শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪

ঢাকাঃ ওমানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী মাত্রার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সালালাসহ ধোফারের উপকূলীয় অঞ্চল এমনকি মরু অঞ্চলেও বৃষ্টি এবং বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া আল বুরাইমি, মুসান্দাম, ধাহিরা, আল দাখিলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আল বাতিনাহ, মাস্কাট, উত্তর ও দক্ষিণ আল শারকিয়্যাহ এবং আল উস্তায় ব্যাপক মাত্রার বর্ষণে কৃত্রিম প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে, বৃষ্টি এবং পরবর্তী বন্যার আশঙ্কায় জরুরি নির্দেশনা জারি করে ওমানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রাখে দেশটির সরকার।

আর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলাচলও স্থগিত করে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা মোয়াসালাত। এই নির্দেশের আওতায় মাস্কাট থেকে জালান বিন বোয়ালি, সুর এবং মাস্কাট থেকে শারজাহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

ভারী বৃষ্টির খবর যেন ওমানে এখন নিয়মিত ঘটনা। এপ্রিল মাসে একাধিকবার ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যার ঘটনার পর মে মাসের শুরুতেই ভারী বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির কবলে পড়ল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সেন্টারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট এই অবস্থা শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ওমানে আগের চেয়ে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

সিলেটঃ এক সপ্তাহ আগে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ডা. সুবীর কুমার শীল। এর মধ্যে তিনি জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হন। আস্তে আস্তে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়। পরে দায়িত্বের টানে জ্বর, কাঁশি আর মাথাব্যথা নিয়ে ওয়ার্ডে রোগী দেখেন।

জানা গেছে, শেষমেশ শরীর নিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না ডা. সুবীর। পরে হাসপাতালের স্টাফ কেবিনে ভর্তি হন নিজে নিজেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্টে ধরা পড়ে ডা. সুবীরের টাইফয়েড জ্বর হয়েছে। কমপক্ষে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকতে হবে এবং থাকতে হবে পরিপূর্ণ বিশ্রামে। ১০ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ হাসপাতালে যত কম সময় থাকবেন নসোকমিয়াল ইনফেকশনের ঝুঁকি তত কম হবে।

আরও জানা গেছে, এমতাবস্থায় বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডা. সুবীর। কিন্তু হাসপাতালে রোগীরা তো আর বসে নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষাও থেমে নেই। নিয়মিত চালাতে হয় হাসপাতালে রোগী ভর্তির কার্যক্রম, অবিরত চিকিৎসা দিতে হয় রোগীদের।

গত ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস সরকারি ছুটির দিন হাসপতালে এডমিশন ডিউটি পড়ে ডা. সুবীরের। তাঁর কি আর করার, হাতে ক্যানুলা আর পরনে অ্যাপ্রোন নিয়ে চলে আসেন হাসপাতালের ওয়ার্ডে। একের পর এক রোগীর চিকিৎসাপত্র লিখে দেন তিনি। ডা. সুবীর নিজে অসুস্থতা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে আরও মাস খানেক। তারপরও দায়িত্বের টানে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের।

ডা. সুবীরের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ‘এভাবেই হাজারও চিকিৎসক নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

সিলেটঃ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

গাজীপুরঃ জেলার জয়দেবপুর স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেন—কমিউটার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ট্রেনের চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের কাছে কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবু হানিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিনি জানান, সংঘর্ষের ফলে যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেনটির পাঁচটি বগি ও তেলবাহী ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ঢাকাগামী টাঙ্গাইল কমিউটার এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেনের চালকসহ তিনজন আহত হন। তাদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনটি দাঁড়ানো ছিল। বিপরীত দিক টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল কমিউটারর ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় তেলবাহী ট্রেনের সামনে সরাসরি আঘাত করে। এতে বিকট শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর রেলওয়ে এবং সদর মেট্রো থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ কম্পিউটার সায়েন্সে বাংলাদেশের সেরা গবেষক নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার।

সম্প্রতি রিসার্চ ডটকম জার্নাল প্রকাশিত তালিকায় কম্পিউটার সায়েন্সে বাংলাদেশের সেরা গবেষক নির্বাচিত হন তিনি।

জার্নালটির তথ্যমতে, ড. শামীম কায়সারের কম্পিউটার সায়েন্সে সাইটেশনের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪১। যা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এ ঘটনায় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এক অভিনন্দন বার্তায় উপাচার্য বলেন, ড. শামীম কায়সার বাংলাদেশের সেরা গবেষক নির্বাচিত হওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের। এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সুনাম বৃদ্ধি করেছে।

উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ড. শামীম কায়সার দেশবিদেশে আরো সম্মানে ভূষিত হবেন। তিনি ড. শামীম কায়সারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

ঢাবিঃ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ, প্রযুক্তি ইউনিট এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে নির্ধারিত তথ্য প্রদান সাপেক্ষে সংগ্রহ করা যাচ্ছে। এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ঐ প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাবে।

আগামী ১০ মে ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, প্রযুক্তি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ মে এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ২১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলে চলতি শিক্ষাবর্ষের এই আবেদন।

উল্লেখ্য, ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর কলেজগুলো হলো, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

অন্যদিকে প্রযুক্তি ইউনিট অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভেতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রযুক্তি ইউনিটের অধীনে ৬টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট। ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মধ্যে ৩টি সরকারি কলেজ এবং ১টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং টেক্সটাইল রিলেটেড ২টি বেসরকারি কলেজ।

এছাড়া গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে একটি সরকারি কলেজ ও বাকি পাঁচটি বেসরকারি কলেজ রয়েছে। ঢাবি অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ক কলেজগুলো হলো, গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স, বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্স কলেজ, ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিক্স এবং বরিশাল হোম ইকোনমিক্স কলেজ।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা ও তথ্য https://collegeadmission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার ৪৮ ঘণ্টা পূর্ব থেকে বিস্তারিত আসনবিন্যাস ওয়েবসাইটে তা দেখতে পারবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

বশেমুরবিপ্রবিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম।

বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর- ২৩ (০৫) ধারার আলোকে নিয়োগকৃত কৃষি অনুষদের ডিন ড. মো. নাজমুল হক অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অধিক মনোযোগ দেওয়ার নিমিত্তে কৃষি অনুষদের ডিন এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাওয়ায় তদস্থলে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলমকে কৃষি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব অর্পণ করা হলো। তার এ দায়িত্ব পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজোল্যুশন (প্রস্তাবনা) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজোল্যুশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে এটি উত্থাপন করেন। শুক্রবার (৩ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

স্থায়ী মিশন বলছে, চলতি বছর আলোচ্য রেজোল্যুশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজোল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান রয়েছে এতে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

প্রস্তাবনাটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।

এবারের রেজোল্যুশনে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্‌যাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া এ রেজোল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

রেজোল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেয়। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানায়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে যথার্থ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সামাজিক রূপান্তরের ইতিহাসকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

এছাড়া, ডিজিটালাইজেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনে নতুন বিভাগ খোলা ও কারিকুলাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইউজিসি আয়োজিত উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সামাজিক রূপান্তর এবং সহযোগিতা বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় জার্মানির বাউহাউস ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. আলরিক কাচ, ইউনিভার্সিটির চেয়ার অব রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রফেসর ড. এখারড ক্রাফট, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড.বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ কমিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, সামাজিক রূপান্তরে সমাজের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার মতো বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাখাতেও ডিজিটালাইজেশন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেজ্ঞ মোকাবিলায় আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন বিষয় প্রবর্তনসহ কারিকুলামে পরিবর্তন আনছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন জনমিতিক সুবিধার কাল অতিক্রম করছে। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক বেশি। বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা জরুরি।

বাউহাউস ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. আলরিক কাচ তার বক্তব্যে সমাজের ইতিহাস, রাজনীতি, ইকোলজি, অর্থনীতি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করাকে উচ্চশিক্ষাখাতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এগুলো সামাজিক রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উল্লেখ করে তিনি সমাজ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে জানান।

বাউহাউস ইউনিভার্সিটির চেয়ার অব রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রফেসর ড. এখারড ক্রাফট বলেন, বাংলাদেশে বাউহাউস ইউনিভার্সিটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মোংলা পোর্ট, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।

তিনি তার বক্তব্যে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নের একটি চিত্র তুলে ধরেন।

সভায় বক্তারা জানান, বিশ্বের সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিস্তার নিশ্চিত করতে বিশ্বের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কারিকুলাম পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। উচ্চশিক্ষা খাতে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স এবং অ্যাক্রিডিটেশন ব্যাপকভাবে প্রধান্য পাচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রে যথার্থ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সামাজিক রূপান্তরের ইতিহাসকে গুরুত্ব দিতে হবে।

এছাড়া, সভায় বাউহাউস ইউনিভার্সিটিকে ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং বায়ো ম্যাটেরিয়ালসের উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন। এরপর ওই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে নিজের চোখ পরীক্ষা করান তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এর উপাচার্য ও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক সঙ্গে ছিলেন।

সরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখ দেখানোর ঘটনায় উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। এতে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীও। এর মধ্যেই মায়মুনা ইসলাম নূহা নামে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ৩৬ একর জায়গাজুড়ে মূল ক্যাম্পাসের চারপাশে এখন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি। বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তবে ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি চলছে ক্লাস ও পরীক্ষাও। গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীও। এরইমধ্যে আন্দোলনের শুরুতে প্রতিবাদকারী বাংলাদেশি ছাত্রী মায়মুনা ইসলাম নূহাকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবুও থেমে নেই আন্দোলন।

শুধু কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় এখন ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল। দিন দিন নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে আন্দোলন। কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছে শিক্ষার্থীদের। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে।

যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজারো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন অন্তত ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মোবাইর ফোনে ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩৫ দিন করল গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য মূল্যের রিচার্জের ক্ষেত্রেও মেয়াদ বাড়িয়েছে অপারেটরটি। ৩০ থেকে ৪৯ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ বর্তমানে ৩৫ দিন, যা আগে ছিল ১৫ দিন। ৫০ থেকে ১৪৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন এবং ১৫০ থেকে ২৯৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে। ২৯৯ টাকার বেশি যে কোনো রিচার্জের মেয়াদ হবে ৩৯৫ দিন।

সব প্রিপেইড গ্রাহক ইলেকট্রনিক রিচার্জ সিস্টেম (ইআরএস), মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং অনলাইন রিচার্জের মাধ্যমে অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। রিচার্জের মেয়াদকাল রিচার্জের দিন থেকে শুরু হবে।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিবের ভাষ্য, ‘গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত সহজ ও সুবিধাজনক অফার প্রদানের চেষ্টা করছে গ্রামীণফোন।’

তিনি বলেন, গ্রাহকরা যেন সংযুক্ত থাকতে পারেন এবং তাদের আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা থাকে। এজন্য বর্ধিত মেয়াদের নতুন অফারগুলো চালু করা হলো। এই অফার চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram