মোরেলগঞ্জে রাস্তার বেহাল দশা ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট ।।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৪ কিলোমিটারে একটি কাঁচা রাস্তার অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না শিশু শিক্ষার্থীরা। গ্রামবাসীদের চলাচলে জনদুর্ভোগ এখন চরমে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পশ্চিম চালিতাবুনিয়া গ্রামে স্থাপিত ২৯০ নং পশ্চিম চালিতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। গ্রামের দুটি অংশ জুড়ে ১ ও ২নং ওয়ার্ডে ৪শ’ পরিবারের বসবাস।
এখানে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ২ হাজার। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলে নেই কোন রাস্তা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোন মতে মাটি দিয়ে কাচা রাস্তা তৈরি করা হলেও। এখন তা অতিরিক্ত জোয়ারের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে বড় বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। গ্রামের মধ্যে পশ্চিম চালিতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে স্কুলে যেতে পারছেনা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পরছেন স্থানীয় গ্রামবাসীসহ পথচারিরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকা নাছিমা বেগম বলেন, রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে স্কুলে উপস্থিতি কমে গেছে। ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয়ে আসতে চাচ্ছেন না। অতিরিক্ত জোয়ারের পানি, সামান্না বৃষ্টিতে দুর্ঘটনার আশংকায় অভিভাবকরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ অভাবনীয় দুর্ভোগ সমাধানের জন্য তিনি উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান হাওলাদার, মো. আলম শেখ, মো. শাহ-ই আলম, মনির শিকদারসহ একাধিকরা বলেন, চালিতাবুনিয়া কার্পেটিং রাস্তা সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মোশারেফ হাওলাদারের বাড়ি থেকে ছৈলাবুনিয়া ভায়া মুজাহার আলী হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত এ ৪ কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত পুননির্মাণ না হলে দুর্ভোগের আর সীমা থাকবে না গ্রামবাসীদের।
দুই বছর পূবে স্থানীয় সংসদ সদস্য এক লক্ষ টাকা এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ দিলেও ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার কোনমতে দায়সারাভাবে কাজটি শেষ করেছে। সেই অর্থ বরাদ্দ কোন কাজেই আসেনি। স্থানীয় ভূক্তভোগী গ্রামবাসীরা অনতি বিলম্বে ৪ কিলোমিটারের চলাচলের গুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটিতে বরাদ্দ দিয়ে পুর্ননির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতি জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, তিনি নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ইতোপূর্বে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একবার টিয়ার বরাদ্দ করেছেন। পুর্নিমার অতিরিক্ত জোয়ারের স্রোতে রাস্তাটি বারবার ভেঙ্গে যাচ্ছে । বড় ধরনের বরাদ্দের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করা হয়েছে।