এইমাত্র পাওয়া

জাতীয়করণের দাবি: প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরবেন না এমপিও শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারী চাকরিজীবীদের সমান বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতার দাবি আদায়ে আজও অনশন (প্রতীকী) কর্মসূচি পালন করছে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অনশন কর্মসূচী পালন করছেন শিক্ষক জোটটির নেতৃত্বে আন্দোলরত শিক্ষকরা। 

শিক্ষকরা বলছেন, একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস ও একাডেমিক সময়সূচি এবং একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সমান বৈষম্য। তারা এ বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছেন। সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ উৎসব ভাতাপ্রাপ্তি, বৈষম্য নিরসনসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’র ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল থেকে তারা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। আজও কর্মসূচী চলছে।  এর আগে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেছিলেন তারা, যা পুলিশি বাধায় আটকে যায়। দফায় দফায় করেছেন বিক্ষোভ সমাবেশ। এরপর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সচিবালয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হলেও জাতীয়করণের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় আন্দোলন চলমান রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। 

জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, ১১  দিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয়করণ দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সারা দেশ থেকে শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে নিতে আশ্বাস দেওয়া হলেও সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা পাইনি। জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

শিক্ষকরা বলেছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরবেন না তারা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না তারা। সরকারকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সব এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে প্রেসক্লাবের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তারা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে জাতীয়করণ দাবিতে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)’র ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বড় আন্দোলন করেছিল শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের এই আন্দোলন ঠেকাতে ও জাতীয়করণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আওয়ামী সরকারের আমলে দুটি কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ কমিটি গঠন করতে পারেনি তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তাই জাতীয়করণের ব্যাপারেও আর কোনো অগ্রগতিও হয়নি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২২/০২/২০২৫ 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.