টাঙ্গাইলঃ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তাকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলে নিহত স্কুলছাত্র মারুফ হাসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে হত্যাকাণ্ডের আসামি এক ইউপি চেয়ারম্যানকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রদের দাবির মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনুর বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে উপস্থিত ছাত্ররা খালেকুজ্জামান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের দাবি এবং হত্যাকাণ্ডে আসামিকে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করে। পরে দুপুরে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় জেলা প্রশাসক ছাত্রদের জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে টাঙ্গাইল থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে।
কিন্তু উপস্থিত ছাত্ররা ওই ইউএনওকে সেখানে উপস্থিত হয়ে শহীদ মারুফের মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহারকৃত ইউএনও সেখানে উপস্থিত হয়ে মারুফের পরিবার ও উপস্থিত সবার কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
ঢাকাঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন নিয়োগ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সবাইকে নিয়ে টিমওয়ার্ক গড়ে কাজ করব। যেখানে যে সমস্যা আছে তা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করে কার্যকর একটি কমিশন করার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
এর আগে বিকেলে ঢাবির সাবেক এ উপাচার্যকে আগামী চার বছরের জন্য ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এস এম এ ফায়েজ বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি ছিলাম। আমি চেষ্টা করব সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চমৎকার সম্পর্ক তৈরি করার।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ বছরে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনা ও দুর্নীতির যে অভিযোগ আছে এগুলোর ব্যাপারে আপনার নীতি কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থায় হয়ে থাকে। তবে সেই নিয়োগের জন্য মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন নিতে হয়। তাই কমিশন চাইলে সেখানে হস্তক্ষেপ করে একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে পারে। আমি সেই কাজটুকু করার চেষ্টা করব। নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করব।
এদিকে ইউজিসিতে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা নতুন চেয়ারম্যানকে বরণ করতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। যদিও নতুন চেয়ারম্যান কারও কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ আগস্ট ইউজিসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করার পর অস্থিরতা বিরাজ করছিল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকিতে থাকা এ প্রতিষ্ঠানটিতে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সময় নিয়োগ পাওয়া সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীরকে চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্ব দেওয়ার পর সেই অস্থিরতা আরও বাড়তে থাকে। যদিও তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত এক সপ্তাহে ইউজিসিতে যাননি।
গতকাল বুধবার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রফেসর হাসিনা খান। ৫ আগস্টের পর সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ্রের ছেলে প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠনের সদস্য প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন অফিস করছেন না।
কর্মকর্তাদের দাবি, প্রফেসর আলমগীর সদস্য হিসেবে টিকে থাকতে সরকারের নানা মহলের সঙ্গে তদবির করছেন। কিন্তু ইউজিসির নানা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার পদত্যাগের দাবি করেছেন ইউজিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি থেকে পাঁচ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ পাঁচ দফা ঘোষণা করেন অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
পাঁচ দফা হলো—এক. গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা। দুই. শহীদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান। তিন. প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা। চার. গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণা করা এবং পাঁচ. রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করা।
শহীদি মার্চ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আব্দুল কাদের ও দলনিরপেক্ষ ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
সারজিস আলম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেই রক্ত এবং স্পিরিট বৃথা যেতে দেব না। এখনো অনেক ফ্যাসিস্টদের অস্তিত্ব রয়েছে, আমরা ফ্যাসিস্টদের এবং ফ্যাসিবাদী চিন্তা লালন করা মানুষদের বলতে চাই, এই স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আচরণ করার চেষ্টা করবেন না। কোনো চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট এই বাংলাদেশে হবে না।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমাদের যে ভাইয়েরা এই স্বাধীনতা আনতে রক্ত দিয়েছে, আমরা তাঁদের রক্তের মূল্য দিতে যেকোনো সময় নিজেদের রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।’
শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণা করা ‘শহীদি মার্চ’-এ যোগ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে দুপুর থেকে জড়ো হন শিক্ষক, ছাত্র-শ্রমিকসহ সকল স্তরের মানুষ। ঢাবির বিভিন্ন হল, রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে আসেন। ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নূরজাহান বেগম উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়, খিলগাঁও মাকজালুল উলুম মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, যোগ দেন শিক্ষক, চিকিৎসক, রিকশাওয়ালা, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় নানা স্লোগান দেন তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আন্দোলনস্থলে যোগ দেন। কেউ কেউ শহীদদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন। কেউ বাংলাদেশের পতাকার সঙ্গে ফিলিস্তিনের পতাকাও উড়িয়েছেন। শহীদি মার্চটি সাড়ে ৩টার সময়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত, কলাবাগান, ধানমন্ডি ২৭, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ হয়ে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
কর্মসূচিতে ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে আসেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ডা. সাদিক। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। এখন আমরা প্রাণখুলে কথা বলতে পারি। যাদের আত্মত্যাগে আজকে মতপ্রকাশ করতে পারছি, তাঁদের স্মরণ করতে এসেছি।’
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) শিক্ষার্থী ইমন এসেছেন বিচারের দাবিতে। যারা জুলাইয়ে গণহত্যা চালিয়েছেন, তাঁদের বিচার চান তিনি।
বারিধারার জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসা থেকে মার্চে যোগ দেন হাফেজ শহীদুল। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে। শহীদের সম্মান দিতে হবে।’
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
ফরিদপুর: জেলার সালথা উপজেলার যদুন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে হাতুড়িপেটা করে বলে অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কলেজে স্থানীয় প্রভাবশালী কাইয়ুম মোল্যা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজীর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এদিকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কলেজের যোগদানের পর থেকে আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে দুর্নীতি-অনিয়ম করে আসছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থন না করে কলেজের ছাত্রদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছিলেন। স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে আমরা এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি, মানববন্ধনও করেছি। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার তিনি নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এতে আমরা খুশি।
তবে অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আজ সকালে আমি আর আমার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম মোল্যা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য অছাত্র লালন, মনির এবং কয়েকজন ছাত্র জোর করে আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা আমাদের বাপ-বেটাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে কিছু অছাত্র আর কিছু ছাত্রদের দিয়ে জোর করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনরতরা বেশির ভাগ অছাত্র। মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কামরুল গাজী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কয়েক মাস আগে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল জমা দেন আমার কাছে। আমি ওই বিলে স্বাক্ষর না করায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। এরপর থেকে কামরুল গাজী ও কাইয়ুম মোল্যা আমার পিছে লাগে। শেষ পর্যন্ত আমাকে পিটিয়ে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি।’
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে হাতুড়িপেটা করে বলে অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কলেজে স্থানীয় প্রভাবশালী কাইয়ুম মোল্যা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজীর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এদিকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কলেজের যোগদানের পর থেকে আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে দুর্নীতি-অনিয়ম করে আসছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থন না করে কলেজের ছাত্রদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছিলেন। স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে আমরা এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি, মানববন্ধনও করেছি। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার তিনি নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এতে আমরা খুশি।
তবে অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আজ সকালে আমি আর আমার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম মোল্যা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য অছাত্র লালন, মনির এবং কয়েকজন ছাত্র জোর করে আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা আমাদের বাপ-বেটাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে কিছু অছাত্র আর কিছু ছাত্রদের দিয়ে জোর করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনরতরা বেশির ভাগ অছাত্র। মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কামরুল গাজী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কয়েক মাস আগে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল জমা দেন আমার কাছে। আমি ওই বিলে স্বাক্ষর না করায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। এরপর থেকে কামরুল গাজী ও কাইয়ুম মোল্যা আমার পিছে লাগে। শেষ পর্যন্ত আমাকে পিটিয়ে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সাশ্রয়ী মূল্যে বিটিসিএলের সেবা নিশ্চিত করতে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিটিসিএল কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের এক মাস পূর্তিতে অভ্যুত্থানে সব শহীদ এবং আহতদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের সব মানুষ নতুন করে আশাবাদী হচ্ছে। বর্তমানে যে সময় আছে তাকে কাজে লাগিয়ে সংস্কারের কাজ করা হবে, দেশবাসী এটাই প্রত্যাশা করছে এবং আমরা সর্বক্ষেত্রেই এমন সংস্কার করতে চাই যাতে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি লাভবান হবে।
তিনি বলেন, সরকারের উদ্যোগ আছে কিন্তু সেটা জনগণের কাছে কেন পৌঁছায় না তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধ থাকতে পারে, তার মধ্যে থেকেই জনগণকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিটিসিএলের প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তা বন্ধ করাসহ বিটিসিএল এর বিরুদ্ধে যে মামলা আছে সেগুলো নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অডিট আপত্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে দায়ীদের কাছ থেকে অডিট আপত্তির অর্থ আদায় করে আপত্তি নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।
হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিটিসিএলের অত্যন্ত লাভজনক একটি অ্যাপ্লিকেশন ‘আলাপ’ উদ্বোধন করা হয়েছিল এতে বিটিসিএল ব্যাপকভাবে লাভবান হতো। কিন্তু হয়নি। ‘জিপন’ নামক খুবই জনপ্রিয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেয় বিটিসিএল। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে আলাপ ও জিপনকে জনপ্রিয় করা প্রয়োজন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার। আমরা নতুন আঙ্গিকে, নতুন প্রচেষ্টায় দেশকে গড়ে তোলার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
রাষ্ট্রের কাজ হলো জনগণকে সেবা দেওয়া। বর্তমান সরকার যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে সেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন সচিব ড. মুশফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, সেবা দানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রশাসনিক কাঠামো রয়েছে সেগুলো সংস্কার করা হবে এবং সেবা দানের পদ্ধতিকে সহজ করতে হবে যাতে মানুষ সহজেই সেবাগুলো পায়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিটিসিএল এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
সালমান ইস্পাহানী সাইমন, নোবিপ্রবি প্রতিবেদকঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নিয়োগের শর্তে বলা হয়, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ০৪ (চার) বছর হবে। ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
সিলেটঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) আবাসিক হলে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও কিছু ক্ষতিকর নেশা জাতীয় পানীয় বোতল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার সোহরাব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক এমদাদুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ। অভিযানে সামুরাই, হেলমেট, বিপুল পরিমাণ লোহার পাইপ ও নেশাসামগ্রীর বোতল উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সিকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম, বিভিন্ন রুমে ধারাল অস্ত্র বা ক্ষতিকারক জিনিসপত্র থাকতে পারে। সেজন্য সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান কর্মসূচি চালিয়েছি। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষার্থী স্বাধীনভাবে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করুক।
যারা ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সেনাবাহিনীর অফিসার্স ইনচার্জ সোহরাব হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেকটা হলের বিভিন্ন কক্ষে সফলভাবে অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে বেশ কয়েকটা রুমে কিছু ধারালো অস্ত্র ও ক্ষতিকারক পানীয় বোতল পাওয়া গেছে। আমরা স্থানীয় থানায় এগুলো হস্তান্তর করব।
যাদের রুম থেকে এসব উদ্ধার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, রুম গণনার সুবিধার্থে তালিকা করা হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। তারা দুজনেই ‘সাময়িকভাবে’ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাদের সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধাপক কামরুল
- শেকৃবির নতুন ভিসি অধ্যাপক আব্দুল লতিফ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সালেহ হাসান
- কুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এনটোমলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ।
অন্যদিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ খুলনা প্রকৌল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (কুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) উপসচিব মোঃ শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায় আইন ২০০৩ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদএ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ০৪ (চার) বছর হবে। ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোঃ শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১ (২) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে সাময়িকভাবে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়, ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক নকীব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে ২০০৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। গবেষণায় তার প্রধান আগ্রহের বিষয় হলো সুপার কন্ডাকটিভিটি এবং কম্পিউটেশনাল ফিজিক্স। ১৯৯৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ডিনস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এ ছাড়াও ২০০৮ সালে টাওয়াস ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১১ সালে রাজ্জাক-শামসুন ফিজিক্স রিসার্চ পুরস্কারে ভূষিত হন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের (শেকৃবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এনটোমলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোঃ শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফকে সাময়িক ভাবে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
এতে নিয়োগের শর্তে বলা হয়, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ০৪ (চার) বছর হবে। ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোঃ শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানকে সাময়িকভাবে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
নিয়োগের শর্তেবলা হয়, ভাইস-চ্যান্সেলর পদে এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০৯/২০২৪