শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বুধবার মিরপুরের পাইকপাড়ায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত কলেজশিক্ষার্থী আহনাফের বাসায় যান তিনি। সেখানে আহনাফের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নাহিদ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল, তাদের আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘খুব শিগগির সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি স্মরণসভা করা হবে। সেখানে আপনাদের উপস্থিতি কাম্য।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের দেশ মনে রাখবে। নাম না জানা অনেক ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে।’

‘শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। স্বাধীনভাবে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি,’ যোগ করেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা আহনাফের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খোঁজখবর নেন এবং এখন থেকে যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় বাসায় আহনাফের মা, বাবা, দুই ভাই ও খালা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শহীদ শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ (১৭) রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ এ পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। আর আগামী সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মুঃ মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে লুৎফে সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

লুৎফে সিদ্দিকী আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন উপদেষ্টা পদমর্যাদার বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লুৎফে সিদ্দিকীকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগদান করেছে। আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি উপদেষ্টা পদমর্যাদার বেতন ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

রাজশাহীঃ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে চরম নাটকীয়তা চলছে। সংশ্লিষ্টদের গাফেলতির কারণে চরম অনিশ্চয়তায় প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। বারবার আন্দোলনে নেমে পরীক্ষার দাবি জানালেও মিলছে না কোনো সমাধান।

সর্বশেষ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনভর প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতরের সামনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী নার্সিং কলেজের সামনে থেকে ২৩টি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মিছিল বের হয়। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতরের সামনে গিয়ে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল দিয়ে ইন্টার্নশিপে বসার ব্যবস্থা করার এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূটি পালন করেন। এসময় ‘যে ভার্সিটি পরীক্ষা নেয় না, সে ভার্সিটি চাই না’, ‘ভার্সিটি না চিড়িয়াখানা, চিড়িয়াখানা চিড়িয়াখানা’- এমন স্লোগান দেন তারা। একপর্যায়ে রামেবির ভবনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্স সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও নানা নাটকীয়তায় এখনও তাদের কোর্স শেষ হয়নি। চরম বৈষম্যের কারণে সারাদেশের চেয়ে তারা পিছিয়ে। শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৩ জুলাই অনশন করে পরীক্ষার রুটিন পেয়েছিলেন। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেন অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেন। পদত্যাগের কারণে আমরা চরম অনিশ্চয়তায়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলাফল না পেলে তারা ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন না। আর এটি ছাড়া আগামী বছরের মার্চে নার্সিং নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না তারা। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ প্রয়োজন।

খবর পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার মো. ফয়সল আলমসহ কয়েকজন চিকিৎসক সেখানে এসে কথা বলেন। আর রামেবির কর্মকর্তারা সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ ডেকে আনেন। পরে রামেবির সহকারী রেজিস্টার মো. রাশেদের নেতৃত্বে রামেবির একটি দল ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহিনুল হাসানের সঙ্গে আলোচনা করে উভয়পক্ষ। নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া দেখিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন মহিনুল হাসান।

বিকেল সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থীরা এদিনের মতো কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার আবারও কর্মসূচিতে নামা হবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, বারবার আমরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের সঙ্গে ছলচাতুরি ও প্রতারণা করা হয়েছে। হয় অভ্যান্তরীণ কমিটির ওপর দায়িত্ব দিয়ে সেপ্টেম্বর মাসেই পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, অন্যথায় আমাদের আরও কঠোর কর্মসূচি শুরু হবে। আর রামেবি এতে ব্যর্থ হলে এখানে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার দরকার নাই। সবাই পদত্যাগ করুক। ৬ মাস ভার্সিটি বন্ধ থাকুক।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাল সনদে চাকরির অভিযোগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন গিলাশ্বর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং ০৫ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি গ্রহণ করার  অভিযোগে  তাদের তলব করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সনদ ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র সহ মাদ্রাসা অধিদপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এতথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়,  গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন গিলাশ্বর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং ০৫ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ সূত্রোক্ত স্মারকে অনুষ্ঠিত শুনানীতে অংশগ্রহণকারীগণ অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গিলাশ্বর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং ০৫ জন শিক্ষকের সনদ ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন গিলাশ্বর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং ০৫ জন শিক্ষককে সনদ ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট উপস্থিত হয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখে শুনানীতে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ছয় শিক্ষক হলেন,  গিলাশ্বর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার,  সহকারী শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন, সহকারী মৌলভী আছিয়া খাতুন, সহকারী শিক্ষক মিনারা পারভীন,  সহকারী শিক্ষক হারেছা খাতুন সহকারী মৌলভী জাকারিয়া ও জুনিয়র মৌলভী রিনা পারভীন, জুনিয়র মৌলভী, গিলাশ্বর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, কাপাসিয়া, গাজীপুর।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ পদত্যাগপত্র পাঠান।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইউজিসি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ইউজিসিতে অনিয়মিত তিনি। কখনও দুদিন পর একদিন, কখনও সপ্তাহে একদিন অফিসে আসতেন। সেটাও পুরো সময় থাকতেন না। সবশেষ ২ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর চারবছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

হাসিনা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ বিজ্ঞানী ইলিশের জিন রহস্য ও পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি গঠনের পর ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রোখছানা বেগমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়েছে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় মেরিট নির্বাচন এবং মাইগ্রেশনে কোনো অনিয়ম বা ত্রুটি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন সদস্যকে আহ্বায়ক করে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বহির্ভূত গুচ্ছ ভর্তি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এ দুর্নীতি তদন্ত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একজন শিক্ষক ও দুজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি চান। তদন্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত গুচ্ছের সব কার্যক্রম স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পেজ ও গ্রুপ খুলে পরীক্ষার ফল পরিবর্তন বা সংশোধনের আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে একটি গ্রুপ। এমন প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে কোনো আর্থিক লেনদেন না করতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এতে স্বাক্ষর করেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ কেপায়েত উল্লাহ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মে-জুন মাসে অনুষ্ঠিত ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিপ্লোমা-ইন-ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি শিক্ষাক্রম পরীক্ষার ফলাফল ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি প্রতারক চক্র বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পেজ-গ্রুপ তৈরি করে এই পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন-সংশোধন সংক্রান্ত নানান বিষয়ে মিথ্যা আশ্বাস ও প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।

এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ ধরনের ভুয়া পেইজ-গ্রুপে কোনো তথ্য না করা এবং আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হলো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৯/২০২৪

রাজবাড়ঃ রাজবাড়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মন্ডলকে অপসারণে সাত দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, অসদাচরণসহ নানা অভিযোগ এনে বুধবার সকালে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেন শিক্ষকরা।

এর আগে গত জুলাই ১২, ২০২৪ ইং তারিখে "শিক্ষামেলা না করেই টাকা তুলে নেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অহিন্দ্র" শিরোনামে শিক্ষাবার্তা ও বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে মিলেনিয়াম মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে অহীন্দ্র মন্ডলের সহযোগী অফিস সহকারী জাকির হোসেনেরও অপসারণ দাবি করেন তারা। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, অহীন্দ্র মন্ডল রাজবাড়ীতে যোগদানের পর থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। শিক্ষকদের বদলি করতে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিতে হয়। টাকা ছাড়া তিনি কোনো ফাইলে সই করেন না। শিক্ষকরা মাসে সামান্য যে বেতন পান তা দিয়ে সংসারই চলে না। তার উপর ঘুষ দিলে খুবই কষ্টকর পর্যায়ে পড়ে তা। শিক্ষকরা চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে চাইলেও তাকে ঘুষ দিতে হয়। শিক্ষকদের সাথে খুবই বাজে আচরণ করেন তিনি। অসম্মান করেন। যা খুবই দুঃখজনক। এভাবে দিনের পর দিন চলে আসছে। তার কারণে শিক্ষক সমাজ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

তারা আরও বলেন, কোনো শিক্ষক অবসরে গেলে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া তিনি সেই শিক্ষকের পেনশন ছাড় করেন না। পাসপোর্টের জন্য এনওসি, পুলিশ ভেরিফিকেশন, চাকরি স্থায়ীকরণ, ডেপুটেশন এমন কোনো কাজ নেই যেজন্য তাকে ঘুষ দিতে হয় না।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম ভুইয়া, নজরুল ইসলাম, রাশেদুল হাসান টুকু, হাবিবুর রহমান খান, নজরুল হক পলাশ, রিনা পারভীন, অরূপ রতন দে, সালমান খলিফা, শাহনাজ পারভীন, মনিরা বেগম, আব্দুল মালেক, সরিফুল হুদা সাগর প্রমুখ। জেলার পাঁচ উপজেলার কয়েকশ প্রাথমিক শিক্ষক এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।

রাজবাড়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, এগুলো সবই সাজানো। আমি কোনো অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। শিক্ষকরা কেন আন্দোলন করছে তা আমার জানা নেই। তবে আমার প্রতি কারো ব্যক্তি আক্রোশ থাকতে পারে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই হচ্ছে একারণে আন্দোলনে নেমেছে বলে মনে করেন তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষা প্রশাসনে গত স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি। এছাড়াও ক্যাডারে বিভিন্ন টায়ারে পদোন্নতি, বদলী ও পদায়ন নীতিমালা, পদ সৃজন,‌ পদ আপগ্রেড, অর্জিত ছুটি ও‌ আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবি জানান তারা।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল হোসেন।

এ‌ সময় তিনি প্রত্যেক উপজেলায় একটি কলেজ জাতীয়করণের নামে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারি করা ৩০০ কলেজের জাতীয়করণ বাতিলের দাবি জানান।

সুন্দর সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ থেকে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের পদায়নকৃত দলদাস ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ, রাষ্ট্র সংস্কার ও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবি‌ জানান।

রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে যে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তাঁদের অভিনন্দন জানান তাঁরা। প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে তারা এই আন্দোলনে শাহাদত-বরণকারী সকলকে জাতীয় বীরের মর্যাদা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদদের নাম ও স্মৃতিফলক উন্মোচন, জাতীয় পাঠ্য পুস্তকে এই বিপ্লবী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট এবং বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে পাঠ্যভুক্ত করার দাবি জানান।

বিভিন্ন দপ্তর থেকে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের রেখে যাওয়া দলদাস ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা হলেও শিক্ষা প্রশাসনের সর্বস্তরে তাঁরা এখনও বহাল তবিয়তে। এজন্য তাঁদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে বিগত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীদের আবারো লাভজনক পদে পদায়ন শুরু হয়েছে, যা বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনের চেতনা বিরোধী। তাই অবিলম্বে মন্ত্রণালয়ের কলেজ উইং এবং শিক্ষা প্রশাসনের সকল স্তর ঢেলে সাজাতে হবে।

পদোন্নতি-যোগ্য সবাইকে সকল টায়ারে যথা- অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে একসাথে পদোন্নতি প্রদান করা, পূর্বে তিন টায়ারে একসাথেই পদোন্নতি দেওয়া হতো। কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। ১৬’শ বিসিএসের কর্মকর্তা দীর্ঘ ২৮ বছর চাকরি করে পদোন্নতি না পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন যা খুবই কষ্টকর। আমরা ১৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষিকভাবে মার্চ ২০২৩ থেকে পদোন্নতির দাবি করছি।

শূন্য পদ না থাকার অজুহাতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরকে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হচ্ছে অথচ প্রশাসন ক্যাডারসহ অনেক ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া হয়। শিক্ষা ক্যাডারের ক্ষেত্রেও সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের করতে হবে।

শিক্ষা ক্যাডারে বদলি-পদায়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিদ্যমান। নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা ঘুরে-ফিরে মাউশি, ডিআইএ, ব্যানবেইস, নায়েম, শিক্ষাবোর্ড, এনসিটিবিসহ বিভিন্ন দফতর এবং ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলার প্রধান কলেজগুলোতে কর্মরত আছেন। অপরদিকে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নিরীহ শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ প্রত্যন্ত অঞ্চল, হাওড়-দ্বীপ, পাহাড় এবং জেলা-উপজেলার ছোট কলেজে কর্মরত আছেন। এই বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে সুষ্ঠু বদলি পদায়ন নীতিমালা জারি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিপ্লবী সরকারের সময়ও বিগত সময়ের সুবিধাভোগীরা নতুন করে ভালো পদায়ন পাচ্ছেন বা পূর্বের পদায়ন ধরে রেখেছেন।

শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে ৫ম গ্রেড থেকে ৩য় গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান এবং আনুপাতিক হারে গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি করে ৬ স্তরের পদসোপান তৈরি করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন এসোসিয়েশন এর প্রাক্তন সহ-সভাপতি সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ জ ম রুহুল কাদীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ, প্রফেসর মোহাঃ আবেদ নোমানী, প্রফেসর কাজী ফারুক আহম্মদ, প্রফেসর ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, আকলিমা আক্তার, এনামুল হক, ইমরান আলী, কামরুল হাসান, ড. সালাহ উদ্দিন আফসার, গোলাম আজম প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

অনিন্দ্য ইকবাল ও মো. সোহেল রহমানঃ নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। তবে এর নির্মোহ এবং পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ কতখানি করা হয়েছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এমন একটা সময় আমরা পার করেছি, যখন সরকার কিংবা তার গৃহীত নীতি বা পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করা দুরূহ ছিল। এর পরও শিক্ষাক্রমটি চালু হওয়ার পরপর আমরা এর, বিশেষত গণিত ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনার প্রয়াসে দুটি আলোচনা করেছি– মাধ্যমিকে ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা: আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা (সমকাল, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩) এবং নতুন পাঠ্যক্রমের গণিত বই: অল্প অর্জন, বিশাল আশঙ্কা (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম, ২১ মার্চ ২০২৩)। আজকের আলোচনার প্রেক্ষিত অবশ্য ভিন্ন। এর মধ্যে একটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেছে। অনেক রক্তের বিনিময়ে ছাত্র-জনতার যৌথ প্রয়াসে বাংলাদেশ এখন সর্বক্ষেত্রে অর্থবহ সংস্কারের স্বপ্ন দেখছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্মানীয় শিক্ষা উপদেষ্টা খুব স্পষ্ট করে নতুন শিক্ষাক্রমের অসারতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন এবং ভাববার প্রয়াস নিয়েছেন, কীভাবে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ‘অস্বস্তি’ নিশ্চিত করে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমাদের এই আলোচনা।

প্রথম একটা বড় অস্বস্তির বিষয় হলো, বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিভাগ তুলে দেওয়া এবং উচ্চতর/ঐচ্ছিক গণিত বাদ দেওয়া, যা উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বড় ধরনের সমস্যা করতে পারে। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যারা ভৌত কিংবা ফলিত বিজ্ঞান অথবা প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করতে চান, তারা সেই পড়াশোনার জন্য যথাযথ/পর্যাপ্ত
মৌলিক ধারণা পেয়ে আসবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। তবে সম্প্রতি সরকার মাধ্যমিকে আবার বিভাগ বিভাজনের ঘোষণা দিয়েছে এবং নিঃসন্দেহে উচ্চতর/ঐচ্ছিক গণিত ফিরবে।

দ্বিতীয়ত, মূল্যায়ন পদ্ধতি। যে প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয়ভাবে ষাণ্মাসিক পরীক্ষা হচ্ছিল, আগের দিন বিদ্যালয়ে পাঠানো প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছিল, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। যা হোক, এ মূল্যায়ন পদ্ধতিও বাদ দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই শিক্ষাক্রমে ব্যক্তিগত মূল্যায়নের ওপর তেমন গুরুত্ব দেখিনি, যেটা দেওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। দলগত মূল্যায়নের ধারণাকেও আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু ব্যক্তিগত মূল্যায়নকে দুর্বল করে নয়।

আমাদের সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্থায় মুখস্থ-নির্ভরতা এবং পরীক্ষাকেন্দ্রিকতা; দুটোই বড় সমস্যা বলে চিহ্নিত। ঠিক আগের শিক্ষাক্রমে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রচলনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী প্রাক-সৃজনশীল পর্বের মুখস্থ-নির্ভরতা কমানোর একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি! এর একটি মূল কারণ হলো মানসম্মত প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের দুর্বলতা। মাউশির জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৪২ শতাংশ (দৈনিক যুগান্তর, ১৯ নভেম্বর ২০২২) শিক্ষক ন্যূনতম মানসম্পন্ন প্রশ্ন করতে অক্ষম। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি সফল করতে হলে অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টান্ত অনুসরণপূর্বক আলাদা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে প্রশ্ন করে প্রশ্নব্যাংকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ধরনের একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু করেছিল যশোর শিক্ষা বোর্ড। সে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। কিছু বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির কাঠামো বা আঙ্গিকের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষাগুলোতে যেমনটা হয়ে থাকে, তেমনটা অর্থাৎ বইয়ের বাইরের কিছু সমস্যা দেওয়া যেতে পারে। রচনামূলক বিষয়গুলোতে ৩-৪ পৃষ্ঠা মুখস্থ লেখার প্রয়োজন যেন না হয়; তথ্য মনে রাখার চেয়ে তার অনুধাবন ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা যাচাই যেন মুখ্য হয়; সেদিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। বস্তুত আমরা যা এখানে বলছি তা একদম নতুন কিছু, তা কিন্তু নয়। বরং অন্য দেশের বা আমাদের দেশে প্রচলিত ইংরেজি মাধ্যমে প্রচুর উদাহরণ পাওয়া যাবে ভালো মূল্যায়ন পদ্ধতির।

তৃতীয় বিষয়টি হলো, বইয়ের মান। প্রতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের এ নিয়ে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। আমরা ইতোমধ্যে গণিত ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ করেছি পূর্বোক্ত লেখা দুটোতে। গণিত বইয়ের অনুশীলনীতে প্রদত্ত সমস্যার সংখ্যা বিগত বইয়ের তুলনায় ১০ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে– ভাবা যায়! ব্যক্তিগত অনুশীলনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের যে দক্ষতা তৈরি হয়, তার সুযোগ এখন অত্যন্ত সীমিত। এর ফলে অবধারিতভাবে শ্রেণিশিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজনীয়তা এবং গাইড-নির্ভরতা বাড়বে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বই বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রূপরেখায় বিবৃত প্রধান যোগ্যতা যেমন সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন, কম্পিউটেশনাল চিন্তন, ডিজাইন চিন্তন সম্পর্কিত কনটেন্ট মাত্র ১০ শতাংশ (সেটাও অত্যন্ত দুর্বল), বাকিটা ‘শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করা’ শেখানোর জন্য। অর্থাৎ লক্ষ্যের ক্ষেত্রে যত উচ্চাভিলাষ, তার সঙ্গে কনটেন্টের সাযুজ্য নেই।

এ ছাড়া বইয়ের মানসংক্রান্ত দুটো বড় দুর্বলতা আমাদের চোখে পড়েছে, যা হয়তো সব বিষয়ের জন্যই প্রযোজ্য। প্রথমত, বই রচনার সঙ্গে যারা জড়িত (অর্থাৎ লেখক, সম্পাদক ইত্যাদি) তাদের নির্বাচনের সময় যথাযথ মানদণ্ড বা নির্ণায়ক অনুসরণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা। সত্যি কথা বলতে, বিগত সময়গুলোতে নির্ণায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সরকারের প্রতি আনুগত্য। এ প্রসঙ্গে বর্তমান কারিকুলামের বাংলা বইয়ের অন্যতম লেখক অধ্যাপক তারিক মনজুর (৭ মে, ২০২৩) প্রথম আলোতে লিখেছেন ‘বইয়ের লেখক হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদেরও দলীয় পরিচয় ছাড়া আর কোনো খোঁজ নেওয়া হয় না। আর অনেক ক্ষেত্রে সম্পাদকরা শুধু নামেই সম্পাদক থাকেন– প্রকাশের আগে অনেকে বইয়ের কপিও দেখেন না।’ এ কারণেই হয়তো সবচেয়ে যোগ্য বিশেষজ্ঞদের আমরা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য পাচ্ছি না।

সবশেষে যে বিষয় নিয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে চাই, সেটি হলো, আমাদের দেশে স্কুল পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষকের অভাব দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এই সমস্যা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, সেটা এক বড় প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য ফিনল্যান্ডের উদাহরণ টানা যেতে পারে। ফিনল্যান্ডের শিক্ষকরা কীভাবে পড়াবেন, সে ব্যাপারে অনেক স্বাধীনতা উপভোগ করেন এবং এটি তাদের অনেক বেশি সৃজনশীল হতে সাহায্য করেছে। তবে এই সৃজনশীলতা অর্জন প্রক্রিয়া মোটেই সহজ নয়। ফিনল্যান্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য একজনকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানে পাঁচ বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হয়! এ প্রসঙ্গে হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির শিক্ষকতা বিষয়ের অধ্যাপক লীনা ক্রোকফর্সের মন্তব্য বিশেষভাবে স্মর্তব্য [বাংলা ভাবানুবাদ] ‘...শিক্ষকদের এই উচ্চমানের শিক্ষা থাকা দরকার, যাতে তারা অনুধাবন করতে পারেন যে কীভাবে তাদের দেওয়া স্বাধীনতা ব্যবহার করতে হবে এবং শিখতে পারেন কীভাবে গবেষণাভিত্তিক উপায়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি আমরা তাদের শেখাই তা হলো, পাঠদান প্রক্রিয়ার বিষয়ে যাতে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং তার সফলতা/বিফলতার বিচার নিজেরাই করতে পারেন।’

স্পষ্টতই ফিনল্যান্ড তাদের শিক্ষকদের স্বাধীনতা দেওয়ার পাশাপাশি তারা যাতে বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক সঠিক পদ্ধতিটি বেছে নিতে পারেন সেই সক্ষমতাও তৈরি করেছিল। আমাদেরও এই আঙ্গিকে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদি। তবে রাতারাতি তো সম্ভব নয়। তাহলে অন্য কী সমাধান থাকতে পারে? মানসম্মত শিক্ষক নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মানসম্মত বইয়ের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক রিসোর্সের ব্যবহারকে মূল বইয়ের সহযোগী হিসেবে পরিকল্পনা করা, যা বিভিন্ন দেশে প্রচলিত। খান একাডেমির মতো প্ল্যাটফর্ম সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয়। আমাদের দেশে বাংলায় এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি ও তাতে মানসম্পন্ন কনটেন্ট নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ভালো স্কুল/কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে লেকচার ভিডিও করে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে তাদের যদি ভালো স্লাইড বা অন্য উপকরণ তৈরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দেওয়া যায়, তবে এগুলোর কার্যকারিতা আরও বাড়বে। কিছু উন্নয়ন সহযোগীর অর্থায়নে এমন অনেক ইলেকট্রনিক কনটেন্ট ও সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কথা শোনা যায়। কিন্তু সফল কোনো ব্যবহারের উদাহরণ আমাদের চোখে পড়েনি। এ বিষয়ে একটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

লক্ষ্য রাখতে হবে, সার্বিকভাবে শিক্ষাকে যেন যতটা সম্ভব আনন্দময় করা যায়। এ ক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষাক্রমের কিছু বিষয় অনুসরণীয় হতে পারে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রাখা একটি ভালো উদ্যোগ। অহেতুক মুখস্থনির্ভর ব্যাকরণ কমিয়ে আনা হয়েছিল। ইংরেজি বইয়ের গুণগত মান ও অ্যাপ্রোচ উন্নত হয়েছে। বিজ্ঞান বইয়ের গদ্যভাষা প্রাঞ্জল। ইতিহাস, সামাজিক বিজ্ঞানসহ অন্যান্য কিছু বিষয় যেন আরও সাবলীল গদ্যশৈলীতে লেখা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্মোহভাবে বর্তমান শিক্ষাক্রম, পাঠ্যবই ও তার সমাদৃত-নিন্দিত বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করে দ্রুতই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী সহজ যোগাযোগের এ যুগে অন্যান্য দেশের শিক্ষা-চর্চার গ্রহণযোগ্য দিকগুলো অনুসরণ করে, উঁচু মানের বই ও সম্পূরক ইলেকট্রনিক রিসোর্স তৈরি করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষক-স্বল্পতার প্রভাব থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে হবে।

ড. অনিন্দ্য ইকবাল: অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, বুয়েট ও ড. মো. সোহেল রহমান: অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, বুয়েট এবং ফেলো, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার পদে স্বল্পতার কারণে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা ‘নন-ক্যাডার প্যানেল’ চালুর দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন ৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থী মো. তারেকুর রহমান।

তাঁদের সাত দফা দাবি হলো—অন্যান্য নন-ক্যাডারের ন্যায় ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডারে প্যানেল চালু করতে হবে; ৪১তম বিসিএসের নামে আসা কিন্তু জয়েন না করায় খালি থাকা পদগুলো ৪১তম নন-ক্যাডার থেকেই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে; ১৫০০ মার্কের পরীক্ষায় সব ধাপ (প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা) উত্তীর্ণ মেধাবীদের চাকরি প্রদান করতে হবে; বিভিন্ন দপ্তরের ফাঁকা পদগুলো ৪১বিসিএস নন-ক্যাডার দ্বারা পূরণ করতে হবে;

এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর/মাউশিসহ যেসব দপ্তরে শিক্ষক/জনবলের অভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, সেই সব দপ্তরে অনতিবিলম্বে ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগ প্রদান করতে হবে; ৪০তম বিসিএসের ন্যায় ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার সব প্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে; দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও রেজাল্ট টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে কর্মরতদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে তারেকুর বলেন, ‘৪১তম বিসিএসের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে যখন অধিযাচন পাঠানো হয়েছিল, ঠিক তার আগেই ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএসের অধিযাচনও পিএসসি পাঠিয়েছিল। ফলে যে পদগুলো ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের পাওয়ার কথা ছিল, সেই পদগুলো অন্য বিসিএসে চলে যায়। অর্থাৎ, যে সন্তান জন্ম হয়েছে, তাকে খাবার না দিয়ে খাবার সংগ্রহ করেছে ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্য, যা চরম বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘৪১তম বিসিএস নন ক্যাডারের রেজাল্ট দেওয়ার মাত্র সাত দিন পর ৪৩তম বিসিএসের চয়েস লিস্টে নিচের গ্রেডে আবেদন করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৪১তম বিসিএসে একই কাজ করলে প্রায় ৫০০ পদ নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যেত, প্রকৃত বেকাররা চাকরি পেত।’

৪০তম, ৪১তম, ৪৩তম বিসিএস কাছাকাছি সময় হওয়াতে একই প্রার্থী তিন জায়গায়ই চাকরি পেয়েছেন। যার কারণে একদিকে খালি থেকে গেছে অনেক পদ, অন্যদিকে বেকার থেকে যাচ্ছে হাজারো তরুণ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram