খুলনাঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্রী হল রোকেয়া হলের তালা ভেঙেছে ছাত্রীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা রোকেয়া হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে। এর আগে, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে ছাত্রদের ছয়টি হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে ছাত্ররা।
এছাড়াও মঙ্গলবার ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে প্রত্যাখান করে উপচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কুয়েট শিক্ষার্থীরা। এর আগে, শিক্ষকদের আলোচনার আহ্বানও প্রত্যাখান করে তারা। মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা এই তথ্য জানায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তাদের দাবি জানিয়েছে। তারা এতদিন কোনো কিছু করেনি। যখন শিক্ষার্থীরা অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে তখন তারা আগামীকাল আসবেন বলে জানিয়েছে। আজ নয় কেন, আগামীকালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়ভার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে। তারা ইউজিসির কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে এক দফা দাবিতে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
এর আগে, দুপুরে শিক্ষকদের একটি দল শিক্ষার্থীদের সাথে এসে কথা বলে। শিক্ষার্থীদের আলোচনার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘আমরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তাদের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।’
সকাল থেকে দুজন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের কুয়েট চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সোমবার আরও তিন জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তারা বাসায় চলে যান। বর্তমানে ২৭ জন শিক্ষার্থী অনশন করছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গত ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় এ ঘটনায়। এছাড়াও আগামী ৫ মে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু ও ২ মে হল চালুর সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ছাত্ররা ১৬ এপ্রিল হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে। ২০ এপ্রিল তারা ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়ে একদফা দাবিতে অনশনের ডাক দেয়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২২/০৪/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.