শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্যাতনের শিকার এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যৌথভাবে কাজ করবে ইউজিসি ও ইউনেসকো। এ বিষয়ে ‘সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউসিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে ইউনেসকো বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।

সভায় ড. সুজান ভাইজ বলেন, সাম্প্রতিক শিক্ষার্থী আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে। এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তাঁদের এই মুহূর্তে অনেক বেশি সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ইউনেসকোর এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য অংশীজনের সামাজিক ও মনোদৈহিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা–সংক্রান্ত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধ তৈরি করা হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি একটি চমৎকার প্রস্তাব। সময়োপযোগী এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউজিসি পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে। এই প্রকল্প দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের দমন-পীড়নে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ইউনেসকোর প্রস্তাব বাস্তবায়নে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বহু শিক্ষার্থী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনার জন্য এটি সহায়ক হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

প্রস্তাবিত এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে পরবর্তীতে ১৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি সম্প্রসারণ করা হবে।

সভায় ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ ইউজিসি ও ইউনেসকোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভায় চার-সদস্যের ইউনেসকো বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ড. সুজান ভাইজ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে এবারের জেএসসি ও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বর নিয়ে (বিষয় ম্যাপিং) ফলাফল ঘোষণা করা হবে। চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবার কিছু পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়ন করে ফল তৈরি হবে। আর বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করা হবে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও জেএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। এ কারণে ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাড়ে ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, শিক্ষার্থীরা এবারের ফলাফল নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। তাদের উদ্বেগের মধ্যে রাখতে চায় না কর্তৃপক্ষ। সেজন্য দ্রুত ফল প্রকাশে কাজ করছেন তারা।

বোর্ডের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আগামী সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশের প্রস্তাবনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফল প্রকাশ সম্ভব হবে। প্রস্তাব অনুমোদনে দেরি হলে ফল প্রকাশ আরও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে তৈরি করা হবে, তার একটি প্রস্তাবনা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা ‘আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি’। সেখানে বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর জন্য এসএসসির ৭৫ শতাংশ নম্বর এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ নম্বর সমন্বয় করে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই প্রস্তাবনা এখনো অনুমোদন হয়ে বোর্ডে আসেনি। সেটা হাতে পেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ শিক্ষার্থীদের জানাতে পারবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, ফলাফল তৈরির প্রক্রিয়া ঠিক করতে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। শিগগির তাতে অনুমোদন দেওয়া হবে। এ সপ্তাহের মাত্র একদিন (বৃহস্পতিবার) বাকি। সেজন্য আগামী সপ্তাহের শুরুতে প্রস্তাবনা অনুমোদন হতে পারে।

জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে  বলেন, ‘প্রস্তাবনা যেটা পাঠিয়েছি, সেটা অনুমোদন হয়ে আজ পর্যন্ত আসেনি। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ চলছে। শিগগির পেয়ে যাবো হয়তো। এ সপ্তাহে না হলে আগামী সপ্তাহে সেটা অনুমোদন হতে পারে।’

যদি আগামী সপ্তাহে প্রস্তাবনা অনুমোদন হয়, সেক্ষেত্রে এইচএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ বা সময় কখন হতে পারে—এমন প্রশ্নে তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা চূড়ান্ত হলে আমরা অক্টোবরের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে ফল প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ পার হবে না হয়তো। শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই না তাদের আরও বেশি উদ্বেগের মধ্যে রাখতে। সেজন্য দ্রুত সবকিছু করার চেষ্টা হচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি। একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  গণমাধ্যমকে  বলেন, ‘শুধু এটুকু বলতে পারি, এ সপ্তাহে প্রস্তাবনা পাঠানোর সম্ভাবনা কম। সোম বা মঙ্গলবারের দিকে হয়তো বিষয়টি সলভ (সমাধান) হয়ে যাবে। তখন এটা (ফল তৈরির প্রস্তাবনা) সেখানে (আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি) চলে যাবে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সম্প্রতি সংস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ছয়টি কমিশনের একটি ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন, যেখানে ড. শাহদীন মালিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। এই কমিশনের প্রধান হিসেবে তার পরিবর্তে আলী রীয়াজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলো।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। এই কমিশনের প্রধান হিসেবে তাঁর পরিবর্তে আলী রীয়াজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপক শাহদীন মালিক পেশাগত ব্যস্ততার কারণে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি, গণতন্ত্রীকরণ, সহিংস চরমপন্থা এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষজ্ঞ একজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বহিরাগতমুক্ত করতে অতিদ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে প্রক্টর অফিস।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে অবস্থানকালীন শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল আবাসিক/অনাবাসিক ও দ্বৈতাবাসিক শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে বহিরাগতমুক্ত করার লক্ষ্যে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে অভিযান পরিচালিত হবে।

সে লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে অবস্থানকালীন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ করা যাচ্ছে। যে সকল শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে তাদের উপযুক্ত প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ করছি।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির এক জুম সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) দুজন সদস্য, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা, ইউজিসির সচিব, সিভাসুর রেজিস্ট্রার এবং ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে । এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে (https://acas.edu.bd) পাওয়া যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বুধবার যুগ্মসচিব মো. সাজজাদুল হাসান স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ অধিশাখা থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রাপ্তপত্র এইসঙ্গে পাঠানো হলো।’

এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বর্ণিত বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই দাবিতে গত সপ্তাহেও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে শত শত চাকরিপ্রত্যাশী শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে শহরের গুরত্বপূর্ণ এ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনরতরা জানান, তারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবিতে এখানে অবস্থান করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ‘আমরা গত ১৪ বছর ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজও তার সমাধান পাইনি।’ বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনা করেন তারা।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও এ নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন। এ বছরের ৩ জুলাই সংসদে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি বলেছিলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনজট নেই। আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সমীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং বেশি বয়সী (২৯ এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে কম ১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।

তিনি জানান, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূণ্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

রাসেল আহমেদঃ সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ছয়টি সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অবশ্যই এগুলো সংস্কার করা জরুরি। কিন্তু কিছুটা হতাশার ব্যাপার হলো অন্যান্য সরকারের মতোই এই সরকারও তার ফাস্ট প্রায়োরিটিতে শিক্ষাকে রাখতে পারলেন না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের কাছে অনেকেরই অনেক কিছু চাওয়া থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণও স্পষ্ট, বিগত সময়গুলোতে বাংলাদেশে ইনসাফের ভিত্তিতে কিছু হয়নি। যা হয়েছে কিছু মানুষের ব্যক্তিস্বার্থের ভিত্তিতে হয়েছে৷

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ধারা মোটাদাগে দুটি। রাষ্ট্র পরিচালিত সাধারণ শিক্ষা। এ ধারার অধীনে আছে– বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম, বাংলা ভার্সন ও আলিয়া মাদ্রাসা। অপরদিকে সমাজ পরিচালিত স্বতন্ত্র মাদ্রাসা শিক্ষা ধারা। এই ধারার ওপর রাষ্ট্রের তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ ছাড়া শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানাধীন নানা ধরনের কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে। এসব স্কুলে রাষ্ট্র নির্দেশিত সিলেবাস নাম মাত্র অনুসরণ করে বাহারি প্রকাশনীর নানা বই পড়ানো হয়। এদিকে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে শিক্ষা সংস্কার কমিশন দরকার।

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী থেকে শুরু করে বাংলাদেশে সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছে শিক্ষা খাত। সাংবিধানিক অঙ্গীকার ছিল একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা যা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকার কারণে নানা ধরনের বৈষম্যের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বড় হচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা মানভিত্তিক নয় বরং প্রজেক্ট ভিত্তিক। নানামুখী প্রভাবে অসহায় দেশের শিক্ষাঙ্গন। দেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেন গিনিপিগ! আজ এই বই তো কাল সেই বই। পাঠ্যপুস্তকের বাহারি ধরন শেখাতে ও শিখতে গুরু-শিষ্যের সম্পর্কটা আর গড়ে ওঠে না। অনেকগুলো শিক্ষা কমিশন হয়েছে নামমাত্র। কোনোটিরও সফল বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি, সর্বশেষ কারিকুলামের সঙ্গে কবীর চৌধুরী শিক্ষা কমিশনের প্রস্তাবের মিল নেই! আসল কথা হলো, এই কারিকুলামও একটি প্রজেক্ট। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন কমিটি, শিক্ষা অফিসের নানা অযাচিত আদেশ নির্দেশ, জনবল সংকট, শিক্ষকদের পদ-পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তো আছেই।

সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। অতীতে আমরা ফিরে না যাই, আমার প্রস্তাব হলো, ১. অবিলম্বে দেশে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ২. সাংবিধানিক অধিকার দিয়ে স্থায়ী স্বাধীন ‘শিক্ষা কমিশন সচিবালয়’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর প্রধান হবেন পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদার সমান। এই সচিবালয়ের অধীনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা, এনসিটিবি, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ, শিক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ৩. একমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক ও কর্মোপযোগী শিক্ষানীতি গ্রহণের লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। ৪. এই কমিশন শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো তৈরি করবে, বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা সরকারি শিক্ষকদের মতো করার বিষয়টি বিবেচনা করবে। শিক্ষক নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, শাস্তি নিয়ন্ত্রণ করবে। ৫. এনসিটিবি যুগোপযোগী পাঠ্য পুস্তক প্রকাশনা করবে হঠাৎ করে নতুন কোনো বই পাঠ্যক্রমে যোগ করা যাবে না। নতুন বই যুক্ত করতে হলে ন্যূনতম তিন বছরের পাইলট প্রকল্প পরিচালনা করতে হবে, এসব প্রকল্পের প্রধানসহ শতকরা ৮০ ভাগ কর্মকর্তা হবেন সংশ্লিষ্ট বিষয় ও শ্রেণির শিক্ষক। পাঠ্য পুস্তকের ১০ ভাগের বেশি একবারে পরিবর্তন করা যাবে না। পাঠ্য পুস্তক প্রণয়ন বা পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িতদের ৭০ ভাগ হবেন সংশ্লিষ্ট বিষয় ও শ্রেণির শিক্ষক। ৬. প্রতিষ্ঠানে সব কমিটি বাতিল করার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এলাকাভিত্তিক রাজনীতির বলয় থেকে মুক্ত করতে হবে। প্রধান শিক্ষকই হবেন প্রতিষ্ঠানের অথরিটি, প্রাথমিকের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসই যথেষ্ট, আর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ থাকবে। ৭. কারিকুলাম ও পাঠ্য পুস্তকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংস্কার আনার আগে অনলাইনে শিক্ষকদের মতামত ও প্রস্তাবনা পেশের সুযোগ দিতে হবে। সর্বশেষে, চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের অনলাইনে ভোট প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ বা বর্জন করতে হবে।

আশা করি, জন-আকাঙ্ক্ষায় গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নিয়ে দেশের শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন।

লেখকঃ শিক্ষক 

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

তানজিদ শাহ জালাল ইমন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্ছে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধ্যা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান চলবে বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। আয়োজনকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে বুধবার দিনব্যাপী আয়োজন স্থানকে পরিপাটি করেন আয়োজকরা।

দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধ্যায় ইসলামিক সংগীত উপস্থাপন করবে, জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরব স্থানীয় শিল্পিগোষ্ঠী সুরমোহনা ও স্টুডিও ওয়ান এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকিরণ সাংস্কৃতিক সংসদ।

আয়োজক মেহেদি হাসান বলেন ❝বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চর্চার কেন্দ্র হলেও বিগত বছরগুলোতে ইসলামপন্থীরা বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে। বিগত দিনে ইসলাম কেন্দ্রীক কোনো অনুষ্ঠানই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে দিতো না। ২৪ এর বিপ্লবে যেসকল ভাই-বোনেরা বৈষম্য দূর করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে তাদের স্বরণে আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমতার ভিত্তিতে ‘দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধ্যা’ নামে যে সুস্থ,সুন্দর ও ব্যতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছি সেজন্য আনন্দিত। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি ও মুক্ত চর্চার পূর্ণতা দিতে চাই।❞

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন ❝২৪'র স্বাধীন বাংলায় আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতি চর্চার যে স্বাধীনতা পাচ্ছি তা সত্যি-ই আমাদের কাছে বড় পাওয়া। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই সবার সংস্কৃতি চর্চার স্বাধীনতা ফিরে পাক। জাত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসাথে হাতে হাত রেখে নতুন বাংলায় পথ চলবো এটাই প্রত্যাশা। সবাইকে দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধায় আমন্ত্রণ রইলো।❞

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভিসি নিয়োগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভিসি হিসেবে নিয়োগের দাবি জানানো হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। সেখানেই সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘আওয়ামীলীগের এজেন্ট কাউকে ভিসি হিসেবে চাই না’, ‘নিশ্চুপ ঘুমিয়ে থাকা বেহায়া, নির্লজ্জদের ভিসি হিসেবে চাই না’, ‘বসন্তের কোকিলেরা সাবধান’, ‘ঢাবি রাবি ভিসি পেল, ইবি কেন পিছিয়ে গেল… সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম পিছিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় যেসব শিক্ষকরা আমাদের পাশে ছিলেন, আমাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন, সেইসব শিক্ষকদের মধ্যে থেকে কাউকে ভিসি হিসেবে দেখতে চাই। আমরা বাইরের কাউকে আমাদের ভিসি মানি না। এ সময় বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি নিয়োগ দিলে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করারও হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট ইবির ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদত্যাগ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে ভিসিসহ শীর্ষ পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দেয়ার জন্য দফায় দফায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তের কথা শুনেই তদন্ত কর্মকর্তারা মাদ্রাসায় পৌঁছানোর পূর্বেই অন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভাড়া করে এনে নিজের শিক্ষার্থী বলে চালিয়ে দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হুলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজ (ইনডেক্স নং— ৩২০৮৫৮)।

মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসাটিতে তদন্তে আসেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা পরিদর্শক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও অডিট অফিসার মোঃ মতিয়ার রহমান। তারা মাদ্রাসাটিতে সকাল সাড়ে দশটায় পৌঁছানোর এক ঘন্টা আগেই মাদ্রাসাটিতে মাদ্রাসার ভাড়া করা শিক্ষার্থী নিয়ে এসে নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দেখানোর উদ্দেশ্যে তাদের মাদ্রাসাটিতে হাজির করেন। এসময় মাদ্রাসার প্রবেশ পথের পাশেই অন্তত  ১০ টি সিএনজি দেখা যায়।

সিএনজি চালকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, তাদের সিএনজিতে যে শিক্ষার্থী তারা এই মাদ্রাসায় এনেছেন তার অধিকাংশই কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, এর বাইরে মিয়ার বাজার মাদ্রাসা ও চিলাউরা মাদ্রাসার বেশ কিছু শিক্ষার্থী ছিল।। আমাদের সিনজি আগেই রিজার্ভ  করে রেখেছিলেন হুলিয়ারপাড়া জামেয়া  মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজ। আমরা শিক্ষার্থীদের বিকেল হলে তাদেরকে আবার নিয়ে যাব।

সিএনজি চালকরা আরও জানান, তাদের দুই দিনের জন্য বলা হলেও পরে বলা হয় একদিনের কথা। মঙ্গলবার এবং বুধবার তাদের এই শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু শুধু মঙ্গলবার বলে দেওয়া হয় আর লাগবে না। কি কারণে লাগবে না তা আমাদের জানাই নি।

তবে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই দিনের তদন্তের কথা বলা থাকলেও তদন্তে যেসব কাগজপত্র মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে সেগুলো তিনি দিতে পারেননি বলে সময় নিয়েছেন। ফলে দুই দিনের তদন্ত একদিনেই শেষ করে ফিরে গেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ে আসা এসব শিক্ষার্থীর অধিকাংশই কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। প্রবাসীদের অর্থায়নে চলা নন এমপিও এই মাদ্রাসার নেই কোন স্বীকৃতি এবং পরীক্ষার অনুমতি। ফলে নামে মাত্র প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে এর সব শিক্ষার্থীকে খাতা কলমে ভর্তি দেখানো হয় র হুলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার নামে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে গত ১৩ মে, ২০২৪ ইং তারিখে 'ধার করা' শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে হুলিয়ারপাড়া মাদ্রাসা ও দাখিল পরীক্ষা! শিরোনামে শিক্ষাবার্তা'য় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে,  মাদ্রাসার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুবিধার্থে লন্ডন প্রবাসী কর্তৃক ব্যাংকে প্রদত্ব ৪০ লাখ টাকা অন্যান্যদের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করা, অর্থ আত্মসাতের মামলায় ১৬ দিন জেল খাটা, জালিয়াতি করে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ, একই সাথে দুই পদে চাকরি, অর্থের বিনিময়ে বয়স ও কাবিন জালিয়াতি করে বাল্য বিবাহ দেওয়া, ভুয়া আবেদন ও স্বারক ব্যবহার করে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়ন নেওয়া, 'ধার করা' শিক্ষার্থী দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনাসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর।

এর আগে এই অধ্যক্ষের একাধিক অনিয়ম নিয়ে শিক্ষাবার্তা'য় সংবাদ প্রকাশিত হয়। শিক্ষাবার্তা'য় সংবাদ প্রকাশের জেরে তাকে শোকজ করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তাছাড়াও অধ্যক্ষ মঈনুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরও একটি তদন্ত চলমান রয়েছে।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গতকাল মঙ্গলবারের সরেজমিনে মাদ্রাসার তদন্তকালে তদন্ত সূত্র বলছে, অন্তত ১৫ টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তদন্তকালে অভিযোগের বিরুদ্ধে সুনির্দষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এই অধ্যক্ষ। তিনি দশদিনের সময় নিয়েছেন নিজের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ সরবরাহ করার। প্রবাসী কর্তৃক ব্যাংকে প্রদত্ব ৪০ লাখ টাকা অন্যান্যদের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করার অভিযোগের সুর্নিষ্ট প্রমাণ থাকলেও বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের  ভুলভাল বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি।

মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী জানান, অধ্যক্ষ মঈনুলের কারণে এই মাদ্রাসাটি বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। নামে মাত্র শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অধ্যক্ষের জালিয়াতিতে ডুবতে বসা মাদ্রাসাটি বাঁচাতে হলে তার বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অনিয়মের অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী তা না হলে শুধু মাদ্রাসাটিই থাকবে, থাকবে না কোন শিক্ষার্থী।

ধার করা শিক্ষার্থীর বিষয়ে জানতে চেয়ে অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত হয়েছে। অধ্যক্ষ তার স্বপক্ষে কাগজপত্র দিতে সময় চেয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব।

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের গত ২৯ জুলাই অধ্যক্ষ মোঃ মইনুল ইসলাম পারভেজ এর বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে চিঠি ইস্য করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম নিজে তদন্তকারী কর্মকর্তা  হলেও অভিযুক্ত মইনুল ইসলাম পারভেজের সাথে তার ব্যক্তিগত সখ্যতা থাকায় একসাথে একাধিক বৈঠক করেন।  তদন্তে মইনুল ইসলাম পারভেজকে অভিযোগের হাত থেকে রক্ষা করতে ইউএনও আল-বশিরুল ইসলাম ইউনএনও হবার পূর্বে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক অফিসের সহকারী থানা শিক্ষা কর্মকর্তা থাকার সুবাদে তদন্তের দায়িত্ব দেন জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলমকে। শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম নিজ দায়িত্বে এবং ইউএনও'র নির্দেশের নিজের ইচ্ছেমত এক পাক্ষিক তদন্ত করেন । গত ২৯ জুলাই মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্তের নির্দেশনার দের মাস অতিবাহিত হলেও সেই তদন্ত প্রতিবেদন আজ পর্যন্ত মাদ্রাসা অধিদপ্তরে জমা পরেনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৬’ এর ১২ ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর এর শূন্য পদে নিয়োগ করা হলো।

নিয়োগের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিযুক্তির মেয়াদ চার বছর হবে, এ পদে তিনি অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন, ভাইস-চ্যান্সেলর হিসাবে ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৬’ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী তাঁর দায়িত্বাবলী পালন করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

বরিশালঃ জেলার মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বাদী হয়ে তাঁদের নামে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। এদিকে ইউএনও বলছেন, তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আদালত থেকে ইউএনওর কাছে নোটিশ এলে কর্মকর্তারা মামলার বিষয়টি জানতে পারেন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ (ম্যানেজিং কমিটি) গঠনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা না পাওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন এমনটাই দাবি প্রধান শিক্ষকের।

অন্যদিকে ইউএনও মো. নিজাম উদ্দিন জানান, নির্ধারিত সময়ে কমিটি করতে ব্যর্থ হয়ে প্রধান শিক্ষক পেছনের তারিখ (ব্যাক ডেট) দিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চেয়ে আবেদন করায় এবং ওই সময় শিক্ষা বোর্ডর তদন্ত চলায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন।

নোটিশের বরাত দিয়ে ইউএনও জানান, গত ১১ আগস্ট প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বাদী হয়ে বরিশালের মুলাদী সহকারী জজ আদালত একটি মামলা করেছেন। তাঁকে ছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম জানান, ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ গত ৪ জুন শেষ হয়েছে। এর আগে তিনবার অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছিল। বিধি অনুযায়ী নিয়মিত কমিটি গঠনের জন্য গত ৩১ মার্চ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু তিনি আবেদন আটকে রাখায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের কোনো কমিটি না থাকায় ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিলন বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে যান না। তিনি গোপনে ম্যানেজিং কমিটি করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির চেষ্টা করছেন। কর্মকর্তাদের নামে মামলা করায় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ইউএনও নিজাম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের লোকেশন নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রধান শিক্ষক গোপনে দুবার অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিলেন। গত জুন মাসে ব্যাক ডেট দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়মিত কমিটি গঠনের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বোর্ডের তদন্ত চলমান থাকায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক হয়রানি করতে আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, সৈয়দা শাহাজাদী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে সৈয়দেরগাঁও গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। নদীভাঙনের মুখে এবং শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থানান্তরিত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram