দারুল ইহসানের সব সনদের বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি
নিউজ ডেস্ক।।
বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসানের ২৯টি ক্যম্পাসের সব শিক্ষার্থীর সনদের বৈধতা দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ভুয়া বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে অর্জিত সনদের বৈধতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সেই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দৈনিক শিক্ষা নামে একটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে বলা হয়, সনদ বিক্রিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের আদেশে বন্ধ করে দেওয়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত সনদের বৈধতা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৯টি ক্যম্পাসের সব শিক্ষার্থীর সনদের বৈধতা দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মূল সনদ ইস্যু করতে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের তালিকা প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।
চিঠির বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মাহমুদ আহমেদের অনুকূলে বৈধ ২৯টি ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থীর সনদের বৈধতা দেওয়ার সম্মতি দেওয়া গেল এবং একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মূল সনদ ইস্যু কার্যক্রম পরিচালনা পর্ষদের তিন জন তালিকা প্রস্তাব পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, উপসচিব শামিমা বেগমের ভুয়া স্বাক্ষরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.০৭৮.৩১.০০১.১৯.৩৪ নম্বর ভুয়া স্মারক দেখিয়ে একটি জালপত্র জারি করা হয়।
উপসচিব শামিমা বেগমের সই করা প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ২৯টি ক্যম্পাসের সব শিক্ষার্থীর সনদের বৈধতা দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের মূল সনদ ইস্যু কার্যক্রম কিংবা সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে গৃহীত হয়নি এবং এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখা থেকে কোনো পত্র জারি করা হয়নি।
প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে এ ধরনের মিথ্যা ও প্রতারণামূলক সংবাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।