতে প্রজ্ঞাপিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এছাড়া পরীক্ষার সময় টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট/প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) পিএসসি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহ্‌মদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও জরুরি নিয়োগ কার্যক্রম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে পিএসসি কর্তৃক বিজ্ঞাপিত যে কোন পদের প্রিলিমিনারি টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে পরীক্ষার্থীদের করোনা টিকা গ্রহণ নিশ্চিতের পরামর্শ দেয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে করোনা টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া টিকা গ্রহণের সনদ অথবা প্রমাণপত্র পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয়া হলো।

পরীক্ষার্থী, পরীক্ষক এবং পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য টিকা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সকলকে অনুরোধ করা হলো।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
করোনায় মারা গেলেন ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ সানিয়া আক্তার(২৯)। আজ ২৮ জুলাই ( বুধবার)  সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের করোনা ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ১২ জুলাই থেকে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তার স্বামী  এএইচএম এমরানুর রহমান একই আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। কক্ষ সংকটের কারনে স্বামী-স্ত্রী একই কক্ষে আগে পড়ে বিচার কার্য পরিচালনা করতেন। তার স্বামী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এমরানুর রহমানও করোনায় আক্রান্ত। স্বামীর বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বিচারক সানিয়া আক্তারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় হোগলাকান্দা গ্রামে। তিনি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সদালাপী ও মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত এ-ই বিচারকের অকাল মৃত্যুতে ঝালকাঠিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২০১৮ সালের ১ মার্চ সানিয়া আক্তার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ১০ম ব্যাচের বিচারক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিচারক সানিয়া আক্তারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঝালকাঠি -২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। আরো শোক জানিয়েছেন জেলা ও দায়রা জাজ মো. শহিদুল্লাহ,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান রসুল,সাধারণ সম্পাদক আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু।

অনলাইন ডেস্ক।।

বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের অনিয়ম ও দুর্নীতি বেশ কয়েক বছর ধরে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। কয়েকজনের দুর্নীতি ইতোমধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে।

করোনা মহামারিতে প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দুর্নীতি, অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ নেই।
সম্প্রতি বাংলাদেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ফোনালাপটি সামাজিক ও গণমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এমন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আসলে কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে এমন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিয়োগ পায়?

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে আসলে মানদণ্ড কী এবং বাংলাদেশে সেই মানদণ্ডগুলো কতটা অনুসরণ করা হয় এ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার টেলিফোনে কথা বলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হামিদা আলীর সঙ্গে।
চার জনেই বলেছেন বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না এবং প্রকৃত যোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। তাছাড়া শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য থেকে আমরা সরে গেছি বলে জানান তারা।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের মানদণ্ডে আসা উচিত শিক্ষাবিদের নেতৃত্বের গুণাবলী, সাধারণ মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা। সর্বোপরি তিনি মানুষ হিসেবে সৎ কিনা, তার মধ্যে স্বচ্ছতা আছে কিনা, দায়বদ্ধতা আছে কিনা।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে এসব বিষয় সেভাবে দেখা হয় না। সবার আগে দেখা হয় তার দলীয় পরিচয়। সরকারের প্রতি অনুগত যারা থাকবে তাদেরকেই আমাদের দেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।'
'একজন ভিসি দুর্নীতি করবে, এটা কখনও ভাবতে পারিনি। সঠিক মানুষকে নিয়োগ না দেওয়ার কারণেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়ম হচ্ছে। নিয়োগ পাওয়ার পর তারা মুনাফা লোভী হয়ে ওঠেন। এসব অনিয়ম-অন্যায় বন্ধে প্রকৃত যোগ্য ও সৎ মানুষকে নিয়োগ দিতে হবে,' যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, 'আমাদের প্রকৃত যে শিক্ষার উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু কাজ হচ্ছে, তবে তা বিচ্ছিন্নভাবে। সামষ্টিকভাবে কিছু হচ্ছে না। আমাদের দেশে জ্ঞানের মূল্য কমে গেছে। শিক্ষকদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে, সম্মান দিতে হবে।'
অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। একটি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অন্যটি তিনি মানুষ হিসেবে কেমন। তিনি সৎ ও স্বচ্ছ কিনা, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ করতে পারবেন কিনা। এর সঙ্গে তার খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চাও গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু একজন শিক্ষকের সিভি দেখাই যথেষ্ট নয়। তিনি মানুষ হিসেবে কেমন, তার আচার-আচরণ কেমন, তিনি মূল্যবোধের চর্চা করেন কিনা, তার দেশপ্রেম কতটা— এগুলো মূল্যায়ন করতে হবে। কিন্তু আমরা শিক্ষাকে সার্টিফিকেটে বন্দি করে ফেলেছি। এ কারণেই আমরা শিক্ষক, আমলাসহ সব পেশায় দুর্নীতিবাজদের দেখতে পাই।'
তিনি আরও বলেন, 'আর ১০টা পেশার মানুষ দুর্নীতি করলেও সবচেয়ে বেশি দোষ হয় একজন শিক্ষকের। কারণ তার দায়িত্বই হচ্ছে দেশ গড়া, ভালো মানুষ তৈরি করা।'
আমাদের দেশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই মানদণ্ডগুলো তেমনভাবে অনুসরণ করা হয় না। অনুসরণ করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চেহারা এমন থাকতো বলে আমার মনে হয় না,' তিনি বলেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো ও নিবেদিত শিক্ষক আছেন। তারা তদবির করেন না বলে নিয়োগ হয় না। যারা অসৎ, তারা দুর্নীতি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে তদবির ও লবিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। কারণ তাদের চিন্তাই থাকে, কোনোভাবে নিয়োগ পেলেই দুর্নীতি করে অনেক টাকার মালিক হয়ে যাবে। সরকারের উচিত হবে প্রকৃত সৎ ও যোগ্যদের খুঁজে বের করে তাদের নিয়োগ দেওয়া। কিন্তু আমাদের দেশে তা হচ্ছে না। সঠিক জায়গায় সঠিক মানুষ যাচ্ছে না ঢাবির সাবেক এই ভিসি বলেন, 'আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাণিজ্যে রূপ দিয়েছি। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গেছি। শিক্ষা হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখ। শিক্ষাকে আমরা জিপিএ-৫ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি। যারা জিপিএ-৫ পায় বা প্রথম শ্রেণি পায় তাদেরকেই শিক্ষিত এবং মেধাবী মনে করা হয়।'
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন করা ছাড়া শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হাসিল হবে না। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য থাকবে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষার্থী যে শিক্ষা পাবে শহরাঞ্চলের একজন শিক্ষার্থীও একই শিক্ষা পাবে। কিন্তু দেশে এখন দেখা যায় বিত্তবানদের জন্য এক ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বিত্তহীনদের জন্য এক ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা।'
'প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গা ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সৎ মানুষকে প্রশাসনিক দায়িত্ব দিতে হবে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ তারাই মূল কারিগর। তারাই ভিত্তিটা তৈরি করে দেন।'
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষের ফোনালাপ বিষয়ে তিনি বলেন, 'একজন শিক্ষক এই ভাষায় কথা বলবেন তা কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। এটি শিক্ষক সমাজের জন্য বিব্রতকর। এই ধরণের শব্দ একজন শিক্ষকের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হবে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।'
অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, 'কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখতে হবে তিনি পণ্ডিত শিক্ষক কিনা, তার প্রশাসনিক দক্ষতা, গবেষণা আছে কিনা। তাছাড়া তিনি মানুষ হিসেবে সৎ কিনা এবং তার মূল্যবোধ কেমন তা দেখতে হবে। তবে আমাদের দেশে এসব মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না।'
ঢাবির আইন বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, 'জবাবদিহিতার অভাব, দায়মুক্তির সংস্কৃতি এবং কোনো ঘটনার তদন্ত সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি বেড়ে গেছে। দেশে ১০০টি অনিয়ম হলে নজরে আসে পাঁচ থেকে ১০টি। তাও আবার সামাজিক ও গণমাধ্যমে আলোচিত না হলে খুব বেশি আমলে নেওয়া হয় না।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রকৃত শিক্ষার যে উদ্দেশ্য আমরা তার ধারের কাছেও নেই। শিক্ষার কাজ হলো আলোকিত মানুষ তৈরি করা, মূল্যবোধ তৈরি করা। কিন্তু বর্তমানে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হয়েছে। অন্যান্য পেশার মানুষকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয় এবং সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, শিক্ষকতা পেশায় যারা আসেন তাদেরেকে সেভাবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না। এই পেশাকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে পারলে এবং সঠিক মানুষকে সঠিক জায়গায় বসাতে পারলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।'
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শুরু থেকে পরবর্তী ২৩ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা হামিদা আলী বলেন, 'শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি, ব্যক্তিত্ব, চরিত্র, নেতৃত্ব এসব বিষয় দেখতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একজন আদর্শবান মানুষ যার ভালো-মন্দ যাচাই করার মতো জ্ঞান আছে, শিক্ষার্থীকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে তাদেরকেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দিতে হবে।'
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষের ফোনালাপ বিষয়ে সাবেক এই অধ্যক্ষ বলেন, 'এই ধরণের একজন মানুষ এমন ভাষায় কথা বলবে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ থাকার মতো তার বিন্দুমাত্র যোগ্যতা আছে বলে আমার মনে হয় না। তাকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া উচিত।'
তিনি বলেন, 'আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এইভাবে নষ্ট হলে আমি মরে যাবো। এর এমন মৃত্যু হবে তা আমি কোনোভাবেই চাই না। আমাদের বাচ্চারা এগুলো দেখে বিপথে চলে যাবে, কোনো আদর্শ তারা পাবে না। বর্তমান অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারণ করে একজন ভালো ও যোগ্য মানুষকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রকৃত যে উদ্দেশ্য তা থেকে অনেকটাই আমরা সরে এসেছি। আমরা এখন আর মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারছি না। বর্তমানে ভালো শিক্ষক পাওয়া দুর্লভ। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ছে কিন্তু কোয়ালিটি বাড়ছে না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করার জন্য এই খাতে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। কোনো শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ছাঁটাই করতে হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।'

অনলাইন ডেস্ক।।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সোমবার (২৬ জুলাই) থেকে সীমিত পরিসরে কিছু জরুরি সেবা চালু করেছিল কিন্তু জরুরি সেবা চালুর একদিন পরেই মঙ্গলবার ( ২৭ জুলাই) সেবা কার্যক্রম বাতিল করলো সংস্থাটি। মঙ্গলবার বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে বিআরটিএ কর্তৃক মোটরযানের কর ও ফি আদায় করতে অনলাইন ব্যাংকিং চালু রয়েছে। এর আগে পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী (২৬ জুলাই) থেকে শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় বিআরটিএ’র বিভিন্ন মেট্রো ও জেলা সার্কেল অফিস থেকে মোটরযান রেজিস্ট্রেশন এবং বিভিন্ন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ যেমন- রুট পারমিট সনদ নবায়ন, অস্থায়ী মোটরযান চালনার অনুমতি পত্রের মেয়াদ, মালিকানা বদলির আবেদন, মোটরযান রেজিস্ট্রেশন সনদ প্রাপ্তি ইত্যাদি কার্যক্রমের মেয়াদ বর্ধিতকরণ চালু থাকবে জানানো হয়।

করোনা সংক্রমণের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বিআরটিএর সব সেবা কার্যক্রম সরকারের নির্দেশনার আলোকে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হলেও। সর্বশেষ লকডাউনের কারণে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বিআরটিএর সকল সেবা। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এর পর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে।

অনলাইন ডেস্ক।।
বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের চালানসহ ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ২৫ চরকে গ্রেফতার করেছে ইরান।
এক বিবৃতিতে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েকটি প্রদেশ থেকে ১১ কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৭ হাজার কালাশনিকভের গুলি ও ১৫ হাজার পিস্তলের গুলিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি নেটওয়ার্কের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে।
ইরানের সংবাদসংস্থা ফার্স নিউজ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত মোসাদের ২৫ চর ইরানে গুপ্তহত্যা চালানোর জন্য এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র নিয়ে সংগঠিত হচ্ছিল। কিন্তু ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছে।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, গ্রেফতারকৃত চররা ইরানের সাম্প্রতিক পানির দাবিতে যে বিক্ষোভ চলছে সেখানে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। খাওয়ার পানি ও চাষাবাদের জন্য পানির সরবরাহ বাড়ানোর দাবিতে এই বিক্ষোভ হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টানা তিন সপ্তাহ ধরে ইরানে বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভে কয়েকজন নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবর অনুসারে, পানির সংকট দেখা খুজেস্তান প্রদেশের বিক্ষোভ থেকে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এমন বিক্ষোভের কিছু ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ইজেহ শহরে ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবে উৎখাত হওয়া পশ্চিমা-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির পক্ষে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার চররা এই বিক্ষোভে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। চলমান বিক্ষাভে ইসরাইলের চররা কয়েকটি অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলেও ইরানের ওই মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এর আগেও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের চররা ইরানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডসহ দেশটির একাধিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। ইসরাইল কখনও কখনও এসব ঘটনা স্বীকার করেছে আবার কখনওবা চুপ থেকেছে।

অনলাইন ডেস্ক।।

 অতিরিক্ত আনন্দের মধ্যেও থাকে রাগের অনুভূতি।

মাদকাসক্ত ব্যক্তিরাও অনেক সময় অতিরিক্ত রাগী প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এর কারণ হলো অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য শরীরের প্রবেশ করলে হিংস্র ভাব তৈরি করে। চিন্তাশক্তির উপরে মাদকের প্রভাবই এমন করে বলে মত মনোরোগ চিকিৎসকদের।

কীভাবে বুঝবেন রাগ না-কি মানসিক রোগ বাড়ছে আপনার মধ্যে?

কথায় কথায় বিরক্ত হওয়া।

নেতিবাচক ও খারাপ চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাওয়া।

হঠাৎ করেই চেঁচামেচি করা।

উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধরফরের মতো শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়া।

সাধারণ কোনো ঘটনাতেও আকস্মিক চুপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মানসিক রোগের লক্ষণ।

কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনবেন?

অতিরিক্ত রাগের কারণ বুঝতে না পেরে অনেকেই ভুল করে ফেলেন। যাকে যা বলার নয় তা বলে ফেলেন। সমাজ, পরিস্থিতি ও পরিবেশ সম্পর্কে তখন স্বভাবতই ভুলে যেতে হয়।

এর ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। রাগের বশে অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন। এ কারণে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তবে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনবেন রাগ?

কথা বলার আগে ভাবুন।

সমস্যায় বিচলিত না হয়ে সমাধান খুঁজুন।

অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের ব্যায়াম করুন।

পরিবারের কারও উপর রাগ-ক্ষোভ হলে তার সামনে না গিয়ে একাকি সময় কাটান।

পরিবারের সবার সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন।

ব্যস্ততার ফাঁকেও অবসর সময় কাটান।

পজেটিভ চিন্তা করুন।

রাগ করার আগে পরবর্তীতে কী হবে, সেটি নিয়ে ভাবুন।

নিয়মিত মেডিটেশিন করুন। এতে মনে প্রশান্তি আসে।

কোন উপায়ে বেশি কাজ হচ্ছে, তা কিছু দিনেই বুঝতে পারবেন।

অনলাইন ডেস্ক।।

করদাতাদের জন্য অনলাইনে নতুন আয়কর রিটার্ন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ব্যবস্থা উন্মুক্ত করা হবে। করদাতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর ওয়েবসাইট কিংবা মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করে অনলাইনে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আজ মঙ্গলবার এক তথ্য বিবরণীতে এসব কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে এনবিআরের আয়কর শাখা পরীক্ষামূলকভাবে করদাতাদের গ্রহণযোগ্যতা এবং ইন্টারনেট বিষয়ক একটি পরীক্ষা চালিয়ে এর সফলতা পেয়েছে। এনবিআর কর্মকর্তারা নতুন এ পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যা অনেকটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলবে।
এনবিআর সূত্র জানায়, নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে করদাতারা যেকোনও সময় আয়কর সার্টিফিকেট, রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার ও টিআইএন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। এর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে নিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে গিয়ে করদাতাদের নিবন্ধন করতে হবে। অনলাইন পদ্ধতি বিটিআরসির বায়োমেট্রিক ডাটাবেস ব্যবহার করে করদাতাদের সত্যতা যাচাই করে দেবে এবং ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড সরবরাহ করবে।

অনলাইন ডেস্ক।।

বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন আবারও মা হচ্ছেন। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা কিছু ছবি ঘিরে এমন গুঞ্জনের সূচনা হয়েছে। কারণ ছবিগুলোতে তার বেবিবাম্প অনেকটাই স্পষ্ট।

সম্প্রতি ঐশ্বরিয়া, তার স্বামী-অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও তাদের একমাত্র কন্যা আরাধ্য গিয়েছিলেন দক্ষিণী তারকা এস শরৎ কুমারের বাড়িতে। সেখানে তারা একসঙ্গে নৈশভোজ সেরেছেন। শরৎ কুমারের পরিবারের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দীও হয়েছেন এ তারকা দম্পতি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলো শেয়ার করেন শরতের মেয়ে ভারালক্ষ্মী। ক্যাপশনে লেখেন, ‘গতকাল রাতে খুব প্রিয় তিনজনের সঙ্গে দারুণ সময় কাটালাম। বলি সুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, অভিষেক বচ্চন এবং তাদের আদরের মিষ্টি মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন।’

ছবিগুলোতে দেখা যায়, কখনো হাত দিয়ে নিজের পেট আড়াল করছেন ঐশ্বরিয়া, আবার কখনো সবার পেছনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই লুকাতে পারলেন না বেবিবাম্প। এমনকি মাতৃত্বকালীন বিশ্বসুন্দরীর শরীরের ওজনও অনেকটা বেড়েছে। তাই নেটিজেনরা মনে করছেন, দ্বিতীয় সন্তান গ্রহণ করছেন অভিষেক-অ্যাশ দম্পতি।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ২০ এপ্রিল বিয়ে করেন এই জুটি। এরপর তাদের প্রথম সন্তান আরাধ্যার জন্ম হয় ২০১১ সালে ১৬ নভেম্বর। গুঞ্জন যদি সত্যি হয়, তাহলে দীর্ঘ ১০ বছরের বিরতি দিয়ে ফের সন্তান নিচ্ছেন তারা।

এদিকে ঐশ্বরিয়া গত প্রায় তিন বছর ধরে নতুন কোনো সিনেমায় কাজ করছেন না। ২০১৮ সালে তাকে সর্বশেষ ‘ফান্নে খান’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। তার হাতে কেবল ‘পন্নিয়িন সেলভান’ নামের একটি সিনেমা রয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক :-

ব্যাংক থেকে নেওয়া গৃহায়ন ঋণে ১৮ মাস অর্থাৎ দেড় বছর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও সেটিকে খেলাপি ঋণ বলা যাবে না বলে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে ঋণ যদি তিন বছর ধরে খেলাপি থাকলে সেটাকে ‘মন্দমানের’ খেলাপি বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও লিজ শ্রেণিকরণ এবং সংস্থান সংরক্ষণের বিষয়ে মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে। যা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে
বাংলাদেশে কার্যরত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ, খেলাপি এবং প্রভিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক অধিকতর সময়োপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি ঋণ, লিজ ফাইন্যান্স, মেয়াদি ঋণ ও গৃহায়ন ঋণের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে খেলাপির প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর ভিত্তিক এসব তথ্য পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় জমা দিতে বলা হয়েছে।
মাস্টার সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১২ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য ঋণকে ‘স্বল্পমেয়াদি’, মেশিনারি যন্ত্রপাতি, মোটর গাড়ি ও অন্যান্য সম্পদ কেনার উদ্দেশে নির্ধারিত মেয়াদ ভিত্তিক ঋণকে ‘লিজ ফাইন্যান্স’, নির্দিষ্ট শিডিউল ও মেয়াদে পরিশোধযোগ্য সকল ধরনের ঋণকে ‘মেয়াদি ঋণ’ এবং আবাসন ব্যবসার উদ্দেশে গৃহ, প্লট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য ঋণকে ‘গৃহায়ন ঋণ’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
স্বল্পমেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে তিন মাসের অধিক এবং ছয় মাসের কম সময় অপরিশোধিত ঋণকে ‘নিম্নমান’, ছয় মাসের অধিক কিন্তু নয় মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘সন্দেহজনক’ এবং নয় মাসের অধিক সময় ধরে অপরিশোধিত স্বল্পমেয়াদি ঋণকে ‘মন্দ’ বা ক্ষতি মানের খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবে।
লিজ ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে ছয় মাসের অধিক কিন্তু ১২ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘নিম্নমান’, ১২ মাসের অধিক কিন্তু ১৮ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘সন্দেহজনক’ এবং ১৮ মাসের অধিক সময় ধরে অপরিশোধিত ঋণকে ‘মন্দ’ মানের ঋণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
পাঁচ বছরের বেশি মেয়াদের গৃহায়ন ঋণের ক্ষেত্রে ১৮ মাসের অধিক কিন্তু ২৪ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘নিম্নমান’, ২৪ মাসের অধিক কিন্তু ৩৬ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘সন্দেহজনক’ এবং ৩৬ মাস বা তিন বছরের অধিক অপরিশোধিত ঋণকে ‘মন্দ’ মানের ঋণ হিসেবে বিবেচনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়, স্বল্পমেয়াদি ঋণ, মেয়াদি ঋণ, লিজ এবং গৃহায়ন ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কোন অনিশ্চয়তা বা সন্দেহের উদ্রেক হলে তা বস্তুগত মানদন্ডের ভিত্তিতে শ্রেণিকরণযোগ্য হোক বা না হোক গুণগত মানের ভিত্তিতে উক্ত ঋণসমূহ শ্রেণিকরণ করতে হবে।
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির ফলে গ্রাহকের ঋণ চুক্তির শর্ত পরিপালনের সক্ষমতা ব্যাহত হলে অথবা বিরূপ পরিস্থিতির ফলে ঋণ গ্রহীতার মূলধন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অথবা বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য হ্রাস পেলে অথবা অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দরুণ ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পরলে উক্ত ঋণসমূহ গুণগত মানের ভিত্তিতে শ্রেণিকরণ করতে হবে।
নিম্নমানের ঋণের জন্য ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক হলে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ ও ক্ষতিজনিত ঋণ ও লিজের বিপরীতে ১০০ শতাংশ অর্থ সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত এই সংরক্ষণের প্রক্রিয়াটি হবে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে।

অনলাইন ডেস্ক।।

পুঁইশাক, কচু, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, দই এবং ফ্রিজে রাখা বাসি ও ঠান্ডা খাবার এখন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এক গ্লাস গরম পানি খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন। কাশি সমস্যা থাকলে কয়েকটি তুলসি পাতা ও বাসক পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির দমক কমবে। ফুসফুসও ক্রমশ শক্তিশালী হতে থাকবে।

কোভিড সংক্রমণের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে ফুসফুসের উপরে। একই সঙ্গে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া ও শ্বাসের ব্যায়াম করা দরকার। নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম করলে সুফল পাওয়া যাবে।

জাঙ্ক ফুড যেমন পিৎজা, বার্গার, রোলের মতো বাইরের খাবার বন্ধ রাখতে হবে। পাউরুটি খাওয়াও বন্ধ রাখতে পারলে ভালো। এ সবের পরিবর্তে বাড়ির সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। কোভিডের পরে কিছু দিন মরিচের ঝাল খাওয়া উচিৎ নয়। এর পরিবর্তে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গের ঝাল হিসেবে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

ভাইরাসের সংক্রমণে প্রোটিন বেশি খাওয়া দরকার। তবে মশলাদার করে রান্না না করে গাজর, পেঁপে, গোলমরিচ দিয়ে রান্না করা মুরগির ঝোল, ডিম সেদ্ধ, মাছের হাল্কা ঝোল খাওয়া যায়। অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ৩-৪ গ্লাস গরম জল খাওয়া দরকার। ডায়াবেটিস বা ক্রনিক কিডনির অসুখ না থাকলে গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

মেথি ভেজানো পানি, আমলকি, হরতকি ও বহেড়া একসঙ্গে কাচের গ্লাসে উষ্ণ পানির মধ্যে প্রতি রাতে ভিজিয়ে রেখে, সকালে ছেঁকে নিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সঙ্গে হজমের গোলমাল এবং গ্যাসের প্রকোপ কমবে। গরম দুধে দুই চামচ হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে নিয়ম করে। সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট কমাতে মধু দিয়ে পিপুল খেলে উপকার হয়।

অনলাইন ডেস্ক।।

চাঁদপুরের শামীম পাটওয়ারী সহ ৯ জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিয়ে একাদশ সাজিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। বিশ্বের আর কোন দেশ এতোজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোন ইনিংসে নামতে পারেনি। গতকাল ২৫ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে দেখা যায় কেবল ক্যাপ্টিন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও উইকেট কিপার নূরুল হাসান সোহান ছাড়া বাকি সকল ব্যাটসম্যানই বাঁহাতি। গতকালের একাদশে থাকা সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, সাইফউদ্দিন ও তাসকিনরা ডানহাতে বোলিং করলেও তারা ব্যাটিং করেন বাঁমহাতে এর আগে সর্বোচ্চ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মাঠে নামার রেকর্ডটিও বাংলাদেশের। সিরিজের ২য় টি-টুয়েন্টি ম্যাচেও বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে ৮ জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান
তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডটি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার যৌথভাবে। সে ম্যাচে ৭ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিয়ে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছে ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও তাদের ৩টি ম্যাচে দেখা গেছে ৭ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের একাদশ সাজাতে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram