শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই বলে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বৈষম্য নিরসনে সাত দফা দাবিতে শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সমাবেশ করে এ দাবি জানান তারা। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (বামাউশি) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে এই দাবি জানানো হয়।

তারা বলেন, আমাদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মান করি। তবে আমরা জোর দিয়ে বলছি, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে থাকবেন এবং তাদের দিয়ে প্রশাসনিক কাজ করানো যাবে না। তা ছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হার ৯৭%, যেখানে সরকারি স্কুলের ৩% শিক্ষক বাকি ৯৭% শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পেলে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়। তাই, মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই।

সমাবেশে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক খোকন, বামাউশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব মো. অহিদুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্য নিরসনে বামাউশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

সেগুলো হলো- (ক) পদোন্নতির মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসারের শতভাগ পদে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদায়ন করতে হবে এবং ষষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

(খ) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের শূন্য পদে সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং বিভিন্ন প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যথাযথ পদোন্নতি ও পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

(গ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর, অধিদপ্তর এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক পদে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর/দপ্তরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

(ঘ) আমরা আমাদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মান করি। তবে আমরা জোর দিয়ে বলছি, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে থাকবেন এবং তাদের দিয়ে প্রশাসনিক কাজ করানো যাবে না। তা ছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হার ৯৭%, যেখানে সরকারি স্কুলের ৩% শিক্ষক বাকি ৯৭% শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পেলে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়। তাই, মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই।

(ঙ) ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর কতিপয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তেলবাজির মাধ্যমে গত ১৫ বছর ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে রেখেছে। তাদের মফস্বল এলাকায় বদলি করে এবং জেলা শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরতদের মূল পদে ফিরিয়ে নিতে হবে। বৈষম্যের শিকার প্রধান শিক্ষকদের ঢাকার স্কুলে পদায়ন করতে হবে।

(চ) মাউশির নিয়োগ বিধি-২০২১ সংশোধন করে সকল পদে ৮০% পদোন্নতি ব্যবস্থা করতে হবে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিএড ডিগ্রি বাতিল করতে হবে, সব পদের ফিডার সময়সীমা কমিয়ে ৪ বছর করতে হবে, অধিদপ্তর/দপ্তর, সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদ সৃষ্টি করতে হবে।

(ছ) একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ যাত্রীর চাহিদা বাড়ায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে মেট্রোরেল চলবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একই দিন থেকে কাজীপাড়া স্টেশনটি চালু করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর চলতি সপ্তাহ থেকে শুক্রবারও (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে মেট্রোরেল চালানোর চেষ্টা চলছে। এই শুক্রবার থেকে মেট্রোরেল কাজীপাড়া স্টেশনটি পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তারা স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন এবং মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিন ভাঙচুর করে। যার ফলে জনপ্রিয় গণপরিবহন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে এখন উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই সেবা চালু রয়েছে।

মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, যাত্রীদের জন্য দুটি স্টেশন প্রস্তুত করতে কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

যশোরঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তবে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার নিজ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত ঐ অনুষ্ঠানের সামনে ড. ইকবালকে অবরুদ্ধ করে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার দাবি জানান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন ঐ অধ্যাপক ।

মঙ্গলবার বেলা ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবনের গ্যালারির সামনে এ ঘটনা ঘটে । জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিজ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করার খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঐ অনুষ্ঠানের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন এবং ঐ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি অনুষ্ঠান ছেড়ে শিক্ষকদের ডরমেটরির নিজ বাসায় চলে যান। এরপর শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়ার জন্য ১৫ মিনিট সময় বেঁধে দেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রক্টরের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ছাড়েন ড. ইকবাল।

এ বিষয়ে কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকা শাহানি উর্মি বলেন, আমাদের উপাচার্য যেদিন পদত্যাগ করে তখন ড. ইকবাল কবির জাহিদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তাকে বলা হয় তিনি যেন আর ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করেন। তারপরেও তিনি অবাধে চলাফেরা করছিলেন। তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা একটি চিঠিও দিয়েছি। তারপরও আজকে মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামে তাকে দেখে শিক্ষার্থীরা আর সহ্য করতে পারেনি। পরবর্তীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. ইঞ্জি. আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও নীল দলের সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি দিয়ে মেইন গেইট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। তার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে তিনি চলে যেতে সম্মতি জানায় এবং তার সম্মতিতেই তাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্মরণে এবং হতাহতদের পরিবারের সাহায্যার্থে গঠিত জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে এ ফাউন্ডেশন।

ইতোমধ্যে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।

নাহিদ জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে আহতদের জন্যও সহায়তা কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া মাসিক ভিত্তিতে হতাহতদের সহায়তার পরিকল্পনাও আছে।

এ উপদেষ্টা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় ৮০০ নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০০ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। সব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শেষ হলে স্মরণসভা করা হবে।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।

স্নিগ্ধ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ১০০ কোটি টাকার একটি চেক দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। এখন সবাই এখানে অনুদান দিতে পারবেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে প্রাণ হারানো মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়। ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ করা হয় কাজী ওয়াকার আহমেদকে। কার্যনির্বাহী পরিষদে উপদেষ্টাদের মধ্যে আরও আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যোগ হবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈষম্য নিরসনের দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী ১ অক্টোবর থেকে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত সব সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার তাদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন পরিষদের আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম।

পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তৃতা করেন পরিষদের সদস্যসচিব মো. মিরাজ হোসেন।

মূল বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের সব দপ্তরে কর্মরত অন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দশম গ্রেড বেতন স্কেল বা দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু সমমান এবং এক ও অভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দশম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি। একই কারিকুলামে ডিগ্রি অর্জন করে কেউ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, আবার কেউ তৃতীয় শ্রেণিতে চাকরি করছেন।

আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই। এই বৈষম্য নিরসনে বিগত সরকারগুলো প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি। এ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি।

পরিষদের সদস্যসচিব মিরাজ হোসেন বলেন, ১৯৯৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অন্যান্য ৩১টি ট্রেডের ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দশম গ্রেড কার্যকর করা হয়েছে।

একমাত্র ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) পাসকৃতদের সার্ভেয়ার ও সমমান পদে কর্মরতদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই বঞ্চনার অবসানে আমরা স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন-সমাবেশ করেছি। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আমরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে না হলে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এবিএম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যে সব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা সহায়তা পায়নি, তাদেরকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিকিৎসা সহায়তা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সকল কাগজপত্রসহ আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের ধরে দেশব্যাপী যে ভয়াবহ সংঘাতের সৃষ্টি হয় এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগ ও প্রশাসনিক পদে নার্সদের পদায়নের এক দফা দাবিতে পতাকা মিছিল করেছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তর প্রাঙ্গন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দাবিতে আগামীকাল অবস্থান কর্মসূচি আহ্বান করেছে সংগঠনটি।

নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে করা ডিজি মাকসুরা নূরের এক মন্তব্যকে ঘিরে এই আন্দোলনে নেমেছেন তারা। একই সাথে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ থেকে নন-নার্স প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ করে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে নার্সদের পক্ষ থেকে।

আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সাব্বির মাহমুদ তিহান মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। আমরা বিক্ষোভ করেছি, মানববন্ধন করেছি, আজকে পতাকা মিছিল করলাম। আগামীকাল অধিদপ্তর ও কাউন্সিলের দিনব্যাপী (সকাল-সন্ধ্যা) অবস্থান কর্মসূচি থাকবে।’

এ ছাড়া দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অধিদপ্তর এবং কাউন্সিলে ধর্মঘট চলবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘যতদিন দাবি বাস্তবায়ন না হয়, ততদিন অধিদপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কোনো স্টাফ অফিস করতে পারবেন না।’

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের পদমর্যাদা নিয়ে কথা বলেন। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে উৎখাত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ভিত্তিতে নার্সদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

তার এই বক্তব্যের পর ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই আন্দোলনে নামেন ক্ষুব্ধ নার্সরা। এরই মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নার্সিং অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ গঠন করে ১৪ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মানববন্ধন করেন নার্সরা।

ওই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নার্সরা প্রশাসনিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। দেশের স্বাস্থ্য খাতে সংকটের সময় আমরা ফ্রন্টলাইনে থেকে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের পেশাগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং প্রশাসনিক পদে আমাদের বাদ দিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ায় নার্সদের পেশাগত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’

তারা বলেন, ‘নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক পদগুলো নার্সদের জন্য। কিন্তু এই জায়গাগুলো আমলারা, প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন দখল করে রেখেছেন। নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদটিও তাদের দখলে। আমাদের দাবি হচ্ছে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং নার্সিং কাউন্সিল থেকে প্রশাসনিক ক্যাডারদের অপসারণ করে নার্সদের পদায়ন করতে হবে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

চট্টগ্রাম: বারবার আল্টিমেটামের পরেও উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা 'আর নয় বিজ্ঞাপন, দিতে হবে প্রজ্ঞাপন', 'সবাই যখন স্বর্গে, চবি কেন মর্গে', 'ঢাবি, জাবি ভিসি পায়, চবি কেন পিছিয়ে যায়' ইত্যাদি স্লোগান দেন।

চবি শিক্ষার্থী হাবিব উল্যাহ খালেদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন আহসান উল্যাহ হৃদয় ও নেয়ামত উল্যাহ ফারাবি।

নেয়ামত উল্যাহ ফারাবি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম হলো প্রধান দুটি স্তম্ভ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু আমরা দেখেছি উপাচার্য না থাকলেও বিনা বাধায় বিভিন্ন আর্থিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কমকর্তা ও কর্মচারীদের বদলিও এই বন্ধ ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা পড়ার টেবিলে ও ক্লাসরুমে থাকার কথা। কিন্তু এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে যে আমরা পড়াশোনা রেখে রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যারা কূটকৌশল অবলম্বন করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। জাতির কাছে তাদের জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি ফ্যাসিস্টের কোনো দোসরকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীরা সেটা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

উপাচার্যের প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করছি আমরা। এখন থেকে প্রশাসনিক ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দুই ফটক বন্ধ থাকবে। উপাচার্য নিজে এসে তালা খুলে ক্যাম্পাসে ঢুকবেন। এভাবে আর চলতে দেব না আমরা।

মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই ভিসি নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের কর্মসূচিতে কেউ ভ্রুক্ষেপ করছেন না। সকালেও আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই আমরা আজকের এই আন্দোলন থেকে ঘোষণা দিচ্ছি ভিসি এবং প্রোভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শাটডাউন চলবে এবং সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করছি। ভিসি নিজে এসে তালা খুলতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টায় চবির জিরো পয়েন্টে একই দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে সারাদিনেও কোনো ফলাফল না আসায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ এসে একটি মিছিল নিয়ে চবির প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। পরে তারা চবির দুই নম্বর গেট এবং জিরো পয়েন্টে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যেকোনো পরিবহন শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

 গাইবান্ধাঃ একটু ভেবে দেখুন তো? শেষ কবে মা কিংবা বাবাকে আলিঙ্গন করেছেন বা বলেছেন তোমায় বড্ড ভালোবাসি বাবা, তোমায় অনেক ভালোবাসি মা। দিন যত যায় আমাদের অনেকের পরিবারের সাথে দূরত্ব বাড়ে। অনেক সময় মনের অনেক অব্যক্ত কথা ব্যক্ত করতে পারি না আমাদের পরিবারের কাছে। আমরা যে কতটা তাদের ভালোবাসা তা হয়তো বলে ওঠা হয় না নানা কারণে।

ই-মেইলে কিংবা ম্যাসেন্জারের বার্তা আদান-প্রদানের এ যুগে এসে হাতে লেখা চিঠির প্রচলন একেবারে নেই বললেই চলে। অনেকে যেমন না লিখতে লিখতে ভুলে গেছেন চিঠি লেখার কথা আবার নতুন প্রজন্ম তো এর অনুভূতি বুঝবে না।

চিঠিই ছিল, একসময় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। যা একসময় মানুষের মনের ভাব অনুভূতি আদানপ্রদানে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। মানুষ দিনের পর দিন অপেক্ষা করতো কখন আসবে প্রিয়জনের হাতে লেখা চিঠি। তবে আস্তে আস্তে দিন বদলাতে থাকল, চিঠির জায়গা নিয়ে নিলো ক্ষুদে-বার্তা, পিয়ন এর কাজ নিয়ে নিল ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ। হারিয়ে গেছে পিয়নের প্রতীক্ষায় বসে থাকার দিনগুলো। এখন চিঠি লেখা শুধু পরীক্ষার খাতাতেই সীমাবদ্ধ। হারিয়ে যাওয়া চিঠির ঐতিহ্য, অনুভূতি, চিঠির ও যে একটা গন্ধ আছে, আছে তৃপ্তি নতুন প্রজন্ম বোঝানোয় প্রয়াসে গোবিন্দগঞ্জের একদল স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণী নিয়ে গড়ে ওঠা গোবিন্দগঞ্জ ইনফরমেশন সেন্টার উদ্যোগ নেয় হয় চিঠি উৎসব ২০২৪।

প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মো. রাসেল মিয়া, উপজেলা নির্বাহী আফিসার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মো. গোলাম মোস্তফা, কমিশনার, গাইবান্ধা জেলা রোভার চিঠি উৎসব উপলক্ষে গোবিন্দগঞ্জের ২২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডাকবাক্স বসানো হয়। কুরিয়ার ও চিঠির ডাকবাক্স সর্বমোট ২৭৮ টি চিঠি আসে। বিচারকদের বিচার বিশ্লেষণ শেষে সেরা ১২জন চিঠি লেখক/লেখিকা নির্বাচিত করা হয়। চিঠি উৎসবে বিচারক হিসেবে ছিলেন মো. শিহাব উদ্দিন (সিনিয়র রিপোর্টার, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস), আবির আহমেদ (রিপোর্টার, এনটিভি), আফরিদা ইফরাত (সাব-এডিটর, দৈনিক ইত্তেফাক) এবং তাহসিন আহমেদ (ডিজিটাল কনটেন্ট সহকারী, প্রথম আলো)। ১৫ই সেপ্টেম্বর চিঠি উৎসব ফলাফলও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মো রাসেল মিয়া শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা যে চিঠি লিখে মনের ভাব প্রকাশ করছো তার সুযোগ এখন আমার নেই। চিঠি পড়ার/লেখার যে আনন্দ তা ভাষার প্রকাশ করার মতো না। অন্য রকম ভালে লাগা থাকে। ডিজিটাল বার্তায় দ্রুততা থাকলেও চিঠির মধ্যে যে আন্তরিকতা ও নিবিড়তা থাকে, তা এক অন্যরকম সম্পর্কের সৃষ্টি করে।

মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, জিআইসি করোনাকালীন সময় থেকে গোবিন্দগঞ্জে যাত্রা শুরু করে। দিন দিন তাদের কাজের যেমন সৃজনশীলতা তাতে আমি বিশ্বাস করি জিআইসি সামাজিক সংগঠনের একটি উজ্জ্বল রোল মডেল হবে। উৎসব আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, কাগজের ওপর লেখা শব্দগুলোর মধ্যে এখনো একটি অনন্য ক্ষমতা রয়েছে, যা যুগের পর যুগ ধরে আবেগকে ধারণ করতে পারে।

ছোটন নামে শিক্ষার্থী জানান, আমি আসলে কথা বলতে পারছি না। শুধু বলতে চাই এমন অনুষ্ঠান যেন আগামীতে ও আয়োজন করা হয়। বড্ড ভালোবাসি মা। বড্ড ভালোবাসি বাবা।

অনুষ্ঠান নিয়ে অভিভাবকদের মত প্রকাশ, শিক্ষক/শিক্ষিকাদের অনুভূতি প্রকাশ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চিঠি উৎসব ২০২৪ শেষ হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ গত ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) দেওয়া অ্যাডহক চিকিৎসকদের প্রমার্জনার সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলেছে, পিএসসির অ্যাডহকদের অবৈধ প্রমার্জনা প্রদান করার পক্ষে সকল প্রকার সুপারিশকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিধি মোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এই দাবিতে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত পিএসসি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকরা। এ সময় তারা অ্যাডহক চিকিৎসকদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের নানা অসঙ্গতি ও অনিয়ম তুলে ধরেন। চিকিৎসকরা জানান, একই দাবিতে বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

কর্মসূচির মুখপাত্র ও সংগঠনের শেরে বাংলা নগর ইউনিটের সদস্য সচিব ডা. নিহার রঞ্জন দাস বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর পিএসসি যে খসড়া প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাতে দেখা গেছে বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুল ১৯৮১ এর রুল-৮ এর সাব রুল-১ এ তারা ক্লজ ‘কে’ ও ক্লজ ‘আই’ সংযোজন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কি কারণে তারা এত নতুন করে ক্লজ সংযুক্ত করে সরকারি চাকরির বিধি নতুন করে তৈরি করে অ্যাডহকদের আরও অবৈধ সুবিধা দিতে চাচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এসব কারণে আমরা ৩৫ হাজার চিকিৎসা ক্যাডার কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ।

এই মুখপাত্র আরও বলেন, বার বার সতর্ক করার পরও যদি এই সরকারের সময়ে বিগত সরকারের অসমাপ্ত অবৈধ কাজগুলোকে বৈধতা দেওয়া হয় তাহলে ৩৫ হাজার ক্যাডার চিকিৎসক কোনোভাবেই তা মানবে না এবং ফলাফল সম্পর্কে কোনো দায়দায়িত্ব ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন নিবে না।

কর্মসূচি চলাকালে গণমাধ্যমকে সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. উম্মে তানিয়া নাসরিন স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, বিগত কিছু বছর যাবত সরকারি চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন ঘটিয়ে ক্যাডার পদসমূহে ভিন্ন নিয়োগবিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু দুষ্কৃতিকারী কর্মকর্তা। চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন হওয়ায় আমরা লিখিতভাবে আমাদের আপত্তি জানিয়ে প্রক্রিয়াগতভাবে এগোতে থাকি। কিন্তু উক্ত শাখাসমূহের কর্মকর্তাদের অনিয়ম করা হতে থামানো যায়নি, উল্টো এই অন্যায়ের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। অদ্যবধি প্রায় সহস্রাধিক অবৈধ পদোন্নতি, জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ পদায়ন, ক্যাডার কর্মকর্তাকে অ্যাডহকদের অধীনস্থ করা ইত্যাদি চরম আকার ধারণ করে।

এসব অনিয়ম বন্ধে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্টে ২০২২ সালে মামলা দাখিল করেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, মামলায় রুল জারি করা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের উক্ত চিহ্নিত অনিয়মকারী শাখার কর্মকর্তাগণ অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পক্ষে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি আদেশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদায়ন শাখায় পুনরায় অবৈধ পদায়ন আদেশ জারি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব অনিয়মের মাঝেই ২০২৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পরপর পাঠানো মোট ৩টি পত্রে হতবাক হন চিকিৎসকরা। অসংখ্য মিথ্যা তথ্য, তথ্য গোপন ও ছল চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পার-২ শাখার তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যাডহক ও প্রকল্প তথা ২০২২ সালে এনক্যাডার হওয়া কর্মকর্তাদের পক্ষে চাকরিতে পদোন্নতির জন্য সকল ধরনের পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ মওকুফ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পত্র পাঠায় এবং এসব পত্রে তাদের ইতোপূর্বে দেয়া বিতর্কিত পদোন্নতিসমূহকে অবৈধ বলে স্বীকার করে নেয়। মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব পত্রে তাদেরই করা অনিয়মসমূহ স্বীকার করে নেয়া নজীরবিহীন।

সেখানে বলা হয়, যদি অ্যাডহক এনক্যাডার কর্মকর্তাদের চাকরিতে স্থায়ীকরণের জন্য ক্যাডারের শিক্ষানবিশকাল, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, বিভাগীয় পরীক্ষা এবং পদোন্নতির জন্য সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা হতে প্রমার্জনা না দেওয়া হয় তাহলে ইতোপূর্বে প্রদেয় সকল পদোন্নতি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৩ সালে প্রথম দুইবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অসম্মতি জানিয়ে প্রতিউত্তর দিলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৃতীয়বারের অনুরোধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিসিএস নিয়োগবিধি সংশোধনের প্রস্তাবটি সচিব কমিটিতে পাঠায়। সেখানে এনক্যাডার হওয়া কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক বিভাগীয় পরীক্ষা, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, ক্যাডারে বাধ্যতামূলক ২ বছর শিক্ষানবীশকাল ও ক্যাডারের ২ বছরের সন্তোষজনক চাকরিকাল প্রমার্জনার পরে পুনরায় তাদের পদোন্নতিতে সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা থেকেও প্রমার্জনার অনুরোধ জানানো হয়।

এ ঘটনায় বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকরা বাকরুদ্ধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরিতে অনিয়মকারীকে শাস্তি দেয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এসব কর্মকর্তা নিজেই দোষ স্বীকার করে উল্টো অতীতের অনিয়মের জন্য প্রমার্জনা চাইছেন। এটা কেমন আবদার? যে কোনো ধরনের সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এভাবে এতোগুলো প্রমার্জনার ফাইল সৃষ্টি হওয়া নজীরবিহীন এবং এ ধরনের ন্যাক্কারজনক অনিয়মের ঘটনা বাংলাদেশের প্রশাসন জগতের ইতিহাসে এই প্রথম।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘একদল চাকরিজীবী যারা তাদেরই নিয়োগবিধির শর্ত পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করেই স্থায়ী হয়েছিল, যারা তাদের সমগ্র চাকরিজীবনে কখনো কোনো পরীক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেয়নি, যারা বিসিএসে অকৃতকার্য হয়েও এনক্যাডার হয়েছে, এনক্যাডারের পরে পুনরায় বিসিএস ক্যাডারের ৫টি শর্ত হতে কেন মওকুফ পাবে এবং বিসিএস পাশকৃতদের চেয়ে উপরে স্থান পাবে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও সরকারি কর্মকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল অনিয়ম লিপিবদ্ধ করে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণ থাকার পরও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি অ্যাডহক চিকিৎসকদের প্রমার্জনার ফাইলে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। ফাইলটি পিএসসির অনুমোদনের পর বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেজেটের অপেক্ষারত, যা সরকারি চাকরি বিধি লংঘনের আরও একটি ইতিহাস সৃষ্টির পথে। এগুলো স্বাস্থ্য ক্যাডারের সাথে চরমতম অন্যায়।

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকরা সকল ক্যাডারকে তাদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা বলেন, ক্যাডারকে অ্যাডহক ( ননক্যাডার) কর্মকর্তাদের অধীনস্থ করার রেওয়াজ কোনো আইন বিধিতেই সমর্থন করে না এবং তা শতভাগ অবৈধ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অবশেষে বদলী করা হলো ঝাঞ্জাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রাশেদা মমতাজ সেবা।

মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল শিক্ষার্থী, স্থানীয় অভিভাবক ও স্থানীয় জনগনের তোপের মুখে ওই শিক্ষককে বর্তমান কর্মস্থল থেকে সরিয়ে নিবেন বলে জানান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান।

এ নিয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, ওই শিক্ষক ২০১২ সনে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই উনার চাল চলন নিয়ে আমরা বহুবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগণ উনাকে কিছু বলতে গেলে দলীয় ক্যাডার দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। স্কুল চলাকালীন প্রায় সময়ই গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়ে অফিস করতে দেখা গেছে। এমন আপত্তিকর পোষাক পড়ে স্কুলে না আসার জন্য প্রধান শিক্ষক বারণ করলে, তিনি নানা আপত্তিকর অভিযোগ দিয়ে উল্টো প্রধান শিক্ষককে হেয় করেন। এ নিয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নানা অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার মিলেনি। রাশেদা মমতাজ কোন দিনই সঠিক সময়ে স্কুলে আসেননি। এনিয়ে তাকে কেউ কিছু বললে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অনেক জনকেই হেয় করিয়েছেন তিনি।

শিক্ষার্থী অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ আহমেদ বলেন, ওই শিক্ষিকার চাল-চলন, কথা-বার্তা, পোষাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে সবকিছুই প্রশ্নবিদ্ধ। এলাকার কেউ যদি ওই শিক্ষককের স্কুলে আসা-যাওয়া এবং পোষাক পরিচ্ছদ নিয়ে কিছু বলেন, তাহলে ঐ ব্যক্তিকে থানায় মানহানিকর মামলা এবং আ‘লীগের নেতা দিয়ে হয়রানি করবেন বলে নানা ধরনের হুমকি দিতেন প্রতিনিয়ত। ওই শিক্ষক কে ঝাঞ্জাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অপসারণ করা না হলে, আমরা আমাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের ওখানে পড়াশোনা করতে পাঠাবো না।

এ নিয়ে পাশ্ববর্তি ঝাঞ্জাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল আসাদ বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এতোদিন ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মহোদয়, এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে জানাইলে, উল্টো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই আপত্তিকর প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন মহলের কাছে অভিযোগ করেন রাশেদা মমতাজ। আমার জানামতে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুল কাদের নেত্রকোনা জেলার মধ্যে একাধিকবার প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর তোপের মুখে আজকে রাশেদা মমতাজ কে ওই বিদ্যালয় থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ, আমরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুল কাদের বলেন, সারাদেশের মতো বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা চলছিলো। আমাকে জড়িয়ে রাশেদা মমতাজ, কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় নিউজ করিয়েছেন মর্মে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন মঙ্গলবার সকালে আমার কাছে জানতে আসেন। পরবির্ততে ওই শিক্ষক গন্যমান্য ব্যক্তি ও আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন গালমন্দ করতে থাকলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। পরবর্তিতে অত্র বিদ্যালয় থেকে রাশেদা মমতাজকে অপসারনের দাবিতে শিক্ষার্থী, স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী মিছিল করতে থাকে। ওই খবর পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বজলুর রহমান স্যার এসে ওই শিক্ষককে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা তাদের আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান জানান, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা মমতাজ এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের নানা অভিযোগ পেয়েছি। আজকে ওই শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জোর দাবী জানান। এলাকাবাসীর দাবী ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ওই শিক্ষক কে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

এ নিয়ে ঝাঞ্জাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রাশেদা মমতাজ এর মুঠোফোনে বারংবার কল দিলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্কুলে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দিকে গাজীপুর-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের চরমার্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সিদ্দিকা বেগম (৪৮) কাপাসিয়া উপজেলার মৌশাধামনা গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাজাহাজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে স্কুলে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় তার স্বামী আতাউর রহমান গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চরমার্তা এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একটি মোটরসাইকেলে স্বামীর সাথে স্কুলে রওনা করেছিলেন ওই প্রধান শিক্ষক। সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেলের মোট চার জন সড়কে ছিটকে পড়ে। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অপরদিকে প্রধান শিক্ষকের স্বামীকে গুরুতর আহত অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনায় অপর মোটরসাইকেলের আরো দুজনকেও হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

কাপাসিয়ার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম বলেন, স্কুলে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার সকালে সিদ্দিকা বেগম সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তার স্বামীও আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram