সোমবার, ৬ই মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক।।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তা হলো পুলিশকে জানানো। দ্রুত কাছের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। এই জিডি আপনাকে যেকোনো ঝামেলা এড়াতে আইনি সুরক্ষা দেবে।
১। পাসওয়ার্ড রক্ষা করতে হবে-
কখনও পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না।
এমন পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন যা অনুমান করা কঠিন। কখনই নিজের নাম বা সাধারণ শব্দ পাসওয়ার্ড এ ব্যবহার করা উচিত না।
২। অন্য কেউ যেন আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগ ইন করতে না পারে তাই অতিরিক্ত নিরাপত্তা (Login Approvals) ব্যবহার করতে পারেন। এই জন্য ফেসবুকের Two step verification পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
৩। ই-মেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে হবে।
৪। ব্যবহার শেষে ফেসবুক একাউন্ট থেকে অবশ্যই লগ আউট করতে হবে।
৫। নিউজ ফিডে অথবা মেসেঞ্জারে সন্দেহজনক কোন লিঙ্ক দেখলে সাথে সাথে রিমুভ করে দিতে হবে।
৬। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিকল্প ই-মেইল আইডি যুক্ত করুন। যদি আপনার প্রোফাইল কোন কারণে হ্যাকও হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ফেসবুক আপনার দ্বিতীয় ইমেইলে আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য তথ্য পাঠাবে।
৭। অপরিচিত কারোর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার আগে তার প্রোফাইল চেক করে নিতে হবে।
৮। একেবারে ব্যক্তিগত কোন ছবি, তথ্য(ফোন নাম্বার, ঠিকানা, ই-মেইল এড্রেস ইত্যাদি) ফেসবুকে শেয়ার করা উচিত না।
৯। আপনার পোস্ট কারা দেখতে পারবে তা সতর্ক ভাবে নির্বাচন করতে হবে।
১০। পাবলিক কম্পিউটারে (সাইবার ক্যাফে, ল্যাব ইত্যাদি) ফেসবুক ব্যবহার না করাই ভাল। তবে ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারের পর লগ ইন হিস্টোরি মুছে দিতে হবে।
ভূক্তভোগীর করণীয় :
১। ফেসবুক হ্যাকের মাধ্যমে হয়রানি কিংবা বিড়ম্বনার শিকার হলে কালক্ষেপণ না করে নিকটস্ত থানা পুলিশকে অবহিত করুন এবং জিডি অথবা মামলা করুন।
২। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে  অভিযোগ করুন। ইমেইলে জানাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়। অথবা সরাসরি হেল্পডেস্কে কথা বলতে পারেন।

অনলাইন ডেস্ক।।

আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার দীর্ঘ ১৯ মাস পর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন হবে সীমিত আকারে। চলবে দুই সপ্তাহ ধরে। শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন। আর ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনগুলো চলবে। আশা করা হচ্ছে, এ অধিবেশনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আরও অনেক দেশের রাষ্ট্র এবং সরকারপ্রধানরা এবার সশরীরে অধিবেশনে যোগ দেবেন।
তিনি আরও জানান,অন্যান্য বারের মতো এবার কোনো সাইড ইভেন্ট জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভেতরে হবে না। তবে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। একটি পরমাণু শক্তি নিয়ে এবং অন্যটি বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে। এ কারণে জাতিসংঘ এবারের অধিবেশনে খুব কম সংখ্যক লোকজন নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এবারের সফরে নিউইয়র্কে স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি সাক্ষাতের সম্ভাবনা নেই।

অনলাইন ডেস্ক।।

করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে স্কুলভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠন, শিশুদের ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসাসহ শিক্ষকদের বেতন আরও বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের আরও মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন। টুইটে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বিশ্বজুড়ে স্কুল শিক্ষা সংকট দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই বর্তমানে এই সমস্যার ভূক্তভোগী। মহামারির কারণে বিশ্বের ১৫ কোটি ৬০ লাখ স্কুলগামী শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ সম্ভবত আর কখনও স্কুলে ফিরবে না।মহামারি থেকে উত্তরণ কার্যকর করতে হলে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পুনর্গঠনে মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষকদের বেতন আরও বাড়ানো উচিত এবং বিশ্বজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক শিশু যেন ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় আসতে পারে- তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে তিনি জানান।
এর আগে গত ১২ই জুলাই এক বিবৃতিতে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘের দুই সংস্থা ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো।

অনলাইন ডেস্ক।।

২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাত বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট সংশোধন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি)। এর মধ্যে চারটি অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম সংশোধিত হয়েছে।

এছাড়া আরো দুটি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টে কিছু অংশ নতুন করে যুক্ত হয়েছে। একই সাথে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের প্রথম অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্ট পরিবর্তিত হয়েছে।

রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর থেকে এসব তথ্য জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই প্রথম পর্যায়ে তিন সপ্তাহের ছয়টি অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করে মাউশি। কিন্তু জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংশোধন করা হয়েছে। পরিবর্তিত অ্যাসাইনমেন্টটি আবারো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে বলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

জানা গেছে, পদার্থবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম সংশোধন করে করা হয়েছে ‘সরল যন্ত্র ও তার ব্যবহার’। পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘গতি ও এর রাশিমালা’।

হিসাববিজ্ঞান ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম পরিবর্তন করা হয়েছে ‘সাধারণ জাবেদার ধারণা ও গুরুত্ব’। আর উচ্চতর গণিতের একাদশ অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম বদলে করা হয়েছে ‘স্থানাঙ্ক জ্যামিতির মাধ্যমে বহুভুজ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান’।

আর রসায়ন তৃতীয় অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্ট কলামের শুরুতে ‘বিভিন্ন (চারটি) মৌলের নিউট্রন সংখ্যা, বোর মডেল অনুসারে পরমাণুর গঠনের চিত্র, শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস এবং উপশক্তিস্তরে (অরবিটালসমূহে) ইলেকট্রন বিন্যাস’ অংশটি যুক্ত হয়েছে।

রসায়ন চতুর্থ অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্টের শুরুর ‘মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের আলোকে পর্যায় সারণিতে অবস্থান, তুলনামূলক আয়নীকরণ এবং মৌল সংশ্লিষ্ট গ্রুপ বা শ্রেণী বৈশিষ্ট্য’ অংশটি যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের প্রথম অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্ট পুরো পরিবর্তন করা হয়েছে।

এর আগে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা ২০২২-এর পরীক্ষার্থীদের জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলোকে অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন নির্দেশনার মনিটরিং কার্যক্রম স্থগিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

অনলাইন ডেস্ক।।

পদ্মা সেতুর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি (ব্যয়) ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।
আগামী ১১ মাসের মধ্যে মূল সেতুর বাকি কাজ সম্পন্ন করতে হবে প্রায় ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা দিয়ে। মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩০ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতুর অগ্রগতির বিষয়ে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৯৭২ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার বাস্তব কাজের অগ্রগতি শতভাগ। এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৪৯৯ দশমিক ৫১ কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ ৪ হাজার ৩৪২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা। পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট, আয়কর, যানবাহন, বেতন, ভাতাদিসহ অন্যান্য খাতে খরচ ২ হাজার ৮৮৫ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা। আর সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন, ও পরিবেশ খাত এবং পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট, আয়কর, যানবাহন, বেতন, ভাতাদিসহ অন্যান্যসহ এসব খাতে ৭ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, মূল সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ২ হাজার ৮৩১ টি স্থাপন হয়েছে। রেলস্ল্যাব ২ হাজার ৯৫৯টি বসানো শেষ। সেতুতে ১২ হাজার ৩৯০টি প্যারাপেট দেয়ালের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৬ টি বসানো হয়েছে।
প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৫ হাজার ৪৯০ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

অনলাইন ডেস্ক।।

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতার হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু এই হত্যার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রের বিচার হয়নি। এই ষড়যন্ত্রের রহস্য নিশ্চয়ই একদিন উন্মোচিত হবে।’
রবিবার (১ আগস্ট) শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোশতাক-জিয়ার যে সখ্যতা, সেটাই ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের বড় প্রমাণ।

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের সম্মতি এবং সহযোগিতা ছাড়া এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করা সম্ভব ছিলো না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জিয়া খুনীদের পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। তাদের কূটনীতিক চাকরী দিয়েছিল।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তবে আমার অবাক লাগে আমাদের দলের অনেকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলো।’
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি চক্র বাংলাদেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ পরিবর্তন করে ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ করতে চেয়েছিল। এ সংক্রান্ত একটি খসড়াও তারা তৈরি করেছিল। যদিও এটা টেকাতে পারেনি। মানুষ তা মেনে নেয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, ওইদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়েছে। এ দেশের বিজয়কে নস্যাৎ করা এবং একটি জাতির মর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেন, জাতির জনকের পরিবারের কেউ যেনো আর এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে না পারে সেজন্য পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যা করা হয় ১৫ আগস্ট। উদ্দেশ্য ছিল একটাই- বাংলাদেশের বিজয়কে হত্যা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যার বিচার করেছি, কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা সেটা এখনও উদ্‌ঘাটন হয়নি। সেটা একদিন উদ্‌ঘাটন হবে।
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিলেন বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ফারুক-রশিদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছে সেখানে তারা বলেছে, জিয়াউর রহমান‑ যে উপ-সামরিক প্রধান ছিল‑ তার সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল, সম্পর্ক ছিল যে সফল হতে পারলে তাদের সমর্থন দেবে, সঙ্গে থাকবে। মোশতাক-জিয়ার যে সখ্য ও তাদের যে সম্পর্ক এটা তো পরিষ্কার। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ সে আদর্শ থেকে কিন্তু বাংলাদেশ বিচ্যুত হয়ে যায়।
সরকার প্রধান বলেন, জিয়ার পথ ধরে জেনারেল এরশাদ এই খুনিদের রাজনীতি করার অধিকার দেয়। তাদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতা বানান। ৯৬ সালে আমরা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসি তখন এই বিচারের রায়ের দিন খালেদা জিয়া হরতাল দেয়। যাতে বিচারক আদালতে আসতে না পারে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই খুনিদেরকে আবার পৃষ্ঠপোষকতা করে। কাজেই দেশের ভেতরে এই ধরণের কর্মকাণ্ড তো প্রমাণ করে‑ ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী তারাই কিন্তু ক্ষমতাটা দখল করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, যিনি এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। হত্যা করা হয় আমার মা, যিনি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। শুধু সংসার চালাননি পর্দার অন্তরালে থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।

অনলাইন ডেস্ক।।

করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তাদের। ভ্যাকসিন নিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সব প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (১ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা অফিসের প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।  শিক্ষকদের অনলাইন ও ভার্চুয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব দপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা প্রদান করবেন।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, সব শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে পাঠিয়ে সব স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
উপসচিব নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ভ্যাকসিন গ্রহণ ও অন্যদের টিকা গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে এসব দায়িত্ব পালন করতে বলা হলো।

অনলাইন ডেস্ক।।

দড়ি লাফে জোড়া বিশ্বরেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম লেখিয়েছেন বাংলাদেশের রাসেল ইসলাম।১৮ বছর বয়সি রাসেলের নাম গিনেস বুকে উঠেছে শুনে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই তাকে দেখতে ছুটে আসছেন। সম্প্রতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদপত্র পৌঁছেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতী সন্তান রাসেলের হাতে।
জানা গেছে, দড়ি লাফের ওপর দুটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ২০১৯ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেন রাসেল। একটি ৩০ সেকেন্ডে এক পায়ে কতবার লাফাতে পারেন তিনি। অন্যটি ১ মিনিটে এক পায়ের। দুটিতেই নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন রাসেল। এর আগে এক পায়ে ৩০ সেকেন্ডে ১৪৪ বার লাফানোর রেকর্ড ভেঙে রাসেল করেন ১৪৫ বার। আর ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৮ বার লাফিয়ে এর আগে ২৫৬ বার লাফানোর বিশ্বরেকর্ডটিও ভেঙে দেন রাসেল।
রাসেলের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের সিরজাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম বজলুর রহমান। শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করছেন রাসেল।
রাসেলের এই কীর্তির বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, তার কারণে দেশ-বিদেশে আমাদের গ্রামের নাম প্রচারিত হচ্ছে। অন্যান্য জেলা থেকেও লোকজন আমাদের গ্রামে আসছে।এটা আমাদের গ্রামের জন্য খুবই আনন্দের।

অনলাইন ডেস্ক।।

১০৯ ধরনের পদে ৬২৮ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১ তম হতে ২০ তম গ্রেডের পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৫৮৩ জন। আর বিশেষ আর্মি অর্ডার ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগ পাবেন ৪৫ জন।
আবেদনের যোগ্যতা ভিন্ন ভিন্ন পদের জন্য ভিন্ন রকম। কার্পেন্টার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ইএন্ডবিআর, শ্রমিক, পেইন্টার, মালি, ইউএসএম এবং ধোপা হিসেবে পঞ্চম শ্রেণি পাসেই নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদগুলোতে বেতন স্কেল ৮ হাজার ২৫০ থেকে ২০ হাজার ১০ টাকা। বাবুর্চি, সহকারী বাবুর্চি, বার্তাবাহক, ব্ল্যাক স্মিথ, নিরাপত্তাপ্রহরী, টিন স্মিথ, ফায়ারক্রু ও অফিস সহায়ক পদে অষ্টম শ্রেণি পাসে আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন।
যোগ্যতা পূরণসাপেক্ষে আবেদনে আগ্রহীদের বয়স শনিবার ৩১ আগস্ট, ২০২১ তারিখে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। আবেদনের শেষ সময় ৩১ আগস্ট।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ৩১ আগস্ট আবেদনের সময়সীমা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্তরা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে কাজের সুযোগ পাবেন।
বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন সেনানিবাসে আবেদন করতে হবে। তবে সেনাসদর দপ্তরে আবেদনপত্র পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য দালাল বা প্রতারক থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যদি নিয়োগের জন্য টাকা লেনদেনের প্রস্তাব দেয়, তাঁকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সোপর্দ করতে বলা হয়েছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

অনলাইন ডেস্ক।।

শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ। এই মাসে প্রতিবছর ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করলেও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এবার সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
মাসব্যাপী আগস্টের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে
১. পাঁচ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল সোয়া ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন।
২. ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন।
৩. ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সোয়া ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা নিবেদন। এদিন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
৪. ১৬ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৫. ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
৬. ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকেল সাড়ে ৩টায় ঘরোয়াভাবে আলোচনা সভা।
৭. ২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও শোকের মাসে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মোঃ জিয়াউর রহমান:

বিশ্বের ৩০টি দেশের শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত প্লাটফর্ম " ওয়ার্ল্ড এডুকেটরস কমিউনিটি" কর্তৃক আয়োজিত " শ্রেণিকক্ষে Flipgrid এর ব্যবহার " বিষয়ক ভার্চ্যুয়াল কর্মশালা গত রাত ৮ ঘটিকা সময় মাইক্রোসফট টিমে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এডুকেটরস শিক্ষকবৃন্দ।

উক্ত কর্মশালায় গেষ্ট স্পীকার হিসাবে যুক্ত ছিলেন Anna Dyagileva Tkachuk, Flipgrid Student Voice Ambassador & MIE Expert, রাশিয়া। Ahmed Elnagar, Flipgrid Student Voice Ambassador & MIE Expert, মিশর এবং Hana Belkahia, Flipgrid Student Voice Ambassador & MIE Expert তিউনিসিয়া।

কীভাবে আমরা খুব সহজেই শ্রেণিকক্ষে Flipgrid এর ব্যবহার করতে পারি, এ বিষয়ে তারা একটি চমৎকার সেশন আমাদেরকে উপহার দেন।

আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি জনাব সামসুদ্দিন আহমেদ তালুকদার, টিচার এডুকেটর, কুমিল্লা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কুমিল্লা এবং জনাব রফিকুল ইসলাম তালুকদার, টিচার্স এডুকেটর, ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
উক্ত সেশনটি উপস্থাপনায় ছিলেন Abdus Salam & Raihana Haque, Flipgrid Student Voice Ambassador & MIE Expert,
বাংলাদেশ।

উক্ত সেশনে যুক্ত হওয়ার জন্য সকল শিক্ষকবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ভার্চ্যুয়াল ওয়েবনারটি আয়োজনে ছিলেনঃ ওয়ার্ল্ড এডুকেটরস কমিউনিটি।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকবৃন্দের দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তির ফলপ্রসূ ব্যবহার সম্পর্কিত পরিচালিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকদের প্রত্যাশা।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষকবৃন্দ আয়োজক কমিউনিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

দেহঘড়ি ডেস্ক :

করোনাভাইরাস মহামারিতে যারা ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের অনেকেই শারীরিক ও মানসিক জটিলতায় ভুগছেন। সময় পরিক্রমায় ভাইরাসটি নিজের পরিবর্তন ঘটিয়ে আরো শক্তিশালী হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে সংক্রমণের জটিলতাও। একটা বিষয় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পরও (টেস্টে নেগেটিভ আসার পর) কিছু উপসর্গ দীর্ঘসময় থেকে যাচ্ছে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ বা মাসের পর মাস বিরাজমান এসব উপসর্গকে চিকিৎসকেরা লং কোভিড বলে থাকেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রত্যেকেরই যে লং কোভিড হচ্ছে তা নয়, ১০ থেকে ৩০ শতাংশ এমন পরিণতিতে ভুগছেন।সাধারণত মৃদু কোভিড-১৯ এর উপসর্গ ১-২ বা ৩ সপ্তাহের মধ্যে দূর হয়ে যায়, কিন্তু তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে। বিএমজে ডটকমের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ জনিত উপসর্গ ৩ সপ্তাহের বেশি লেগে থাকলে তাকে লং কোভিড বলা যাবে। উপসর্গের স্থায়িত্ব ৩ থেকে ১২ সপ্তাহ হলে তাকে অ্যাকিউ লং কোভিড এবং ১২ সপ্তাহ পার হয়ে গেলে তাকে ক্রনিক লং কোভিড বলা হয়। অন্য গবেষকরা কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দুই মাসের বেশি ভোগালে তাকে লং কোভিড বলছেন। তবে আরো বিস্তৃত গবেষণার আলোকে লং কোভিডের সময়ের পরিসর পরিবর্তন হতে পারে।

* লং কোভিডের উপসর্গ

কোনো কোভিড রোগীর করোনা টেস্টে নেগেটিভ আসার পর উপসর্গের স্থায়িত্ব ৩ সপ্তাহের বেশি হলে ধরে নেয়া যায় তিনি একজন লং হলার, অর্থাৎ লং কোভিডে ভুগছেন। তবে যারা করোনাভাইরাসের তীব্র সংক্রমণে ভুগেছেন তাদের উপসর্গ ৬ থেকে দুই মাস থাকতে পারে, এরপরও দূর না হলে এটাকে লং কোভিড মনে করতে হবে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের অন্তর্গত থেরাপিস ফর লং কোভিডের (টিএলসি) গবেষক দল লং কোভিড বিষয়ক ২৭টি গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করেন। মূলত লং কোভিড বা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার প্রচলিত উপসর্গ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় জানতে এ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।গবেষক দলটি জানান- ক্লান্তি বা দুর্বলতা, শ্বাসপ্রশ্বাসে কাঠিন্যতা, পেশি ব্যথা, জয়েন্ট ব্যথা, মাথাব্যথা এবং স্বাদ ও ঘ্রাণের পরিবর্তন হলো সবচেয়ে প্রচলিত উপসর্গ। এছাড়া লং হলাররা ঘুম, মনোযোগ ও স্মৃতি সংক্রান্ত সমস্যায়ও বেশি ভুগেন।

* যাদের লং কোভিডের ঝুঁকি বেশি

টিএলসি'র গবেষকরা আরো জানান, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বা অক্সিজেন সাপোর্ট লেগেছে তাদের লং কোভিডের ঝুঁকি বেশি। আরেকটি গবেষণামতে, যেসব কোভিড রোগীর পাঁচটির বেশি উপসর্গ আছে তাদেরও লং কোভিড বা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া বার্ধক্যে উপনীত ব্যক্তি, নারী ও অন্যকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত লোকদেরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ জনিত দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার ঝুঁকি বেশি।

* করোনার টিকা লং কোভিডের ঝুঁকি কমায়?

করোনার টিকা নিলেই শরীরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ ইমিউনিটি অর্জিত হয় না। কিন্তু এটি গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে পারে। একারণে টিকা নেওয়ার পরও যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি, আইসিইউ বা অক্সিজেন সাপোর্ট ও মৃত্যুর হার কম। টিকায় অর্জিত ইমিউনিটি বা অ্যান্টিবডি সংক্রমণকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে এমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে। সারাংশ হলো, টিকা নিলে করোনাভাইরাস থেকে কিছু না কিছু সুরক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু টিকা গ্রহণ করলেই যে লং কোভিড এড়ানো যাবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। লং কোভিড প্রতিরোধে করোনার টিকা কতটা কার্যকর তা সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। তবে আমরা এটা ধরে নিতে পারি যে- যেহেতু টিকায় কোভিড-১৯ দুর্বল হচ্ছে, তাই লং কোভিডের ঝুঁকিও কমবে।

* করোনা টেস্টে নেগেটিভ আসলে করণীয়

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর করোনা টেস্টে নেগেটিভ আসার মানে এটা নয় যে ,আপনি পুরোপুরি জিতেছেন। না, আপনি ভাইরাসটির বিরুদ্ধ অর্ধেক জিতেছেন। আপনার এখনও লং কোভিড বা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার ঝুঁকি রয়েছে।এখনও আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকার ওপর থাকতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে। দুর্বলতার কারণে শরীরচর্চায় অনীহা চলে আসতে পারে, কিন্তু নিষ্ক্রিয় বসে থাকবেন না। যতটুকু পারেন, শরীরচর্চা করেন। যেসব খাবার খেলে দুর্বলতা কমে তা খাদ্যতালিকায় রাখুন। বিচিত্র রঙের ফল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রচুর পানি পান করতে হবে।মনের অস্থিরতা কমিয়ে ফেলুন। উপসর্গকে নজরদারিতে রাখুন, শোচনীয় হচ্ছে মনে হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram