শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান রাতে  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে মিটিং করেছি। জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় অংশ নেওয়া সব সদস্যদের সম্মতিক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি, সবাই ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন।

এদিকে, ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত। নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টির অগ্রযাত্রা শুরু হোক আজ থেকে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। আগামী দুবছরের জন্য তাকে প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট হিসেবে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীনকে নিযুক্ত করা হলো। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে। এছাড়া তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

সিরাজগঞ্জঃ  পাঁচ দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে বেলকুচি উপজেলার আজগড়া এলাকায় অবস্থিত ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাত্র প্রতিনিধি সুমন হোসেন, সুরভি আক্তার, আল মুক্তাদির বিল্লাহ এবং আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গত ১২ দিন ধরে ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসলেও কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। মৎস্য ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে গত ২৭ আগস্ট মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে, দায় সারা আশ্বাস দিয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন এবং সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচির ডাক দিয়েছি, দ্রুত দাবি আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এ এম রিফাত হাসান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সংবিধির ১৪(১) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এ এম রিফাত হাসানকে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ আদেশ আগামী ১৯/০৯/২০২৪ তারিখ হতে কার্যকর হবে। এছাড়া তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা আকতার খাতুন। আগামী তিন বছরের জন্য তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আফছানা বিলকিসের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ডার, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদে ৯(৩)(সি) অনুযায়ী সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা আকতার খাতুনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের পরিচালক হিসেবে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের খায়রুজ্জামান খান সানি সভাপতি ও আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আশিকুর রহমান সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

নব মনোনীত সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, আমার দায়িত্বের শুরুতে লেখক ফোরামের মৌলিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লেখালেখির সংখ্যা ও মান বৃদ্ধি, ইবি শাখার নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং মানসম্মত ও সৃষ্টিশীল লেখক তৈরিতে জোর দিতে চাই। এমনকি একবিংশ শতাব্দীর সাথে তাল মিলিয়ে একাডেমিকের বাইরে প্রযুক্তিগত বিষয়ে তরুণ লেখকদের দক্ষ করে তোলা এবং সকলের সহযোগিতায় ইবি শাখার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি ঘটাবো বলে বিশ্বাস রাখি।

সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানি বলেন, আমাকে ইবি শাখার সভাপতি মনোনীত করায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আশা করছি সকলের ঐক্যবদ্ধ, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। তরুণ লেখকদের পরামর্শ দেওয়া, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম। এছাড়া ইবি শাখা পরপর চার বারের বর্ষসেরা শাখা নির্বাচিত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এই দাবিটি দৃঢ় আইনি রূপ নেয়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যা, নির্যাতন থেকে শুরু করে গুম পর্যন্ত- বিভিন্ন অপরাধের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করে, নয়াদিল্লির আইনগত পদক্ষেপ কী হবে?

১৯৬২ সালে ভারতের প্রত্যর্পণ আইন ছাড়াও ২০১৩ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ আইনি দলিল। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ১২(২) ধারায় ভারতের প্রত্যর্পণ আইনের সংশ্লিষ্ট অংশগুলো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানাতে ২০১৩ সালের চুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে বাংলাদেশ। চুক্তির ১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতকে শুধু তাদের ভূখণ্ডে প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ (ভারতীয় ও বাংলাদেশের আইনে কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ডের শাস্তিযোগ্য) অন্য দেশের ভূখণ্ডে প্রত্যর্পণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এটি সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও হয়, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশের আদালতে এখনো দোষী প্রমাণিত না হলেও হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। তার বিরুদ্ধে এসব অপরাধের অভিযোগ আনাই ভারত থেকে তার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য যথেষ্ট।

এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রত্যর্পণ চাওয়ার জন্য অনুরোধকারী রাষ্ট্রের পক্ষে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা উপস্থাপন করাই যথেষ্ট। সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ অনুরোধকৃত রাষ্ট্রের সাথে শেয়ার করার দরকার নেই। এটি ২০১৬ সালে চুক্তিতে করা একটি সংশোধনী। মূল চুক্তিতে অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ প্রমাণগুলো অনুরোধকৃত রাষ্ট্রের সাথে শেয়ার করার প্রয়োজন ছিল। অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ ত্বরান্বিত করতে ২০১৬ সালে প্রমাণগুলো শেয়ার করে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করা হয়েছিল।

তাই বাংলাদেশ এ ধরনের অনুরোধ করলে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিতে কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রমের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথমত সংবিধানের ৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অপরাধটি রাজনৈতিক চরিত্রের হলে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ৩১(১) ধারায়ও এই রাজনৈতিক ব্যতিক্রমের বিধান রয়েছে। তাহলে হাসিনার প্রত্যর্পণ ঠেকাতে ভারত কি এসব ধারার ওপর নির্ভর করতে পারবে? এর উত্তর 'না'। কারণ চুক্তির ৬(২) অনুচ্ছেদে সুনির্দিষ্টভাবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয়ত ৭ নং অনুচ্ছেদে অনুরোধ করা রাষ্ট্রকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে- যদি সেই ব্যক্তির অপরাধের জন্য অনুরোধ করা রাষ্ট্রের আদালতে বিচার করা হয়। এই বিধানটিও হাসিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ ভারতের আদালতে হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, তা দেখানোর মতো কিছুই নেই।

তৃতীয়ত, চুক্তির ৮(১)(এ)(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না যদি তিনি অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে সন্তুষ্ট করেন যে, সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে প্রত্যর্পণ করা অন্যায় বা নিপীড়নমূলক হবে। সন্তুষ্ট করতে হবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ 'ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে' করা হয়নি। একই নীতি ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ২৯ ধারায় প্রতিফলিত হয়েছে। হাসিনার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হতে পারে।

ভারতের হাতে আরেকটি আইনি বিকল্প আছে। চুক্তির ২১(৩) অনুচ্ছেদে নোটিশ দিয়ে যে কোনো সময় এই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ভারতকে। নোটিশের তারিখের ছয় মাস পর থেকে চুক্তির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাবে। ভারত এই বিকল্পটি ব্যবহার করবে কিনা তা নির্ভর করবে নয়াদিল্লির বন্ধু শেখ হাসিনাকে ভারত কতটা মূল্য দেয় তার উপর। যদিও নয়াদিল্লি হাসিনার পাশে দাঁড়াতে চায়, তবে একতরফাভাবে চুক্তিটি বাতিল করা ঢাকার সাথে তার সম্পর্ককে তিক্ত করতে পারে।

(ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে লেখা ভারতের ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুলের অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জনের মতামত)

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করার সুপারিশ প্রত্যাহার না করলে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) অভিমুখে লংমার্চ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই লংমার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষণা অনুযায়ী আগামী রবিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই লংমার্চ শুরু হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সগির কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আমরা এই ৩৫/৬৫ বয়সসীমা বাতিল চাই। স্বাধীন দেশে আমরা বৈষম্য চাই না। শিক্ষার্থীদের স্বাধীন করা দেশে আমলাদের সুবিধা নিতে দেবো না। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আগামী রোববার আমরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে পিএসসি অভিমুখে লংমার্চ করব। সব শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছেন মাহমুদ হোসাইন।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ এর ধারা ৭(১) এবং ৯(২) অনুযায়ী মাহমুদ হোসাইনকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে বিটিআরসির কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মাহমুদ হোসাইনকে তার যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী ক্যাটাগরিতে বিটিআরসির কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।

এতে আরো বলা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

মো. মুজিবুর রহমান।।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার উদ্দেশ্যে কয়েক দিন আগে সুনির্দিষ্ট ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যে ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠনের ঘোষণা এসেছে সেগুলো হলো—নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন।

ঘোষিত ছয়টি কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে কমিশনের প্রধান হিসেবে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিকের নামও প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আশা করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশন উপযুক্ত সুপারিশমালা প্রণয়ন করে সরকারের কাছে পেশ করবে।

কিন্তু শিক্ষা দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদার একটি হলেও এ নিয়ে কোনো কমিশন গঠনের ঘোষণা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। হয়তো পরবর্তীকালে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে কোনো কমিশন বা কমিটি গঠন করা হলে হতেও পারে। তবে শিক্ষা সচেতন নাগরিকদের মধ্যে শিক্ষা কমিশন গঠন নিয়ে যথেষ্ট ঔৎসুক্য বিরাজ করছে।

কারণ, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি রাষ্ট্রে যত রকমের উন্নয়ন ঘটে, তার সবই ভিত্তি হিসেবে কাজ করে একটি কার্যকর ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষাকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা চিন্তাও করা যায় না। এ কারণে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার বা উন্নয়ন করা অনেক জরুরি।

বর্তমানে দেশের প্রায় সব স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা একরকম ভেঙে পড়েছে। নিচের স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ব্যাপকহারে অনুপস্থিতির ফলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা দিন দিন কোচিংমুখী হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে বর্তমানে নবম শ্রেণিপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তারা দশম শ্রেণিতে উঠে কী পড়বে, কীভাবে তাদের মূল্যায়ন হবে, এসব নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি।

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণোদ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুতর বিঘ্ন ঘটছে। এ পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে আরও যেসব সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হলো—মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম আধুনিকায়ন করা সংক্রান্ত। মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২০২১ সালে একটি শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরে এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। এর আগের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছিল ২০১২ সালে। প্রায় ৯ বছর পর একটি নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হলেও, শুরু থেকেই এটি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানারকমের আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে। অভিভাবকদের অনেকেই এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এমনকি তারা নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন। শিক্ষকদের এক বিরাট অংশও এ নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আপত্তি তুলে ধরেছেন। এ শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণগত জটিলতা বিরাজ করছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রমে বর্ণিত মূল্যায়ন পদ্ধতি বুঝতে পারেননি।

তা ছাড়া শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে এনসিটিবি থেকে প্রদত্ত নির্দেশনা ঘন ঘন পরিবর্তন করার কারণে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছে। পাঠ্যপুস্তকেও রয়েছে নানা ধরনের সমস্যা ও অসংগতি। পরীক্ষার ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রচলিত গ্রেডিং সিস্টেমকেও উপেক্ষা করা হয়েছে। ফলে সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিভাবকরা দুর্ভাবনায় পড়েছেন।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন শিক্ষাক্রম পরিবর্তন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বছরের শেষে মাধ্যমিক স্তরে যে পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে, তা হবে তিন ঘণ্টার। এর আগে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে পাঁচ ঘণ্টা ও ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চার ঘণ্টার মূল্যায়নের কথা ছিল। তবে মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে এনসিটিবি চূড়ান্ত নির্দেশনা দেবে বলে জানা গেছে। কিন্তু নির্দেশনা যাই আসুক না কেন, বর্তমান শিক্ষাক্রমের পুরোটাই পরিমার্জন বা সংস্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হবে।

বিশেষ করে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক নিচের শ্রেণি থেকে পরবর্তী ওপরের শ্রেণির বিষয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং একইভাবে একই শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে। একটি ভালো ও বাস্তবভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য নির্দিষ্ট প্রবাহ থাকতে হবে। এটি শুধু পাঠদানের বিষয়বস্তুর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক নয়, বরং অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে একটি আন্তঃসম্পর্ক থাকতে হবে। এই লক্ষ্যে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শনাক্তকরণ, পাঠের বিষয়বস্তু ও পাঠদান পদ্ধতি নির্ধারণ, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাক্রম মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এসব ধাপের কোনোটা উপেক্ষা করে ভালো শিক্ষাক্রম তৈরি করা যায় না।

বর্তমান শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে নতুন করে করতে গেলে যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিশ্চিত করা দরকার তা হলো, যারা এ শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সঙ্গে বিগত দিনে জড়িত ছিলেন, তাদের পুনরায় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন করে নতুন আঙ্গিকে নতুন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিতে হবে। বিশেষভাবে লক্ষ রাখা দরকার শিক্ষাক্রম বিষয়ে যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, অর্থাৎ যারা সত্যিকারভাবেই শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, তাদের হাতেই এর দায়িত্ব তুলে দিতে হবে।

এর কারণ, শিক্ষা ক্যাডারে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিশেষায়িত পদে পদায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখার তেমন কোনো রেওয়াজ নেই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ নামে কিছু পদ আছে। এসব পদে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাই পদায়ন পেয়ে থাকেন। কিন্তু পদায়নের ক্ষেত্রে পদের নিজস্ব যোগ্যতা বিবেচনা না করে শুধু ক্যাডার কর্মকর্তা হলেই পদায়ন হয়ে যায়! অনেক সময় তদবির বেশি কাজ করে। অথচ শিক্ষা ক্যাডারে প্রশিক্ষণে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব নেই।

একইভাবে এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ নামে যেসব পদ রয়েছে, সেসব পদে শিক্ষা ক্যাডার থেকে পদায়ন হলেও ওই বিশেষায়িত পদে পদায়িত অনেকেরই কারিকুলাম বিষয়ে কোনো ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ তো থাকেই না, এমনকি কারিকুলাম সম্পর্কে সাধারণ ধারণাও থাকে না। ফলে এসব কর্মকর্তার কেউ কেউ কারিকুলাম প্রণয়ন করতে গিয়ে শিখনফল, শিখন অভিজ্ঞতা, শিখন দক্ষতা, পাঠদান পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে একপ্রকার তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। অথচ কারিকুলামে পিএইচডি করা শিক্ষকও আমাদের শিক্ষা ক্যাডারে আছেন।

এনসিটিবিতে যারা সম্পাদক, প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান, তাদের সবারই সম্পাদনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। যদি এমনটি করা হয়, তাহলে আর এনসিটিবি প্রকাশিত বইয়ে এত ভুল থাকার কথা নয়। অনেক সময় শুধু সম্পাদনার ভুলের কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যায়!

আলোচ্য সমস্যার বাইরে আরও নানামুখী সমস্যায় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একপ্রকার জর্জরিত। এসব সমস্যা যেমন এক দিনে দূর করা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি সরকারি সাধারণ আদেশ, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন জারি করে এগুলো নিরসন করা যাবে না। এর জন্য দরকার একটি উপযুক্ত শিক্ষা কমিশন।

যেহেতু এখন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করছে, তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা আশা করি, প্রায় ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরে সংস্কারের জন্য অতি দ্রুত একটি উপযুক্ত অন্তর্বর্তী শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।

লেখক: অধ্যাপক (শিক্ষা) ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ

সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (মহিলা), ময়মনসিংহ।

রেহানা পারভিন রিয়া:  আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক - চতুর্থাংশ কিশোর - কিশোরী। এই কিশোর -কিশোরীদের শিক্ষা, জীবন দক্ষতা ও স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করছে দেশের সার্বিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

শিশু জন্মগ্রহণের পর থেকে পরিবারের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। শিশুর প্রথম বুলি মায়ের কাছ থেকে শেখা। ধীরে ধীরে শিশু পারিবারিক আদর্শে বেড়ে ওঠে। শৈশব ও যৌবন - এই দুয়ের মাঝে কৈশোরকাল একটি সেতুর মতো কাজ করে। তাই কৈশোরকাল শিশু জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিছুদিন আগে যে শিশুটি মা- বাবা ও পরিবারের ছোট্ট গন্ডির মধ্যে বেড়ে উঠেছিল - ধীরে ধীরে সে বাইরের পরিবেশে মিশতে শুরু করে। একই সময়ে তার শরীর এবং মনেও আসে নানা ধরনের পরিবর্তন। সবকিছু মিলিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করে সে।কৈশোরের শিক্ষা, জ্ঞান ও অভ্যাস তার পরবর্তী জীবনের উপর অনেকখানি প্রভাব ফেলে। কাজেই বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে কিশোর কিশোরীদের যেমন সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন - তেমনিভাবে বাবা - মা, পরিবার তথা সমাজের সবাইকে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহযোগিতার জন্য এখনই এগিয়ে আসা জরুরি। এ সময়ে তাদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ। শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যগত দিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। সুস্থ দেহ সুস্থ মন তৈরি করে। তাই কৈশোর বয়সে তাদের সুস্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন করতে হবে।

শিশুর ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়ে তুলতে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও আধুনিক করতে সরকারের জোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। জীবন গড়ার সূচনালগ্নে কোনো শিশু যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় - সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন।

প্রাথমিক স্তর থেকে শিশুর নীতি নৈতিকতার শিক্ষাসহ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ জাগ্রত করা উচিৎ এই বয়সেই। এ জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সকলের ভূমিকা অপরিহার্য।

লেখক:প্রধান শিক্ষক, ১২৩ নম্বর মোরেলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট।

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৪

বিনোদন ডেস্ক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার হয়ে মারা গেছেন সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ। এ নিয়ে নেটদুনিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। বিষয়টি লজ্জার ও বেদনার বলে মন্তব্য করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুমি যদি স্বাধীনতার মর্ম না বোঝো, তাহলে তুমি স্বাধীনতার স্বাদ হারাবে। আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিল যে, সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার। হাতে অস্ত্র আছে অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মারো, মেরে ফেলো। ফল কি হয়েছিল আমরা জানি।’

প্রশ্ন রেখে নির্মাতা বলেন, ‘আচ্ছা স্বাধীনতার পর না হয় একটা বিশৃংখল অবস্থা ছিল, এমন কী যখন আওয়ামী লীগের কঠিন আঁটুনির ভেতর আটকা ছিল দেশ, তখনও কি আমরা বাড্ডার এক মাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারি নাই? রংপুরে নামাজের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে মেরে পুড়িয়ে দেই নাই?’

সবশেষে ফারুকী লিখেছেন, ‘আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমার উপলব্ধি করব। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। একশ জন মববাজি করতে আসলে দুইজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এরকম চারজন ছিল না রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার। সবাই দায়িত্ব নিই চলেন। মববাজি বন্ধ করেন। ফ্যাসিবাদিদের ফাও আলোচনার বিষয় উপহার দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, প্লিজ। আলোচনাটা থাকতে দেন রিফর্মে, ফ্যাসিবাদের বিচারে।’

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram