মধুপুরে ১১৫০ শিক্ষার্থীর ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি অনিশ্চিত
টাঙ্গাইলঃ জেলার মধুপুর উপজেলার এক হাজার ১৫৫ জন শিক্ষার্থীর ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার ৩৭টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদিত আসনের বিপরীতে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে মধুপুর উপজেলায় সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে তিন হাজার ৭৫০জন শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে তারা সবাই উত্তীর্ণ হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। মধুপুর রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পর শুক্রবার মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই অভিভাবকদের উদ্বিগ্নতা বেড়ে যায়।
মধুপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সূত্র জানায়, মধুপুরের ৩৭টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর প্রতিটি অনুমোদিত শাখার বিপরীতে অনধিক ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিধান রয়েছে। এ হিসেবে অনুমোদিত আসন সংখ্যা দুই হাজার ৫৯৫টি হওয়ায় ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এক হাজার ১৫৫ জন।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিতাই চন্দ্র দে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত তিনটি শাখাসহ পাঁচটি শাখা রয়েছে। অতীতে পাঁচটি শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি করে পাঠদান করানো হয়েছে। এবার প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক তিনটি শাখার জন্য ১৬৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে লটারির মাধ্যমে। এর বাইরে আমাদের করার কিছু নেই।
পুণ্ডুরা গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, আমার মেয়ের নাম লটারিতে উঠেনি। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লটারি হয়ে গেছে। এখন মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শামীম বলেন, ভর্তি বঞ্চিতরা হতাশ হয়ে আমাদের কাছে ছুটে এলেও নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রাম ও শহরের সব বিদ্যালয়ই যেন শিক্ষার্থীপূর্ণ থাকে সে জন্যই সরকার এই বিধি চালু করেছে। তবে যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আসনের চেয়ে বেশি হয় সে ক্ষেত্রে প্রশাসন অবশ্যই পরে সিদ্ধান্ত দেবে।
মধুপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতি শাখায় ৫৫ জনের অতিরিক্ত একজনও রাখা যাবে না। আমার হিসাব মতে মধুপুরে এক হাজারের মতো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী আছে- যারা ভর্তিযোগ্য। শাখা অনুমোদনের মাধ্যমেই এর সমাধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। তারা যে সিদ্ধান্ত দেন সেভাবেই আমাদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/১২/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়