জবি: প্রাণ প্রকৃতি উজাড় করে, উন্নয়ন চাই না
ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অংশীদারদের মতামতের ভিত্তিতে মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রণয়নের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন সংলগ্ন মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নতুন প্রশাসনিক ভবন (রেজিস্ট্রার ভবন) ও পুরানো প্রশাসনিক ভবন ঘুরে পরিবহন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মিছিল শেষে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা, অটোমেশন সিস্টেম ( অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি) চালু করে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক প্রশাসনিক কাজে দুর্ভোগ কমানো এবং ১৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় প্রশাসনিক নির্মাণ না করার দাবি জানান।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী জাবি শাখার সংগঠক সোমা ডুমরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান না করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করছে, ফলে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। কয়েকদিন আগে গাছ কাটা হয়েছে কিন্তু তার তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পাইনি। মাস্টারপ্ল্যান না করে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় একদিন মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ বলেন,‘উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২শত গাছ কাটা হয়েছে।ধ্বংস হয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। গাছ কেটে উন্নয়ন আমরা চাই না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান জরুরি। ’
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সহ-সভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাস্টারপ্ল্যানের জন্য দাবি করে আসছি। কিন্তু মাস্টারপ্লান প্রণয়নের কোন সদিচ্ছা আমরা প্রশাসনের মধ্যে দেখতে পাই না। আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য এর আগে দুই জায়গায় প্রায় একশ' গাছ কাটা হয়েছে। তাদের ভবন নির্মাণের নতুন আরেকটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানেও গাছ কাটা পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আর একটাও গাছ কাটা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা এই প্রশাসনকে স্বমূলে উৎপাটন করে ফেলবে।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৮/১২/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়