মঙ্গলবার, ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

তানজিদ শাহ জালাল ইমন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ও প্রথম নারী উপাচার্য।

মঙ্গলবার (২৪সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় নবনিযুক্ত উপাচার্য যোগদান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত পত্রাদি প্রেরণ করেন।

এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা স্বৈচারের দোষর শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে না রাখাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য,অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বিএসসি এবং এমএসসি সম্পন্ন করে ২০০৩ সালে প্রভাষক পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে ২০১১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করছেন। ড. শুচিতা শরমিন সুইজারল্যান্ডের ইপিএফএল এবং ভারতের আইআইএসসি বেঙ্গালুরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ে সার্টিফিকেট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টোরাল গবেষক হিসেবে কর্পোরেট কমিউনিটি ইনভলভমেন্ট, স্কেল-আপ এবং গভর্নেন্স বিষয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেন। জাপানের কিউশু বিশ^বিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে থাকাকালীন তিনি সেখানকার বিহেভিয়োরাল এন্ড হেলথ সায়েন্সেস বিভাগে গবেষণা করার পাশাপাশি জাপানি ভাষার একটি কোর্সও সফলভাব সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ, জাপান, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, নেপাল, মালয়েশিয়া এবং ভারতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে শিক্ষাদান ও গবেষণা পরিচালনায় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি সরকার, স্থানীয় এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন এনজিওসমূহের সঙ্গে গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর গবেষণা ক্ষেত্রের মধ্যে উন্নয়ন অধ্যয়ন, মনোবিজ্ঞান এবং সংগঠন ও ব্যবসায় অধ্যয়ন প্রভৃতি অন্তর্ভূক্ত। আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর ৪৫টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ এবং ৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ এর ১০(১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম উপাচার্য হিসেবে তিনি যোগদান করেন।

এদিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় নতুন উপাচার্যকে স্বাগত জানাতে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রথমে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান ড. নকীব নসরুল্লাহ। সেখানে তিনি যোগদানপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে উপাচার্য হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আসরের নামাজ আদায় এবং ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের জন্য দোয়া-মোনাজাত করেন।

পরে প্রশাসন ভবনের সামনে তাকে গার্ড অফ অনার দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ক্যাডেটরা। গার্ড অফ অনার শেষে তিনি প্রথমে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে স্মৃতিসৌধ ও মুক্তবাংলা ভাস্কর্যেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী ও ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট। পরে নিজ কার্যালয়ে ফিরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের রক্তের ফসল আজকের এই অর্জন। তাদের এই অর্জনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে একটি উন্নত এবং আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাবো। আর এটি করতে পারলেই আমি মনে করি আমার প্রচেষ্টা সফল হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমি কাজ করব। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করবো। আমি বহিরাগত শিক্ষক না। আমি দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর এখানে চাকরি করেছি। আমি আমার জীবনের শুরু এখানে করেছি এবং শিক্ষক হিসেবে যে পরিচয় এটি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলো যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে, তখন তার সুদহার ঠিক হয় রেপোর মাধ্যমে। আর রিভার্স রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে সুদ হারে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়, তাকে বলে ব্যাংক রেট। রেপো রেট বৃদ্ধি করায় ব্যাংকগুলোর অর্থ নেওয়ার খরচ বাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করে, তার সুদহার বাড়বে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে রাখা আমানত ও ব্যাংকঋণের সুদহারও বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নীতি সুদহার বা রেপো রেট দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ থেকে ৯.৫০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করবে, তার সুদহার বাড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আরো সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহের পথে হাঁটছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদহার ১০.৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১১ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ বেসিস পয়েন্ট করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, নীতি সুদহার বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে মনিটারি পলিসি কমিটির পঞ্চম সভায় নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, বাড়তে থাকা খাদ্যপণ্যের তথা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফের পলিসি রেট বা নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি সপ্তাহে এ সুদহার বাড়ানো হবে।পর্যায়ক্রমে তা আগামী মাসেও বাড়বে।

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৭৩ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১.৬৬ শতাংশ হয়, যা ২০১০-১১ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। গেল অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি ছিল।

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পলিসি রেট বাড়াচ্ছে। নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যাংকঋণের সুদ বেড়েছে এবং ঋণ নেওয়া আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

 নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জন শহীদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। শহীদদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd)-এ তালিকা দেখা যাবে।

তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ চলতি বছর সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছ ভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের চতুর্থ ধাপের প্রাথমিক ভর্তি শুরু হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।

মঙ্গলবার গুচ্ছের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চতুর্থ পর্যায়ের প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া ২৮ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিএসটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হবে। প্রাথমিক ভর্তি ও ফি প্রদান করতে হবে ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা হতে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূল কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। ইতিপূর্বে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকলে জিএসটির অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন হলেও শিক্ষার্থীর করণীয় কিছু নেই। মূল কাগজপত্র প্রাথমিক ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়েই জমা থাকবে।

গুচ্ছ ভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের জুলাই ও আগস্ট মাসের আর্থিক অনুদানের সরকারি ‍অংশের চেক ছাড় করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখের পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) মোঃ আবুল বাসার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকগণের জুলাই ও আগস্ট দুই মাসের আর্থিক অনুদানের সরকারি অংশের ৮ টি চেক অনুদান বন্টনকারী অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয় এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটিড, স্থানীয় কার্যালয়ে ২৪/০৯/২০২৪ খ্রি. তারিখে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীগণ আগামী ২৬/০৯/২০২৪ খ্রি. তারিখের পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে এপ্রিল মাসের আর্থিক অনুদানের সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে বলে নিশ্চিত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দীন।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘পয়লা জানুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবাই নতুন বছরের বই পাবে। বইয়ের মানের ক্ষেত্রে কোনও আপোষ করা হবে না। কর্ণফুলী পেপার মিলের মতো ভালো মানের কারখানার কাগজ দিয়ে এবার বই ছাপা হবে।’

অবশ্য অন্যান্য বছরগুলোর মতো এবার বই উৎসব হবে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেন নি অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বছরের প্রথমদিন সবাই বই পাবে।’

তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বইয়ের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসে নি বলেও জানান ড. সালেহউদ্দীন।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেড়লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ফয়েল পেপার কেনার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ থেকে ইউরিয়া সার কেনা হবে যাতে কৃষিখাতে কোনও প্রভাব না পড়ে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

নরসিংদীঃ বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্নপদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে শিবপুর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ সজীব এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মানববন্ধনে মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের ৯৭ শতাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরি। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই বই পড়ানো, একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি-বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরি করে রাখা হয়েছে যা শিক্ষার গুণগত মান উন্নায়নে প্রধান অন্তরায়। শিক্ষার সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রাণের দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ।

মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সুপার সহ শিক্ষক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

টাঙ্গাইল প্রতিবেদকঃ জেলার ধনবাড়ীতে ১০ম গ্রেডের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষকরা।

সোমবার(২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধনবাড়ী উপজেলার সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা উপজেলা পরিষদের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-জয়দেবপুর-জামালপুর সড়কে দাবী উল্লেখিত বিভিন্ন ধরণের প্লে-কার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে ¯েøাগানে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।

মানববন্ধনে ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবী করেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা ।

পানকাতা পৌর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রহুল আমীন মুক্তার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন-বানিয়াজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সমতকুড় হাজী আব্দুল খালেক সুফিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, কয়ড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকারী শিক্ষক শারমিন জাহান, মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুন্নাফ হাসান, আবু সাঈদ ও শিক্ষকদের দাবীর সাথে একত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন ধনবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামালসহ ১০ম গ্রেড সমন্বয়ক নরিল্যা দক্ষিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার সহ অন্যান্যরা।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের যৌক্তিকতাসমূহ দাবী করে অর্ন্তবর্তীকাল সরকারের প্রধান উদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

এসময় উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অ্যাকাউন্টিং ক্লাব নামে নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। এতে সভাপতি হিসেবে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইমুন নোমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বিভাগের ও একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হাসিব মনোনীত হয়েছেন।

গত রবিাবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শনিবার দুপুর ১টায় বিভাগের ২২৪নং কক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ জাকির হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাফর আলী ও সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহবুব আলম।

কমিটির অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদা আকন্দ, গোলাম আসসাকুর জামান, সাগর আহমেদ শিবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান সিকদার, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক যূথী খাতুন, মোঃ রাহাতুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক অলোক কুমার মজুমদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ সানজিদ হোসেন, মাসুম হোসেন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক সম্পাদক অন্তরা আক্তার মিম, উপ-অভ্যন্তরীণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুরাদ শেখ,  নাজিয়া তাসনিম, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ স্বাধীন , উপ-অর্থ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস জোতি, রোকনুজ্জামান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লুত ইয়াছরিপ ( লিখন) , উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ্, আহমদ গালিব, ডিজাইন ও আইটি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, সাব-ডিজাইন ও আইটি বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ, নাজমুস সাকিব, গবেষণা ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সামিয়া আক্তার, উপ গবেষণা ও পরিকল্পনা কাওসার আহমেদ, সামসুর নাহার সুমি। এছাড়াও সহযোগী সদস্য হিসেবে প্রতিক সরকার, একরামুল হক, শামীম আহসান, স্নিগ্ধা অর্পনা।

সভাপতি ফাইমুন নোমান বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই যুগে নিজেদের এগিয়ে রাখতে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই ক্লাব।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ক্লাব শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যেখানে তারা নিজেদের পেশাগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের গঠনমূলক কাজে ভূমিকা রাখতে পারবে।

উল্লেখ্য, ইবি অ্যাকাউন্টিং ক্লাব একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করা হয়। সদস্যদের অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখবে সংগঠনটি। একইসাথে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, এবং সেমিনার আয়োজন করে থাকে স নির্ধারণে সহায়তা রাখবে। এ ছাড়াও শিক্ষা জীবনে ব্যবসায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং ব্যবসায় সত্তার সাথে সদস্যদের পরিচয় ঘটাতে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়ে আগ্রহ আছে এমন সদস্যদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি সুযোগ করে দিবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

কু‌ড়িগ্রামঃ জেলার চিলমারীতে সভাপ‌তির স্বাক্ষর জাল করে নি‌য়োগসহ নানা অনিয়ম-দুর্নী‌তির অভিযোগে প্রধান শিক্ষ‌কের ক‌ক্ষে তালা দি‌য়ে‌ছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় এলাকাবাসী বি‌ক্ষোভ কর‌তে থাক‌লে ত‌ড়িঘ‌ড়ি ক‌রে বিদ‌্যালয় ছু‌টি দি‌য়ে গা ঢাকা দেন ওই শিক্ষক।

মঙ্গলবার (২৪ সে‌প্টেম্বর) বেলা ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার রা‌ণিগঞ্জ ইউয়ি‌নের কয়ারপাড় বীর বিক্রম উচ্চ বিদ‌্যালয়ে এ ঘটনা ঘ‌টে।

জানা গে‌ছে, ২০১৫ সা‌লের ৬ অক্টোবর কয়ারপাড় বীর বিক্রম উচ্চ বিদ‌্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হি‌সে‌বে যোগদান ক‌রেন আমিনুল ইসলাম।

তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লী‌গের ছত্রছায়ায় যোগদা‌নের পর থে‌কে নানা অনিয়ম দু‌র্নী‌তি‌তে জ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়েন তি‌নি। গত নয় বছর ধ‌রে বিদ‌্যাল‌য়ের টিউশন ফিসহ শিক্ষার্থী‌দের কাছ থে‌কে বাড়‌তি অর্থ আদায় ক‌রে নি‌জের খেয়ালখু‌শি ম‌তো বিদ‌্যালয় প‌রিচালনা ক‌রে আস‌ছেন। প্রধান শিক্ষক এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভ‌য়ে কেউ মুখ খো‌লেন‌নি। প্রভাব খা‌টি‌য়ে ওই প্রতিষ্ঠা‌নে এমএলএসএস, প‌রিচ্ছন্নকর্মী, আয়া ও ল‌্যাবসহকারী প‌দে নি‌য়োগ বা‌ণিজ‌্য ক‌রেন।

একই প‌দে একা‌ধিক ব‌্যক্তির কা‌ছে মোটা অং‌কের উৎ‌কোচ গ্রহণ ক‌রেন। সভাপতি আব্দুল ক‌রিম মিয়ার স্বাক্ষর জাল ক‌রে গোপ‌নে এসব নি‌য়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ক‌রেন ব‌লে প্রধান শিক্ষ‌কের বিরু‌দ্ধে অভিযোগ র‌য়ে‌ছে।

এমএলএসএস প‌দে আনিছুর রহমান, পরিচ্ছন্নকর্মী আতাউর রহমান, ল্যাব সহকারী নাজমুল হক ও আয়া প‌দে লুচী খাতুনকে নি‌য়োগ দেওয়া হ‌লে বিক্ষুব্ধ হন অন‌্য প্রার্থীরা। বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে আব্দুল ক‌রিম‌ মিয়ার স্বাক্ষর জাল ক‌রে চার প‌দে নি‌য়ো‌গের প্রতিবা‌দে বি‌ভিন্ন দপ্ত‌রে লি‌খিত অভিযোগ ক‌রেন।

মঙ্গলবার ওই চার প‌দে নি‌য়োগপত্র প্রদান ক‌রে হ‌বে এমন খবর ছ‌ড়ি‌য়ে পড়‌লে বিক্ষুব্ধ জনতা বিদ‌্যা‌লয়ের জ‌ড়ো হ‌তে থা‌কে। বিষয়‌টি বেগ‌তিক দেখে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম সটকে প‌ড়েন। প‌রে তাৎক্ষ‌ণিক স্কুল ছু‌টি ঘোষণা দেওয়া হলে প্রধান শিক্ষ‌কের ক‌ক্ষে তালা দেন বিক্ষুব্ধরা।

নাম প্রকাশ না করার শ‌র্তে দুই জন শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম যোগদা‌নের পর থে‌কে টিউশন একাই আত্মসাৎ ক‌রে আস‌ছেন। তার খেয়ালখু‌শি ম‌তো স্কুল প‌রিচালনা ক‌রেন। নানা কার‌ণে তার ম‌তের বা‌হি‌রে কথা বল‌তে পা‌রি না।

সভাপ‌তি আব্দুল ক‌রিম মিয়া ব‌লেন, চল‌তি বছ‌রের ১ এপ্রিল আমাদের ক‌মি‌টি বিলুপ্ত করা হয়। কিন্তু এর আগে আমি সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনকালে এই প্রতিষ্ঠানে কোনো পদে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয় নাই। আমি কোনো নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলাম না এবং কোথাও স্বাক্ষরও করি নাই। বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারছি প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আমার স্বাক্ষর জাল করে চার‌টি প‌দে নি‌য়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ক‌রে অর্ধ‌কো‌টি টাকা হা‌তি‌য়ে নি‌য়ে‌ছেন। বিষয়‌টি আমি লি‌খিতভা‌বে সং‌শ্লিষ্ট দপ্ত‌রে জানিয়েছি।

প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার ক‌রে ব‌লেন, গত এক বছর আগে এই চার প‌দে নি‌য়োগ সম্পন্ন করা হয়। সে সময় আব্দ‌ুল ক‌রিম মিয়া সভাপ‌তি ছি‌লেন এবং সব কাগজপ‌ত্রে স্বাক্ষর ক‌রে‌ছেন। সভাপ‌তি ল‌্যাবসহকারী প‌দে দুইজন ব‌্যক্তির কা‌ছে টাকা নি‌য়ে‌ছি‌লেন। কিন্তু ওই দুজনের চাক‌রি না হওয়ার কার‌ণে বি‌ভিন্ন দপ্ত‌রে লি‌খিত অভিযোগ কর‌তে‌ছেন।

ভারপ্রাপ্ত উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) নঈম উদ্দিন ব‌লেন, খোঁজখবর নেওয়ার জন‌্য ওই প্রতিষ্ঠা‌নে মাধ‌্যমিক কর্মকর্তা‌কে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। পরবর্তী‌তে এ বিষ‌য়ে প্রয়োজনীয় পদ‌ক্ষেপ নেওয়া হ‌বে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

 পাবনাঃ ছাত্র-ছাত্রীদের পাবনা রানা ইকো পার্কে পিকনিকের গন্তব্য থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের নিয়ে যান পাবনা জেলা আলাদালতে । এরপর সেখানে কয়েকজন ছাত্রীকে আলাদাভাবে ডেকে প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছেমতো বয়ান শিখিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিতে বলেন। মূলত প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তিগত শত্রুতা বশত: জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা ইভটিজিং মামলায় তাদের দিয়ে সাক্ষ্য প্রদান করান।

দীর্ঘ সময় কোর্টে অবস্থান করায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পরে।

অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে বাসায় ফোন করে তাদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। ঘটনাটি এলাকার সকল অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সবাই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

শফিকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক জানান, আমার মেয়ে ওই বিদ্যালয়ে ক্লাস টেনে পড়ে। কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে সানজিদা মিম আমাকে বললো আব্বু আমাদের স্কুল থেকে স্যারেরা পিকনিকে নিয়ে যাবে, এজন্য ২শ টাকাও চাঁদা নিয়েছে।

আজ দুপুরে ওরা পিকনিকে যাওয়ার পরে জানতে পারলাম হেড মাস্টার ছেলে-মেয়েদের পাবনা কোর্টে নিয়ে গেছে। আমি তো বিষয়টি জানার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। পিকনিকের কথা বলে কোর্টে কেন নিয়ে গেল আমার মেয়েকে। আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিচার চাই।

সালমা খাতুন নামের আরেক অভিভাবক জানান, আমি শুনলাম স্কুলের স্যারেরা আমার মেয়েসহ ছাত্র-ছাত্রীদের পিকনিকের কথা বলে পাবনা কোর্টে নিয়ে গেছে। কেন এদের কোর্টে নিয়ে গেল, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। দুপুর থেকে মেয়ের অপেক্ষায় স্কুলে এসে বসে আছি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের মেয়েদের ইভটিজিং করার ঘটনায় কয়েকমাস আগে চাটমোহর থানায় আমি একটি অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে অভিযোগটি পাবনা কোর্টে বিচারাধীন। সেই মামলায় সোমবার ১৫জন মেয়ের আদালতে সাক্ষ্য প্রদানের তারিখ ধার্য ছিল।

তিনি আরো বলেন, পাবনায় মেয়েদের সাক্ষ্য প্রদানের বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীরা জানার পরে তারাও তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে পাবনা কোর্টে যেতে চায়। তারা নিজেরাই ২শ টাকা করে চাঁদা তুলে পাবনা রানা ইকোপার্কে পিকনিক করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারাই বাস ভাড়া ও সব আয়োজন করেছে। আমি শুধু পিকনিক স্পটে যাওয়ার আগে কোর্টে কয়েকজন মেয়েকে নিয়ে হাজির হয়ে আদালতে সেই মামলার সাক্ষ্য প্রদান করার ব্যবস্থা করিয়েছি। বিষয়টি আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারকে আগেই অবহিত করেছিলাম।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মগরেব আলি জানান, মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে আগেই বলেছিলেন পাবনা কোর্টে শিক্ষার্থীদের একটা সাক্ষ্য প্রদান আছে। তবে পিকনিকের বিষয়টি তিনি আমাকে কিছু বলেননি। কোর্টে সাক্ষ্য প্রদানের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কোর্টে নিয়ে যাওয়া কাজটি তিনি মোটেও ঠিক করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram