শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ

রাঙামাটির কাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদ কমিটির মোতওয়ালীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও মনগড়া নিয়মে মসজিদ পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গরিব-দুঃখী মুসল্লিদের সাথে অসদাচরণ, মিলাদুন্নবী উদযাপন হলে সে ক্ষেত্রে তৌফিক মোতাবেক গরীব দুঃখী মুসল্লিরা আল্লাহর ওয়াস্তে টাকা পয়সা দিলে তা গ্রহণ না করা, ঠিক একইভাবে পবিত্র রমজান মাসে তারাবির নামাজের খতম শেষে, গরিব দুঃখী মুসল্লিদের দান কৃত টাকা অল্প স্বল্প হলে ওই টাকা ফেরত দেওয়াসহ মসজিদ পরিচালনায় নানা অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায়, এনিয়ে নিরীহ মুসল্লী,সচেতন নাগরিক সমাজ এক হয়ে মোতোয়ালির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলায় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে।

মসজিদ পরিচালনায় নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা চলার অভিযোগ এনে আদালতে মামলাও হয়েছে বলে জানা যায় । দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে চিৎমরম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লির সংখ্যা কমেতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, গত এক দুই বছরের ও বেশি সময় ধরে মোতোয়ালি হাজী মোহাম্মদ সৈয়দ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার কর্তৃক মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ মুসল্লিদের সামনে উত্থাপিত হয় না। একনায়ক তন্ত্র মনোভাব নিয়ে মসজিদ পরিচালনা করে আসছেন,যার ফলে নিরীহ মুসল্লী ও প্রভাবশালী মুসল্লিদের মাঝে দ্বন্দের সৃষ্টি। সৃষ্ট এ ঘটনা বা মতবিরোধ সমাধান কল্প মোতোয়ালি ও তার মদত পুষ্ট কমিটি এ যাবৎ সমাধান্মুখী কোন সুরাহা করেননি বলে অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় এলাকায় দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত শর মিলাদুন্নবী, কোন মুসলিম ভাই বোনদের মৃত্যু হলে কবরস্থ করার সময়ও বাঁধা প্রধান, এমনকি মসজিদ নির্মাণের সময় জমি দাতা যিনি তার পরিবারের কেউ মারা গেলেও মসজিদ এলাকায় কবর দিতে বাধা প্রদান করা হয়, এছাড়াও গেল বছর ঈদুল আযহার মাঠে মসজিদের জন্য গরিব দুঃখী মুসল্লিরা তৌফিক মোতাবেক অনুদান দিতে গেল বাধা প্রদান করে মোতোয়ালির মদনপুষ্ট কমিটির লোকজন। এক পর্যায়ে দান অনুদান সংগ্রহকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রুপ নেয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, চিৎমরম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনার জন্য তিন বছর মেয়াদী অর্থাৎ গেল ১৫/১২/২০২২ সালে মোতোয়ালি নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে নানা অভিযোগ উঠে আসে।
মসজিদের জমি দাতা ও বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ সিরাজুল হক, চিৎমরম সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আজিজুল হক, সাবেক ইউপি মেম্বার আলমসহ অনেকে বলেন আগের মসজিদ পরিচালনা কমিটি মুসল্লী ও এলাকাবাসী বিশ্বাসের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছেন। আর বর্তমান কমিটি দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি উপহার দিয়েছেন।

মসজিদের বর্তমান কমিটির মোতোয়ালি হাজী মোহাম্মদ সৈয়দ বলেন, যারা এসব কথা বলছেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা। আমাকে তিন বছরের জন্য মোতোয়ালি নিয়োগ করা হয়েছে। আমি কর্মের প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম থাকলেও মসজিদ পরিচালনার বেলায় আমি স্বচ্ছ এবং সুন্দরভাবে দেখাশোনা করছি। তারপরেও অপরপক্ষ আদালতে মামলা করেছে বলে আমি জানতে পারি।

রাজশাহীঃ রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা। ওই আসনে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ১০ বছর এমপি ছিলেন তিনি। এমপি হওয়ার পর শুধু শিক্ষা-বাণিজ্য করেই শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

এছাড়া সরকারি পুকুর ইজারা, পুকুর খনন, বিভিন্ন প্রকল্পের কমিশন আদায়তো ছিলই। এতে এমপিসহ তার পরিবারের সব সদস্যের উন্নতি হলেও নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন করেননি।

পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে মাটির বাড়িতে তার বসবাস ছিল এই এমপির। বাবা আওয়াল কাজী ছিলেন বিয়ে রেজিস্ট্রার। বর্তমানে সেই স্থানে পাশাপাশি তিন ভাইয়ের জন্য তিনটি দোতালা বিলাসী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দারা ২০০৯ সালে প্রথম যখন এমপি হন তখন একটি ছোট গার্মেন্টের অংশীদার মালিক ছিলেন। তার মেয়েকে যুক্তরাজ্যে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছেন। সেখানে তিনি টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দারা এমপি থাকাকালীন তার এবং পরিবারের বিরুদ্ধে যারা গিয়েছেন তাদের একের পর এক হত্যার শিকার হতে হয়েছে। যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তারা সবাই তার বাড়ির আশপাশের লোকজন। নিহতরা হলেন- আবু দাউদ ও তার ছেলে নুহু। তার চাচাতো ভাই রয়েল। চাল ব্যবসায়ী আবুল ও তার স্ত্রী।

এ আসনে ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রথমে এ আসনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার নামে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ১০ বছরে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বনিম্ন ১০ জন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিটি চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

দারার চাচা বিড়ালদহ বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলীউজ্জামান মুন্টু ছিলেন নিয়োগ-বাণিজ্যের প্রধান। দুই উপজেলা থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নেওয়ার জন্য এমপির বাড়িতে টাকার চুক্তি করতে আসতেন। নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছে চুক্তির ব্যাপারে কথা বলতেন চাচা মুন্টু। তখন মুন্টুর উপাধি ছিল শিক্ষামন্ত্রীর নাম। দারা যতদিন এমপি ছিলেন ততদিন তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক ছিল।

মুন্টু বাদে আরও কয়েকজন নিয়োগ বাণিজ্যের চুক্তি করতেন। এরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সাবেক মেয়র রবিউল ইসলাম রবি, ধোপাপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান মুন্টু।

এদিকে, দারার চাচাতো ভাই শরীফ কাজী নিয়ন্ত্রণ করতেন দুই উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ বিষয়ের বাণিজ্য। কোনো এলাকায় নতুন বিদ্যুৎসংযোগ দিলে তাদের কত টাকা আয় হবে-তা দেখভালের দায়িত্ব ছিল তার। দারার আরেক চাচাতো ভাই রিপন টানা ১০ বছর উপজেলা পর্যায়ের সব টেন্ডার বাগিয়ে নিয়ে নিজে কাজ করতেন। পুঠিয়া-দুর্গাপুর নির্বাচনি এলাকায় সরকারি কয়েকশ খাস পুকুর রয়েছে। প্রতিবছর পুকুরগুলো পানির দামে ইজারা দিয়ে কোটি আয় করেছেন দারা চক্র।

এছাড়া, দুই উপজেলার কাবিখা-কাবিটারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্পের ৪০ শতাংশ টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে তিনি নিতেন। সমেন ঘোষ নামে একজনকে মাস্টাররোলে ওই অফিসে নিয়োগ দেওয়া হয়। সমেন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কামিশনের টাকা উঠিয়ে দারাকে দিতেন। সেই সমেনও বর্তমানে কোটিপতি।

জানা যায়, দারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নাটোরে বিদ্যুতের কুটল্যান্ড প্যানেলসহ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কমিটির সভাপতিও হয়েছিলেন। তার সময়ে ব্রাজিল থেকে কয়েক হাজার টন পচা গম আমদানি করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল ওয়াদুদ দারার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আব্দুল ওয়াদুদ দারা শুধু শিক্ষা খাত থেকে কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

ফরিদপুরঃ বিএনপি আমলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং নিজ নির্দেশনা না মানার কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতে দ্বীন মডেল কামিল (এম.এ) মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন স্থগিত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাতিজা ও ফরিদপুর-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে।

২০২১ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বরাবর একটি ডিও লেটার পাঠিয়ে ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধের কার্যক্রম শুরু করেন নিক্সন।

পরে তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে দেয় সরকার।

সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সনের এই অবৈধ পদক্ষেপের কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে কয়েক বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী। কিন্তু যখনই তারা নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তখনই তাদেরকে ‘জামাতি-জঙ্গী’ ট্যাগ দিয়ে হুমকি দিয়েছেন ত্রাসের রাজ্য কায়েম করা নিক্সন।

কিন্তু হাসিনা সরকারের পতন ও তার দেশত্যাগের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর মুখ খুলেছেন নির্যাতিত ওই শিক্ষকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর পুনরায় বেতন-ভাতা চালুর আবেদন জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন তারা। এতে নিক্সনের পদক্ষেপকে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মৃধা ‘অবৈধ’ দাবি করে তা বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মৃধা বলেছেন, নিক্সন চৌধুরীর অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের নির্দেশ অমান্য করায় তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বেতন-ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেন এবং সরকার তা আমলে নিয়ে আমাদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে দেয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন জানান, মাদরাসাটি শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের আইন ও বিধি মেনে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানকার ২৮ জন শিক্ষকের বেতন স্থগিত রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রাণালয়ে তদন্তাধীন রয়েছে, তদন্ত হলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।

মাদরাসার সভাপতি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত নিক্সন চৌধুরী ডিও লেটার দিয়ে তাদের বেতন স্থগিত করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার জেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসা নির্বাচিত হয়েছে এবং আবু ইউসুফ মৃধাও কয়েকবার জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ ও গণবিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ প্রতিবাদ ও গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

‘জুলাই গণঅভ্যূত্থান ফোরাম’ নামে এক সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তিসহ কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়।

এসময় ‘ফেলানী থেকে স্বর্ণা, সীমান্তে খুন আর না’, ‘হিন্দু মুসলিম ঐক্য গড়ো, সীমান্তে খুন বন্ধ কর’, ‘দিল্লী-ঢাকা জনতা, গড়ে তোলো একতা’সহ নানান স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা অংশ নেন।

গণবিক্ষোভে অংশ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী রেজিম বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বর্গা দিয়ে নিজের চেয়ারের দাম অর্জন করেছিল। এখন এদেশের চেয়ারও স্বাধীন, এদেশের মানুষও স্বাধীন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে একজন গণহত্যাকারী কীভাবে ভারতে থাকে এই প্রশ্নের উত্তর ভারত সরকারকে দিতে হবে।

গণবিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ বলেন, ভারতের মানুষের সাথে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের সমস্যা রাষ্ট্রের সাথে। ‘জুলাই বিপ্লব’ এর মধ্য দিয়ে যে স্বৈরাচার রেজিমের পতন হয়েছে সেই রেজিমকে এতদিন বৈধতা দিয়ে এসেছে ভারত সরকার। হাসিনা রেজিম থেকে আমরা মুক্ত হলেও এখনো নানা রকম ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা।

তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি- সেই পররাষ্ট্র নীতিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাতে হবে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন এক্টিভিস্ট তুহিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

মৌলভীবাজার: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্না দাস (১৪) নিহতের প্রতিপাদে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কুলাউড়া শহরে বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।

জানা গেছে, মশাল মিছিলটি পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে। সাধারণ ছাত্র /ছাত্রীদের উদ্যোগে মশাল মিছিল শেষে পথসভায় স্বর্না হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যতে সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

এ সময় বিএসএফ আর একটি গুলি করলে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও এর কমসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৯টায় কুলাউড়ার লালারচক সীমান্তে বিএসএফ -এর গুলিতে কিশোরী স্বর্না দাস নিহত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ সেন্টমার্টিনে রেজিস্ট্রেশন করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।

তিনি বলেন, প্রতিদিন এক হাজার ২০০ পর্যটক রেজিস্ট্রেশন করে সিডিউল মতো যাওয়ার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত সরকারের আমলে। কিন্তু এখন এটা এই সরকারের ওপর চাপানো হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টি ভ্যালি রেস্টুরেন্টের হলরুমে স্থানীয় ট্যুর অপারেটর অ্যান্ড ট্যুর গাইড ও স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের প্রতিনিধির সাথে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড’ কর্তৃক আয়োজিত ‘পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) মো: মাজহারুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, সেন্টমার্টিন হচ্ছে একটা ইউনিয়ন পরিষদ। সেখানে ২৫০টা হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে। এটা কি স্বভাবিক কথা ? এছাড়া এখানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার অফিস রয়েছে। সাথে রয়েছে তাদের থাকার রিসোর্ট। পরিবেশ অধিদফতরের মতো একটা প্রতিষ্টানেরও রয়েছে তিনটা বিল্ডিং। কোনো কোনো সময়ে সেখানে ১০-১৫ হাজার পর্যটক অবস্থান করেন। সেখানের স্থায়ী বাসিন্ধাসহ এতো পর্যটক একসাথে চলে গেলে নেটওয়ার্কিং একটা সমস্যা তৈরি হওয়া স্বভাবিক। কারণ, এত বেশি মানুষ একসাথে গেলে সেখানের পরিবেশ আর স্বাভাবিক থাকার উপায় নেই।

তিনি বলেন, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোড চালু হলেও ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত এটির কোনো কার্যক্রম’ই ছিল না। শ্রীমঙ্গলে একটা ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার চালু করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি এখন আবার বলছি শ্রীমঙ্গলকে প্রায়োরিটির ভিত্তিতে ট্যুরিজমের জন্য ডেভলপম্যান্টের কাজ করা হবে। আমরা শ্রীমঙ্গলে আরেকটা কাজ করতে চাই। সেটা হচ্ছে ‘আই লাভ শ্রীমঙ্গল’ লিখে একটা সেলফি জোন আমরা করব। এজন্য আপনারা একটা জায়গা আমাদেরকে নির্ধারণ করে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ করে আমাদেরকে চিঠি দিলে তিন মাসের মধ্যেই করে দিতে পারব। চিঠি পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করে দিব আপনাদেরকে কথা দিলাম।

তিনি বলেন, দেশের বাহিরে অনেক রাষ্ট্রদূতের সাথে আমাদের কথা হয়। বিদেশীরা যখন বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিসার আনতে যান তখন একজন বলেন বাংলাদেশে গিয়ে কি করবেন, সেখানে দেখার মতো কি আছে? আবার আরেকজন বলেন, আপনারা আমাকে ব্রশিউর তৈরি করে দেন। যাতে একজন ভিসা করার পর যাতে উনার পাসপোর্টের সাথে দিতে পারি। বিষয়টা হচ্ছে একেকজনের চিন্তা একেক রকম। এজন্য মানসিকতার আগে পরিবর্তন করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আগে নিজে থেকে পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের চিফ অ্যাডভাইজার ঢাকা বিমানবন্দরে একটা নির্দেশনা দিয়েছেন দুই-তিন দিনের মধ্যেই আপনারা সেটা দেখতে পারবেন। সেখানে অনেক কিছুই পরিবর্তন আসবে।

বিদেশীদের বাংলাদেশে ভ্রমণে যে রেড অ্যালার্ট দেয়া হয়েছে সেগুলো কোন দেশ কি অ্যালার্ট দিয়েছে সেগুলো আমরা বের করে নোট করেছি। আগামি সোমবারেই আমরা প্রধান উপদেষ্টার নজরে নিয়ে আসব। আশা করি সেগুলো তিনি সেসব দেশের অ্যাম্বাসেডরকে বলে দিলে তারা এটার ব্যাপারে ব্যবস্থা করবে। উনার একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে সারা বিশ্বব্যাপী। তখন বিদেশী পর্যটক আসতে আরা বাধা থাকবে না।

তিনি দাবি করে বলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ট্যুর অপারেটরদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে আইন করা হয়েছে সেগুলো আমরা করিনি। আমরা শুধু একটা ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রস্তাব পাঠাই আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে। তারা আপনাদের মতো বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে কথা বলে ১০ বা ১৩ লাখ টাকার স্ট্যাটমেন্ট এবং তিন লাখ টাকার ডিপোজিট রেখে রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রস্তাব করে। সেটা কিন্তু আমরা করিনি। বিষয়টিতে যেহেতু আপনাদের মতো তৃণমূল পর্যায়ে ট্যুর অপারেটদের আপত্তি রয়েছে তাই বিষয়টি আপনারা সরকারকে জানাতে পারেন।

কমিউনিটি বেজ ট্যুরিজমের বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা কাজ শুরু করতে পারেন, আমরা সহযোগিতা করব। কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলা, পটুয়াখালি এবং মৌলভীবাজার জেলাকে ট্যুরিজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টার করব এসব জেলাকে পর্যটক জেলা ঘোষণা করা যায় কি না।

বিদেশী টুরিস্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, আফ্রিকার ট্যুরিস্ট বাংলাদেশে বেড়াতে আসবে না, যারা আসে তারা স্মাগলিং করার জন্য আসতে চাইবে। আমরা চাই ইউরোপ, আমেরিকার ট্যুরিস্ট। আমরা চাই ভারত এবং চায়নার ট্যুরিস্ট। বিশ্বের অর্ধেক মানুষ বসবাস করে ভারত এবং চায়নায়। তারা যদি বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন তাহলে আমাদের ট্যুরিজম ব্যবসা জমজমাট হবে। তবে আমাদের দেশ থেকে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটাকে নেগেটিভলি লাইভ টেলিকাস্ট বেশি হওয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি করার পর ওই দেশের পর্যটকরা তাদের ভ্রমণ বাতিল করেন। এজন্য বিদেশি পর্যটকের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রজেটিভলি প্রচারণা করতে হবে। তবে আশার কথা হচ্ছে আমাদের এখন ভরসার জায়গা হচ্ছেন ড. ইউনুস। উনি যদি বিদেশীদের বলেন, আপনারা বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন, তাহলে আমাদের বিশ্বাস বিদেশীরা আসবেন। আমরা সেই আশায় আছি।

এর আগে মৌলভীবাজার টোয়ামের আহ্বায়ক মো: খালেদ হোসেনের সঞ্চালনায় ‘পর্যটন শিল্পকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ বিষয়ে পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, স্মার্ট ট্যুরিজমের স্বত্বাধিকারী ও দৈনিক নয়া দিগন্তের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এম এ রকিব, বৈশাখী ট্যুরের সিইও মো: শফিকুল ইসলাম রুম্মন, রাহা ট্যুরিজমের ট্যুর অপারেটর লুৎফুর রহমান, অতিক্রম ট্যুরিজমের সাইফুল ইসলাম, গ্রিন লিফ ইকোট্যুরিজমের ট্যুর অপারেটর তাপস দাশ, ট্যুর গাইড লিটন দেব, ওয়ান ওয়ার্ল্ডের পরিচালক মোতাহের আলম, ট্যুর গাইড জামাল হোসেন, সাজু মারচিয়াং, শ্যামল দেব বর্মা, গ্রিন লিফ গেস্ট হাউসের স্বত্বাধিকারী এস কে দাশ সুমন প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাবও জমা দিতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে চাকরিজীবী এবং তাদের পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে এবং মা-বাবার দেশে ও বিদেশে থাকা সম্পদের হিসাব নির্দিষ্ট ফরম অনুযায়ী দাখিল করতে হবে। ফরমে জমি, বাড়ি-গাড়ি, ফ্ল্যাট, অলংকার, শেয়ার, বীমাসহ বিভিন্ন সম্পদের তথ্য, সম্পদের অবস্থান, কেনা সম্পত্তির অর্থের উৎস দিতে বলা হবে। দুদক সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি এ ধরনের তথ্য চাওয়ার জন্য অভিন্ন ফরম তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

সম্পদের হিসাব জমা হওয়ার পর শিগগিরই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সম্পদের হিসাবের সঙ্গে বিগত বছরের টিআইএনের কপি সংযুক্ত করতে বলা হবে। বাবা-মার পাশাপাশি শ^শুর-শাশুড়ির সম্পদের হিসাব চাওয়ারও সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে চাকরিতে প্রবেশের সময় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দিতে হয়। এরপর পাঁচ বছর অন্তর সম্পদ কমা বা বৃদ্ধির বিবরণী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার নিয়ম আছে। দুর্নীতি রোধ ও চাকরিজীবীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আচরণবিধিমালায় এমন নিয়ম থাকলেও এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরেই মানা হয় না। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি দিলেও সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের সম্পদের হিসাব দেননি। বিগত সরকারের সময় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের অঢেল সম্পদ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। ক্ষমতার পালাবদলের পরও প্রশাসন, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মচারীদের দুর্নীতির খবর আসছে গণমাধ্যমে।

সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার দুর্নীতির অনুসন্ধানে নামে দুদক। এমন পরিস্থিতিতে বিগত সরকারের আমলে সম্পদের হিসাব যাতে দিতে না হয় সে বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তারা চাপ দিয়ে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে সরকারকে বাধ্য করেছিল। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১ সেপ্টেম্বর সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব চাওয়ায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণবিধিমালা দ্রুত যুগোপযোগী করে নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। ২০১২ সালের শুদ্ধাচার কৌশলও সংশোধন করা হচ্ছে। এসব নীতিমালায় নিয়মিত সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান নিশ্চিত করা হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো ফরম্যাট বা অভিন্ন ফরমে সম্পদের তথ্য বা বিবরণী সরকারের কাছে দাখিল করবেন, তা ঠিক করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা শাখার অতিরিক্ত সচিবকে।

কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), অর্থ বিভাগ এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি। এই কমিটি অভিন্ন ফরম ও নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফরম সব সরকারি চাকরিজীবীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবাইকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হবে। আর হিসাব জমা হওয়ার পর যাদের সম্পদ অস্বাভাবিক মনে হবে দুদক তাদের তলব করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। বছরে একবার এই বিবরণী জমা দিতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ জমা না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কী শাস্তি হবে তা ফরম দেওয়ার সময় বলে দেওয়া হবে। কারণ কেউ হিসাব না দিলে যদি কোনো শাস্তি না হয় তা হলে অন্যরা কেন জমা দেবে।

তিনি বলেন, সবাইকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। জিরো সম্পদ থাকলেও হিসাব দিতে হবে। তিনি জানান, সম্পদের হিসাব বছরে একবার দিতে হবে। সেটা হয় ১ জানুয়ারি, না হয় ১ জুলাই, বিষয়টা পরে ঠিক করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

পিরোজপুরঃ জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি এবং শিক্ষক-কর্মচারীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীসহ অর্ধশত অভিভাবক অংশ নেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মহিববুল্লাহ, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান, গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য আমিনুল হক, অফিস সহকারী রাবেয়া বেগম।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা ও মো. জাকারিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে বাধা সৃষ্টি করে আসছেন। এ ছাড়া ওই দুই শিক্ষক মিথ্যা মামলা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীকেও হয়রানি করে চলেছেন। সম্প্রতি মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডারে কাজ পাওয়া ঠিকাদার কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মাণ সামগ্রী আনেন। কিন্তু দুই শিক্ষকের বাধার কারণে ঠিকাদার মালপত্র নিয়ে চলে যান। বর্তমানে শ্রেণিকক্ষ না থাকায় পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক জাকারিয়া বলেন, তিনি যখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন তখন অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন সাবেক অধ্যক্ষ ও তাঁর ছেলে বর্তমান অধ্যক্ষ। তারা তাদের অপকর্ম ঢাকতে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর আবুল খায়ের বলেন, ওই মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ রাজধানীর মিরপুরে রশিদ মাস্টার নামে এক প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম গোলাম মোস্তফা। তিনি পল্লবী থানা বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।

স্থানীয়রা জানান, সেই শিক্ষককে জুতাপেটা ছাড়াও দলীয় লোকজন নিয়ে মারধর করেছেন ওই বিএনপি নেতা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুর পল্লবীর ১২ নম্বর মুসলিম বাজারের প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দোকানের সামনে থাকা সড়কে রশিদ মাস্টার দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তাকে হঠাৎ জুতাপেটা শুরু করেন বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা। নিজেকে রক্ষা করতে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষককে পেটাতে থাকেন বিএনপি নেতার লোকেরাও।

জানা গেছে, রশিদ মাস্টার উত্তর কালশী স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় দোকান বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।

ভুক্তভোগী রশিদ মাস্টার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা রকমের নির্যাতন হচ্ছে আমার ওপরে। বাজারের দোকান নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তারা আমার সব নিয়ে গেছে। আমি অভিযোগ করার পর থেকে আমাকে যেখানে পায় সেখানেই মারধর করছে।

পল্লবী থানার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষক আমার ওপর অনেক অত্যাচার করেছে। গত ১৬ বছরে আমাকে ৩ বার জেলে পাঠিয়েছে। ডিবি পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে। এটা আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব। আমি তাকে ঠকাইনি। তার কোনো দোকানও নিয়ে নেইনি। সে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শিক্ষক হয়েছিল। তার সব কিছুই ভুয়া বানানো।’

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রঃ কালবেলা

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

বগুরাঃ জেলার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধাওয়াগীর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম মর্তুজাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে উপজেলার মিল্কিপুর গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল ইসলাম মর্তুজা উপজেলার রহবল সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ জানান শহিদুল মাস্টারের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা ও নাশকতা মামলা আছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শাহিনুর ইসলাম জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তাকে গত ৩০ জুন প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দায়ের করা কয়েকটি মামলা বিচারাধীন আছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

রংপুরঃ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসি নিয়োগ চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে আলটিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেটে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বার্তা দেন তারা।

উপস্থিত বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে নির্বাচিত ক্লাস প্রতিনিধিরা বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জন্য যোগ্য, মেরুদণ্ড সম্পন্ন এবং বিশ্বমানের পাঠ-পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত এমন একজনকে ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দিতে হবে।’

এ ছাড়া আগামী দিনগুলোতে শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নীলফামারীর ডিমলার খালিশা চাপাণী ইউনিয়নে অবস্থিত খালিশা চাপাণী বেপারীটোলা আলিম মাদরাসায় পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গোপনে ৬ পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে প্রতিদিন মাদ্রাসাটিতে মিছিল সমাবেশ এবং বিক্ষোভ করছেন এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে এক প্রকার অচলাবস্তা দেখা দিয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী সরকারের আমলে ২০২৩ সালে মাদ্রাসাটিতে  ছয় পদে নিয়োগ হলেও এলাকাবাসী কেউ-ই জানে না কবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল কবেই বা নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছয় পদে যোগদান করার পর এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় তখন। ছয় পদের বিপরীতে প্রায় কোটি টাকার উপরে নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে। আওয়ামী সরকারের আমলে এলাকাবাসী সরকারের প্রায় ডজন খানেক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও রাজনৈতিক ক্ষমতায় তা নিয়ে কোন একটি দপ্তর তদন্ত করেনি।

জানা গেছে, গত পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করলে এলাকাবাসী এরপর থেকেই গোপনে নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির ছয় পদে যোগদান করা ব্যক্তিদের নিয়োগ বাতিল করা এবং তাদের  অপসারণের দাবিতে প্রতিদিন বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করছে। এতে মাদ্রাসাটি শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ফিরে আসেনি।

এর আগে এই নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে গত পাঁচ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ "খালিশা চাপাণী আলিম মাদরাসায় গোপনে ৬ পদে নিয়োগ, জানেই না এলাকাবাসী" শিরোনামে এবং ২৭ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে "ডিমলার খালিশা চাপাণী মাদরাসায় ৬ পদে গোপন নিয়োগ: নয় দপ্তরে অভিযোগ" শিরোনামে শিক্ষাবার্তা'য় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজি প্রতিনিধি মনোয়নের চিঠি থেকে এবং সর্বশেষ বেনবেইজের ২০২৩ সালের শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য থেকে জানা গেছে, গত ১৮ মে ২০২৩ ইং তারিখে  মাদরাসাটিতে প্রথমে পাঁচ পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয় । এসময় পদ ছিল (১) অধ্যক্ষ-১টি (পদটি শূন্য) (২) উপাধ্যক্ষ-১টি (৩) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর-১টি (৪) নিরাপত্তা কর্মী-১টি (৫) আয়া-১টি (পদগুলো নবসৃষ্ট)। এরপর অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি পদ বাড়িয়ে ২য় বার ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয় গত ৬ জুন ২০২৩ ইং তারিখে। এই দুই বারই মাদরাসা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের তৎকালীন পরিচালক উপসচিব মোঃ আবু নাঈম’কে। এরপর এই ছয় পদে নিয়োগ পান অধ্যক্ষ পদে মোঃ আব্দুল মান্নান, উপাধ্যক্ষ পদে হাফিজুর রহমান, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারি পদে আসাদুজ্জামান লিটন। অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মোছাঃ মোসলেমা আক্তার মুন্নি ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে মোঃ লিমন ইসলাম এবং আয়া পদে মোছাঃ শামিমা। এদের সবার যোগদান দেখানো হয় ১৩ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে। তবে কোন পত্রিকায় এবং কত তারিখে দুই দুই বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় তা এলাকাবাসী কেউই জানেন না এমনকি শিক্ষাবার্তা'ও  বিষয়টি খোঁজ নিয়েও জানতে পারেনি।

ছয় পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধ্যক্ষ পদে মোঃ আব্দুল মান্নান যিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারি পদে আসাদুজ্জামান লিটন যিনি মাদরাসাটির গভর্নিং বডির তৎকালীন সভাপতি রহমতউল্লাহ মিয়া ছেলে। নিয়োগে সব মিলিয়ে অন্তত এক কোটি টাকার বাণিজ্যে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা।

জানা গেছে, পতিত সরকারের পতনের পর এলাকাবাসী মাদ্রাসাটিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করে আসছেন। এলাকাবাসীর বিক্ষোভে মাদ্রাসাটি অধ্যক্ষ (যিনি এই গোপনে নিয়োগে অধ্যক্ষ হয়েছেন) মোঃ আব্দুল মান্নান, উপাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান (যিনি এই গোপনে নিয়োগে উপাধ্যক্ষ হয়েছেন) মাদ্রাসায় না এসে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এর মধ্যে গোপনে নিয়োগ পাওয়া অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারি পদে আসাদুজ্জামান লিটন (যিনি তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতির ছেলে) কে বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হয়েছে। তিনি পদত্যাগ করে মাদ্রাসাটিতে আর আসছেন না।

এলাকাবাসী জানায়, গোপন নিয়োগে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের অপসারণ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন থামবে না। শিক্ষায় সাময়িক অসুবিধা হলেও মাদ্রাসার প্রায় সব শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী তাদের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

তবে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ  আব্দুল মান্নান এবং উপাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram