ঢাকাঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই যোগ্যতার বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাবেক উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ ছয়জনের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ঘটেছে। শর্ত ভেঙে ড. জিয়াউর রহমানকে (সায়েম রানা) প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ঢাবির ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, তিনি ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আবেদনকারীদের সঙ্গীত বিভাগে স্নাতক বা স্নাতকত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। যোগ্য প্রার্থী থাকার পরেও ইসলাম শিক্ষা বিভাগ থেকে নেওয়া হয় সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক। সঙ্গীতের বিষয়ে জিয়াউর রহমানের মৌলিক কোনো ডিগ্রি নেই। তিনি আবেদন করেছিলেন সহকারী পদে তবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রভাষক পদে।
এ নিয়ে সাবেক উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য, সেই সময়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান নাসরিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. আকলিমা ইসলাম কুহেলি, সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান অধ্যাপক ড. শাহনাজ নাজনীন ইলা, নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং বর্তমানে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ড. জিয়াউর রহমানসহ ৬ জনের নামে নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় দুদকে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা সুপারিশ করে এরই মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন পেশ করেছে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, বর্তমানে ড. জিয়াউর রহমান ছুটিতে আছেন। তার অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ওই সময়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, তার (ড. জিয়াউর রহমান) সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে একটি বিদেশি ডিগ্রি ছিল। এগুলো বিবেচনা করেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আবেদনের শর্তে পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের জন্য শর্ত শিথিলযোগ্য এটাও বলা ছিল।
নিয়োগের বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফয়েজ বলেন, এ বিষয়ে যেভাবে পদক্ষেপ যায়, তার সব অধিকারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে। সে অনুযায়ীই তারা কাজ করবে। আমার বিশ্বাস তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.