সন্তানের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক হলেন মা
মিতা পোদ্দার।।
একজন সন্তানের জন্য মা হলেন স্রষ্টার দেওয়া সবচেয়ে বড় উপহার। মা শব্দটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে আলাদা শক্তি ও অপার সম্ভাবনা। মা এমন একজন মানুষ, যিনি সারাজীবন সুখে-দুঃখে সন্তানকে বুকের মধ্যে আগলে রাখেন। একটি শিশুর মানসিক, শারীরিক ও মেধাবৃত্তিক বিকাশে অভিভাবকরা বিশেষত মা মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।
একজন ভাল অভিভাবক বিদ্যালয়ে এবং বিদ্যালয়ের বাইরে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং সামাজিক দক্ষতার বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি প্রদান করেন। সত্যিকার অর্থে শিশুকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব শুধু তাদের বিদ্যালয়ের উপরই বর্তায় না। একটি শিশুর শিক্ষা শুরু হয় নিজ পরিবারে, কারণ পিতা-মাতা শিশুদের প্রথম শিক্ষক। বই পড়ে শিশুরা যা অর্জন করে তার চেয়ে একজন প্রাপ্তবয়স্কের কর্মকাণ্ড থেকে শিশুদের শেখার সম্ভাবনা বেশি, শিশুরা তাদের পিতামাতার প্রতিটি আচরণ লক্ষ্য করে এবং অনেকাংশে তা খুব দ্রুতই গ্রহণ করে। শিশুদের সাধারণ অভ্যাসগুলি পড়াশোনায় ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়।
তাই শিশুদের সময়োপযোগী পরামর্শ দিন এবং শৈশবকাল থেকেই যেকোনো অস্বাভাবিক আচরণ সংশোধন করুন এবং তাদের সুনাগরিক হতে উদ্বুদ্ধ করুন। পিতামাতার উচিত বাড়িতে বাচ্চাদেরএকটি শান্তিপূর্ণ এবং মনোরম পরিবেশ দেওয়া। সন্তানের উপস্থিতিতে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা।
একটি শিশু স্কুলে কতটা ভালো করছে তা নিয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষক হলেন সেরা ব্যক্তি। প্রায়শই, শিক্ষক শুধুমাত্র একাডেমিক দিক নয় আবেগগত এবং সামাজিক দিকগুলিতেও প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হন। শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন সমস্যা থাকলে অভিভাবকদের সচেতন করা শিক্ষকদের দায়িত্ব।সন্তানদের কৃতিত্ব উদযাপন করে এবং তাদের পুরস্কৃত করে পিতা-মাতা সন্তানের শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এটি তাদের আরো ভাল করতে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে আরো ভাল শেখার ক্ষমতা উন্নত করবে। অভিভাবকদের তাদের সন্তানের বিদ্যালয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা উচিত।সর্বপরি আজকের শিশু আপনার, সমাজের ও রাষ্ট্রের আগামী। শিশুর যত্ন নিশ্চিত করলেই আগামীর দিনগুলো সুন্দর হবে।