শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইলঃ  বেসরকারি সব শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।

শনিবার টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ  কলেজের মিলনায়তনের শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট ও জোটভুক্ত শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধি সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া বলেন, মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে শিক্ষাক্ষেত্রে সকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরিকরণের লক্ষ্যে আমরা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সাথে স্বাক্ষাৎ করে কেন শিক্ষার উন্নয়নে কেন জাতীয়করণ প্রয়োজন তা তুলে ধরলে তিনি জাতীয়করণ করার আশ্বাস প্রদান করেন এবং সে লক্ষে দ্রুত কাজ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

ছবি: মো. জাকির হোসেন

তিনি বলেন, পূর্ববর্তী শেখ হাসিনা সরকারের আমলের গঠিত হওয়ার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল করার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। সে দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব বেসরকারি কলেজের কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সভাপতিকে অপসারণ করা হয়েছে এবং সদস্যদের অপসারণ করার প্রক্রিয়া চলছে। ইনশাআল্লাহ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট শিক্ষকদের সকল দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে।

প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন বলেন,  প্রজ্ঞাপন জারী করে ২০২৩ খ্রীঃ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্য বিষয়ের ব্যাপক সংশোধন করতে হবে । নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য রচিত পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির (কাঠামোবদ্ধ প্ৰশ্ন পদ্ধতি) উপযোগী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। উহা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হবে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে দলীয়ভাবে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সকল পর্যায়ের কর্মচারীর এমপিও'র জন্য আবেদনপত্র ও তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

সম্মেলনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোট ও বাকশিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক একেএম আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমূখ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুর ২টায় ব্যানারে ছাত্রলীগ কর্মীদের নাম ও ব্যাচ লিখে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে হলের সম্মুখভাগে।

ব্যানারের দেখা যায়, গণহত্যা সমর্থনকারীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণার। এতে লেখা, জুলাই বিল্পবের বিপক্ষে থাকা ও গণহত্যা সমর্থনকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

যাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইভা রহমান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের স্বর্না পাটোয়ারী, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের মৈত্রী বাড়ৈ, বাংলা বিভাগের আফিয়া আঞ্জুম, গণিত বিভাগের নিপুণ ইসলাম,ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মুনিয়া আক্তার যুথি, দর্শন বিভাগের রিশাত আরা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সৃজা, শিক্ষা ও গবেষণার ফারহানা ঐশী।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

দ্য গার্ডিয়ান: বাংলাদেশে উল্লেখ করার মতো কিছু ঘটনা ঘটে গেল। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে প্রাথমিকভাবে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বড় পরিসরে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ক্রমেই স্বৈরাচার হয়ে ওঠা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে তা গায়ে লাগাননি। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার পরিবর্তে তিনি এমন সব পদক্ষেপ নেন যে, তাতে সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

জুলাই মাসের মাঝামাঝি শেখ হাসিনার সরকার বিক্ষোভ দমনে চূড়ান্ত রকমের সহিংসতার আশ্রয় নেয়। পুলিশের গুলিতে মারা যান অনেক শিক্ষার্থী। দেশজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট যোগাযোগ। পুলিশের নৃশংসতার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ওই মাসের শেষ নাগাদ বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। ঘটনাক্রমে সেনাবাহিনী ছাত্র–জনতার পক্ষে অবস্থান নিলে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।

এভাবেই দেশব্যাপী ছাত্র–জনতার আন্দোলন একজন সহিংস স্বৈরশাসককে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হয়। দৃশ্যত, অন্তত এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা জয়ী হয়েছেন।

বাংলাদেশের ওই সহিংস আন্দোলনের প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি প্রতিবেশী দেশগুলোও। পাকিস্তানে, জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে বন্দী। এর নেপথ্যে রয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে যে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাঁর নাম না নিতে, তাঁর বক্তব্যকে উদ্ধৃত না করতে বা তাঁর ছবি প্রদর্শন না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারাগারে ঢোকানো হয়েছে তাঁর দলের অনেককে। কিন্তু বিস্ময় জাগানো কিছু শুরু হয়েছে সেখানেও। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শুরু করা গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে পাকিস্তানের স্টুডেন্টস ফেডারেশন গত ৩০ আগস্টের মধ্যে ইমরান খানকে মুক্তি দিতে সরকারকে সময় বেঁধে দেয়। তাঁকে মুক্তি না দিলে দেশজুড়ে ছাত্রবিক্ষোভ শুরুর হুঁশিয়ারি দেয় তারা।

বাংলাদেশে যা ঘটেছে এবং পাকিস্তানে যা ঘটতে পারে, তা প্রতিটি স্বৈরশাসকের জন্যই দুঃস্বপ্নের। কর্তৃত্ববাদীরা ও সম্ভাব্য কর্তৃত্ববাদীরা এটা জানেন, তাঁদের সমালোচক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রাথমিক ঘাঁটি বিশ্ববিদ্যালয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হামলা ফ্যাসিবাদের জন্য বিপদের আগাম সতর্কবার্তা।

ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সাল থেকে দেশটি শাসন করছেন। ‘ভারত-বিরোধিতার’ অজুহাতে দেশটির অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিশানা বানানো তাঁর সরকারের একটা বৈশিষ্ট্য।

একইভাবে হাঙ্গেরির স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের কথা বলা যায়। বুদাপেস্টে সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ‘জেন্ডার মতাদর্শ’ ছড়িয়ে দিচ্ছে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে বাগাড়ম্বরপূর্ণ রাজনৈতিক প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি। আইনকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেশছাড়া করতে চায় তাঁর সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রেও পরিস্থিতি অনেকটা একই রকমের। ভিন্নমত দমনে সম্ভাব্য কর্তৃত্ববাদীরা ও একদলীয় রাজ্যগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে নিশানা করছে। যেমন সংখ্যালঘু ভোটারদের কঠোরভাবে দমন করতে ভোটার জালিয়াতির পুরাকথা ব্যবহার করছেন ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর ও ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বৈরাচার’ রন ডিস্যান্টিস (যুক্তরাষ্ট্রে বাস্তবিক অর্থে কখনো ভোটার জালিয়াতি হয়নি। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা গেছে, এমন জালিয়াতি হলেও তা হয়তো অঙ্কের হিসাবে শূন্য দশমিক ০০০৩ থেকে শূন্য দশমিক ০০২৫ শতাংশ)।

সংখ্যালঘু ভোটারদের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিশানা বানিয়েছেন ডিস্যান্টিস। ফ্লোরিডার সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও শিক্ষাগত স্বাধীনতার ওপর গত বছরের মে মাসে ‘আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস (এএইউপি)’–এর এক বিশেষায়িত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঙ্গরাজ্যের সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক স্বাধীনতা, শর্তাবলি ও শাসন এখন রাজনৈতিক ও আদর্শিক হামলার শিকার; যা মার্কিন ইতিহাসে নেই। কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভীতির পরিবেশ বজায় থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে।

অতি সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে গণহত্যাবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে। বিক্ষোভে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইহুদি শিক্ষার্থীও অংশ নেন। এই বিক্ষোভকারীদের হামাসপন্থী আখ্যা দিয়ে অভিজাত ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তাদের ওপর মৌখিক, রাজনৈতিক ও শারীরিকভাবে আক্রমণ চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্র আন্দোলনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাবনার বিষয়ে অবগত রয়েছে। রিপাবলিকান দল ক্রমেই যত কর্তৃত্ববাদের দিকে ঝুঁকবে, ততই বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মতো ভিন্নমত গুঁড়িয়ে দিতে চাইবে। আর এটি শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের মধ্য দিয়ে। তবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অপরিসীম সাহস ও সংকল্প দিয়ে এটিই দেখিয়েছে, ফ্যাসিবাদীদের কৌশল হিতে বিপরীত হতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

জয়পুরহাটঃ জেলার কালাই উপজেলার একটি মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ পাঁচ ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বগুড়া থেকে উদ্ধার করে গভীর রাতে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া পাঁচ ছাত্রী ইউটিউবে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড দল বিটিএসে আসক্ত হয়ে মাদ্রাসা থেকে পালায়। তারা ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। বগুড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল ভোরে ফজরের নামাজের পর মাদ্রাসার আবাসিকের পাঁচ ছাত্রীর খোঁজ পাচ্ছিল না কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসায় ৫৫ জন ছাত্রী পড়াশোনা করে। এর মধ্যে ৫০ জন আবাসিক। গত বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর তারা ঘুমিয়ে পড়ে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজের জন্য আবাসিকের তত্ত্বাবধায়ক দরজা খুলে দেন। এরপর ওই পাঁচ ছাত্রী বাইরে গিয়ে আর মাদ্রাসায় ফেরেনি। এরপর কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের বাসায় খোঁজ নিয়েও সন্ধান পায়নি। তাদের সবার বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। এদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থীর ট্রাংক খুলে ভেতরে একটি করে চিরকুট পাওয়া যায়। একটি চিরকুটে লেখা ছিল, ‘প্রিয় মা-বাবা তোমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না। এ কারণে চলে যাচ্ছি। আমরা আবার ফিরে আসব।’ এরপর পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের সন্ধান শুরু করে।

যেভাবে উদ্ধার

পুলিশ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ছাত্রীর মধ্যে একজনের কানের গয়না বিক্রি করে তারা ঢাকায় যাচ্ছিল। মাঝপথে গিয়ে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। পরে তারা জয়পুরহাটের উদ্দেশে যাত্রা করে গতকাল রাতে বগুড়ার মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে উদ্ধার করে কালাই থানায় নিয়ে আসে। এরপর পুলিশ গভীর রাতে অভিভাবকদের থানায় ডেকে আনে। মুচলেকা নিয়ে পাঁচ ছাত্রীকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়।

কালাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, মাদ্রাসা থেকে পালানো পাঁচ শিক্ষার্থী ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে ইউটিউবে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড দল বিটিএসের ভিডিও দেখত। এতে তারা বিটিএসে আসক্ত হয়ে পড়ে। বিটিএসের ভিডিও দেখে তারা ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর আজ শনিবার সকালে জয়পুরহাট সেনাবাহিনী ক্যাম্পের একটি দল ওই মাদ্রাসায় যায়। তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে। ভবিষ্যতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য উপস্থিত সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেয় তারা।

মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেন বলেন, ঢাকায় যাওয়ার সময় বগুড়া থেকে নিখোঁজ পাঁচ ছাত্রীকে পাওয়া যায়। থানায় এনে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল ধরণের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্রসংসদ চালুর দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সেই কথাটাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। যেখানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই দখলদারিত্ব, লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির রাস্তা বন্ধ হয়- সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলার মানে হয় না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল ধরণের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সাথে কালক্ষেপণ না করে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।'

এর আগে, দুই দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্যের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দেশ থেকে একটি রক্তচোষা, ফ্যাসিস্ট, সৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করেছে। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনাকে অভিভাবক হিসেবে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। এই দেশে একটি সরকার স্বৈরাচারী হয়ে উঠে কয়েকটি সিস্টেমের মাধ্যমে। তন্মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয় ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি অন্যতম, যেখানে বার-বার এই সিস্টেমের পুঁজি করা হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত পনেরো বছরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিশেষ করে ছাত্রলীগ যে সিস্টেম চালু করে রেখেছিল তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মরিয়া হয়ে আছে। এমনকি দলীয় ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি পরিপক্ব করার তাগিদে তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন করে। হল গুলোতে গেস্টরুম, গণরুমের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক প্রহসন চালানো হয় শুধু তাদের ফ্যাসিবাদী স্বার্থ হাসিল করার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ধরনের নোংরা দলীয় রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিরাজনীতিকরনের পক্ষে নয়; বরং গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নির্বাচন করার পক্ষে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মুক্তির ৯ দফা দাবির অন্যতম প্রধান দাবি ছিলো ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সকল ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।’ উক্ত দাবির সাথে সংহতি রেখে অবিলম্বে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে গৃহীত দুইটি দফা হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে; অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দিতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং (নিউরো রেডিওলজি) বিভাগের অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং (নিউরো রেডিওলজি) বিভাগের শিক্ষক ডা. মো. নজরুল ইসলামকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) পদে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

জানা গেছে, অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা বোর্ডের অধীনে ১৯৮৪ সালে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি এফসিপিএস, এমডি (ডক্টর অব মেডিসিন) এবং এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শিক্ষকতা জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে নিউরো রেডিওলজি বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনায় নিয়োজিত রয়েছেন।

বিএসএমএমইউ সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে ইনডেক্স ও নন-ইনডেক্সডসহ ৩৬টি পাবলিকেশন রয়েছে। বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সম্মেলনে তিনি অংশ নিয়েছেন। আল্ট্র্রাসাউন্ড, এক্সরে, সিটিস্ক্যান অ্যান্ড এমআরআই রিপোর্ট প্রদানে সুদক্ষ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. নজরুল ইসলাম কর্মজীবনে হবিগঞ্জের আধুনিক সরদার হসপিটালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম তার বর্ণাঢ্য জীবনে পরীক্ষক ও থিসিস গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহঃ দীর্ঘ আট বছরের আইনি লড়াই শেষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের অধ্যক্ষ পদ ফিরে পেয়েছেন ড. মো: আতাউর রহমান। গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালত আতাউর রহমানকে অধ্যক্ষ পদ ফিরিয়ে দিতে আদেশ প্রদান করে রায় দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) তিনি পুনরায় কেবি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।

জানা যায়, আতাউর রহমান কেবি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে ২০০৬ সালে যোগদান করেন। এরপর থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নসহ সার্বিক অগ্রগতিতে বিশেষ দায়িত্বশীলতার পরিচয়ও দিয়ে আসছিলেন তিনি। এদিকে ২০১৫ সালে কলেজটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন। চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি কলেজের অধ্যক্ষের কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠে। একইসাথে কলেজের অবকাঠামো নির্মাণকাজে দুর্নীতির বিরোধিতা করায় অধ্যক্ষের সাথে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আস্তে আস্তে দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৬ সালে শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই আতাউর রহমানকে বরখাস্ত করেন ড. সাখাওয়াত। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় তার বেতন ভাতাও।

২০১৬ সালে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ওই অধ্যক্ষকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ জজ কোর্টে মামলা করলে ২০১৮ সালে আদালত বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কোর্ট। এর কিছুদিন পর প্রত্যাহারের আদেশের বিপক্ষে আপিল করে তাকে বরখাস্ত (পূর্ণাঙ্গ) করা হয়। পরে ওই অধ্যক্ষ হাইকোর্টে রিট করে দীর্ঘ ছয় বছর আইনি লড়াইয়ের পর গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালত আতাউর রহমানকে অধ্যক্ষ পদ ফিরিয়ে দিতে আদেশ প্রদান করে রায় দেন। ফলে দীর্ঘ আট বছর পর আবারো অধ্যক্ষ হিসেবে কেবি কলেজে যোগদান করেন তিনি।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. মো: আতাউর রহমান বলেন, কোনো প্রকার লবিং ছাড়াই আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যক্ষের চাকরি পেয়েছিলাম। অনেক সংগ্রাম ও কষ্টের পর কলেজটিকে একটি সুন্দর ও শিক্ষার উপযোগী পরিবেশে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলাম। তৎকালীন ঢাকা বোর্ডের অধীনে সেরা দেশের মধ্যেও নিয়ে এসেছিলাম। বুয়েট, মেডিক্যালসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জিত হয়। কিন্তু ড. সাখাওয়াত গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হওয়ার পর কলেজের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থকে তিনি প্রাধান্য দিতে থাকেন। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা যে ছিল ঠিকাদারের। তার সাথে আঁতাত করে কলেজের অবকাঠামো কাজের দুর্নীতি, জোরপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করেন। গভর্নিং মিটিংয়ের সম্মানী ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করেন। প্রতি মাসে নাস্তা বাবদ ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা বিল করে কলেজ থেকে টাকা নিতেন। এমনকি কলেজের টাকায় জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতেন। এজন্য কলেজের মাসিক বেতন দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। পাশাপাশি ভর্তি ফি ও সেশন চার্জও অস্বাভাবিকহারে বাড়াতে একক সিদ্ধান্ত নিতেন ড. সাখাওয়াত।

ড. সাখাওয়াতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তিনি চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে প্রশ্ন মডারেশন বাবদ অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ যে গভর্নিং মিটিংয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়, সেই মিটিং ডাকার এখতিয়ার গভর্নিং চেয়ারম্যানের নয়, বরং অধ্যক্ষের।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, তার মামলাটি উচ্চ আদালতে দীর্ঘ সময় নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য সাবেক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সাবেক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ আছে। একইসাথে তার স্ত্রীকেও (কেবি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক) মিথ্যা অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও বেতন বন্ধ করা হয়েছিল। একপর্যায়ে ২০১৯ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্ত্রীকে অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়।

অধ্যক্ষের পদ ফিরে পাওয়ার পর ড. আতাউর রহমান বলেন, সত্যের জয় হয়েছে, সারাজীবন সততার সাথে কাজ করেছি। আমি আইনের প্রতি আস্থাশীল ছিলাম, তাই কোথাও তদবির না করে আইনের মাধ্যমে অধ্যক্ষের পদ ফিরে পেয়েছি। আমি চেষ্টা করব, যতদিন আছি কলেজকে আগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে।

গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করার কারণে জরুরি প্রয়োজন সাপেক্ষে গভর্নিং বডির সিনিয়র সদস্য হিসেবে গভার্নিং বডির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মজিদ।

তিনি জানান, আমার একাধিক মিটিং করেছি। তার রায়ের বিপক্ষে দুজনের আপিল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা আপিল করতে রাজী হননি। পরে নিয়ম অনুযায়ী তিনি কলেজের গভর্নিং বডির মাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসনাত কবীর।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. শেখ সা'দ আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ড. হাসনাত কবীর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করবেন। এ আদেশ দায়িত্বে যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মেতাবেক আর্থিক সুবিধাদি পাবেন।

এদিকে শনিবার দুপুরেই দায়িত্বে যোগদান করেছেন ড. হাসনাত কবীর। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

ড. হাসনাত কবীর রাবির ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিকস বিভাগ থেকে ১৯৯২ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে জাপানের কোচি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

১৯৯৮ সালে তিনি রাবির ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিকস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে বিভাগে যোগ দেন। এরপর ২০০৬ সালে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ও ২০২০ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

বিভিন্ন জার্নালে ও অন্যান্য প্রকাশনায় তার প্রায় ৬০টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে অ্যান্টেনা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং থ্রিডি প্রিন্টিং।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন সদ্য সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নিয়োগ বাণিজ্য, মাদ্রাসার সম্পদ তছরুপ, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর অর্থ আত্মসাৎ, এনটিআরসিএ'র মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে বিভিন্ন বাহানায় অর্থ আদায়, সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রীদের সাথে অসৎ আচরণ, মাদ্রাসায় না আসা শিক্ষকের বেতন ভাগাভাগি করে নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার  বলরামপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ মমতাজুল ইসলামের (ইনডেক্স নং- 099535) বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  ২০০২ সাল থেকে সুপার পদে দায়িত্বে থাকা মো: মমতাজুল ইসলাম নিয়োগ বাণিজ্য, মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাৎ, মাদ্রাসার নিজস্ব সম্পদ ও মার্কেট থেকে প্রাপ্ত আয় আত্মসাৎ, রাজনৈতিক ব্যক্তিকে সভাপতি এবং নিজস্ব বলয়ের ব্যক্তিদের কমিটির সদস্য বানিয়ে গত দুই যুগে অন্তত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

জানা গেছে, নিজস্ব ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ জিয়াউর রহমানকে সভাপতি বানিয়ে ২০১৫ সালে নিজের ছেলের বউ জাকিয়াকে সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) পদে নিয়োগ বাগিয়ে নেন। এরপর ২০২০ সালে আয়া পদে ১০ লাখ টাকা ঘুসের বিনিময়ে রুখসানা পারভীন নামের এক নারীকে নিয়োগ প্রদান করেন। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে মোস্তাকিম নামের ব্যক্তির থেকেও প্রায় সমপরিমাণ টাকা নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেন। এরপর সর্বশেষ সেই একই সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমানকে ২০২৪ সালের জুন মাসে তার (সভাপতি) ভাইয়ের বউ ফেরদৌসী আরাকে  ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ প্রদান করেন।  একই নিয়োগে সহকারী সুপার পদের জন্য দশ লক্ষ টাকার চুক্তি করা হয় সেখান থেকে সভাপতি কোন টাকার ভাগ পাবেন না বলে অলিখিত চুক্তি করে সহকারী সুপার পদে মাহফুজা খাতুনকে নিয়োগ প্রদান করেন এবং এমপিওভুক্ত করান। সভাপতির ভাগের টাকায় সভাপতি তার ভাইয়ের বউকে নিয়োগ দেন এবং সুপারের ভাগের অংশ পান সহকারী সুপার পদে নিয়োগ দিয়ে।

প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এনটিআরসিএ'র মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া যেসব শিক্ষক এখানে যোগদান করেছেন তাদের যোগদান থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কাজে টাকা দিতে বাধ্য করেছেন। এমনকি এনটিআরসিএ'র নিয়োগ সুপারিশের আলোকে কোন প্রতিষ্ঠান প্রধানের অর্থ নেওয়ার কোন সুযোগ না থাকলেও সুপারকে অর্থ দিয়েই যোগদান করতে হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের এমপিও, উচ্চতর স্কেল, বিএড স্কেল ইত্যাদি ফাইল প্রেরণের ক্ষেত্রে সুপারকে টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। টাকা না দিলে এমপিও ফাইল পাঠাবেন না বলে জানান তিনি। কারণে অকারণে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতির হুমকি প্রদান করার অভিযোগও উঠে  আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসন আমলের এই ১৬ বছরে প্রভাবশালী সুপার পদে অধিষ্ঠিত হওয়া সুপার  মোঃ মমতাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদ্রাসার নামে 'ফিক্সড ডিপোজিট' করে রাখা 'এফডিআর' এর অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে তিনি উত্তোলন করেন। ২০২৩ সালে 'পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস' (pbgsi) প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা অর্থ পায় বলরামপুর দাখিল মাদ্রাসা। এই পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা শিক্ষকদের মাঝে বন্টন, বইপত্র- লাইব্রেরি, শিক্ষা উপকরণ এবং গবেষণাগার সরঞ্জাম ইত্যাদিতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়, ছাত্র-ছাত্রী বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য ফ্যাসিলিটির (অবকাঠামো, বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার, কমনরুম ইত্যাদি) উন্নয়নে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়, সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা ব্যয় ৭৫ হাজার টাকা এবং প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ের জন্য বলা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির সুপার মোঃ মমতাজুল ইসলাম এই পাঁচ লক্ষ টাকার একটাকাও ব্যয় না করে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করেন।  প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ের কথা বলা হলেও মাদ্রাসাটির একমাত্র বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী (প্রকল্প চলাকালীন সপ্তম শ্রেণি ছাত্র) মারুফ হোসেনকে একটাকাও দেওয়া হয়নি। প্রকল্পে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর জন্য টাকা আসছে যেনে শিক্ষার্থী মারুফ হোসেনের পিতা হতদরিদ্র পেশায় ভ্যান চালক মোঃ মতিউর রহমান বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তাকে ডেকে নিয়ে সুপার এবং সভাপতি তাকে কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি  সমাধান করেন। অভিযোগের কপি শিক্ষাবার্তা'র হাতে রয়েছে।

শুধু এই প্রকল্পের অর্থই আত্মসাৎ করে ক্ষ্যান্ত থাকেননি সুপার মমতাজুল। তিনি মাদ্রাসার পুকুর আবাদি জমি ও ভাড়া দেওয়া মার্কেট থেকে প্রাপ্ত আয় সুপারের দুই যুগের শাসন আমলে একটাকাও মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যয় করেননি এমনকি মাদ্রাসার নামের ব্যাংক একাউন্টে জমা দেননি। মাদ্রাসার গাছ বিক্রির টাকা আত্নসাৎ, শিক্ষার্থী থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি'র টাকা আত্নসাৎ সহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত তিনি। অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বসার আসনের অভাবে মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিতে হয়।

মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক (সহকারী শিক্ষক কৃষি) মোঃ হাফিজুর রহমান (ইনডেক্স নম্বর 692745) যিনি সুপারের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। মাদ্রাসায় তার উপস্থিতি থাকার প্রয়োজন নেই তিনি একটি ক্লাসও নেননা। উপস্থিতি না থাকলে কিংবা ক্লাস না নিলেও তার বিরুদ্ধে কখনও একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পর্যন্ত প্রদান করা হয়নি। এর কারণ তিনি মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারের (এমপিও) যে অর্থ পান তার অর্ধেক নেন তিনি বাকি অর্ধেক পান সুপার মোঃ মমতাজুল। গত ৮ বছরে মাঝে মাঝে তিনি নামে মাত্র মাদ্রাসায় উপস্থিত থেকেছেন। মাদ্রাসার হাজিরা খাতার কপি শিক্ষাবার্তা'র হাতে রয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান কোথায় ছিলেন তা কেউই জানতেন না। অথচ এই সময়ের পুরো এমপিওর অর্থ এক সাথে বিল করে সর্বমোট ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। যার প্রমাণ শিক্ষাবার্তা'র হাতে রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন হাজার টাকা বেতনে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় মাদ্রাসা না আসলেও সর্বশেষ ২০২৩ সালে টাইমস্কেল বাগিয়ে নেন এই শিক্ষক। বর্তমানে তিনি ৮ম স্কেলে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। আর এসবের পেছনে মূল নায়কের চরিত্রে  সুপার মমতাজুল ইসলাম।

শুধু আর্থিক কেলেঙ্কারিই নয় সুপার মাদ্রাসার ছাত্রীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করা ও বাজে ব্যবহার  এবং কোন ধরণের শিক্ষক সুলভ আচরণ করেন না বলে শিক্ষাবার্তার'র কাছে অভিযোগ করেন একাধিক ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী ক্ষমতায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত সুপার মমতাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। বর্তমানে তারা  গণস্বাক্ষর শুরু করেছেন সুপার মমতাজুল ইসলামের পদত্যাগ এবং বিচারের দাবিতে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার মোঃ মমতাজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাঃ জুলফিকার আলী শাহ শিক্ষাবার্তা'কে বলেন,  আমার কাছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি এমনকি কেউ জানায়নি। আপনি মাদ্রাসাটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন জানতে পারবেন।

মাদ্রাসাটির গভর্নিং বডির সভাপতি ও বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফজলে এলাহীর মুঠোফোনেও বেশ কয়েকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ 'মাদরাসা শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে যুক্ত নয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে যা প্রমাণিত। বরং তারা জাতীর দুর্দিনে সবার আগে এগিয়ে আসে। তাই তাদের এখন বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে।'

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফি মাদরাসা পরিদর্শন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা একটি বিতর্কিত ইস্যু। এটি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছুতে আমরা হাত দেবো না। বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ, মন্দির এবং মাজারে হামলা গর্হিত কাজ। ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দেশে বিক্ষিপ্তভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। ফলে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে করে শাহবাড় মোড়কে ঘিরে থাকা সবগুলো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাকিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছিল। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। অবরোধের কারণে এ এলাকায় আপাতত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য কাজ করছি।

আন্দোলনকারী বলছেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। একারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

ঢাকা: দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা। সেখানে এ নির্দেশনা দেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। যারা ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। বিজিবিকে আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিজিবির মূল দায়িত্ব। এ সময় তিনি বিজিবিকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।

ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।

অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে বিজিবির সব রিজিয়ন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram