শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলার কসবায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের হাজিপুর শহীদ স্মরণিকা উচ্চ বিদ্যাপিঠের সিনিয়র শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলামের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হাজীপুর শহীদ স্মরণীকা উচ্চ বিদ্যাপিঠের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয় মাঠে প্রিয় শিক্ষকের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন পালন করেন। ওই শিক্ষক একই ইউনিয়নের মজলিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম রাজা, শিক্ষিকা প্রনতী রানী দাস, সাবেক শিক্ষার্থী লোকমান চৌধুরী, মনির হোসেনসহ আরও অনেককেই। এ সময় বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ স্মরণীকা উচ্চ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, একই গ্রামে আমাদের বসবাস। শিক্ষকতা এবং ব্যক্তি জীবনে রফিকুল ইসলাম স্যার সদালাপী, ভাল এবং নিরহংকারী একজন মানুষ। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের নিকট একজন প্রিয় শিক্ষক। তার সাথে এমন আচরণ কখনোই আমরা কামনা করি না। আমরা আশা করি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ (ঐক্যমঞ্চ)-এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রগতিশীল সামাজিক সংগঠন লণ্ঠন'র সভাপতি ইয়াশিরুল কবির সৌরভকে আহ্বায়ক এবং বুনন এর সভাপতি নাহিদুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনলাইটেন্ড সোসাইটি (LAES) এর দায়িত্বশীল এর সম্মতিক্রমে ঐক্যমঞ্চের দায়িত্ব গ্রহন না করায় আগামী ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ ইং পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন তারা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় টিএসসিসি ঐক্যমঞ্চের কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব রাবেয়া খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারঅ্যাক্ট ক্লাব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি মনঞ্জুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ফান্ডের বিষয় উল্লেখপূর্বক ঐক্যমঞ্চের পরবর্তী কার্যক্রমের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়াও ঐক্যমঞ্চের অধিভুক্ত ১২ টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সদস্য সচিব হিসেবে নাহিদুর রহমান ঐক্যমঞ্চের পরবর্তী কার্যক্রমে এর অধিভুক্ত সংগঠন গুলোকে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে আহ্বান করেন।

এসময় অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার সূচনালগ্নে ঐক্যমঞ্চের দায়িত্ব পালনে এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দাবি আদায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পাশে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসময় ঐক্যমঞ্চের বিদায়ী সদস্য সচিব রাবেয়া খাতুন বলেন, ঐক্যমঞ্চ আসলে সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোর ঐক্যের জায়গা ৷ সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে বিশ্ববদ্যালয় ও দেশের সংকটকালীন সময়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। সুতরাং নতুন দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান থাকবে সব সংগঠনকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যমঞ্চকে পরিচালনা করার।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ (ঐক্যমঞ্চ) : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ যা সংক্ষেপে ঐক্যমঞ্চ নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ও সংগঠকদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দাবি আদায়ে কাজ করে থাকে ঐক্যমঞ্চ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

রাজশাহীঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানরত সকল অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদেরও হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আবাসিকতা থাকলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী রোববার সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক হলে অবস্থানরত সকল অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগ করতে হবে। এরপর হলগুলোতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতায় তল্লাশি চালানো হবে। তল্লাশি চালিয়ে হলগুলো নিরস্ত্র করে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে আবাসিকতা দেওয়া হবে। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলো মেরামত করা হবে।’

অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ‘যাদের মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ দিন অতিক্রম হয়েছে, তাদেরও হল ত্যাগ করতে হবে। হলে কোনোভাবেই কোনো অবৈধ শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ যদি হল ত্যাগ না করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।’

আবাসিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হলে থাকার বিষয়ে সভায় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘যারা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, যারা বৈধ পন্থায় হলে সিট পেয়েছে তারা হলে থাকতে পারবে। সে যেই দলই করুক না কেন। তবে কারও বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি, রাষ্ট্রবিরোধী কিংবা মানবতাবিরোধী কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তার ভিত্তিতে হল প্রশাসন চাইলে তার আবাসিকতা বাতিল করতে পারে। অন্যথায় তারা হলেই অবস্থান করতে পারবে। হল প্রশাসন এ জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করবে।’

সভায় ১৭টি হলের প্রাধ্যক্ষসহ জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

ময়মনসিংহঃ বিদ্যালয় মেরামতের জন্য সরকারিভাবে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ এলে তা তুলতে গেলে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে। স্লিপের বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা তুলতে গেলেও প্রত্যয়নের নামে ৪-৫ হাজার টাকা নেন তিনি। বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলেও তাঁর জন্য রাখতে হয় বিশেষ খাম। শিক্ষকদের জিম্মি করে এভাবেই দিনের পর দিন নিজের ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার হাকিমের বিরুদ্ধে।

এদিকে সোমবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার হাকিমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন কাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল হক।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁর বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যালয়ের স্লিপের বরাদ্দ বাবদ ২০ হাজার টাকা আসে। সেই টাকা তুলতে গেলে তাঁর কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। টাকা না দেওয়ায় স্লিপের ২০ হাজার টাকা আটকে রাখেন তিনি। এরপর ঘুষ না দিয়ে টাকা চাইতে গেলে তাঁকে চরম শিক্ষা দেওয়ার হুমকি দেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

একপর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁকে এ কথাও বলেন যে, ‘এমন শিক্ষা দিব আপনাকে, আপনার দুর্দশা দেখে বাকিরা এমনিতেই নাখ-মুখ লড়ানো বন্ধ করে দেবে।’

অভিযোগ রয়েছে, বদলি শিক্ষকদের যোগদানের সময়ও ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ ছাড়া তাঁদের ফাইল আটকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেইন, ওয়াশ ব্লক, প্লেয়িং এক্সেসরিজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাত থেকে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কোনো শিক্ষক ঘুষ দিতে না চাইলে তাঁকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার হুমকি-ধমকি দেন তিনি। ফলে চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক  বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের উনি (টিইও) জিম্মি করে রেখেছেন। এত কিছুর পরও আমরা কেউ চাকরি হারানোর ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। আমরা চাই, ওনার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত হোক। তা হলেই ওনার যত সব অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতি, কুকীর্তি সব বেরিয়ে আসবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিদ্যালয় প্রধান জানান, সম্প্রতি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের ফাইল স্বাক্ষর বাবদ ২৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। আরেকজনের কাছ থেকে নেন ৭ হাজার টাকা, আরেক প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) নিলুফার হাকিম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল হককে আমি সম্প্রতি একটি বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছিলাম। তাতে তাঁর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সেটা আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠাই। এরপর তাঁকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বললে তিনি অফিস থেকে কপিটি নেননি। ওই অবস্থায় আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া
অন্য অভিযোগগুলোও সত্য নয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খুবই সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

রাজশাহীঃ ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা দাস ও জয়ন্ত কুমার সিংহের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

মানববন্ধনে প্রতিবাদের পাশাপাশি সীমান্তে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে জঘন্য ও বেআইনি হুমকি দিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন বক্তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফেলানী থেকে স্বর্ণা, স্বর্ণা থেকে জয়ন্ত, তারপর?’, ‘সীমান্তে আর কত বাংলাদেশি মারবে ভারত?’, ‘ফেলানী থেকে শ্রী জয়ন্ত, বাংলাদেশ আর কতকাল থাকবে ঘুমন্ত?’, ‘বন্ধু প্রতিবেশী না বৈরী প্রতিবেশী?’, ‘মিস্টার মোদি কী চান?’, ‘পাক-চীন সীমান্তে কাঁপো থরো থরো, বাংলার সীমান্তে কেন শিশু মারো?’ প্রভৃতি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

কর্মসূচিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিম রহমান বলেন, ‘দুই দেশের মাঝে সীমান্ত থাকলে সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি চালিয়ে মানুষ মারা যুক্তিযুক্ত নয়। হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে তারা আটক করে জরিমানা কিংবা আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দিতে পারত। তারা সীমান্তে প্রবেশ নিষিদ্ধে সতর্কতামূলক নির্দেশনা না দিয়ে ধারাবাহিকভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। এ থেকে বোঝা যায় ভারত বাংলাদেশের না, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বন্ধু ছিল।’

জুয়েল রানা নামে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভারত যত কৌশলগতভাবে বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে, তার মধ্যে সীমান্ত হত্যা একটি অন্যতম ঘটনা। আমরা দেখেছি, ২০১১ সালে কী নির্মমভাবে তারা ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। আমরা এ ধরনের জঘন্যতম সকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘মিস্টার রাজনাথ সিং, মধ্যপ্রাচ্যে হামাস-ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করেছেন। আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন। এ ধরনের আহ্বান অত্যন্ত জঘন্য, নিন্দনীয়। আর আন্তর্জাতিক আইন খেলাপি আচরণ। যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তাঁর এ বক্তব্যের তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাই।’

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের ওপর যেভাবে বর্ডারে হত্যাকাণ্ড চলছে, তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর এটি তাদের অন্যায় হস্তক্ষেপ। আমরা এটির ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশ এখন আর সেই পর্যায়ে নেই যে, আমরা চুপ করে বসে থাকব। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিজ আহমেদ। কর্মসূচিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

নরসিংদী: জেলায় ৩ দফা দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে বাংলাদেশ তাঁত শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, নরসিংদীর বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে সদর উপজেলার সাহেপ্রতাব বাসস্ট্যান্ডে এ অবরোধ করা হয়। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে।

এ সময় তিন দফা দাবি পূরণের দাবিতে ইনস্টিটিউটের কয়েকশত শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান ও স্লোগান দেয়। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে স্থায়ী স্বতন্ত্র ক্যাম্পাস, সরাসরি বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএসসি কার্যক্রম হস্তান্তর ও সেমিস্টার ফি মওকুফ করা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ১৯৮০ সালে হস্তচালিত তাঁত শিল্প ও সরঞ্জামাদি উন্নয়ন কেন্দ্র নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তাঁত শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, নরসিংদী নামকরণ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোক) কোর্স চালু হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কারিকুলাম অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ২০১৮-২০১৯ সেশনে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়। ২০১৯ সালে ক্লাস ও শিক্ষার অনুপযুক্ত পরিবেশ দেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা পায়নি উল্টো লাঞ্চনার স্বীকার হয়। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর গত ১৯ আগস্ট থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল প্রতিষ্ঠানটিতে। ক্যাম্পাস প্রশাসনসহ বিএসসি পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে ৩ দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ সাড়া দেননি।

সবশেষ বিএসসি পরিচালনা পরিষদের বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা। ৫ বছর ধরে সমস্যা সমাধানে কোন সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিএসএফ’র গুলিতে নিহত শিশু জয়ন্ত কুমার সিংহের (১৬) মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) হত্যাকান্ড বন্ধ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে ভারতীয় দূতাবাসে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রাণঘাতী নয় এমন কৌশল অবলম্বন করা উচিত। বারবার হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতির পরও এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ নির্মম কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়।

কোনো একটি দেশের নাগরিক বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অন্য দেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই তারা যেন নির্যাতন ও মৃত্যুর শিকার না হন সে ব্যবস্থাও নিতে বলে বাংলাদেশ।

চিঠিতে, এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ, সীমান্ত-সম্পর্কিত সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার ।

৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তে জয়ন্ত কুমার সিংহ ওরফে জাম্বু বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সীমান্তে আরেক বাংলাদেশি কিশোরী একইভাবে নিহত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের উপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় চটগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে আগামীকাল বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাত পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে আবহাওয়াবিধ মো. বজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

এর আগে, আজ মঙ্গলবার সকালে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় চার সমুদ্রবন্দর থেকে সতর্ক সংকেত তুলে ফেলা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নতুন ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক।

এর আগে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নতুন পদে যোগ দেন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা থেকে উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক ডা. মোহা. জাওয়াদুল হককে রামেবির ভাইস-চ্যান্সেলর এর শূন্য পদে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।

নিয়োগের শর্ত মোতাবেক ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন এবং বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি রামেবি’র তৃতীয় ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

রামেবি প্রতিষ্ঠার পর তিনি এর প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোসাল মেডিসিন অনুষদের ডিন এবং কলেজ পরিদর্শক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ রাজশাহী’র ভাইস প্রিন্সিপালন হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় অধ্যাপক ডা. জাওয়াদুল হককে রামেবির ভাইস-চ্যান্সেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করল সরকার।

এদিন ভাইস চ্যান্সেল হিসেবে যোগদানের পর পরই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহীর শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, রাজশাহী হেল্থ টেকনোলজি’র শিক্ষকরা, রাজশাহী নার্সিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও রামেবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরসহ বিভিন্ন চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শুভেচ্ছা জানান।

অধ্যাপক ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক ১৯৬১ সালের ১৬ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে রাজারামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বৃত্তিসহ এসএসসি, ১৯৭৮ সালে নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে বৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন এবং ১৯৮৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিপসম (ন্যাসনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোসাল মেডিসিন) থেকে কমিউনিটি মেডিসিন বিষয়ে এমপিএইচ এবং ১৯৯৮ সালে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিউিনিটি মেডিসিন (পাবলিক হেলথ্) বিষয়ে পিএইডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে তার ৬৬টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

ঢাকা: দেশে আকস্মিক বন্যায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলায় ২ হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বইপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বাজেট সমন্বয় করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নোয়াখালীর ৭৬৩, লক্ষ্মীপুরের ৫০১, ফেনীর ৫৫০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২, কুমিল্লার ৫২৩, চাঁদপুরের ১৬৯, চট্টগ্রামের ১৬৪, মৌলভীবাজারের ৭৭, সিলেটের ৮ ও হবিগঞ্জের ২২টি। খাগড়াছড়িতে কোনো বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রসমূহের নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১৮ উপজেলার ৯৪৬ শিখন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সাম্প্রতিক অকস্মাৎ বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’ সংক্রান্ত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের সময়ে কাজগুলো ইমার্জেন্সি বেসিসে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবো।

সভায় জানানো হয়, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৩৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান। ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজীর ৫৮২টি বিদ্যালয়ে ৯৭ হাজার ৫৫৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তক হতে ২৪ হাজার ২৭৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকি পাঠ্যপুস্তকের সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৩০০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গুদামে থাকা পাঠ্যপুস্তক থেকে সেগুলো সমন্বয় করা হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৫৫৯টি বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৮১০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলো সমন্বয় কার্যক্রম চলমান।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১০০টি বিদ্যালয়ে ২ হাজার ১৬০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোর সমন্বয় করা হয়েছে। হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, জেলায় বন্যায় কোনো পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বইপুস্তকের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা প্রকৌশলী, শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে সঠিকভাবে নিরূপণ করবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ব্যাগের তালিকা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। বিদ্যালয়গুলোয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডার সংগ্রহসহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া সরাসরি এবং সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪ 

ঢাকা: স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর ১০) বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন সৌজন্য সাক্ষাতে এলে ড. ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারে দেশটির সহযোগিতা চেয়ে এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে, সংস্কার করতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা, অর্থ, শ্রম খাত, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং ব্যবসার পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব সংস্কারে নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতা চাই।

ডাচ রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন আছে জানিয়ে বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি, সামুদ্রিক, শিল্প, যুব, জ্ঞান অর্থনীতি, শ্রম, পরিবেশ এবং বন্যা ব্যবস্থাপনাসহ ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করবে।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডাচ রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্ব এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দীর্ঘ ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গাদের অবশ্যই শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। শিক্ষার অভাবে তাদের ভবিষ্যৎ যেন অন্ধকার না হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যান্যের মধ্যে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং ডেপুটি ডাচ রাষ্ট্রদূত থিজ ওয়াউডস্ট্রা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ চলতি বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন কারিকুলামের বই পড়ানো হচ্ছে। তবে অভিভাবকদের দাবির মুখে এ কারিকুলাম বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন কারিকুলামে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের পরিবর্তে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে এর আগের কারিকুলামের নিয়মে। তবে পাঠ্যবই থাকবে নতুন কারিকুলামেই।

দুই কারিকুলামের সমন্বয়ে ডিসেম্বরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো ও সিলেবাস কেমন হবে, তা প্রস্তুত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

খসড়া এ প্রশ্নকাঠামো এবং সিলেবাস সম্পর্কে মতামত ও অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর দু-একদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এনসিটিবি চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামো সিলেবাস প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠিয়েছে। মতামত পেলে আশা করি দু-একদিনের মধ্যেই সিলেবাস ও প্রশ্ন কাঠামো প্রকাশ করা হবে।

এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পর্যায়ে তা ছিল অভিজ্ঞতানির্ভর। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগের শিক্ষাক্রমের আদলের শিক্ষায় ফিরে গিয়ে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অভিজ্ঞতানির্ভর শিক্ষার বইয়ের কোন কোন অংশ থেকে প্রচলিত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তা খুঁজে বের করে আমরা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস প্রস্তুত করেছি।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আদলে। প্রতিটি বিষয়ে ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্নের সমন্বয়ে প্রশ্নকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষক ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সেমিনার করে সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামোর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো প্রকাশ করে স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram