শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পরীক্ষা বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

রবিবার  পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস. এম. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ের উপসহকারী পরীক্ষা বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) আবদুল্লাহ আল মামুনের ভুয়া স্বাক্ষরে জারিকৃত দেখানো হয়েছে। প্রকৃত সত্য হলো, এ বিজ্ঞপ্তিটি পিএসসি সচিবালয় থেকে জারি করা হয়নি। এই বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া/বানোয়াট। উক্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত পিএসসির তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান। তদন্ত কমিটি এখনো রিপোর্ট দেয়নি এবং এ পরীক্ষা বাতিল সংক্রান্ত তথ্যাদি সঠিক নয়।

৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং তাঁদের অবৈধ অর্থের উৎস অনুসন্ধানে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনাও দিয়েছে পিএসসি। এ ছাড়া প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

চট্টগ্রামঃ পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকার সেন্ট স্কলাস্টিকা’স বালিকা বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

রবিবার সকালে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসীমা স্কলাস্টিকা রিবেরু স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকেরা হলেন—রাকিব উদ্দিন, সুরজিৎ পাল ও ওমর ফারুক সিদ্দিক। এর মধ্যে রাকিব উদ্দিন ও সুরজিৎ পালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় দুজনই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে অবশ্য জামিন বের হন।

গতকাল শনিবার যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকদের স্থায়ী বরখাস্তসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেন অভিভাবকেরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রতিবাদকারী শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

অভিভাবকদের গণদাবির মুখে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে লিখিতভাবে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে চলা অচলাবস্থার অবসান হলো বলে জানান আন্দোলনরত অভিভাবকদের একজন আলী ইউসুফ।

আলী ইউসুফ বলেন, ‘গত ২৭ আগস্ট আমরা সকল অভিভাবককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানালে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। একই রাতে বিশপের পক্ষ থেকে একটি লিখিত ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হয় যে, এই সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে একটি ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। কিন্তু ১৫ জনের সংকট নিরসন কমিটি গঠন করা হলেও তিন কার্যদিবসেও কোনো অফিশিয়াল নোটিশ দিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেননি। উল্টো প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমাদের সন্তানদের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল।’

এর আগে গত ১০ জুন ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয় অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরদিন ১১ জুন অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিব উদ্দিনকে এবং পরে ২৫ জুন অভিযুক্ত আরেক শিক্ষক সুরজিৎ পালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনো অভিযান পরিচালনার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে গ্রেফতার করতে হবে। পরিচয় না দিয়ে কোন অবস্থাতেই কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।

রবিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
এর আগে পুলিশ সদর দফতর থেকে কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে মঙ্গলবারের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দিতে বলা হয়েছিল। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের খবরে দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। থানায় সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তবে সে সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। বহু অস্ত্র বাইরে রয়ে গেছে। সেসব অস্ত্র এবং আগে থেকে অনেকের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রমসহ নিয়মিত টহল ও নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে বলে এরই মধ্যে একাধিকবার জানিয়ে আসছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

গোপালগঞ্জঃ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ‘শিক্ষকের শাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার স্থানীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের সাবেক ছাত্র ও প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সরকারি শেখ হাসিনা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মিন্টু রায়।
এ ছাড়াও সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক হিমাংশু কুমার পান্ডে, সাবেক প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলী মিয়া, সাবেক শিক্ষক হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন খান, শিক্ষক মতিয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক অফিসার পলাশ সরদার, সাবেক ছাত্র সাংবাদিক এইচ এম মেহেদী হাসানাত, রতন সেন কংকন, গৌরাঙ্গ লাল দাস উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

সরকারি শেখ হাসিনা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মিন্টু রায় বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটছে, সেটা আমাদের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। দেশে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হলে শিক্ষকদের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আশা করছি, বর্তমান সময়ে দেশে যে শিক্ষক নির্যাতন ঘটছে, তা বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

আলোচনা সভার শুরুতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো ও উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের সাবেক শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের শাসন স্বরূপ বেত দিয়ে পিটিয়ে চলমান শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

সালমান ইস্পাহানী সাইমন, নোবিপ্রবি প্রতিবেদকঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও ফার্মেসী বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে উপাচার্য কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানদের ভোটের মাধ্যমে অধ্যাপক ড. মোঃ শফিকুল ইসলামকে নির্বাচিত করা হয়। সভা সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা হতে প্রেরিত পত্রের আলোকে নোবিপ্রবির ডীন’স, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় নোবিপ্রবিতে নিয়মিত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জরুরী প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড.মো: শফিকুল ইসলামকে সর্বসম্মতিক্রমে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়।

দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব প্রাপ্ত ড.মো:শফিকুল ইসলাম বলেন- সবাই মিলে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সুন্দরভাবে পালন করার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকবো। আমরা খুব দ্রত একাডেমিক কার্যক্রম, পরীক্ষা ক্লাস এগুলো চলমান হয় সে ব্যবস্থা গ্রহন করবো এবং একটি শিক্ষাবান্ধব শান্তিপূর্ন ক্যাম্পাস দ্রুত সময়ের মধ্যে গড়ে তুলবো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় শাহীদা কাশেম পৌর বালিকা বিদ্যালয়ে গত দেড় মাসে ১৯ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর অনুপস্থিত ছাত্রীদের তালিকা করার পর এ বাল্যবিয়ের বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া ছাত্রীদের বেশিরভাগই এখন সংসার-ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত। ছাত্রীদের বাল্যবিয়ের ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষকরাও।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশজুড়ে চলা ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে খুব গোপনে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীদের বাল্যবিয়ে দিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বাল্যবিয়ে রোধে শিক্ষকরাও তেমন কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিগার সুলতানা বলেন, বেশকিছুদিন বন্ধ থাকার পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাকি হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে পাঠদান চালুর পর থেকে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ১৯ জন মেধাবী ছাত্রী বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত দেখা যায়।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ১৫০ ছাত্রীর মধ্যে ১৯ জনের বাল্যবিয়ে হয়েছে। এরমধ্যে ৭ম শ্রেণীর ৪ জন, অষ্টম শ্রেণীর ২ জন, নবম শ্রেণীর ৬ জন, দশম শ্রেণীর ৭ জন ছাত্রী রয়েছে।

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিতু খাতুন জানায়, বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণিকক্ষে সহপাঠী নিপা, সেতু, রোজিনা আক্তার, এলেনা খাতুন অনুপস্থিত রয়েছে। লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও সহপাঠিদের বাল্যবিয়ের ফলে তারও বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ কমেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক জালাল উদ্দিন বলেন, তার বিদ্যালয়ের যে ১৯ ছাত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে , তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীও ছিল। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে জাল জন্ম সনদ তৈরির মাধ্যমে একশ্রেণীর বিবাহ রেজিস্ট্রার ও নোটারি পাবলিক এসব বিয়ে পড়িয়েছেন।

তবে অভিভাবকদের দাবি, রাস্তা-ঘাটে বখাটেদের উৎপাতসহ নানা কারণে অপ্রাপ্ত বয়সেই তারা সন্তানদের বাল্যবিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, টাকা হলেই কম্পিউটার থেকে সহজেই জাল জন্মসনদ হাতে পাওয়া যায়। তাছাড়া অর্থলোভি কাজীর যোগসাযোজ, শিক্ষকদের অনিহা, দুর্বল প্রশাসনিক ভূমিকার কারণেই বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা।

বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি-২০২৩ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিয়ের দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম এবং এশিয়ায় প্রথম। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) ২০২২ প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বাল্যবিয়ের হার ৫০ শতাংশ। এসএসসি পরিক্ষার্থী মেয়েরা সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই জরিপ বলছে, দেশে ১৮ বছরের কম বয়সিরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এরমধ্যে ৬ দশমিক ৯ শতাংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে রয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি বিশেষজ্ঞ নারগিস সুলতানা বলেন, বাল্যবিয়ের সবচেয়ে বড় কুফল হচ্ছে কম বয়সে মা হওয়া। বাল্যবিয়ের শিকার নারীরা অল্প বয়সে মা হতে গিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়াসহ জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে মারাও যায়। তাছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মা এবং শিশু উভয়েই পুষ্টিহীনতায় ভুগে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেখামনি পারভিন বলেন, বাল্যবিয়ের খবর তাদের কেউ জানাননি। এ কারণে কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, শাহিদা কাশেম বালিকা বিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রীর বাল্যবিয়ের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরানোর জন্য অভিভাবক সমাবেশসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বর্তমানে বর্ষার অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

রবিবার মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক প্রফেসর মো: আমির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বর্ষার অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দেশের ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ বন্যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এমতাবস্থায়, তাঁর আওতাধীন জেলা/ উপজেলায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তার তথ্য সংযুক্ত গুগল ডক লিংকে আগামী ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য যে, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ গুগল লিংকে তথ্য প্রেরণ করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কোন কর্মকর্তা/ কর্মচারী'কে গুগল লিংকে তথ্য প্রেরণ না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। বিষয়টি অতীব জরুরী।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

ঢাকাঃ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। যা চলবে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। অনলাইনে ফরম পূরণ ও ফি জমা দেওয়া যাবে। রেজিস্ট্রেশন ফি জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ টাকা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানিয়ে রেজিস্ট্রেশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড।

রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানিয়েছে, জেএসসি পরীক্ষার বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম বয়স ১১ বছরের বেশি হতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ বছর। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২২ বছর।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।

বোর্ড থেকে অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বা কাছের অনুমোদিত নিম্ন মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক স্কুল বা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। তবে কোনো অবস্থাতেই পাঠদানের অনুমতিবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবেন না।

ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত (OMES/eSIF) বাটনে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দিতে হবে। Dashboard থেকে eSIF JSC ক্লিক করে Payable fees of JSC 2024 এ Applicant name, mobile no. এবং Number of Student দিয়ে Print Sonali Seba এ ক্লিক করে সোনালী সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাম্মদ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত পরিপত্র  থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকসমূহের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকগণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানাবিধ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় উক্ত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

ক) প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে ইতোমধ্যে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকগুলোর পান্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।

খ) ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সাল ব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

গ) ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শীঘ্রই বিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করা হবে।

ঘ) ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকসমূহের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

ঙ) যে সকল শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এ সকল শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

চ) শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাম্মদ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত পরিপত্র  থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শীঘ্রই বিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করা হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকগণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানাবিধ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় উক্ত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

ক) প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে ইতোমধ্যে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকগুলোর পান্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।

খ) ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সাল ব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

গ) ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শীঘ্রই বিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করা হবে।

ঘ) ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকসমূহের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

ঙ) যে সকল শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এ সকল শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

চ) শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সাল ব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাম্মদ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত পরিপত্র  থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকগণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানাবিধ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় উক্ত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

ক) প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে ইতোমধ্যে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকগুলোর পান্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।

খ) ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সাল ব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

গ) ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শীঘ্রই বিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করা হবে।
ঘ) ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকসমূহের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

ঙ) যে সকল শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এ সকল শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

চ) শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাগ বিভাজন উঠে গেলেও তা আবার ফিরেছে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে। মাধ্যমিকে ফিরছে সায়েন্স-আর্টস-কমার্স বিভাজন। ২০২৫ সালের যে শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবেন অর্থাৎ বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছেন তাদের নতুন করে আগের শিক্ষাক্রমের বই দেয়া হবে। তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে তারা এক শিক্ষাবর্ষে তা শেষ করতে পারেন। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এ পাঠ্যসূচি শিক্ষার্থীদের এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যে শেষ করে এ শিক্ষার্থীরা ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাম্মদ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত পরিপত্র  থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকগণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানাবিধ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় উক্ত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

ক) প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে ইতোমধ্যে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকগুলোর পান্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।

খ) ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সাল ব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

গ) ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শীঘ্রই বিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করা হবে।

ঘ) ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত

ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকসমূহের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

ঙ) যে সকল শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এ সকল শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

চ) শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram