বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক :

দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তির বিপরীতে প্রাথমিকভাবে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে, এই তৃতীয়  গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক অসঙ্গতি ও  অভিযোগ তুলছেন নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীরা।

তারা বলছেন, ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করার কথা থাকলেও মাত্র ৩৮ হাজার জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। ১৫ হাজার পদ শূন্য থাকার বিষয়ে প্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।  এতগুলো পদে নিয়োগ না দেওয়াকে তারা বলছেন, যেখানে ৮৯ লাখ আবেদন পড়েছে সেখানে মাত্র ১৫ হাজার পদে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া না যাওয়ার কোনো কারণ নেই।

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের প্রাথমিক ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সুপারিশকৃত ৩৮ হাজার পদে প্রায় ২০ হাজারের ও বেশি পদ ইনডেক্সধারীদের দখলে চলে গেছে। অর্থাৎ, আগের চাকুরিপ্রাপ্তরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করেছে।  যার ফলে, নতুন প্রার্থীরা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন।  গত কয়েক ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের ভালো নম্বর থাকা সত্ত্বেও সুপারিশপ্রাপ্ত হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদন নিয়ে ক্ষোভ:
নিয়োগ বঞ্চিতরা বলছেন, গণবিজ্ঞপ্তির উদ্দেশ্য অ্যান্ট্রি লেভেল বা প্রবেশনারী পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।  কিন্তু, এবারের ফলাফলে মনে হচ্ছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নয় বদলি বিজ্ঞপ্তি হয়েছে।  এতে বেকারত্ব বাড়ছে।  যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা বিষয়টিকে নতুনভাবে বিবেচনার দাবি জানান।

তাদের দাবি, ইনডেক্সধারীদের আগে আবেদন সম্পন্ন করে তারপর নতুন প্রার্থীদের আবেদন নেওয়া উচিত। তাহলে, ইনডেক্সধারী ও নতুন প্রার্থীরা যেমন সমানভাবে উপকৃত হবে তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শূন্য থাকার অভাবটুকু অনুভূত হবে না।

পয়ত্রিশোর্ধ নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ: 

এবারের গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থীদেরও আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।  এর ফলে ৪৫- ৫০ বছর বয়সী প্রার্থীরাও সুপারিশ পেয়েছেন। এটি নিয়ে অসন্তোষ নিয়োগ বঞ্চিতদের মাঝে।

তারা বলছেন, এমপিও নীতিমালার কোথাও ৩৫ বছরের বেশি প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগের কথা উল্লেখ নেই। এরপরও এনটিআরসিএ আবেদন বাড়ানোর জন্য এই সুযোগ রেখেছে।  এতে তাদের ৯০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মেধাবী ও তরুণ প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন।

দ্রুত ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নীতিমালা অনুসরণ দাবি:
নিয়োগ প্রার্থীরা বলছেন, ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে পয়ত্রিশোর্ধ  প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া এমপিও নীতিমালা ও যেকোনো সরকারি নিয়োগ নীতিমালার নিয়ম বহির্ভূত। তাদের দাবি, নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছরের মধ্যেই হতে হবে।

১৩তম নিবন্ধনকৃত বাকিদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন:

৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৩তম নিবন্ধিত ব্যাচের ২ হাজার ২০৭টি পদে সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও এ পদগুলোর মামলার কার্যক্রম এখনো চলমান। অন্যদিকে, ১৩তম ব্যাচের বাকি প্রার্থীদের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ১৩তম ব্যাচের নিবন্ধনধারীরা। তারা বলছেন, ২ হাজার ২০৭ জন সরাসরি নিয়োগ পেলে বাকিরাও তাহলে সরাসরি নিয়োগের অধিকার রাখে। কিন্তু এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

নারী কোটা পূরণ না হওয়ার মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দাবি:
যেসব প্রতিষ্ঠানে নারী কোটা পূরণ হয়নি সেগুলো দীর্ঘদিন খালি থাকে। এসব জায়গায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে দাবি করেছেন প্রার্থীরা।

সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য:

সার্বিক বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের একাধিক নেতাকর্মী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আজ বাংলাদেশে ৩৮ হাজার পরিবারে হাসি ফুটেছে। তবে, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ এর কিছু প্রক্রিয়ার পরিবর্তন বা পরিমার্জন জরুরি হয়ে পড়েছে। শতভাগ তরুণ মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই চাকরিরত ইনডেক্সধারীদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন বা বদলির আবেদন সম্পন্ন করা জরুরি।

তারা বলেন, আবেদনের ক্ষেত্রে তরুণ মেধাবীদের বঞ্চিত করে এবং এমপিও নীতিমালাকে অবজ্ঞা করে পয়ত্রিশোর্ধ   বয়সী প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া কখনই সমীচীন হবে না। উল্লেখিত বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ এর দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশায় আছি।

তাদের দাবি, প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশে ১৩তম, ১৪তম ও ১৫তম ব্যাচের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, যা ঠিক নয়।  ১৩তম ব্যাচে ২২০৭ টি পদের সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া হলো কিন্তু বাকিদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। যা এসব ব্যাচের প্রার্থীদের হতাশ করেছে।

পরবর্তী নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি অবশ্যই ইনডেক্সধারীমুক্ত, রিটমুক্ত, সংরক্ষিত পদমুক্ত ও সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য রাখার দাবি জানান ফোরামের নেতারা। একইসঙ্গে আবেদকারীদের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ রাখার দাবি তাদের।

এসব বিষয়ে কথা বলতে এনটিআরসি এর সচিবকে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এবারের নিয়োগে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে অনেক অভিযোগ দেখা যাচ্ছে। তবে এনটিআরসি এর পক্ষ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশনা ও নীতিমালার বাইরে কোন কার্যক্রম চালানো হয়নি।পরবর্তী নিয়োগের ক্ষেত্রেও পর্যালোচনার মাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

বিনোদন ডেস্ক :

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন। এখন বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাইজিংবিডির পক্ষ থেকে শাওনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে তিনি বলেন—‘হ‌্যাঁ, আমার কোভিড-১৯ পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।’ তবে এর চেয়ে বেশি কিছু জানাননি তিনি। অনেক জরুরি ফোন কল আসছে বলে কথা শেষ করেন এই অভিনেত্রী।

তবে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন—‘উপসর্গ বলতে কিছুটা কাশি ও ঠান্ডা রয়েছে। এখন বাসায় রয়েছেন তিনি।’

শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে শাওন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ‌্যকাউন্টে এক স্ট‌্যাটাসে লিখেন, ‘পজিটিভ।’ তারপর থেকে শোবিজ অঙ্গনের অনেকে মন্তব‌্য করে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠার জন‌্য প্রার্থনা করছেন।

গত বছরের মার্চের দিকে করোনা সংক্রমণ যখন বিশ্বব‌্যাপী ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন শাওন। নিউ ইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত সবকিছু স্থগিত করে দেশে ফিরে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তবে সে যাত্রায় কোনো সমস‌্যা হয়নি এই অভিনেত্রীর।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ‘নিশা লাগিলোরে’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেন চঞ্চল-শাওন। হাছন রাজার কালজয়ী এ গানের সংগীতায়োজন করেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া। গত ১৯ জুলাই ইউটিউবে মুক্তি পায় গানটি। গানটি দারুণ সাড়া ফেলেছে দর্শক-শ্রোতা মহলে। এ পর্যন্ত গানটির ভিউ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ লাখ।

অনলাইন ডেস্ক :

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামী ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প কারখানা খুলে দিচ্ছে সরকার। শুক্রবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে উৎপাদনমুখী সব শিল্প প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে তারা এ দাবি জানান।

No description available.

অনলাইন ডেস্ক :

করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আরও একদফা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদরাসার চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক।।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গতকাল বুধবার এক পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করেছে বলে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে। গাইডলাইন অনুযায়ী জাতীয় শোক দিবসে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ জনের বেশি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন না।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গাইডলাইন অনুযায়ী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান যা করতে হবে ঃ
অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ ও বাহির পথ পৃথক ও নির্দিষ্ট করতে হবে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন স্থানে এক সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না। আগত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ ফুট বা কমপক্ষে ২ হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমাটি গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।
সমাবেশে আগত সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রবেশ পথে হ্যান্ডস্যানিটাইজার সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে পারবে না। হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল : জনসমাগম যথাসম্ভব কম রাখতে হবে। অনুষ্ঠানস্থল বা কক্ষের আয়তনের ওপর লোকসংখ্যার উপস্থিতি নির্ধারণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে আগত সকলের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক, মাস্ক ছাড়া কাউকে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।
প্রবেশ পথে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সম্ভব না হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অনুষ্ঠানস্থলে একজন থেকে আরেকজন নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ ফুট বা কমপক্ষে ২ হাত) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ এবং নাক ঢাকতে হবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। জরুরি বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

নিউজ ডেস্ক।।

আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সর্বশেষ দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত র‌্যাব সদস্যরা হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
র‌্যাব সূত্র জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাত নয়টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা তার বাসায় যান। এর কিছুক্ষণ পর ওই বাসায় প্রবেশ করেন র‌্যাবের নারী সদস্যরা। সেখানে দীর্ঘ সময় তল্লাশির পর হেলেনাকে আটক করা হয়।
জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হেলেনা গত ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন তিনি।
সম্প্রতি ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতিবহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

অনলাইন ডেস্ক।।

জাতিসংঘ যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় সারা বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি শিশুর শিক্ষাজীবন অচল হয়ে পড়েছে। জেনেভায় মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার। এএফপি।
জেমস এল্ডার আরও বলেছেন, এ অবস্থা চলতে পারে না। বিভিন্ন সরকার কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলা ও এ রোগের বিস্তার যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়টি তিনি মানেন বলে জানান। তা সত্ত্বেও সব কিছুর মধ্যে সবার শেষে স্কুল বন্ধ করা উচিত ও সবকিছুর আগে স্কুল খুলে দেওয়া উচিত। তিনি স্কুল খুলে দেওয়ার আগে বিভিন্ন দেশে বার ও পাবগুলো খুলে দেওয়াকে এক ভয়াবহ ভুল বলে আখ্যায়িত করেন।
জেমস এল্ডার বলেন, সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলার জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। মহামারিতে অর্থনৈতিক কঠিন অবস্থা সত্ত্বেও সরকারগুলোকে তাদের শিক্ষাবিষয়ক বাজেট সুরক্ষিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের শিশুরা এখন তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে আছে।
পক্ষান্তরে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ স্কুলবয়সী শিশু বর্তমানে স্কুলের বাইরে রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্কুলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলে কমপক্ষে ৩ কোটি ২০ লাখ শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে অথবা খুলে দেওয়া ক্লাসে ফিরে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা মহামারি আঘাত করার আগে স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭০ লাখ। তার সঙ্গে এই সংখ্যা যোগ হয়েছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক দেশে মহামারির কারণে কমপক্ষে ২০০ দিন স্কুল বন্ধ রয়েছে। জেমস এল্ডার বলেছেন, দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৮টি দেশ এবং ভূখণ্ডে স্কুলগুলো হয়তো পুরোপুরি, না হয় আংশিক বন্ধ। তার ভাষায়, বিশ্বজুড়ে শিক্ষা, নিরাপত্তা, বন্ধুত্ব, খাদ্যের স্থানে জায়গা করে নিয়েছে উদ্বেগ, সহিংসতা এবং টিনেজ মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়।
উগান্ডার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই দেশটিতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ বছর জুন পর্যন্ত ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সি মেয়েদের শতকরা কমপক্ষে ২০ ভাগের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউনিসেফ বলেছে, বিশ্বজুড়ে বাসায় বসে পড়াশোনা এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্কুল বন্ধ থাকায় কমপক্ষে ৮ কোটি শিক্ষার্থীর বাসায় বসে পড়াশোনা করার প্রয়োজনীয় সুবিধা নেই। উগান্ডায় স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে ৩০৬ দিন ধরে। সেখানে শতকরা মাত্র ০.৩ ভাগ বাড়িতে আছে ইন্টারনেট সংযোগ। 

অনলাইন ডেস্ক।।

দেশজুড়ে বর্তমানে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এর মধ্যেই প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
এমতাবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি ৭টি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। বুধবার রাতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হল-
১। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এর আশেপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে (প্রতিষ্ঠানের ছাদ, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব, বাগান, নালা, পানির ট্যাপের আশেপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, টায়ার ইত্যাদি) সেসব জায়গা চিহ্নিত করে এক দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।
২। অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে, যাতে পানি না জমে।
৩। হাই-কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে, লো-কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
৪। কোনও জায়গায় জমা পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
৫। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে।
৬। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সাথে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৭। ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অনলাইন ডেস্ক।।  

দেশে করোনার চলমান ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ এবং মৃত্যুর কারণে তাদের টিকার প্রতি আস্থা বেড়েছে অনেকটাই। সেকারণেই নিবন্ধন চালু হওয়ার পর গত ২০ দিনে ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ১০৩ জন নিবন্ধন করেছেন। আর মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৭ জন। তার আগে গত ২ জুলাই থেকে শুরু হয় বিদেশগামী কর্মীদের টিকার জন্য নিবন্ধন। ৩ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বিদেশগামী নিবন্ধিত হয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২ মে’র পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় টিকার নিবন্ধন। সেই সময় ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জনেই থেমে থাকে নিবন্ধন। ৩ জুলাই থেকে নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেদিন পর্যন্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করেন ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩৫ জন। অর্থাৎ, একদিনে নিবন্ধন করেন ২৮ হাজার ৯০৬ জন। সবার জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত হয় গত ৭ জুলাই।
ওই দিন স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনার টিকা প্রাপ্তির জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। যদিও পরে বয়সসীমা আরও কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন ৩৫ বছরের ব্যক্তিরাও নিবন্ধন করতে পারছেন। এখন থেকে ৩৫ বা তার বেশি বয়সী সবাই করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। যারা আগে নিবন্ধন করবেন তাদেরকে আগে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩ জুলাই থেকে নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে মূলত বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধনের কারণে। তখনও সবার জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হয়নি। বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধন পাসপোর্টের মাধ্যমে শুরু হয় ৫ জুলাই থেকে। ৭ জুলাই থেকে নিবন্ধন উন্মুক্ত করার পর এক ধাক্কায় ৬ লাখ ২৪ হাজার ৬২৮ জন মানুষ নিবন্ধন করেন। গত ২০ দিনের হিসাবে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ নিবন্ধন করছেন।
এদিকে গত ১৯ জুলাই থেকে টিকা নেওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স কমিয়ে করা হয় ৩০ বছর। বয়স কমিয়ে আনার পর এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ২০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৫ জন। আর গত ১৫ জুলাই টিকা নিবন্ধনকারীর সংখ্যা মোট ১ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলে। টিকার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হয় এনআইডি নম্বর কিংবা বিদেশগামী কর্মী বা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট। তবে এনআইডি যাদের নেই, তাদের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নিয়ে ভাবছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ৫০ এর বেশি যাদের বয়স, সেসব রোগী হাসপাতালে বেশি এবং তারা টিকাও নেননি। এই বয়সীরা অগ্রাধিকার পাবেন টিকার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া যাবে। যাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেই, তাদেরও কীভাবে টিকার আওতায় আনা যায়, সেটা আমরা ভেবে দেখছি।’

অনলাইন ডেস্ক।।

আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও এর আওতাধীন সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে করোনার টিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  পরদিন ১২ আগস্টের মধ্যে টিকা নেওয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।  আদেশে বিভাগীয় উপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসার, সকল পিটিআইয়ের সুপারেনটেনডেন্ট, উপজেলা ও থানা রিসোর্স সেন্টারকে তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, চলমান করোনা ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে করোনার টিকা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে টিকা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এমতাবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকা গ্রহণ করেছেন, তার তালিকা এবং যারা টিকা গ্রহণ করেননি, তাদের তালিকাসহ উভয় তালিকা ১২ আগস্টের মধ্যে অধিদফতরে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হলো।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার নিয়োগ এবং এমপিওভুক্তির আবেদন করায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। মাদরাসাগুলো ভোলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার।
প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও স্থায়ীভাবে বাতিল, ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ এবং সভাপতি ও সুপারিন্টেনডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের কেন করা হবে না তার ব্যাখ্যাসহ কারণ জানতে চেয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা অধিদপ্তরে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব দাখিল মাদরাসার এমপিও স্থগিত করা হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর চরমানিকা লতিফিয়া দাখিল মাদরাসা, আমিনাবাদ হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসা, দক্ষিণ আছলামপুর মোবারক আলী দাখিল মাদরাসা, ভোলার লালমোহন উপজেলার কুন্ডের হাওলা রশিদিয়া দাখিল মাদরাসা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার।
সোমবার (২৬ জুলাই) স্বাক্ষরিত অধিদপ্তরের অফিস আদেশটি মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত হয়।
আলাদা আদেশে জানা গেছে, ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার উত্তর চরমানিকা লতিফিয়া দাখিল মাদরাসায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন করে সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার পদে অবৈধভাবে নিয়োগ এবং বেআইনিভাবে চলতি জুলাই মাসে তাদের এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদন সাবমিট করা হয়।

করোনার ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ডে গ্রন্থাগারিক, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া নিয়োগ করা হয়।  ওই নির্বাচনি বোর্ড ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে দেখানো হয় ঢাকার সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপককে দেখানো হয়। কিন্তু মহাপরিচালকের মনোনীত প্রতিনিধি ছিলেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক শহীদ লতিফ। শুধু তাই নয় ডিজির প্রতিনিধি যাকে দেখানো হয়েছে তাকেও নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ডে ডাকা হয়নি।
একই ধরনের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় অন্য মাদরাসা চারটিতেও। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আমিনাবাদ হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসায় ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট একই জালিয়াতি করে সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে চলতি জুলাই মাসে অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন সাবমিট করা হয়।
দক্ষিণ আছলামপুর মোবারক আলী দাখিল মাদরাসায় ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে চলতি জুলাই মাসে অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন সাবমিট করা হয়।
ভোলার লালমোহন উপজেলার কুন্ডের হাওলা রশিদিয়া দাখিল মাদরাসায় ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে চলতি জুলাই মাসে অনলাইনে এমপিও আবেদন সাবমিট করা হয়। দক্ষিণ আছলামপুর মোবারক আলী দাখিল মাদরাসায় ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে চলতি জুলাই মাসে অনলাইনে।
আদেশ সূত্রে জানা গেছে, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে জালিয়াতি করে নিয়োগ এবং অনলাইনে এমপিওভুক্তি আবেদন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা সাবমিট করেন।

অনলাইন ডেস্ক :

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তির নাম ডিজিটাল শক্তি। শিশুদের শিক্ষা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের জন্য এটি অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির জন্য শৈশব থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং ও গণিতশিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী হিসেবে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে না পারলে তারা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না।

বুধবার সচিবালয়ে থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজিত হ্যাকাথন উৎসব ২০২১-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী। তারাই ডিজিটাল যুগের নেতৃত্ব দেবে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা রোবট বানাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটছে। এখন ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) যুগে প্রবেশ করেছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তিও এখন সময়ের ব্যাপার, যা দিয়ে অপারেটর ছাড়াই কথা বলা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম এই ডিজিটাল যুগে বসবাস করবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে শিক্ষায় আমূল রূপান্তর হয়েছে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে এই প্রজন্মকে গড়ে তোলার সময় এসেছে। তিনি কাগজের বইয়ের চেয়ে ডিজিটাল পাঠ্যক্রম অত্যন্ত কার্যকর উপায় বলে উল্লেখ করেন।

স্কুলের চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রেজাউল করিম।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram