ঢাকা: শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দলীয়করণ ও দুর্নীতি রোধ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বাড়ানো, গবেষণা খাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়ানোসহ উচ্চশিক্ষা সংস্কারে মোট ১৫টি প্রস্তাব পেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের নয় (০৯) সদস্যের প্রতিনিধিদল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ প্রস্তাব পেশ করে।
প্রতিনিধিদলের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম প্রস্তাবসমূহ পাঠ করে শোনান।
এ সময় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ শিক্ষক সমাজের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যেকোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ইউজিসি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
এ ছাড়া ইউজিসি চেয়ারম্যান গবেষণা প্রকল্পের মূল্যায়নে কোনো প্রকার অস্বচ্ছতা থাকলে তা নিরসন এবং গবেষণার অর্থ দ্রুত ছাড়করণের প্রতিশ্রুতি দেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্ব-উদ্যোগে শিক্ষকসমাজের সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে পারে। এক্ষেত্রে ইউজিসি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।
তিনি উচ্চশিক্ষা সংস্কারে ইউজিসির সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথাও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। ইউজিসির ক্ষমতায়ন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যা পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা বলবে এবং সমাজে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। তিনি উচ্চশিক্ষায় গবেষণাকে মূলধারায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকেন্দ্রগুলোতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ালে এবং অবকাঠামোগত কিছু সংস্কার করা হলে সেখান থেকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সমৃদ্ধি সম্ভব হবে। তারা গবেষণায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ১০০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউজিসি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষকদের জন্যও ইউজিসি পিএইচডি রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড চালু করা যেতে পারে বলেও তারা মত প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিরা হলেন- অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানী, ড. মো. আহসান হাবীব, অধ্যাপক ঈশানী চক্রবর্তী, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম এবং অধ্যাপক সংগীতা আহমেদ।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ তম ব্যাচে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, নবনির্মিত বীর প্রতীক তারামন বিবি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে শিক্ষার্থী উঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আবাসিক হলগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম তদারক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এবং হল প্রভোস্টগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থী অনুপাতে জনবল পুনর্বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবাসিক হলগুলোতে অবস্থানরত মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অতিদ্রুত হল ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ পাঠ্যপুস্তকে দলীয় উক্তি এবং শেখ হাসিনার নাম যুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ের লোগোতে আনা হয়েছিল পরিবর্তন। ইতিহাসের বইয়ে উপেক্ষিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা পালনকারী অনেকে। একে বিকৃতি আখ্যা দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে নির্মোহ ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান ইতিহাসবিদদের। আর সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে বই সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোডের লোগো থাকাই ছিল রীতি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ থেকে বইয়ের ব্যাক কাভারে যুক্ত করা হয় সেই সময়ের সরকারপ্রধানের উক্তি। শেখ হাসিনার নাম যুক্ত করতে গিয়ে বদলে যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লোগো।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছেনে যাদের ভূমিকা ইতিহাসে স্বীকৃত, তাদের অনেকের নাম মুছে ফেলা হয়, অনেকের জায়গা হয় এক-দুই বাক্যে। উপেক্ষা করা হয়, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, তাজউদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানসহ অনেকের অবদান। এসবের ফলে পাঠ্যপুস্তক গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বলে মনে করে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন।
সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, বিগত সরকার কিছু মানুষকে বড় করতে চেয়েছে। একটা পরিবারকে সারা দেশে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে ভালো কিছু হয়নি।
সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষা সংস্কারের আওতায় শুরু হয়েছে পাঠ্যপুস্তক-সংশোধন প্রক্রিয়া। এ ইতিহাসবিদ বলছিলেন কেন পাঠ্যপুস্তকে নিমোর্হভাবে ইতিহাসের উপস্থাপনা জরুরি।
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, কমবেশি সবাই জানে যে, ইতিহাসে কার কী অবদান আছে। তাই যথাযথ জায়গায় তার প্রতিস্থাপন করাটাই আমাদের ন্যূনতম দাবি। কাউকে দেবত্ব দেয়া বা কাউকে খলনায়কে পরিণত করার প্রয়োজন নেই। যার যতটুকু অবদান আছে, সেটুকুই যদি আমরা পাই, সেটিই হবে জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, চলমান সংশোধন প্রক্রিয়ায় ইতিহাসে যার যে অবদান তা পক্ষপাতহীনভাবে তুলে ধরা হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, যে বইগুলো পরিমার্জন করা হচ্ছে, সেখানে ইতিহাসে যে যতটুকু অবদান রেখেছেন, তার মূল্যায়নটা সেভাবে প্রতিফলন করবো। এ কাজটা আমরা সচেতনভাবেই করবো, যাতে কাউকে অতি মূল্যায়ন বা কাউকে অবমূল্যায়ন করা না হয়।
পাঠ্যপুস্তককে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ৩০তম বিসিএস প্রশাসন অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যকরী কমিটি (২০২৪-২৬) গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন মো. বদরুদ্দোজা এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তৌছিফ আহমেদ।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির তিন সহসভাপতি হলেন মো. মোস্তফা মনোয়ার, মো. মাশফাকুর রহমান ও পূরবী গোলদার। দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন রুবায়েত হায়াত ও জেবুন নাহার। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে কাজী আরিফুর রহমান, উপ-কোষাধ্যক্ষ আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসীন মৃধা, ফয়সল জহুর, উন্নয়ন ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. নাজমুল আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ বারিউল করিম খান, আইন সম্পাদক জাকির হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক নাহিদ সুলতানা, আপ্যায়ন সম্পাদক মো. হুমায়ন কবীর, আইসিটি সম্পাদক রায়হান আহমেদ ও দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন শামীমুর রহমান। এ ছাড়া ১১ জন সদস্য ও ৪ জন স্থায়ী সদস্য হয়েছেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
রাজশাহীঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হলে ‘রাজনৈতিক ব্লক’ বা কক্ষ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আবাসিকতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের তদবির বা চাপ প্রয়োগ করলে সেটা সরাসরি শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
রবিবার আবাসিক হলসমূহে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও আবাসিকতা প্রদানসংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষদের এই সভা বেলা সাড়ে ১১টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভায় বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে হলসমূহে আবাসিকতা প্রদান ও আসন বরাদ্দসংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা আলোচনা ও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে হলসমূহে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবাসিকতা প্রদান ও আসন বরাদ্দের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আবাসিকতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার তদবির বা চাপ করলে সেটা সরাসরি শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রয়াস বলে বিবেচিত হবে। হলে কোনো রাজনৈতিক ব্লক কিংবা কক্ষ থাকবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই দলের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে দখলদারত্ব করেছেন। হলে কক্ষ দখলের কৌশল হিসেবে চালাতেন ‘রুমওয়ার্ক’ ও ‘জয় বাংলা ব্লাড স্কিম’। বিভিন্ন হলে নেতা-কর্মীদের নামে কক্ষ কিংবা ‘রাজনৈতিক ব্লক’ ছিল। সেখানে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী আবাসিকতা পেতেন না। কয়েকটি হলে চর্চা ছিল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সুপারিশ ছাড়া আবাসিকতা পাওয়া যায় না।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ লাভ করলেন ডা. মো. সারোয়ার বারী।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) ছিলেন তিনি। এর আগে সারোয়ার বারী তার আগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনু বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রশাসন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন পরিচালক (গবেষণা, প্রকাশনা ও কারিকুলাম উন্নয়ন) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এ টি এম ফরিদ উদ্দিন। তিনি এর আগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (পার-১ শাখা) উপসচিব দূর-রে-শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো। পদায়নকৃত কর্মকর্তা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় ১৮ সেপ্টেম্বর তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায়। সেখানে তার বেড়ে ওঠা। তিনি বিরলের সারাঙ্গাই পলাশবাড়ী হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজের ১৪তম ব্যাচ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এরপর বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেন।
ডা. ফরিদ উদ্দিন ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপরে ২০০৮ সালে তাকে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৯ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষাসংস্কার ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট প্রস্তুত করার জন্য দেশের শিক্ষকদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট এর মহাপরিচালক এবং শিক্ষাবিদ আব্দুল আজিজ।
শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেকচার থিয়েটারের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট আয়োজিত ‘গণ অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ ২.০ শিক্ষাসংস্কার: কেমন গ্র্যাজুয়েট চাই?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা এবং এর মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট প্রস্তুত করার জন্য পাঠ্যক্রম সংশোধন, সিলেবাসে নতুন বিষয় যুক্ত করা, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা, শিক্ষকদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। শিক্ষাবিদ আব্দুল আজিজ বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষকদের চাকরি হওয়া উচিত ছিল প্রথম শ্রেণির চাকরি, কিন্তু তারা তাদের কাজের মূল্যায়ন পান না, সামাজিক মর্যাদাও তাদের সেভাবে দেওয়া হয় না। এর ফলে তারা যে নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলবে, সেই প্রেষণা তারা পান না। শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার করতে হলে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন দিতে হবে।
এসময় তিনি ইসলামী শিক্ষার ক্রমবিকাশ, আধুনিক শিক্ষার ক্রমবিকাশে মুসলমানদের অবদান, ওয়েস্টার্ন এবং ইসলামি শিক্ষার পার্থক্য, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়েও তথ্য উপাত্ত সহকারে বিশদ আলোচনা করেন। সমন্বিত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আব্দুল আজিজ বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম, মতাদর্শের মানুষ বাস করে। সেক্ষেত্রে সবাইকে একটি সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা উচিত, যেখানে মাদ্রাসা, সাধারণ স্কুল শিক্ষা কার্যক্রম এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় জ্ঞান এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। কারণ ধর্ম আমাদের মূল্যবোধ শেখায়, আর সেক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা জরুরি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শহীদুল হক প্রথমে শিক্ষাবিদ আব্দুল আজিজের সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, এই মুহূর্তে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই, তাই এই অবস্থায় যদি সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসলামী শিক্ষা। ইসলামিক অর্থনীতি হয়ে যাবে শুধু অর্থনীতি, ইসলামিক পৌরনীতি হয়ে যাবে শুধু পৌরনীতি, সুতরাং ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসলামী শিক্ষাই।
কেমন গ্র্যাজুয়েট চাই প্রসঙ্গে আলোচক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, আমাদের এথিক্যাল গ্র্যাজুয়েট চাই। এথিক্যাল গ্র্যাজুয়েট না হলে সে যদি বিসিএস ক্যাডার হয় তবে চোর বিসিএস ক্যাডার হবে, ডাক্তার হলে চোর ডাক্তার হবে। তাদের মাঝে সততা থাকবে না। গ্র্যাজুয়েটদের অন্ততপক্ষে ৩টি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে; যোগাযোগ দক্ষতায় ভালো হতে হবে; ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী উন্নত করতে হবে; গ্র্যাজুয়েটদের আইকিউ, ই কিউ, এস কিউ এর সমন্বয় করতে হবে। এছাড়াও আইসিটি জ্ঞান, শৃঙ্খলা, মিতব্যয়িতা, দায়িত্ববোধ, স্বচ্ছতা, গবেষণা দক্ষতা থাকতে হবে। গ্র্যাজুয়েটরা নিজেরাই হবে উদ্যোক্তা। যারা চাকরি খুঁজবে না, বরং নিজেরাই চাকরি দেবে।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ এম ইসলাম বলেন, গ্র্যাজুয়েটদের থেকে মানুষ যেটা আশা করে সেটা আগে গ্র্যাজুয়েটদেরকে শেখাতে হবে। অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েটরা যে সমস্যার সমাধান করবে, সেই সমস্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন আমাদেরকে আগে ক্লাসে নিয়ে আসতে হবে। গ্র্যাজুয়েটরা ক্লাসে যখন সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারবে, তখনই গ্র্যাজুয়েশন শেষে তারা সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
এসময় তিনি নোট ভিত্তিক উচ্চশিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করে বলেন, একটি শিশু যেমন কোনো নোট পড়ে হাঁটা শিখতে পারে না, তেমনি একজন গ্র্যাজুয়েটও নোট ভিত্তিক পড়াশোনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারে না। সমস্যা সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো তাই ক্লাসে আনতে হবে এবং পড়াতে হবে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও সভায় এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুন নাহার মুনমুনের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, মা'হদাকুল ফিকরি ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ মুসা আল হাফিজ।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। তিনি কলেজটির ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক। একই সঙ্গে দেশের আরও পাঁচটি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এতে সই করেছেন উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন।
বাকি পাঁচ কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ হলেন যারা
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছেন জেলাটির গুরুদয়াল সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল হামিদ।
ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন একই কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তালুকদার আনিসুল ইসলাম। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন।
রংপুরের বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়েছে কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুহ. হামিদুর রহমানকে।
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ হয়েছেন একই কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যপক মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনিও মাউশিতে ওএসডি হিসেবে ছিলেন।
অন্যদিকে একই প্রজ্ঞাপনে খুলনার ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষকে সরিয়ে যশোরের সরকারি সিটি কলেজে পদায়ন করা হয়েছে। আর দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদা পারভীনকে মাউশিতে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নতুন যুগ্ম পরিচালক হিসেবে পদায়ন পেয়েছে সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আবুয়াল কায়সার। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকার বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে সংযুক্ত রয়েছেন।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়।
একই প্রজ্ঞাপনে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক বিপুল চন্দ্র সরকারকে নাগরপুর সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইলে বদলি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বদলীকৃত কর্মকর্তাদের আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষনিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। আবশ্যিকভাবে তারা পিডিএস এ লগইনপূর্বক অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। তিনি ঢাকা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন পদায়নকৃত অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষনিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। আবশ্যিকভাবে তার পিডিএস এ লগইনপূর্বক অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
এর আগে শেখ হাসিনার সরকারের দেশ থেকে পালনের পর গত ১২ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং উপাধ্যক্ষ এ.টি.এম মইনুল হোসেন পদত্যাগ করেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪
সিলেট: নিয়োগবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মে বিতর্কিত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোষানলে পড়ে রাতের আঁধারে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন সিকৃবি’র বিতর্কিত এ উপাচার্য।
তার পদত্যাগের এক মাস অতিক্রম হতে চললেও সিকৃবি পায়নি নতুন ভিসি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর কে হচ্ছেন পরবর্তী ভিসি এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
এ পদে আগ্রহী শিক্ষকরা এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন। এ তালিকায় আছেন জামাল ভূঞার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা জামায়াত ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকরাও।
এখন পর্যন্ত যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জামায়াতপন্থি শিক্ষক মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. এটিএম মাহাবুব ইলাহী, মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগ প্রফেসর ড. সুলতান আহমদ।
বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন- ফার্মাকোলজি ও টক্সিকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এম. রাশেদ হাসনাত, প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাসুদুর রহমান ও প্রাণী পুষ্টি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. এমদাদুল হক।
এছাড়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা সিলেট ভেটেরিনারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিকৃবি’র প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছাড়াও বিএনপি ও আওয়ামী উভয় সরকারের আমলে সুবিধাভোগী বামপন্থি হিসেবে পরিচিত মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেমের নামও আসছে আলোচনায়।
সিকৃবির এ আট শিক্ষকের বাইরেও নাম এসেছে আরও তিনজনের। তাদের সবাই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা হলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার ও এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর ড. মুজিবুর রহমান।
এদের মধ্যে প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সর্দার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিসি হওয়ার দৌড়ে থাকা প্রফেসর ড. এটিএম মাহাবুব ইলাহী জামায়াতপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি পদত্যাগ করা ভিসি জামাল ভুইয়ার ঘনিষ্ট ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে পিএইচডি করা এ সিনিয়র শিক্ষক পেশাদার পশু চিকিৎসকের মতো নিয়মিত প্র্যাকটিস করছেন। এ সুবাদে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সিলেট ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষক থাকাবস্থায়ই আরিফের পশু খামারে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভেট কেয়ার নামে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগ আছে।
প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদও জামায়াতপন্থি শিক্ষক। তিনি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের শ্যালক। প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নেই তার।
আর বিএনপিপন্থি শিক্ষক প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত একবার সিকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ছিলেন। পাবনার বাসিন্দা ড. হাসনাত ক্যাম্পাসে বিএনপির হাইব্রিড হিসেবে পরিচিত। যার ছাত্রজীবন শুরু হয়েছিল ক্রীড়া কোটায় বাবা শিক্ষক হওয়ার সুবাদে। শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে মিলেমিশে। বিএনপিপন্থি এ্যাব সিকৃবি শাখার এ সভাপতি আওয়ামী সরকারের আমলে শুদ্ধাচার কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে প্রফেসর ড. মো. মাসুদুর রহমানের যথেষ্ট সুনাম থাকলেও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নেই তার। তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপিপন্থি আরেক শিক্ষক বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের একাধিকবারের সভাপতি ও ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ছিদ্দিক ভিসির অনুপস্থিতিতে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পেয়ে ভিসির মতো ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এজন্য তিনি একক সিদ্ধান্তে প্রক্টর পদে ড. মোজাম্মেল হককে, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক পদে ড. এমদাদুল হককে এবং রেজিস্ট্রার পদে ড. আতাউর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছেন। ক্যাম্পাসে আলোচনা রয়েছে এ তিনজনের নিয়ন্ত্রণেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়।
আরেক শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. এমদাদুল হক। বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ নিয়ে পিএইচডি করা এ শিক্ষক বিগত সময়ে অনেক কেলেংকারিতে জড়িত হলেও সুবিধা নিয়েছেন সদ্য সাবেক ভিসির আস্থাভাজন হিসেবে। বিএনপি সরকারের আমলে প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করার সময় এক ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক প্রফেসর ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল সিলেট ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। রেজিস্ট্রার পদেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা এ শিক্ষক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের নেতা হিসেবে নানা সুযোগ সুবিধা নেন। চার দলীয় জোট সরকারের আমলেও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতার আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে নানা সুবিধা নেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক নয়-ছয়'র অভিযোগ আছে। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের পর ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের হিসেবে গড়মিল থাকায় এটি শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়। বর্তমানে তিনি প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রফেসর ড. আবুল কাশেমের এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্সে দ্বিতীয় বিভাগ থাকা সত্ত্বেও তেলবাজির মাধ্যমে তিনি ও রয়েছেন ভিসির দৌড়ে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২১ আগস্ট পদত্যাগ করেন আওয়ামী সরকারের আমলে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী দুর্নীতির বরপুত্র জামাল উদ্দিন ভূঞা। ওই দিনই ডিন কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার স্বার্থে একজন সৎ যোগ্য প্রার্থীকে যেন ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৪