শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

এস এম মোজতাহীদ প্লাবন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ড. জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়া এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি), ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে ১৯৯৯ সালে এমএসসি ও ২০১১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাঁর ২২টিরও অধিক গবেষণা ও প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের নানা প্রসিদ্ধ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

নিয়োগের শর্তে বলা হয়, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। জাহাঙ্গীর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম তাঁকে জনে জনে ফুল দিয়ে অভিনন্দন না জানাতে অনুরোধ করেছেন।

নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, "আমি আসলে জনে জনে ফুল চাই না। নতুন উপাচার্য হিসেবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ একটা ফুল দেওয়া যেতে পারে। তবে সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আমি মনে করি ফেরার সময় যদি ফুল আর ভালোবাসা নিয়ে ফিরতে পারি তবেই সফলতা।"

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আন্দোলনের নামে গত দুই মাসে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিগ্রহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মব জাস্টিস’-এর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক পলাশ বসাক।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেন এই শিক্ষক।

স্ট্যাটাসে প্রভাষক পলাশ বসাক লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি ‘স্বেচ্ছায়’ অব্যাহতি নিয়েছি। আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে। 'মব জাস্টিস'-এর মাধ্যমে ৫ আগস্টের আগে এবং পরে সংঘটিত সকল শিক্ষক নিগ্রহের বিরুদ্ধে এটা আমার নীরব প্রতিবাদ।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আরেক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র একটি মাত্র মতের মানুষ থাকতে পারবে এমন বন্দোবস্ত যখন করা হয়, তখন সেই প্রতিষ্ঠানকে আপনি আর যা-ই বলুন না কেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়' বলতে পারেন না!’

প্রভাষক পলাশ বসাক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র আন্দোলনের নামে গত দুই মাসে শিক্ষক নিপীড়নের যত ঘটনা ঘটেছে, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর এমন ঢালাও শিক্ষক নিপীড়নের নজির নেই। বিশ্বে অন্য কোনো দেশে এ রকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনিনি।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কোন মত পথের অনুসারী হবেন, তারা কী বলবেন কিংবা কী বলবেন না, সেটা শিক্ষার্থীরা বা অন্য কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারেন না। বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা যদি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশই না করতে পারেন, তাহলে বুদ্ধি বা জ্ঞানের চর্চা হবে কী করে? মব জাস্টিস বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে পারে না।’

তিন আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মত ও পথের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নিশ্চয়তা না থাকা দেশ ও সমাজের চরম ব্যর্থতার পরিচায়ক। শিক্ষক নিপীড়ন বন্ধ করতে না পারার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সরকারকেই নিতে হবে। শিক্ষক নিপীড়নের উন্মাদনা অবশ্যই থামাতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সর্বস্তরে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ সড়ক ও ছাত্রীহলের সমানের সড়ক ঘুরে এসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শেষ হয়। মিছিল শেষে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন তারা। পরে আলটিমেটাম দিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন শিক্ষার্থীরা।

এরআগে জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন হল থেকে ছোট ছোট দল নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন তারা।

উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আপনি বলেছিলেন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা করা দরকার আপনি তাই করবেন। এখন আপনি দেখেন আমিসহ সব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ চায়। আমরা আপনাকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আশা করি আপনি আমাদের দাবি পূরণ করবেন এবং অনতিবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।’

ইংরেজি ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৫ জুলাই হামলা এবং ১৮ আগস্টে শামীম মোল্লার মৃত্যু দুটোই রাজনীতির কুফল। আমরা আশা করি রাজনীতি স্থগিত নয়, সবার দাবির আলকে আপনি আজীবন রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেবেন।’

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘আমার নির্ধারিত সভা বাদ দিয়ে রোববার প্রশাসনের সবার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। যে কাজটি ন্যায্য এবং ছাত্রদের কল্যাণ আছে, আমরা সেটাই করবো। আর সেটি করতে আমাকে পদত্যাগ করতে হলে করবো।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

দিনাজপুরঃ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শুক্রবার দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় “দাবি মোদের একটাই, ক্যাম্পাস থেকে ভিসি চাই। ক্যাম্পাস থেকে ভিসি দিতে হবে দিতে হবে। বাইরের ভিসি আসলে, তালা ঝুলবে গেটে” এসব স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত দিনে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরের ভিসি ছিলো, এজন্য তার কাছাকাছি সাধারণ শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষকরাও কেউ পৌঁছাতে পারেনি ৷ আমরা চাই একজন শিক্ষার্থী বান্ধব ভিসি ৷ এ ব্যাপারে আমরা অনড়৷ আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভিসি চাই।

তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ হলে তিনি পূর্ব থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত থাকবেন। ফলে উপাচার্য সহজেই দ্রুততার সঙ্গে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জানেন, যার ফলে তিনি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে পারবেন।

শিক্ষকরা বলেন, দীর্ঘদিনের চলার পথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষক সেরা তাকে ভিসি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হোক। যার কাছে আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারবো। বিগত সময় বাইরে থেকে নিয়োগ পাওয়া ভিসির কাছে আমরা শিক্ষকরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারিনি। তিনি আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরার সুযোগও দেননি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ প্রতিবছর শিক্ষা ক্ষেত্রে খরচ হয় কয়েক হাজার কোটি টাকা। গত ৩ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। এরপরও নিশ্চিত হয়নি শিক্ষার গুণগতমান। রয়েছে নানা সংকট।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা খাতে ১৩টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ না করা, প্রাথমিকে ঝরে পড়া, মাধ্যমিক শিক্ষায় অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষার্থী ভর্তি, ভর্তির ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের ব্যবধান এবং মাদ্রাসা শিক্ষার মান চাকরির বাজারে সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়।

এসব বিষয় চিহ্নিত করে প্রথমবারের মতো অ্যাকশন প্ল্যানের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। শিক্ষা খাতের অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো হলো-উচ্চ শিক্ষায় সরকারি কলেজে একই শিক্ষক দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দেওয়া এবং শিক্ষক সংকট। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণা পরিচালনার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত সন্তোষজনক নয়।

আরও আছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো একক নীতিমালা নেই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিরা নিজেদের মালিক মনে করেন এবং গবেষণার জন্য মানসম্মত ফ্যাকাল্টি না থাকা। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রচলিত ধ্যান-ধারণা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই ভিন্ন এবং কারিগরি শিক্ষায় নারীদের কম অংশগ্রহণ ও চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা তৈরির অভাব।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আব্দুর রউফ বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং তৃতীয় স্তরের শিক্ষা সুযোগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে। প্রাথমিক শিক্ষায় সর্বজনীন প্রবেশাধিকারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে মোট অন্তর্ভুক্তি ২০২৪ সালে ১০৯ দশমিক ১৪ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ১১০ দশমিক ৪৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

এভাবে শিক্ষার সব স্তরেই উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু গুণগত মান অর্জন শিক্ষার অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা সেক্টর প্ল্যান তৈরি ও বাস্তবায়ন করে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন করেছে। আমাদের দেশেও অ্যাকশন প্ল্যান করা হচ্ছে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দ্রুতই এই অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে পরিচালক ও উন্নয়ন মিলে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ আছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বরাদ্দ ছিল ৮৯ হাজার ১২ কোটি টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ৩ অর্থবছরে বরাদ্দ দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের তৈরি খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা কোনো অবকাঠামো নেই। ফলে বর্তমান প্রাথমিক বিদ্যালয়েরই ২-৩টি কক্ষ এই কাজে ব্যবহার করা হয়। এতে বাড়ি থেকে দূরত্ব বেশি হওয়ায় অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যেতে চান না। এজন্য শিশুদের বাসস্থানের কাছেই প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন জরুরি। এই শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দরকার। আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি সত্ত্বেও নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

প্রাথমিকে ভর্তির হার শতভাগ হলেও ঝরে পড়ার হার এখনো প্রায় ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী ৩৩ শতাংশের বেশি শিশু সঠিকভাবে একটি গল্পের সব শব্দ পড়তে পারেনি। অর্ধেকের বেশি শিশু মৌলিক গঠন দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে সংখ্যাগত জ্ঞানে ৫০ শতাংশের বেশি শিশু সফলভাবে সংখ্যা গঠন ও সংখ্যার পার্থক্য করতে পারেনি।

প্রায় ৬৬ শতাংশ প্যাটার্ন উপলব্ধি করার কাজ শেষ করতে পারেনি। দেশে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও এর মধ্যে মাত্র ৬৫ হাজার ৫৫৬টি সরকারি বিদ্যালয়, বেসরকারি মাদ্রাসা বা এনজিও নিয়ন্ত্রিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়ন দরকার।

খসড়ায় মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো কম ভর্তি হওয়া। বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির এ ধারা উদ্বেগজনক। উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও অর্থনৈতিক কাঠামোগত পরিবর্তনের ফলে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর থাকা দরকার। মানসম্মত শিক্ষক বিশেষ করে বিজ্ঞানের শিক্ষকের প্রকট সংকট রয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনায় অভিভাবকরা সম্পৃক্ত হন না, যা মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অন্তরায়। মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষার মান চাকরির বাজারে সঙ্গে খুব বেশি প্রাসঙ্গিক নয়। সাধারণ শিক্ষার্থী ও মাদ্রসা শিক্ষার্থীদের শিখন ও ফলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই ধারার পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের স্কোর কম। এছাড়া অন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা।

যেগুলো সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে চলে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অ্যাফিলিয়েটে কলেজগুলোর জন্য রয়েছে আলাদা চ্যালেঞ্জ। এছাড়া পাবলিক বিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ আছে। পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা তথা দক্ষতা উন্নয়ন ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে দীর্ঘ লাইনের যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে- রেকর্ড দেখে ভিসি দিন দুর্নীতির খবর নিন, ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই, ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই অবিলম্বে ভিসি চাই, সেশনজটের কবর চাই, সংস্কার মনা ভিসি চাই, সৎ ও সাহসী ভিসি চাই, ইবির আঙিনায় দুর্নীতির ঠাঁই নাইসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য নিয়ে আর কোনো তাল বাহানা চলবে না। অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। গত ১৫ বছর দলীয় লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা আর কোনো লেজুড়বৃত্তির উপাচার্য চাই না। আমরা নিরপেক্ষ, সৎ, দক্ষ ও শিক্ষার্থীবান্ধব, একাডেমিশিয়ান উপাচার্য চাই। যিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সমানভাবে দেখবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় তার উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে পড়েছে। তাই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবে এমন উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এমন উপাচার্য চাই না যিনি দিনে দুর্নীতি করবে, আর রাতে মাদকের আসর বসাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগকে সেশনজট মুক্ত করবে, এমন উপাচার্য চাই।

তারা আরোও বলেন, যদি অনতিবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়া হয়। তবে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। অবিলম্বে একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। বিগত সময়ে উপাচার্যরা রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট হয়ে দলের হয়ে কাজ করেছেন। দুর্নীতির রেকর্ড যাদের আছে, তাদের আমরা আর উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাই না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

ঢাবিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ শিক্ষার্থীকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যেসব তথ্য দিয়েছে সেগুলো এখন যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মুত্তাকীন সাকিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।

শাহবাগ থানা পুলিশ জানায়, তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব কে দিয়েছে, তোফাজ্জলকে প্রথমে কারা ধরে নিয়ে এসেছিল এবং হত্যাকাণ্ডে আরও কে কে জড়িত ছিল। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল তাও জানতে চাওয়া হয়।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.খালিদ মনসুর বলেন, গ্রেপ্তার ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা আমাদেরকে বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়েছে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা।

গ্রেপ্তার ছয় জনের পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন: তাদের আদালতে তোলা হবে। তবে আমরা রিমান্ড আবেদন করব নাকি গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেবেন এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা দুই ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যায় তোফাজ্জল ফজলুল হক মুসলিম হলে ঢুকলে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে চোর সন্দেহে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি বলেন, যদি তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আসল চোরদের কথা বলবেন।

শিক্ষার্থীরা তাকে ভাত খাওয়ান। কিন্তু তিনি চোরদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি। এরপর ওই শিক্ষার্থীরা রাত ১০টা থেকে শুরু করে দুই ঘণ্টা তাকে মারধর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যু হয় তোফাজ্জলের।

তোফাজ্জলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শরীফা আক্তার জানিয়েছেন, তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার আগে তাদের কাছে ফোন করে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল।

মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে পিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী নামক এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এছাড়া তিনি ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তোফাজ্জল বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স করেছেন।

তোফাজ্জল আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ২০১১ সালে বাবা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ও ২০১৪ সালে তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বড় ভাই নাসির উদ্দিনের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেছেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের পর থেকেই তোফাজ্জল মানসিকভাবে অসুস্থ হতে শুরু করেন। এ সময় তাকে ৩ মাস রিহ্যাবেও রাখা হয়েছিল। এরপর তোফাজ্জল কিছুটা সুস্থ হলে ২০২৩ সালে তার বড় ভাই নাসির উদ্দিনও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন তিনি। এতে তোফাজ্জল আবারও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর)। এরই মধ্যে হলগুলোতে এসেছে প্রায় ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতি করা প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী এসএম হল। প্রবেশ মুখেই অভিযোগ বক্স রাখা হয়েছে। সামর্থের মধ্যে যতোটুকু সম্ভব ততোটুকুই সাজিয়ে রাখা হয়েছে টিভি রুম, মিলনায়তনসহ পুরো ছাত্রাবাস।

সবগুলো হলে এরই মধ্যে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উঠেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, হল রুম, গণরুম সংস্কৃতি এখন আর নেই।

শিক্ষকরা বলছেন, হলের পরিবেশ আগের চেয়ে যথেষ্ট ভালো করার চেষ্টা করেছেন তারা। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে শিক্ষকরা বলছেন-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক ড. অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, এর আগে সিন্ডিকেটের এক সভায় ২২ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রত্যেক হল প্রাধ্যক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় সব ধরনের গণরুম প্রথা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ এর প্রথম ধাপে (বরিশাল, রংপুর,সিলেট) বৈষম্য নিরসন ও চলমান শূন্যপদ পূরণ সাপেক্ষে প্যানেলে ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা।

রাজধানীর মিরপুরে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন- প্রথম ধাপের শূন্য পদের সাপেক্ষে প্যানেলে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে বৈষম্য নিরসন ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের থেকে চলমান শূন্যপদ পূরণের দাবিতে স্মারকলিপিও পেশ‌ করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে বেশ কিছু গুরুতর অনিয়ম ও বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। এ বৈষম্যের কারণে অসংখ্য মেধাবী নিয়োগবঞ্চিত হয়েছে। আমরা এই বৈষম্যের একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।

প্রথম ধাপে আবেদন করে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন ও চূড়ান্ত নিয়োগ পান ২ হাজার ৪৯৭ জন। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ৬৪৭ জন। চূড়ান্ত নিয়োগ পান ৫ হাজার ৪৬ জন।

তৃতীয় ধাপে আবেদন করে ৩ লাখ ৪০ হাজার জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন। শোনা যাচ্ছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হবেন ১০ হাজার জনের ওপরে। এই তথ্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, চূড়ান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপের সঙ্গে বড় ধরনের বৈষম্য করা হয়েছে, যেখানে সব ধাপেই প্রায় সমানসংখ্যক পরীক্ষার্থী ছিল। শূন্যপদ পূরণ না করা প্রথম ধাপের সার্কুলারে উল্লেখ ছিল শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেখানে আমরা অধিদফতরে যাচাই করে দেখেছি প্রদত্ত শূন্যপদের বিপরীতে ৪০% ও নিয়োগ দেওয়া হয়নি, যা আমাদের সঙ্গে প্রহসন। এমনকি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিপত্র ও মানা হয়নি, যেখানে জরুরি ভিত্তিতে ৯০% রাজস্ব খাতভুক্ত পদ পূরণের কথা বলা হয়েছিল। ফলে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-শূন্য অবস্থায় রয়ে গেছে। এতে যথাযথ শিক্ষা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটছে।

বহু শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও প্যানেল থেকে নামমাত্র ৫৪ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এতে মেধাবী প্রার্থীদের নিয়োগের সুযোগ হরণ করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ২৪৯৭ জন প্রার্থীর প্রশাসনিক অনুমোদন পত্রের সঙ্গে ২ হাজার ৭৭২ জন অপেক্ষামাণ প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর কোনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

নিয়োগ প্রত্যাশীদের দাবিসমূহ হচ্ছে-

১. বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে সংগঠিত সব ধরনের অনিয়ম ও বৈষম্যের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা মেধাবী প্রার্থীদের থেকে শূন্য পদগুলো আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পূরণ করতে হবে। যেখানে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩% মেধা ও ৭ পার্সেন্ট কোটায় নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ২ হাজার ৭৭২ জনের অপেক্ষমাণ পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের বৈষম্য না ঘটে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার। একই সঙ্গে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সেই পোস্টে বলা হয়েছে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) খাগড়াছড়ি ও আজ (শুক্রবার) রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর জনৈক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সকল জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।

পোস্টে আরো বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। আইন নিজ হাতে তুলে নেয়া এবং যে কোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ।

সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে আরো বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি খুব শিগগিরই গঠন করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানানো হয়েছে। এ প্রতিনিধি দলে থাকবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ নিয়োগ বিধি না মেনে ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ২০১৩ সালে নিয়োগ পাওয়া ৪ হাজার ১০০ জন ডিপ্লোমা নার্সের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আপিলের ডিভিশন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিরুদ্ধে দাখিল করা আপিল খারিজ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিলের ডিভিশন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি খাঁন মো. গোলাম মোর্শেদ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শাখাওয়াত হোসেন খান। এর আগে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইযারুল হক আকন্দ ২০১৩ সালের রিট পিটিশন নং ৭৮৮১/২০১৩ শুনানি শেষে এসব ডিপ্লোমা নার্সের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

রায়ে বলা হয়, নার্সিং নিয়োগ বিধি ১৯৭৯ না মেনে ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বয়স ৩০ এর স্থলে ৩৬ করে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা পাস নার্সদের মধ্য থেকে ৪ হাজার ১২৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে ২০১৩ সালে সরকার একটি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চার বছর মেয়াদি বিএসসি ডিগ্রিধারী নার্সরা আবেদন নিবেদন করার পরেও সেখানে বিএসসি পাস নার্সদের কোনো পদ রাখা হয়নি। এরপর বিএসসি পাস নার্সদের মধ্য থেকে ২৬ জন শিক্ষার্থী সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন।

রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য, পরিচালক নার্স বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে বিবাদী করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে জারি করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নার্স নিয়োগের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিয়ম না মেনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার বিচারপতির নিকট আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়ের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। আদালত তার আদেশে বলেন, রিট করা ২৬ জন শিক্ষার্থীর পদ খালি রেখে বাকি ৪ হাজার ১০০ জনকে নিয়োগ দিতে কোনো বাধা নেই।

পরবর্তীতে অপর একটি আবেদনে চেম্বার আদালত এই মর্মে একটি সংশোধনী আদেশ দেন উক্ত আদেশে সরকারের নিযোগের বৈধতা নির্ভর করবে হাইকোর্ট ডিভিশনের পূর্ণাঙ্গ রায়ের উপর। এরপর রিটকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার জজ এ মামলাটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন।

হাইকোর্ট বিভাগ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৩ সালে নিয়োগ পাওয়া ডিপ্লোমা নার্সদের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে পূনাঙ্গ রায় দেন ২০১৪ সালে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ডিভিশনের পূর্ণাঙ্গ রায়ের উপরে মহামান্য আপিলের ডিভিশন আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন এবং পূর্ণাঙ্গ আপিল দাখিল করার নির্দেশ দিলে সরকার পক্ষ সিভিল আপিল নং-৩৭৩/২০১৫ দাখিল করেন। উক্ত আপিলটি দীর্ঘ ১০ বছর পর মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন খারিজ করেন। এমতাবস্থায় মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের রায়টি বহাল থাকে এবং ৪১০০ জন নার্সের নিযোগের অবৈধ থাকে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুরঃ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেই ফ্যাসিস্টদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেন এই কার্যক্রমগুলো দ্রুত শেষ করা হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষা-গণমাধ্যমসহ কয়েকটি কমিশন গঠনের পরিকল্পনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে বাংগাখাঁ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ওপর যেভাবে নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। সে ফ্যাসিস্টদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। সে যে হোক না কেন? যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেন এই কার্যক্রমগুলো দ্রুত শেষ করা হয়। সারা দেশে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। অনেক মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।’ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলাগুলোর কার্যক্রম যেন শেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন তিনি।

বিভিন্ন সেক্টরের সংস্কারের কাজ চলছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতিমধ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই কমিশনগুলো নিয়ে বৈঠক হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকে সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া শিক্ষা-গণমাধ্যমসহ আরও কয়েক সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা চলছে। সে অনুযায়ী রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে। রূপরেখা অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম চলবে।’

এবারের ভয়াবহ বন্যায় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও ছাত্র-জনতা সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ নিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের এই কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে বিভিন্ন খাল দখল করার কারণে বন্যার পানি নামতে বিলম্ব হচ্ছে। খালগুলোর ওপর অবৈধ বাঁধ দ্রুত অপসারণ করা হবে।’

এর আগে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউসে এলে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে বাংগাখাঁ উচ্চবিদ্যালয় ও মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা পরিদর্শন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে শহর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় সেনাবাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার, পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, লে. কর্নেল মাজেদুল হক রেজা, মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জে পি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram