এইমাত্র পাওয়া

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃ-তে-র সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৭০০

ঢাকাঃ শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার জানিয়েছে, মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং প্রায় এক হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার মধ্য মায়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের তাণ্ডবে দেশটির বিস্তীর্ণ অংশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়সহ ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

এই শহরটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি ছিল। সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে। জান্তার তথ্যদল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুধু মান্দালয় অঞ্চলে ৬৯৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এক হাজার ৬৭০ জন আহত হয়েছে।

তবে যোগাযোগব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে এবং দুর্যোগের প্রকৃত মাত্রা এখনো প্রকাশিত হয়নি, তাই মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।

মান্দালয় থেকে এএফপির ছবিতে দেখা গেছে, ভেঙে পড়া একাধিক ভবন এবং ধুলোয় মোড়ানো ধাতব পদার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করছে লোকজন। মায়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে— সিএনএনের প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য মতে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ইউএসজিএসের মতে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে।

উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটারশক হয়। এতে মিয়ানমারের পাশাপাশি প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। থাইল্যান্ডের রাজধানীতে একটি নির্মাণাধীন ৩৩ তলা ভবন ধুলোর সঙ্গে মিশে গছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মানুষের চিৎকার ভেসে আসে এবং তাদের দৌড়াতে দেখা যায়।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাগাইং সেতু ধসে পড়েছে। এ ছাড়া মান্দালয়, নেপিডো, পিনমানা, অউংবান ও ইনলে অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে মায়ানমারে একটি মসজিদ আংশিক ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে বলে দুই প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন। বাগো অঞ্চলের তাউংনু শহর থেকে এক ব্যক্তি রয়টার্সকে জানায়, ‘আমরা নামাজ পড়ছিলাম, ঠিক তখনই কম্পন শুরু হলো… ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।’

সূত্র : এএফপি

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading