এইমাত্র পাওয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করার চিন্তা: শিক্ষা সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করার চিন্তা করছে সরকার বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। 

তিনি বলেন, বলেন, আপনারা জানেন এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলছে। সাড়ে ৬ লাখ পরীক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এই সাড়ে ৬ লাখ গ্রাজুয়েট কয়েক দিনের মধ্যে বের হয়ে আসবে। তার মাত্র ২৮ শতাংশ চাকরি পাবে। তাও সেটা তার প্রত্যাশা অনুযায়ী হবে না। এর চেয়ে বেশি চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা এই দেশের নাই। তাহলে এই যে বাকি বিপুল পরিমাণ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তারা কি করবে। যে কারণে এখন সরকার চিন্তা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যারা গ্রাজুয়েট করেছে তাদের কিভাবে কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করা যায়। তাদেরকে একটা নিদিষ্ট সময়ের জন্য কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে। কিন্তু এটা যদি করতে হয় সরকারকে তাহলে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানও আমাদের গড়ে তুলতে হবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ‘কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন ।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, এখানে কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজন। তাই মূল ধারার শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা সম্পৃক্ত করা দরকার। কারণ, কারিগরির শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হয়। এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘মিস্ত্রি বানানোর কারখানা’। এ ধরনের নেতিবাচক ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রেড ভিত্তিক শিক্ষকের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নিউ টেকনোলজির অভাব রয়েছে। এসব দূর করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে আরও যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষালাভ করেও অনেকে বেকার রয়েছে, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, তার বিকল্প হিসেবে কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে।

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে অনেকের আচরণে পার্থক্য থাকবে। সবার কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ আশা করা যাবে না। এক্ষেত্রে তাদের বুঝিয়ে আদর করে পাঠদান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দাবি-দাওয়াগুলো সম্মানের সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে আলাপ- আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড.খ ম কবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান(সচিব) মিজ নাসরিন আফরোজ ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading