বিনামূল্যের বই বিক্রির অভিযোগ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্ক।।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হাসিমিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বিনামূল্যে দেওয়া সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মন্নান ও অফিস সহকারী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ।
মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সরকারি বইগুলো কেজি দরে বিক্রির সময় জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সরকারি বই বিক্রির খবর পেয়ে শাল্লা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সুপারভাইজার কালিপদ দাস কান্দিগাঁও গ্রাম থেকে বিক্রয় করা বইগুলো উদ্ধার করেন।
এই বইগুলো কারা, কিভাবে এবং কেন বিক্রি করল সেজন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতের আঁধারে মাদ্রাসার সুপার ও অফিস সহকারী মিলে ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের ৪৮০ কেজি বই গোপনে বিক্রি করে দেন এক ফেরিওয়ালার কাছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কান্দিগাও গ্রামের একটি টং দোকানে মঙ্গলবার সরকারি পাঠ্যবই দেখে কয়েকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসে খবর দেয়। সুপারভাইজার কালিপদ দাস সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, ওই গ্রামের ফেরিওয়ালা আবু সামাদ বইগুলো ওই দোকানে দেন।
ওই মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মন্নান বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।’
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার মিয়ার বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোনো কিছু জানি না।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কালিপদ দাস বলেন, ফেরিওয়ালার কাছে বিনা মূল্যের সরকারি বই বিক্রি করা হয়েছিল সেই বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, আমাকে জানানো হয় সোমবার সরকারি কিছু বই বিক্রি করছে উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামে। পর দিন মঙ্গলবার সকালে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। সরকারি বই কেউ বিক্রি করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।