শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে জুলাই বিপ্লবের ৯ দফার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪টি দাবি তুলে ধরেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পাশাপাশি আরও কী কী দাবি যুক্ত করা যায়, তা-ও সবাইকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে দাবিগুলো তুলে ধরেন তিনি।দাবিগুলো হলো:

১. ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ছাত্র সংসদকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

২. জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্যোগ নিয়ে মামলা দায়ের করতে হবে।

৩. গত পনেরো বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়নের পূর্বপর্যন্ত মেধার ভিত্তিতে সিট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৫. আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুততম সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের কমন রুমের সংখ্যা ও সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।

৬. বর্তমান সিট সংকটের প্রেক্ষিতে সংস্কারপূর্বক সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে পুনরায় শিক্ষার্থীদের সিট প্রদান করতে হবে।

৭. বিশ্ববিদ্যালয় আইন করে গেস্ট-গণরুম প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত করতে হবে।

৮. প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনের ভিত্তিতে স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে হবে।

৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও হলের রিডিংরুম আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করতে হবে।

১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

১১. নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ব্যতীত গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১২. শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন ও হলে হলে ডিসপেনসারি স্থাপন করতে হবে।

১৩. রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সেবার মান আধুনিক করতে হবে।

১৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে আধুনিক স্থাপত্যের আলোকে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ গবেষণাপত্র প্রকাশে সংখ্যাগত বিবেচনায় ২০২৩ সালে দেশের সব এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নাম। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে এবং মোট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

সম্প্রতি স্কোপাস ইনডেক্স জার্নালে গবেষণাপত্রের সংখ্যাগত র‌্যাঙ্কিংয়ে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

২০২৩ সালে ডিআইইউর ১ হাজার ১৩৯টি গবেষণা স্কোপাসে প্রকাশিত হয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের মোট ১৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে ৬৬৩টি এবং ৬১০টি প্রকাশিত গবেষণা নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাবির পরেই মোট র‌্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ঢাবি ২০২৩ সালে প্রায় ১৫০০ গবেষণাপত্র স্কোপাসে প্রকাশ করেছে।

অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, বাংলাদেশ কৃষি, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও তালিকায় উঠে এসেছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্বেচ্ছায় রক্তদান বিষয়ক সংগঠন ‘রক্তিমা’র ২০২৪-২৫ কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সিরাজুম মুনিরাকে সভাপতি ও দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আতিকুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটি থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতর মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ সভাপতি মশিউর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মনিরুজ্জামান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজোয়ানা মিতিল, দপ্তর সম্পাদক ফেরদৌস হোসেন, সহ দপ্তর সম্পাদক মাসুদা জাহান, প্রচার সম্পাদক ওয়াসিফ আল আবরার ও কোষাধ্যক্ষ ইনসানুল ইমাম। নবনির্বাচিত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

নব নির্বাচিত সভাপতি সিরাজুম মুনিরা বলেন, আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সংগঠনটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে মানবতার আহবান ছড়িয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো। সংগঠনকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, ‘নিরাপদ হোক রক্তদান, আমার রক্তে বাঁচুক প্রাণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি স্বেচ্ছায় রক্তদান সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অফিসে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, স্থল গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এমন অবস্থায় ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও ভালো বেতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, স্বাস্থ্য পুলিশ ও চিকিৎসকদের সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে চিকিৎসকদের অন্যতম জাতীয় সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের চিকিৎসক সমাবেশে এ দাবি জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) ছাত্র সংসদের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক (জিএস)।

ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সব জায়গায় পুলিশ আছে। শিল্প পুলিশ, মেট্রো পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ইত্যাদি। চিকিৎসকদের জন্যও থাকতে হবে। এমন আইন করতে হবে যেন চিকিৎসকের গায়ে হাত দিলেই সাথে সাথে গ্রেফতার করা যায়। চিকিৎসকদের কোনো সুরক্ষা নেই। চিকিৎসকদের মারলে মানুষ খুশি হয়। অথচ, অপেক্ষাকৃতভাবে বেশি সেবা দেয় চিকিৎসকরা। অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করতে পারে চিকিৎসকরাই, অন্য কেউ পারে না। তাই চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন থাকতে হবে। এটির উপর জোর দিতে হবে।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, চিকিৎসকরা দেশের নিবেদিত প্রাণ হয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। দেশের চিকিৎসা সেবায় রেফারেল সিস্টেম চালু হওয়া উচিত। এটি চালু হলে চিকিৎসকরাই উপকৃত হবেন। পেশার মানও বাড়বে। সমতা নিশ্চিত হবে।

চিকিৎসকদের বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উচ্চতর শিক্ষায় প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের যে ভাতা দেওয়া হয়, সেটি বর্তমান যুগের বিবেচনায় কম। প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের পরিবার-পরিজন আছে, তাদেরকে চালাতে হয়। এই ভাতা দিয়ে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের চলতে কষ্ট হচ্ছে। উচ্চতর শিক্ষায় ভাতা আরও বাড়াতে হবে। এই ভাতার পরিমাণ অন্তত পক্ষে ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।

চিকিৎসকদের নীতির উপর অবিচল থাকার উপদেশ দিয়ে ডা. তাহের বলেন, মানুষ যখন জানবে এই চিকিৎসক জামায়াত করে, তখন মানুষ বুঝে নিবে এই চিকিৎসক ইথিক্যাল প্র্যাকটিস করে। কখনও অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয় না। এই চিকিৎসক রোগীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে। নীতি নৈতিকতার উপর অবিচল থাকে। রোগী থাক, আর না থাক নৈতিকতা বিসর্জন দেয় না।

চিকিৎসকদের সামাজিক ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের টার্গেট শুধু হাসিনার পতন নয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশকে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলা। নতুন এই বাংলাদেশ গড়ে তোলায় এনডিএফকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। চিকিৎসক জাতিকে নিয়েই এই কাজ করতে হবে।

এনডিএফের সহ-সভাপতি ডা. আতিয়ার রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, এনডিএফ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, এনডিএফ সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ভারতের কাছে হারানো প্রায় ২০০ একর জমির মালিকানা ফিরে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোববার ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজিবি জানায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা যায়। ওই জমি ভারত সীমান্তের দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীঘেঁষা চল্লিশপাড়া এলাকায় অবস্থিত। চল্লিশপাড়া বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) পিলার ১৫৭/এমপি থেকে ৮৫/১০-এস এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার পদ্মা নদীর ভাঙনে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এলোমেলো হয়ে যায়।

ওই জমি পুনরায় জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান।

বিজিবি জানিয়েছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ একর জমি এবং বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের আনুমানিক ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া যায়। গতকাল দুপুরে বিএসএফের আহ্বানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডির জামালপুর বিওপির সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের ভেতরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিবদমান জমি নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও মাদকপাচার রোধে গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়ার বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেটঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়ে বলা হয়, শাবি ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে ভিসি পদে পদায়ন কোনোভাবে কাম্য ও গ্রহণযোগ্য হবে না।

শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষার প্রধান বিদ্যাপীঠ। তিন দশকের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় অত্র অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও দাবি-দাওয়ার ফসল।বিশ্ববিদ্যালয়টি শুরু থেকে সিলেট অঞ্চলসহ সারা দেশের উচ্চশিক্ষার বিকাশে অন্যতম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক পূর্ন কর্মজীবন শেষে অবসর গ্রহণ করাসহ বর্তমানে ৫০০ এর অধিক সংখ্যক শিক্ষক বিভি ন্নস্তরে কর্মরত আছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক গ্রেড-১ অধ্যাপক পদে থাকার পরও সূচনালগ্ন থেকে অদ্যাবধি শাবিপ্রবিতে পূর্ণকর্মকাল দায়িত্ব পালন করা কাউকে ভিসি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। পূর্বে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি পদে নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা ও সম্মানের প্রতি এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। শাবি ছাড়া অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক ভিসি হওয়া এবং তাঁদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে যথাযথভাবে আপন করে নিতে না পারার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিভিন্ন সময় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় পরবর্তী সময়ে শাবিপ্রবিসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ‍্যাসিবাদের দোসররা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রদান করে শিক্ষার কার্যক্রম সচল করা হলেও শাবিপ্রবিতে এখনও কোন নিয়োগ প্রদান করা হয়নি।

এমতাবস্থায় শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম শাবিপ্রবির শিক্ষাকার্যক্রম, সম্মান বৃদ্ধি ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে শাবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে এমন এক ব্যক্তিকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করার দাবি জানাচ্ছে যে, তিনি হবেন সৎ, দক্ষ, বৈষম্যবিরোধী ও বিগতছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম সহযোগী।এমন অধ্যাপক হবেন যার অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নেই কোন বিতর্ক এবং তিনি হবেন দলমত নির্বিশেষে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীবান্ধব। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে শাবিপ্রবির সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক অতিসত্ত্বর ভিসিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণপদে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিয়োগ প্রদান করার জন্য আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে শাবি ছাড়া অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে পদায়ন কোনভাবে কাম্য ও গ্রহণযোগ্য হবে না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পড়ানোর চেয়ে শিক্ষা অফিসার হতে বেশি মনোযোগী। দেশের বেশিরভাগ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ তাদের দখলে। এবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদ দখলে মরিয়া তারা। অথচ উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে চাকরি নিয়ে একই পদে অবসরে যাচ্ছেন অনেকেই। তাদের পদোন্নতি হচ্ছে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবার মাঠে নেমেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা।

তারা বলছেন, শূন্য হওয়া জেলা শিক্ষা অফিসার পদে অধিকাংশ সময় সুযোগ পান শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে এ বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছি। সরকার সেটার সমাধান না করে নতুন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে মাধ্যমিক শিক্ষকদের বসানোর সুযোগ করে দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে এই বৈষম্য আমরা মানি না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন ঠেকাতে এবার একাট্টা হয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষকদের চার সংগঠন। তাদের দাবি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা নিয়োগ পেতে চান। এমনটা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার হওয়ার পথ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মচারীসহ আরও ৯টি সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।

জানতে চাইলে সরকারি মাধ্যমিক অফিস কল্যাণ সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, আমরা ৩১ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার। প্রায় সব জেলা অফিসার পদে শিক্ষকরা বসে আছেন। তারা ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা হয়ে ৬ষ্ঠ গ্রেডের বেতনে বসে আছেন। অথচ আমাদের পদোন্নতি দেয় না। তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় মোর্চা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে পদায়ন করা চলবে না। এতে পদোন্নতিতে বৈষম্য তৈরি হবে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবি অযৌক্তিক। তারা গায়ের জোরো পদোন্নতি নিতে চাচ্ছে যা সরাসরি বৈষম্যের শিকার।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব অহিদুর রহমান বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো বৈষম্য চাই না। শিক্ষা অফিসাররা যেখানে পদোন্নতি পান না সেখানে নতুন করে শিক্ষকদের শিক্ষা অফিসার বানানোর পায়ঁতারা চলছে। এতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা সারাজীবনে একটি পদোন্নতিও পাবে না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের বিজ্ঞান ইউনিটে কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা-বেলা ১টা ও বেলা ২টা-বিকেল ৫টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবেদনকারী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ১০টায় প্রতিবন্ধী কোটা এবং ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ৩টায় উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়, ওয়ার্ড কোটার সাক্ষাৎকারে সময় নির্ধারণ করা হয়।

সাত কলেজে ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। সময়সূচির বিজ্ঞপ্তিতে কোটায় ভর্তিচ্ছুদের সাক্ষাৎকারের সময় যেসব প্রযোজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে—

ক. ভর্তি পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র।

খ. এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার মূল গ্রেডশিট।

গ. ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডাউনলোড করা ভর্তির বিষয় পছন্দক্রম ফরম-এর ২ কপি।

ঘ. ওয়ার্ড কোটার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসপ্রধানের কাছ থেকে পাওয়া মূল প্রত্যয়নপত্র ও প্রত্যয়নপত্রের ফটোকপি (১ কপি)।

ঙ. উপজাতি/ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক/উপজাতি প্রধান/ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী প্রধানের কাছ থেকে ইস্যু করা মূল সনদ ও সনদের ফটোকপি (১ কপি)।

চ. হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় কোটার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক/হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় প্রধানের কাছ থেকে ইস্যু করা মূল সনদ ও সনদের ফটোকপি (১ কপি)।

ছ. প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি/বাক/শ্রবণ/শারীরিক/নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার্স ও ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া) কোটার ক্ষেত্রে জেলা সিভিল সার্জন/সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মূল সনদ ও সনদের ফটোকপি (১ কপি)।

জ. মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধার মূল সনদ অথবা ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধার মূল সনদ ও সনদের ফটোকপি (১ কপি)।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ ৪৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবির হয়ে গেছে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম।এখনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনেক ক্যাম্পাসে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনও করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সেশনজট দূর করতে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর বেশিরভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন। কিন্তু দেড় মাস পার হলেও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি।

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সোমবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জানায়, উপাচার্য না থাকায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। তাই সেশনজটে পড়তে হবে তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখনও ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি এবং বারবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হলেও সে চিঠির কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি। আমরা পরপর দুইবার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম ভিসি নিয়োগের জন্য।’ সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও হয়নি উপাচার্য নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘তাড়াতাড়ি পাস করে বের হতে পারব এটা মনে হচ্ছে না। সময় বেশি লাগবে। এটা একটা চিন্তার বিষয় যে কি করব।’

একই অবস্থা অন্য ৪৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও। উপাচার্য না থাকায় ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ। শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই জিনিসটা না করা (ভিসি নিয়োগ) পর্যন্ত কিন্তু স্বাভাবিক হওয়ার যে প্রসেসটা, এই প্রসেসটাই কিন্তু শুরু হবে না। অর্থাৎ প্রথম ধাপটাই শুরু হলো না। আপনাকে তো আগে শূন্যস্থান টা শুরু করতে হবে। কাউকে না কাউকে দায়িত্বটা নিতে হবে। এরপরে তারা সেই উদ্যোগটা নেবেন যে কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, যোগ্য শিক্ষকদের উপাচার্য হিসেবে বসানো হচ্ছে। তাই খুঁজে পেতে একটু সময় লাগছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘প্রোপার ব্যক্তিকে বাছাই করার জন্য যে প্রক্রিয়া দরকার তারা সেটা করছেন যাতে আসলেই যারা উপযুক্ত বা কোয়লিফাইড তাদেরকে নিয়ে আসবে এবং উপযুক্ত জায়গায় বসাবে।’

এদিকে, যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এখনও শুরু করা যায়নি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

রংপুরঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবিতে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে 'উত্তরবঙ্গ ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই কর্মসূচি পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শিক্ষার্থীরা একটি র‌্যালি বের করে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়ের ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। এতে সড়কের দুই ধারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে বক্তব্য দেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এসএম আশিক, জয়সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

দ্রুত ভিসি নিয়োগের এই আন্দোলনে কেন্দ্রীয় সমন্বয়রাও একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মসূচিতে এসে বক্তব্য দেন তারিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদ লিয়ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে এই দুই সমন্বয়ক বলেন, আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয় কোন বৈষম্য চলবে না। অন্যান্য বিভাগের আগেই দ্রুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দেয়ার দাবিও জানান তারা।

আর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আবু সাঈদের আত্মহুতির মধ্যদিয়ে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সেই মহাবীরের বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ভিসি না থাকায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো। দফায় দফায় আল্টিমেটাম দিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। তাই ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত 'উত্তরবঙ্গ ব্লকেড' কর্মসূচির আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১৫ অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের বদলি করা হয়েছে।

রবিবার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যথাযথ কতৃপক্ষের অনুমোদন জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram