শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীঅক্টোবরের মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে সরকার পতনের দাবিতে হওয়া লাগাতার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার পুরো এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৩টি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৭টি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়। পরীক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা হওয়া বিষয়গুলোর মূল্যায়ণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর বাতিল হওয়া বিষয়গুলো ম্যাপিং করার পদ্ধতিসহ একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন হওয়ার পরপরই পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, আমি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।

সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

রাজশাহীঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সোমবার দুপুরে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক বনি আদম জানান।

এর আগে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের কাছে ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে অভিযোগপত্র জমা দেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগে একদিন পর সুজন সেনকে অপসারণের বিষয়ে অধ্যাপক বনি আদম বলেন, “১৪১তম জরুরি অ্যাকাডেমিক সভায় সম্মতিক্রমে সুজনকে সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা কাজ করব।”

এ বিষয়ে জানতে সুজন সেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

রবিবার সুজন সেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগীয় সভাপতির কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, “শিক্ষক হিসেবে সুজন সেনের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষাদান করা হলেও এর পরিবর্তে তিনি স্বৈরাচারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। চারুকলার প্রতিটি বিষয় ব্যবহারিক সম্পর্কিত হওয়া সত্ত্বেও কোন শিক্ষার্থী তাকে সরাসরি শ্রেণির ব্যবহারিক বিষয় হাতেনাতে শিখিয়ে দিতে দেখেনি।

“শিক্ষার্থীদের মনমতো নম্বর প্রদান, খেয়াল খুশিমতো বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া, অনেক ক্ষেত্রে কোর্স শেষ না করেই পরীক্ষা নেওয়া, পছন্দের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে নানাভাবে অপদস্ত করতেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফিল্ড স্টাডিতে গিয়েও তিনি টাকা ত্মসাত করেছেন বলেও জানা যায়।”

এ ছাড়া অন্যের কাজ কারচুপি করে ‘রাজনৈতিক প্রভাব’ খাটিয়ে বিভাগে শিক্ষক হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, “শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ (এপ্রিল ২০২১-এপ্রিল ২০২৪) থাকাকালীন সুজন সেন নাস্তা, খাবার, ইলেকট্রনিক দ্রব্য ও তৈজসপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্য ক্রয়ের শতকরা ৮০ ভাগ ভাউচারেই জালিয়াতি করেছে। এই ভাউচারগুলোর মধ্যে কিছু ভাউচার তিনি নিজে লিখেছেন এবং কিছু হল সুপার মামুনুর রহমানকে দিয়ে লিখিয়েছেন। শুধু মামুনুরের হাতে লেখা তিন শতাধিক জাল ভাউচারেই তিনি প্রায় ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৬ টাকার দ্রব্য ক্রয় দেখিয়েছেন।”

তার তিন বছরের মেয়াদকালে তিনি চার হাজার ২০০ টাকায় দুটি টিস্যু বক্স ক্রয় করে একটি নিজের বাসায় নিয়ে যায়। নাস্তা ও খাবার বাবদ প্রায় চার লাখ ১৮ হাজার ৮৯০ টাকা, ইন্টারনেট, লাইব্রেরি এবং ক্রীড়া তহবিল থেকে তিনি প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার ৬১০ টাকা, নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাভন মেটালিক’ থেকে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে হলের জন্য তিনি প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার ৫৪৫ টাকার নেমপ্লেট, অনারবোর্ড এবং ক্রেস্ট ক্রয়, প্রাধ্যক্ষের কক্ষ সম্প্রসারণের জন্য এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে দুটি এসি এবং ইন্টোরিয়রের জন্য আসবাব, র‌্যাক, জানালার পর্দা, গ্লাস ভোর পর্দা, টিস্যু বক্স বাবদ এক লাখ ৪০ হাজার ৭৩৩ টাকা ব্যয় করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া হলের বিবিধ খরচে এক ভাউচারে চার হাজার ২০০ টাকায় দুটি টিস্যু বক্স ক্রয় করার বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। এই টিস্যু বক্সের একটি নিজ বাসাতেও নিয়ে গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

ছাত্র কল্যাণ তহবিলের ৫৩ হাজার ৫০০ টাকার পুরোটাতে দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, “তহবিল থেকে শিক্ষার্থী পরিচয়ে সহযোগিতা চেয়ে ৪৯টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি বৈধ আবেদনের মধ্যে কেবল একজন শিক্ষার্থী ১০০০ টাকা পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কর্নারের নামে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় দেখালেও এখানে তিনি বই বাবদ খরচ করেছেন মাত্র ৪৪ হাজার ৬৯৭ টাকা। বাকি অর্থ নিজের দোকান থেকে ক্রয় করা চড়া মূল্যের স্মারক, ফলক এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচেই ব্যয় করেছেন তিনি।

“এ ছাড়া হলের প্রাধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের শেষের দিকে সুজন সেন প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর সমন্বিত হল সমাপনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় কোনো দরপত্র আহ্বান ও ক্রেস্ট কমিটির পরামর্শ ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে নিজের দোকান থেকে ক্রেস্ট ক্রয় করেন তিনি। ১৯০৬ শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ১৫০ টাকার প্রস্তাবিত মূল্যে অত্যন্ত নিম্নমানের ক্রেস্ট সরবরাহ করেন তিনি। তৎকালীন এ বিষয়ে একাধিক হল প্রাধ্যক্ষ প্রতিবাদ করেছিলেন বলে জানানো হয়।”

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সুজন সেনের মেয়াদকালে জিয়াউর রহমান হলে প্রকৌশল দপ্তর থেকে এককভাবে ৩৯ লাখ ২২ হাজার ২০৮ টাকা এবং বিভিন্ন বিভাগ ও হল মিলে সমন্বিতভাবে ১১ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকার কার্যাদেশ আসে। এর বাইরেও প্রায় ৩৩ লাখ টাকার আরেকটি কার্যাদেশ আসে বলে হল সুপার মামুনুর রহমান জানিয়েছেন।

“তবে সেটির কাগজপত্র সুজন সেন নিজের কাছেই রেখে দিয়েছেন। এটি তিনি হল কর্তৃপক্ষের হাতে দেননি”, বলেন তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সব ধরনের দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ ও অবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা‌।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চার কারণে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হয়। রাজনৈতিক ছাত্র-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাছে হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চাই না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ফারহানা ফারিনা মানববন্ধনে বলেন, আজকে যদি রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে পারত, অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারত, ক্যাম্পাসের সহিংসতা বন্ধ করতে পারত তাহলে আমরা কখনোই চাইতাম না ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক। আমরা দেখেছি রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নিপীড়ন বন্ধ করতে এসে তারাই নিপীড়নের মূল হোতা হয়ে যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) চালুর দাবি জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছরে যা দেখাতে পারেনি সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা এক মাসে দেখিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে মানববন্ধনে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আন্দোলন করিনি। ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কিছুই দিতে পারেনি। শিক্ষক রাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুকে গুলি উপহার দিয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসন থেকে এদেশকে মুক্ত করেছি। আজকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে এসেছেন বা ভবিষ্যতে যারা আসবেন তারা ছাত্রদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে যদি নিজেদের গদি বাঁচানো জন্য দলীয় কোনো নির্দিষ্ট ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে চলেন তার পরিণাম জাহাঙ্গীরনগরে ভালো হবে না।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌমাছি মোতায়েন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক স্থাপন করেছে তারা।

সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাদিপুর জড়ো হন। সেখানে তাদের মৌমাছি চাষ শিখতে দেখা যায়। সেসময় তাদের মাথা ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরা ছিল।

সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকটি মৌ-বাক্স ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে। তাদের আশা, যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের উপর আক্রমণ করবে।

৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়। আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন গুম হওয়া ব্যাক্তির স্বজনরা।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে গুম পরিবারের স্বজনদের প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি জানানো হয়।

এসময় বাংলাদেশ গুম পরিবারের প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেন বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শতকরা ৭০-৮০% লোক র্যাব দ্বারা গুম, খুন, অপহরণ হয়েছে। ক্রসফায়ারের নামে নাটক সাজিয়ে অন্যায় ভাবে পাখির মতো তারা মানুষ মেরেছে। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত র্যাবে দায়িত্বে থাকা ডিজি, এডিশনাল ডিজি, ডিবির প্রধান ও ডিজিএফআই প্রধান, সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মেজর (অব.) সাজ্জাদ আহম্মেদ র‌্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিটি সোর্সের আমরা বিচার চাই। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্তি ঘোষণা করে নতুন বাহিনী হিসাবে রুপান্তর করা হউক। বাংলার মানুষ র্যাবকে দেখতে চায় না। তারা একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হিসাবে বিশ্বের দরবারে পরিচিত।

তিনি বলেন, জল্লাদের আয়না ঘর কোথায় কোথায় বানানো হয়েছে, বাংলাদেশে কতটি আয়না ঘর আছে তাহা এখনো আমরা জানতে পারিনি। বাংলাদেশে যদি আয়না ঘর থাকে তাহলে বিচার বিভাগ, আদালত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই আমরা মনে করি। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জল্লাদের আয়না ঘর উন্মচন করা না হলে বাংলার প্রতিবাদী মানুষকে নিয়ে প্রতিটি সন্দেহ ভাজন আয়না ঘর ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে এবং সব আয়না ঘর ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারকি আমাদের কথা বোঝে না, নাকি আমরা সরকারকে বুঝাতে পারছিনা।

গত ২৭ আগষ্ট বর্তমান সরকার ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছেন। সেই গেজেট ৪৫ দিন এর মধ্যে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তারা কোথায় বসবে, কিভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে কোনো রোড ম্যাপ আমরা কিছুই জানতে পারিনি। একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও তাদের থেকে কোনো সৎ উত্তর পাওয়া যায়নি। তার মানে ধরে নেব সরকার আমাদের একটি শান্ত্বনা দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখতে চায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বেল্লাল হোসেন বলেন, আজকে দুঃখের বিষয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের পদ পদবী ক্ষমতা ও চেয়ার নিয়ে ব্যস্ত, স্বজন হারা পরিবারের পক্ষে শান্ত্বনা দেওয়ার মত কাউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, গুম অপহরণ হওয়া প্রতিটি ব্যক্তিকে অতিদ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। স্বজন হারা প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতি পূরণ ও মাসিক ভাতা অতিদ্রুত চালু করতে হবে।

তাছাড়া গুম, খুন, অপহরণের সঙ্গে জড়িতদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের গুম স্বজনদের তদন্ত কার্যক্রম কবে কখন চালু করা হবে, তা জানতে চান বলে জানান তিনি। এ সময় গুম হওয়া কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সংগঠিত গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিচার স্বচ্ছতার জন্য সব করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাজুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিহতদের সংখ্যা জানতে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, বড় কবরস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, চিঠির মাধ্যমে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, কতজন হাসপাতালে গিয়েছেন, চিকিৎসা নিয়েছেন এবং কতজন মারা গিয়েছেন তার তথ্য আমাদের দিতে। বড় বড় কবরস্থানের কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছে তা জানতে উপাচার্যদের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে, বলেন তিনি।

এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অন্তত ৬৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালনা এমএএন ছিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অতিরিক্ত সচিব ও অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

সোমবার সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি আলাদা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব শরন কুমার বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে এমএএন ছিদ্দিকের নিয়োগের লক্ষ্যে জারি করা ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো।

অপর এক আদেশে বলা হয়, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অতিরিক্ত সচিব ও অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

এমএএন ছিদ্দিক ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব হন। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এ পদে থাকেন। অবসরে যাওয়ার পর তাকে ডিএমটিসিএলের এমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার।

অপরদিকে সদ্য ডিএমটিসিএলের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আব্দুর রউফ এর আগে কোম্পানি সচিব ছিলেন।

এরপর তাকে এমআরটি ৫-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

ময়মনসিংহঃ জেলার নান্দাইল উপজেলার দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলামের নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খরচা বাবদ সিগারেটের ভাউচার অন্তর্ভুক্ত করার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া প্রকল্প কমিটির সভাপতি হয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষকের এমপিওভুক্তির শর্তে ঘুস গ্রহণসহ নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন বিদায়ী ম্যানেজিং কমিটির আরেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামসহ কমিটির অভিভাবক সদস্যরা।

বিদায়ী সাবেক সভাপতি ও কমিটির সব সদস্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে দিলালপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের সহযোগিতায় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ও তৎকালীন কমিটির সব সদস্য গত বুধবার অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভায় সর্বশেষ বিদায়ী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালিয়েছেন; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম ও তার কমিটির লোকজন।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ও তার কমিটির লোকজন স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য নানাবিধ অপকর্ম ও দুর্নীতি করেছেন। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলামের নামে সিগারেট ক্রয়ের ভাউচার নিয়ে শিক্ষাঙ্গনের ব্যাপক দুর্নাম রয়েছে। তৎকালীন শিক্ষার মান উন্নয়ন ছিল ৬৮%, যা সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামের সময়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন বৃদ্ধি পেয়ে তা ৯২.৭% দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দুর্নীতিবাজ সেই সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলামের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পিটিএ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। শুধু তাই নয়, সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অভিযোগ করা হলেও তা সরজমিন মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলামসহ কমিটির অন্য সাবেক অভিভাবক সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা বলছে, তা কোনোটাই সত্য নয়।

সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, সভাপতি থাকাকালীন যে অপকর্ম করা হয়েছে, সেগুলো ঢাকার জন্য দিদারুল ইসলাম আমার ওপর বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মেধার ভিত্তিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী চাকুরি প্রত্যাশী আন্দোলন। এ সময় তারা ২ দফা দাবি জানান।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ওই দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন, সংগঠনের আহ্বায়ক কাজল চন্দ্র রায়, সমন্বয় আশরাফ উদ্দিন রমিজ আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রথমেই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই গণ গণঅভ্যুত্থানের সকল শহিদকে, যাদের আত্মত্যাগে আমরা একটি বৈষম্যহীন, স্বৈরাচারমুক্ত স্বপ্নের রাষ্ট্র পেতে চলেছি। গত ২৯ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় আমরা ৪৬,১৯৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হই। গত ৯মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৪৬,১৯৯ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ৩মাস সময় অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও পুরুষ ২০ শতাংশ ধার্য রয়েছে যা মেধার চূড়ান্ত অবমাননা বলে আমরা মনে করি।

তারা বলেন, যেহেতু চলতি বছরের ২৩শে জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা সংক্রান্ত পূর্বের সব প্রজ্ঞাপন রহিত করা হয়েছে, তাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৯৩% মেধা ও ৭% কোটা অনুসরণ করতে আইনগত কোনো জটিলতা থাকার কথা নয়। তাই উক্ত নিয়োগের ফলাফল প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩% মেধা ও ৭% কোটা অনুসরণের দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে ৩দিন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আহবান করেছিলেন আন্দোলনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাতে। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী মানববন্ধন কিংবা আন্দোলনের পরিবর্তে আমরা মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

তারা আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারির আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ও প্রকাশিতব্য রয়েছে যেগুলোতে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়েছে অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় বলতে চাই যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের রক্তের ওপর দিয়ে এই কোটা প্রথা কোনোভাবেই বহাল থাকতে পারে না। কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে এত প্রাণহানির পর কোনো অবস্থাতেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এ উল্লিখিত কোটা বহাল থাকতে পারে না। কোটা বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মেধাবীদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা দুই দফা দাবি পেশ করছি যা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়কে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে পূরণ করতে হবে।

২ দফা দাবি হলো- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিলপূর্বক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ১৩% মেধা ও ৭% কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এর চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। ৩১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত শুন্যপদসমূহের বিপরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে দীর্ঘ তিন মাস ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব শিক্ষা কার্যক্রম।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে বৈঠকে ক্লাস শুরু করার বিষয়ে নির্দেশ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। একই সঙ্গে গণরুম বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক এবং অফিস প্রধানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ক্লাস শুরুর বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তাব গৃহীত হয়। আগামীতে সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সব অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আলোচনায় উঠে আসে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে এরইমধ্যেই হল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগ ও ইনস্টিটিউট পর্যায়েও এ ধরনের মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ফলে এরইমধ্যে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যা প্রশাসন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হলের অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য এবং আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা করার অভিযোগে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা মারধর ও ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাসছাড়া করেন দুই শিক্ষার্থীকে।

গতকাল রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের টিভি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া খেয়ে পালানো শিক্ষার্থী লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮ ১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহসানুল্লাহ অলি এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাফিজ ইকবাল।

প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে হলের গণরুম সম্পূর্ণভাবে বাতিল ঘোষণা করে প্রশাসন। এতে হলের গনরুমে থাকা ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক আলোচনা সভার ডাকা হয়। সভায় ছাত্ররা তাদের বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। তবে আহসানুল্লাহ অলি আন্দোলন নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য করে এবং ছাত্র আন্দোলন অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী হাসানুল বান্নাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে অলিকে মারধর করে এবং ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করে শিক্ষার্থীরা। পরে অলির হয়ে সাফাই গাইতে আসলে নাফিজ ইকবাল কেউ ক্যাম্পাস ছাড়া করে তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাইয়ের শুরু থেকেই ছাত্র আন্দোলন সক্রিয় ছিলো। তবে অলি বলে ১৭ জুলাই ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার পর তেমন কোন আন্দোলন হয়নি। ২রা আগস্টের পরে কয়েক দিন মাত্র আন্দোলন হয়েছে। এছাড়াও সে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন কে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়েছে। যেখানে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বন্ধুকের সামনে জীবন বাজি রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। সেখানে সে এই আন্দোলনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হল ছাড়া করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিষয়টি সমাধান করেন।

মন্তব্যকারী আহসানুল্লাহ অলি বলেন, ‘হলের বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হলের টিভি রুমে আলোচনা হচ্ছিল। এসময় আমি বলি বর্তমানে আন্দোলনকারীরা ছাত্রদের ফেইসবুক পোস্টের উপর ভিত্তি করে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হল থেকে নামিয়ে দেয়। অথচ আন্দোলনকারী হাসানুল বান্না নামের একজনও ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী সরকারকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ জুলাই বন্ধ হওয়ার পর আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়ে এবং স্যাররা ২রা আগস্টের পর থেকে একাত্মতা প্রকাশ করলে পুনরায় আন্দোলন বেগবান হয় বলে মন্তব্য করি। তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আমার বক্তব্য ভুল বুঝে আমার ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়৷

এ বিষয়ে হাসানুল বান্না বলেন, 'জানা-অজানা তথ্য’ নামের আমাদের একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে। যেখানে চাকরির প্রস্তুতির লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও প্রকল্পের তথ্য শেয়ার করা হতো। এটিকে সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ইতিবাচক প্রচার বলে দাবি করে, যা একদমই হাস্যকর। আমি আন্দোলনের শেষ পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে সামনের সারিতে ছিলাম। যা সবাই দেখেছে। সেখানে সে পড়াশুনার ওই বিষয় নিয়ে সবার কাছে আন্দোলনকারী হিসেবে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে। একইসঙ্গে সে সমন্বয়ক ও ছাত্র আন্দোলন নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করে। আমার বিষয়ে সে যাই বলুক আন্দোলনকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য আমাদের প্রচণ্ড আঘাত করেছে। হলের শিক্ষার্থীরাও এটি মেনে নিতে পারে নাই। কারণ, যারা পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবির সামনে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন চলমান রেখেছিলে। তাদেরকে সে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ফলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তার ওপর চড়াও হয়।’

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘অলি নামের একজন যে আগে ছাত্রলীগকর্মী ছিল, সে শিক্ষার্থীদের সামনে আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে। ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সে হল ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, গণরুমের বৈধতা কোনদিন ছিলোনা। আর সব সমস্যার উৎপত্তি গণরুম থেকেই হয়। আবাসিকতার পুরো সিস্টেমটায় গণরুমের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এই গণরুম বাতিল ঘোষণা করেছি। কালকের রাতের ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১ সালের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: মোস্তাফিজুর রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১ সালের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ ও নিশ্চয়নের সর্বশেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর থেকে পরিবর্তন করে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে (কলেজ কর্তৃক) ফরম পূরণের টাকা/ফি জমা দেয়ার তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিলম্ব ফি স্থগিত রেখে শেষবারের মতো ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হলো।

বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট (www.nu.ac.bd/admissions) থেকে পাওয়া যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram