শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছ ভর্তিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৭ এপ্রিল থেকে। এ পরীক্ষার জন্য প্রতিবন্ধী কোটায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের শ্রুতলেখক নির্ধারণের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। নিজ নিজ পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ২৫ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্য শ্রুতলেখক নির্ধারণ করা হবে।

গুচ্ছের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী কোটায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে শ্রুতলেখক নির্ধারণের জন্য তাঁদের নিজ নিজ পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ২৫ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্য শ্রুতলেখক নির্ধারণ করা হবে। কোনোভাবেই শিক্ষার্থী নিজে শ্রুতলেখক নির্ধারণ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। যদি কোনো শিক্ষার্থী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আবেদন দাখিল না করেন, তাহলে তাঁকে শ্রুতলেখক ছাড়াই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।’

গুচ্ছ ভর্তিতে এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের পছন্দের পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনপ্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক অনুষদের ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ৯০ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটে ৫৩ হাজার ৮৩২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১৯ হাজার ৭৭০ জন, ‘সি’ ইউনিটে ১৭ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। সংখ্যাটি মোট আবেদনকারীদের প্রায় এক–তৃতীয়াংশ।

ভর্তি পরীক্ষা কবে—

এ ইউনিট—বিজ্ঞান ২৭ এপ্রিল শনিবার

বি ইউনিট—মানবিক ৩ মে শুক্রবার এবং

সি ইউনিট—বাণিজ্য ১০ মে শুক্রবার

এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতাভিত্তিক পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) কোর্সের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। এ কোর্সের জন্য আবেদন শেষ সময় ছিল ২০ এপ্রিল। আবেদনের সময় ২১ দিন বাড়ানো হয়েছে। এ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই। স্নাতক পাস শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর ও আধুনিক ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালু করে তাঁদের দক্ষ উদ্যোক্তা, নির্বাহী কিংবা ব্যবস্থাপক হিসেবে তৈরি করাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ এক বছর (দুই সেমিস্টার) মেয়াদি দক্ষতাভিত্তিক পিজিডি প্রোগ্রামের (তৃতীয় ব্যাচ) ১২টি বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফি ৫০০ টাকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের শেষ তারিখ ১১ মে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমাদানের শেষ তারিখ ১৬ মে।

১২টি বিষয় হচ্ছে—

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দক্ষতাভিত্তিক পিজিডির আওতায় ১২টি বিষয়ে পড়া যাবে। এগুলো হলো ভাষা (ইংরেজি ও আরবি), এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ (শিল্পোদ্যোগ), ডিজিটাল মার্কেটিং, আইসিটি ইন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড বিজনেস, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি), ডেটা অ্যানালিটিকস এবং ফার্মিং টেকনোলজি।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
অনলাইনে আবেদন শেষ: ১১ মে

অনলাইনে ফি জমা শেষ দিন: ১৬ মে

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ: ২৪ থেকে ২৫ মে। (সময় সকাল ১০টা)

ভর্তির জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ: ২ জুন ২০২৪

পে স্লিপ ডাউনলোড ও ভর্তির তারিখ: ৯ জুন থেকে ২৪ জুন

ক্লাস শুরুর তারিখ: ১ জুলাই

দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরধারী প্রার্থীরা এসব কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। ভর্তিসংক্রান্ত তথ্যের জন্য যোগাযোগের নম্বর: ০১৬৮৪২০৫৫৯১, ০১৭২৫১৭২০৩৩, ০১৬৭৩৮৩৬০৯৪।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, এ বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজ যাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

ধর্মমন্ত্রী জানান, হজ যাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ্জ পালন করতে পারেন সে বিষয় তৎপর রয়েছে সরকার। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক প্রক্রিয়াগুলো আরও কিভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমান বন্দরে, সৌদি আরবে হজ্জের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজ যাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ যাত্রীদের সব ধরনের দায়িত্ব ও সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

রংপুরঃ জেলা ৩০৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রমসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেইসঙ্গে দাপ্তরিক নানা কাজে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের।

রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, রংপুরে প্রধান শিক্ষক পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদের সংখ্যা সর্বমোট ৩০৮টি। যার মধ্যে মিঠাপুকুরে ১০২টি, পীরগাছায় ৪৪টি, কাউনিয়ায় ৪৪টি, বদরগঞ্জে ৩৯টি, গঙ্গাচড়ায় ৩৫টি, রংপুর সদরে ২৪টি, পীরগঞ্জে ১৫টি এবং তারাগঞ্জে ৫টি।

প্রধান শিক্ষক পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য আসনের ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। বাকি ৬৫ শতাংশ শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এটাই বিধি। কিন্তু নিয়োগে, পদোন্নতিতে ধীরগতি। এ কারণে দুরবস্থায় পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।

সূত্র জানায়, রংপুরে প্রায় তিন শতাধিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। আরও জানা গেছে, গ্রেডেশন তালিকা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়ার কাজ চলছে। এখন প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত। তাই সরাসরি নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) হাতে। তারা পদোন্নতির সুপারিশে খুব ধীর। ৩৪তম বিসিএসের সারা দেশে নন-ক্যাডার থেকে সুপারিশ করা হয়েছিল ৮৯৮ জন। ৩৬তম থেকে ৩২৭, ৪১তম থেকে ২৭৬ ও ৪৩তম থেকে ২৭৬ জনকে সুপারিশ করেছিল পিএসসি। সুপারিশপ্রাপ্ত নন-ক্যাডার প্রার্থীদের অনেকে কিছুদিন চাকরি করে অন্য চাকরিতে চলে যান। ২০১৩ সালের পর প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কেউ না কেউ প্রতিনিয়তই অবসরে যাচ্ছেন। অবসরের গতির তুলনায় পদোন্নতি ও সরকারি নিয়োগের গতি কম। এভাবে চললে কখনই শূন্য পদ পূরণ হবে না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি যদি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকে তাতে লেখাপড়া ব্যাহত হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চারজন শিক্ষকের একজনকে চলতি দায়িত্ব বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হয়। তাকে প্রায় প্রতিদিন উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং নানা প্রশাসনিক কাজ করতে হয়। আবার দায়িত্বপ্রাপ্তদের অধিকাংশ নারী হওয়ায় তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বা অন্য ছুটি কাটাতে হয়। অনেকে প্রশিক্ষণে থাকেন। ফলে চারজনের দুজনকে বিদ্যালয় চালাতে হয়।

রংপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের কাছে প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন পদ শূন্য থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু, বদলি, অবসরজনিত কারণসহ নানা কারণে প্রধান শিক্ষকের এতগুলো পদ খালি হয়েছে। আমরা জেলার সম্ভাব্য প্রধান শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, দ্রুত শূন্য পদে নিয়োগের ব্যবস্থা হবে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক, সচিব ও মন্ত্রী অবগত আছেন। যে কোনো সময় উদ্যোগ নিয়ে এসব পদে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

চুয়াডাঙ্গাঃ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ নিয়ে টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এ জেলায়।

টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। অতি তাপে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমনর রোদের প্রখরতা বাড়ছে তেমনি বেলা গড়ালেও উত্তাপ কমছে না। দিনের মতো রাতেও গরম অনুভূত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, টানা ৪ দিন ধরে এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। তার সাথে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে একটানা ৯ দিন ধরে। এধারা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকতে পারে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ২ সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ৫৮ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ১৮ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ১৮ শতাংশ। এটি দেশে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের পক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারি ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক আগামীকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা জরুরি সভা আহবান করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। জেনেভা থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আর এ অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করে জাতিসংঘ।

এ অবস্থায় মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মানবাধিকার রক্ষায় জরুরিভাবে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বসংস্থা।

জাতিসংঘ বলছে, কাজের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ পান না।

কয়েক মাস ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশি শ্রমিকরা খুব খারাপ অবস্থায় আছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এমন অবস্থায় ভিসা শেষ করতে বাধ্য হন তারা। ফলে গ্রেফতার, আটক, দুর্ব্যবহার ও নির্বাসনের ঝুঁকিতে পড়েন বাংলাদেশি শ্রমিকরা।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্কগুলোর বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। কারণ এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, এসব চক্রের সঙ্গে দুই দেশের সরকারের কিছু উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত। এটি ঠিক না, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। এ অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

এর আগেও মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

বাগেরহাটঃ জেলায় তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। জেলাজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহে। মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে এ জেলার রেকর্ড। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ।

দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সর্বস্তরের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। পানি অত্যাধিক গরম হয়ে চিংড়ি ঘেরের মাছ মরে যাচ্ছে। গবাদি পশুও অস্থির হয়ে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পোল্ট্রি ফার্মে মুরগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবজি ও বোরো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। ফসল রক্ষায় কৃষকরা হিমসিম খাচ্ছেন। পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন।

বাগেরহাট চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি সুমন ফকির বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গরমে চিংড়ি ঘেরের মাছ মরে যাচ্ছে। ৩/৪ ফুট গভীর পানি আছ, এমন ঘেরের মাছও রক্ষা করা যাচ্ছে না।

খানপুর যুগিধার পাড়ের গৃহবধু কাকলি পাল বলেন, জল আগুন হয়ে যাচ্ছে। কোন অবস্থাতেই মাছ বাঁচানো যাচ্ছে না।

ডেমা গরুগোজা স্লুইজগেট সংলগ্ন চিংড়ি ঘের মালিক আব্দুল হালিম বলেন, ঋণ নিয়ে ৩৫ হাজার চিংড়ির রেপুপোনা ঘেরে ছেড়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, একটি মাছও পাব না, গরমে সব মরে যাচ্ছে।

এদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে ডায়রিয়া রোগীর চাপ অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওযার কারনে গত কয়েক দিন ধরে বেলা বাড়ার সাথে-সাথেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। লোকজন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সব মানুষের। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকায় গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

তাপপ্রবাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন বাগেরহাটের শ্রমজীবী মানুষ। এ জেলায় তীব্র গরম ও রোদের তাপে কৃষি শ্রমিকসহ দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজ করতে না। এই অবস্থায় শরবতসহ পানীয় জাতিয় দোকানে ভীর করছেন লোকজন।

কামরুজ্জামান মুকুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, এমন গরম জীবনে দেখিনি, সব যেন পুড়ে যাচ্ছে। ঘরের মধ্যেও স্বস্তিতে থাকতে পারতিছিনা। রাতে ঘুমাতে পারছিনা, গরমে দম যেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অত্যাধিক কষ্ট হচ্ছে। ’

স্কুল শিক্ষিকা লায়লা বেগম ও সুনয়না রায় সোমা বলেন, সকাল-দুপুর-রাত সমানে গরম পড়ছে। রান্নাবান্না করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ঘরে থাকার পরেও শরীর থেকে দরদর করে ঘাম বের হচ্ছে, পরণের কাপড়-চোপড় সব সময় ভিজে থাকছে। দিনের মধ্যে ২/৩ বার গোসল করেও লাভ হচ্ছেনা, শরীর আরও খারাপ লাগছে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে কর্মরত জোৎস্না বেগমের ভাষায়, গরমে যেন দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মাথা ঘুরাচ্ছে, মনে হয় পড়ে কহন যেন মরে যাব।

দিনমজুর কামাল মোল্লা বলেন, কাজ করতি পারতিছি না। পুকুরে নামেও শান্তি নেই, গরমে পুকুরের পানি যেন ফুঁটতিছে, জম্মের গরম, নামা যায় না, গোসল করা যায় না। তাই সকালে আর রাত্রিরে গোসল করি, তা করলি কি হবে, এট্টু পরে যা তাই, গা ঘামতি থাহে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা: জালাল উদ্দিন ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক অসীম কুমার সমদ্দার জানান, গত এক সপ্তাগে ডায়রিয়াসহ পেটেরপীড়ায় আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। যার অধিকাং শিশু ও বৃদ্ধ।’ অকারণে ঘর থেকে বাইরে না যাওয়া এবং কোমল পানীয় ও ফলমূল বেশী খাওয়ার জন্য তাঁরা পরামর্শ দেন।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, শুক্রবার বিকাল ৩টায় মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে এ জেলার রেকর্ড। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ।

তীব্র তাপদাহে আবহাওয়া বিভাগ থেকে বাগেরহাটসহ যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া জেলার তিনদিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বাগেরহাটসহ যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়ে হিটওয়েভ বয়ে যাচ্ছে। দাবদাহ আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় আবহাওয়া বিভাগ থেকে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

যশোরঃ বেশ কয়েকদিন ধরে যশোর অঞ্চলের উপর দিয়ে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। তিনদিন ধরে যশোরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। এই অবস্থায় যশোর শহরের ঝুমঝুমপুরে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার পিচ পর্যন্ত গলে যাচ্ছে।

যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানায়, বেলা দেড়টায় যশোরের তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিল ৪১ দশমিক ২ এবং বৃহস্পতিবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এভাবে একের পর এক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে যশোরের কিছু সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। স্থানে স্থানে গাড়ির চাকা বা পথচারীর স্যান্ডেল জুতোর সঙ্গেও পিচ উঠে যাচ্ছে।

এদিকে, বিটুমিন গলে পিচ উঠে যাওয়ায় সড়ক সুরক্ষার জন্য মাঠে নেমেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। তারা গলে যাওয়া পিচের উপরে বালি ও কুচি পাথর দিচ্ছে। যাতে গলে যাওয়া পিচ আবার পূর্বের অবস্থায় থাকে।

যশোর-নড়াইল সড়কের ঝুমঝুমপুর বাজারে রিকশা চালক রফিক হোসেন জানান, রোদ গরমে দুপুর থেকে রাস্তার পিচ গলতে শুরু করে। দুপুর গড়ানোর পর রাস্তার পিচ যেনো কাদায় পরিণত হয়। ফলে রিকশার চাকা রাস্তায় আটকে যায়। এতে তাদের এক্সিডেন্টের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি রাস্তারও এবড়ো থেবড়ো হয়ে যাচ্ছে।

ঝুমঝুমপুর বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, রাস্তায় হাঁঠতে গেলে জুতো স্যান্ডেল পিচে আটকে যাচ্ছে। দু’একজন পিচ থেকে তুলতে না পেরে স্যান্ডেল রেখেই চলে যাচ্ছেন। গাড়ির চাকার চাপায় তা রাস্তার পিচের সঙ্গেই আটকে থাকছে।

শুধু যশোর-নড়াইলই নয় যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানেও একই অবস্থার খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের কারণে বিটুমিন গলে যাওয়ায় সড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত সড়কে যে পিচ ব্যবহার করা হয় তা ৬০-৭০ গ্রেডের। এর গলনাঙ্ক ৪৮ থেকে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।

সওজ সংশ্লিষ্ট সূত্র পিচ গলার কারণ হিসেবে দাবি করেছে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকলে বাতাসের আদ্রতার কারণে অনুভূতির পরিমাণ আরও কয়েক ডিগ্রি বেশি। সড়কের পিচের উপরে এই তাপমাত্রা আরও প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। আর কালো হওয়ায় এই পিচ সূর্যের তাপও শোষণ করে বেশি। এছাড়া সড়কে চাকার ঘর্ষণের ফলে উৎপাদিত তাপও এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পিচ গলে যেতে পারে। তবে এর বাইরে সড়কের কাজ মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এজন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালি ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে। যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ এবারের ঈদে দেশের সড়ক ও মহাসড়কে প্রাণহানি ঘটেছে ৪০৭ জনের। আহত হয়েছে ১ হাজার ৩৯৮ জন। একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ পথ মিলিয়ে মোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

সংগঠনের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান সরকারের গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে এই সেতুতে মোট যাত্রীর ৭.৫ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেছে।

ঈদযাত্রায় শুরুর দিন (৪ এপ্রিল) থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ এবং আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছে, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৪০.৫০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪.২৮ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ৬.৫০ শতাংশ কার মাইক্রো জিপ, ৫.৯৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা, ৬.১৪ শতাংশ অটোরিকশা, ১২.১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল ও ১৪.৪৬ শতাংশ বাস এসব দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব দুর্ঘটনার ৩২.৫৮ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১০.০২ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৫০.৬২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.০১ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.২৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৫০ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য ও পথে পথে হয়রানি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি ছিল চরম। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

কুমিল্লাঃ  ইস্টার সানডে, পবিত্র শব-ই-কদর, ঈদ-উল-ফিতর এবং পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ২৪ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার খুলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। এদিন সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ফের শুরু হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হবে।

এদিকে লম্বা ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে বিশবিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ফের মুখরিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে গত ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম এবং ৫ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  চলমান  তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না আগামীকাল রবিবার । আরও সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল খুলবে স্কুল ও কলেজ। স্কুল কলেজের সাথে ২৭  এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের সব মাদ্রাসাও।

শনিবার মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন শিক্ষাবার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে তীব্র গরমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র এবং বেশির ভাগ অঞ্চলে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম এপ্রিল মাসজুড়েই থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

টানা চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৯৫ এবং ২০০২ সালেও সমান তাপমাত্রা উঠেছিল। ২০১৪ সালে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশে আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা শুরুর পর সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, এই গরমে মানুষের অস্বস্তি বেশি হওয়ার কারণ, এখন বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প আছে। এর ফলে প্রচুর ঘাম হয়। তাতে মানুষ ক্লান্ত হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ সময় তাপমাত্রা কমা-বাড়ার মধ্যেই থাকতে পারে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল।

তবে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। তবে গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

যশোরঃ জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শিমুল তুলা পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে মাদরাসা শিক্ষক আব্দুস সামাদের (৫৬) মৃত্যু হয়েছে।

ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হাই জানান, এ দিন দুপুরে তুলা পাড়তে সামাদ শিমুল গাছে ওঠেন। এ সময় গাছ থেকে পড়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত আব্দুস সামাদ (৫৬) সাগরপুর গ্রামের মৃত কিয়ামদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ঝিকরগাছা দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঝিকরগাছা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই মেয়াদে ইউপি সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দারুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ শোক জানিয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram