শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে এই ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তিনটি ইউনিটে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কঠোর নিরাপত্তা প্রহারা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। একইভাবে নিকটবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ২৬ এপ্রিলের মধ্যেই প্রশ্নপত্র পাঠানোর কাজ সমাপ্ত হবে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

আর ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সকল প্রস্তুতিই সম্পন্ন করেছে। আশা করি, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সকল কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি কেউ আসেন, তাহলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আপনারা পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন। পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থী বা দায়িত্বরত কেউই মুঠোফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বা অসাধুপায় অবলম্বন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আমি জিএসটি গুচ্ছভুক্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ স্ব স্ব এলাকার সকল স্তরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৬/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,  ঢাকাঃ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন। বর্তমানে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে-ওয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসানকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন বর্তমানে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে কর্মরত আছেন।

এ ছাড়াও তিনি সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৬/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী অধ্যাপক নেহাল আহমেদ-এর অভোগকৃত অবসর- উত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ০১ (এক) বছর মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

মাউশির সদ্য সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই দিন ঈদের ছুটির থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেন ৯ এপ্রিল। এরপর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এর আগে গত সোমবার (১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/২৫/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) খুলছে দেশের স্কুল-কলেজ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ  থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

‘মৃত্যুর মুখ’ থেকে ফিরল ৩০০০ গাছ‘মৃত্যুর মুখ’ থেকে ফিরল ৩০০০ গাছ
এদিকে ক্ষতি পোষাতে আগামী ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার পরিকল্পনা করেছে মন্ত্রণালয়।

দেশের বেশিরভাগ অংশজুড়েই বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণে রমজান, ঈদ এবং নববর্ষের ছুটি শেষে গত রবিবার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে গরমের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর শ্রেণি কার্যক্রমের সময় এগিয়ে আনা অর্থাৎ সকালের শিফনে ক্লাস নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা ক্লাস সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অনলাইন ক্লাসের দাবি জানানো হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

মাগুরাঃ মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাগুরার মহম্মদপুরের দীঘা ইন্তাজ মোল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুছ আলীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া দুইটার সময় মহম্মদপুর-মাগুরা সড়কের কাজীর রাস্তার সামনে থেকে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মারাত্ত্বক আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাতে মৃত্যু বলে ঘোষণা দেন।

মাগুরার মহম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. ইউনুচ আলী (৬০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মাগুরা-মহম্মদপুর সড়কের কালুকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউনুচ আলী উপজেলার দীঘা ইন্তাজ মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা সদরের রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহম্মদপুর তেলের পাম্প এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের সার্ভিসিং করে শহরের দিকে রওনা করেন মো. ইউনুচ আলী। পথে কালুকান্দি মোড় এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারাত্মক আহত হন তিনি। এ সময় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার হোসেন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চুয়েট উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রোর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদেরকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামিকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহর গমনাগমন করবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আবারও এক বছরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর নেহাল আহমেদ। তার চুক্তির ফাইলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষাবার্তা'কে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করলেও দায়িত্বশীল কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তারা বলছেন, আজকের মধ্যে নেহাল আহমদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হতে পারে।

মাউশির সদ্য সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই দিন ঈদের ছুটির থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেন ৯ এপ্রিল। এরপর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এর আগে গত সোমবার (১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ জাকাত একটি ফরজ বিধান। জাকাত আদায় না করলে আল্লাহর শাস্তি রয়েছে কঠিন। জাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। জাকাত সঠিকভাবে আদায়ে বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন আল্লাহ তাআলা। আবার জাকাত আদায়ে গড়িমসি করলে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেন, হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত আর জাকাত আদায় না করলে তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তার রসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযীলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ৪০১৯)

পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! পণ্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রুপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আজাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সুরা: তাওবাহ, আয়াত: ৩৪)সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।’

দেশের নানান জায়গায় ইসতিসকা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ আদায় করা হচ্ছে। ইসলামি খিলাফতের আমলে কিন্তু ইসতিসকার পদ্ধতি আমাদের দেশের পদ্ধতির মত ছিলো না। ইসলামি খিলাফতের আমলে কোনো শহরে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হলে ওই শহরের শাসনকর্তা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজের জন্য একটি দিন ঘোষণা করতেন। সে অনুযায়ী শাসনকর্তাসহ গোটা শহরবাসী রোজা রাখতো। দুদিন রোজা রাখার পর তৃতীয় দিন রোজা রেখে গোটা শহরের সব মানুষ তৃতীয় দিনে রোজা রেখে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতো। আল্লাহ তাআলা আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে আমাদেরকে তার রহমতের বৃষ্টিতে ধন্য করুন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৯১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৮০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ নিয়ে ৮ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর চলতি এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৮ বার।

এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আবার গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এছাড়া গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দেশের বাজারে ১৩ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৬ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষাবার্তা'য় সংবাদ প্রকাশের জেরে রাজধানীর সায়েদাবাদের রেজাউল করিম চৌধুরী কলেজের রসায়ন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সামসুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বুধবার মাউশির সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত পত্রে তদন্ত কর্মকর্তা মনোনয়ন করা হয়। এতে তদন্তের দায়িত্ব পান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক এবং সহকারী পরিচালক।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি "আর কে চৌধুরী কলেজ: নানা অপকর্ম করেও বহাল তবিয়তে দুই শিক্ষক!" শিরোনামে শিক্ষাবার্তা'য় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

চিঠিতে বলা হয়,  ঢাকা মহানগরীর রিজাউল করিম চৌধুরী কলেজের রসায়ন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সামসুল আলম ক্লাস না নিয়ে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানোসহ একাধিক অনিয়ম নিয়ে শিক্ষাবার্তা ডককম পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।  এমতাবস্থায়, বর্ণিত বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ ১৫ (পনের) কর্মদবিসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পরিচালক, এবং সহকারী পরিচালক (কলেজ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকাকে নির্দেশক্রমে তদন্ত কর্মকর্তা মনোনয়ন দেয়া হলো। তদন্ত কর্মকর্তাদ্বয় বিধি মোতাবেক টিএ/ডিএ প্রাপ্য হবেন।

এ বিষয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ মনোয়ার হোসেন শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, তদন্তের চিঠি পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আর কে চৌধুরী কলেজের রসায়ন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সামসুল আলম  দুই বছর একটা ক্লাসও নেননি, টানা চার বছর মাঝে মাঝে কলেজে এসেছেন মন চাইলে দুই একটা ক্লাস করিয়েছেন। ক্লাস নিয়েছেন প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে।  ক্লাস না করলেও বেতন-ভাতা প্রতি মাসে ঠিকই উত্তোলন করেছেন। আবার বেতন নিয়েছেন প্রক্সি শিক্ষকও।

সহকারী অধ্যাপক মোঃ সামসুল আলমকে দেওয়া অন্তত ১৩ টি কারণ দর্শানোর নোটিশ শিক্ষাবার্তা'র হাতে রয়েছে। শুধু শোকজের নোটিশ নয়  কলেজটির একাধিক মাসের হাজিরা খাতার ছবিও শিক্ষাবার্তা'র হাতে রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস  তার কোন স্বাক্ষর নেই। এছাড়াও গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) একটি তদন্ত প্রতিবেদনে অনুপস্থিত থাকা এবং অনুপস্থিত থেকে প্রক্সি শিক্ষককে দিয়ে ক্লাস করিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি উঠে আসে। তবে এতগুলো শোকজ নোটিশ, ডিআইএর প্রতিবেদনে অনিয়ম জালিয়াতি ধরা পরার পরেই তিনি  কেন সাময়িক বরখাস্ত হননি কিংবা কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা অজানা। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে "আর.কে চৌধুরী কলেজ: দুর্নীতিতে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের চাকরি গেলেও বহাল সঙ্গীরা" এবং ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে  "টানা ৬ বছর ক্লাস নেন প্রক্সি শিক্ষক বেতন নেন সহকারী অধ্যাপক সামসুল আলম"শিরোনামে শিক্ষাবার্তায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, সহকারী অধ্যাপক মোঃ সামসুল আলম পেশায় একজন শিক্ষক পরিচয়ধারী হলেও তার প্রধান পেশা ঠিকাদারি। অধিকাংশ সময়ই তিনি ঠিকাদার পেশায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কলেজে নিয়মিত তো আসেন-ই নাই এমনকি কোন জাতীয় দিবসেও উপস্থিত থাকেননি। তৎকালীন কলেজ অধ্যক্ষ তাকে একাধিকবার শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। তবে কলেজটির তৎকালীন উপাধ্যক্ষ মো. রায়হানুল ইসলাম তৎকালীন গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি রসায়ন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সামসুল আলমের বন্ধু হওয়ায় অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে মিমাংশা হওয়ায় ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কলেজটিতে একটি ক্লাস না নিয়েও পার পেয়ে যান। কভিডকালীন সময়েও অনলাইনে তিনি একটি ক্লাসও করাননি। কলেজটির তৎকালীন উপাধ্যক্ষ মো. রায়হানুল ইসলাম রয়াসন বিষয়ের ক্লাস প্রক্সি শিক্ষক মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ জুম অ্যাপে নিবেন বলে জরুরি নোটিশ জারি করেন যার কপি শিক্ষাবার্তা'র হাতে রয়েছে। এছাড়াও এক কিংবা দুইটি নয় টানা ১৩ টি শোকজ নোটিশ পান এই শিক্ষক। যার কিছু জবাব দিলেও অধিকাংশ শোকজ নোটিশের কোন জবাব দেওয়ার প্রয়োজনবোধও করেননি তিনি।

আরও পড়ুনঃ

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ কমার কোনো সংকেত দেয়নি আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে দেয়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছুটি শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে।

এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে পাঠদানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বেশ কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শহেদুল খবির চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার সব রকম প্রস্তুতি দেওয়া হয়েছে।

সূত্র বলছে, বর্তমান তাপমাত্রা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এছাড়া সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এদিকে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খোলা থাকলে মানতে হবে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা। এগুলো হলো:

  • শ্রেণি কক্ষের বাইরের যেকোনো কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত রাখতে হবে।
  • পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
  • পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ৪ মে শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram