শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকাঃ দুই সপ্তাহ আগে নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই দেশটিতে যাতায়াত করতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) অফিসকক্ষে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাতে দুুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণ, সরাসরি প্লেনের ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যার বিষয়ে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যা দুর্গতদের জন্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন।

হাইকমিশনার বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে উল্লেখ করে বলেন, সে সময় অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে।

বর্তমান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখাই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে মর্মে দুইজনই ঐক্যমত প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত বিগত ১৫ বছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে শুষ্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান। তাছাড়া, দুই পক্ষ পারস্পরিক ভিসা সহজিকরণের বিষয়ে সম্মত হন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশ সহ ১২৬টি দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে।

রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু ছিল, যা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) অপারেট করত।

বৈঠকে মানবপাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন ও কৃষি গবেষণা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সাক্ষাতে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সিলর কামরান ধাঙ্গাল ও জাইন আজিজসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহিল আজমকে বদলি করা হয়েছে। তাকে পরিবার পরিকল্পনা অধিপ্তরের মহাপরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ  মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল্লাহিল আজমকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছিলো সরকার।

একই দিন অবসরে যান এনটিআরসিএ সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান। তিনি অবসরে যাওয়ায় এনটিআরসিএ সদস্য এস এম মাসুদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সাইফুল্লাহিল আজমকে প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিলো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র স‌চি‌ব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্বে থাকবেন তিনি।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ নাজমুল হক স্বাক্ষ‌রিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হ‌য়ে‌ছে, প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে দায়িত্বভার ত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম পররাষ্ট্র সচিবের দৈনন্দিন/জরুরিসরকারি কার্যাদি সম্পাদন করবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র স‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের চু‌ক্তি‌ভি‌ত্তিক নি‌য়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল ক‌রে প্রজ্ঞাপন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগের তদন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই অব্যাহতি বলবৎ থাকবে।

সোমবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল।

অব্যাহতির বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, ‘গতকাল অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ পত্র জমা দেন৷ পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিভাগের কাছে দাবি জানায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত যেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোনো প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত না থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ একাডেমিক কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে পাঠানো অভিযোগের তদন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের কার্যক্রম থেকে এ অব্যাহতি বলবৎ থাকবে।’

এর আগে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে বিভাগের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া, পরীক্ষার খাতায় অনৈতিক সুবিধা দেওয়া, নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগের তথ্য প্রমাণাদি একটি পাঁচ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা

অভিযোগপত্রে সেই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত ও অপসারণের দাবি জানায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তদন্তে চলাকালীন অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ যেন বিভাগের কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে না থাকেন সেই মর্মে বিভাগের সভাপতির কাছে আরেকটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে বিভাগের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

নড়াইলঃ জেলার সদর উপজেলার বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ক্লাস রুমে মদ্যপানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মারুফ হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মফিজ মোল্যাকে ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে।

মারুফ হোসেনসহ স্থানীয় কতিপয় যুবকদের নিয়ে শ্রেণিকক্ষের টেবিলের ওপর বসে মদপান করা হচ্ছে। টেবিলে সারি সারি রয়েছে বিদেশিসহ দেশীয় মদের বোতল। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সচেতন মহল স্কুলের এহেন শিক্ষকের অপসারণের জন্য এইচএম সিরাজের নেতৃত্ব অর্ধশতাধিক লোক একত্রিত হয়ে ডিসি অফিসে যান। এ সময় জেলা প্রশাসকের কাছে ভিডিও দেখিয়ে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা এইচএম সিরাজ যুগান্তরকে বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে তার এহেন কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে কিভাবে শ্রেণিকক্ষে মদপান করতে পারে। ইতোপূর্বে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতি রানীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ হোসেন বলেন, আমাকে ফাঁসাতে এহেন অভিযোগ করা হচ্ছে।

সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা। আগামী ৪ বছরের জন্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিকেল ১৩ (১) অনুযায়ী প্রফেসর ড. সায়েমা হক বিদিশা, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, এই পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর হবে। উক্ত পদে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ও ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

আসাদ উল্লাহঃ যে দেশে সন্তানের হাতে পিতা খুন হয়, পিতার হাতে সন্তান খুন হয়- সে দেশে ছাত্র বা ছাত্রীর হাতে শিক্ষক বা শিক্ষিকা নির্যাতিত হবেন, লাঞ্ছিত হবেন, এ আর বিচিত্র কী! এসব ঘটনা আজকের দিনে আর আমাকে তেমন অবাক করে না।

আপনি সুস্থ চিন্তার মানুষ। আপনার পিতা অসুস্থ মানসিক দিক থেকে। সামান্য কারণেই অবাঞ্ছিত আচরণে পরিবারের স্বাভাবিক পরিবেশ অস্বাভাবিক করে তোলেন। আপনি কি পারবেন আপনার পিতার গায়ে হাত তুলতে? তবে হে যদি আপনি অসুস্থ চিন্তার মানুষ হন, কুলাঙ্গার হন তাহলে আপনার পিতাকে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করবেন না। সন্তান কুলাঙ্গার হলে সজ্জন পিতাও নির্যাতিত হয় বা হবে।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের হাতে শিক্ষক নির্যাতিত হচ্ছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন, পদত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন। এসব নিয়ে নানান জন নানান কথা বলছেন, কেউ নিন্দা জানাচ্ছেন, কেউ খুশি হয়ে সমর্থন জানাচ্ছেন। যারা নিন্দাবাদ করছেন আর যারা ছাত্রছাত্রীদের এমন কাজ সমর্থন করছেন তারা প্রত্যেকেই মানুষ। পার্থক্য চিন্তার। তা-তো থাকবেই।

শিক্ষকদের একটি ছোট অংশ নিয়ম-অনিয়মের তোয়াক্কা করেন না। তারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হন অকপটে। সুতরাং বিচার তাদের হতেই পারে। কে করবে এই বিচার? মেধাহীন ছাত্র বা ছাত্রী? মেধাহীন বললাম এ জন্যই, খোঁজ নিয়ে দেখুন একজন মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রী শিক্ষক নির্যাতনের পক্ষে নেই। আমরা বলব না কোনো দুর্নীতিবাজ শিক্ষক বিচারের ঊর্ধ্বে থাকুক। তার বিচার হবে প্রচলিত আইনে। অবশ্যই। নিশ্চয়ই কোনো ছাত্র বা ছাত্রী অপরাধী শিক্ষকের বিচার করার অধীকার রাখে না, যেমনটি রাখে না পিতা অপরাধী হলেও কোনো সন্তান তার বিচার করার অধীকার। শিক্ষক তো পিতা-মাতার মতোই শ্রদ্ধেয়।

যেহেতু কলেজে পড়াই অভিজ্ঞতাও কম-বেশি আছে। বেশ আগের কথা। ডিগ্রি পরীক্ষায় নকল করার দায়ে একটি ছাত্রকে বহিষ্কার করি। পরীক্ষা শেষে বিকেল বেলা কলেজ থেকে ফিরছিলাম। সঙ্গে তিন-চারজন সহকর্মী। কলেজের ফটক অতিক্রম করতেই দু-তিনজন দুর্বৃত্ত পথ রোধ করে দাঁড়াল। হাতে ছোরা। বেশ ভরকে গেলাম। ছোরা হাতে সবার আগে যে ছেলেটি এগিয়ে আসছে দেখলাম সে আর কেউ নয়, পরীক্ষার হলে যাকে আমি বহিষ্কার করেছিলাম। সাহসের দিক থেকে এতটা অগ্রগামী না হলেও এতটা পশ্চাৎগামীও ছিলাম না কোনোদিন। আমি স্থির দাঁড়িয়ে থেকে বললাম- চালাও ছুরি। দেখি কেমন বাপের ছেলে তুমি। আমার সহকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টায় আমাকে আবার ক্যাম্পাসে নিয়ে এল। ছোরা হাতের ছেলেটি অবশ্য তখনো কলেজ ফটকেই ছিল। আমি দুর্বৃত্ত ছাত্রধারা আক্রান্ত হয়েছি। খবরটি দ্রুত কীভাবে ছড়ালো জানি না। দেখতে দেখতেই তিন-চারটি মোটরসাইকেল ক্ষিপ্রগতিতে ঘটনাস্থলে চলে এল। প্রতিটি মোটরসাইকেলে তিনজন করে যাত্রী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছোরাধারী ছেলেটিকে ওরা ধরে ফেলল এবং তাকে মারতে মারতে কলেজ মাঠে নিয়ে এল। আগন্তুক ১০-১২ জনকে আমার সহকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। শেষে আমি নিজেই এগিয়ে গেলাম। যাকে আমার কাছে তাদের দলনেতা মনে হলো তাকে বেশ উচ্চৈঃস্বরে ধমক দিয়ে বললাম- তোমরা কারা, ওকে এভাবে মারছ কেন? আমার ধমকে তারা যেন সম্বিত ফিরে পেল। কয়েকজন একসঙ্গে বলে উঠল- স্যার, আমরা আপনার প্রাক্তন ছাত্র। আপনাকে অসম্মান করতে চেয়েছে এই ছেলে, ওকে আজ মেরে ফেলব। আমরা শুনেই ছুটে এসেছি। ছেলেটিকে তখনো ওরা চোর ধরার মতো ধরে রেখেছে। আমি আবার বেশ উচ্চকিত কণ্ঠেই বললাম- যদি তোমরা আমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকো তাহলে এ ছেলেটির গায়ে দ্বিতীয়বার আর হাত তুলবে না। যদি ওকে আরেকবার আঘাত করো আমি খুব কষ্ট পাব। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছেলেটিকে ছেড়ে দিল। বললাম- তোমরা চলে যাও। তোমাদের এই ভালোবাসা আমি সব সময় মনে রাখব। ওরা আমার কথা শুনে চুপচাপ চলে গেল। পাঠক, হয়তো আপনাদের কারও বিশ্বাস হবে না- আগন্তুক ছেলেগুলোর একজনের নামও আমি জানি না। এমনকি তাদের মুখগুলোও মনে করতে পারছিলাম না। আমার সহকর্মীরা জানাল ওরা আমাদের প্রাক্তন ছাত্র এবং আপনার প্রতি ওদের শ্রদ্ধাবোধ কিছুটা বেশিই।

ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে এই ভেবে, ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের খুব ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে, অন্তত বেশির ভাগ। তবে খারাপ লেগেছে আরও বেশি এই ভেবে, আক্রান্ত ছেলেটিকে আক্রমণকারী ছেলেদের হাত থেকে দ্রুত উদ্ধার করতে পারিনি। মার খাওয়া ছেলেটি তখনো দাঁড়িয়ে আছে। কিল-ঘুষিতে সে মারাত্মক আহত হয়েছে। গায়ের জামাটি আশি শতাংশ ছিঁড়ে গেছে। আমি ছেলেটির হাত ধরে অফিসে নিয়ে এলাম। বললাম- দেখো, তোমার জন্য আমি কিছু করতে পারলাম না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা তোমাকে অনেক বেশি মেরে ফেলেছে। ছেলেটি এবার ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। আমার হাত চেপে ধরল। তার ভেতর জেগে উঠেছে অপরাধবোধ। ক্ষমা চাইছে আমার কাছে। বললাম, অবশ্যই তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তোমরা ভুল করবে আর সেই ভুল শুধরে দেওয়ার জন্যই তো আমরা। ভালোভাবে পড়াশোনা করো। তুমি নষ্ট হলে কেবল তোমার পিতা-মাতা কষ্ট পাবে না, আমরাও অনেক বেশি কষ্ট পাব। তুমি সফল হলেই তো তোমার পিতা-মাতা সফল। আমরা সফল। দেশ সফল। আমি বিশ্বাস করি- একটি ছেলে বা একটি মেয়ে যদি নষ্ট হয় তাহলে সে কেবল পরিবারের অভিশাপ নয়, দেশেরও অভিশাপ। কারণ, ছেলেটি মেয়েটি কেবল পরিবারের সদস্য নয়, দেশেরও সদস্য। ছেলেটি আমার কথা শুনছিল আর মাথা নিচু করে কাঁদছিল। কথা শেষ করে বললাম- বাড়ি যাও। তোমার জামাটি ওরা ছিঁড়ে ফেলেছে। আমি তোমাকে একটি জামা কিনে দেব। তুমি দু-এক দিনের মধ্যেই আমার সঙ্গে দেখা করবে। ছেলেটি চলে গেল। তবে জামা নিতে সে আর এল না। এ ঘটনাটি আজও আমার ভেতরে কখনো কখনো বেদনা জাগিয়ে তোলে। কেন জাগিয়ে তোলে জানি না। বলছিলাম শিক্ষকদের একটি ছোট অংশ নিয়ম-অনিয়মের তোয়াক্কা করেন না। কেন করেন না? কারণ আছে বৈকি। রাজনৈতিক নেতাদের অপআশীর্বাদে তারা নিয়োগ লাভ করেন। বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেলায় এ কথা উজ্জ্বল সত্য। লেনদেন তো থাকেই। অন্তত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। পরবর্তীতে তারাও রাজনীতিক হয়ে যান। রাজনীতি করেন, নেতাদের চাটুকারিতা করেন। কোন রাজনীতি, কোন নেতা? যে রাজনীতি নষ্ট, যে নেতা পথ ভ্রষ্ট। রাজনীতির লেজুর ধরে বেশ ভেতরে চলে যান। তারা যত ভেতরে যান তত বেশি মধুরসে সিক্ত হন। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসেন না বা আসতে পারেন না। রাজনীতি নষ্ট হলে সবই নষ্ট হয়, হবে এটিই স্বাভাবিক।

দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকের বিচার অবশ্যই হবে। তারও আগে বিচার হওয়া উচিত যারা তাকে নিয়োগ দেন বা দিয়েছেন। কে করবে তাদের বিচার? এ এক অমীমাংসিত প্রশ্ন। দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকের বিচার কে করবে? ছাত্রছাত্রী? হতেই পারে না। শিক্ষকদের আর্থিক ভিত সংহত না হলেও তাদের পেশার জায়গাটি সম্মানজনক। সমাজ অন্তত তাই মনে করে। হালে অবশ্য এ সমাজচিন্তা বায়োবীয়। তারপরও সম্মানের জায়গাটি মনে রাখতে হবে। রাখেনও অন্তত যারা বিবেক সচেতন।

সরকারের আইন আছে। সেই আইনেই বিচার হতে পারে। হওয়া উচিতও। তবে কখনোই ছাত্র বা ছাত্রী দ্বারা শিক্ষক আক্রান্ত হোক, লাঞ্ছিত, নির্যাতিত হোক এটি কাম্য নয়। এমনটি চলতে থাকলে সভ্যতা বিপন্ন হবে। কোনো সভ্য মানুষ অন্তত তা সমর্থন করবে না। অন্তত যাদের সামান্য পারিবারিক শিক্ষা আছে তারাও সমর্থন করবে না। যারা বর্বর মানসিকতার তাদের কথা অবশ্য ভিন্ন। প্রশ্ন উঠতে পারে যে সব ছাত্রছাত্রী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করছে, নির্যাতন করছে, অসম্মান করছে তারা কি মেধাবী? হতেই পারে না। মেধাবীরা আর যাই করুক শিক্ষককে অসম্মান করে না। অসম্মান করে না তাদের পিতা-মাতাকেও। যেসব ছাত্রছাত্রী শিক্ষককে অসম্মান করে বা করছে তারা বখে যাওয়া। এ নিয়ে খুব একটা দুঃখ করার কিছু নেই। বখে যাওয়াদের হাতে তো তাদের পিতা-মাতাও নিরাপদ নয়। এরা সমাজের আবর্জনার মতো। কালের স্রোতে এসব আবর্জনা এক দিন হারিয়ে যায় বা যাবে। সন্দেহ নেই। তবে ওরা হারিয়ে যাক, এটিও কাম্য নয়। প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রী প্রকৃত শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হোক এমনটিই আমাদের কামনা। তা না হলে দেশ দুর্বৃত্তদেরই থাকবে। মানুষের হবে না। অবশ্য তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো, প্রয়োজন শিক্ষার প্রতিটি স্তর সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত রাখা।

লেখক: প্রাবন্ধিক

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

মো. কামাল উদ্দিনঃ এই লেখাটি লিখতে বসে আমার ফেলে আসা শিক্ষা জীবনের স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে উঠল। একেবারে শিশুকালে, যখন প্রথম স্কুলে গিয়েছিলাম, তখনকার কথা মনে পড়ে। আমার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল চরণদ্বীপ আব্বাসিয়া প্রাইমারি স্কুলে। এই স্কুলটি আমাদের চরণদ্বীপের দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর পূর্বপুরুষরা ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমি সেই গৌরবময় ইতিহাসের প্রাচীন বিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে প্রথম পাঠ গ্রহণের স্মৃতিতে এখনও আবদ্ধ।

যেসব শিক্ষকের কাছ থেকে আমার শিক্ষাজীবনের প্রথম পাঠ গ্রহণ করেছিলাম, আজ তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। সেই শিক্ষকদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা চিরস্থায়ী। আমার শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেসব শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কাছ থেকে আমি শিক্ষার আলো পেয়েছি, তাদের প্রতি আমি মনেপ্রাণে কৃতজ্ঞ। তাদের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করেই আজকের শিক্ষকদের প্রতি অপমানজনক আচরণ নিয়ে কিছু কথা লিখতে বসেছি। শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব, কারণ তারা আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক।

এই লেখাটি তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং শিক্ষার পবিত্রতাকে রক্ষা করার প্রয়াস।বর্তমান সময়ে আমরা যে এক মারাত্মক সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, তা হলো স্কুলের ছোট্ট ছোট্ট ছাত্ররা নিজেদের কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলছে এবং জোরপূর্বক শিক্ষকদের অপমানিত করে পদত্যাগে বাধ্য করছে। এ ধরনের ঘটনা আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকগণ, যারা আমাদের সমাজের স্থপতি, আজ তাঁদেরই অপমান করা হচ্ছে, যা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য এক গুরুতর সংকেত।

এই প্রবণতা যদি দ্রুত বন্ধ করা না হয়, তাহলে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ একসময় শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এমন পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে না, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই। শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও নিরাপত্তা হীনতা তৈরি হলে তারা স্বাভাবিকভাবেই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন। ফলস্বরূপ, শিক্ষার মান ও জাতির ভবিষ্যৎ দুইই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধু পাঠদান নয়, এটি একটি সামগ্রিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। কিন্তু যখন ছাত্ররা শিক্ষকদের প্রতি এভাবে অপমানজনক আচরণ করে, তখন তা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকেই ভূলুণ্ঠিত করে। ছাত্রদের বুঝতে হবে যে, শিক্ষকদের প্রতি এমন আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষার পরিবেশে শৃঙ্খলা ও সম্মান রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অভিভাবকদের, শিক্ষকদের এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে এ ধরনের আচরণ বন্ধ করা যায়। ছাত্রদের মধ্যে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা এবং শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা দিতে হবে। কারণ, শিক্ষকেরা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলেন, আর তাদের প্রতি অসম্মান জানিয়ে আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎই বিপন্ন করছি।

অতএব, আজই সময়, শিক্ষকদের প্রতি অপমান জনক আচরণ বন্ধ করে শিক্ষার প্রকৃত মর্যাদা ফিরিয়ে আনা। জাতির জন্য এটি এক অশহনি সংকেত, এবং যদি আমরা এখনই সচেতন না হই, তাহলে ভবিষ্যতে এর ফলাফল আমাদের সকলের জন্যই দুঃখজনক হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে শিক্ষক শূন্য হতে দেওয়া যাবে না, কারণ শিক্ষক ছাড়া শিক্ষা অসম্ভব, আর শিক্ষা ছাড়া জাতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়বে। শিক্ষক অপমান জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার শামিল। বর্তমান সমাজে শিক্ষার গুরুত্ব অসীম। শিক্ষা শুধু জ্ঞানের আলো ছড়ায় না, এটি জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। কিন্তু, সাম্প্রতিক কালে আমরা একটি ভয়াবহ প্রবণতা লক্ষ্য করছি—শিক্ষার্থীদের কতৃক শিক্ষকদের প্রতি অপমান মূলক আচরণ। এ ধরনের ঘটনা শুধু শিক্ষকদের অপমান নয়, এটি পুরো জাতির জন্য এক অশহনি সংকেত। শিক্ষকগণ আমাদের জীবনের এক অনন্য দিকনির্দেশক। তাঁরা আমাদেরকে জ্ঞানের দিশা দেখান, জীবনের মূল্যবোধ শেখান, এবং নৈতিকতার মশাল হাতে ধরে আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু যখন সেই শিক্ষকদেরই অপমান করা হয়, তখন তা জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তোলে। শিক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙে গেলে জাতির মেরুদণ্ডও ভেঙে পড়বে, এবং একটি মেরুদণ্ডহীন জাতি কখনও স্থিতিশীল বা উন্নত হতে পারে না।এই প্রবণতা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে যে, শিক্ষকের সম্মান রক্ষা করা শুধু একটি নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি একটি প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের মানসিকতা বদলাতে হবে, তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও সম্মানের বীজ বপন করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কটি শুধুমাত্র শিক্ষাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে। অভিভাবকদের, শিক্ষকদের, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। ছাত্রদের বোঝাতে হবে, শিক্ষকদের প্রতি অপমান করে তারা নিজেদেরই ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করছে। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিক্ষকের মর্যাদা প্রশ্নাতীত থাকবে, এবং শিক্ষার্থীদের মনে সেই শিক্ষা গভীরভাবে প্রবিষ্ট হবে।

সর্বোপরি, শিক্ষকদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতি হিসেবে আমাদের সকলের উচিত শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা করা, কারণ তাঁদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যৎ। আজই সময়, এই জাতীয় অপমানজনক আচরণ বন্ধ করে শিক্ষার আসল গুরুত্ব বুঝে তা অনুধাবন করা। মেরুদণ্ডহীন জাতি হয়ে পড়ার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে, কারণ শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, এবং মেরুদণ্ডহীন জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন।আমরা এমন পরিবর্তন মোটেই আশা করি না। আমরা একটি সভ্য সমাজের স্বপ্ন দেখি, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক সম্মান ও শৃঙ্খলার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। কিন্তু সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, তা আমাদের দেশকে অসভ্যতার দিকে ধাবিত করছে। শিক্ষকদের প্রতি অপমানিত আচরণ এবং তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা কোনো সমাধান নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয়কে প্রকাশ করছে। শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব, এবং এই ধরনের অপমানজনক আচরণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক।

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ যশোর জেলার সদর উপজেলাধীন মাহিদিয়া সম্মিলনী মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের তলব করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

সোমবার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অর্থ) ও এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিব  মোঃ শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা গেছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অধিপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইনের কক্ষে এই ১৫ শিক্ষক-কর্মচারীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শুনানীতে অংশ গ্রহণের বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, , যশোর জেলার সদর উপজেলাধীন মাহিদিয়া সম্মিলনী মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করণের নিমিত্তে নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ, পত্রিকার মূলকপি, ব্যানবেইস তালিকা, এনটিআরসি মূল সনদ/সুপারিশপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূলকপিসহ শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ আগামী ০৫/০৯/2024 তারিখে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) এর কক্ষে শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে। উল্লিখিত শিক্ষক কর্মচারীদের স্বশরীরে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসহ শুনানীতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

অধিদপ্তরে তলব করা ১৫ শিক্ষক কর্মচারী যারা-
১। অধ্যক্ষ জনাব মো: ফারুক হোসাইন, (ইনডেক্স:K301505)
২। উপাধ্যক্ষ জনাব মো: আবুল মালেক, (ইনডেক্স: K581907)
৩। জনাব মো: আমিনুর রহমান, (M0007709)
৪। জনাব রবিউল ইসলাম, (M0005285)
৫। জনাব আব্দুল কাইয়ুম, (M0007708)
৬। জনাব শারমিন আক্তার, (M0005288)
৭। জনাব মো: মোস্তাক আহমেদ, (M0007707)
৮। জনাব মো: মাসুম পারভেজ, (M0007710)
৯। জনাব মোরশেদা খাতুন, (M0005284)
১০। জনাব মোহম্মদ আবুল ফজল, (M0005286)
১১। জনাব মো: তরিকুল ইসলাম, (M0005289)
১২। জনাব মো: মহিবুল্লাহ আল মামুন, (M0005287)
১৩। জনাব মো: আমিনুল ইসলাম আমিন, (M0017138)
১৪। জনাব মো: কামাল হোসাইন, (M0015688)
১৫। জনাব আমেনা খাতুন, (M0000192)

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি জানান, আজ বিকেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ পাঁচ থানায় মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (জন্ম ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক, যিনি পিরোজপুর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী। এর পূর্বে তিনি আরও দুবার দুটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (যোগাযোগ মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রী) ছিলেন। তিনি পিরোজপুর জেলার কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও জিয়ানগর উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর ২ আসন[১] থেকে ৬ বারের (১৯৮৬,১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪) নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ ছাড়া ও ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে ১৭ বছর ধরে মন্ত্রী এবং একবার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ১/১১-এর সময় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় ২০০৮ সালে তিনি নির্বাচন করতে পারেননি।

তিনি জাতীয় পার্টি র একটি অংশের নেতা। যা বাংলাদেশে জেপি নামে পরিচিত। তার পিতা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন নামকরা রাজনীতিবিদ এবং দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর এ গঠিত ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট বি এন পি এর আহবায়ক কমিটির সদস্যদের একজন ছিলেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন প্রদান করেন এবং সেসময় বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।

সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

সালমান ইস্পাহানী সাইমন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:  নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ক্লাস শুরু হচ্ছে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে। পরীক্ষার বিষয়ে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ তামজীদ হোছাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ‘কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একাডেমিক কার্য (ক্লাশ এবং পরীক্ষা) আগামী (৮ সেপ্টেম্বর) তারিখ হতে শুরু হবে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের যথাশীঘ্র সম্ভব হলে উঠার নির্দেশ দেয়া হলো।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ঈদুল ফিতর, গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আজহার ছুটি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে গত তিন মাস বন্ধ ছিল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে শিক্ষার্থীর বয়স ৯ বছরের বেশি হতে হবে। আর সর্বোচ্চ বয়স ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। বিশেষ চাহিদসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২০ বছর। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা  শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক আবুল মনসুর ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে এসব এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে নির্ধারিত ফি ৭৪ টাকা। এর মধ্যে মূল রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা ও রেডক্রিসেন্ট ফি ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত বছর থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো এ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত (OMES/eSIF) বাটনে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দিতে হবে।

Dashboard থেকে eSIF SIX ক্লিক করে Payable fees of VI 2024 এ Applicant name, mobile no. এবং Number of Students দিয়ে Print Sonali Seba এ ক্লিক করে সোনালী সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে। ফরমটি ফটোকপি করে ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে না।

ব্যাংকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করলে নির্ধারণকৃত শিক্ষার্থীদের eSIF পূরণ করা যাবে। পেমেন্ট ক্লিয়ারের পুনরায় সোনালী সেবার স্লিপ বের করতে পারবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এবং বাদপড়া শিক্ষার্থীদের তথ্য অ্যান্ট্রি করতে পারবেন।

এতে আরও জানানো হয়েছে, পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন। আর পাঠদানের অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বা নিকটতম অনুমোদিত নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

পাঠদানের অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো অবস্থাতেই নিজ স্কুলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন না। কোনো শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন থেকে বাদ পড়লে বা ভুল হলে, তার দায়ভার প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে নিতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram