শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

শফিকুর রহমান।।
দেশের এমন এ ক্রান্তিলগ্নে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার,বিশেষ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে,আর সেটা হল:
প্রতিটি সেক্টরকে ঢেলে সাজানো ও দূর্নীতি মুক্ত করতে বা
রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন।

দেশের অনেক স্বনামধন্য ব্যাক্তি বর্গকে কমিশনের প্রধান
করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যেমন জনপ্রশাসন,আইন ও বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ,দূর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ
এবং নির্বাচন কমিশন,এমন ছয়টি বিভাগের জন্য সংস্কার কমিশন গঠন হলো।

কিন্তু আসল কথা হলো দেশের শিক্ষা ব্যাবস্হায় সংস্কার
জরুরী শিক্ষা বিষয়ে কোন সংস্কার কমিশন হয়নি কেন ?
বহু কাল থেকে বহু বার বিগত সরকার নকল প্রতি রোধ
সৃজনশীল পদ্ধতি,পিএসসি,জেএসসি,পরিক্ষা পদ্ধতিতে
পরিবর্তন সাইন্স মানবিক বানিজ্য বিভাগ কখনো থাকবে,
স্কুলে আবার কখনো থাকবে কলেজ!
এমন কিছু উদ্ভট পরিকল্পনা শরিফ শরিফা কান্ডের গল্পে
দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বিতর্ক আছে!
বর্তমানে ও দেশে সকল প্রাইমারী থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর উপরে সিদ্ধান্তহীনতার চাপ প্রতিফলিত।
এবিষয়ে দেশের সব শিক্ষক অভিভাবকরা ও এটা থেকে
মুক্ত হতে পারছে না।
কারণটা হলো পূর্বে ছিলো এক ধরনের পদ্ধতি তার পরই
আসলো সৃজনশীল পদ্ধতি গত দুই বছরে শিক্ষকদেরকে
ট্রেনিং এর মাধ্যমে সৃজনশীল পদ্ধতি বিলুপ্তি করে আবার
নতুন শিক্ষা কারিকুলামে শরিফ শরিফা কান্ডর অবতারণা
করে শিক্ষা অধিদপ্তর!
এছাড়া কিছু প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত শিক্ষা মূলক বিষয়ে পাঠ্য বইয়ে
সংযুক্ত করায় প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যে পরতে হয়।
এ নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু
হয় দেশের সুধী সমাজ,অভিভাবক,জনপ্রতিনিধি,শিক্ষক
সহ সকল শ্রেণি পর্যায়ের মানুষের মধ্যে।

আজকেও শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় বলছে পরিবর্তন কিছু
একটা হবে কখন কিভাবে সঠিক কোন তথ্য এখনো নেই।
আমাদের কোমলমতি শিশুদের এবছর এ পদ্ধতি তারপর
আরেক বছর অন্য পদ্ধতি!
এগুলোর কারণে শিশুরা ও চাপ মুক্ত ভাবে বেড়ে উঠতেই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হছে নিশ্চয়। সুতরাং আমাদের সন্তান
সঠিক সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠার দায়িত্ব অবশ্যই সরকারকে
নিতে হবে।

আজকের শিশুরাইতো আগামীর ভবিষ্যৎ তাই আমার এ
ক্ষুদ্র জ্ঞান চিন্তায় মনে করি সবার আগে শিক্ষাকে নিয়েই ভাবা উচিত সরকারের।
এ দেশের শিক্ষকদের বেতন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ সহ
শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও জরুরী।
কারণ আধুনিক বিশ্বে আদর্শ শিক্ষকের মর্যাদা বেশি দিয়ে
থাকে সরকার এবং সমাজ উভয়।
সঠিক শিক্ষা না পেলে কি ভাবে,দেশে আগামীর ঐ প্রজন্ম দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করবে?
এজন্য অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা কমিশন গঠন
করে শিক্ষার সংস্কার জরুরী মনে করছি।
রাষ্ট্রের দূর্নীতি মুক্ত করার সাথে শিক্ষাকে ও বাধ্যতামূলক
সুষ্ঠু নিশ্চিত একটি সংস্কার শিক্ষা নিতি প্রনয়ণ আবশ্যক।

ঢাকাঃ চীনে একদিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে পেনশনের বাজেটে টান পড়েছে। এ অবস্থায় ১৯৫০-এর দশকের পর এই প্রথমবারের মতো নাগরিকদের অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করেছে দেশটি।

বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার চীনের শীর্ষ আইনসভা ব্লু-কলা জব বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় এমন চাকরিগুলোতে নারীদের বিধিবদ্ধ অবসরের বয়স ৫০ থেকে ৫৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আর হোয়াইট-কলার জব বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় না এমন চাকরিগুলোতে নারীদের অবসরের বয়স ৫৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ বছর করা হয়েছে। অন্যদিকে, দেশটির পুরুষদের অবসরে যাওয়ার বয়স ছিল আগে ৬০ বছর। এই বয়সসীমা এখন তিন বছর বাড়িয়ে ৬৩ বছর করা হচ্ছে।

পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত চীনের নারী-পুরুষেরাই কর্মক্ষেত্র থেকে সবচেয়ে কম বয়সে অবসরে যান। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার পাস করা পরিকল্পনাটি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হবে এবং পরবর্তী ১৫ বছরের মধ্যে কয়েক মাস পরপর বয়স বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করা হবে।

চীনা গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, বিধিবদ্ধ বয়সের আগে কাউকে অবসর নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি কেউ চাইলে অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে নিতে পারবেন, তবে এ ক্ষেত্রে তিন বছরের বেশি বাড়াতে পারবেন না।

এর আগে ২০১৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালিত চাইনিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্স জানিয়েছিল, দেশটির প্রধান রাষ্ট্রীয় পেনশন তহবিলের অর্থ ২০৩৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, অবসরের বয়স বাড়ানো এবং পেনশন নীতির সমন্বয় করার পরিকল্পনাটি গড় আয়ু, স্বাস্থ্যের অবস্থা, জনসংখ্যার কাঠামো, শিক্ষার স্তর এবং চীনা কর্মশক্তির একটি ব্যাপক মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে হয়েছে। তবে এই ঘোষণাটি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কিছুটা সংশয় এবং অসন্তোষ তৈরি করেছে। দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘আগামী ১০ বছরে হয়তো আরেকটি বিল আসবে, যা আমাদেরকে ৮০ বছর না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণ করতে দেবে না।’

তবে কেউ কেউ এই ঘোষণাটিকে প্রত্যাশিত ছিল বলেই মত দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘এটি প্রত্যাশিত ছিল। এ নিয়ে হৈ-হল্লা করার আলোচনা করার খুব বেশি কিছু নেই।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘বেশির ভাগ ইউরোপীয় দেশে পুরুষেরা অবসর নেন ৬৫ বা ৬৭ বছর বয়সে। আর নারীরা অবসরে যান ৬০ বছর বয়সে। আমাদের দেশেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’

বিবিসি জানিয়েছে, চীনের যে বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে, তা ২০২৩ সালে টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য হ্রাস পেয়েছে। কারণ মৃত্যুর চেয়ে দেশটির জন্মহার ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। তবে দেশটির গড় আয়ু বেড়ে ৭৮.২ বছর হয়েছে বলে চলতি বছরের শুরুর দিকে জানা গিয়েছিল।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

রাজশাহীঃ পদায়ন পাওয়ার পাঁচ দিনেও রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিতে পারেননি ড. আনারুল হক প্রামাণিক। কলেজের ‘একটি পক্ষ’ তাঁর যোগদানে বাধার সৃষ্টি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তবে কলেজের পক্ষ থেকে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সরকারি শহিদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কিছু শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবারও তারা প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। তারা অধ্যক্ষ হিসেবে আনারুল হককে চান না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চলা এ বিক্ষোভের কারণে পাঁচ দিন পরও যোগ দিতে পারেননি নতুন এই অধ্যক্ষ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের ‘দালাল’।

জানতে চাইলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবারই অনলাইনে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলীর কাছে যোগদানপত্র পাঠিয়েছি। দুপুরে তিনি বললেন, ‘‘পুরোনো অধ্যক্ষ অবমুক্ত হলেই তিনি আমার যোগদানপত্র অনলাইনে সাবমিট করে দেবেন।’” কিন্তু বিকেলে তিনি বললেন, ‘‘সার্ভার ডিস্টার্ব। অনলাইনে কাজ করা যাচ্ছে না।” কিছুক্ষণ পর তিনি বললেন, ‘‘আপনি কি চান আপনার যোগদানপত্র সাবমিট করে আমি ছাত্রদের কাছে মাইর খাই?” পরে বুঝলাম তিনি যোগ দেওয়াতে চাচ্ছেন না। তিনি আমার যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি।’

ড. আনারুল হক প্রামাণিক আরও বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলন কিছু নয়। কলেজেরই একটা পক্ষ চায় না যে আমি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিই। তারাই ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে মাঠে নামিয়েছে। এখন আমি এসব বুঝতে পারছি। নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আমি তো উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমি এ-ও বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে আমার কী সমস্যা আমাকে নিয়ে বসেন। কিন্তু তারা সেটিও করেননি।’

জানতে চাইলে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ছাত্ররা আমাদের ঘিরে রেখেছিল। তারা কোনোমতেই যোগদানপত্র নিয়ে কাজ করতে দেয়নি। বারবার আমাদের বের করে দিয়েছে। তাই যোগদান করানো যায়নি। আগামীকাল এটা সার্ভারে অটো হয়ে যাবে সম্ভবত।’

ছাত্রদের ভয়ে যোগদান করানো যাচ্ছে না—এমন কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি তো তাই। আমি বলিনি এ কথা। আমার সহকর্মীরা বলেছেন।’

কলেজেরই একটি চক্র নতুন অধ্যক্ষকে যোগদান করাতে চাচ্ছে না—এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি কেন এটা করতে যাব? আমি কি অধ্যক্ষ ক্যান্ডিডেট ছিলাম। তাঁর সঙ্গে কি আমার পূর্ববিরোধ আছে?’

এ প্রসঙ্গে ড. আনারুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘আমার যোগদানপত্র আমি দিয়েছি, সেটি অ্যাপ্রুভ করতে আইনগতভাবেই উপাধ্যক্ষ বাধ্য। কিন্তু তিনি করছেন না, নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। তিনি আগামীকালের (শনিবার) কথা বললেও সেটিও হবে না। তিনি আমাকে যোগদান করালে তো আমি অধ্যক্ষ। তখন আমি দেখব, কোন শিক্ষার্থীদের আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন অভিযোগ আনলে তো সেটা হলো না। আসলে উপাধ্যক্ষই কলেজে অধ্যক্ষ চাচ্ছেন না। তিনি হয়তো ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছেন।’

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ১২ আগস্ট রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন অধ্যাপক আবদুল খালেক। অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি নিজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। এর প্রায় এক মাস পর রাজশাহী সরকারি শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হককে দেশসেরা এই কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন অধ্যক্ষের যোগদান নিয়ে চলছে জটিলতা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সরকার পতনের গণ-অভ্যুত্থানে ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই গুলিতে মারা গেছেন। এছাড়া অভ্যুত্থানে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

দেশজুড়ে হতাহতদের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।

১২টি জাতীয় দৈনিক, এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংগঠনটির ভাষ্য-গণমাধ্যম, হাসপাতাল ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাচ্ছে তারা, তাতে তাদের মনে হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ৭৭২ জনের মৃত্যুর ধরন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯৯ জন বা ৭৭ শতাংশ গুলিতে নিহত হয়েছেন। ৬১ জন (৮ শতাংশ) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। ৮৫ জনকে (১১ শতাংশ) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য কারণে মারা গেছেন ২৭ জন (৪ শতাংশ)।

প্রতিবেদনে কোন বিভাগে কত নিহত হয়েছেন, সেই তথ্যও দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা যায়, নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ঢাকা বিভাগে ৫৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৯১ জন, খুলনায় ৮১ জন, রাজশাহীতে ৬৪ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন, রংপুরে ২৯ জন, সিলেটে ২০ জন এবং বরিশালে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে নিহত ব্যক্তিদের একাংশের বয়স, পেশা, মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩২৭ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (অনেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান) ৫৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৭৭ শতাংশ গুলিতে মারা গেছেন। ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা বেশি মারা গেছেন। এ হার ৫৩ শতাংশ। আর ৩০ বছরের মধ্যে বয়স ধরলে, নিহতের হার দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী, এ হার ৫২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন গুলিতে এবং পুলিশের হামলায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, আনসার, সোয়াট, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলির বেআইনি ব্যবহার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, এ কে ঘরানার অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।

শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সারা দেশে থানা (৫ শর বেশি), সরকারি স্থাপনা এবং সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় হামলা–ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

নিহতদের বেশির ভাগের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে

এইচআরএসএস জানিয়েছে, নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৭৪৩ জনের নাম জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, শিশু ও নারীসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক আছেন। আন্দোলনে কমপক্ষে ১০৭টি শিশু, ৬ জন সাংবাদিক, ৫১ জন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ১৩ জন নারী ও মেয়েশিশু নিহত হয়েছেন।

নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৬১৯ জনের বয়স সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছে এইচআরএসএস। নিহতদের মধ্যে ৪ বছরের আহাদ ও ৬ বছরের রিয়া গোপসহ প্রায় সব বয়সী মানুষ রয়েছেন। ৬১৯ জনের মধ্যে ১০৭ শিশু (১৮ বছরের কম বয়সী) রয়েছে। এ ছাড়া ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী বা তরুণ ৩২৭ (৫৩ শতাংশ) জন, ৩১ থেকে ৫০ বছর বয়সী বা মধ্যবয়সী ১৫৮ (২৬ শতাংশ) জন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ২৭ জন (৪ শতাংশ) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ৬১৯ জনের মধ্যে ৭০ শতাংশেরই বয়স ৩০ বছরের মধ্যে।

পেশাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৫২ জনের পেশা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ১৮৪ জন (৫২ শতাংশ), শ্রমজীবী ৭০ জন (২০ শতাংশ), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৫১ জন (৫ শতাংশ)।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

টাঙ্গাইল:  জেলার পুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাওলানা আবুল হোসেন (৫৫) নামের এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার আল-ইহসান জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি উপজেলার শহীদ আব্দুর রকিব উদ্দিন (বীর বিক্রম) উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজেলার শোলাপ্রতিমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অটোভ্যানের সাথে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর অহত হয়।

পরে স্থানীয়রা তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তারপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নিউরিসাইন্স হাসপাতালে পাঠান।

অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা থেকে সখীপুর আল-ইহসান হাসপাতালে ফেরত নিয়ে আসেন। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার, তার স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী শোকাহত।

সখীপুর থানার ওসি মাকছুদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই তালিকা পাঠাতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন দপ্তর) মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক পাস, স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর ও প্রফেশনাল কোর্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়। স্ব-স্ব কলেজ হতে ছক অনুযায়ী শহীদ ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

এতে আরও বলা হয়, সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তথ্য পাঠানোর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ শহীদ শিক্ষার্থীর পরিচয় সম্পর্কিত সব তথ্য ও ঘটনা যাচাই করে হার্ড কপি সংরক্ষণ করবে। পূরণকৃত ছকের তথ্যাদি অনলাইনে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আর ব্যবস্থা নেওয়া হলে সেই তথ্য ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গুগল ডকসে ফরমের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং ও ইভালুয়েশন উইং) মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সে অনুযায়ী ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও বলা হয়, মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু বিস্তার প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না অথবা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে তার তথ্য ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠানোর জন্য বলা হলো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ শিবির সন্দেহে ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের পাঁচ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হল ছাড়া করা হয়েছিল। এ ঘটনায় দুজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর তেরোজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের একজন বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ওই শিক্ষকের নাম সৈয়দ আশিকুর রহমান। তিনি ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। মামলার বাদীরা হলেন- ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাসরুর এবং একই শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বাপ্পী মিয়া।

উভয় মামলার আসামিরা হলেন- হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে সরকার রায়হান জহির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান (বর্তমান সেকশন অফিসার, রেজিস্ট্রার বিল্ডিং, যবিপ্রবি), মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান (সানী), হল ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক এসএম খালেদ চৌং ওরফে এসএম খালেদ চৌধুরী (৪১তম বিসিএস অডিট ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত), সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আশিকুর রহমান (বর্তমানে রাবির আইআর বিভাগের প্রভাষক)।

এছাড়া হল ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান মিজান, সাবেক সহসম্পাদক হাসিবুল আলম সৌরভ, সাবেক ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল, সাবেক পাঠাগার সম্পাদক শেখ আরিফুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক ইমতিয়াজ ওরফে ইমতিয়াজ আহমেদ শুভ্র (বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানার এসআই), সাবেক সহসম্পাদক নাঈম আহমেদ, সাবেক উপ-ছাত্র ও ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন (সম্প্রতি ধর্ষণের অভিযোগে আলোচিত) এবং সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক ইমরান হাসান।

আবদুল্লাহ আল মাসরুর তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট দিবাগত রাত ১১টা থেকে ১৭ আগস্ট প্রথম প্রহর পর্যন্ত আসামিরা আমার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। রাতটির এ সময় ছিল আমার ও আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে বর্ণনাতীত ভয়াবহ রাত। আমি সে রাতটিকে নিজের জীবনের শেষ রাত হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। আমাকে মারতে মারতে একজন ক্লান্ত হয়ে পড়লে আরেকজন আসে, সে জিরিয়ে নিলে আরেকজন আসে, এভাবে দীর্ঘসময় যাবৎ আমাকে মারতে থাকে। উপর্যুপরি রড ও অন্যান্য বস্তু দিয়ে মারার ফলে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। আমার শরীরের রক্ত চুইয়ে টপ টপ করে পড়তে থাকে। আজরাইল আসন্ন মনে করে আমি কালেমা পড়তে থাকি।’

এজাহারে আরও বলা হয়, তারা সবাই অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন এবং বলেন, ‘এই শিবিরকে জানে মেরে ফেলতে হবে।’ পিটুনির মাথায় আল্লাহ গো, মা গো বলে চিৎকার দিতে থাকলে তারা বলে, ‘তোর বাবা-মা আমরাই, এবার আরও ডাক’ বলে আরও সজোরে মারতে থাকে। এরই মধ্যে শাহাদাত হোসেন সোহেল একটি ছুরি নিয়ে এসে আমার জিহ্বা টেনে বের করে কেটে ফেলতে চায় এবং ছুরি চালায়, এতে করে আমার জিহ্বার সামান্য অংশ কেটে গিয়ে রক্ত বের হয়। খালেদ, আরিফ, শাহাদাত হোসেন সোহেল, জহির, সানি ও সাইফুর আমাকে ও বাকি ভিকটিমদের টেনে এনে হল গেটে ফেলে রাখে। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকা ও গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা এলে তারা যাতে আমাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা না বলতে পারে এজন্য বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য নিতে বাধার সৃষ্টি করে। জহির ও সানি পুলিশকে কল দেয়। পুলিশ এসে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। ঢামেকে আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।

বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ‘আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ও ক্ষতের চিহ্ন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। হাত-পায়ের অসহ্য যন্ত্রণা এখনো নিয়মিত হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে উচ্চ চিকিৎসা নিতে পারছি না। এই মর্মান্তিক নির্যাতনের ঘটনা আমার জীবনটাকে এলোমেলো করে দিয়েছে। তৎকালীন মুহসিন হল প্রভোস্ট নিজামুল হক ভূঁইয়া, ভিসি মো আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর এএম আমজাদ আমাদের নির্যাতনের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমার মতো একই কায়দায়, একই ধরনে, একই মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বাপ্পী মিয়া ও মেহেদী হাসান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম হোসেন (ইরফান) এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আবদুল গাফফারকে উল্লেখিত একই পাতানো অপরাধে মেরে রক্তাক্ত করে। এতে তাদের কয়েকজনের হাত-পা ভেঙে যায়। তারাও আমার মতো মর্মান্তিক পরিণতি ভোগ করে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে সংঘটিত নির্যাতনের ঘটনার দুইটি মামলা পেয়েছি। এগুলো নিয়ে কাজ চলমান।’

মামলার বিষয়ে জানতে রাবি শিক্ষক সৈয়দ আশিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে রাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলামের বক্তব্য জানতে মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনিও কল রিসিভ করেননি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা; দেশের সরকারি পাঁচটি মেডিকেল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে-শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে পুনরোদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকরা হলেন- মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোতাহার হোসেনকে মানিকগঞ্জ মেডিকেলের অধ্যক্ষ পদে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সাকি মো. জাকিউল আলমকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের অধ্যক্ষ পদে, নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুহুল কুদ্দুসকে পাবনা মেডিকেলের অধ্যক্ষ পদে, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তাক আহম্মদ ভূইয়াকে সুনামগঞ্জ মেডিকেলের অধ্যক্ষ পদে ও নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. উজিরে আজম খানকে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেলের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অবস্টেট্রিক ফিস্টুলা সার্জন্সের নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতারকে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) প্রতিনিধি পদে মনোনীত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া আরও দুই কর্মকর্তাকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল গঠন সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ অনুসারে কাউন্সিলের সদস্য পদে মনোনীত অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর মনোনয়ন বাতিলক্রমে নিম্নোক্ত তিন কর্মকর্তাকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদের জন্য এ বিভাগের প্রতিনিধি (সদস্য) হিসেবে নির্দেশক্রমে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বাকি দুজন হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা) অতিরিক্ত সচিব।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-১ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে বর্ণিত কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, পদায়নকৃত কর্মকর্তা আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্ম দিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি মর্মে গণ্য হবেন।

এ ছাড়া অবমুক্তির সময় তিনি বর্তমান কর্মস্থল হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন এবং এইচআরএম ডাটাবেজ থেকে মুভ আউট হবেন এবং যোগদানের পর ন্যস্তকৃত বিভাগে/কর্মস্থলে মুড ইন হবেন বলেও উল্লেখ রয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নাসিরনগরে আগস্টে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২০ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া ইস্পা আক্তার। ১১ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ইসরাত সানিয়া আক্তার। বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া স্নেহাল গোপ পান্না, তন্ময় সরকার, সৌমিক রায়, গগনদীপ কুন্ডু, পৃথিবী দাস সূর্য্য, আব্দুল গফফার মাহুদী, সৌভিক রায়, আরিয়ান ইসলাম সোহান ও ওমর ফারুক। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া সপ্তদীপ কুন্ডু। ২২ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ক্বারি মো. আব্দুল্লাহ।

নাসিরনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোন পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। সেটিতে পাঠক একেবারে ছিলো না। পাঠক বাড়ানোর লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram